নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বুলবুল ইসলাম

বুলবুল ৩৩৩

আমি বাংলাদেশপন্থী।লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া বাংলাদেশকে অনেক ভালোবাসি। ভালবাসি বই পড়তে,তার চেয়েও বেশি ভাল লাগে ঘুরে বেড়াতে।

বুলবুল ৩৩৩ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসুন মানুষকে উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা দেই

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩২

আজ মার্কিন বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসন সম্পর্কে পড়লাম। তাঁর জীবনের একটি ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করার তাগিদ অনুভব করে লিখতে বসলাম।

একদিন শিশু এডিসন স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে তাঁর মায়ের হাতে একটা কাগজের টুকরো তুলে দিয়ে বললো মা স্যার এই চিঠিটি তোমাকে দিতে বলেছেন। চিঠিটা শুধু তোমাকে পড়তে বলেছেন। মা চিঠিটি পড়ে কেঁদে ফেললেন। এডিসন মা কে জিজ্ঞাসা করলেন মা চিঠিতে কি লেখা আছে? মা তাকে জোরে জোরে পড়ে শুনালেন "আপনার পুত্র খুব মেধাবী, এই স্কুলটি তার জন্য অনেক ছোটো এবং এখানে তাকে শেখানোর মতো যথেষ্ট প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিক্ষক নেই"। এরপর যতদিন এডিসনের মা বেঁচে ছিলেন সবসময় ছেলেকে এই গল্পটি বলতেন।

তারপর অনেক বছর পর এডিসনের মা মারা যান। মায়ের মৃত্যুর কিছু বছর পর এডিসন দেশের অন্যতম বড় বিজ্ঞানী হয়ে উঠলেন। একদিন প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র খুঁজতে খুঁজতে তিনি ছোটবেলার স্কুল শিক্ষকের দেয়া সেই চিঠিটি দেখতে পেলেন। চিঠিতে যা লিখা ছিল তা হলো "আপনার সন্তান স্থুলবুদ্ধি সম্পন্ন, সে এই স্কুলের উপযুক্ত নয়, আমরা কোনোভাবেই তাকে আমাদের স্কুলে আর আসতে দিতে পারি না"। এডিসন চিঠিটি পড়ে প্রচন্ড আবেগ তাড়িত হয়ে পড়লেন। তখন তিনি ডায়েরীতে লিখে রাখলেন "এডিসন শৈশবে একজন মানসিক প্রতিবন্ধী ছিল তার মা সেই প্রতিবন্ধী ছেলেটিকে দেশের অন্যতম প্রতিভাবান মানুষ হিসেবে তৈরি করলো"

এডিসনের জীবনের এই ছোট্ট গল্প থেকে কি শিখলাম আমরা?? শুধু মাত্র একজন মানুষের একটি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি আর অনুপ্রেরণায় বদলে দিতে পারে আরেকটি জীবনের গল্প।এই ঘটনাটি না ঘটলে হয়তো আমারা কোনদিন এডিসনকে পেতাম না। প্রতিবন্ধী এডিসন হারিয়ে যেত কালের গর্ভে। আসুন মানুষকে উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা দেই।

এটা পারবা না, এটা তোমাকে দিয়ে হবে না, এটা করোনা, ওটা করোনা, তোমাকে দিয়ে সম্ভব না, কেউ পারেনি ইত্যাদি বলে মানুষকে বিভ্রান্ত না করে তাকে উৎসাহ দিন । উৎসাহ না দিতে পারলে চুপ থাকুন।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৫৯

মাইনুল ইসলাম আলিফ বলেছেন: এটা পারবা না, এটা তোমাকে দিয়ে হবে না, এটা করোনা, ওটা করোনা, তোমাকে দিয়ে সম্ভব না, কেউ পারেনি ইত্যাদি বলে মানুষকে বিভ্রান্ত না করে তাকে উৎসাহ দিন । উৎসাহ না দিতে পারলে@ও নেগেটিভ কিছু বলবেন না।

দারুন লিখেছেন। ভাল থাকুন।শুভ কামনা।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫৫

বুলবুল ৩৩৩ বলেছেন: ধন্যবাদ
আপনার জন্য নিরন্তর শুভকামনা

২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:২২

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

তবে, এটা করোনা, ওটা করোনা বলা যেতেই পারে।

নাহলে বাবা-মা কি জন্যে!

আর, শাসন করা তারই সাজে সোহাগ করে যে।

ধন্যবাদ।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫৯

বুলবুল ৩৩৩ বলেছেন: ভালো মন্দের দিক নির্দেশনা তো বাবা মা দিবেন এটাই স্বাভাবিক। এটা করোনা, ওটা করোনা বলতে আমি মূলত বুঝাতে চেয়েছি - যেমন আমি ব্যাবসা করতে চাই বাবা মা বলছে ব্যাবসা করোনা চাকরী কর।

ধন্যবাদ

৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৮

ময়না বঙ্গাল বলেছেন: দারুন শিক্ষনীয় একটি পোস্ট । বরকত হোক সকলের ।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৩২

বুলবুল ৩৩৩ বলেছেন: ধন্যবাদ
নিরন্তর শুভকামনা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.