নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সেদিন ২০শে এপ্রিল ছিল।
পাকবাহিনীর একটি কমান্ডো গ্রুপ ৭টি
স্পিডবোট ও ২টি মটর লঞ্চ নিয়ে
চট্রগ্রামের মহালছড়ি দখল করার
উদ্দেশে রওনা হয়।অপরদিকে আগে
থেকেই ওৎ পেতে থাকা
মুক্তিযুদ্ধাদের কাছে ছিল কেবল
কয়েকটা রাইফেল আর একটিমাত্র
এল.এম. জি।এমন অবস্থায় সবাই যখন ভয়ে
অস্থির তখন এক অকুতোভয় যুবক সবাইকে
নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বলে নিজ
কাধে দায়িত্ব তুলে নেয়।
পাকবাহিনী যখন কাছে আসতে শুরু করে
তখন যুবকটি নিজের মেশিনগান হাতে
নিয়ে স্পিডবোট লক্ষ্য করে অনবরত গুলি
ছোড়া শুরু করে।দিশেহারা
পাকবাহিনীর সাতটি স্পিডবোট ই
ডুবে যায়।সাঁতার না জানা থাকার
কারনে বেশিরভাগ খান সেনা মৃত্যুর
কোলে ঢলে পরে।ভয় পেয়ে মোটর
লঞ্চে থাকা সৈন্যরা পালাতে শুরু
করে।ফিরে যাওয়ার সময় মেশিংগান
দিয়ে গোলা ছুড়তে ছুড়তে যায়।হঠাৎ
একটি গোলা এসে সেই সাহসী যুবকটির
বুক ছিদ্র করে বেরিয়ে যায়।সাথে
সাথে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
সেই যুবকটি হচ্ছে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর
রউফ।সেদিনের সেই বীরত্বের কাছে
যেকোন একশন বা থ্রিলার মুভি হার
মানতে বাধ্য।আজকে এই মহান মানুষটির
মৃত্যুবার্ষিকী।আমরা প্রজন্ম যেখানে
সাতজন বীরশ্রেষ্ঠের নাম ই মনে
রাখতে পারিনা সেখানে মৃত্যুদিবস
মনে রাখাটা বিলাসিতা।অথচ একদিন
এদের অসীম সাহসিকতার জন্যে আমরা
স্বাধীন দেশের মানুষ বলে নিজেকে
নিয়ে গর্ব করি।
©somewhere in net ltd.