নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালোলাগে,ভাবনার আকাশে পাখা মেলতে...

বুরহানউদ্দীন শামস

আমি বাংলায় গান গাই আমি বাংলার গান গাই আমি, আমার আমিকে চিরদিন এই বাংলায় খুঁজে পাই ।।

বুরহানউদ্দীন শামস › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্রিটিশভক্ত ও মুসলিমবিদ্বেষী বঙ্কিমচন্দ্র চট্রোপাধ্যায়ের আসল রূপ

১৩ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:০৬


ব্রিটিশভক্ত ও মুসলিমবিদ্বেষী বঙ্কিমচন্দ্র চট্রোপাধ্যায়ের আসল রূপ !

সাম্প্রদায়িকতা তৈরি করলো কারা? তৈরি হলো কি ভাবে? কেন? প্রশ্নগুলির উত্তর পেতে গেলে আমাদের বারবার পিছনে ফিরে তাকাতেই হবে। ব্রিটিশ শাসনে কোলকাতা কেন্দ্রীক বর্ণ হিন্দু সাহিত্যিকদের রচনায় মুসলিম বিদ্বেষ ও সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়িয়ে দেয়, সাম্প্রদায়িকতা চর্চার এই ধারাবাহিকতা ‘সাহিত্য চর্চার’ নামে এখনো চলছে।

কলকাতার মার্কসবাদী গবেষক সুপ্রকাশ রায় তাঁর লেখা ভারতের কৃষক বিদ্রোহ ও গণতান্ত্রিক সংগ্রাম তৃতীয় সংকলন কলকাতা ১৯৮০ বইতে লিখেছেন:

“ যে সময় মুসলমানরা ইংরেজ বিরোধী সংগ্রামে ব্যস্ত সেই সময় বঙ্কিম হিন্দুদের মুসলমান বিদ্বেষে ইন্ধন যোগাইয়া ভারতে সাম্প্রদায়িকতার বীজ বপন করিয়াছেন।“

ঠিক একই রকম কথা বলেন ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির শুরুর দিকের নেতা কমরেড মুজাফফর আহমদ, তাঁর মতে,

“বঙ্কিম চন্দ্র চট্রোপাধ্যায়ের ‘আনন্দ মঠ’ হতে সন্ত্রাসবাদী বিপ্লবীরা প্রেরণা লাভ করতেন। এই পুস্তকখানি শুরু হতে শেষ পর্যন্ত সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষে পরিপূর্ণ।এর মূল মন্ত্র ছিল বন্দেমাতরম গান।“
[আমার জীবন ও ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি, পৃষ্ঠা ২৮]

বাংলাদেশের বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা, স্বাধীনতা যুদ্ধে ঐতিহাসিক ‘চরমপত্র’ ও ‘আমি বিজয় দেখেছি’ বইয়ের লেখক এম আর আখতার মুকুল বলেনঃ

“কোনো রকম লুকোচুরি না করে বঙ্কিম চন্দ্র তাঁর রচিত আনন্দ মঠ উপন্যাসে সুস্পষ্ট ও দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেছেন যে, এদেশ সম্পূর্ণ ভাবে ইংরেজদের পদানত হওয়ার ফল শুভ হতে বাধ্য । কারণ একটাই এবং তা হচ্ছে এই যে, ইংরেজরা এদেশে না আসলে সনাতন ধর্মের ( হিন্দু ধর্ম ) বিজয় কেতন উড্ডীন সম্ভব হতো না ।“
[এম আর আখতার মুকুল, কোলকাতা কেন্দ্রীক বুদ্ধিজীবী, ২৫১]

কলকাতার মার্কসবাদী লেখক সুপ্রকাশ রায় বলেনঃ

“বঙ্কিম বুঝাইতে চাহিয়াছেন যে, মুসলমান শাসনে হিন্দু ধর্ম বিনষ্ট হইয়াছিল, কিন্তু ইংরেজ শাসন তাহা পুনরুদ্ধার করিবে এবং তাহা জয়যুক্ত হইবে।যে সময় মুসলমানরা ইংরেজ বিরোধী সংগ্রামে ব্যস্ত সেই সময় এইভাবে তিনি হিন্দুদের মুসলমান বিদ্বেষে ইন্ধন যোগাইয়া ভারতে সাম্প্রদায়িকতার বীজ বপন করিয়াছেন।” [ভারতের কৃষক বিদ্রোহ ও গণতান্ত্রিক সংগ্রাম,তৃতীয় সংকলন,কলকাতা ১৯৮০]

