নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

My scrapbook!

বৃতি

অলস সময়ে শব্দ নিয়ে কিছু কাটাকুটি খেলা চলে। সাহিত্য, গভীর চিন্তাশীলতা, দর্শন- ইত্যাদি ইত্যাদি এখানে না খোঁজাই ভালো।

বৃতি › বিস্তারিত পোস্টঃ

।। এইসব দিন ও রাত্রির কাব্য

২৭ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:২৬

বসন্তের এইসব দিনগুলোতে কখনো খুব বাতাস বয়।

এইসব দিনগুলো স্বপ্ন ভুলিয়ে দেয়। ঘুম থেকে জেগে উঠে ভাবতে থাকি স্বপ্নটা কি ছিল।

এইসব দিনগুলোতে কিছু ভুল মাখা থাকে।

অজস্র লাইলাক, অ্যাযালিয়া আর প্যানসি ফোটে এইসব দিনগুলোতে। তবে এইসব সাতরঙা ফুলগুলো দূর থেকে দেখতেই ভাল লাগে।

এইসব দিনগুলোতে সাইফের সাথে আবার আমার দেখা হয়ে যায়।



২০০৬ থেকে ২০১৪। আট বছর হল। সকালে বারান্দায় রেলিংয়ের উপর বসে কফিতে চুমুক দিতে দিতে ভাবছিলাম। কখনো ভাবিনি সাইফের সাথে আবার দেখা হতে পারে। তবে পৃথিবীটা ভীষণ ছোট। এবং গোল। ঘুরে ঘুরে ফিরে ফিরে আবার দেখা হয়ে যায় প্রায় সবার সাথেই।



জানতাম সাইফ ন্যুইয়র্কে আছে, তবে যোগাযোগ ছিল না। ক'দিন আগে হঠাৎ কল করেছিল। একটা প্রজেক্ট নিয়ে বেশ ব্যস্ত ছিলাম সেসময়। কার কাছ থেকে আমার নম্বর পেয়েছে বললো, লস এঞ্জেলেসে আসছে বিজনেসের কাজে, আমার সাথে দেখা হতে পারে কিনা জানতে চাইলো। ইন ফ্যাক্ট, কিছুক্ষণ পর আমিই কলব্যাক করলাম; জানালাম, এয়ারপোর্ট থেকে ওকে পিক করব এবং পরদিন সময় দেব। আফটার অল, হি ওয়াজ মাই ফ্রেন্ড, ওয়ান্স আপন আ টাইম। এটুকু কার্টেসি আমি করব।



এলএএক্স এর কাছে স্টারবাকস এ যথাসময়ে অপেক্ষা করছিলাম, সাইফ বেরিয়ে এসে কল করল। আমার সবুজ ছোট জাগুয়ার কনভার্টিবলের বুটে অন-বোর্ড লাগেজটা রেখে হাগ করল সে। কিছুটা পিছিয়ে দু'হাত কোমরে রেখে তার পুরো অবয়বে জরিপের দৃষ্টিতে তাকাই,



-তেমন বদলাওনি সাইফ, সামান্য ওয়েট গেইন করেছ শুধু।

-শর্মি কেমন আছ? কেমন ছিলে? কিছুটা চিন্তিত আর উদ্বিগ্ন স্বরে জিজ্ঞেস করে সাইফ।

আমার হাসি পায়, "হপ ইন প্লিজ, এখানে বেশিক্ষণ পার্ক করে রাখা যায় না। বিজি এরিয়া, লেট'স ম্যুভ ফার্স্ট!"



অফিস-স্যুটটা খুলে পেছনে রেখে ড্রাইভিং সীটে বসি। সাইফকে র‍্যাডিসনে পৌঁছে দেব। বসন্তের এই দুপুরগুলো সদ্য কাপড়-শুকানো ড্রায়ারের ভেতরের মত। গরম, টোস্টি।

-দিব্যি আছি। অনেকদিন পর বাংলায় কথা বলতে পারছি, ফিলিং গ্রেইট নাউ।

সাইফের দিকে তাকালাম, ওর চোখে সেই পুরনো গাঢ় দৃষ্টি ।

-অনেক বদলে গেছ তুমি শর্মি।

-হুম।

-তোমার চাবি ভাবটা নেই, অনেক টোনড হয়েছ।

-ফিটনেস ক্লাবের অবদান।

-অন্যরকম লাগছে তোমাকে। পুরনো শর্মির মত লাগছে না।

আমি জোরে হেসে উঠি, "ইউ আর অ্যাবস্যলুটলি রাইট! অনেকটাই বদলেছি। আমার একটা রোগ হয়েছে, হাসিরোগ।"

