নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

১০০ বছর আগে রাশিয়ার মানুষেরা ১ বড় বিপ্লব করেছিল।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩৪



১৯১৭ সালের ৭ ই নভেম্বর রাশিয়ান সাধরণ মানুষ: কৃষক ও শ্রমিক মিলে এক বড় বিপ্লব করেছিল; তারা তাদের জার(সম্রাট) ও জারের সৈন্য বাহিনীকে পরাজিত করে ক্ষমতা দখল করে সাধারণ মানুষের সোস্যালিষ্ট সরকার গঠন করেছিল। রাশিয়ায় তখন রাজতন্ত্র চলছিলো, দেশটি ইউরোপের মাঝে বেশ পেছনে পড়েছিল; যদিও প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর ছিলো দেশটি, জারের সরকার এসব সম্পদ আহরণ করার মত শক্তিশালী ছিলো না, তারা মোটামুটি কৃষির উপর নির্ভরশীল ছিলো, কিছু প্রয়োজনীয় কলকারখানাও ছিলো, খনি ছিলো। সাধারণ মানুষ জমির মালিক ছিলো না, জমির মালিক ছিলো জমিদারেরা; আমাদের বৃটিশ আমলের মতো; আসলে, আমাদের জমিদারদের থেকে একটু ভিন্ন ছিলো,বেশীরভাগ মানুষের নিজস্ব থাকার বাড়ী ছিলো না, বাড়ীগুলোও জমিদারের ছিল; মানুষ জমিদারের জমি চাষ করতো; কোন কারণে জমিদার পছন্দ না করলে, তাদের চলে যেতে হতো, নতুন জমিদার খুঁজে সেখানে থাকার ব্যবস্হা করতে হতো। রাশিয়া শীত-প্রধান দেশ, যেখানে সেখানে থাকা সম্ভব ছিলো না; দেশ বিশাল হলেও মানুষকে এক যায়গায় জড়ো থাকতে হতো; জমিদারদের থেকে পালিয়ে থাকার উপায় ছিলো না; জমিদারেরা মানুষকে লেখাপড়ার সুযোগ দিতো না; অশিক্ষা ও শীত প্রধান দেশ হওয়ায় মানুষ মদাসক্ত ছিলো, এতে সমাজ বেশ পেছনে পড়েছিল।

বিপ্লবটি হয়েছিল কম্যুনিষ্ট পার্টির নেতৃত্বে; আমরা কম্যুনিষ্টদের তেমন পছন্দ করি না, এরা নাস্তিক পাস্তিক, আমরা হলাম খোদার সিলেক্টেড লোকজন। সাধারণ রাশিয়ানরা আমাদের চেয়েও বেশী ধর্মীয় ছিলো এক সময়, তারা তাদের জার ও চার্চের পুরোহিত'দের "বাবা" ডাকতো, কারণ ওরা খোদার লোকজন। কম্যুনিষ্টরা চার্চের লোকজনদের পছন্দ করতো না; কারণ, চার্চ বলতো যে, জারতন্ত্রের সমালোচনা করা যাবে না, জারের বিপক্ষে যাওয়া মানে খোদার বিপক্ষে যাওয়া; চার্চের এই দালালীর কারণে সাধারণ মানুষ ক্রমেই চার্চের লোকদের উপর বিরক্ত হয়ে উঠে; ফলে, বিপ্লবের পরে, তারা চার্চগুলো বন্ধ করে দেয়; এই জন্যই রাশিয়ার বেশীর ভাগ লোক শেষ চার্চ মার্চ নিয়ে মাথা ঘামতো না।

বিপ্লবের নেত্বত্ব ছিল ভ্লাদিমির লেনিন; ইনি শিক্ষিত লোক ছিলেন, তিনি মানুষকে মার্ক্সের তত্ব বুঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন; তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে, মানুষ জারের অধীনে দরিদ্র জীবন যাপন করতে বাধ্য, কারণ দেশের মালিকানা ও সম্পদ খুবই সামান্য কিছু পরিবারের হাতে; এত সামান্য মানুষের হাতে এত বেশী সম্পদ পড়ে থাকলে বাকীদের ভাগে তেমন কিছু পড়ার কথা নয়; কিন্তু রাশিয়া বিরাট দেশ ও সবার জন্য যথেষ্ট সম্পদ আছে। তিনি সাধারণ মানুষের গণতান্ত্রিক সরকার ও সম্পদের উপর সব মানুষের সমান অধিকারের তত্ব নিয়ে বই লেখেন, ও সাধারণ মানুষকে বুঝাতে সক্ষম হন। ১৯১৭ সাল থেকে শুরু করে, মানুষ এক উন্নত সমাজ ব্যবস্হা গড়ে তুলেছিল; সামান্য কৃষি প্রধান দেশ থেকে দেশটি বিশ্বের ২য় ক্ষমতাশালী দেশে পরিণত হয়েছিল; ১৯৩০ সালের পর, সেই দেশে কোন অশিক্ষিত মানুষ ছিলো না; সবাই ফ্রি উচ্চ শিক্ষা পেয়েছিল।

