নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বনসাই

বনসাই

বনসাই

বনসাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

পুরোনো সেই দিনের কথা (দ্বিতীয় বারো)

০৮ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:১৮

প্রথম বারো

13. ভালো সিগন্যাল পেতে বাড়ির ছাদে ছাদে লাগানো হতো টিভি এন্টেনা। ভারতীয় দূরদর্শণের দেখা পেতে সিলভারের ঢাকনিও ঝুলানো হতো। সেগুলোর বাহারী নাম ছিল- বুস্টার

14. শাহবাগ নামে হোটেলের নামেই মোড়ের নাম শাহবাগ। চৌমাথার গোলচত্বরে মনোরম ফোয়ারা ছিল, মৎস্য ভবন মোড়, গুলশান ১, গুলশান ২, মিরপুর ১০, মগবাজার মোড়ে গোল চত্বর ছিল।

15. ১৯৯২-১৯৯৩ সালেও বাস কন্ডাক্টরের মুখে খুব শোনা যেতো ‘সোজা মিরপুর’। কারণ আগে মিরপুর যাওয়ার পথই ছিল টেকনিক্যাল ঘুরে ১ নম্বর হয়ে ১২ নম্বর যাওয়া। রোকেয়া সরণি, পান্থপথ ও বিজয় সরণি তৈরি হয় এরশাদের সময়ে। মিরপুরবাসী শহরের দিকে আসাকে বলতো, ঢাকায় যাচ্ছি।

16. টাংস্টেন ফিলামেন্ট বিজলি বাতিতেই শৈশব কেটেছে, আর সেই বাতির রাজা ছিল ফিলিপস; খুব কম বাসাতেই ছিল টিউবলাইট। টিউবলাইট লাগাতে খরচ পড়তো বেশি।

17. ১৯৯৬-৯৭ সালে এখন যেখানে পুলিশ স্টাফ কলেজ ও পুলিশ কনভেনশন সেন্টার সেখানে বিশাল জলাধার ছিল; নৌকা চলতো।

18. নিউ এলিফ্যান্ট রোডে এখন যেখানে সুবাস্তু আর্কেড সেখানে ছিল ‘নীলপদ্ম’ কনফেকশনারি যেখানে দেড় টাকায় পেতাম নারকেল বান। আর এখনকার রিনা নামের শোরুমটি ছিল আমার প্রিয় বেকারি। এর বাদাম-বিস্কিট অত্যন্ত উন্নতমানের ছিল। রিনার পূর্বের নাম ছিল রুমা। এখানে এক বাক-প্রতিবন্ধী সেলসম্যান আমাকে খুব আদর করতো।

19. বাংলাদেশের প্রথম হালাল(!) সাবান বানায় এরোমেটিক আর পঁচা সাবান তৈরি করে আলম সোপ ফ্যাক্টরী।

20. রমজান মাসে বাজার সয়লাব থাকতো ইরাকী জমাটবাঁধা খেঁজুরে।

21. ১৯৮৪-৮৫ সালে এলিফ্যান্ট রোড বাটা সিগনাল থেকে জগন্নাথ হলের কাছে স্কুল পর্যন্ত রিকশা ভাড়া ছিল ৫ টাকা; ’৮৮-৮৯তে ঢাকা কলেজ থেকে বিজয় সরণী চন্দ্রিমা উদ্য্যান প্রান্তের রিকশা ভাড়া ছিল ১০টাকা। ’৯৩ সালে মিরপুর থেকে ফার্মগেটের ডাইরেক্ট বাস ভাড়া ছিল ২টাকা, লোকাল দেড় টাকা।

22. ’৭৫ এর পরে বাংলাদেশ বেতার এর নাম ছিল রেডিও পাকিস্থানের নামের সাথে মিলিয়ে রেডিও বাংলাদেশ।

23. এসএম হল আর বুয়েটের মাঝের রোডে রেইনট্রিগুলোর বিশাল ছায়া ছেলেবেলায় আমাকে অবাক করেছিল।

24. ঢাকা শহরের প্রতি বাড়িতে কিছু না কিছু গাছ ছিল; আজ তো কেউ একবিন্দু জায়গা ছাড়ে না। এখন পারলে সীমানা প্রাচীর থেকেই দালান তোলে মানুষ।রাস্তায়ও ছিল অনেক গাছ; রাস্তা চওড়া করতে যা আর দাঁড়িয়ে নেই।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৩১

বারিধারা ২ বলেছেন: রমজান মাসে আসরের নামাজের পর তুষ মাখা বরফ বিক্রি হত বলে শুনেছি। এ সম্পর্কে কি জানেন? বরফ কিনে মানুষ কি করত?

