নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আশা রাখো পৃথিবীর যতো অসম্ভবে

দীপংকর চন্দ

হায় চিল, সোনালি ডানার চিল, এই ভিজে মেঘের দুপুরেতুমি আর কেঁদো নাকো উড়ে উড়ে ধানসিড়ি নদীটির পাশে!

দীপংকর চন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছড়ার ছড়াছড়ি

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:৫৫



কোন এক কালে, ছড়াগুলো সব ছড়িয়ে পড়লো রাজ্যে। রাজা পড়লেন চিন্তায়। রাজার চিন্তা দেখে মহাচিন্তায় অস্থির যতো পারিষদ।
কী করা যায়? রাজা উচ্চারণ করলেন নিচুস্বরে, আনমনে।
সাথে সাথে পারিষদের বজ্রনিনাদ, তাইতো! কী করা যায়?
পারিষদের বজ্রনিনাদে ভীষণ বিরক্ত হলেন রাজা। গলা সপ্তমে তুললেন তিনি, বললেন উপস্থিত পারিষদের উদ্দেশ্যে রাগতস্বরে, কী করা যায় সেই কর্তব্য স্থির করার জন্য আপনারা রয়েছেন। তা না করে আমার কথার সুরে সুর মেলালেন কোন সাহসে? কোতয়াল গর্দান নাও সকলের।
কোতয়াল গর্দান নেবার জন্য তো এক পায়ে দাঁড়িয়ে। কিন্তু সমস্যা হল দেশের সমস্ত তরবারি উড়িয়ে নিয়ে গেছে দুষ্টু ঝড়!
কোতয়াল মুখ কাঁচুমাচু করে সে কথা জানাতেই রাজা ক্ষিপ্ত হলেন ভীষণ। তিনি তৎক্ষণাৎ আদেশ দিলেন, দুষ্টু ঝড়টাকে এখুনি বেঁধে আনো, যাও।
দেশের সমস্ত সৈন্যসামন্ত নিয়ে ঝড়কে বেঁধে আনতে ছুটলো কোতয়াল। হন্যে হয়ে সকলে খুঁজতে লাগলো ঝড়কে। কিন্তু ঝড়কে কেউ খুঁজে পেলে তো! অথচ খালি হাতে ফেরা যাবে না রাজার কাছে।
কী করা যায়? ঘর্মাক্ত কোতয়াল বাধ্য হয়ে বললেন শেষপর্যন্ত, হাতের কাছে যাকে পাও তাকেই ধরো।
সৈন্যসামন্তরা হাতের কাছে পেলো গোঁফদাড়িতে মুখ ঢাকা একজন মানুষকে।
তাকেই ধরলো তারা। ধরে বেঁধে নিয়ে এলো রাজদরবারে।
রাজা তো বেজায় খুশি! আচ্ছা! এই বুঝি সেই দুষ্টু ঝড়?
গোঁফদাড়িতে মুখ ঢাকা মানুষটা মিটিমিটি হেসে জবাব দিলো, না, আমি ঝড় নই, আমি হচ্ছি ‘পর’।
‘পর’ মানে! বিস্মিত রাজার জিজ্ঞাসা।
পর মানে, আপন নই কারো। তবে সমস্যা যদি থাকে দেশে, সমাধান দিতে পারি নিমেষে।
রাজা বললেন, সাধু! সাধু! বিশাল সমস্যায় আছি রে ভাই। সমাধান চাই।
আমাদের ছড়াগুলো সব ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্য জুড়ে। কী করি বলো তো এখন?
গোঁফদাড়িতে মুখ ঢাকা মানুষটি মুচকি হাসলো আবার, বললো, সমাধান সোজা। ছড়াগুলোকে থাকতে দিন ছড়িয়ে। কোন সমস্যা তো হবেই না, বরং মন ভাল হবে সকলের।
আরে! এতো সহজ সমাধান! এতো সহজে বাঁচলো দেশের মান!
খুশি রাজার মন। খুশি পারিষদ, সৈন্যসামন্তগণ।
থাক তবে ছড়িয়েই থাক ছড়াগুলো।
সেদিন থেকে রাজ্য জুড়ে ছড়া আর ছড়া।
যাকে বলে একেবারে ছড়ার ছড়াছড়ি!