“শতবর্ষের ফেরারি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়” প্রবন্ধে সাহিত্যিক ও সাহিত্য সমালোচক ও আহমদ ছফা বলেনঃ

“বঙ্কিম ছিলেন আধুনিক বাংলা তথা ভারতের সর্বপ্রথম রাষ্ট্রবেত্তা।তিনিই সর্বপ্রথম একটি হিন্দু রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন”।… বাঙালি সমাজে বঙ্কিমচন্দ্রের প্রভাব সর্বাধিক ক্রিয়াশীল হতে পেরেছে, তার মুখ্য কারণ বঙ্কিম রচিত সাহিত্য গ্রন্থের অনন্যতা নয়, বঙ্কিমের রাষ্ট্রচিন্তা। মনে রাখতে হবে বঙ্কিমের মৃত্যুর প্রায় সত্তুর বছর পরে তাঁর রচিত ‘ সুজলং সুফলং মলয়জ শীতলং বন্দে মাতরম’ গানটি ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের দলীয় সঙ্গীত হিসেবে গৃহীত হওয়ার গৌরব অর্জন করেছিলো”

[আহমেদ ছফা,আহমেদ ছফার প্রবন্ধ,স্টুডেন্ট ওয়েজ,দ্বিতীয় সংস্করণ, ২০০০, পৃষ্ঠা ১৯]

এই প্রসঙ্গে আবদুল মওদুদ সাহেব বলেনঃ

“বঙ্কিম রক্ষণশীল হিন্দু সমাজ মনের প্রতিভূ হিসাবে এবং হিন্দু জাতীয়তা মন্ত্রের উদগাতা ঋষি হিসাবে বাংলার সাহিত্যাকাশে আবির্ভূত হয়েছিলেন। তীব্র সাম্প্রদায়িকতার যে বিষবহ্নি তিনি ছড়িয়েছিলেন লেখনি মুখে, জগতের ইতিহাসে আর দ্বিতীয় নজীর নেই। তিনি মানবতার যে অকল্যাণ ও অসম্মান করেছেন, পৃথিবীর ইতিহাসে তারও তুলনা নেই। ‘রাজ সিংহ’ ও ‘আনন্দ মঠ’ উপন্যাস দুটিতে তিনি মুসলিম বিদ্বেষের যে বিষবহ্নি উদগীরণ করেছেন, সে বিষ জ্বালায় এই বিরাট উপমহাদেশের দু’টি বৃহৎ বৃহৎ সম্প্রদায়ের মধ্যে যেটুকু সম্প্রীতির ফল্গুধারা প্রবাহিত ছিল, তা নিঃশেষ শুষ্ক ও নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল। উপমহাদেশের মুসলমানদের অস্তিত্ব বঙ্কিমচন্দ্র অস্বীকার করে তাদের বিতাড়িত করে সদাশয় বৃটিশ জাতির আবাহনে ও প্রতিষ্ঠায় বার বার মুখর হয়ে উঠেছিলেন।”

[আবদুল মওদুদ,মধ্যবিত্ত সমাজের বিকাশ, সংস্কৃতির রূপান্তর, পৃষ্ঠা ৩৩৯]

বঙ্কিমের এই সাহিত্য রবীন্দ্রনাথ প্রত্যাখ্যান করেননি। বরং একে ‘জাতীয় সাহিত্য’ বলে অভিহিত করে মুসলমানদের সমালোচনার জবাবে তিনি বলেছিলেন, “মুসলমান বিদ্বেষ বলিয়া আমরা আমাদের জাতীয় সাহিত্য বিসর্জন দিতে পারি না। মুসলমানদের উচিত নিজেদের জাতীয় সাহিত্য নিজেরাই সৃষ্টি করা।”