হোটেল কাছেই। সাইফকে জানালাম সকাল ন'টার ভেতর তাকে নিতে আসব।



মোনিককে কল করলাম, সন্ধ্যায় হ্যাং আউট করবে কিনা, ডিনার করব রেড লবস্টারে। সোৎসাহে রাজি হলো; রেস্তোরাঁয় প্রায় উড়ে এসে জড়িয়ে ধরল, "মিসড ইউ সো মাচ হান!!" বিইজ কালারের হাল্কা প্রিন্টের সামার ফ্রকের সাথে উজ্জ্বল হাসিতে মোনিককে অপূর্ব লাগছে। খাবার চ্যুজ করে চিল্ড বিয়ারে চুমুক দিয়ে সেই কথা তাকে বলি। মোনিকের মুখে আজ শুধু অ্যালানের গল্প। ফ্রান্স থেকে ক'দিন পর আসছে তার বয়ফ্রেন্ড, সেই সুখে ভীষণ সুখি এখন সে।



জিজ্ঞেস করি কাল আমাদের সাথে ল্যাঙ্কাস্টারে যেতে চায় কিনা।



-নোপ। লাভবার্ডসদের সাথে আমি একা কোথাও যাই না। নিজেকে এতিম এতিম লাগে।

আমার অট্টহাসিতে চারপাশের টেবিল থেকে সবাই আড়চোখে তাকায়।

-প্লিজ শর্মি, এইখানে এভাবে হাসে না। তুমি এখন বড় হয়েছ। লোকে কি বলবে?

আমার হাসি বন্ধ হয় না। ওকে দ্যান। রাতে অন্তত খোঁজ নিও । সহি সালামতে ফিরতে পারলাম কিনা।



ইউসিএলএ তে মাস্টার্সে মোনিক আমার প্রথম বন্ধু ছিল। ডক্টরেটশেষে নভার্টিসে আমি জয়েন করার পরও, এখনও, সে আমার বেস্ট ফ্রেন্ড। সাইফের কথা জানে সে।



-ওকে সময় দেয়ার দরকার কি ছিল তোমার শর্মি? হি'জ কাইন্ডা ইচি র‍্যাশ, অর পিম্পল আন্ডার দ্য স্কিন, নো ডাউট। অর টুথেক। ইউ আর জাস্ট ট্রায়িং নাম্বিং ইয়োর গাম হানি। পুল দিস মিন সেলফ আউট অব ইউ-এন্ড টস ইট রাইট অ্যাওয়ে!



আমি চুপ থাকি। আজ প্রথম নয়- এই কথাগুলো আগেও অনেকবার শুনেছি মোনিকের মুখে।



পরদিন কাজ শেষ হয়ে গেল দ্রুত। জব ছেড়ে দিয়ে রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা শুরু করেছে সাইফ- সেই সুবাদে এখানে আসা। একফাঁকে আইফোনে বউ বাচ্চার ছবি দেখালো। মিষ্টি দুই ছেলে মেয়ে। গিন্নিমার্কা শান্তশিষ্ট বউ। সুন্দর পারিবারিক ছবি। ছবি দেখার পাশাপাশি আমি সাইফকে দেখছিলাম, কি আগ্রহভরে সবাইকে চেনাচ্ছে! হাল্কা কোঁকড়ানো চুল আর প্রেমিকসুলভ চেহারাতে তাকে পুরনোদিনের ম্যাথিউ ম্যাকনেয়ই এর মত দেখাচ্ছে। প্রেমিকদের ভেতরেও প্রকারভেদ আছে! আমার কেবলই মনে হতে থাকে; সাইফ সেই চিরকালীন প্রেমিকপ্রজাতির দলে-যারা বারবার প্রেমে পড়ে, অথবা প্রেমেই পড়ে থাকে। আমার দৈনন্দিন ব্যায়ামের মতই, প্রেমকে হয়ত এরা দৈনন্দিন অনুশীলনের বিষয় হিসেবে নিয়েছে। তেরোতে হোক আর তিরাশিতে হোক, সেই প্রেমে ভাটা পড়ে না কখনো, শুধু প্রেমিকাগুলো মুহুর্মুহু বদলে যায় ...



