নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বুনোমানুষের ব্লগে স্বাগতম

© তন্ময় ফেরদৌস

তন্ময় ফেরদৌস

একি আজব কারখানা...

তন্ময় ফেরদৌস › বিস্তারিত পোস্টঃ

দ্বন্দ্বের মেরুকরণঃ ধর্ম ও বাঙ্গালীয়ানা

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৫

জগৎ ও জীবনের স্বরুপ উৎঘাটনের প্রচেষ্টাই হলো দর্শন। এ প্রচেষ্টা সর্বকালে সর্বজাতিই করে আসছে বলে দর্শন কোন ব্যাক্তি, জাতি, দেশ বা যুগের একচেটিয়া সম্পদ নয়। অন্যান্য জাতির মত মুসলিম জাতির মধ্যে এরকম প্রচেষ্টা সর্বযুগে লক্ষ্যনীয়। তবে আমার মতে, মুসলিম দর্শন ও ইসলামিক দর্শনের মধ্যে ফারাক বুঝতে পারাটা জরুরী।

সাধারনত ইসলামিক দর্শন বলতে কুরআন ও হাদিসের সাথে সামাঞ্জস্যপূর্ন কতগুলো দার্শনিক চিন্তাধারাকে বুঝায়। অন্যদিকে মুসলিম দর্শন বলতে আমরা জগৎ ও জীবন বিষয়ক এমন একটি সর্বাঙ্গীন ধারনা বুঝি যা কুরআন হাদিসের সাথে সঙ্গতিপূর্ন অথচ মুসলিম জাতির ইতিহাসে বিভিন্ন পর্যায়ে যুগের আলোকে আলোচিত। এদিক দিয়ে বলতে গেলে ইসলামিক দর্শনের চেয়ে মুসলিম দর্শনের পরিসর অনেক ব্যাপক।

আমাদের বাংলাদেশের পার্সপেক্টিভেও এই দ্বান্দিক প্রভাব উল্লেখযোগ্য। প্রাচীনকাল থেকেই বাংলার ভিউস, নর্মস, রিচুয়াল, আচার ঐতিহ্য আমরা পালন করে আসছি বর্ন ধর্ম নির্বিশেষে। বলতে দ্বিধা নেই, আমাদের পুর্বপুরুষগণ ছিলো বৌদ্ধ ও সনাতনি ধর্মের অনুসারি। বর্তমানে মুসলিম অধ্যুষিত হবার পরো আমরা এই সংস্কৃতির বাহিরে যেতে পারিনি। এটাই আমাদের শিকড়। আমাদের পাঞ্জাবী, ধুতি, পহেলা বৈশাখের ধরন, গায়ে হলুদ, ভাষ্কর্য কিংবা মোমবাতি প্রজ্জলন সবকিছুই এর অন্তর্গত। সমস্যা হচ্ছে সকল ধর্ম নির্বিশেষে আচার অনুষ্ঠান পালনের এই বাঙ্গালী রীতি ইসলামিক দর্শন ও ঐতিহ্যের সাথে সাঙ্ঘর্ষিক যা জাতিগত ভাবে আমাদের দোটানায় ফেলে দেয়। এ কারনেই পহেলা বৈশাখে নাচ গান করা নিয়ে সৃষ্টি হয় নানা ইস্যু। এমন কি অপরাজেয় বাংলা, রাজু ভাষকর্য কিংবা লালনের মূর্তি নিয়েও আমরা প্রশ্ন তুলতে দ্বিধা করিনা।

লালনের মূর্তি নিয়ে যেহেতু কথা উঠলো, বাউল এবং সুফিজম নিয়েও কিছু কথা বলা লাগে। মুসলিম দর্শনে আমাদের উপমহাদেশে সুফিজমের একটা বিরাট যায়গা রয়েছে।

বাংলাদেশে দশম শতাব্দীতেই সুফিজমের আবির্ভাব। ঐ সময় হতেই এ উপমাহাদেশে ইরান, ইরাক, আফগানিস্তান ও আরব থেকে অনেক সুফিগন আমাদের দেশে এসেছিলেন। কালের আবর্তনে আদী সুফি দর্শনের সাথে এদেশের নিজস্ব সংস্কৃতি ও ভাবধারার সংমিশ্রন ঘটে। অন্যদিকে বৈষ্ণববাদ এবং সুফিবাদের মত বাউলবাদও বাংলাদেশের প্রেম দর্শনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা রেখেছিলো। সমস্যা সৃষ্টি হয় যখন লাভ অফ গড রাদার দেন ফিয়ার অফ গড - এই কনসেপ্ট কে আমরা ইসলামিক দর্শনের দৃষ্টিতে বিচার করতে চাই। এ ব্যাপারে অন্যকোন দিন বিস্তারিত আলোচনা করা যাবে।