[‘মুসলিম জননেতা নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী একটি বক্তৃতায় মুসলিম বিদ্বেষপূর্ণ সাহিত্য বন্ধের প্রতি রবীন্দ্রনাথের দৃষ্টি আকর্ষন করলে, “ভারতী পত্রিকা’য় রবীন্দ্রনাথ এই মন্তব্য করেন।]

উপরে উল্লিখিত বিখ্যাত ব্যক্তিদের কথার সত্যতা প্রমাণের জন্য আনন্দ মঠ উপন্যাস থেকে উদ্ধৃতি দেয়া যাক। বঙ্কিম চন্দ্র লেখেনঃ

“সেই এক রাত্রের মধ্যে গ্রামে গ্রামে নগরে নগরে মহাকোলাহল পড়িয়া গেল। সকলে বলিল, “মুসলমান পরাভূত হইয়াছে, দেশ আবার হিন্দুর হইয়াছে। সকলে একবার মুক্তকণ্ঠে হরি হরি বল |” গ্রাম্য লোকেরা মুসলমান দেখিলেই তাড়াইয়া মারিতে যায়। কেহ কেহ সেই রাত্রে দলবদ্ধ হইয়া মুসলমানদিগের পাড়ায় গিয়া তাহাদের ঘরে আগুন দিয়া সর্বস্ব লুঠিয়া লইতে লাগিল। অনেক যবন নিহত হইল, অনেক মুসলমান দাড়ি ফেলিয়া গায়ে মৃত্তিকা মাখিয়া হরিনাম করিতে আরম্ভ করিল, জিজ্ঞাসা করিলে বলিতে লাগিল, “মুই হেঁদু ” ।“
[আনন্দমঠ, চতুর্থ খণ্ড, প্রথম পরিচ্ছেদ, ৭৯]

“দলে দলে ত্রস্ত মুসলমানেরা নগরাভিমুখে ধাবিত হইল।…..সমস্ত লোক সমস্ত রাত্রি জাগরণ করিয়া কি হয় কি হয় চিন্তা করিতে লাগিল। হিন্দুরা বলিতে বলিতে লাগিল, “আসুক, সন্ন্যাসীরা আসুক, মা দুর্গা করুন, হিন্দুর অদৃষ্টে সেই দিন হউক।” মুসলমানেরা বলিতে লাগিল, “আল্লা আকবর! এত‍না রোজের পর কোরাণসরিফ বেবাক কি ঝুঁটো হলো ; মোরা যে পাঁচু ওয়াক্ত নমাজ করি, তা এই তেলককাটা হেঁদুর দল ফতে করতে নারলাম। দুনিয়া সব ফাঁকি।” এইরূপে কেহ ক্রন্দন, কেহ হাস্য করিয়া সকলেই ঘোরতর আগ্রহের সহিত রাত্রি কাটাইতে লাগিল ।“ (উপরোক্ত সূত্র)

” তখন বড় কোলাহল হইতে লাগিল। কেহ চীৎকার করিতে লাগিল, “মার, মার, নেড়ে মার |” কেহ বলিল, “জয় জয়! মহারাজকি জয়।” কেহ গায়িল, “হরে মুরারে মধুকৈটভারে!” কেহ গায়িল, “বন্দে মাতরম্!” কেহ বলে–“ভাই, এমন দিন কি হইবে, তুচ্ছ বাঙ্গালি হইয়া রণক্ষেত্রে এ শরীরপাত করিব?” কেহ বলে, “ভাই, এমন দিন কি হইবে, মসজিদ ভাঙ্গিয়া রাধামাধবের মন্দির গড়িব?” কেহ বলে, “ভাই, এমন দিন কি হইবে, আপনার ধন আপনি খাইব?” দশ সহস্র নরকণ্ঠের কল কল রব ……আর মধ্যে মধ্যে সেই সর্বজনমনোরম “বন্দে মাতরম্!”

