নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

রোহিংগাদের নামের সাথে মুসলিম লাগানোতে বিশ্বের সমর্থন কমেছে

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১০



রোহিংগাদের ব্যাপারে ইউরোপ, কানাডা, জাপান এবার বড় ধরণের কোন প্রতিবাদ জানায়নি; পুটিনও সরাসরি কিছু বলেনি; পুটিন সেসনিয়ায় মুসলমানদের হত্যা করে স্বাধীনতার সংগ্রাম থামায়েছে; মাঝে মাঝে মস্কো ঝটিকা আক্রমণের শিকার হয়েছে; তাই মুসলমানদের ব্যাপারে পুটিন চুপ; গত কয়েক বছরে ইউরোপে যা ঘটেছে, তারা এখন মুসলমানদের হয়ে কিছু বলবে না। ইরান ও তুরস্ক রোহিংগাদের হয়ে কথা বলেছে; কিন্তু তারা ইহাকে "মুসলিম" গণহত্যা বলেছে; ইরান কারো পক্ষে কিছু বললে, ইউরোপ, আমেরিকা ও কানাডা সেই পক্ষে না থাকারই কথা; তুরস্কও ক্রমেই ইউরোপিয়ানদের থেকে দুরে সরে যাচ্ছে; ফলে, তুরস্ক যেদিকে যাবে, ইউরোপ সেই দিকে আর যাবে না। সবকিছু মিলে রোহিংগাদের নামের সামনে "মুসলিম" লাগানোতে রোহিংগাদের লাভ হয়নি।

পুর্ব এশিয়া ও মোদির ভারতও এখন আর মুসলমানদের ফ্যান নয়; বার্মা নিজেই রোহিংগাদের "বাংলাদেশী" বলছে, মুসলিম বলেনি; ব্লগে বেশীর ভাগই মুসলমান হিসেবে রোহিংগাদের সম্বোধন করেছে; পুরো রোহিংগা সম্প্রদায় মুসলিম না হলে, ফেসবুক ও ব্লগের সমর্থন পেতো কিনা সন্দেহ আছে!

রোহিংগাদের বড় অংশ এখন বাংলাদেশে চলে এসেছে; তারা আপাতত নিরাপদ, কিন্তু রিফিউজী। রোহিংগা সমস্যার সমাধান সহজ হবে না; কারণ, চীন বার্মার অর্থনীতিতে পুরোপুরি প্রবেশ করেছে, আসলে বার্মিজেরা একদিন চীনাদের কর্মচারী হিসেবে জীবিকা অর্জন করবে; চীন নিজ দেশে মুসলমানদের গেরিলা যুদ্ধ ঠেকাচ্ছে; ওদিকে পুটিন মুসলমানদের হয়ে কিছু বলবে না; ইউরোপ এখন মুসলমানদের হয়ে জাতি সংঘে গলা খুলে কাশবে না; কানাডা ও আমেরিকা চুপ থাকবে। "মুসলিম" শব্দ যোগ করার পর, আমেরিকার সাধারণ মানুষের সমর্থনও থাকবে না।

ইরান ও তুরস্ক রোহিংগা-গণহত্যা বললেই ঠিক হতো; মুসলিম গণহত্যা বলায়, যথাসম্ভব, রোহিংগাদের ক্ষতি হয়েছে।


মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ভাল কথা বলেছেন । রোহিঙ্গা ইস্যুটিকে বহবিধভাবে বাবহার করার একটি আন্তর্জাতিক পায়তারা চলছে বলেই মনে হচ্ছে । এই সমস্যার সহজ কোন সমাধান হবে বলে মনে হয়না । এদেরকে মানবিক কারণে অআশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ উঠে এসেছে বিশ্ব আলোচনার পাদপিঠে । যারা বাংলাদেশকে চিনতনা তারা বাংলাদেশকে অআজ চিনতে পারছে একটি মাবতাবাদী শান্তির দেশ হিসাবে ।

রোহিঙ্গাদেরকে শুধু মুসলিম না ভেবে একটি মানব জনগুষ্ঠি বিবেচনা করে আপদ না ভেবে মানবসম্পদে কিভাবে পরিনত করা যায় সে বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করাই এখন সঙ্গত বলে হয় ।

