নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বুনোমানুষের ব্লগে স্বাগতম

© তন্ময় ফেরদৌস

তন্ময় ফেরদৌস

একি আজব কারখানা...

তন্ময় ফেরদৌস › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবন থেকে নেয়া (পর্ব ২)

১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:০৯









তিনটা কাহিনী বলছি। পড়তে পড়তে ব্যাপারগুলো একটু ভিজুয়ালাইজ করার চেষ্টা করুন। সম্ভব হলে নিজেকে সেই যায়গায় বসান।





আপনি সমস্যায় পড়েছেন, বিশাল সমস্যা...



মনে করুন, আপনার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। বিয়ের ডেট তিন দিন পরে। ছেলেটাকে আপনি অত্যাধিক পছন্দ করেন। বলতে গেলে প্রেমের বিয়ে। দীর্ঘদিনের প্রেমের স্বার্থক পরিনতি অপেক্ষা করছে।



আহা, কত স্বপ্ন...



এ অবস্থায় ছেলেটি এক্সিডেন্ট করে দুটো চোখ হারিয়ে অন্ধ হয়ে যায়। চোখে দেখেনা, উপরন্তু প্যারালাইসড হয়ে যাবার কারনে সে চলতে ফিরতে পারেনা। এ অবস্থায় আপনি কি করবেন ? আপনি প্রথমে হয়তো আবেগের বসে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তবে শিওর থাকুন আপনার পরিবার ও সমাজ ছেলেটাকে মেনে নিতে পারবেনা। ধরুন বিয়ে হয়েও গেলো। কিন্ত তারপর ? কতদিন আপনি আবেগের মাঝে ডুবে থাকবেন ?



সাধারনত প্রেমের বিয়ে হোক, কিংবা এরেঞ্জ ম্যারেজ, একটা মেয়ে বা তার পরিবার স্বামীর কাছে একটা জিনিস ই চায়। সেটা হচ্ছে "সিকিউরিটি" , হতে পারে সেটা সোশ্যাল সিকিউরিটি, হতে পারে ইকোনমিক্যাল সিকিউরিটি, কিংবা হতে পারে মাতৃত্ব কিংবা

সন্তানের ভবিষ্যতের সিকিউরিটি। যখন আপনি দেখবেন, ছেলেটার কাছ থেক কোন ধরনের সিকিউরিটি পাওয়া তো সম্ভব নয়ই, বরং ছেলেটা আপনার জীবনে এক রকম বোঝার মত। কাজ কর্ম, এমন কি সন্তান জন্মদানে অক্ষম, তখন আপনি কতদিন ধরে

ব্যাপার টা মেনে নিতে পারবেন ? সেই সাথে পরিবার, আত্মীয় স্বজনের খোঁচা তো আছেই। এই অবস্থায় পূর্ববর্তি ভালোবাসা আসলে অতটা কার্যকর ?



এক দিকে ভালোবাসা, মানবিকতা, অন্যদিকে বাস্তবতা। কি করবেন আপনি ?





আবার মনে করুন, আপনার একমাত্র মেয়ে। দুটো সন্তান মারা যাবার পর এই মেয়ের জন্ম। মাতৃহারা এই মেয়ে অসম্ভব আদরে বড় হয়েছে । সে মুসলমান, শিক্ষিত, সুন্দরী। কিন্ত পছন্দ করেছে এমন একটা ছেলেকে, যে হিন্দু ধর্মের, প্রায় অশিক্ষিত এবং সন্ত্রাসী। আপনি মেয়েকে অনেক ভাবে বুঝানোর চেষ্টা করলেন, কিন্ত মেয়ে বুঝলো না। তার একটাই কথা, বিয়ে করলে এই ছেলেকেই করবে। না হলে সে মারা যাবে। এক দিকে আপনার নিজের সন্তান, অন্যদিকে সামাজিক ও ধর্মীয় ভাবে ছোট হয়ে যাবার ভয়। এমন কি মেয়ের জীবনে সুখি হবার কোন গ্যারান্টিও নেই এ ছেলের সাথে।