যাই হোক, আমি আসলে কিছুটা চিন্তায় আছি। আমাদের ধর্মভিত্তিক রাজনীতির নেগেটিভ ব্যাপারগুলো এত প্রকট ছিলোনা আগেও। আমরা নিজেরাও ধর্মগত দিক থেকে এত সেনসেটিভ ছিলাম না। এখন পরিস্থিতি এমন দাড়িয়েছে, এক ধর্মকে কেন্দ্র করেই যাবতীয় দাঙ্গা হাঙ্গামা, ভোটিং রাজনীতি, হেফাজত- শাহবাগ, মুক্তিযুদ্ধ সব কিছুর মাঝে একটা লাইন টেনে দেয়া হয়। অথচ ইতিহাস থেকে আমরা দেখতে পাই, মুক্তবুদ্ধির চর্চাতে মুসলিম রা কিন্ত এই উপমহাদেশে বেশ অগ্রগামী ভুমিকা পালন করেছিলো।

সিপাহি বিদ্রোহের পরবর্তিকালে নবাব আব্দুল লতিফ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন "মহামেডান লিটারারি সোসাইটি", মুসলিম জাতিগোষ্ঠির উন্নয়নে তার এজেন্ডা ছিলো- মুসলমান দের মধ্যে মুসলমান দের পাশ্চাত্য ভাবধারার সাথে পরিচয় করিয়ে সেখানে একটা একটা অবস্থান তৈরি করা। যদিও তার এই প্রচেষ্টা দরিদ্র মুসলমান সমাজে তেমন সুফল বয়ে আনেনি, তবে মুক্তবুদ্ধির ক্ষেত্রে এই অরগানাইজেশন ফার্স্ট মুভার হিসেবে একটা প্রাক্টিস তৈরি করে দিয়েছিলো। পরবর্তিতে নবাব আমীর আলী খান এর প্রতিষ্ঠায় "ন্যাশনাল মোহামেডান এসোসিয়েশন" এই প্রিন্সিপাল ধরে এগিয়ে যায়। শিক্ষাখেত্রে মুসলমান দের অগ্রসরতা কিন্ত এই প্রাক্টিসের ই ফল।বাংলাদেশে মুসলিম সমাজে মুক্তবুদ্ধির আন্দোলনে সবচাইতে বেশি অবদান রাখে মুসলিম সাহিত্য সমাজ যা এমন কি বর্নবাদ হিন্দুদের ও অনেক টা প্রভাবিত করে।

আমি যেটা বলতে চাচ্ছি, টা হলো যুগে যুগে মুসলমান রা অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ধরে রেখে মুক্তবুদ্ধির যে চর্চা শুরু করেছিলো, টা একবিংশ শতাব্দীতে এসে কেমন যেন উলটো হয়ে গেছে। এখন আমরা পাশাত্যের হুজুগে ইউটিউব বন্ধ করে দিতেও দ্বিধা করিনা। কাজেই আমাদের ধর্ম সম্পর্কে সেন্টিমেন্ট কে লিমিটে রেখে বাঙ্গালীয়ানার চর্চা করলে হয়তো নিজেদের সমস্যার দিকে আরো বেশি করে নজর দেয়া যেতো।

আজকে আসলে কোন কিছুই আমি ডিটেইলিং করিনি। আমার উদ্দেশ্য ছিলো আউটলাইনে একটা ম্যাসেজ দেয়া, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন পুরন করতে গেলে আমাদের বাঙ্গালী ঐতিহ্য, মুসলিম ঐতিহ্য ও ইসলামিক ঐতিহ্য তিন ধরনের দর্শন সম্পর্কেই ধারনা থাকা প্রয়োজন। এ ধারনা শুধুমাত্র কর্পোরেট বিজ্ঞাপনে সীমিত না রেখে ইতিহাস ভিত্তিতে বিবেচনা করা উচিৎ। পরবর্তি কোন পোস্টে হয়তো পয়েন্ট ধরে ধরে আলোচনায় যাওয়া যেতে পারে।