অলস বিকেলে ম্যালিবু বীচের নীল পানিতে হেঁটে পা ভেজাচ্ছিলাম। সন্ধ্যায় সাইফের ফ্লাইট।

- তোমার কথা বল শর্মি । বিয়ে করছ না কেন?

-তোমার বিরহে গো! আমি হাসি।

সাইফ কিছুটা আহত চোখে তাকায়। আমি সবকিছুর জন্য স্যরি।

-ডোন্ট বি। আমি ফান করছিলাম। সময় পাচ্ছি না, তাই হচ্ছে না।

-তোমার বয়ফ্রেন্ড?

-নাহ। স্টিভ আমার কলিগ। ভালবাসা কি আমি জানি না। বায়োলজিক্যাল নিড বলতে পার, সোশ্যাল কমিটমেন্ট বলতে পার। উই'ভ এগ্রিড টু গেট ম্যারিড। ইট'ইল হ্যাপেন স্যুন। এবারের ক্রিসমাসের ছুটিতে বার্বাডোসে অনুষ্ঠানটা হবে। চাইলে অ্যাটেন্ড করতে পারো।

-অগ্রীম অভিনন্দন শর্মি।

-শুকরিয়া! শুকরিয়া!



ক'জন কিশোর হল্লা করে সার্ফিং করছে অদূরে, তাদের দেখছি আনমনে। কথা বলতে বলতে সাইফ আমার কাছে ঘেঁষে এসেছে, আমার হাত তার মুঠোয় এখন; চোখে ফুটে উঠছে সোনালি সেই আলো। আমি বাধা দেই না, সেই চোখে চোখ রাখি। সেই সোনালি সর্পীয় সম্মোহন থেকে একবার চোখ ফেরাই, আবার চোখ রাখি।



সাইফ চলে গেছে। রাতে নির্ঘুম বিছানায় এক পিদিম-জ্বলা সন্ধ্যাবেলার কথা মনে পড়ে আমার। হাকিম চত্বরে আমার দু'হাত দু'হাতে আটকে তার বুকের ওপর রেখেছিল সাইফ, হৃদয়ের ভাষা পড়তে বলেছিল। গালের বেয়ে পড়া অশ্রুতে আমার আঙুল ছুঁইয়ে চিনিয়েছিল ভালবাসার মূর্ত মানে কি হতে পারে। আমার শুধু সেই কথাই মনে পড়ে! বলেছিল, আমাকে না পেলে সে মরে যাবে। আমি তখন অনেক বিশ্বাস করতাম। মানুষকে। পরীক্ষাশেষে স্রেফ অভিবাসনের জন্য অচেনা একটা মেয়েকে তার বিয়ে করার কথা শুনে অন্যদেরকেই অবিশ্বাস করেছি। হয়ত সব মানুষ- মানুষ নয়। কিংবা, সাইফ হয়ত ঠিক ততটা খারাপ নয়, যতটুকু তাকে ভাবছিলাম। বদ্ধ পুকুরের নোনতা স্বাদ আর সোঁদা গন্ধে আটকে থেকে দরকার কি! ক্রমাগত বদলানোর নামই তো জীবন!



মোনিককে বলতে পারিনি, একবারের জন্যে হলেও- সাইফকে দেখাটা আমার জন্য কতটা জরুরি ছিল! অন্ধকারে নিঃশব্দে বিছানায় পা গুটিয়ে উঠে বসি, আমার পুরো শরীরের ত্বকে হাত বুলাই। কোথায় লুকিয়ে আছে সেই পিম্পল? সেই ক্ষুদে অসুস্থ সত্তার অস্তিত্ব আজ আমাকে খুঁজে পেতেই হবে! আমি হন্য হয়ে উঠি। খুঁজে পেলে নির্ঘাত তাকে উপড়ে ফেলব আজ! তারপর... এই আট বছরের জমানো সব ঘুমগুলোকে নিয়ে ক্লান্ত বালিশে মাথাটা এলিয়ে দেব। আমার কিছু ঘুম দরকার।

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:০৭

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
ভালো লাগলো।
বর্ণন কে অতিরঞ্জিত ঠেকেনি, মনে হচ্ছিলো স্মৃতিকথা আওড়ে যাচ্ছি।

২৭ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৫২

বৃতি বলেছেন: স্মৃতিকথা না, গল্পই :)

