নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোটা সমস্যার সমাধান তো দিয়েছিলেন প্রাইম মিনিষ্টার, এখন ছাত্রলীগ পিটায় কেন?

০৬ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২২



বেকারত্বের একটা সমাধান হিসেবে কোটা সংস্কার চেয়েছেন আমাদের ইউনিভার্সিটির ছাত্রেরা, যা মোটামুটি মোয়া চাওয়ার মতো; তারা প্রতিবাদ করেছে, সরকার বলতে যা বুঝায়, দেশের প্রাইম মিনিষ্টার শেখ হাসিনা কিছুটা চাপে পড়ে কোটা সংস্কার করার জন্য ব্যবস্হা নিয়েছেন। ছাত্ররা মনে করেছিল যে, ২/১ মাসের মাঝেই তা ঘটবে; কিন্তু ঘটেনি!

যখন প্রতাশিত সমযয়ের মাঝে তা ঘটেনি, সংগঠকদের পরবর্তী পদক্ষেপ কি হওয়ার দরকার ছিলো?

আমার ধারণা, কোন না কোনভাবে প্রাইম মিনিষ্টারের সাথে যোগাযোগ করা; বাংলাদেশে সেটা কিভাবে করতে হয়, সেটা সংগঠকদের পক্ষে বের করা অসম্ভব ছিলো না। সবকিছু সঠিকভাবে করতে হয়, চাপ সব সময় কাজ নাও করতে পারে। সংঠককেরা সরাসরি সংবাদ সন্মেলেন করেছেন ও পুরোদেশ অবরোধ করার হুমকি দিয়েছেন।

এটা নির্বাচনের বছর; শেখ হাসিনা সেটা নিয়ে ভয়ংকর ভয়ংকরভাবে ব্যস্ত; কোটা মোটা, বেকারত্ব মেকারত্ব উনার মাথায় আছে বলে মনে হয় না; তবে, স্বাভাবিক পদ্ধতিতে ছাত্রদের সংগঠকরা কোটার কাজকে এগিয়ে নিতে পারতো, চাপ দিতে গিয়ে আপাতত মার খেয়েছে; এই মারের ফলে হয়তো সরকারের পতন শুরু হবে, কিংবা প্রাইম মিনিষ্টার যা বলেছিলেন, তার অনেক কিছু উল্টে যাবে।

ছাত্রলীগ কোনভাবে কোটা সংস্কার চাহেনি; তারা প্রাইম মিনিষ্টারের পদক্ষেপও পছন্দ করেনি; আওয়ামী লীগ সরকারের সময় কেহ আন্দোলন করুক, সেটা ছা্ত্রলীগ সহ্য করার কথা নয়; এই ব্যাপারটা সংগঠকদের মনে রাখার দরকার ছিলো। প্রশ্ন উঠতে পারে, দেশ কি ছাত্রলীগের একা কিনা? দেশ কখনো ছাত্রলীগ, ছাত্রদল বা শিবিরের একা নয়; কিন্তু এরা দেশের পেশী শক্তি, তাদের দলের সরকার যখন ক্ষমতায় থাকে, তারা পেশী শক্তি প্রয়োগ করে; হয় এদের পরাজিত করতে হবে, কিংবা ওদের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে; যার পক্ষে যেটা সম্ভব।

ছাত্রলীগের ছেলেরা যেভাবে পিটাচ্ছে, এটা নিশ্চয় শেখ হাসিনা চাহেনি; আবার, শেখ হাসিনা নিশ্চয় দেশ ব্যাপি অবরোধ চাইবে না; এর মাঝখানে গ্রহযোগ্য পদক্ষেপ কি ছিলো? আমার মনে হয়, প্রথমত: অপেক্ষা করা, পরে প্রাইম মিনিষ্টারের সাথে যোগাযোগ করা; অবরোধ ঘোষনা করাটা ভুল ছিলো, এতে ছাত্রলীগ সুযোগ পেয়ে গেছে।

ভিক্ষা দেক না দেক, কমপক্ষে কুকুর সামলানোই গৃহস্হের একটা বড় দায়িত্ব।

মন্তব্য ৯১ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৯১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৬

বলেছেন: বেরিয়ে এল থলের বিড়াল!

