নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি বাংলাদেশপন্থী।লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া বাংলাদেশকে অনেক ভালোবাসি। ভালবাসি বই পড়তে,তার চেয়েও বেশি ভাল লাগে ঘুরে বেড়াতে।
ভ্রমণ আমার সবচেয়ে প্রিয় বিষয়। আমার রক্তেই যেন ভ্রমণ মিশে আছে।পাহাড় আর সাগর আমার সবচেয়ে প্রিয় জায়গা। এবার গন্তব্য সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ১৮০০ ফুট উচু সাজেক ভ্যালি। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন এই সাজেক ভ্যালি। এবারের ভ্রমণের নাম দিলাম "ভ্রমণ পিপাসুর দল @সাজেক"। মূলত এবারের ট্যুর ফ্রেন্ডস এন্ড ফ্যামিলি ট্যুর। সদ্য বিবাহিত দুই নব দম্পতি সাথে আমরা ছয় বন্ধু ও আমার ছোট বোন মোট এগারো জনের টিম। ১৯ সেপ্টেম্বর '১৮ রাত ১০ঃ৩০ মিনিটে পান্থপথ থেকে আমাদের যাত্রা শুরু হলো।কোচের শেষ সিটগুলো আমাদের থাকায় ব্যাপক মজা করে যাত্রা শুরু হলো। রাস্তায় হালকা জ্যাম থাকায় আমরা কুমিল্লা পৌছালাম রাত ৩ঃ০০ টায়। রাতে সবাই খেয়ে নিলাম কারণ সকালে পৌছাতে দেরি হলে খাবার সময় পাওয়া যাবে না কারণ সাজেকে গাড়ি নিদিষ্ট টাইম এর বাহিরে ছাড়ে না। আমরা খাগড়াছড়ি শহরে পৌছালাম সকাল ৮ঃ০০ টায়। সবাই ফ্রেশ হয়ে চান্দের গাড়ি ভাড়া করে সাজেকের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলাম। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য আর আঁকাবাঁকা রাস্তা দেখে আমরা সবাই মুগ্ধ হয়ে চলছি। চান্দের গাড়ি চলছে গাড়ির ভিতর চলছে গান আর হৈ-হুল্লোড়। এর মাঝে আমি মুরসালিন ও সাইফ চান্দের গাড়ির ছাদে উঠে পড়লাম। সে এক অন্যরকম অনুভূতি কিন্তু খুবই রিস্ক তাই আমরা বেশিক্ষণ ছাদে থাকলাম না। আর্মি ও বিজিবি ছাদে না উঠার জন্য পুর্বেই নির্দেশ দিয়েছেন। আঁকাবাঁকা পথে দুর্বার গতিতে চান্দের গাড়ি চলছে তো চলছেই। পথিমধ্যে এক বাজারে গাড়ি দাড়ালো আমরা পাহাড়ি কলা ও আখ কিনলাম। পাহাড়ি তাজা ফলের মজা নেওয়া শুরু আমাদের টিমের। সাজেক বাংলাদেশ আর্মির নিয়ন্ত্রনে তাই তাদের চেকপোস্টে আমাদের এন্ট্রি পর্ব শেষ করে আবার যাত্রা শুরু হলো। রাস্তার দুপাশের অপরূপ সৌন্দর্য দেখছি আর মুগ্ধ হচ্ছি। বান্দরবনের পাহাড়ি রাস্তার মত জনমানব শূন্য নয় এই রাস্তাগুলো অসংখ্য পাহাড়ি চাকমা বাচ্চা দেখা যায় রাস্তায়। লাল সবুজ জামা পড়া বাচ্চারা পাহাড়ি রাস্তা ধরে স্কুলে যাচ্ছে এ দৃশ্য আমার মন কেড়েছে। ছোট ছোট বাচ্চারা আমাদের দিকে তাকিয়ে হাত নাড়ছে। আমরাও গাড়ি থেকে ওদেরকে ভালবাসার নিদর্শন চকলেট দিচ্ছিলাম। মেঘ, আকাশ, পাহাড়, আঁকাবাঁকা রাস্তা ,গল্প, আড্ডা ও গানের মাঝে আমাদের প্রায় সত্তর কিঃমিঃ জার্নির সমাপ্তি করে সাজেকে উপস্থিত হলাম। গেটে গাড়ির ভাড়া ও আমাদের এন্ট্রি ফি পরিশোধ করে সাজেক ভ্যালীতে প্রবেশ করলাম। ঢাকা থেকেই রিসোর্ট বুকিং দিয়ে রেখেছিলাম "মেঘের ঘর রিসোর্ট"। রিসোর্টের তিন তালায় রুম নেওয়া ছিল। রিসোর্টের বারান্দা থেকে ভারতের লুসাই পাহাড় দেখা যায়। মেঘ আর পাহাড় দেখে আমরা সবাই মুগ্ধ।
সাজেকের খাওয়া দাওয়া, লুসাই ঝর্ণা, সাজেকের বৃষ্টি, মেঘ ছোঁয়া, কংলাক পাড়া, সর্যোদয় সূর্যাস্ত, রক গার্ডেন নিয়ে পরবর্তীতে লিখবো...
(চলবে)
২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৯
হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: চমৎকার.......
৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৪
স্রাঞ্জি সে বলেছেন:
সেই ১৫ তে গেছিলাম। শীতে।
..... এখন সাজেকের কি অবস্থা.......
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০৮
বুলবুল ৩৩৩ বলেছেন: আমি এবারই প্রথম গিয়েছি। স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানলাম পর্যটক ও কর্টেজ আগের তুলনায় বেড়েছে। আগে সব জায়গায় ছিল সুন্দর ভিউ ছিল, এখন ভিউ খুজে খুজে বের করতে হয়। তবে সৌন্দয্য আগের মতই আছে।
৪| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৯
করুণাধারা বলেছেন: ভালো লাগলো। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
৫| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৩
সনেট কবি বলেছেন: সুন্দর
৬| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪৮
ওমেরা বলেছেন: খুব সুন্দর লাগল বর্ণনা।
৭| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০০
শাহিন বিন রফিক বলেছেন:
অপেক্ষায় পরে পর্বের।
৮| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: যাবো।
খুব শ্রীঘই।
৯| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:০৮
শুপ্ত বলেছেন: সাজেতের বর্তমান কি অবস্থা জানালে খুবই ভালো হতো।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৯
কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: অপেক্ষায় পরবর্তী পর্বের জন্য----