ভাল থাকবেন দূর্জয়।

২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৭

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: সাবলীল বর্ণনা। ভাল লাগলো

২৭ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:২৬

বৃতি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ লাইলী আরজুমান খানম লায়লা ।
আপনার ভাল লাগাতে আমারও অনেক ভাললাগা।

শুভকামনা সবসময়ের :)

৩| ২৭ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:১১

আমিনুর রহমান বলেছেন:




আপনার লিখনী নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। সুন্দর বর্ণনা।

২৭ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৪৪

বৃতি বলেছেন: আমিনুর ভাই, আমার ব্লগ তেমন পড়েন না, মিছা কথা কন ক্যান? /:) :P :P

৪| ২৭ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:০৮

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: প্রাণবন্ত বর্ণনায় নিঠুর পিছুটানের গল্প !

২৭ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৪৯

বৃতি বলেছেন: ধন্যবাদ অভি :)

শুভেচ্ছা।

৫| ২৭ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:০৫

নীল কথন বলেছেন: পদচিহ্ন বোধহয় প্রমাণ করবে এখানটায়ও এসে পড়লাম। শুভেচ্ছা অর্হণিশ।

২৭ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:০১

বৃতি বলেছেন: প্রমাণ দরকার নেই। পড়েছেন বলে অনেক খুশি হলাম :)

শুভেচ্ছা আপনার জন্যও।


৬| ২৭ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৪১

সানড্যান্স বলেছেন: বাহ, গল্পে আম্রিকা আছে দেখা যায়!!!

২৭ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:০২

বৃতি বলেছেন: হুম, আম্রিকাকে ব্লগে নিয়া আসলাম :)

ভাল থাকবেন।

৭| ২৭ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৪১

ইমিনা বলেছেন: ভালোলাগাটুকু রেখে গেলাম বৃতি আপুনি :) :)

২৭ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:০৭

বৃতি বলেছেন: অনেক থ্যাংকস ইমিনা আপু।

শুভেচ্ছা জেনো :)

৮| ২৭ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৪০

এহসান সাবির বলেছেন: ভালো লিখেছেন। শুভেচ্ছা।

২৮ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৩৩

বৃতি বলেছেন: ধন্যবাদ :)

৯| ২৭ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৫১

মামুন রশিদ বলেছেন: গল্প ভালো লেগেছে বৃতি ।

২৮ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৫৬

বৃতি বলেছেন: থ্যাংকস ভাইয়া :)

১০| ২৮ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:৩২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কয়েকটা শব্দে (কিংবা ঠিক করে বললে কয়েকশ') অন্য একটা জগত, অন্য একটা সমাজের একটা খন্ড তুলে ধরলেন। নিস্তরঙ্গ মনোলগ আর একাকীত্ব বোধের সমন্বয়ে চমৎকার লাগল।

শুভেচ্ছা।

২৮ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৫২

বৃতি বলেছেন: থ্যাংকস প্রোফেসর শঙ্কু । আপনার চমৎকার মন্তব্যে ভাল লাগলো।

শুভেচ্ছা :)

১১| ২৯ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ২:৩২

অদ্বিতীয়া আমি বলেছেন: খুব ছুয়ে গেল , দীর্ঘ গ্লানি থেকে নির্ভার হতে পারা আনন্দের,স্বস্তির ।

অনেক ভালো লাগা রেখে গেলাম আপু ।

৩০ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:৫৭

বৃতি বলেছেন: থ্যাংকস অদ্বিতীয়া।

ভাল থাকুন সবসময় :)

১২| ২৯ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:০৭

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: বেশ! প্রথম ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম
ভালো থাকবেন

৩০ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:১৭

বৃতি বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনিও ভাল থাকবেন।

১৩| ২৯ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:২৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: সাদামাটা লাগলো। আপনার কাছে প্রত্যাশা অনেক বেশি।

৩০ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:৫২

বৃতি বলেছেন: গল্পটা সাদামাটাই। এটাতে প্লটের ডেভেলপমেন্ট নেই, ক্লাইম্যাক্স নেই, কোন টুইস্ট নেই। আমার বর্তমান চিন্তাভাবনার মতই একরৈখিক। জাস্ট একটা গ্লিম্পস। আমি এরকম আরেকটা গল্প ব্লগে দেব ভেবেছিলাম, কিন্তু সেই চিন্তা বাদ দিলাম আপনার কথায় B-) B-) ব্লগ শুধু নিজের জন্য না।