# কোটা বৈষম্য টিকিয়ে রাখতে চায় সরকার
# কোটা সংস্কার আন্দোলন যেকোনো মূল্যে দমাতে চায়
# কোটা সংস্কার আন্দোলন দমাতে না পারায় পদ হারিয়েছে সোহাগ-জাকির
# ফেসবুক শেখ হাসিনা দিয়েছে
# শেখ হাসিনার সরকার বারবার দরকার

০৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


বিড়াল বেরিয়েই গেলো? আমাদের থলেটায় ছিদ্র ছিলো, জঘন্য!

শেখ হাসিনাকে মাদার তেরেসা ভেবেছিলেন আপনি? আমি তা ভাবি না

২| ০৬ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: আমি বুঝে গেছি সরকার যা চাইবে তাই ই হবে এই দেশে। এর বাইরে যাওয়ার ক্ষমতা আর কারো নেই।
কেউ যদি সরকারের কথা না মানে তাহলে তার কপালে শনি আছে। কাজেই চিৎকার চেচামেচি করা যাবে না।
চুপ করে সব মেনে নিতে হবে। একদম বোবা হয়ে যেতে হবে।

০৬ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:


শেখ হাসিনাকে এই পর্যায়ে আসা ঠিক হয়নি; উনার নিজের বাবাকে মাঝে মাঝে উনার স্মরণ করা উচিত; আইয়ুব উনার বাবার লাল নীল সুতা বের করেছিলো, জিয়া শেষে উনার বাবাকে হত্যা করেছিলো; এদেশের মানুষ আইয়ুব, জিয়া, এরশাদ, বেগম জিয়াকে চাহেনি; উনার বাবাকে চেয়েছিলেন।

৩| ০৬ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

১০টারে পিটাইছে, মাত্র ১ টার হাড্ডি ভাংসে!
কেউ মরে নাই, গুমও হয় নাই।
এত উদ্বিগ্নতা কিসের?

আগে যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্ধুকবাজি, বোমা গ্রেনেড, নিরু,ইলিয়াস আলি অভিদের পিস্তলের তান্ডোবে লাশের পর লাশ পড়তো।
বা মাত্র কিছুদিন আগেও ধর্মাদ্ধ জঙ্গিরা দিনের পর দিন চাপাতি দিয়ে রক্তাক্ত তান্ডোব চালাচ্ছিল,লাশের স্তুপ জমছিলো
তখন কবিতা কোথায় ছিল জনাব?

উপরের মন্তব্য টি করেছিলাম এক পিএইচডি করা ব্লগারের পোষ্টে।

উনি কিছুক্ষন পর কমেন্ট টি মুছে আমাকে ব্লক করে দিলেন ।

০৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমার পিএইচডি থাকলে, এমন প্লগ-ইন যোগ করতাম, আপনি কমেন্ট করার পর, নাক দিয়ে পানি পড়তো!

ছাত্রলীগকে থামিয়ে দেয়া হেখ হাসিনার কর্তব্য, সাথে সাথে আহতদের ক্ষৈপুরণ দেয়ার দরকার। উনার বাবার মৃত্যুর পেছনে ছাত্রলীগের অবদান আছে।
শেখ হাসিনার উচিত কোটার উপর আপডেট দেয়া।

৪| ০৬ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৫

স্রাঞ্জি সে বলেছেন: এইসব বাদ দিয়ে অন্য কিছু ভাবেন।

০৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


আসলে, আমি আমার চোখ নিয়ে ভাবছি; এগুলো বোনাস ভাবনা

৫| ০৬ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৭

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: শেখ হাসিনা তাঁর পূর্বের দেয়া ঘোষণা অনুযায়ী কোটা বাতিল করবেন না। কিন্তু সেটি পুরোপুরি অস্বীকারও করবেন না। তিনি এমন একটা বিকল্প ব্যবস্থা চিন্তা করছেন যাতে সবাইকেই চুপ করানো যায়। আর সেজন্যই তিনি আরও কিছুদিন সময় নেবেন, এবং এরপর এটি বাস্তবায়নের টার্গেট সময়ও বলে দেবেন। তবে তিনি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেবেন না। কারণ নির্বাচনের আগে ওরাই উনার প্রধান পেশী শক্তি।

০৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


ছাত্রলীগকে আওয়ামী লীগে নিয়ে গেলে, শেখ হাসিনা হাজার গুণে লাভবান হতেন, উনার ভোট বাড়তো।

