নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছোট মুখে বড় কথা

আমিও শিশুর মতো/ তারই মতো মেনে নিতে পারি, যতো ব্যাথা না পাবার,/ ততো কাঁদি, ততো ঠুঁকি মাথা,/ যতো ক্ষতে বয়ে চলে- এ জীবনধারা।

বয়ানবাজ

আমি শাহরিয়ার রনি। দেশের একটি নামকরা পাবলিক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করেছি। একজন স্বীকৃত কৃষিবিদ। ভালোবাসি প্রকৃতি, ভালোবাসি বিজ্ঞান।

বয়ানবাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

"দোস্ত! মেয়েটা তো অনেক পর্দানশীল।"

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৪



আজ সকালে কয়েক বন্ধু মিলে রাজশাহী কলেজের গেটের সামনে আড্ডা দিচ্ছিলাম। চায়ের দোকানে বসেছিলাম। আর সামনেই ছিলো একটা ফটোস্ট্যাটের দোকান। এমন সময় কয়েকটা মেয়ে হুড়মুড় করে সেই ফটোস্ট্যাটের দোকানে ঢুকে পড়লো। আমরাও চা খেতে খেতে তাদের দিকে লক্ষ্য করলাম। আমাদের তিনজনের চোখ বোরখা পরা একটা মেয়ের উপর আপতিত হলো। কন্যা দেখি ভালোই রূপসী। :!> :!>



হঠাৎ আমার এক বন্ধু বলে উঠলো, "দোস্ত! মেয়েটা অনেক পর্দানশীল।"

আমি বল্লাম, "বোরখা যখন পরেছে, পর্দানশীল তো বটেই।"

বন্ধুটি জবাব দিলো, " বোরখা দেখে পর্দানশীল বুঝি নাই তো, পর্দানশীল বুঝেছি হাতের বইটা দেখে। দেখছিস না বইটা মলাট দিয়ে ঢাকা? যে মেয়ে অনার্সে পড়ে অথচ এখনও বইয়ে ক্যালেন্ডারের পাতা দিয়ে মলাট লাগায়, সেই মেয়ে আর যাইহোক পর্দানশীল না হয়ে পারে না।"



বন্ধুর অবজারভেশন পাওয়ার দেখে আমরা বাকি দুইজন তো থ!! :-* :-*

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৬

স্বপ্নের মানুষ বলেছেন: পর্দা মেয়েদেরকে আরও সুন্দর করে






চ্যাট এবং ব্লগ? এইখানে

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২০

বয়ানবাজ বলেছেন: সেটা আমিও বিশ্বাস করি।

২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৫

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: পর্দা দিলে তো আর সৌন্দর্য্য দেখা যায় না। মেয়েদের সুন্দর লাগবে কিভাবে?
খামাখা অবান্তর কথা কেন বলেন?
বলেন যে, আমি ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী। এবং ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী পর্দা জিনিসটা সুন্দর।
একজন হিন্দু বা খ্রিস্টানের কাছে পর্দা দেওয়া মেয়েকে কাওয়ার (কাক) মতোও লাগতে পারে।
মিছা কইলাম নি?

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:০০

বয়ানবাজ বলেছেন: হাসতেই আছি আমি বলেছেন: পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন @ লুইচ্চাদের কাছে পর্দা করা কাওরে কাকের মত লাগে।

আমি আর কি কমু?

৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩১

রিফাত হোসেন বলেছেন: খ্রীষ্টান দের অ পর্দা প্রথা আছে .

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:০১

বয়ানবাজ বলেছেন: তাই তো দেখছি।

৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৫

সোনালীমাঠ বলেছেন: মুখ দেখে যদি বলতে পারেন মেয়েটা সুন্দরী তাইলে পর্দা হইল কিভাবে ? মুখ হইল মুল আকর্ষন । মেয়েদের এমনভাবে পর্দা করতে হবে যাতে কোন অঙ্গ না দেখা যায় । আগে তো তাই দেখতাম । এখন নতুন স্টাইল আরম্ভ হইছে ।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:০৯

বয়ানবাজ বলেছেন: আমি তো জানি, মুখমন্ডল, হাতের কব্জি বাদে সব অঙ্গ ঢেকে রাখাও পর্দা। বাকীটা আলেমরা বলতে ভালো পারবেন।

৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৭

হুমায়ুন তোরাব বলেছেন: bujhlam na..
boi molat e dhaka to hyce ki ???????

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:১১

বয়ানবাজ বলেছেন: গুড পয়েন্ট। তাই তো! বই মলাটে ঢাকা তো হয়েছে কি?