সবার আগে আমাদের মাঝে সহনশীলতা বাড়াতে হবে। আমাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে মনের মাঝে ধারন করে বাঙ্গালী ও মুসলিম দর্শোনের মাঝে একটা সেতুবন্ধন টানতে পারলেই কেবন মাত্র ধর্মভিত্তিক ইস্যুগুলোকে আমরা গৌন করে দেখতে পারবো। শিক্ষা বুদ্ধি ও যুক্তি হোক আমাদের সম্ভাবনা পাথেয়। তাতে করে আমরা হয়তো ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যাবহার করা হতে নিজেদের বাঁচিয়ে রাখতে পারবো, আমাদের সংস্কৃতিকে বাচিয়ে রাখতে পারবো।

আমার বিচ্ছিন্ন ভাবনাগুলো সময় নিয়ে পড়ার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১১

মামুন রশিদ বলেছেন: খুব জরুরি পোস্ট লিখেছেন তন্ময় ভাই । ধর্ম এবং সংস্কৃতি কখনোই একে অন্যের প্রতিপক্ষ নয় । অথচ বারবার এদুটোকে প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হয় ।

পোস্টে ভাললাগা :)

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৩

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই।

২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৬

শায়মা বলেছেন: যদিও অনেক কঠিন বিষয়ে রচনা। তবুও বলি, ধর্ম আর সংষ্কৃতিকে অনেকের মাঝেই একে অন্যের শত্রু বানিয়ে দিতে দেখে আমার খুবই খারাপ লাগে। :(

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৪

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: সেইম হিয়ার শায়মান্টি

৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩১

আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
সামনে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ। তারপর নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার।

তারপর রক এন্ড রোল এবং স্যাটানিক কালচার। একটাই কালচার।

নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডারে আপনার ঐসব কিছুই থাকবে না।

তারপর দাজ্জাল।

তারপর ইমাম মাহাদী আ. এবং অনতিবিলম্বে হযরত ঈসা আ.।

তারপর শেষ যুদ্ধ। জুডিও-ক্রিশ্চায়ান সভ্যতা (নকল) বনাম ইসলাম।


তারপর থাক .....................

আরেকটি কথা বলে রাখি।

================================

বাঙালি সংস্কৃতির চিরস্থায়ী কোন রূপ নেই। ড. আহামদ শরীফ।


উনি সত্যি কথা বলেছিলেন।

===============================

আগামী দিনের বিশ্ব। কয়েক লাইনে রেখে গেলাম।

প্লীজ, ডু ইওর ঔন রিসার্স।

ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৬

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ড. আহমদ শরীফ ঠিক ই বলেছেন। কালচারের এডাপ্টেশন নিয়ে তো আমার কোন সমস্যা নেই। এটা পরিবর্তিত হবেই। কিন্ত একটা পারসেপশন দিয়ে অন্যটিকে জাজ করতে গেলেই সমস্যা।

ধন্যবাদ।

৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আউটলাইন বুঝে নিলাম।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৪

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ধন্যবাদ প্রোফেসর

৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

আপনার ভাবনাকে শ্রদ্ধা জানাই।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৫

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ধন্যবাদ কান্ডারী ভাই

৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩০

আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: ..
শিরোনামের প্রথম দু'ট শব্দ চেক করে দিন। সম্ভবত স্পেলিং মিসটেক আছে।

ভিতরে ভুল থাকার চাইতে শিরোনামে ভুল থাকা বেশী দৃষ্টিকটু।

দ্বন্দ্ব / মেরুকরণ - সম্ভবত সঠিক বানান এরকম।

ডোন্ট রিলাই অন মি। প্লীজ ডু/চেক ইট বাই ইউরসেলফ্।

থ্যাংকস্। :)

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৬

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: চেক করে নিয়েছি। ধন্যবাদ।

৭| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:১৬

মুনসী১৬১২ বলেছেন: ভাবনার দ্বান্দিকতা

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৩

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ভাবনার দ্বান্দিকতা

৮| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৪৮

বটবৃক্ষ~ বলেছেন: সবার আগে আমাদের মাঝে সহনশীলতা বাড়াতে হবে .।।। সব ক্ষেত্রেই!!
গুরুত্বপুর্ন পোস্ট !

