নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গ্রহান্তরের বাসিন্দা

গ্রহান্তরের বাসিন্দা › বিস্তারিত পোস্টঃ

গণতন্ত্রের নানা রূপ নানা যুগের সবই আওয়ামী লীগ সর্ব শেষ উপহার হাসিনা ?

১৯ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:১৬



অনেকেই চীন-রাশিয়া গিয়ে সমাজতান্ত্রিক গণতন্ত্র দেখে এসেছেন। শেখ মুজিবুর রহমান জামানায় গণতন্ত্র ও সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি দেখেছেন।
আওয়ামী লীগ কিন্তু কখনোই সমাজতান্ত্রিক দল ছিল না। ভারতের সহযোগিতায় স্বাধীনতা বা মুক্তি লাভ করায় আমরা হয়ে গেলাম ভারত ও রাশিয়ার বন্ধু। ভারত একটি বড় পুঁজির দেশ। রাশিয়ার সাথে বন্ধুত্ব রক্ষা করতে সমাজতন্ত্রের ভাব ধরেছিল। চীনও সমাজতান্ত্রিক দেশ ছিল। এখনো সেখানে একদলীয় শাসনব্যবস্থা বহাল আছে। আর অর্থনীতিতে পুঁজিবাদী ভাব এসে গেছে। এখন আমেরিকা চীনের সবচেয়ে বড় বাজার। আমেরিকা চীনের সবচেয়ে বড় ঋণগ্রহীতা। আশপাশে যেসব দেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে উন্নতি লাভ করে বিশ্বব্যাপী সুনাম অর্জন করেছে, তারা ছিলেন স্বতন্ত্র এবং লক্ষ্যে স্থির। তাদের প্রত্যেকের রাষ্ট্রীয় দর্শন ছিল। বাংলাদেশ এখন একটি সঙ্কটের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছে।অবৈধ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বলছে, বাকশাল আগে গণতন্ত্র পরে।
আওয়ামী লীগের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম (বাবা মনসুর আলী ছিলেন একজন বিনীত ভদ্রলোক) বলেছেন, বাংলাদেশের জন্য অতিরিক্ত গণতন্ত্র ভালো নয়। এর মানে সীমিত গণতন্ত্রই যথেষ্ট। এসব কথা আইয়ুব খানও বলেছিলেন। তিনি নাম দিয়েছিলেন ‘মৌলিক গণতন্ত্র’। সেই গণতন্ত্রের অধীনেও আওয়ামী লীগ সংসদে ছিল। যখন সব রাজনৈতিক দল জোট বেঁধে বলেছিল তারা পার্টি রিভাইভ বা দলীয় কর্মসূচি শুরু করবেন না, তখন শেখ মুজিব আওয়ামী লীগকে রিভাইভ বা পুনরুজ্জীবিত করলেন। এর মানে আইয়ুবের অধীনে রাজনীতি করতে সবার আগে মাঠে নেমেছেন।
৫৬ সালে আওয়ামী লীগ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে ক্ষমতায় গেল। তখন বলা হলো পূর্ব পাকিস্তান বা বাঙালিরা ৯৮ ভাগ স্বায়ত্তশাসন পেয়ে গেছে। তখন কেন্দ্রে ক্ষমতার ভাগাভাগিতে বাঙালিদের শরিকানা ছিল মাত্র ২০ শতাংশ। পশ্চিম পাকিস্তানের ছিল ৮০ শতাংশ। পূর্ব পাকিস্তানে ক্ষমতায় ছিলেন আওয়ামী লীগের আতাউর রহমান খান। শেখ মুজিব ছিলেন একজন মন্ত্রী।
৫৪ সালে শেরে বাংলার নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্ট সরকার গঠিত হলে আওয়ামী লীগ ছিল এর বড় হিস্যাদার। তখনো তরুণ নেতা শেখ মুজিব মন্ত্রী ছিলেন। বর্তমানের কথা বলতে হলে পেছনের কথা স্বাভাবিকভাবেই সামনে চলে আসে। এক শ’ ভাগ পুঁজিবাদে বিশ্বাসী আওয়ামী লীগ বাংলাদেশ হওয়ার পর সমাজতন্ত্রী হয়ে গেল। পাকিস্তানিদের ফেলে যাওয়া সম্পদ, কলকারখানা, ব্যবসা-বাণিজ্য সরকার দখল করে নিলো সমাজতন্ত্রের কারণে। কিন্তু এসব কলকারখানা, বাবসা-বাণিজ্য চালানোর মতো কোনো শিক্ষা বা অভিজ্ঞতা সরকার বা আওয়ামী লীগের ছিল না। ফলে লুটপাটের অর্থনীতি চালু হয়েছিল। সেই সময় যারা পুঁজি বানিয়েছেন তাদের অনেকেই এখন পুঁজিপতি, বহু ব্যবসার মালিক। এমনকি বাঙালিদের কলকারখানাও সরকার দখল করে নিয়েছিল সমাজতন্ত্রের নামে। সেগুলো পরিচালনার দায়িত্ব নিলেন আমলা আর আওয়ামী লীগের দেশপ্রেমিক কর্মীরা।
