নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গ্রহান্তরের বাসিন্দা

গ্রহান্তরের বাসিন্দা › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বপ্ন দেখতে বাঁধা নাই।

২০ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:১৩

কে বলেছে সমুদ্র সীমা মানতে হবে? বিশ্বের ক্ষমতাধর শক্তিগুলো কিন্তু মানছে না। তাদের যুক্তিতে যা সঠিক মনে হচ্ছে তারা তাই করছে। বিশেষত চীন।
চীন সাউথ চায়না সি তে অন্যান্য দেশের UNCLOS ২০০ মাইলের এক্সক্লুসিভ ইকোনোমিক যোন মানছে না, এইসব দেশের সাথে আমেরিকার দেশ রক্ষার চুক্তি আছে। ম্যাপ দেখুন, আসে পাশের সব প্রতিবেশি দেশের ঘাড় ধাক্কাচ্ছে চীন এখন। বলছে ঐতিহাসিক ভাবে সেই সব অঞ্চল তাদের। ১৯৪৭ এ জাতসঙ্ঘে জমাক্রিত ম্যাপে চীন নিজেই এই সব অঞ্চলকে নিজ সীমানার বাইরে দেখিয়েছিল, যা আজ নিজের বলে দাবী করছে। চীন এও বলছে, “সাউথ চায়না সি তে আমেরিকার কোন ব্যবসা নেই। আর অন্যান্য দাবিদার রাষ্ট্র যেন আমেরিকার কথায় কান না দেয় সেই দিকে সতর্কবানি দিচ্ছি।“......Brookings Institute.
আমেরিকা এখন হাস ফাঁস করছে, কারন ওই সব প্রতিবেশি দেশ তার বন্ধু রাষ্ট্র। সমুদ্র সম্পদে ভরা সাউথ চায়না সি তে আমেরিকার বিনা বাধায় ঘুরা ফিরা করার দিনকে এখন সিরিয়াসলি চ্যালেঞ্জ করছে চীন।
এটা খুব ইম্পরট্যান্ট মনে রাখা যে বিশ্বের অর্ধেকের বেশি কমার্শিয়াল এবং তেলবাহী জাহাজ এবং ট্যাংকার এই সাউথ চায়না সি দিয়েই যাতায়াত করে।
"Beijing is convinced that the flare-up of disputes in the East China Sea and the South China Sea reflects an underlying U.S. strategy to encourage others, especially Japan, Vietnam, and the Philippines, to push the envelope in the hopes the Chinese responses will lead those countries—and ASEAN—Maritime Boundary Claims in the South China Sea Keeping the South China Sea in Perspective to become more united and dependent on the United States." --- Foreign Policy Brief, Brookings Institute.



ম্যাপে স্প্র্যাটলি আইল্যান্ডস বা দ্বীপপুঞ্জ কে খেয়াল করুন। এখানকার ২৫ টি দ্বিপ ভিয়েতনামের দখলে, ৭-৮ টা করে দ্বিপ চীন আর ফিলিপাইনের দখলে, মালেসিয়ার দখলে ৪ টা আর তাইওয়ানের দখলে সবচেয়ে বড় ১ টা দ্বিপ। চীন ছাড়া বাকি সবই আমেরিকার বন্ধু রাষ্ট্র। এসবকে ঘিরেই আমেরিকা এবং চীন উভয় দেশ এখন তাদের মাসল ফ্লেক্স করছে। উল্লেখ্য এখানে চীনের একটি খুব ইম্পরট্যান্ট সাবমেরিন বেইস আছে।
চীন বলছে, "If the United States insists on publicly denying and routinely penetrating the 12-nm lines (around the Spratly Island), China simply cannot bear the costs of inaction."---The National Interest, Haotian Qi, June 18, 2015.
আজকাল চীন যখন তাদের সমুদ্র মহড়া দেয়, আসে পাশে অবস্থিত আমেরিকার জাহাজ গুলোর নাকের ডগায় চলে এসে ঠাট্টা করে। সিরিয়াস বিষয়, কিন্তু ভালই মজা। যেন কোন ভিডিও গেইমের সিন।
"রিসেন্ট বছরে চীন এবং আমেরিকার নৌ বাহিনীকে চীনের এক্সক্লুসিভ ইকোনোমিক যোন এলাকায় দুইবার গুরুতর ভাবে মোকাবিলা করতে দেখা গেছে।" ...Brookings Institute. এসব খবর সব সময় পাবলিক নিউজে আসে না।
একবার চিন্তা করুন আমাদের এই ধরনের ক্ষমতা থাকলে কি মজাটাই না হোতো আর আমরাও আমাদের প্রতি আগ্রাসী পরাশক্তিগুলোকে দুই হাত দেখিয়ে দিতাম। জোর করে ছিনিয়ে নিতাম যা ঐতিহাসিক ভাবে আমাদের।
হয়তো একদিন আমরাও তালপট্টি , যেই ৬৮% হাইড্রোকার্বন ব্লক এরিয়া ছেড়ে দিয়েছি এবং আজ যেই সমুদ্র সীমা রায় মেনে নিয়েছি তা অগ্রাহ্য করে ছিনিয়ে নিব যা ন্যায্যভাবে আমাদের।
কিন্তু তার আগে আমাদের দেশে আসতে হবে দেশপ্রেমিক সরকার। যাদের থাকবে নিজ স্বার্থের উর্ধে দেশের স্বার্থ। যারা দেশের বিশাল জনশক্তিকে কাজে লাগিয়ে গড়ে তুলবে দেশপ্রেমিক এবং শক্তিশালী এক বিশাল বাহিনী

আমার মনে হয় সব ঠিক আছে আমরাও পারব আমাদের আছে বিশাল দেশ প্রেমিক মানুষের দল । শুধু এদের সমর্থিত সরকার থাকলে কেও এই বাংলাদেশকে আটকাতে পারবে না ।


মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:৩২

মোঃ রাশেদ এয়াকুব বলেছেন: দরকার ঐক্য বদ্ধ জনগন জারা ১০০% দেশ প্রেমিক। তারপর সরকার এর কথা আসবে।

২২ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ২:৩৭

গ্রহান্তরের বাসিন্দা বলেছেন: তা বটে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.