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৪

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ধন্যবাদ

৯| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৩৩

বাসুরী বাসীয়ালা বলেছেন: বাস্তব কিছু কথা লিখেছেন।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৫

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ভাবনার বিষয়

১০| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৪

রুপ।ই বলেছেন: কনসেপ্ট খুবি স্পষ্ট, এই সেকুলারিজম বলে বলে মাঠ গরম করা বা টক শো তে উত্তেজনা সৃষ্টি করার চাইতে বুঝতে হবে আমাদের আবহমান ধারা টা কি ? কেন এতটা বছর আমরা সবাই মিলে মিশে থাকতে পেরেছি ? কি ছিল তার মুলমন্ত্র ? লেখা বরাবরের মতই দারুন ।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৬

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া

১১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩২

শেখ সাইফুল বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন, তবে আমরা কোথায় যেন আটকে যাচ্ছি, আমাদের চিন্তা করার শক্তি যেন কমে আসছে, আমরা মনে হয় নিজেরায় নিজেদের ভুলতে বসে্ছি, কেমন যে একটা বিভেদ সৃষ্টি হয়ে যাচ্ছে নিজেদের মধ্যে যে বিভেদ টা জীবনের উপর কেমন একটা হুমকি স্বরুপ হয়ে দাড়িয়েছে, তবে আমাদের সবাই কে আরো সুন্দর সমাধানের পথ খুজে বের করতে হবে, আমাদের মুক্তির জন্য তবে প্রকৃতির নিয়ম পাওয়ারফুল উয়িল সার্ভাইভ,

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৫

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: :(

১২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫১

তাসনুভা সাখাওয়াত বীথি বলেছেন: আমার প্রথম পরিচয় আমি মুসলিম এর পর আমি বাঙালি ।

ইসলাম আসলে আমাকে নৈতিকতার শিক্ষা দেয় ।

কিন্তু কাটমোল্লা মোউলবাদিরা নিজেরা নারকম গোড়ঁমি করে পবিত্র একটা ধর্মকে কলংকিত করছে ।

আপনার পোস্টের বিষয়বস্তুর উপর আসলে অনেক কিছুই বলা যায় ।

কিন্তু বলে কি লাভ ? :(

১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৩৭

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: বলা মানে শেয়ার করা। এতে করে নিজের ও অন্যের দেখার চোখ খুলে যায়। তাই বলতে পারেন।

১৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১২

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন! আগে হাজার বছরে যে সমস্যা হয়নি, সেইটা এখন হচ্ছে, কারণ আগে কেউ ধর্মরে এই ভাবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যেতে চায় নি! ধর্মটা ছিল প্রানের বিষয়, এখন ধর্মের পেছনে নানা হিসেবনিকেশ চলে আসছে। :(

১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৩৭

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ধন্যবাদ , আপনার সাথে একদিন দেখা হতে হতেও হলো না।

১৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৫

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: ভাই একটা গুরুত্বপূর্ণ টপিকে লিখেছেন ।কিন্তু ধর্ম আর রিলিজিয়ন এক নয় ।ধর্ম কথাটার ইংরাজী হলো "characteristic"।যেমন -"জলের ধর্ম কি ?" এবং "what are the characteristics of water"।আর রিলিজিয়ন এর কোনো বাংলা নাই ।পাকিস্তানিরা মাজব বলে রিলিজিয়ন কে ।আর বাঙালিরা না ধর্ম কে ফেলতে পারছে না মাজব কে ফেলতে পারছে ।আর এইখানেই যত দন্দ্ব ।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৩৮

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আরেকটু ব্যাখ্যা করে বলেন।

১৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লিখেছো। এসব নিয়ে ভাবা দরকার।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৩৮

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: থ্যাঙ্ক ইউ হামা ভাই

১৬| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৪

প‌্যাপিলন বলেছেন: ধর্মকে পুঁজি করে যারা সমাজ, অর্থনীতি, রাজনীতি, সংস্কৃতি নিয়ন্ত্রণ করতে চায় তারা বোঝে যে তাদের স্বপক্ষে কোন যুক্তি নেই, আর যুক্তি না থাকলেই গায়ের জোর.....অহেতুক দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে বিভাজন সৃষ্টি

১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৪৩

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: সহমত

১৭| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৬

নিরপেক্ষ মানুষ বলেছেন: ভাল লিখেছেন

১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৪৭

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ধন্যবাদ নিরপেক্ষ মানুষ।

১৮| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০২

সায়েদা সোহেলী বলেছেন: আপনার পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ ক্ষমতা সবসময়ই প্রসংশার দাবিদার । উপরের লেখাগুলো র সাথে সহমত জানালেও নিচের দিকে এসে আমি ঠিক লেখার মর্মার্থ ধরতে পারছি না । এ আমার অপারগতা , তার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি ।

এখন নিজের কিছু ভাবনা শেয়ার করি ।
আমাকে যদি প্রশ্ন করা হয় আমি কে , তাহলে প্রথম উত্তর হবে -- আমি মানুষ , তারপর একজন মুসলিম দেন বাংগালী , তারপর না হয় বাব দাদার ঠিকুজি ।