অনেক ধন্যবাদ আপনার সহজ স্বচ্ছ মন্তব্যে। শুভেচ্ছা হাসান ভাই।

১৪| ২৯ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:২৪

ভেজাল মানুষ বলেছেন: পুরানো দিনের কথা মনে করিয়ে দিলেন :((

৩০ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:১১

বৃতি বলেছেন: আয় হায়!!!! স্যরি /:) /:) :( :( :(( :((

১৫| ২৯ শে মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৪

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: শূভেচ্ছা জানিয়ে গেলাম।

ভাল থাকবেন।

৩০ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:১৫

বৃতি বলেছেন: অনেক থ্যাংকস বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায়। শুভেচ্ছা আপনার জন্যও।

১৬| ৩০ শে মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৩

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: গল্পটা অনেকটা মিনারেল ওয়াটারের মতো লাগলো । সহজ সাধারণ ক্লিশে । আরও গভীরতা আশা করেছিলাম । যতটুকু ভালো লাগা, সেটা পুরোটাই আপনার বর্ণনাগুন ।

ভালো থাকবেন , সবসময় । :) :)

০২ রা এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:১২

বৃতি বলেছেন: আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ।

১৭| ৩১ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:১৮

১৯৭১স্বাধীনতা বলেছেন: আপনি না বললে তো বুঝতামই না যে এইটা গল্প-----বাস্তবসম্মত সহজপাচ্য এবং উপাদেয় একটি গল্প হয়েছে।পড়তে হেব্বি আরাম

০১ লা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৪৫

বৃতি বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ ১৯৭১স্বাধীনতা।

শুভেচ্ছা।

১৮| ৩১ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৩১

অদৃশ্য বলেছেন:






আমি ফিল করলাম ... খুব সিম্পলি অত্যন্ত সুন্দরভাবে ভালোবাসার অনুভূতিটাকে আপনি লিখাটিতে তুলে ধরতে পেরেছেন...


অ:ট:-
ইদানিং মব নিয়ে বাংলার দামালেরা চারিদিক মাতিয়ে ফেলছে... আর আমাদের খেলোয়াররা তা দেখতে দেখতে নিজেদের খেলাটাই ভুলে যাচ্ছে...

বৃতির জন্য
শুভকামনা...

০১ লা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৫৫

বৃতি বলেছেন: থ্যাংকস প্রিয় অদৃশ্য।
খেলা নিয়ে আপনার মন্তব্যে হাসলাম।

অনেক ভাল থাকুন।

১৯| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৫৫

ইখতামিন বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো

০২ রা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:০১

বৃতি বলেছেন: ধন্যবাদ ইখতামিন।

২০| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৩০

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: ভাল লাগল, শেষের কথা গুলো অসাধারণ।

বিদেশী পটভূমির গল্পগুলো পড়তে কেমন যেন, ন্যাশনাল জিওগ্রাফি চ্যানেলের অনুবাদ অনুবাদ লাগে। এটা তেমন লাগে নি।

ভাল লিখেন আপনি। :)

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:১০

বৃতি বলেছেন: পাঠের জন্য ধন্যবাদ রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার )।

শুভেচ্ছা।

২১| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:২২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আপনার অনুভূতিগুলো মনকে নাড়িয়ে দিল।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৩

বৃতি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।

ভাল থাকবেন।

২২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:০২

শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনুভুতির চমৎকার প্রকাশ। লিখার মধ্যমে এমন চমৎকার করে নিজের ভিতরের অনুভূতিগুলোর এত সহজ প্রকাশ কিন্তু চাট্টীখানি কথা না! শুভেচ্ছা রইল।

গল্পের প্লটের ব্যাপারে আসি, তেমন নতুনত্ব নেই, চমক নেই; একটু বেশিই সাদামাটা, শুধু গল্পের পটভূমিটা স্বার্থকভাবেই ফুটে উঠেছে; ভালো দিক হলো, ভাষার নৈপুণ্য, চমৎকার শব্দের ব্যাবহার, গতিশীল বর্ননা ও লেখায় পাঠককে টেনে ধরে রাখার ক্ষমতা।

আরও লিখতে থাকুন।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:১১

বৃতি বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

ভাল থাকুন সবসময় :)

২৩| ৩১ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৩১

ফ্রাস্ট্রেটেড বলেছেন: ভালো লাগলো, অনেক... খুব সহজ, সুন্দর, সাবলীল বর্ণনা।

০২ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৩:২৬

বৃতি বলেছেন: থ্যাংকস ফ্রাস্ট্রেটেড। ভাল থাকুন খুব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.