নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছোট মুখে বড় কথা

আমিও শিশুর মতো/ তারই মতো মেনে নিতে পারি, যতো ব্যাথা না পাবার,/ ততো কাঁদি, ততো ঠুঁকি মাথা,/ যতো ক্ষতে বয়ে চলে- এ জীবনধারা।

বয়ানবাজ

আমি শাহরিয়ার রনি। দেশের একটি নামকরা পাবলিক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করেছি। একজন স্বীকৃত কৃষিবিদ। ভালোবাসি প্রকৃতি, ভালোবাসি বিজ্ঞান।

বয়ানবাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশে ভারতীয় চ্যানেল সম্প্রচার বন্ধ করা মানেই কি সব সমস্যার সমাধান???

০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৫৬





বেশ কয়েকদিন থেকেই ফেসবুকের মাধ্যমে একটা কথা জোরেশোরেই জানতে পারছি যে, আগামী কিছু দিনের মধ্যেই স্টার জলশা, জী বাংলা সহ কিছু চ্যানেলের সম্প্রচার বাংলাদেশে বন্ধ হতে যাচ্ছে। সিদ্ধান্তটি নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবী রাখে। উক্ত চ্যানেলগুলোর অনুষ্ঠানসুচি সামাজিক উন্নয়নে তেমন কোন ভূমিকা রাখে বলে আমাদের জানা নাই। নিখাদ বিনোদন ব্যতিত তেমন কিছু চোখে পড়ে না। বরং কিছু ক্ষেত্রে সামাজিক অবক্ষয়ের কারন দেখা দেয়। কিছু উদাহরন টানছি, যদিও সরারই বিসয়গুলো জানা আছে, তারপরেও...

১। প্রায় প্রতিটি নাটকেই পারিবারিক অশান্তির চালচিত্র আমাদের প্রভাবিত করছে।

২। নাটকগুলোর যথোপযুক্ত পরিণতি নেই, বিধায় দর্শকদের সময়ের অবমূল্যয়ন হচ্ছে।

৩। ভারতের নিজস্ব সামাজিক রীতিনীতি, প্রথা, আচরন, জীবন যাত্রা আমাদের নিজস্বতাকে গ্রাস করছে।

৪। আমরা আমাদের বিনোদনের স্বকীয়তা হারাচ্ছি।

এছাড়াও আরও অনেক কিছু।



এবার কিছু ঘটনার উল্লেখ করি।

আমাদের এক পরিচিত চাচি আছেন যিনি কোলকাতার নাটকের দরুন এতটাই প্রভাবিত যে, নাটকে কোন মন খরাপের ঘটনা ঘটলে উনার মেজাজও সাারাদিন খারাপ থাকে।

আমার বাসাতেও রাত ৭টার পর থেকে টিভির রিমোটের মালিকানা মহিলাদের হাতে চলে যা্য।

আমাদের এলাকায় মহিলাদের সারাদিনের আলাপ আলোচনার মূলবিষয় থাকে নাটকের ঘটনাগুলো।

এগুলোআসলে শুধু আমারই পারিপার্শ্বিকতার ঘটনা নয়, এগুলো বেশিরভাগ পরিবারের ও সবারই আশেপাশের ঘটনা।

এমতাবস্থায় চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ হলে মন্দ কি?









তবে এখন আমি অতি দ্রুত আমার নিজস্ব কিছু অভিমত ব্যক্ত করবো। এগুলো একান্তই আমার নিজস্ব মতামত, তবে গ্রহনযোগ্য হবে আশা রাখি।

আমাদের মা-চাচী-বোনরা এসব চ্যানেলের প্রতি এতটাই আসক্ত যে হঠাৎ সম্প্রচার বন্ধ হওয়াতে তাদের মানষিকতার উপর কেমন বিরুপ প্রভাব পড়বে সেটাও একটু ভাবতে হবে। এটাও ভাবতে হবে, সারাদিনে সংসারের ঘানি টানার পর তারা সামান্য বিনোদনের আশায় টিভির সামনে বসেন। সবচেয়ে ভালো হয় তাদেরকে যদি দেশীয় চ্যানেলের প্রতি অভ্যস্থ করানো যায় এবং এরপর যদি ইন্ডিয়ান চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করা যায়।



