নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি বাংলায় গান গাই আমি বাংলার গান গাই আমি, আমার আমিকে চিরদিন এই বাংলায় খুঁজে পাই ।।
চাউমিন এর মত ফাস্ট ফুড খাই না এমন পাবলিক খুজে পাওয়া মুশকিল । ছোট থেকে বড় সবাই প্রায় চাউমিন এর ভক্ত ।
চাউমিন মেকিং করার সময় চাউমিন মেকার কে দেখি কিছু একটা কালো তরল জাতীয় শস দিতে যা চাউমিন এর কালার সহ টেস্ট বাড়াতে সাহায্য করে ।
কিন্তু আমরা আদপে জানিই না যে জিনিস টা কি তা আমাদের পক্ষে খাওয়া কতটা নিরাপদ ।
আসুন আমরা জেনে নেয় যে জিনিস টা আমরা খাচ্ছি সেটা কি?
কি তার পরিচয় !
সয়া শসঃ
যে জিনিস টা চাউমিন এর কালার সহ টেস্ট বাড়াতে সাহায্য করে সেটা হল সয়া শস , যেটা প্রস্তুত করা হয় সয়াবিন এর নির্যাস , গম ,লবন, আর জল থেকে ।
শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর কখনই নয় এটি যা সয়াবিন এর নির্যাস থেকে প্রস্তুত করা হয় ।
কিন্তু এটি হারাম ।
কারন এটি তৈরির শেষ পর্যায়ে এটিকে গেঁজিয়ে তোলা হয় তা না হলে জিনিস টি সহজেই পচে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে । গাঁজন প্রকিয়া চলাকালীন সয়া শস এর প্রাথমিক মিশ্রণ এর সাথে আনুমানিক ১.৫- ২% অ্যালকোহল মেশানো হয় , (সুত্র- Kikkoman international inc.)
আর আমরা সবাই জানি যে প্রত্যেক মুসলমান এর জন্য অ্যালকোহল হারাম ।
তাহলে আমরা এক কথাই বলতে পারি সয়া শস যা আমরা চাওমিন সহ অন্যান্য ফাস্ট ফুড এর সাথে খেয়ে থাকি তা সম্পূর্ণ হারাম ।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে “আনুমানিক ১.৫- ২% অ্যালকোহল” সেটা কোন ব্যাপারই না ।
কিন্তু হাদিস কি বলছে দেখুন,
রসুল (সাঃ) বলেছেন, “ প্রত্যেক মাদকতা যুক্ত দ্রব্য হারাম” [ ইমাম বুখারি(রঃ) বর্ণিত, আল -আহকাম
, 6637]
আয়েসা (রাঃ) বর্ণিত যে রাসুল (সঃ) বলেছেন যে “ প্রত্যেক নেশাকর দ্রব্য ক্ষতিকর সেটা যদিও পরিমানে বেশি কিমবা অতিক্ষুদ্র,সেটা হারাম ” ( আত- তিরমিজি , পানাহার পর্ব, ১৭৮৯ )
তাছাড়াও আপনি নিজেই জিনিস তা ভাবলে আপনার নিজের কাছেই জিনিস টি পরিস্কার হয়ে যাবে
আমরা জানি যে বিয়ার এ ৫-৮ % অ্যালকোহল থাকে যেটা হারাম । আর সয়া শস এ ১.৫-২ % যা বিয়ার এর অ্যালকোহল এর তুলনায় প্রায় অর্ধেক । তাহলে সেটা হালাল থাকে কিভাবে ?
সুতরাং চাওমিন ছাড়াও যে সমস্ত ফাস্ট ফুড এ সয়া শস ব্যবহার করা হয় তা এড়িয়ে চলুন অথবা মেকার কে ডিরেক্ট না বলুন সয়া শস ব্যাবহারে ।
২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৪৮
কালীদাস বলেছেন: কলাবাগান১ এর সাথে সহমত। ফার্মেন্টেশনের পরে আপনি ফাইনাল যেটা পাবেন সেটাতে বিন্দুমাত্র এলকোহলও পাবেন কিনা সন্দেহ। এরকম আরও কিছু উদাহরণ দিতে পারি। ভিনেগার নবীজির(সঃ) অত্যন্ত পছন্দ ছিল, ভিনেগার বানানোর যে প্রসেস তাতে সরাসরি এলকোহল ইউজ করা হয়, এমনকি হোয়াইট ওয়াইন থেকে বানানো ভিনেগারও আপনি বাংলাদেশে অহরহ দেখবেন। দোকান থেকে পাউরুটি কিনে খান? সেটার প্রসেসিং এর সময় ইস্ট ইউজ করা মাস্ট, ইস্টের ফার্মেন্টেশনটা হয় হাই পারসেন্টের ইথাইল এলকোহল দিয়ে। খালি এটা মাথায় রাখেন যে এসব বানানোর জন্য ইনগ্রাডিয়েন্ট হিসাবে এলকোহল ইউজ করা হয়, নেশা করার জন্য না বা নেশা হয়ও না এসব জিনিষ থেকে।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪০
কলাবাগান১ বলেছেন: এটা আপনার জন্য হারাম কেননা আপনি বিয়ারের মত এটা পান করেন।
আমরা খাই কেননা রান্নার সময় এই এক % পানির ও আগে 'বাস্প' হয়ে উড়ে যায়।