লেনিনের আগেও, ১৯০৫ সালে কম্যুনিষ্ট পার্টি বিপ্লব করে, কিন্তু জারের সৈন্য বাহিনী কম্যুনিষ্টদের পরাজিত করে, এবং পার্টির নেতাদের নিষ্ঠুরভাবে বিচার করে ফাঁসিতে ঝুলান; নেতাদের মাঝে লেনিনের বড় ভাইও ছিলো। লেনিন ভালো অর্থনীতি ও ফিলোসফি বুঝতেন, সোস্যাল ও পলিটিক্যাল সায়েন্সে তিনি দক্ষ ছিলেন, এবং মানুষকে সুন্দর ও সুখী জীবনের স্বপ্ন দেখাতে সক্ষম হয়েছিলেন। মানুষ তাঁর নেতৃত্বে বিপ্লব করেন, ও সাধারণ মানুষের সরকার গঠন করেন ১৯১৭ সালে।

আজকে, রাশিয়া লেনিনের দেয়া তত্বে আর নেই, ইহা ডিক্টেটর পুটিনের অধীনে এক ধরণের গলাকাটা ক্যাপিটেলিজমে আছে; ১৯৬০ সালের পরে দেশটির সরকারের হাতে ভয়ংকর বিশাল সম্পদ জমে যায়; এই সম্পদ মানুষের মাঝে তারা সঠিভাবে বিতরণ করেনি, এতে উন্নয়ন বাধার সন্মুখীন হয়, সম্পদের তুলনায় মানুষের জীবনযাত্রার মান নীচে ছিল; মানুষ এর সমাধান চাচ্ছিল, পার্টিও সমাধান চাচ্ছিল; কিন্তু পার্টির বিশাল অংশ এই সম্পদকে ব্যক্তি মালিকানায় নেয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়; পার্টির ছোট অংশের নেতৃত্ব দিচ্ছিল পার্টির সেক্রেটারী মিখাইল গার্ভাচব; অন্য অংশে ছিল ইয়ালসিন, পুটিনেরা; এদের সাথে যোগ দেয় আরো ১৫ রিপাবলিকের দুষ্ট নেতারা; অবশেষে ১৯৯১ সালে ইয়েলসিনরা জয়ী হয়; বিপ্লবীদের স্বপ্নের দেশ ক্যাপিটেলিজমে চলে যায়।

মন্তব্য ৫৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৫৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৫০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: রাশিয়ানরা লেলিনকে কীভাবে স্মরণ করে? ধরা যাক, পুতিন কি লেলিনের বিপ্লবকে শ্রদ্ধা করে বা বিশেষ দিন হিসেবে উদযাপন করে?

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


রাশিয়ায় এখনো কম্যুনিষ্ট পার্টি আছে, তারা ৭ই নভেম্বর পালন করে; ইউনাইটেড রাশিয়া নামে পুটিনের নিজস্ব পার্টি আছে, তারা ৭ই নভেম্বর পালন করে না।

২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:১১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এ তো দেখি আমাদের দেশের ৭ই নভেম্বর বিপ্লবের মত। কেউ পালন করে, কেউ করে না...

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


এখনকার রাশিয়ানদের সাথে বাংগালীদের অনেক মিল আছে।

৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:২৪

কামালপা বলেছেন: লেনিন কত লোককে মেরেছে আপনি জানেন?

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:




লেনিন আপনাকে যে মারেনি এটা আমি বুঝতে পারছি, আপনি সামুতে আছেন, কমেন্ট করে যাচ্ছেন!
আপনি কাউকে মেরেছেন কিনা, সেটাও আমি জানি না।

লেনিন ক্ষমতায় আসার পর গৃহযুদ্ধ হয়েছে, মানুষ মরেছে!

৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:২৬

শৈবাল আহম্মেদ বলেছেন: (বিপ্লবটি হয়েছিল কম্যুনিষ্ট পার্টির নেতৃত্বে; আমরা কম্যুনিষ্টদের তেমন পছন্দ করি না, এরা নাস্তিক পাস্তিক, আমরা হলাম খোদার সিলেক্টেড লোকজন। সাধারণ রাশিয়ানরা আমাদের চেয়েও বেশী ধর্মীয় ছিলো এক সময়, তারা তাদের জার ও চার্চের পুরোহিত'দের "বাবা" ডাকতো, কারণ ওরা খোদার লোকজন। কম্যুনিষ্টরা চার্চের লোকজনদের পছন্দ করতো না; কারণ, চার্চ বলতো যে, জারতন্ত্রের সমালোচনা করা যাবে না, জারের বিপক্ষে যাওয়া মানে খোদার বিপক্ষে যাওয়া; চার্চের এই দালালীর কারণে সাধারণ মানুষ ক্রমেই চার্চের লোকদের উপর বিরক্ত হয়ে উঠে; ফলে, বিপ্লবের পরে, তারা চার্চগুলো বন্ধ করে দেয়; এই জন্যই রাশিয়ার বেশীর ভাগ লোক শেষ চার্চ মার্চ নিয়ে মাথা ঘামতো না।)

ধন্যবাদ, আমাদের দেশের মানুষ কি কখনও জেগে উঠবে ?

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমাদের মানুষ মরার পর, ফেরেশতাদের প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য জেগে উঠার কথা; আপনার প্রশ্ন থাকলে সেই সুযোগে প্রশ্ন করতে পারবেন; প্রশ্ন আছে, নাকি ফাঁস হয়ে গেছে?

৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:২৬

কামালপা বলেছেন: আপনাকে ধরে সাইবেরিয়ায় নির্বাসন দেওয়া দরকার ছিল, তাহলে সমাজতন্ত্রের মাজেজা বুঝতে পারতেন ভাল মত।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমি বাংগালী মানুষ, পালাতে চাচ্ছি: সাইবেরিয়া, তুন্দ্রা, উত্তরমেরু যেখানে পাঠায় চলে যাবো; আমেরিকান নভোচারী আর্মষ্ট্রং নাকি চাঁদেও এক বাংগালীর দেখা পেয়েছিলেন।

৬| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:২২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: লেলিনের সাথে আমার পরিচয় সম্ভবত প্রাইমারীতে। এক মামার বাসায় টেবিলে দেয়ালে একটা কাগজে লেখা - পড়, পড় এবং পড়- লেলিন।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



লেনিন বুঝতেন যে, সেই সময়ে, জাতির সব মানুষকে পড়াানোর মতো সম্পদ জাতির হাতে সব সময় আছে, তিনি সেই বুদ্ধি রাখতেন; তাই, তিনি সবাইকে বলতেন, পড় পড় পড়

৭| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:৪২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: এক সময় ঢাকার ধানমন্ডিতে ইউ এস এস আর কালচারাল সেন্টারের লাইব্রেরী ছিল ।
সেটা বাসার কাছে থাকায় মাঝে মধ্য সেখানে গিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা বিভিন্ন বই পাঠ করতাম ।
একদিন লাইব্রেরিয়ান ডেকে নিলেন তার রুমে । ভেবেছি বড় কিছু হয়ত ভুল করে বসে আছি
আজ হয়ত কপালে দুর্ভোগ আছে । ভয়ে ভয়ে গেলাম তার অফিস রুমে । সেখানে
নিয়মিত পাঠে যাওয়ার বিষয়টি লক্ষ করে তারা গুরু দন্ড একটি দিয়েছে চাপিয়ে ।
সমগ্র লেলিন রচনার ৩৯ খন্ডের বিশাল এক প্যকেট হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলেছে
নিয়মিত পাঠক হিসাবে তাদের পক্ষ হতে এটা একটি পুরস্কার । বুঝা গেল ভারী
সে পুস্তক প্যকেটটি হাতে করে বাড়ী বয়ে আনার পথে, পুরস্কার কাকে বলে!!!