[ আনন্দমঠ, তৃতীয় খণ্ড, অষ্টম পরিচ্ছেদ, ৬৯]

বঙ্কিম তার লেখা প্রায় সবকটি গালি ‘আনন্দমঠ’ উপন্যাসে মুসলমানদের উদ্দেশ্যে প্রয়োগ করেছে। ‘ম্লেচ্ছ' হতে শুরু করে ‘যবন’ পর্যন্ত। এমনকি প্রাচীনকালে বৌদ্ধদেরকে দেয়া ‘নেড়ে’ গালিটাকেও সে উহ্য রাখেনি। শুধু তাই নয়; তারা ম্লেচ্ছ, যবন, নেড়ে বলা ছাড়াও মুসলমানদেরকে পাষ-আত্মা, পাপিষ্ঠ, পাপাত্মা, দুরাত্মা, দূরাশয়, নরাধম, নরপিশাচ, পাতকী, বানর, এঁড়ে, দেড়ে, ধেড়ে, অজ্ঞান, অকৃতজ্ঞ, ইতর- এ জাতীয় কোনো গালিই দিতে বাদ দেয়নি।

আনন্দমঠে বঙ্কিমে খুবই নির্লজ্জভাবে ইংরেজ শাসনকে বৈধতা দিয়েছেন। উপন্যাসের চরিত্রের মুখে তিনি বলার চেষ্টা করেন ইংরেজ বাঙ্গালীর শত্রু নয় বরং মিত্র।

বঙ্কিম তার আনন্দমঠ, দেবী চৌধুরানী ইত্যাদি উপন্যাসে খুবই সফলতার সাথে তখনকার হিন্দু অভিজাতদের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশের রাজনৈতিক চিন্তাভাবনাকে তুলে ধরতে পেরেছিলেন, যারা ভারতে একটি হিন্দু রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথ সহজ করতে ব্রিটিশ উপনিবেশিক শাসনকে স্বাগত জানিয়েছিল এবং একই সাথে সার্বিকভাবে মুসলমানদেরকে ক্ষমতাহীন করতে সহায়তা করেছিল। অধিকন্তু, বঙ্কিম এমন একটি হিন্দু রাষ্ট্রের রাজনৈতিক এবং দার্শনিক রূপরেখা প্রস্তাব করেছিলেন, যার মতো একটি রাষ্ট্র ভারতে কায়েম হোক তা আগে থেকেই এ অঞ্চলের ইংরেজি-শিক্ষিত হিন্দু অভিজাতদের একটি অংশ চেয়ে আসছিল। হিন্দু অভিজাত শ্রেণীর সদস্যরা মুঘলদের ধ্বংসাবশেষের উপর দাঁড়িয়ে ব্রিটিশ উত্থানকে সব সময়ই ইতিবাচক হিসেবে মনে করে এসেছে। আর বঙ্কিমচন্দ্র এই চিন্তাকে তত্ত্বগত ভিত্তি দেয়ার চেষ্টা করেছেন।

১৮৮৮ সালে ‘ধর্মতত্ত্ব’তে তিনি লিখেছেন

‘স্বাধীনতা কোনো স্থানীয় ধারণা নয়; এটা ‘লিবার্টি’ এর অনুবাদ হিসেবে ইংল্যান্ড থেকে এসেছে। ‘স্বাধীনতা’র মানে এই নয় যে, রাজাকে বাধ্যতামূলকভাবে স্থানীয় কেউ হতে হবে। অনেক সময় স্থানীয় রাজাও স্বাধীনতার শত্রু হতে পারে। আবার কোনো বিদেশী রাজাও হতে পারে স্বাধীনতার বন্ধু।’

[বঙ্কিমচন্দ্র চট্টপাধ্যায়, ধর্মকথা, বঙ্কিম রচনাবলী: সাহিত্যসমগ্র, তুলি-কলম, কলকাতা, ১৩৯৩ বাংলা, পৃষ্ঠা ৬০৯]

সে সময়ের মুসলিমবিদ্বেষী হিন্দু অভিজাতদের সবচেয়ে প্রভাবশালী বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতিনিধি বঙ্কিম কোনো দ্বিধা ছাড়াই স্বীকার করেছেন:

”মুসলিম শাসনের পর যখন ব্রিটিশরা শাসক হল তখন হিন্দুরা নীরব থাকলো। বাস্তবে হিন্দুরাই ব্রিটিশদেরকে শাসনভার গ্রহণ করতে ডেকে নিয়ে এসেছিল। হিন্দু সৈন্যরা ব্রিটিশদের পক্ষ হয়ে (মুসলমানদের বিরুদ্ধে) লড়েছে। সৈন্যরা তাদের নিজেদের হিন্দু রাজ্যকে ইংরেজদের হাতে তুলে দিয়েছে। কারণ, ব্রিটিশদের ‘বিদেশী’ পরিচয়ের ব্যাপারে হিন্দুদের মনে কোনো বিদ্বেষ ছিল না। ভারত ব্রিটিশদের শাসনের প্রতি পূর্ণ আনুগত্যশীল থাকবে।“ ( একই সূত্র)
#From Facebook Post