তবে সেক্ষেত্রে যে কাজটি প্রথমে করা দরকার তা হলো, দেশীয় চ্যানেলের সম্প্রচার ব্যবস্থাপনাকে একটু কাটাছেড়া করার। আমাদের দেশের চ্যানেল সংখ্যা প্রায় আড়াই ডজন। রাত ৮ টার পর থেকেই সব চ্যানেলে গন হারে খবর পাঠ শুরু হয়। যে দেশে ৪/৫ টা পিওর খবরের চ্যানেল আছে, সে দেশের প্রতিটি বিনোদন চ্যানেলে সংবাদ প্রচার করার তো কোন দরকার দেখি না। খবর প্রচারের স্বার্থে এসব বিনোদন চ্যানেলের যে পরিমান অর্থ ব্যয় হয় তা বিনোদনে লাগানো যেতে পারে। এতে হয়তো কম বিজ্ঞাপন বিরতি নেয়া লাগতে পারে। স্পন্সরশিপের উপর চাপ কম পড়বে, দর্শক কিছুটা কম বিরক্ত হবেন। শুধুমাত্র খবরের চ্যানেলে সংবাদ প্রদর্শনই শ্রেয়।









ভারতের প্রোগ্রামগুলোর সম্প্রচার থেকে একটা বিষয় অবশ্যই শিক্ষনীয় আছে, তা হলো টাইমিং। যে অনুষ্ঠান যে সময়ে শুরু ও শেষ হওয়ার কথা তা তখনই হয়। আমাদের দেশের অনুষ্ঠানেও এসব ফলো করা উচিৎ।

বিজ্ঞাপন বিরতিকে অস্বীকার করার উপায় নেই। তাই উচিৎ হবে নির্দিষ্ট সময় পর পর স্বল্প সময়ের বিরতি, যা দর্শকের বিরক্তি কম উৎপাদন করবে।

ইদানিং বাংলা মিউজিক চ্যানেল আলাদা দেখছি, এরকম বাংলা ম্যুভি চ্যানেল করা যেতে পারে।







পরিশেষে বলতে চাচ্ছি, আমাদের দেশের অনুষ্ঠানের মান যথেষ্ট ভালো। দর্শকপ্রিয়তা পাবার জন্য কিছু নিয়ম নীতি, নিয়ন্ত্রনের প্রয়োজন। এতে দর্শক যেমন বাড়বে তেমনি কমতে পারে ইন্ডিয়ান চ্যানেলের প্রতি নির্ভরতা। দেশের চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার ব্যবস্থাপনা ঠিক না করে শুধুমাত্র হুট করে ভারতীয় চ্যানেল প্রচার বন্ধ করা মানেই সব সমস্যার সমাধান নয়।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:০৯

ইফতেখার কাদির বলেছেন: এত খবর কে শোনে আল্লাহই ভালো জানে। আমার তো মাথায়ই ঢোকে না। সব চ্যানেলে এত খবর প্রচার করার মানে কি?
প্রয়োজনে ভালো অনুষ্ঠানগুলো রিপিট করুক।

০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৩৩

বয়ানবাজ বলেছেন: ভালোবলেছেন। সত্যি এত খবর কে শোনে?? তবে খবরের প্রয়োজন আছে। শুধুমাত্র খবরের চ্যানেলে। আপনাকে ধন্যবাদ।

২| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:২৮

এম.ডি অভ্র বলেছেন: আর একই খবর হাজার বার প্রচার করার দরকার কি

০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৩৬

বয়ানবাজ বলেছেন: জানিনা ভাই। এক খবর হাজার বার প্রচার করলেই খারাপ ঘটনা ভালো হয়ে যায়না। তবে খবরের প্রয়োজন আছে। শুধুমাত্র খবরের চ্যানেলে। আপনাকে ধন্যবাদ।

৩| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৪৫

রাজিব বলেছেন: আমি যতটুকু জানি ভারতে বাংলাদেশী চ্যানেল সরকারিভাবে নিষিদ্ধ নয় কিন্তু ঐখানকার কেবল কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের চ্যানেল চালাতে প্রতিবছর একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দাবী করে। আমাদের চ্যানলেগুল দিলে তারা চালাবে নাহলে নয়। আর আমাদের দেশে উল্টো। আমাদের দেশে প্রতিবছর আমাদের কোম্পানিগুলোকে টাকা দিতে হয় ভারতীয় চ্যানেলগুলোকে।
সরকার যদি একটা নিয়ম করে যে বাংলাদেশ থেকে একটা ডলারও যাবে না ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাদেশে দেখার জন্য তাহলেই যথেষ্ট। কিন্তু তখন ঘরে ঘরে আন্দোলন উঠবে যে সরকার ব্যাক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে। আসল কথা হল আমাদের ভারতীয় চ্যানেলের প্রতি আসক্তি দূর করতে হবে এবং এটা আমাদের প্রত্যেকের পরিবার থেকেই হতে হবে। রাত ৮ টা ৯ টার দিকে বের হলে প্রতিটি বাড়ির ড্রইংরুম থেকেই ভারতীয় হিন্দি এবং বাংলা চ্যানেলের শব্দ কানে আসে।