৬| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৮

হাসতেই আছি আমি বলেছেন: পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন @ লুইচ্চাদের কাছে পর্দা করা কাওরে কাকের মত লাগে।


আর পর্দা প্রথা যে শুধু মুসলিমদের মাঝে আছে তা না এটা ক্রিশ্চানদের মধ্যেও আছে।

"If a woman does not cover her head, she should have her hair cut off; and if it is a disgrace for a woman to have her hair cut or shaved off, she should cover her head"
the bible 1 Corrinthians 11:3-6

1 Corinthians 11. (King James Version)

5-6 But every woman that prayeth or prophesieth with her head uncovered dishonoureth her head: for that is even all one as if she were shaven . 6 For if the woman be not covered , let her also be shorn : but if it be a shame for a woman to be shorn or shaven , let her be covered .

10 For this cause ought the woman to have power on her head because of the angels.

13 Judge in yourselves : is it comely that a woman pray unto God uncovered?

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:১২

বয়ানবাজ বলেছেন: তাই তো দেখছি!

৭| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৯

টিনের চশমা বলেছেন: স্বপ্নের মানুষ বলেছেন: পর্দা মেয়েদেরকে আরও সুন্দর করে


সহমত

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:১৩

বয়ানবাজ বলেছেন: স-হ-ম-ত

৮| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৫

চ।ন্দু বলেছেন: মেয়েটা পর্দানসীনই ছিল, কিন্ত তার ছবি ছাইপ্যা তো বেপর্দা করে দিলেন। এখন তো সবাই মেয়েটার পিছনে লাইন দিবে।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:১৫

বয়ানবাজ বলেছেন: আরে ভাই, এটা তো ঐ মেয়েটার ছবি না। ঐ মেয়ে ছবি দিতে রাজী হয়নি, তাই গুগল মামাই ছবি দিলো। ;) ;)

৯| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:১৪

নিষ্পাপ কয়েদি বলেছেন: সিনেমা হলের সামনে অনেক বোরখা পরা পতিতা পাওয়া যায়। মেয়েটি তাদের কেউ না তো?

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:১৭

বয়ানবাজ বলেছেন: কাম সারছে! কিসের মধ্যে কি নিয়া আসলেন ভাই? B:-) B:-)

১০| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৫

ভাবসাধক বলেছেন: পর্দা মেয়েদেরকে আরও সুন্দর করে

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪৪

বয়ানবাজ বলেছেন: স-হ-ম-ত

১১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০১

দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: টিনের চশমা বলেছেন: স্বপ্নের মানুষ বলেছেন: পর্দা মেয়েদেরকে আরও সুন্দর করে


সহমত


টিনের চশমা, কি খবর??

১২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৩

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: আপনি আর কি বলবেন। ভণ্ডদের এরচেয়ে বেশি কিছু বলার নাই।
বাঙালি মুসলিমদের ভণ্ডামি নিয়ে আমার একটি গদ্য রয়েছে। পড়ার আহবান জানাই
Click This Link

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২০

বয়ানবাজ বলেছেন: নারীদের আব্রুর পক্ষে থাকলাম, আর আমিই ভন্ড হয়ে গেলাম। আপনারা যে কি চান তাই বুঝিনা। /:) /:)

১৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৮

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: পর্দানশীলতা নারীর ওপরই চাপাচ্ছেন কেন? লিঙ্গ দণ্ডায়মান হয় বলে? তাই্ নারীর ওপর চাপাচ্ছেন সব? পুরুষের ও তো পর্দানশীলতা বিষয় আছে। মস্তকটা উন্নত করুন। জানার চেষ্টা করুন কিভাবে যুগ যুগ ধরে আচুদা মিথ্যা প্রথা সমাজে চালু করা হয়েছে। কিভাবে নিজেদের স্বার্থে নারীদের ব্যবহার করা হচ্ছে।
আপনাকে একটা লিঙ্ক দেই।
http://blog.bdnews24.com/mehedi1952/143867

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২৮

বয়ানবাজ বলেছেন: আপনি বললেন, "পুরুষের ও তো পর্দানশীলতা বিষয় আছে।"

জানি এবং মানিও। আপনার কি ধারনা, আমরা ন্যাংটা হইয়া বইয়া আছি নাকি? একজন পুরুষকে ইসলামের দৃষ্টিতে যতটুকু পর্দা রাখতে হয় ততটুকু ঠিকই রাখি।

আর আপনার সমস্যাটা কি ব্রো...?
আপনি আস্তিক, না নাস্তিক? অচীল, না চুচীল কিছুই বুঝতেছি না!!!
নাস্তিক না ইসলাম ব্যতিত অন্য ধর্মালম্বী তাও বুঝতাছি না।