মন্তব্য ৩৯ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৩৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


চলেন, বাকী হিন্দুদের বাংলাদেশ থেকে তারিয়ে দি্ই

১৩ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:৫০

বুরহানউদ্দীন শামস বলেছেন: কিসের মোধ্যে কি?
পান্তাভাতে ঘি!!!

২| ১৩ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:২৫

ইমরান আশফাক বলেছেন: বম্কিম যে মুসলমান বিদ্ধেষী সেটা সবাই জানে। তবে তার দুটি উপন্যাস "কপালকুন্ডলা" ও "দূর্গেশনন্দিনী" আমার খুবই প্রিয়। আর রবি ঠাকুরের কথা বলি, পূর্ব বংগে উনার বেশ কয়েকটা জমিদারী ছিলো এবং প্রজাদের অধিকাংশই ছিলো মুসলমান। তিনি এদের নিয়ে লেখালেখি তেমন একটা বা আদৌ করেননি।

১৩ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:০৯

বুরহানউদ্দীন শামস বলেছেন: ধন্যবাদ...
কোথাও যেন পড়েছি বিশ্বকবি রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর অত্যাচারী জমিদার ছিলেন....
রেফারেন্স টা দিতে পারলাম না , দুঃখিত...

৩| ১৩ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:৫২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: তিনি হিন্দু ধর্মের হয়ে মুসলিম বিদ্বেষ করতেই পারেন। কিন্তু আমাদের মুসলিম নামধারী বুদ্ধিজীবিদের ব্যপারে কী বলবেন, যারা মুসলিম হয়েও ইসলামকে নাক সিটকায়?

১৩ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৬

বুরহানউদ্দীন শামস বলেছেন: কোন জিনিসের সঠিক মুল্য তখনই বোঝা যাই, যখন সেটা কস্ট করে অর্জন করতে হয়। ইসলাম কে কস্টের মাধ্যমে পেলে তথাকথিত বুদ্ধিজীবিরাও সহজে সেটার মুল্যায়ন করত।।
ধন্যবাদ...

৪| ১৩ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ২:০১

রাকু হাসান বলেছেন: মনোযোগ দিয়ে পড়ার চেষ্টা করলাম ......যথার্থ লেখা । তথ্যসূত্র ও প্রমাণ সহ কিন্তু রবীন্দ্রনাথের মন্তব্য টা মেনে নিতে বেশ কষ্ট হচ্ছে । +++

১৩ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৮

বুরহানউদ্দীন শামস বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ ,
শুভকামনা রইল...

৫| ১৩ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৩:২৯

জাহিদ অনিক বলেছেন:
একজন সাহিত্যিকের ব্যবচ্ছেদ এইভাবে আর খুব একটা নেই এই ব্লগে। লেখাটা তাই প্রিয়তে রাখলাম। পড়ে আবার ফিরব সময় করে আবার পড়ে

১৩ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৮

বুরহানউদ্দীন শামস বলেছেন: ধন্যবাদ....

৬| ১৩ ই জুলাই, ২০১৮ ভোর ৬:১৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত বা তথ্যভিত্তিক লেখা, প্রিয়তে রাখলাম।

শুভকামনা জানবেন।

১৩ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৯

বুরহানউদ্দীন শামস বলেছেন: ধন্যবাদ...

৭| ১৩ ই জুলাই, ২০১৮ ভোর ৬:৪৫

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: আমি প্রিয়তে নেয়ার আগে দেখলুম ১, কমেন্টে দেখি দু'জন প্রিয়তে নেবার দাবী করেছেন। তাহলে ভুলে গেছেন কে?

১৩ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:০০

বুরহানউদ্দীন শামস বলেছেন:

৮| ১৩ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:৪২

হাইজেনবার্গ ০৬ বলেছেন: ‘“ওনেক সময় স্থানীয় রাজাও স্বাধীনতার শত্রু হতে পারে””— বইন্কা কি কইলো এইডা!!!!