বাংলাদেশের জন্মের শুরুতেই অর্থনীতির অবস্থা ছিল লুটপাটের। চোরের খনির সরদার শেখ মুজিবুর বলেছিলেন, চাটার দলে সব খেয়ে ফেলছে। দেশে হাহাকার পড়ে গিয়েছিল। শিশুদের দুধের জন্য লাইন দিতে হতো। জামাকাপড়ের জন্যও লাইন দিতে হয়েছে। কাপড়ের অভাবে বাসন্তীকে জাল পরতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত ’৭৪ সালের দুর্ভিক্ষে কয়েক লাখ মানুষ মারা যায়।
একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েমের প্রতিবাদে শুধু দু’জন সংসদ সদস্য পদত্যাগ করেছিলেন। গণতন্ত্রকে হত্যা করে একদলীয় শাসন চালু করে শেখ মুজিবুর।
এটা জাতি হিসেবে আমাদের দুর্ভাগ্য। এর আগে নিষিদ্ধ ডান ও বাম দলগুলোর একাংশ গোপনে থেকে নানা ধরনের আক্রমণ চালাতে থাকে। তার সাথে যোগ দিয়েছিল শেখ মুজিবুর ভক্ত জাসদ। তারা বিপ্লবের মাধ্যমে শেখ মুজিবকে উৎখাতের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। বিশ্বব্যাপী যখন সমাজতন্ত্রের অবসান হতে চলেছে তখন বাংলাদেশে সমাজতন্ত্রের নামে দেশের অর্থনীতিকে বিনাশের চক্রান্ত চলছিল। উদ্দেশ্য ছিল, বাংলাদেশকে ভারতের বাজার বানানো। সীমান্তে তখন মাড়োয়ারিদের কালোবাজারির উৎপাত চলছিল। ভারত যেমন ’৪৭ সাল থেকেই পাকিস্তানকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা শুরু করেছিল, তেমনি বাংলাদেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে এক শ’ ভাগ নিজেদের বাজার প্রতিষ্ঠা করার কারসাজি অব্যাহত রেখেছে। শেখ হাসিনা মনে করেন, ভারতের সাথে অনুগত বন্ধুত্বের সম্পর্ক রেখেই দেশ শাসন করতে হবে। তাতে ভারত খুশি থাকবে আর তিনি দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকতে পারবেন।
সামরিক সরকার সব সময় মৌলিক অধিকারগুলো খর্ব করেই দেশ পরিচালনা করে থাকে। তাদের মূল স্লোগান হলো, রাজনীতিকেরা ব্যর্থ হয়ে গেছে। তাই তাদের ক্ষমতা নিতে হয়েছে। বিশ্বব্যাপী সামরিক নেতারা এসব কথা বলেই ক্ষমতা দখল করে। অনেকেই মনে করেন, সেনাসমর্থক বা পরিচালিত জেনারেল মইনের তথাকথিত সিভিল সরকার ছিল মূলত দিল্লির সমর্থিত। নানা ধরনের নাটক করে তারা শেখ হাসিনার কাছে ক্ষমতা দিয়ে দেশত্যাগ করেছেন। এখন আর দেশে আসেন না। জেনারেল মাসুদ চুপচাপ দেশে অবস্থান করছেন নানা ধরনের সওদাগরি নিয়ে। দেশের বিরোধী দলগুলো, বিশেষ করে দেশনেত্রি বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি বাধ্য হয়েই ২০০৮-এর নির্বাচন মেনে নিয়েছিল। এর পরেই বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে শুরু হলো হামলা-মামলার রাজনীতি। দেশনেত্রি বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জেনারেল মইন ও মাসুদের করা সব মামলা এখনো জারি আছে।
সে সময়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা সব মামলাই তার নিজের সরকার প্রত্যাহার করে নিয়েছে। খালেদা জিয়ার দুই সন্তানের বিরুদ্ধে করা মামলাগুলোও জারি থাকল। তারা দেশত্যাগী হলেন। একজন বিদেশেই জীবন দিলেন। সেটা নিয়েও আওয়ামী লীগ বহু নাটক ও রাজনীতি করেছে। আজেবাজে কথা বলেছে। আরেকজনকে পঙ্গু করে বিদেশে পাঠানো হয়েছে। এখন তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে জবরদস্তি দেশে আনার চেষ্টা চলছে।