আপনি হয়তো ভাবতে পারেন, মেয়েকে বুঝাবেন। কিন্ত মেয়ে বুঝলো না। শাষন করলেন, সে শুনলো না। ভালোবাসার আবেগে সে অন্ধ। মেয়েকে হয়তো ছেড়ে দিবেন ভাবলেন, কিন্ত শত হলেও একমাত্র মেয়েতো। তাছাড়া আপনি স্পষ্ট বুঝতে পারছেন, এই ছেলেটা আপনার মেয়েকে সুখে রাখতে পারবে না। তাছাড়া ছেলেটাও মুসলমান হতে রাজী নয়। এ অবস্থায় আপনি কি করবেন ? ভেবে বলুন তো। নিশ্চিত অসুখী হবে জেনেও মেয়েকে ছেড়ে দিবেন কুলাঙ্গার ছেলেটার হাতে ? নাকি মেয়েকে সুইসাইডের জন্য সুযোগ করে দিবেন।



সন্তানের একেবারে মৃত্যু, নাকি ধুকে ধুকে মৃত্যু, পিতা হিসেবে আপনি কোনটা চাইবেন ??





আবার মনে করুন, আপনি একটা মেয়েকে প্রচন্ড ভালোবাসেন। কোন একারনে মেয়েটার অন্যত্র বিয়ে হয়ে যায়। আপনি নিজেও বিয়ে করেছেন, তবে আপনার স্ত্রী অসুস্থ বিধায় আপনি বৈবাহিক জীবনে সুখি নন। আপনার ঘরে দুটি সন্তান আছে। কিন্ত অসুস্থ বউ আর সন্তানদের নিয়ে আপনার জীবন হতাশায় ঘেরা। আরেকটা বিয়ে করতে পারছে না, কারন বাচ্চাদের সৎ মা কেমন হবে, আপনি জানেন না। তাছাড়া আপনার স্ত্রী আপনাকে ভালোবাসে।

এমন অবস্থায় দেখা হলো আপনার সেই প্রেমিকার সাথে। সেই মেয়েটাও বিবাহিত জীবনে সুখি নয়। সে তার হ্যাজবেন্ডের কাছে লাঞ্চিত হয় প্রতিনিয়ত। মানসিক অশান্তির ব্যাপারে খুব একটা পার্থক্য নেই আপনাদের মাঝে। এই অবস্থায় আপ্নারাই হতে পারেন আপনাদের বেস্ট কোম্পানি। আপনারা দুজন দুজন কে এখনো ভালোবাসেন। তাছাড়া এতদিন পর আবার যোগাজোগের পর আপনারা আবার খুজে পেয়েছেন "হতে পারতো" জীবন সঙ্গীকে। দু একদিনের এক্টুখানি দেখা আর ছোঁয়া আপনাদের মরুভূমি জীবনে এক পশলা বৃষ্টির মত সুখ দিয়ে যায়। কিন্ত লুকিয়ে লুকিয়ে কতদিন ? আপনার বয়স আর অবস্থান আপনাকে

পরস্ত্রীর সাথে বিছানায় যাবার পারমিশন দেয় না। কি করবেন এখন ? বস্তুত এখন একমাত্র আপনারাই নিজেদের একটা সুখী জীবনে সেট করতে পারেন। শুধুমাত্র হাত ধরে পালিয়ে যাবার অপেক্ষা...



ভেবে দেখলেন, স্ত্রী ও বাচ্চাদুটোর কথা ভেবে ডিভোর্স নেয়া একদম ঠিক হবেনা। এখন এক হতে পারে, আপনারা এক্সট্রা ম্যারিটাল এফেয়ার চালিয়ে যেতে পারেন। কিন্ত এতে করে আপনার অসুস্থ স্ত্রীর প্রতি অবিচার করা হবে। আর বাচ্চাদুটো বড় হচ্ছে। বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্ক কোন সলিউশন নয়। এ অবস্থায় আপনি কি করবেন ?