১৩ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৬

বুরহানউদ্দীন শামস বলেছেন: ধন্যবাদ..
সাহিত্যিক মশায় কি কারনে বললেন তিনিই ভালো জানেন...

৯| ১৩ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:২০

করুণাধারা বলেছেন: পোস্টটিতে আপনি অনেক উদ্ধৃতি ও তথ্য দিয়েছেন, অনেক কিছু জানতে পারলাম। শেষ প্যারাটা খুবই ভালো লাগলো। এদেশে ব্রিটিশদের শাসন সম্পর্কে নতুন করে ভাবনার খোরাক দিলেন!! মুসলমানদেরকে হটাবার জন্য কেউ বিদেশিদের দাসত্ব মেনে নিতে পারে!! আলেকজান্ডার এর মত বলতে হয়, "সত্যি সেলুকাস, কি বিচিত্র এই দেশ"

অবশ্য এখনও অনেক সাহিত্যিকদের মধ্যে মুসলিম বিদ্বেষ দেখা যায়, যেমন শীর্ষেন্দু চট্টোপাধ্যায়। তার লেখাতে সূক্ষভাবে মুসলিম বিদ্বেষ প্রকাশ করেন।

তিন নাম্বার মন্তব্যকারীর সাথে আমি একমত, মুসলমান সাহিত্যিকদের লেখাতেই স্পষ্ট মুসলিম বিদ্বেষ দেখা যাচ্ছে সুতরাং অন‍্যরা
এমন করতেই পারে।

চমৎকার পোস্টে প্লাস!!!

১৩ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৪

বুরহানউদ্দীন শামস বলেছেন: ধন্যবাদ..
শুধু শীর্ষেন্দু চট্টোপাধ্যায় কেন, প্রত্যেক হিন্দু সাহিত্যিক দের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা একটু আধটু থাকে...
কেউ প্রকাশ করে আবার কেউ করে না । অবশ্য ব্যতিক্রম আছেন বটে।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল..

১০| ১৩ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৩৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ কি করি আজ ভেবে না পাই আপুকে ,

আমারই ভূল হয়েছিল। এখনই প্রিয়তে নিয়ে নিলাম।

লেখক ও মন্তব্যদাতা সকলকে আমার শুভেচ্ছা।

১৩ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:০০

বুরহানউদ্দীন শামস বলেছেন: ধন্যবাদ

১১| ১৩ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: কোনো মন্তব্য করবো না।
মন্তব্য করলে ঝগড়া লেগে যাবে।
শান্তি চাই।

১৩ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:০১

বুরহানউদ্দীন শামস বলেছেন: আমরা সবাই শান্তি চাই....

১২| ১৩ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৪৩

টারজান০০০০৭ বলেছেন: আপনার পোস্ট পাঁঠাদের সহ্য হইবে না , কারণ পাঁঠারা সবসময় মুসলমানদের মধ্যেই সাম্প্রদায়িক , মৌলবাদী , জঙ্গি খোঁজে ! যেন অন্য ধর্মের কেহ সাম্প্রদায়িক , মৌলবাদী , জঙ্গি হইতেই পারে না , পাঁঠারা তো পারেই না !!!