উনি ভোট নিয়ে ব্যস্ত; তবে, সময় নিয়ে আপডেট দেয়া উচিত; নিজের কথার ফলোআপ না করলে উনাকে কেহ সন্মান করার কথা নয়।

৬| ০৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:২০

ঢাবিয়ান বলেছেন: ছাত্রলীগ যেভাবে ছাত্র পেটাচ্ছে, এটা নিশ্চই শেখ হাসিনা চাহেনি =p~ =p~ =p~ =p~

০৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


শেখ হাসিনা ৩৭ বছর রাজনীতি করছেন; এখনো কাউকে পিটানোর কথা বলেননি, পিটালে টিকে থাকা মুশকিল।

৭| ০৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৩৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ঢাবিয়ান বলেছেন: ছাত্রলীগ যেভাবে ছাত্র পেটাচ্ছে, এটা নিশ্চই শেখ হাসিনা চাহেনি =p~ =p~ =p~ =p~ উনি চেয়েছিলেন, মাইর হবে আওয়াজ হবেনা' এরকম? =p~ =p~ =p~ =p~

০৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


এখন শেখ হাসিনার জন্য কঠিন সময়, সামনে ভোট; ছাত্রদের বুঝতে হবে, এখন 'অবরোধ' ইত্যাদি উচ্চারণ করা মানে খুবই বড় ধরণের চ্যালেন্জ; তাদের দরকার কোটা সংস্কার।

৮| ০৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৫৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এগুলো কি বললেন?
স্বৈরাচারের তোষামুদিই করলেন প্রকারান্তরে!

কেন ছাত্র সংগঠনকে ভাবতে হবে কেন? তাদের কি রাষ্ট্র প্রদত্ত মৌলিক অধীকার নেই ভাবার? মত প্রকাশ করার?
ছাত্রলীগ পিটাবে কেন? এটা প্রশ্ন করতে পারতেন? তা না করে সাধারন ছাত্রদের ইনিয়ে বিনিয়ে জ্ঞান দিতে চাইলেন তারাই ভাববে! তারাই আপোষ করবে! তারাই তাল মিলীয়ে চলবে!

জঘন্য মানসিকতা! বর্বর, স্বৈরাচারি আর জালিমের পক্ষের ভাবনা।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দোহাই দিয়ে চোখের জলে বুক ভাসিয়ে ভিক্ষা চেয়ে ক্ষমতায় এসে স্বাভাব পাল্টাতে পারেনা!
সেই বাহাত্তর চুয়াত্তরের স্বৈরাচারিতা মাথা চারা দিয়ে উঠৈছে!
পরিণতি কি ভাবতে হবে। সম-সাময়িক দু চারবছর পুলিশ আর র্যাব দিয়ে ক্ষমতায় থাকাই সাফল্য না আজীবন মানুষের হৃদয়ে শ্রদ্ধায় স্মরনে থাকা সাফল্য!

সকল অত্যাচার আর জুলুমের বিপরীতে সত্যের পক্ষে কথা বলাই সাধারন নূন্যতম মনূষ্যত্ব! মানবতার নূন্যতম দাবী!
আপনা এত এত জীভন পার করে এত অভীজ্ঞতার পরও চলে যাবার আগে্ও কি মানবতাবোধকে জাগাতে পারলেন না? দু:খজনক।
সবাইকে লিলিপুটিয়ান, পিগমি বলেন আর নিজের ভাবনা কোথায় একবার কি চেয়ে দেখেন??? আত্মায়নায়!

০৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনাদের ভাবনায় ' স্বৈরাচার' হচ্ছে শেখ হাসিনা, গণতান্ত্রিক হচ্ছেন: জিয়া, এরশাদ ও মেগম জিয়া; সেই কারনে, আমাদের ২ জনের ভাবনায় কিছুতেই মিল হয় না।

শেখ হাসিনার বাবাকে হত্যা করেছে মিলিটারী, উনি মিলিটারী থেকে বড় হয়েই তো উহাদের থামায়েছে, তাই না। আপনি চান, উনি মিলিটারীর সাথে পরাজিত হোক?

আমরা চাই যে, তিনি সরে যাক; কিন্ত দেশ চালাবে কে, জামাত?

০৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:


১৯৭২-১৯৭৪ সালে, শেখ সাহেব স্বৈরাচার ছিলন না; তিনি মানুষের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে পারেননি, উনি দক্ষ ছিলেন না; স্বৈরাচার ছিল মিলিটারী, যারা উনাকে হত্যা করেছে; রাজনীতি বুঝুন।

৯| ০৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:২৭

শামচুল হক বলেছেন: কার কি যে সমস্যা বোঝা মুশকিল।

০৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


সমস্যা যার যত থাকুক, সমাধানের দায়িত্ব শেখ হাসিনার!

১০| ০৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:২৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: কোটা বিরোধীদের এত তাড়াতাড়ি আবার জড়ো হওয়া উচিত হয়নি(এই ধাপে মনে হয় অন্য কারো ইন্ধন ছিল)। আর ছাত্রলীগ তো কুকুর। কুকুরের কাজ কুকুরে করেছে। তবে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীসভা এ ব্যপারে সুনির্দিষ্টভাবে বলুক, কোটা থাকবে কি থাকবে না। ফুল স্টপ...

০৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:


শেখ হাসিনার উচিত ছিলো ১ বাক্যের হলেও আপডেট দেয়া, এবং লীগকে শাস্তি দেয়া।

১১| ০৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৫৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ***কোটা সমস্যা সমাধান দিয়েছেন প্রধাণমন্ত্রী তবে ছাত্ররা এখনো আন্দোলন করছে কারণ নতুন আন্দোলন করার মতো নতুন কোনো বিষয় বা ইস্যু হাতে নেই - এই আন্দোলনে দুই চারটা ছাত্রছাত্রীর লাশ পড়লে লাশের রাজনীতি হবে এই আশায় ও বলতে পারেন !!!

***আর ছাত্রলীগ নিজে নিজে অনেকদিন মারপিট করে বদনাম কুড়িয়েছে তাই সুযোগে বিদ্রোহী ছাত্রদের পিটিয়ে হাত পরিস্কার করে নিচ্ছে । ছাত্রলীগের যদিও উচিত ছিলো নাকে সরিষার তেল দিয়ে ঘুমানো তাতে আন্দোলন প্রেসার থাকতো না, এবং বিদ্রোহী ছাত্ররা নিজে নিজে গলাবাজী করে ক্নাত হতো !

০৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:


আওয়ামী লীগ বলছে যে, ছাত্দের মাঝে শিবির আছে; শিবির শব্দ শুনলে শেখ হাসিনার মগজ উল্টে যায়।

১২| ০৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৫৯

রানার ব্লগ বলেছেন: আমার মতে কোটা থাকা উচিৎ

১। উপজাতি কোটা
২। প্রতিবন্দি কোটা
৩। দরিদ্র কোটা (যাদের আয় বাৎসরিক ১০০০০০ এর নিচে )
৪। মুক্তিযোদ্ধা কোটা (সমাজে ৯০ ভাগ মুক্তিযোদ্ধার পড়িবারের সন্তানেরা অর্থনৈতিক যাঁতাকলে পরে আছে এদের একটু সাহায্য করাটা অন্যায় কিছু না, যতো গুলা রাজাকারের আন্ডা পন্ডা আছে এদের একমাত্র জলে মুক্তিযোদ্ধা কোটার নাম শুনলে, বাকিদের বেলায় তারা বেশ সহনশীল )

কোটা একেবারে বাদ দিয়ে ভালো কিছু হয় নাই। বেশ কিছু অসহায়ের সরকারি চাকুরী পাওয়া সোনার না শুধু হীরার হরিণ হয়ে গেলো।

০৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


মাত্র শুরুতে, ১৯৭২ সালে কোটার দরকার ছিলো; তারপর চাকুরী সৃষ্টি করলে কোটার দরকার হতো না। বাপ বেটীর মিল আছে, চাকুরী সৃষ্টি করতে জানে না।

যাক, উনি বলেছেন যে, সমাধান দিবেন; কিন্তু আপডেট দিচ্ছেন না; ঐদিকে মেধাবীদের তর সইছে না, ভালোবাসার মেয়েকে অন্য কেহ বিয়ে করে নিয়ে যাচ্ছে!

১৩| ০৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:০০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ছাত্রলীগের তাহলে কাজ কি? মোটের উপর সবাই দেখি ওদের প্রতি বিরূপ । ছাত্রদের সঠিক পথে আনাটাওতো তাহলে জরুরি । আর কোটা সমস্যার তাহলে সমাধান হলো কোথায়???