একদিকে আপনার বিবেক, অন্যদিকে আপনার ইমোশন।



-----------------------------------------------------



তারমানে ব্যাপারটা দাড়াচ্ছে, মানুষ হিসেবে আমাদের বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। আমাদের যেহেতু চিন্তা করার ক্ষমতা আছে,

তাই আমরা অনেক কিছুই র‍্যাশনালিং করে বলে ফেলতে পারি। কিন্ত বাস্তব জীবনে আমরা তার অনেককিছুই করতে সক্ষম না।

এ ধরনের সমস্যায় যদি আমাদের কখনো পড়তে হয়, তাহলে আপনি হাইপোথিসিস বা অন্যদের উপদেশ শুনে আসলে কিছু করতে পারবেন না। মন ও মস্তিষ্কের একটা দ্বন্দের মাঝে আপনি পড়ে যাবেন। কখনো আপনি হয়ে উঠবেন আবেগী, আবার কখনো বাস্তবতার নীরিখে আপনি মুখ বুজে পড়ে থাকবেন। কিন্ত বয়ে বেড়াবেন অবর্ননীয় কষ্ট। আমাদের সমাজে আমরা যা খুশি তাই করতে পারিনা। এমন কি অনেক সময় সমাজ সাপোর্ট দিলেও আপনি করতে পারবেন না বিবেকের কাছে বাধা থাকবেন বলে। এখন আপনি যদি আবেগের বশে একটা ভুল ডিসিশান নিয়ে নেন,

তাহলে আপনাকে কি আদৌ খারাপ মানুষ বলা যাবে ? আবার আপনি যদি ঠিক কাজটি করতে গিয়ে সব হারান, তাহলে কি সমাজ কিংবা ভালো মানুষ তকমা আপনার কোন উপকারে আসবে ?



অন্যের সাথে তুলনায় যদি যেতেই চান, তাহলে এই মানুষগুলোর সাথে তুলনা করুন। তার গাড়ি আছে, আমার নেই কেন, কিংবা ওর গার্লফ্রেন্ড অনেক সুন্দর, আমার দিকে কোন মেয়েই তাকায় না-

এ ধরনের কম্পারিজনে গিয়ে আদতে কোন লাভ নেই। মনে রাখবেন, আপনার চেয়ে সুখে আছে, এমন মানুষের সঙ্খ্যা পৃথিবীতে যত, তার চেয়ে হাজার গুনে বেশি আছে, আপনার চেয়ে খারাপ অবস্থায় থাকা মানুষের সঙ্খ্যা।



লেখাটা লেখার সময় আমার নিজের কাছেই মনে হলো, আমি আসলে অনেক সুখী একজন মানুষ। আমার হয়তো অনেক কিছু নেই, তবে এ ধনের সমস্যাও নেই। আমি নিজে খুব একটা আস্তিক না হলেও, এইটুকু বুঝতে পেরেছি, কোন সময়টাতে ইশ্বরের কাছে প্রার্থনা করা ছাড়া আর কোন উপায় মানুষের হাতে থাকেনা।





জগতের সবচাইতে ক্ষমতাশালী জীব হলেও, জীবনে কাছে আমরা বড়ই অসহায় - এটাই বোধহয় সবচাইতে বড় আয়রনি।



আসুন একবার অন্তত নিজের জীবনের দিকে তাকিয়ে সব দুঃখ গুলো ভুলে যাবার চেষ্টা করি। আমরা হয়তো খারাপ আছি,

তবে অসহায় তো নয়। আমাদের চেয়ে খারাপ ও যে কেউ কেউ থাকতে পারে, তা তো দেখলেনই। তাই জীবনে অপ্রাপ্তির হিসেব না করে, বরং প্রাপ্তিগুলোকে এচিভমেন্ট হিসেবে দেখা উচিৎ। বৃদ্ধ বয়সে মরার আগে হয়তো আপনার কাঁদা লাগবে না। বরং আজকের কোন একটা সুখস্মৃতি মনে করে, তখন আপনার মুখে ঝুলে থাকবে এক টুকরো হাসি।



তাহলে এখন একটা কাজ করুন। জোরে জোরে কয়েক টা নিশ্বাস নিন। অক্সিজেনের উপস্থিতি অনুভব করুন। বেঁচে থাকার আনন্দ আস্বাদন করুন। এবার মুচকি একটা হাসি দিন, এবং আমার সাথে রিপিট করুন-



লাইফ ইজ বিউটিফুল, রিয়েলি বিউটিফুল।





-----------------------------------------------------------



( আমার এক বন্ধুর অসম্ভব মন খারাপ। তার নাকি বেচে থাকতে আর ইচ্ছা করছে না। আমাকে অনেক করে অনুরোধ করলো, কিছু একটা যেন করি।আমি নাদান মানুষ, কিইবা করতে পারি। তবে লেখক হিসেবে ছোট একটা লেখা তো তাকে ডেডিকেট করতেই পারি, তাই না ? আপনি যদি খুব খারাপ থাকেন, বা হতাশায় ভুগে থাকেন, লেখাটি আপনার জন্যেও।