তবে আপনি যে চরম চুলকানি শুরু করছেন সেইটা বুঝছি। /:) /:) /:)

১৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৩৭

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: আপনার ধোন খাড়াই বলে সব দায়িত্ব নারীর ওপর চাপিয়ে দিতে চাচ্ছেন এটাই মূল সমস্যা। নিজেদের চিন্তাভাবনাটা ঠিক করুন।
পুরুষেরা চাইলেই যেকোনো সময় খালবিলে সাতার কাটতে পারে। চাইলেই গাছে চড়তে পারে। মধ্য রাতে চাইলে জ্যেৎস্না দেখতে বাইরে যেতে পারে। অথচ প্রকৃতিরই সন্তান নারী। তারা পারে না, পুরুষের ধোন খাড়ায় বলে। বিবেক দিয়ে বোঝার চেষ্টা করুন। আপনি নিজে নারী হলে সমস্যাটি উপলব্ধি করতে পারতেন।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:০০

বয়ানবাজ বলেছেন: আমার পোষ্টে অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করেন! X(( X((। খাইয়া ফ্যালামু কিন্তু !!

আপনি কি বলতে চাচ্ছেন, পুরুষরা যেমন বক্ষ উদাম কইরা থাকতে পারে, তেমনি মেয়েরাও চায় সেই ভাবে উদাম হইয়া থাকতে?

কোন মেয়ে চায় ভাই? আমার চোখে এরকম এতোটা কুরুচিশীল মেয়ে এই সমাজে চোখে পড়েনি। আপনার মানষিকতা বুঝতে চেষ্টা করছি। আপনি যদি নারী হন তাহলে আপনার মষ্তিষ্কের চিকিৎসা দরকার, আর যদি পুরুষ হন তাহলে আপনি একটা উদারপন্হী লুল পুরুষ। :P :P

১৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৪

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: আপনি চাইলেই কোনো এক বসন্তের জ্যেস্না রাতে খোলা আকাশের নিচে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে বাড়ি ফিরতে পারেন। কারন আপনি পুরুষ। গ্রামের কোনো এক তরুণ চাইলেই নদীতে গিয়ে সাতার কাটতে পারে, গাছে চড়তে পারে,.............আরও কত কিছু। তারা এসব পারে না। কেন পারে না? পুরুষের জন্য। কারন মেয়েরা কেবল পুরুষের ভোগের বস্তু।
কিন্তু নারীরাও প্রকৃতির সন্তান। এসব কিছুতেই তাদের অধিকার রয়েছে। একটা নারীর মাঝরাতে জোস্না দেখতে বাইরে যেতে মনে হতে পারে। কিন্তু পারে না। কারন পুরুষতান্ত্রিক সমাজ। এই পৃথিবীর রুপরসগন্ধ সবই পুরুষ নিজের হাতে রেখে দিয়েছে।
আপনি নিজেই চিন্তা করে দেখুন আপনার জীবনের সঙ্গে আপনার মা বা বোনের জীবনের পার্থক্য কতো। আমাদের সমাজের মায়েরা দুনিয়ার কিছুই জানে না। তারা সব কিছু থেকে বঞ্ছিত। আপনার নিজের মা কে একজন মানুষ হিসেবে কল্পণা করুন। তারও অধিকার ছিল এই পৃথিবীর ওপর।
যদিও আপনার মায়ের হয়তো আক্ষেপ নেই। কারন তিনি জানেনই না। তিনি মেনে নিয়েছেন সমাজের এই প্রথা।
ধর্ম দিয়ে নয়, নিজের বিবেক দিয়ে বোঝার চেষ্টা করুন। সত্য জানতে হয় নিজেরই। হাজার বছরের পুরনো সংস্কার দিয়ে নয়। আপনার যদি বিবেক থাকে তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন।