খালেদা জিয়াকে বিভিন্ন মামলা দিয়ে রাজনীতি থেকে নির্বাসনে পাঠানোর চেষ্টা চলছে। এক কথায় বলা যেতে পারে, দমননীতি ও পুলিশি ক্ষমতা দিয়ে এক ধরনের ‘নতুন গণতন্ত্র’ চালু হয়েছে বাংলাদেশে। বহু দলের পোশাকে একদলীয় গণতন্ত্র চালু হয়েছে। একদলীয় মতকে জোর করে দেশবাসীর ওপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা অব্যাহত আছে।
ভারতের সাফল্য হলো, বাংলাদেশের মানুষকে চিন্তার জগতে বিভক্ত করে রাখা। এক দল বলছে আমরা বাঙালি, আরেক দল বলছে আমরা বাংলাদেশী। এক দল বলছে আমরা ইসলামি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাস করি, আরেক দল ধর্মমুক্ত বাঙালি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাস করে। ধর্মমুক্ত আরবি নামধারী নাগরিকেরা দীর্ঘকাল ধরে ক্ষমতায় থাকতে চান দমননীতির মাধ্যমে। বাংলাদেশে এখন রাষ্ট্র আর নাগরিকেরা বিচ্ছিন্ন। রাষ্ট্র নিজেকে বাঁচানোর নামে সব নিপীড়ক আইন বহাল করেছে। যেমন করেছিল ব্রিটিশরা। যেমন করেছিল পাকিস্তানের সামরিক শাসকেরা। এখন রাজনীতি নিয়ে কথা বলেন পুলিশ ও বিজিবি নেতারাও। তারা নাকি গণতন্ত্র ও রাষ্ট্রকে বাঁচানোর জন্য জীবন দিচ্ছেন। শেখ হাসিনাকে সন্ত্রাসীরা হত্যা করতে পারে- এই স্লোগান তুলে জনগণের ওপর নিবর্তন দিন দিন বেড়ে চলেছে। গণতান্ত্রিক ধারায় সরকারের সমালোচনা করার সুযোগও দিন দিন সীমিত হয়ে যাচ্ছে। আমরা লেখকেরা সরকারের সমালোচনা করি ক্ষমতা দখলের জন্য নয়। আমাদের লক্ষ্য দেশকে ঐক্যবদ্ধ রাখা, গণতন্ত্রকে বিকশিত হতে সাহায্য করা। ক্ষমতায় কে বা কোন দল আসবে তা নির্ধারণ করবে একটি অবাধ স্বাধীন নির্বাচন। চলমান নির্বাচনগুলোকে দেশ-বিদেশ কেউই সমর্থন করে না।
কিন্তু সরকার বা আওয়ামী লীগ মনে করে, নির্বাচন ঠিক আছে। বরং নির্বাচনের সমালোচকদের আওয়ামী নেতারা অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করে থাকেন। বাংলাদেশে এখন বিরোধী দলের হাজার হাজার রাজনৈতিক কর্মী জেলে আছেন। বিএনপি ও জামায়াতের প্রায় সব নেতাই এখন জেলে আছেন। এদের বিরুদ্ধে বহু রকম মামলা। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে খুনের মামলা জারি হয়েছে। সরকারপ্রধানের কথাবার্তায় এটা দৃশ্যমানভাবেই প্রমাণিত হয়েছে যে, সরকার বা তিনি রাষ্ট্রের দমন ক্ষমতা ব্যবহার করে বিরোধী দল ও মতকে পরাস্ত করবেন। এখন তো মনে হচ্ছে, তিনি এ ব্যাপারে বেশ সাফল্য অর্জন করেছেন; যেমন সাফল্য অর্জন করেছিলেন জেনারেল আইয়ুব, জেনারেল ইয়াহিয়া ও জেনারেল এরশাদ।
আওয়ামী লীগ ও ভারতপন্থী ঘরানার লোকেরা জিয়াকে দেখতে পারেন না। আওয়ামী লীগ জিয়াকে শেখ মুজিবুর হত্যাকারী হিসেবে প্রচার করে। কিন্তু সে সময়ের সেনাপতি সফিউল্লাহকে আপন লোক মনে করেন। আমার মনে হয়, জিয়ার বিশাল জনপ্রিয়তাকে হেয় করার জন্যই আওয়ামী লীগ প্রচারণা চালায়।