আর সাম্প্রদায়িক অসাম্প্রদায়িক বলতে আসলে আমরা কি বুঝি জানিনা । নিজেকে অসাম্প্রদায়িক প্রমান করতে যদি আমাকে আমার মুসলিম পরিচয় ভুলে ( ইসলামে তথা শরিয়ত এ কিছু নির্দিষ্ট কার্জকলাপ কে নিশিদ্ধ করা হয়েছে যা কম বেশি সবার জানা ) অন্য ধর্মাবলম্বীদের রীতিরেওয়াজ কে নিজের মধ্যে লালন পালন করতে হয় তবে আমার অসম্প্রদায়িক হতে অবশ্যই আপত্তি আছে ।
। আমি আমার ধর্ম সম্পর্কে সুস্পষ্ট যেখানে খুব দৃঢ় ভাবে অন্য ধর্মাবলম্বীদের তাদের নিজ নিজ ধর্ম পালনের অধিকার দেওয়া হয়েছে , একজন মুসলিমের কাছে সকল ধর্মের লোক ই নিরাপদ এমন কি কোন কটুক্তি নিক্ষেপ করার ও সুযোগ দেওয়া হয় নায় । হ্যা নিজ ধর্ম প্রসারে তাদের দাওয়াত দেওয়া যাবে সহজ সুন্দর ভাষা ব্যবহার এর মাধ্যমে .। এইটাই মুসলিম দর্শন । সুফিজম
্মনে হয় ভিন্ন জিনিস ।

বাংগালীয়ানার নামে কপালে লালটিপ লাগানো যাবে না এইটা ঠিক তবে লাল পাড় শাড়ি বরতে কিন্তু বাধা নেই ।( পোশাক পরার উদ্দেশ্য মেনে নিজেকে আকর্ষণীয় করার উদ্দেশ্যে নয়) ঘরে বসে ইলিশ খাওয়া যেতেই পারে কিন্তু নেচে গেয়ে রমনায় গিয়ে নয় ।
মংগোল শোভাযাত্রা করা হয় , নানা রকম প্রতিকৃতি বানিয়ে নানা শিক্ষিত ছেলেমেয়েদের বলতে শুনি এই যাত্রার মধ্যে দিয়ে বছরের সব গ্লানি দুর হয়ে যাবে . . এই একি ব্যক্তিকে যদি তখন বলা হয় তাহলে হিন্দুধর্মে ধানদুর্বা দিয়ে যে পুজো দিয়ে অধিক ফসলের প্রার্থনা করা হয় তখন কেন অংশ নিচ্ছেন না? ? এই দরিদ্র দেশের মানুষের খাদ্য ঘাটতি মিটতো !!

আমরা আসলে এতো টাই হুজুগে চলি যে যেখানে আনন্দ মজমাস্তি দেখি সেখানেই কিছু না বুঝে অংশ নেই । আর যাদের এই ভুলগুলো সুন্দর করে বুঝিয়ে দেওয়ার কথা তারা তা না করে নাউজুবিল্লাহ অয়াস্তাগফিরুল্লা বলে দৌড়ে পালান । আর এই সুযোগ টাই কাজে লাগান সুযোগ সন্ধানী রা ।

খন এক শ্রেণীর মানুষ নিজেদের সার্থ সিদ্ধির উদ্দেশ্যে আমাদের তথা বাঙ্গালী জাতির এই দুর্বলতা কে কাজে লাগিয়ে বিভক্ত করেছে , । উসকে দিচ্ছে , খেপিয়ে দিচ্ছে কিছু পাগলাটে ধর্মভীরু মানুষদের যাদের চিন্তা ক্ষমতা সিমিত খুব সহজেই যাদের পথভ্রষ্ট করা যায় ।

তবে চক্রান্ত শুধুমাত্র আমার দেশেই নয় পুরো বিশ্ব জুরেই , অয়ান অয়ার্ল্ড অর্ডার এর কথা শুনে থাকবেন যেখানে ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে সব সিমান্ত মুছে দিয়ে পৃথিবী জুরে একনায়কাতন্ত্র করার সপ্ন দেখছে একটা শক্তিশালী মহল ।
যার ফলস্রুতিতে আজ বিভিন্ন দেশের অরাজকতা । এই নিয়ে বেশি কিছু বলতে গেলে দেখা যাবে আমিই নাই হয়ে গিয়েছি তাই আর কিছু না বলি । তবে আমরা নানামুখী কন্সপীরেসী র মধ্যে আছি এর থেকে বেরুবার পথ জানা নাই :( । যতটুকু সম্ভব নিজেদের সংযত রেখে চলা যায় ।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:১৮