ছোটোবেলাই গ্রামে আমার প্রতিবেশী এক মেয়ে আমার বন্ধু ছিল। একই সঙ্গে আমরা প্রথম শ্রেণী থেকে স্কুলে যেতাম। খেলা করতাম। ওই মেয়ে শিশুটি গাছে চড়ে ফল পাড়তো। আমিও তখন গাছে চড়তে পারতাম না। মেয়ে শিশুটি বেশ ডানপেটা টাইপের। কিন্তু ক্লাস ফাইভে ওঠার পর মেয়েটিকে সমাজ বন্দী করে ফেললো। ও আর বাইরে বের হতে পারতো না যখন তখন। গাছে চড়তে পারতো না।
আমি তখন মেয়েটির হাহাহাহাকার চোখেমুখে দেখতে পেয়েছি। মেয়েটি এখন সমাজকে মেনে নিয়ে বিয়ে শাদি করে দুই দুইটা বাচ্চার মা।
পৃথিবীর রুপরসগন্ধে কি মেয়েটির কোনো অধিকার ছিল না?
পুরুষতান্ত্রিক সমাজ মেয়েটিকে শুধুমাত্র ভোগ আর বাচ্চা উৎপাদনের হাতিয়ার হিসেবে দেখেছে। আমার মা, আপনার মা বিশেষ করে মধ্যবিত্ত পরিবারের সবার মায়ের জীবনই একই রকম। আপনার জীবনের সঙ্গে আপনার মায়ের জীবনের তুলনা করলে দেখবেন , ‘‘আপনার মায়ের জীবন কোনো জীবনই নয়’’।

নিজের বিবেককে এবং সমাজ বাস্তবতাকে নিজে বোঝার চেষ্টা করুন। হাজার বছরের পুরোনো কেতাব দিয়ে নয়। আমি আপনাকে একটা লিঙ্ক দিয়েছিলাম পড়েছেন??

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪১

বয়ানবাজ বলেছেন: আপনার প্রশ্ন গুলো আমি আমার মাকে করলাম, দুঃসম্পর্কের এক বোনকে ফোন করে করলাম, এক ভাবীকেও করলাম। বিশ্বাস করুন, তাঁরা বেশ অবাকই হলো।
বোন বললো, তোর দুলাভাই যেখানে যেখানে নিয়ে যায় সেসব জায়গাতে তো যায়ই। তাঁকে ছাড়া ঘরের বাইরে শুধু শুধু যাবার দরকার কি?
ভাবী তো সরাসরি বললেনই যে, পাকনামি করিস না। তোর বউকে নিয়ে গাছে গাছে চড়ে বেড়া, আমাকে জ্বালাইস না।

শুনুন ভাই, আসলে আপনি যেসব উদাহরন টানছেন, সেগুলো এখানে খাটবেনা। একটা জিনিষ বুঝতে পারছেন না কেন, আমাদের মা বোনেরা তাদের প্রিয়জনদের পাবার পর পরই সংসারী হয়ে উঠেন। এটাই তাঁদের সুখ। বিয়ের পর তাঁরা সংসারেই অধিক মনোযোগী হয়ে উঠেন। তখন তাঁদের জোর করে ঘরের বাইরে পাঠালেও তারা বাসায় না পৌছানো পর্যন্ত শান্তি পান না।

আপনি মা বোনের উদাহরন টানলেন দেখেই তর্কের খাতিরে বলছি, আপনি আপনার মাকে বা বোনকে রাতের বেলা জোৎস্না দেখার কথা বলুন তো। দেখবেন তাঁরা বিরক্তই হবে। আপনার বাবার সাথে আপনার মা বা আপনার দুলাভাইয়ের সাথে বোন যখন বাইরে যাবে তখনই তারা পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর মুহুর্তগুলো কাটাবে। এটাই স্বাভাবিক।

বি: দ্র: আমার সেই বোন ও ভাবী চাকরি করেন। ঘরের বাইরে গেলে তারা চিন্তা করেন, কখন বাসায় ফিরে স্বামী-সন্তানের মুখগুলো দেখবেন। প্রকৃতির রূপরস তঁরা সংসারেই খুঁজে নিয়েছেন।

আর একটা কথা, দয়া করে ফালতু যুক্তি দেখাবেন না। রাগে আমার গা জ্বলতেছে।

১৬| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০৮

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: আপনার ফোন দেওয়ার দরকার ছিল না। কারন আমি কিন্তু বলেই দিয়েছি

'‌‌'যদিও আপনার মায়ের হয়তো আক্ষেপ নেই। কারন তিনি জানেনই না। তিনি মেনে নিয়েছেন সমাজের এই প্রথা।''

১৭| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১৩

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: আমাদের দেশের মা-বোনেরা এই সমাজকে মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে। কাজেই তাদের বেশিরভাগেরই আক্ষেপ নেই। কারন তারা জানেই না। আর আগের বাপ-মাদের বেশিরভাগই অশিক্ষিত। শিক্ষিতরাও কেবলমাত্র সার্টিফিকেটধারী।
তবে অনেকে সমাজের প্রতি বিরক্তও রয়েছে। কোনো মেয়ের ইচ্ছা করতেই পারে বান্ধবীর সঙ্গে কক্সবাজার থেকে ঘুরে আসি। সেকি যেতে পারবে ? পারবে না। পারবে না বলে তারা ইচ্ছাও পোষণ করে না। এই বিষয়গুলো বুঝতে হবে।