জগতে একদল মানুষ ও সংগঠন আছে যারা মনে করে আধুনিক বিশ্বের প্রধান সমস্যা ইসলাম বা মুসলমান। ফলে ইসলাম হয়ে গেছে প্রধান আলোচ্য বিষয়। বাংলাদেশে সরকার ইসলাম ও জিয়াকে সেই দৃষ্টিতেই দেখে। অনেকেই বলেন, ইসলাম নয়, সন্ত্রাসী ও জঙ্গি মুসলমানেরা। একসময় কমিউনিজম ও কমিউনিস্টদের জগতের শত্রু মনে করা হতো। কমিউনিজম এখন বুড়ো হয়ে গেছে। মত ও আদর্শও ফ্যাকাশে হয়ে গেছে। আওয়ামী মজনুরা এখন মনে করেন খালেদা জিয়াও শেখ মুজিবুর হত্যার সাথে জড়িত। এ ধরনের প্রচারণার উদ্দেশ্য হলো বিএনপি ও ভিন্ন মতকে পরাজিত করা বা দেশের তিন চার কোটি মানুষের মতকে দমন করা।
আলোচনার বিষয় হচ্ছে গণতন্ত্রের স্থান কাল ও রূপ নিয়ে। আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিবুর গণতন্ত্রের রূপ কী রকম এবং সত্যিকারের গণতন্ত্রের চিন্তা ও ভাবনা কী রকম। শেখ মুজিবুর বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিরক্ত হয়ে ‘একদলীয় ও একমতের গণতন্ত্র’ বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
সবাই দেখছে, আপনি জীবিত, আসলে আপনি মৃত। তবে এ ধরনের গণতন্ত্র জগতে আরো বহু দেশে আছে বা ছিল। মার্কোস, জেনারেল সুহার্তো, পার্ক চুং হি, হোসনি মোবারক, সাদ্দাম ও গাদ্দাফি। সৌদি আরব, মিসর, জর্ডান বা মরক্কোতেও একধরনের গণতন্ত্র আছে। এসব দেশে ভিন্ন মত নেই বললেও চলে। গণতন্ত্রকে ত্যাগ করে সীমিত গণতন্ত্রের মাধ্যমে বহু দেশ উন্নতির পথে এগিয়ে যাওয়ার পথ ধরেছে। যেমন গণচীন, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও উত্তর কোরিয়া।
গণতন্ত্রকে বাদ দিয়ে কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থা দেশের মানুষকে অসহায় করে তোলে। শেখ হাসিনা এখন সে পথে পাকাপাকি চলতে শুরু করেছেন। তিনি বিরোধী দলকে নানাভাবে নিষ্ক্রিয় বা দমন করে রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। তবে আমি মনে করি, কারো রাজনৈতিক লক্ষ্য যদি হয় দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা তাহলে তো তিনি সাদ্দাম, গাদ্দাফি, হোসনি মোবারক, মার্কোস বা সুহার্তোর পথে চলতে পারেন। তিনি জানেন, বিরোধী দলকে দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতার বাইরে রাখতে পারলে তারা এমনিতেই দুর্বল হয়ে যাবে। সরকারের সমালোচক লেখক ও বুদ্ধিজীবীরাও নিস্তেজ হয়ে যাবেন। ধরে নেয়া হবে এটাই নিয়তি। তবে আধা গণতন্ত্র বা সিকি গণতন্ত্র ও দমননীতিতে অদৃশ্য শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে সরকার বদলের চেষ্টা করতে পারে। বিশাল ভারত বিভিন্ন অঞ্চলের সশস্ত্র বিদ্রোহীদের দমন করেছে বিগত ৬০ বছর। সিংহলের তামিল বিদ্রোহীদের সহায়তা দিয়েছে, সিকিমের সংসদে স্বাধীনতাবিরোধী, পরাধীনতার আইন পাস করিয়েছে। নেপালের রাজপরিবারকে উৎখাত করে ভারতীয় গণতন্ত্র চালু করেছে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও ভয় দেখিয়ে নিজেদের স্বার্থ আদায় করতে পারে। এর উদ্দেশ্য, দীর্ঘ মেয়াদে সরকারকে সহযোগিতা করা, বিরোধী দলকে দমন করে ক্ষমতাহীন করা ও শেখ হাসিনাকে দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় রাখার পথ সুগম করা।

গণতন্ত্র মুক্তি পাক
গর্জে উঠো বাংলাদেশ
জাগো বাংলাদেশ জাগো
বাকশাল মুক্ত গণতন্ত্র চাই
দেশকে বাঁচাতে
গণতন্ত্র মুক্তি পাক,
অবৈধ সরকার নিপাত যাক’
দেশবাঁচাও, মানুষবাঁচাও

মন্তব্য ০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.