৮৮ সালের বন্যা নিয়ে কিছু স্মৃতিকথা লিখুন।

০৮ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:২৩

বনসাই বলেছেন: যখন রমজানে প্রথম রোজা রাখা আরম্ভ করি তখন ছিল জুন-জুলাই মাস, একে গরম আর দিনও দীর্ঘ ছিল। সাধারণ মানুষের ঘরে ফ্রিজ ছিল না। আসরের নামাজের পর বরফকল থেকে বরফ এনে বাজারে বিক্রি করা হতো, বরফ যেন দ্রুত গলে ব্যবসায়ীর পুঁজিনাশ না করে সেই জন্যে তুষ মাখিয়ে রাখা হতো। ইফতারে একটু ঠান্ডা পানি বা শরবত পানের জন্যেই রোজাদাররা এই বরফ সংগ্রহ করতো।
আর প্রতিবেশীর ফ্রিজে ঠান্ডা পানি বা বরফের বুকিং দেয়াও চলতো।

’৮৮ এর বন্যা নিয়ে পরের পর্বে কিছু স্মৃতি আছে।

২| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: সব গুলো কথাই ঠিক।

০৮ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:২৫

বনসাই বলেছেন: আশা করি বাকি পর্বের কথাগুলোও ঠিক থাকবে।

৩| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৩:০৫

সোহানী বলেছেন: আরে পুরোনো সব স্মৃতিই মনে করিয়ে দিলেন......... প্রতিটিই সত্য।

০৯ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৭

বনসাই বলেছেন: বাবা-মায়ের কাছে তাদের সময়ের গল্প শুনে অবাক হতাম, আজকের ডিজিটাল প্রজন্ম আমাদের সময়ের কথা জেনে আশ্চর্য হয়।
এখানে আমার দেখা ঢাকার কিছু চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করছি। আপনার স্মৃতির সাথে মিলে যাওয়ায় ভালো লাগলো।

৪| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:২৩

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: জানলাম।

০৯ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১২

বনসাই বলেছেন: সাথেই থাকুন, সকলে মিলে পুরোনো দিনে ফিরে যেতে বেশ ভালো লাগছে।

৫| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:০৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: ১৩। ৮০ এর দশকে ভারতে ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট সিরিজ চলছিল। সে সময়ে রাজশাহীতে এক আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলাম। কোন ডিশ সিস্টেম তখনো আসে নাই। ছাদে টিভির এ্যান্টেনার সাথে কিছু হাড়ি পাতিলের ঢাকনা ঢুকনা জুড়ে দিয়ে ঝিরঝিরে অবস্থায় খেলাগুলো লাইভ দেখতে পেরেছিলাম এবং খুবই আনন্দ পেয়েছিলাম।
১৪। হোটেল শাহবাগ এবং হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল (বর্তমানে শেরাটন) এর কথা পাঠ্যপুস্তকে ঢাকার দর্শনীয় স্থান হিসেবে উল্লেখিত ছিল।
১৫। স্বাধীনতার আগে ঢাকার গুলিস্তান, নবাবপুর ইত্যাদি এলাকা থেকে মিরপুরে গেলে মনে হতো আসলেই অন্য একটা শহরে এসেছি। মিরপুরবাসীরা ঢাকার দিকে আসলে বলতো ঢাকায় যাচ্ছি, এ কথাটা সম্পূর্ণ সত্য। প্যান পাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের পশ্চিম পার্শে বড় জলাশয় ছিল, সেখানে সব সময় নৌকা চলাচল করতো। সেখানে বাঁশের খুঁটির উপর মাচা বানিয়ে একটা কাবাবের দোকান দেয়া হয়েছিল, নাম ছিল দারুল কাবাব। খুব চলতো।