১৮| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৭

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: কেও যদি অন্ধকারে জন্ম নেয়। এবং তাকে যদি আলোর মুখ দেখতে না দেওয়া হয়। তখন সে অন্ধকারকেই আলো ভেবে সুখে সারাজীবন।

১৯| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১২

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: কেও যদি অন্ধকারে জন্ম নেয়। এবং তাকে যদি আলোর মুখ দেখতে না দেওয়া হয়। তখন সে অন্ধকারকেই আলো ভেবে সুখে থাকার চেষ্টা করবে।
মিছা কইলাম নি?
আবার ধরুন, আপনার কোনো বোনের জামাই অত্যন্ত বদ। আপনার বোনের যদি কোনো অর্থনৈতিক ক্ষমতা (চাকরি) না থাকে, তখন সে তার বদ স্বামীর সঙ্গেই জীবন পার করবে। তারপরও সে ভালো থাকার চেষ্টা করবে কারন তার কিছু করার নেই। যাউকগা। আপনি বোধ করি এখনো কচি ছাওয়াল। নানান বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করুন। সত্য নিজে খোঁজার চেষ্টা করুন। যুক্তি বোঝার চেষ্টা করুন। ধন্যবাদ।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৬

বয়ানবাজ বলেছেন: আমি কচি ছাওয়াল হলেও বিয়ের বয়স ঠিকই হয়ে গেছে। সো প্রবলেম নেই..।

আপনি কি বলতে চাচ্ছেন সেটে পরিষ্কার না। আপনি কি বলতে চাচ্ছেন-
১। আপনার বোন একা একা কক্সবাজার রওয়ানা হলে আপনি তাকে ঠিকই পাঠাবেন।
২। রাত ১২টার পর সে যদি ঘর থেকে বাইরে যেতে চাই, তাকে পাঠিয়ে দেবেন।

আমার তো মনে হয় আপনি এসব ক্ষেত্রে নিজেও নিষেধ করবেন।
দেশের সমাজ ব্যবস্থা পাল্টান। রাতের বেলা মেয়েদের নিয়ে বাইরে বের হবার পরিবেশ তৈরী করুন। এরপর মানুষের মানষিকতা পাল্টাতে বলুন।
পারবেন কি?

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫২

বয়ানবাজ বলেছেন: এমন পরিবেশ তৈরি করুন যেখানে মেয়েরা ধর্ষিত হবার কোন সুযোগই থাকবে না। মেয়েরা ছেলেদের সাথে অবাধে মেলামেশা করবে।
তবে সেক্ষেত্রে যে অবৈধ মেলামেশার সংখ্যা বাড়বে না তার নিশ্চয়তা কি আপনি দিতে পারবেন?

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০০

বয়ানবাজ বলেছেন: আমার বোনকে আমি স্বাধীনতা দিবো, তাই বলে কি তাকে ১০/১২টা ছেলের সাথে যাখানে সেখানে পাঠিয়ে দিবো নাকি?

আমি ছেলে বলে এসব করে বেড়াবো আর বোনকে নিষেধ করবো এটাও বলছিনা।

নৈতিকতার কথা চিন্তা করলে, একজন ছেলে হিসেবে আমি নিজেও এসব করতে চাইবোনা।

২০| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৮

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: ১। আপনার বোন একা একা কক্সবাজার রওয়ানা হলে আপনি তাকে ঠিকই পাঠাবেন।
২। রাত ১২টার পর সে যদি ঘর থেকে বাইরে যেতে চাই, তাকে পাঠিয়ে দেবেন।
অবশ্যই পাঠাবো না। কারন আমাদের সমাজ বাস্তবতা ভিন্ন। কিন্তু এই প্রশ্ন করে আপনি নিজেও পুরুষতন্ত্রকেই ইঙ্গিত দিচ্ছেন। মানে আমাদের (পুরুষ) ওপর আমাদের মা-বোনদের যাতায়াত নির্ভরশীল।
এই সমাজটাইতো ঠিক নেই।
অবৈধ মেলামেশার বিষয়টি এখানে অবান্তর।

২১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৫

আমরা তোমাদের ভুলব না বলেছেন: +++++++

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩১

বয়ানবাজ বলেছেন: ধন্যবাদ। :#) :#) :#) :#) :#)

২২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৯

আমিতপু বলেছেন: একমত

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৮

বয়ানবাজ বলেছেন: কোন বিষয়ে একমত, ভাইডি??

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.