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আপনার চিন্তা ভাবনা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ সোহেলী।

আপনি বলেছেন, "আমাকে যদি প্রশ্ন করা হয় আমি কে , তাহলে প্রথম উত্তর হবে -- আমি মানুষ , তারপর একজন মুসলিম দেন বাংগালী , তারপর না হয় বাব দাদার ঠিকুজি । "

খুব ভালো কথা। আপনি যদি নিজেকে সবার আগে মানুষ বলে মনে করেন, তাহলে আসলে মুসলিম বা বাঙ্গালী পরিচয় খুজার তেমন একটা দরকার পড়েনা। আপনি মানুষ, এটা আপনার আসল পরিচয়। তারপর ধর্মগত ও জাতিগত দিক থেকে আপনি মুসলিম ও বাঙ্গালী। পরের দুটো পরিচয় আসলে আপনার কিছু অধিকার এবং রুট ছাড়া আর কোন কিছুর জন্য দরকার নাই। কারন এ দুটো পরিচয় আপনার জন্মসূত্রে পাওয়া। এখানে আপনার কোন হাত নাই। কাজেই প্রথমত বা দ্বিতীয়ত করে এখানে সিরিয়াল করার কোন দরকার দেখিনা। বাপ দাদার ঠিকুজি না করে কেমন করে আপনি এ দুটো পরিচয়ে চান ?

আপনি বলেছেন, "আর সাম্প্রদায়িক অসাম্প্রদায়িক বলতে আসলে আমরা কি বুঝি জানিনা । নিজেকে অসাম্প্রদায়িক প্রমান করতে যদি আমাকে আমার মুসলিম পরিচয় ভুলে ( ইসলামে তথা শরিয়ত এ কিছু নির্দিষ্ট কার্জকলাপ কে নিশিদ্ধ করা হয়েছে যা কম বেশি সবার জানা ) অন্য ধর্মাবলম্বীদের রীতিরেওয়াজ কে নিজের মধ্যে লালন পালন করতে হয় তবে আমার অসম্প্রদায়িক হতে অবশ্যই আপত্তি আছে । "

সাম্প্রদায়িকতা মানে এক ধরনের এথনোসেন্ট্রিজম। আপনি নির্দিষ্ট কোন একটা সম্প্রদায় কে শ্রেষ্ঠ মনে করে অন্য সম্প্রদায় কে হেয় করাটাই হচ্ছে সাম্প্রদায়কতা। অসাম্প্রদায়িক হবার জন্য আপনার মুসলিম পরিচয় ভুলার তো কোন দরকার নাই। শুধুমাত্র অন্য ধর্মাবলম্বিদের পোক না করলেই হয়। অন্যদের কোন রীতিনীতি ধারন করতে হবে, এমন কোন কথাও তো নেই। কিন্ত যখনি আপনি নিজেকে মুসলিম দাবী করে বাঙ্গালী হিসেবে কিছু কাজ করাকে নেগেটিভলি স্টেরিওটাইপ করে ফেলবেন, তখনি সেটা খারাপ। বিশেষ করে যেখানে বাঙ্গালী মুসলিমদের কনসেপ্টাই আরব দের থেকে ধার করা।

আপনি বলেছেন ", আমি আমার ধর্ম সম্পর্কে সুস্পষ্ট যেখানে খুব দৃঢ় ভাবে অন্য ধর্মাবলম্বীদের তাদের নিজ নিজ ধর্ম পালনের অধিকার দেওয়া হয়েছে , একজন মুসলিমের কাছে সকল ধর্মের লোক ই নিরাপদ এমন কি কোন কটুক্তি নিক্ষেপ করার ও সুযোগ দেওয়া হয় নায় ।"

এ কথার সাথে সহমত। সবাই এই চিন্তাধারার হলে আমার পোস্ট দেয়ার ই কোন দরকার হতো না।

বলেছেন, "বাংগালীয়ানার নামে কপালে লালটিপ লাগানো যাবে না এইটা ঠিক তবে লাল পাড় শাড়ি বরতে কিন্তু বাধা নেই ।( পোশাক পরার উদ্দেশ্য মেনে নিজেকে আকর্ষণীয় করার উদ্দেশ্যে নয়) ঘরে বসে ইলিশ খাওয়া যেতেই পারে কিন্তু নেচে গেয়ে রমনায় গিয়ে নয় ।