এ ছাড়া, ট্রেনগুলো তখন তেজগাঁ স্টেশন থেকে সোজাসুজি ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের ভেতর দিয়েই চলাচল করতো। এখনকার মত স্টাফ রোডের কাছ থেকে বাঁক নিত না। পুরাতন ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রেল স্টেশনটি এখন ক্যান্টনমেন্ট পুলিশ স্টেশন হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ সহ, উত্তরবঙ্গগামী বাসগুলোও তখন ঢাকা ক্যান্টনমেন্টেড় ভেতর দিয়েই চলতো, বালুরঘাট হয়ে টঙ্গী রোডে উঠতো।

০৯ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২২

বনসাই বলেছেন: আপনাকে অভিবাদন, আপনার মন্তব্য লেখাটিকে নিঃসন্দেহে সমৃদ্ধ করেছে।
১৫ এর বিষয়ে পরের এক পর্বে অল্প কথা আছে। এই ব্লগে আমার দেখা বিষয়ই তুলে ধরতে চেয়েছি, '৭৮ সালের দিকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট যাওয়ার স্মৃতি মনে আছে। তখন সম্ভবত ট্রেন সেনানিবাসের ভেতর দিয়ে যেতো না। আপনার তথ্য আমার জন্যে একেবারেই নতুন। বেশ ভালো লাগলো। সাথেই থাকবেন আশা করি।

৬| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:২৬

করুণাধারা বলেছেন: পুরনো সেই দিনের কথা ভাবতে আমার খুব ভালো লাগে। এলিফ্যান্ট রোডের রুমার বিস্কুট আমারও খুব প্রিয় ছিল। i বিস্মৃতির অতল তল থেকে বহুদিন পর উঠে এলো দারুল কাবাব এর স্মৃতি, ৬ নাম্বার মন্তব্য থেকে। যতদূর মনে পড়ে এটা ছিল একটা জলাভূমির পাড়ে, ঢালু পাড় বেয়ে নামতে হতো । তখনতো আর বাইরে গিয়ে খাওয়া হত না, মাত্র ১ বার গিয়েছি দারুল কাবাবে- স্মৃতি আজও উজ্জ্বল রয়ে গেছে।

০৯ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৩

বনসাই বলেছেন: সে সময় রুমা (রিনা) প্রথম চানাচুরের বিভিন্ন উপাদান পৃথকভাবে বিক্রি আরম্ভ করে, ক্রেতা পছন্দ মতো বাদাম, ডাল, ঝুড়ি, টক, ডাবলি, চিড়া ইত্যাদি মিশিয়ে কিনতে পারতো। কৌতুক অভিনেতা হাসমত এর মালিকানা ছিল।
এখানেই প্রথম ১৯৯২ সালে জাপানী কোয়েল পাখির ডিম দেখেছিলাম, ওদেরই হাতিরপুলের নাহার গার্ডেন থেকে পাখিও কিনেছিলাম। নিয়মিত ডিম পেতাম।

৭| ১২ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:১১

পদ্মপুকুর বলেছেন:

১৩ নম্বরটা একটু সংশোধন হবে, স্ক্রিনশটের তথ্য উইকি সার্টিফায়েড।

১২ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৫৭

বনসাই বলেছেন: তথ্য সংযুক্ত করার জন্যে ধন্যবাদ।

৮| ১২ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:২৪

আখেনাটেন বলেছেন: এইটা পড়েও মজা পেলাম।

ভালো লাগছে আপনার স্মৃতিচারণ।

১২ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৫৬

বনসাই বলেছেন: আপনার স্মৃতির সাথে মিলছে কি?

৯| ১৩ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:১৩

রুদ্র নাহিদ বলেছেন: সময়ে সাথে কতকিছু বদলে যায়।

১৪ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:১০

বনসাই বলেছেন: ভালো কিছু বদলে গেলে, মিস করলেই আমরা বেশি স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.