জীবিত বা মৃত কোন চরিত্র বা ঘটনার সাথে এর লেখার কোন সম্পর্ক নেই, কোন কিছু মিলে গেলে তা নিতান্তই কাকতালীয় )





মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:১১

নেক্সাস বলেছেন: বেঁচে থাকায় কোন মজা নাই। লিখায় মাইনাচ।

তবে লিখা অনেক ভাল হয়েছে।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:২২

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: বাস্তবতা রে ভাই, বাস্তবতা...

২| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:২০

এম ই জাভেদ বলেছেন: জীবনে সুখি হতে চাইলে সব সময় নীচের দিকে তাকাতে হবে, জগতে এটাই সুখি হওয়ার প্রথম পাঠ।

যে দৃশ্যপট গুলি এসেছে আপনার লিখায় তা একেবারে জীবন থেকে নেওয়া। এ সব সমস্যার সাথে যে এডজাস্ট করে নিতে পারে সে ই সফল মানুষ। এ ক্ষেত্রে কোন এক দিকে ছাড় দিতেই হবে। সব পেতে গেলে আর কখনই মনে হবেনা -লাইফ ইজ বিউটি ফুল ।


১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:২৪

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জাভেদ ভাই

৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:২৪

মামুন রশিদ বলেছেন: একদিকে ভালোবাসা, মানবিকতা- অন্য দিকে বাস্তবতা..
একদিকে আপনার বিবেক, অন্যদিকে আপনার ইমোশন।

কি করি আমরা ??

আমরা জীবনের এই জটিল কঠিন সিচুয়েশন গুলো ফেস করি, কখনো ফেভারে যায় কখনো ডিসফেভারে ।

আর শেষে যাই ঘটুক না কেন, জীবনকে আমরা সামনে এগিয়ে নিয়ে যাই- জীবনের নিয়মে ।

সো, লাইফ ইজ বিউটিফুল..

১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:২৫

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: রাইট , সো-

সো, লাইফ ইজ বিউটিফুল..

৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:২৫

নূর আদনান বলেছেন: ভাই বড়ই সত্য দুইখান কথা কইছেন।


কোন সময়টাতে ইশ্বরের কাছে প্রার্থনা করা ছাড়া আর কোন উপায় মানুষের হাতে থাকেনা।


জগতের সবচাইতে ক্ষমতাশালী জীব হলেও, জীবনে কাছে আমরা বড়ই অসহায় - এটাই বোধহয় সবচাইতে বড় আয়রনি।



আমার মনে হয় ভাগ্য বলে যে একটা জিনিস আছে সেটা সবারই মেনে নেওয়া উচিৎ।

ভাইরে মানুষ শুধু চেষ্টা করতে পারে, কামিয়াবি না-কামিয়াবি সব তো উপর-ওয়ালার হাতে।

পোষ্টে অবশ্যই +++++

১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৫০

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: এতকিছুর পরেও- লাইফ ইজ বিউটফুল :)

৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:১৭

সুমন কর বলেছেন: ভালো হয়েছে। ++++++++++

১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৫২

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ধন্যবাদ

৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:১৮

মনিরুল হাসান বলেছেন: একটা মেয়ে এমন একটা ছেলেকে ভালবাসে যে পঙ্গু নয় এবং অন্ধ নয়, মেয়েটি কোনো পঙ্গু ছেলেকে ভালবাসেনি। ১ম ঘটনায় মেয়েটার জন্য সিদ্ধান্ত হচ্ছে - চিকিৎসা। যদি চিকিৎসার মাধ্যমে ছেলেটিকে সারিয়ে তোলা যায়, তাহলে মেয়েটার উচিৎ হবে যেকোন রকমভাবে চেষ্টা করে চিকিৎসার মাধ্যমে এমন সুস্থ করে তোলা যে অবস্থায় ছেলেটিকে সে ভালোবাসতো। আর যদি চিকিৎসা দিয়ে ভালো করে তোলা সম্ভব না হয়, তাহলে মেয়েটির উচিৎ এমন একটি সুস্থ ছেলেকে বিয়ে করা যে তাকে সমান ভালোবাসা ফিরিয়ে দিতে পারার পাশাপাশি সংসার চালিয়ে নিতে পারবে। কারণ, একজন সুস্থ মানুষের কাছ থেকে যতটুকু ভালবাসা পাওয়া সম্ভব, একজন অসুস্থ ও অন্ধ মানুষের কাছ থেকে ততটুকু ভালবাসা পাওয়াও সম্ভব নয়।