যাহোক কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা সমালোচনা করতে হলে বিষয়টি নিয়ে
বিশদ ভাবে পড়াশুনার দরকার আছে । একটু আধটুক বাইরে থেকে
দেখে কিংবা কারো কথা শুনে সহজেই যায় না বুঝা। মানি কিংবা না মানি
যে বিষয়টা একবার সারা দুনিয়া কাপিয়েছে তা বিশদভাবে জানা দরকার
আছে । থিসিস << এন্টি থিসিস <

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ ভোর ৪:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি সৌভাগ্যবান, আমাদের দেশের কমরেডরা জানেও না যে, লেনিন এতগুলো বই লিখেছিলেন; আমি কিছু বই পড়েছি, লেনিন বিশ্বাস করতেন যে, মানুষ বিশ্বের সম্পদ সমভাবে ভোগ করে, শিক্ষিত হয়ে, সুখী জীবন করবেন একদিন।

৮| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ ভোর ৪:২১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ফরাসী বিপ্লব সফল হওয়ার পর সবাই ভেবেছিল এটাই সমাজতন্ত্র। কার্লমার্ক্স, লেনিনরা বলল না, আরো লাগবে।

তবে এটা ঠিক মানবসভ্যতা বার বার পথ হারালেও এগিয়ে যাচ্ছে, আরো যাবে।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ ভোর ৪:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



ফরাসী বিপ্লবের সময়, রাজতন্ত্রের তুলনায় "বামরা"ই ছিল ততকালীন সোসয়ালিষ্ট; এরাই পরে ক্যাপিটেলিজমের জন্ম দিয়েছিলেন; কারণ, রাজ পরিবারের বাহিরে তারঐ প্রথম ক্ষমতা পেয়েছিলেন; ওদের সৃষ্ট সিস্টমের অসমতার কারণে নতুন করে ভাবতে হয়েছিল।

৯| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:২২

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ভালো লাগে নাই আপনার এই লেখাটি।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি যে পড়তে আসবেন, সেটা তো জানা ছিলো না; জানলে, আপনি বুঝতে পারেন, সেই রকম ২/৪ লাইন যোগ করতে পারতাম।

১০| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:২৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: দলীয় কোন্দলের কারণেই বোধকরি বিপ্লব ভেস্তে গেছে।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:


বিপ্লব ভেস্তে যায়নি, রাশিয়ার চাষীরা বিশ্বের ২ নং শক্তিে পরিণত হয়েছিল কয়েক যুগের জন্য, এখন ৩য় বৃহত্তম মিলিটারী শক্তি। লেনিনের পরে, কেহ ভেবে দেখেনি সম্পদ বেশী হয়ে গেলে সেটাকে কাজে লাগিয়ে কি করে জীবনযাত্রার মান সুচক বাড়ানো যায়; সেখানে ব্লকেডের সৃস্টি হয়েছিল, সেখান থেকে মানুষ দুর্নীতিবাজ হয়ে গিয়েছিল।

১১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৪

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: বিপ্লব এখন লাল রংয়ের বোতলবন্দী হয়ে যাদুঘরে ঝিমুচ্ছে!:)

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


৮০০০ এটম বোমা রাশিয়ার হাতে আছে, আমেরিকার ভোটে রাশিয়া ইনফ্লুয়েন্স করেছে কিভাবে সেটার তদন্ত হচ্ছে; এই দেশের শুরু হয়েছিল ১৯১৭ সালে; তার আগে আলু ও বাঁধাকপির স্যুপ ছিলো মুল খাবার।

১২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: রাশিয়ার বর্তমান অবস্থা বিপ্লবের আগের অবস্থার মতো। যদিও ফরম্যাট এক নয়।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:


পুরোপুরি ঠিক নয়, ওদের কাছে যত তেল আছে, বাংলাদেশে অত বিশুদ্ধ পানিও নেই; ওদের মাটির নীচে ১০ কোটী লোক ২ বছর বসবাস করতে পারবে; বাংলাদেশের ১০ কোটী লোকের জন্য পেঁয়াজ কেনাও কষ্টসাধ্য ব্যাপার।

১৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৪

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: আরও কত যে বিপ্লব ঘটবে কে জানে ।যাই হোক এরকম সুন্দর একটা লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


এখন বাংলাদেশে একটা গন্ডগোল হবে, বিপ্লব হবে না; ইউরোপে অনেক পরিবর্ন হবে; ইউরোপের অনেক দেশ দারিদ্রতায় ভুগছে।

১৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: এই বিষয়ে আমি এত কম জানি যে মন্তব্য করতো পারব না।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি নিশ্চয় শুনেছেন যে, রাশিয়ায় ১৯১৭ সালে বিপ্লব হয়েছিল; রাশিয়ানরা ১ম বিশ্বযুদ্ধে পরাজিত হয়েছিল, কিন্তু কেহ সেই এলাকা দখল করতে যায়নি।

আজকে আমেরিকা ২টি দেশকে ভয় করে, রাশিয়া ও চীন; ১৯৪৫ সালে আমেরিকা ১টি দেশকে ভয় করতো, সেটা রাশিয়া।

এটুকু জানলে, বুঝলে চলবে।

১৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩২

আমার আব্বা বলেছেন: স্যার অসাধারন অসম্ভব সুন্দর হয়েছে

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:


বিশ্বে রাশিয়া ও চীনের উথ্থান সম্পর্কে বাংগালীদের পরিস্কার ধারণা থাকার দরকার আছে।

১৬| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২১

আবু তালেব শেখ বলেছেন: বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে গনতন্ত্র হঠিয়ে সমাজতান্ত্রিক করলে কেমন হয়?
গনতন্ত্র শুধু নামেই বিদ্যমান ।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশে রাজতন্ত্র নেই এটা সঠিক; বৃটিশ ১৯২০ সালের পর, ক্রমেই গণতন্ত্র চালু করছিলো ভারতে; আমাদের গণতন্ত্র সেই তুলনায় আরেকটু বেশী কলোনিয়েল; সমাজতন্ত্র বাংলাদেশে আসবে না, কারণ এখানে কোন মানুষ অন্যের জন্য হনুভুতি অনুভব করে না। সমাজতান্ত্রিক মনোভাব, এটা মানুষের মানবিক গুণ।

মানুষের জন্য লেনিনের সহানুভুতি ছিল।

১৭| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৫৮

জীবন সাগর বলেছেন: অনেককিছু জেনে গেলাম বিপ্লব সম্পর্কে
ভালো লাগলো আলোচনা

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


বিল্পবই মানুষের হারানো সময়কে ফিরিয়ে দিতে পারে, পুরাতনকে পেছনে ফেলে নতুন করে ভাবার সুযোগ করে দেয়।

১৮| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:২৭

যূথচ্যুত বলেছেন: আচ্ছা, একটা ছোট্ট কৌতূহল। 'রাশান জোকস' নামে যে বহুল প্রচারিত কৌতুকগুলি মানুষের মুখে মুখে ফেরে, সেগুলির কি কোন বাস্তব ভিত্তি আছে? জোকসগুলোতে স্যোসালিস্টদের, বিশেষত স্ট্যালিন-কে নিয়ে যেগুলো বলা সেগুলো কি সমকালীন রাশান জনগনেরই সত্যিকারের মনোভাব?

নাকি কৌতুকগুলো পরবর্তী সময়ে, অন্যদের বানানো? যেমনটা অনেকসময় গোপাল ভাঁড়ের, বীরবলের বা মোল্লা নাসিরুদ্দিনের কিছু কিছু প্রচলিত কৌতুক ওভারল্যাপ করে?

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


রাশান জোক হলো ওদের মনের কথা, রস দিয়ে সাজানো; কোন রাশান যদি জোক বসে, নড়েচড়ে বসার দরকার।

১৯| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:০২

যূথচ্যুত বলেছেন: ঠিক বুঝলাম না।

মানে, সমাজতন্ত্র নিয়ে ওই কৌতুকগুলো ওইদেশের ওই সময়কারই মানুষদের বানানো, কিন্তু আপন মনের মাধুরি মিশায়ে? --এটা বলছেন?

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:


বিশ্বের ১ম সমাজতান্ত্রিক দেশ হিসেবে রাশিয়া অনেক সমস্যার সন্মুখীন হয়েছিল; এগুলো নিয়ে অনেক জোকস ছিলো; সর্বোপরি রাশিয়ানরা জোকস ভালোবাসে।

২০| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:১৫

কোলড বলেছেন: I always liked Churchil's comment on Lenin's death, " The worst misfortune of Russian people was Lenin's birth and their next worst was his death"
His death certainly paved the way for Stalin's repression. There is a rumor that his death was somehow hastened by Stalin to preclude him from removing Stalin.