রবি ঠাকুরের প্রতিউত্তর বিবেচনার দাবি রাখে ! সাম্প্রদায়িক দোষে দুষ্ট সাহিত্যও রবি ঠাকুরের মতন লোকের কাছে জাতীয়তাবাদী চেতনায় গ্রহণযোগ্য হইলে বাকিদের কাছে বেদবাক্য হইবে ! জাতীয়তাবাদী চেতনায় সাম্প্রদায়িকতাও গ্রহণযোগ্য হইয়া যায় , ন্যায়-অন্যায় ভাসিয়া যায় ! একারণেই নরাধম মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়া আশ্চর্যের কিছু নহে ! বাবরি মসজিদ ভাঙ্গাকালে নরসিমা রাওয়ের নিষ্ক্রিয় থাকাও আশ্চর্য নহে ! সারাজীবন মানবতার গান গাহিয়া শেষ বয়সে ভুপেন হাজারিকার বিজেপির টিকিটে নির্বাচন করাও আশ্চর্যের নহে , আশ্চর্যের নহে প্রণব মুখার্জির সংঘের পরিবারে দাওয়াত গ্রহণ করা ! যাহারা উদার চিত্তে ওপারের দাদাদের সাহিত্য সংস্কৃতি গ্রহণ করিয়া থাকেন আর এপারের মুসলমানদের মৌলবাদী , সাম্প্রদায়িক বলিয়া মুণ্ডুপাত করিয়া থাকেন তাহারা রবি ঠাকুরের প্রতিউত্তর ভাবিয়া দেখিতে পারেন যে , রবি ঠাকুর সাহিত্য পর্যন্ত আলাদা করিতে বলিয়াছেন ! তিনি বস্তুতঃ আমাদের কবি হইতে চাহেন নাই ! আমরাই তাহাকে আমাদের কবি বানাইয়াছি ! এই জুলুমের প্রতিকার কোথায় ?

সাম্প্রদায়িক সাহিত্য যদি জাতীয় হইতে পারে, গ্রহণযোগ্য হইতে পারে, ক্ষুদিরাম, মঙ্গোল পান্ডের হত্যাকারী ইংরেজরে ব্লো জব দিয়াও বঙ্কিম যদি আদরণীয় হইতে পারে, তাহা হইলে মুসলমান কেন দোষী হইবে ? ছাগুদের কেন দোষ দেওয়া হইবে ?

দাদাদের সাহিত্য দাদাদের দেশেই বিলুপ্ত হইয়া যাইতেছে ! উহা টিকিয়া রহিয়াছে বাংলাদেশে ! খোদ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় নিজেই বলিয়াছেন , বাংলা শুধু বাংলাদেশেই টিকিয়া থাকিবে ! বঙ্কিমের এই সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্পও হয়ত রবি ঠাকুরের মতন অনুরাগীর কারণে টিকিয়া থাকিবে !

১৩ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:০৫

বুরহানউদ্দীন শামস বলেছেন: সাহিত্যের এপার ওপার বলে কিছু আছে নাকি...
সাহিত্য সাহিত্যই....
বাংলা ভাষা বিলুপ্তের জন্য হিন্দি আগ্রাসন ই দায়ি...
ধন্যবাদ আপনাকে...

১৩| ১৩ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:২৯

কিশোর মাইনু বলেছেন: এইধরণের গুটি কয়েক মানুষের কারণেই সাম্প্রদায়িকতা মাথা ছাড়া দিয়ে উটতে পারে।

১৩ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:০২

বুরহানউদ্দীন শামস বলেছেন: আপনার সাথে একমত....

১৪| ১৩ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:১১

করুণাধারা বলেছেন: আপনি প্রত্যেক মন্তব্যকারীর মন্তব্যে প্রতিমন্তব্য করেছেন, কেবল আমাকে বাদ দিয়ে। এটা চরম অসৌজন্যতা- হয়তো আপনার জানা নেই! ভবিষ্যতে আর কখনো আপনার ব্লগে মন্তব্য করার ভুল করবোনা।

১৩ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৫

বুরহানউদ্দীন শামস বলেছেন: আন্তরিক ভাবে দুঃখিত,মন্তব্যের প্রতিউত্তর বিলম্ব হওয়ার জন্য...

১৫| ১৩ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:২৮

চেংকু প্যাঁক বলেছেন: মাল্লুচদের আসল চেহারা ঐ বোংকিমের মতই। উপর দিয়া ভদ্দরনোকামির ভাব ধরে থাকে আরকি।

১৩ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৮

বুরহানউদ্দীন শামস বলেছেন: ঘটনা সত্য...
কলেজ লাইফে শুধুমাত্র মুসলিম হওয়ার কারনে ঘর ভাড়া দিতে রাজি হয়নি একজন....
ধন্যবাদ আপনাকে।

১৬| ১৩ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৪২

নতুন নকিব বলেছেন:



Very good post! Thanks with +++

১৪ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:২২

বুরহানউদ্দীন শামস বলেছেন: ধন্যবাদ...