২য় ঘটনায় নিজের মেয়ের ভালোর জন্যেই মেয়েকে হিন্দু ছেলের সাথে বিয়ে দেয়া বাবার জন্যে অনুচিৎ হবে বরং উচিৎ হবে নিজের কুলাংগার মেয়েকে বুঝিয়ে এবং শাসন করে ভালো করে তোলা। একটা ছেলে যদি পণ করে, তাকে অপরাধ করতে না দিলে সে মাদক নিতে আরম্ভ করবে, তখন অভিভাবকের মোটেও উচিৎ হবে না, ছেলেকে অপরাধ করতে দেয়া বরং উচিৎ হবে ছেলেকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনা।

৩য় ঘটনায় লোকটির স্ত্রী লোকটিকে ভালবাসে। লোকটির জন্য সবচাইতে ভালো সমাধান হলো নিজের স্ত্রীকে ভালোবাসা। দু'জন পরস্পরকে ভালবাসলে অবশ্যই সুখী পরিবার নিয়ে থাকা সম্ভব। এছাড়া, বিয়ের পর পূর্বের সম্পর্ক নিয়ে পরিবার বহির্ভূত কোনো চিন্তা করাই উচিৎ নয়।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:০১

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আসলে দ্যা পয়েন্ট ইজ, মানুষ জীবনে কখনো কখনো অনেক কঠিন সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। যে সব কিছুর সামনে আমাদের সাধারন প্রবলেম খুবি মাইনর। কাজেই আমাদের পজেটিভ নেগেটিভ যা আছে তা নিয়েই সুখি থাকা উচিৎ।

৭| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:২৩

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
যে দৃশ্যগুলো তুলে এনেছেন সেগুলো বড় বেশি বাস্তব।

যা আছে আমাদের তাই নিয়ে সুখি থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে অবস্থা যতটা খারাপ তারচেয়েও খারাপ তো হতে পারত!

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৩৩

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ধন্যবাদ নাজিম ভাই

৮| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:২৬

রাজীব দে সরকার বলেছেন: ভালো লিখেছিস, পড়তে পড়তে আরো কিছু গল্প মাথায় এলো
লিখে যা -
লেখাটা থামাবি না

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:২৮

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ওকে ভাইয়া

৯| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৩৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ক্লাসিক তন্ময় ভাই ++++++++++++++++++++++++++++ অগনিত।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৫১

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: অগনিত ধন্যবাদ কান্ডারী ভাই :)

১০| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:১৭

সানফ্লাওয়ার বলেছেন: ঘটনা গুলো এতই বাস্তব, যার কোন সমাধান নেই। অনেক সুন্দর লেখা।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৫১

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ধন্যবাদ সানফ্লাওয়ার

১১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৬

সোহানী বলেছেন: চমৎকার লিখা। আমি বিশ্বাস করি সুখী বা অসুখী হওয়া সম্পূর্ন নিজের হাতে। আপনাকে কেউ একটা গোলাপ দিয়ে সুখী করতে পারে আবার একটা সোনার মালা দিয়েও সুখী করতে পারে না। যার যার নিজস্ব চিন্তা ভাবনার উপর ডিপেন্ড করে।

আমি আপনার লিখা কঠিনভাবে সমর্থন করি তবে আমি মনে করি প্রত্যেকেরই উচিত চিন্তা করা যে যাদের সাথে আমি নিজেকে সুখী বা অসুখীর তুলনা করি তা তাদের বাহিরের রুপ.... তাদের সংসারে কি ঝড় বয় আমি বা আপনি জানি না। তাই তাদের সুখের সাথেই শুধু নিজের সুখের তুলনা করবেন.. দু:খের সাথে নয়।

............... দু:খিত বেশী জ্ঞান দিয়ে ফেল্লাম...