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেনিনের রাশিয়া সম্পর্কে ইউরোপের লোকদের ধারণা সঠিক ছিলো না; রাশিয়ানরা ইউরোপিয়ান হলেও তাদের নিজস্ব ফিলোসফি ছিলো।

২১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৭

প্রামানিক বলেছেন: অনেক কিছু জানা হলো। ধন্যবাদ চাঁদগাজী ভাই।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:



এগুলো বিশ্বকে বদলে দিয়েছে।

২২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫২

টারজান০০০০৭ বলেছেন: ১০০ বছর আগে রাশিয়ানরা ফুটন্ত কড়াই থেকে জ্বলন্ত উনুনে পড়েছিল !

মানুষের জন্য লেনিনের সহানুভুতি ছিল।

এটাও একটা রাশিয়ান জোক বোধহয় !!!!!!!!!!!

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:


ট্রাম্ রাশিয়া ভ্রমণে যাচ্ছে, বাংলাদেশ ভ্রমণে যাচ্ছে না; এটা কিন্তু রাশিয়ান জোক বা কোক নয়।

২৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২৯

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: লেলিনের পরেই সোভিয়েত ইউনিয়ন পথ হারায়, যার শুরু স্ট্যালিনের হাত ধরে। তবে আমার কি মনে হয় জানেন, ক্যাপিটালিজমের শেষটাই সমাজতন্ত্র হবে, হয়তো নিকট ভবিষ্যতে নয়, তবে তাই হবে.........

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


ক্যাপিটেলজম বিবর্তনের মধ্য দিয়ে সমাজতন্ত্রের বেশীর ভাগ নীতিকে কার্যকরী করব, মনে হচ্ছে।

২৪| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:৫১

আটলান্টিক বলেছেন: কেমন আছেন চাঁদগাজী সাহেব?

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভালো, ধন্যবাদ;
আপনি কেমন আছেন?

২৫| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৩৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: কিন্তু সেই লেনিন-ই ক্ষমতায় গিয়ে জারের মতই গোপন পুলিশ বা গোয়েন্দা বাহিনি গঠন করেন, তার দলের বাহিরে ভিন্ন দল বা মতকে ধ্বংশ করে একক ক্ষতমার অধিকারি হন, জারের আমলের চেয়ে বিশি ফাঁশি বা মৃত্যুদন্ড কার্যকরী করেন অন্যান্য বিপ্লবীদের যারা তার অনুগত ছিলনা, সাইবেরিয়াও নির্বাসণে পাঠান।

তাইতো আধুনিক রাশিয়ার তাকে আর সেই ভাবে স্মরণ করা হয়না।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



আধুনিক রাশিয়া ডিক্টেটরশীপ ক্যাপিটেলিজমে গেছে; ওরা সোস্যালিজমের চিহ্ন মুচতে চেষ্টা করছে; ফলে লেনিনকে পেছনের সারিতে রেখেছে; ওরা বিশ্বের ২য় শক্তিতে কিভাবে পরিণত হয়েছিল?

লেনিন সবার ভালো চেয়েছিলেন; ২ বছর গৃহযুদ্ধ অনেক সমস্যার সৃস্টি করেছিল; গৃযুদ্ধের পর তিনি ২ বছর বেঁছেছিলেন। গৃহযুদ্ধে সোস্যালিষ্ট পার্টির সাথে যারা যুদ্ধ করেছিল, তারা দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছিল, অন্য পার্টি সেখানে ছিলো না।

২৬| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৬

টারজান০০০০৭ বলেছেন: হিটলার বাঁচিয়া থাকিলে ট্রাম্প হিটলারের জার্মানিতেও যাইতেন ! তাহা হইলে কি হিটলারও মহান !!!

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমেরিকা হিটলারের জার্মানীতে গিয়েছিল, অর্ধেক জার্মানী দখল করেছিল ১৯৪৫ সালে। এখনও যায়; কিন্তু বাংলাদেশে যাবে না

আপনি বিশ্বের ইতিহাসকে অনুধাবন করার চেষ্টা করুন।

২৭| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৪

জাহিদ অনিক বলেছেন:


বাঙ্গালিরা করেছিল ৪০/৪৫ বছর আগে, আর করবে টরবে বলে মনে হয় না।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংগালীরা বিপ্লব করেছিল, কিন্তু অবিপ্লবী নেতাদের অধীনে, বিপ্লব বৃথা গেছে

২৮| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: স্টিকি পোস্টের ৯৭ নম্বর মন্তব্যের প্রতি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:


ওকে দেখা যাক, কে কি বলছেন!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.