০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:২৭

বয়ানবাজ বলেছেন: ঠিকই বলেছেন,......
"আসল কথা হল আমাদের ভারতীয় চ্যানেলের প্রতি আসক্তি দূর করতে হবে এবং এটা আমাদের প্রত্যেকের পরিবার থেকেই হতে হবে।"

ধন্যবাদ।

৪| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:২০

মামুন ইসলাম বলেছেন: আগে একটু দয়া করে বলবেন কি ভাই ভারতীয় চ্যানেল গুল বন্ধ হবে ।
এবার ঠিকমত খেলাগুল দেখতে পারি নাই ।
পরে দেখছি সব দেশে সংবাদের আলেদা চ্যানেল থাকে আর বিনদনের জন্য আলেদা চ্যানেল ।
আমাদের দেশেও আলেদা আলেদা চ্যানেল প্রয়জোন । তবে সব থেকে
বেশি ইমপদেন্ড বিষয় হল আমাদের দেশের নাটক,ছবি,মান ভাল করতে হবে ।
দেখুন আজকের পৃথিবীতে প্রতেকটি দেশের চ্যানেল গুল টাকা দিয়ে কিনে দেখত হয় । আমাদের চ্যানেল গুল কোন দেশে তেমন প্রচার হয়
না বা কেউ কিনেও দেখেনা কারন একটাই অনুস্টানের মান ভাল না । তাই অনুস্টানের মান ভাল করতে হবে ।

০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:২৯

বয়ানবাজ বলেছেন: ফেসবুক থেকে তো তাই জানলাম। অবশ্যই অনুষ্ঠানের মান ভাল করতে হবে । ধন্যবাদ।

৫| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:০৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ক্যান্সার হচ্ছে যার কারনে তাকে বাদ দিয়ে দেয়াই উত্তম। এতে করে ধীরে ধীরে সবকিছু ঠিকই লাইন মতো চলে আসবে। মাদক ছাড়তে হলে মাদক খেয়ে খেয়ে কমানো সম্ভব নয়।

৬| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:২৩

কানা দাজ্জাল বলেছেন: আগে ভারতীয় নটিমাগি চ্যানেল বন্ধ হোক, তারপর দেশের নটিদের ঘরের মা বোন বউয়ের মত ভদ্র বানান। ভারতের নাভী দেখানো প্রতিহত করতে না পারলে দেশী চর্বি যুক্ত উরূ দেখার আকর্ষন পাবেন কোথায়?

৭| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৩৫

কাফের বলেছেন: কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ক্যান্সার হচ্ছে যার কারনে তাকে বাদ দিয়ে দেয়াই উত্তম। এতে করে ধীরে ধীরে সবকিছু ঠিকই লাইন মতো চলে আসবে। মাদক ছাড়তে হলে মাদক খেয়ে খেয়ে কমানো সম্ভব নয়।

আগে ঘর থেকে এই পচা জিনিশ সরিয়ে ফেলা হোক তারপর ঘর গোছানো কাজে মন দেওয়া যাবে।

৮| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৫১

নক্‌শী কাঁথার মাঠ বলেছেন: বন্ধ হবেনা, এটা আসলে গুজব।

৯| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:০১

এম. এ. হায়দার বলেছেন: ভারতের প্রোগ্রামগুলোর সম্প্রচার থেকে একটা বিষয় অবশ্যই শিক্ষনীয় আছে, তা হলো টাইমিং। যে অনুষ্ঠান যে সময়ে শুরু ও শেষ হওয়ার কথা তা তখনই হয়। আমাদের দেশের অনুষ্ঠানেও এসব ফলো করা উচিৎ।
বিজ্ঞাপন বিরতিকে অস্বীকার করার উপায় নেই। তাই উচিৎ হবে নির্দিষ্ট সময় পর পর স্বল্প সময়ের বিরতি, যা দর্শকের বিরক্তি কম উৎপাদন করবে




ভারতীয় সিরিয়ালের জনপ্রিয়তার মূল রহস্যই হল এটি। যদি জানা থাকত, রাত আটটায় অমুক নাটক, সাড়ে আটটায় তমুক নাটক হবে, তাহলে বাংলাদেশি নাটকগুলো অনেক জনপ্রিয় হত।


সচেতনতামূলক পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.