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৫

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: না না, ঠিক আছে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

ঈদ মোবারক।

১২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:০৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পোস্টের মূলকথার সাথে একমত।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৬

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ধন্যবাদ, ঈদ মুবারক

১৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৪:২৩

নস্টালজিক বলেছেন: লাইফ ইজ বিউটিফুল, রিয়েলি বিউটিফুল।



ঈদ মুবারাক, তন্ময়!

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১২

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: মিস ইউ ভাইয়া :)

১৪| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৩

শেরজা তপন বলেছেন: বড় কঠিন কিছু প্রশ্ন! উত্তর দেবার সাধ্য বা সৎসাহস আছে এমন মানুষের সংখ্যা ভীষন নগন্য।
একটা জীবন গোছাতে লাগে বহুগুলো বছর আর সেই জীবনটা ওলট-পালট হয়ে যেতে সামান্য কয়েকটা মূহুর্ত-ই যথেষ্ঠ।
সবভুলে নিজেকে ভালবাসাই সর্বত্তোম পন্থা!
রিয়েলি লাইফ ইজ বিউটিফুল!

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২১

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: :)

১৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪১

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: প্রথম ঘটনাটি বিষয়েই বলি, আমার মনে হয় এ সময় গিয়ে 'মানুষ' হিসেবে পিছিয়ে আসা অনেক কঠিন হয়। নিজের বিবেকের কাছে পরিষ্কার থাকার উপরে মানব স্বত্বায় প্রভাবক হিসেবে আমার মনে হয় না আর কিছু কাজ করে। কিন্তু আপনি বাস্তবতার ভিত্তিতেই কথা বলেছেন, মানুষের যে কোন ধরনের অক্ষমতা তাকে হীনমন্য করে তোলে, তাই দেখা যাবে আগের মতো সেও আর থাকবে না, তাই অশান্তিই এই ধরনের ম্যাচিং এর শেষ ফলাফল। তবে আবেগ বাস্তবতার থেকেও বড় হয়ে যায়, তাই প্রতিটি মানুষের ব্যাক্তিগত প্রাধান্যটাই রিলেশনগুলোকে মূল বিবেচ্য হওয়া উচিৎ। আমি শুধু আমার পয়েন্ট অফ ভিউটা তুলে ধরলাম।

অনেক সুন্দর লেগেছে পোস্টটি, আসলে খুবই বেশী ভালো লেগেছে তন্ময় ভাই।

অনেক শুভকামনা ও ঈদের শুভেচ্ছা রইলো আপনার প্রতি। :)

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২২

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ধন্যবাদ

১৬| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:০৮

অস্পিসাস প্রেইস বলেছেন:
ভালো লাগলো।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৯

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: :)

১৭| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৩

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: তোমার এই ধরনের লেখাগুলো পড়তে ভাল লাগে। বেঁচে থাকাটা আসলেই অনেক সুন্দর, শুধু একটু সুন্দর মন নিয়ে দেখতে হয়।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৮

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: রাইট, সুন্দর মন নিয়ে দেখতে হয়।

১৮| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৩

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: এমন কিছু কনসিডারেশন আমারও করতে হইছে লাইফে। টিন-এজ বয়সে অনেক কিছু করা যায় আবেগের বশবর্তী হয়ে কিন্তু বড় হওয়ার পর দায়িত্ববোধ, আবেগের সামনে এসে দাড়ায়। আর দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়া সহজ কাজ না।

তোর বন্ধুর উদ্দেশ্যে বলি "ভাই/আপু কোনো লেখা অথবা অন্য কোনো কিছুতেই আপনার মন ভালো হবে না। হতাশা বড় বেয়াড়া জিনিস। আমার এক সময় মনে হইছিল মারা গেলেই একমাত্র সব দিক রক্ষা হয়। পরে চিন্তা করে দেখলাম মরে গেলে তো পালিয়ে গেলাম, হেরে গেলাম। আর হেরে যাওয়াটা কোনো কাজের জিনিস না। আমাদের কোনো আবেগই তীব্র ভাবে বেশিদিন থাকে না। তা যত হতাশাই হোক অথবা ভালোবাসাই হোক, যদি না আপনি নিজে সেটাকে জিইয়ে রাখতে চান। নিজেকে একটু সময় দেন আর অন্য কোনো দিকে ব্যস্ত হন। ভালো থাকেন।"

১৯| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৫

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: আসলেই সবকিছু শেষে জীবনে বেচে থাকা খুব চমৎকার একটা ব্যাপার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.