প্রকাশক: আগামী প্রকাশনী
প্যাভিলিয়ন ১০
প্রচ্ছদ ও অলংকরণ: রাজীব দত্ত

সকলের আশীর্বাদ এবং ভালোবাসা প্রার্থনা রইলো।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:২৮

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ছড়ার ছড়াছড়ি,
দীপংকর দা কে পাচ্ছি,
আগামী প্রকাশনীতে আসছি,
মনে মনে দাদার দর্শন চাচ্ছি ।

অনেক অনেক শুভকামনা ।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫০

দীপংকর চন্দ বলেছেন: উপস্থিতিতে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা সুলেখক।

শুভকামনা। অনেক অনেক শুভকামনা।

অনেক অনেক ভালো থাকবেন সবসময়। অনেক ভালো।

২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৩১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: অভিনন্দন ও শুভকামনা রইলো।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫১

দীপংকর চন্দ বলেছেন: কৃতজ্ঞতা। অনেক। অনেক।

আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন কবি।

ভালো থাকবেন। অনেক ভালো। সবসময়।

৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: ছড়া পড়তে আমার ভীষন ভালো লাগে।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৪

দীপংকর চন্দ বলেছেন: উপস্থিতিতে কৃতজ্ঞতা। অনেক কৃতজ্ঞতা।

শুভকামনা। অনিঃশেষ।

ভালো থাকবেন সবসময়। অনেক অনেক ভালো।

৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:২৯

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: খুব মজা পেলাম আইডিয়াটি। পড়ার আগ্রহ জাগছে।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৮

দীপংকর চন্দ বলেছেন: কৃতজ্ঞতা জানবেন উপস্থিতিতে। অনেক।

জানবেন শুভকামনা। অনিঃশেষ।

ভালো থাকবেন। অনেক অনেক ভালো। সবসময়।

৫| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:১৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: দীপংকর চন্দ ,




গোঁফ দাড়িওয়ালা সেই লোকটা এ্যাদ্দিন পর ঝড়ের মতো এসেই বললো , ছড়িয়ে দাও সব ছড়া ।
কিন্তু কিছু কিছু ত্যাদোড় ছড়ারা নিজেদেরকে ছড়িয়ে যেতে দিতে চাইলোনা, বিদ্রোহ করে বসলো । গোঁফ দাড়িওয়ালা সেই লোকটা সেই দুষ্টু আর অবাধ্য ছড়াগুলোকে একত্রে বেঁধে সেঁটে দিলো বইয়ের পাতায় । থাক তোরা এখানে বন্দী হয়ে । এই রাজ্যে তোদের থাকা তো চলবেনা , তোরা থাক গিয়ে বইয়ের রাজ্যে । সেই থেকে ছড়াগুলো নিয়ে বইখানা উঠলো গিয়ে বই মেলার রাজ্যে ...............

চমৎকার এই গল্পটার অন্য সংস্করণ প্রকাশ করলুম !

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:০৭

দীপংকর চন্দ বলেছেন: হা হা হা হা

আপনার গল্পটা অনেক বেশি যৌক্তিক বরং।

"এ্যাদ্দিন"-এ নানা ঘটনা প্রবাহে আক্রান্ত আমি। আকস্মিক পিতৃবিয়োগ, মায়ের আইসিইউতে ভর্তি থাকা দীর্ঘসময়, অনেকগুলো শূন্যতার হিসেব মেলাতে পারছি না কিছুতেই। থাক এসব কথা। দুঃখ একান্ত নিজের। ভাগ করে নিতে হয় সুখ, সবার সাথে।

অনেক কৃতজ্ঞতা উপস্থিতিতে।

অনেক অনেক শুভকামনা শ্রদ্ধেয়।

ভালো থাকবেন। সবসময়। অনেক ভালো।

৬| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৩৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: দীপংকর চন্দ ,




এতো এতো বেদনাবিধুর দিন পেরিয়েও যে ব্লগে এসেছেন, পোস্ট দিয়েছেন এবং প্রতিমন্তব্যও করেছেন সেজন্যে আন্তরিক ধন্যবাদ ।
আপনার দুঃখের দিনে সহযাত্রী হতে না পারলেও এই শূন্যতার দিনগুলির সমব্যথী হয়ে রইলুম । ঈশ্বর আপনাকে স্থিত করবেন নিশ্চয়ই , এই বিশ্বাসে ...................



২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:২৯

দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ জানবেন।

জীবন থেমে নেই। থাকেও না। ব্লগে আসা না-আসার সাথে একান্ত ব্যক্তিগত কথন মিলিয়ে ফেলা ঠিক হবে না। আসলে ব্লগ যে পরিমান মনোযোগ দাবী করে, সে ধরনের মানসিক অবস্থায় আমি নেই আদতে। অমনোযোগ, অবহেলা যদ্দুর সম্ভব এড়িয়ে যেতে চাই আমি। ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন বিষয়টিকে।

অনেক অনেক শুভকামনা শ্রদ্ধেয়।

অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.