১৭| ১৩ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:১৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: এই বিষয়ে পন্ডিত আহমদ ছফা একটা চমকপ্রদ তথ্য দিয়াছেন, তিনি বলিয়াছেন, বঙ্কিমচন্দ্র হাজি মুহম্মদ মুহসীন ফান্ডের বৃত্তি নিয়া লেখাপড়া করিয়াছিলেন। একজন ম্লেচ্ছ-মুছলমানের টাকায় পড়িতে বাধ্য হওয়ার গ্লানি তিনি জীবনভর ভূলিতে পারেননি। এই গ্লানি থেকে সৃষ্ট রাগ ও ক্ষোভের বহিপ্রকাশ হয়েছিল তাঁর লেখনীতে।

১৪ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:২৫

বুরহানউদ্দীন শামস বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

১৮| ১৩ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৫০

শকুন দৃিষ্ট বলেছেন: বঙ্কিম তুমি নামেও বঙ্কিম, কথা-কামে ও চিন্তায়ও বঙ্কিম!

১৪ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:২৬

বুরহানউদ্দীন শামস বলেছেন: একদম..
ধন্যবাদ ।
ভালো থাকবেন

১৯| ১৪ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৩৩

লোনার বলেছেন: আরো দেখুন:
view this link

১৪ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:২৬

বুরহানউদ্দীন শামস বলেছেন: ধন্যবাদ

২০| ১৫ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:০৩

টারজান০০০০৭ বলেছেন: সাহিত্যের এপার ওপার বলে কিছু আছে নাকি...
সাহিত্য সাহিত্যই....
বাংলা ভাষা বিলুপ্তের জন্য হিন্দি আগ্রাসন ই দায়ি...
ধন্যবাদ আপনাকে...


সাহিত্যের এপার ওপার বলিয়া কিছু নাই বটে, তবে রবি ঠাকুরের প্রতিউত্তর বলিতেছে সাহিত্যের হিন্দু-মুসলমান আছে ! তাই তিনি মুসলমানদের জন্য আলাদা সাহিত্য তৈরী করিতে বলিয়াছেন ! দুর্ভাগ্য আমাদের যে, আমাদের যাহারা সাহিত্যিক তাহারা বেশিরভাগই ঠাকুরের ক্ষুরেই মাথা কামানো, কেহ কেহ আরেক কাঠি বাড়িয়া বঙ্কিমের ক্ষুরে মাথা কামাইয়া মুসলমানের ইয়ে মারিবার চেষ্টা করিয়াছে !

ইহাদের প্রতিউত্তরে যেসব মুসলমান ভাবধারার সাহিত্যিক / কবি সাহিত্য রচনার চেষ্টা করিয়াছে তাহাদের বেশিরভাগই পশ্চিমা চশমায় দুনিয়া দেখা।ইহারা মুসলমানকে জাতে উঠাইতে চেষ্টা করিয়াছেন শিকড় হইতে বিচ্ছিন্ন করিয়া ! আরেক দল আছে যাহারা নিম্নমানের ছাগুসাহিত্য তৈরী করিয়াছে , ইহাদের কথা আর বলিতে চাহিনা !

বাংলাভাষা বিলুপ্তির জন্য হিন্দি আগ্রাসন দায়ী নহে , দায়ী তাহাদের দাসত্ব মানসিকতা।আপনি তামিলনাড়ুতে যান, দেখিতে পাইবেন হিন্দির আগ্রাসন ওরা লাথি মারিয়া ঠেকাইয়া দিয়াছে ! দাসত্ব মানসিকতার কারণেই ইহারা ইংরেজ প্রভুর পরে এখন হিন্দি প্রভুরে ব্লো জব দিতেছে, তাহাদের ভাষা ও সংস্কৃতিও আত্মস্থ করিতেছে !

বাংলাদেশে যদি ভাষার জাতীয়তাবোধ না থাকিত তাহা হইলে হিন্দি আগ্রাসন আমাদেরও খাইয়া ফেলিত ! অবশ্য ইংরেজি খাইতেছে ! আমাদের বুদ্ধুজীবী মহল উর্দু , হিন্দি, আরবি আগ্রাসন ঠেকাইতে যতখানি তৎপর ঠিক ততখানিই উদার ভাবে পশ্চাৎদেশ পাতিয়া দেয় ইংরেজিরে !!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.