এদেরকে মানব সম্পদে পরিনত করতে পারলে সকলের জন্যই ভাল । এদেরকে দেশ হতে বিতারনের বিষয়ে ইউরূপ ,আমিরিকা, কানাডার কোন উদ্বেগ নাই এটা সত্য , তবে বিতারিত রোহিঙ্গাদের জন্য তারা কিছু সাহায্য করতে প্রস্তুত বলেই দেখা যায় । তাই এদেরকে দেশী বিদেশী সাহায্যে দক্ষ মানব সম্পদে পরিনত করে জোর কুটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে তাদের নীজ দেশ আরাকানে ফেরত পাঠালে এতে বাংলাদেশের সুনাম হবে , রোহিঙ্গাগারাও একটি শিক্ষিত জাতিতে পরিনত হতে পারবে । মিয়ানমার ও তার মুরুব্বীরা যত খেলাই দেখাকনা কেন রোহিঙ্গারা একদিন তাদের নীজভুমে ফিরে যাবেই । আল্লার কাছে দোয়া করি তারা যেন খুব শীঘ্রই নীজ দেশে ফিরে যেতে পারে । সর্ব শক্তিমান ও মহাবিজ্ঞ আল্লাহ যা জানেন মানুষ তা জানেনা । কার যে কখন লোটা কম্বল নিয়ে রাস্তায় বেরুতে হবে কেও তা জানেনা । মহুর্তে একটি মহাদেশ চলে যায় মহাসাগরের তলে। সকালবেলায় আমীর যে ভাই , ফকীর সে সন্ধা বেলায় , এমন ভুরী প্রমান রয়ে গেছে যুগ যুগ ধরে । মিয়ানমার খাদ্য রফতানীকারক দেশ হলেও তারা মাত্র ২ লক্ষ টনের মত তথা মাত্র ৫০ কোটি ডলারের চাউল রপ্তানী করে Click This Link . এটা এমন আহমরি কিছু নয় । আরাকান হতে বিতারিত এই রোহিঙ্গারা মুলত সবাই কৃষিজীবী । এই সংখ্যাটা কমে আসায় আরাকান এলাকার কৃষি উৎপাদের উপর খুবই বিরোপ প্রভাব পড়বে বলে ধরে নেয়া যায় । খাদ্য রপ্তানীকারক দেশ খাদ্য ঘাটতীর দেশে পরিনত হতে বেশি সময় লাগবেনা । এছাড়া মিয়ানমারে রয়েছে আরো বহুবিদ নিজস্ব সমস্যা বিশেষ করে, আফিম ও পপি চাষের সমস্যা । তাদের দেশের বিভিন্ন এলাকার কৃষকেরা বিশেষ করে শান প্রদেশের কৃষকেরা ধান চাষের পরিবর্তে পপির চাষেই বেশি উৎসাহী , আর এতে বেশী সহায়তা করছে আন্তর্জাতিক সিন্ডিকেট যার মধ্যে চীনারাই প্রধান ভুমিকা পালন করছে । বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অবৈধ ড্রাগ উৎপাদন ও পাচারকারী হিসাবে দুনিয়ার তাবত অশুভ শক্তির প্রভাব হতে মিয়ানমার কোনকালেই আর বেরিয়ে আসতে পারবেনা । তাদের মিলিটারী, পুলিশ ও সরকারী আমলারা এই ড্রাগ উৎপাদন ও চোরাচালানের সাথে সরাসরি যুক্ত । অতএব তোমাকে বধিবে যে, নকুলে বাড়িছে সে , তাই তার তার পতন রোধিবে কে । কথায় বলে ওরে কেরামত পারবেনা কেও করতে তোকে মেরামত । চীন ভারতের তেলেসমাতি বুমেরাং হয়ে যেতে পারে আল্লার কৌশলের কাছে ।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


কানাডা, জাপান, ইউরোপ সাহায্য করবে; বাংলাদেশ সরকার তার একাংশ লুকায়ে ফেলবে। বাংলাদেশ নিজের মানুষকে "অদক্ষ" শ্রমিক হিসেবে আদম বেপারীর হাতে তুলে দিয়েছে; সেখানে রোহিংগাদের মানব-সম্পদের পরিণত করার কথা ভাবা কঠিন ব্যাপার। অবস্হা শান্ত হলে কিছু রোহিংগা ফেরত যাবে।

২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৮

সেয়ানা পাগল বলেছেন: রোহিঙ্গা-বিতর্কের মধ্যেই হাজোং ও চাকমা উপজাতির শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল ভারত সরকার। পাঁচ দশক আগে তত্‍‌কালীন পূর্ব পাকিস্তান থেকে হাজোং ও চাকমা শরণার্থীরা ভারতে আসে। এদের বেশিরভাগেরই অরুণাচল প্রদেশের শরণার্থী শিবিরে বাস। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে এই দুই উপজাতির শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র।
বাংলাদেশের চিটাগাওঁয়ের পাহাড়ি এলাকায় বসবাস করত হাজোং ও চাকমারা। ধর্মের দিক থেকে চাকমারা হল বৌদ্ধ এবং হাজোংরা হিন্দু। ১৯৬০-এ ক্যাপিটাল ড্যাম প্রজেক্ট-এর জন্য এদের ঘরবাড়ি ভেসে গেলে তত্‍কালী অসমের অন্তর্গত (বর্তমানে মিজোরাম) লুসহাই হিলস জেলা দিয়ে এরা ভারতে ঢোকে।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভালো কাজ করেছে, ভারতের যায়গার অভাব নেই; চাকমা হাজংরা নাগরিকত্ব পেলে ভালো হলো।

৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫০

সেয়ানা পাগল বলেছেন: এই দুই জনজাতির শরনার্থীর সংখ্যা ১৯৬৫-৬৯ এ পাঁচ হাজার থেকে বেড়ে বর্তমানে ১ লক্ষে পৌঁছেছে।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমাদের পার্বত্য এলাকা থেকে অনেক মানুষ পালিয়ে গেছে ভারতে; ওখানে যায়গা আছে, মানুষ শান্তিতে থাকুক।

৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৫

মলাসইলমুইনা বলেছেন: এখনকার পরিস্থিতিতে আপনি বিশ্বশক্তিগুলোর রোহিঙ্গাদের সমর্থন না করার ব্যাপারে আপনি যা বলেছেন তার সাথে একমত হলাম | কিন্তু তবুও মনে করি "রোহিঙ্গা মুসলিম" না বললেও এই বর্বরতা হতোই | এতো নাইন ইলেভেনের পরের বিশ্বেই প্রথম হলো না | রোহিঙ্গারা প্রথম বাংলাদেশে এসেছিলো আমার মনে হয় আটাত্তর সালে | তখনতো ইসলামিক টেররিস্ট ইস্যু ছিল না, তবুও তাদের বর্বরতার স্বীকার হতে হয়েছিল | চীনকে এই ইস্যুতে পাশে না পাওয়াটা একটা বড় ক্ষতি হয়ে গেলো | বার্মাকে থামাতে বিশ্ব শক্তি টক্তি না, চিনই হতে পারতো সবচেয়ে বড় সহায়ক (উত্তর কোরিয়ার উদাহরণটা আছে বলে বলছি) | আমাদের সরকারের এক্সট্রিম ভারতমিত্রতা সেই সুযোগটা পুরোপুরি নষ্ট করে দিয়েছে এখন |

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



ভারত আমাদের প্রতিবেশী, ভারতের সাথে প্রাকৃতিকভাবে আমরা যুক্ত; আমাদের রাজনৈতিক যুদ্ধ আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোকে অন্যদের উপর নির্ভরশীল করে ফেলেছে; এজন্য নতুন প্রজন্মকে নিজ পায়ে দাঁড়াতে হবে।

চীন বার্মার অর্থনীতিকে গিলে ফেলবে; বার্মার মগেরা চীনাদের কাজ করবে নিজ দেশে বসে।

৫| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৩

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: পশ্চিমা এখানে তেমন কিছু বলবেনা। কারণ এখানে কিছু বললে তেমন কিছু ফায়দা হাছিল(লাভবান) হবেনা। পুতিন এখানে চুপ থাকা স্বাভাবিক। সে এ উছিলায় মানবতার ফেরিওয়ালাদের ভণ্ডামিরর মুখ কিছুটা হলেও দেখাতে চায়।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


অকারণে সবকিছুতে মুসলিম যোগ করার সময় এখন আর নেই

৬| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১২

ফয়েজ উল্লাহ রবি বলেছেন: এই সব কিছুর পেছনে খেল চলছে, আমরা মুসলমানরা আবেগ দিয়ে ভাবি তাই রোহিঙ্গাদের আগে মুসলিম যোগ করে দিয়েছি মানুষ বলার আগেই, কিছু দিন আগে এক নিউজে দেখলাম কিছু হিন্দু শরনার্থী হয়ে এসেছে। বড় দুঃখ হয় যে জাতী শান্তির বাণী বহন করে, সেই মুসলমান এখন বিশ্বের চোখে ক্রিমিনাল।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



বিশ্বে "বর্তমান"টা হলো আসল; বর্তমান বিশ্বে মুসলমানদের ভুমিকা অন্যদের তুলনায় অনেক পেছেন; সেটাকে মাথায় রাখলে জীবন একটু সহজ হবে।

৭| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৭

চিন্তিত নিরন্তর বলেছেন: তুরস্ক ইরান মুসলিমদের নেতা হতে চায়। ওরা শিক্ষিত জাতি। সৌদিকে আর কেউ গোনে না।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:


ইরান আর নেতা হতে পারবে না; এরেদোগান দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকায় ইউরোপে তুরস্কের মান সন্মান কমছে, ফলে সুবিধা হবে না; মুসলিম প্রধান দেশগুলো মাঝে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের অবস্হান এখন ভালো।

৮| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১৮

প্রজ্জলিত মেশকাত বলেছেন: সহমত গাজী কাকু।।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


বিশ্ব পরিস্হিতি না বুঝে ইরান, তুরস্ক ও বাংগালীরা "মুসলিম" পরিচয় নিয়ে লেগে যান; এখন এই পরিচয় সব যায়গায় কাজ করবে না

৯| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৪

ধ্রুবক আলো বলেছেন: মুসলিম দেশগুলো অন্তত ক্ষমতাশালী দেশগুলো এক হয়ে এই ইস্যুতে এগিয়ে আসলেই সমস্যা সমাধান করতে অন্য দেশের প্রয়োজন পড়ে না।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


বিশ্বে ধর্ম এখন আর দেশ ও জাতিদেরকে এক করতে পারবে না; তা'হলে রাশিয়া ও আমেরিকা এক হয়ে কাজ করতে পারতো, জাপান, চীন, ২ কোরিয়া একমত হতে পারতো; বিশ্ব রাজনীতিতে ধর্ম এখন পেছনের সারিতে; বিশেষ করে মুসলিম ধর্মের মাঝে বিভাজনের উপকরণ অনেক বেশী।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.