কেন লালটিপ দেয়া যাবেনা আমাকে বলেন তো ! আপনি যদি বলতেন, লালটিপ আপনি দিবেন না, কারন আপনার ধর্মে নিষেধ আছে, তাহলে আমার কিছু বলার থাকতো না। কিন্ত আপনি "লাগানো যাবেনা" বলে তো আরেকজনের উপর ব্যাপারটা চাপিয়ে দিতে চাইছেন। এখানেই তো আমার সমস্যা।
নেচে গেয়ে রমনায় গিয়ে কেন ইলিশ খাওয়া যাবেনা ? ঘরে বসে যদি ইলিশ খাওয়া খারাপ না হয়, তাহলে রমনায় গিয়ে কেন ইলিশ খাওয়া খারাপ ? নাচ গান দেখা যদি দেশের আইনে লিগাল হয়, নাচ গান করা কেন ইলিগাল হবে ? আমি আবারো বলছি, আপনি কি করবেন সেটা আপনার ব্যাপার। তবে অন্য কাওকে দেশীয় আইনে একটা লিগাল ব্যাপারে আপনি বাধা দিতে পারেন না।


বলেছেন, " মংগোল শোভাযাত্রা করা হয় , নানা রকম প্রতিকৃতি বানিয়ে নানা শিক্ষিত ছেলেমেয়েদের বলতে শুনি এই যাত্রার মধ্যে দিয়ে বছরের সব গ্লানি দুর হয়ে যাবে . . এই একি ব্যক্তিকে যদি তখন বলা হয় তাহলে হিন্দুধর্মে ধানদুর্বা দিয়ে যে পুজো দিয়ে অধিক ফসলের প্রার্থনা করা হয় তখন কেন অংশ নিচ্ছেন না? ? এই দরিদ্র দেশের মানুষের খাদ্য ঘাটতি মিটতো !! "

যে কোন শিক্ষিত মানুষ ই বুঝতে পারে, মঙ্গল শোভাযাত্রার ব্যাপার টি সিম্বলিক। এখানে লিটারেলি সব গ্লানি দূর হয়ে যাবে, ব্যাপারটা এমন নয়। কেউ কেউ মঙ্গল শোভাযাত্রা করে গ্লানি দূর হয়ে যাবার একটা উইশ করে, আবার কেউ কেউ মিলাদ পড়ে, আল্লাহ মেঘ দে, পানি বলে বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করে। দুটার কোনটাকেই তো খারাপ বলছিনা।

"আমরা আসলে এতো টাই হুজুগে চলি যে যেখানে আনন্দ মজমাস্তি দেখি সেখানেই কিছু না বুঝে অংশ নেই । আর যাদের এই ভুলগুলো সুন্দর করে বুঝিয়ে দেওয়ার কথা তারা তা না করে নাউজুবিল্লাহ অয়াস্তাগফিরুল্লা বলে দৌড়ে পালান । আর এই সুযোগ টাই কাজে লাগান সুযোগ সন্ধানী রা ।"

আনন্দ বা মৌজমাস্তি করা যে আপনার দৃষ্টিতে খারাপ কাজ, সেটা আগে বুঝি নাই। তাহলে এক কাজ করুন। ঈদের দিন ও আনন্দ না করে মুখ ভার করে বসে থাকুন। ঢালাওভাবে কোন কাজ কে ভুল বলে ভেবে বসে থাকা আসলে ভালো কিছু নয়। শুধুমাত্র ধর্মকেই যদি আপনি ভালো মন্দের মাপকাঠি হিসেবে ভেবে থাকেন, তাহলে যে কোন ধর্মের ব্যাপারেই সহনশীল হয়া উচিৎ। আপনার ধর্মে যেইটা ভুল, অন্য ধর্মে সেইটা ঠিক ও হতে পারে। নাচ গান করা ইসলাম ধর্মে হারাম, আবার সনাতনি ধর্মে কীর্তন করা ধর্মীয় অনুষ্ঠানেরি একটা অংশ। এইটুকু মেনে নিতে না পারলে, আদতে সেটা নিজ সম্প্রদায়কে শ্রেষ্ঠ মনে করে, অন্য সম্প্রদায়ের দিকে আঙ্গুল তাক করা হয়। এবং ইহাই সাম্প্রদায়িকতা।

"খন এক শ্রেণীর মানুষ নিজেদের সার্থ সিদ্ধির উদ্দেশ্যে আমাদের তথা বাঙ্গালী জাতির এই দুর্বলতা কে কাজে লাগিয়ে বিভক্ত করেছে , উসকে দিচ্ছে , খেপিয়ে দিচ্ছে কিছু পাগলাটে ধর্মভীরু মানুষদের যাদের চিন্তা ক্ষমতা সিমিত খুব সহজেই যাদের পথভ্রষ্ট করা যায় । "

সহমত।

শেষ প্যারা সম্পর্কে আসলে বলতে গেলে অনেক কথা বলা যায়। তবে প্রাসঙ্গিক না হয়ায় বললাম না।

সব কথার সার কথা হচ্ছে, যতক্ষন পর্যন্ত আপনি নিজের মুসলিম সত্বা ধরে রেখে অন্যদের চিন্তাধারাকে সন্মান জানাবেন, ততক্ষন পর্যন্ত কোন সমস্যা নেই। কিন্ত ইথনোসেন্ট্রিজমে ভুগলেই সমস্যা তৈরি হয়।

আবারো আপনাকে ধন্যবাদ সোহেলী।











১৯| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:১০

নস্টালজিক বলেছেন: আরেকবার পড়বো!


লেখাটা নিয়ে আলোচনা করার ইচ্ছে আছে, সময় করে!


শুভেচ্ছা নিরন্তর, তন্ময়!

১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:১৯

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: তোমাকে খুব মিস করি ভাইয়া, খুব । আলোচনার ইচ্ছা পোষন করি।

২০| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:২৩

ক খ ত্রিমোহনী বলেছেন: ধন্যবাদ ফেরদৌস ভাই । আপনাকেও ঈদের শুভেচ্ছা । আসলে আপনি ঠিক বলেছেন সুখের জন্য টাকা পয়সার বেশী দরকার নেই । ও আপনাকেতো বলতে ভূলেই গেলাম , আমার যমজ দুটো ছেলে আছে বয়স ৫ বছর ৩ মাস । তাদের নাম ক এবং খ । গতকাল তাদের দুজনকে সাইকেল কিনে দিছি , ওরা অনেক খুশি ।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:০৯

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ধন্যবাদ, তবে আপনি মনে হয় ঐ পোস্টে কমেন্ট করতে গিয়ে এই পোস্টে করে ফেলেছেন।

অনেক অনেক আদর রইলো বাচ্চাদের প্রতি।

২১| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৫১

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: মানে বাঙালীর ধর্ম বাংলা ।
বাঙালির রেলিজিওন অনেক কিছুই হতে পারে ।মানুষের ধর্ম বা characteristic সেই অঞ্চলের ভৌগলিক পরিবেশের উপর নির্ভর করে ।যেমন এস্কিমোদের ধর্ম নিশ্চই বাঙালির ধর্মের মতো হবে না ।দেখা যায় অনেক সময় রেলিজিওন মানুষের characteristic কে পরিবর্তন করতে বাধ্য করে ।এখন রেলিজিওন যেহেতু দেশ এবং কাল নিরেপেক্ষ নয় ,তাই সেখানে দন্দ্ব থাকবেই ।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:১১

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আমি ধর্ম বলতে রিলিজিওন বুঝিয়েছি ভাই, ক্যারেক্টারিকটিস নয়। তবে এখন রেলিজিওন যেহেতু দেশ এবং কাল নিরেপেক্ষ নয় ,তাই সেখানে দন্দ্ব থাকবেই - এ কথার সাথে সহমত।

২২| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:২৭

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন প্রিয় ব্লগার ...

আপনারে ব্লগে ফিরতে দেখে কি যে ভালো লাগছে আমার বোঝানোর ভাষা কীবোর্ডে আসবেনাহ...!

২৩| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৩১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আমার কাছে মনে হয় এক সময় মুসলমানরা পিছিয়ে পড়তে পড়তে যখন অনুধাবন করে যে হিন্দুদের কাছ থেকে পিছিয়ে হেছে, তখন তারা ধর্মের ওপর বিশ্বাস রেখে এগুনোর চেস্টা করে। কিন্তু যখন বুঝতে পারে পথ দুর্গম এবং বড্ড দেরি হয়ে গেছে তখন তারা ধর্মের সাথে রাজনীতি আর পেশি শক্তির সম্মেলন ঘটায়। যতদূর বুঝি ৪৭ এ নোয়াখালির দাঙ্গায় সোহরাওয়ার্দী আর মুসলিম লীগের ভূমিকা।

কিন্তু বরাবরের মতো বাঙ্গালীরা ইসলাম চেতনায় গা ভাসাইয়াই ধরা খাইছে এবং আরেকটা যুদ্ধ করতে হইছে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.