অনেক শুভ কামনা আপনাকে।

০৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


ছাত্রলীগ হলো মাফিয়া, টেন্ডারবাজ; ওরা চাকুরী না করে, একজন ১ম শ্রেণীর সরকারী চাকুরে থেকে বেশী আয় করে।

১৪| ০৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:১৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আপনি বলেছেন সংগঠকদের দরকার ছিলো প্রাইম মিনিস্টারের সাথে যোগাযোগ করা! এটা সম্ভব না কারন তাদের সম্পর্কে প্রাইম মিনিষ্টারকে ধারণা দেওয়া হয়েছে তারা জামাত শিবির ,এবং এর পিছনে সরকার পতনের আন্দোলন চলছে । তাই শেখ হাসিনা সংগঠকদের ভাল চোখে দেখছে না এখন আর।

০৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


এটা আসলেই সমস্যা।
তবে, সেক্রেটারী বা ওবায়দুল কাদেরের সাথে দেখা করা হয়তো সম্ভব হতো।

শিবির বললেই হলো, শেখ হাসিনা নিশ্চয় গোয়েন্দা রিপোর্ট নিয়েছিলেন; ঘটনা তো ছোট নয়।

১৫| ০৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:২০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: শিবিরের হাদিসে যদি থাকে বাঁচলে গাজী মরলে শহিদ তাহলে ছাত্রলীগের হাদিসে আছে শিবির মারো ফিকির করো - শিবির মারা জায়েজ আছে । মরুক দুই চারটা শিবির এতে শিবিরের জন্য ভালো তারা শহিদ হয়ে জান্নাতবাসী হবে এবং ৭০ ডা হুর পাবে আর ছাত্রলীগের ক্রেডিট বাড়বে পেই পাল কার্ডে ।

০৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


ইসলামি ছাত্র সংঘ কোথায় যায়নি; শিবির কোথায়ও যায়নি; তারা অপেক্ষা করছে।

১৬| ০৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:২৪

শিখণ্ডী বলেছেন: কোটা আন্দোলনের যারা পোস্টার লিখেছিল "আমরা রাজাকার" তাদের পেটানো ঠিক আছে। ওদের হাঁড্ডি-গুড্ডি ভেঙ্গে রাস্তায় ছালা বিছিয়ে ভিক্ষা করতে বসিয়ে দেয়া দরকার।

০৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:


সেই ছেলেগুলো আসলেই জাতির মুখে লাথি মেরেছে।

দেশে দরকার চাকুরী সৃষ্টির, কার দরকার কোটা ফোটা? শেখ হাসিনার মাথায় লিলিপুটিয়ানদের মতো বুদ্ধি, কাজের কিছু নয়।

১৭| ০৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:২৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: শিখণ্ডী বলেছেন: কোটা আন্দোলনের যারা পোস্টার লিখেছিল "আমরা রাজাকার" তাদের পেটানো ঠিক আছে। ওদের হাঁড্ডি-গুড্ডি ভেঙ্গে রাস্তায় ছালা বিছিয়ে ভিক্ষা করতে বসিয়ে দেয়া দরকার ।

শুধু তাই না একটি স্বাধীন দেশে যারা উন্মুক্ত "আমরা রাজাকার" প্লে কার্ড পোষ্টার সহ স্লোগান দেয় এটি নিঃসন্দেহে রাষ্ট্রদ্রোহীতা তাদের বাংলাদেশ আইনে বিচার হওয়া উচিত - আমৃত্যু কারাদন্ড ।

কোটা আন্দোলনের নামে চলছে তৃতিয় শ্রেণীর পঁচা রাজনীতি ও অরাজকতা সৃষ্টির পায়তারা - বিএনপি গাধা ফখরুল রিজভি গং দের আমৃত্যু কারাদন্ড হওয়া উচিত ।

০৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:


অবস্হা বুঝে মনে হচ্ছে, সরকার সংগঠকদের নিয়ে খুশী নয়।

১৮| ০৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৩০

নাজমুল ০৭ বলেছেন: ১।প্রধানমন্ত্রী সংসদে কোটা বাতিল করার কথা বলেছিলেন তবে প্রতিবন্ধী উপজাতিদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রাখার কথা বলেছিলেন। উনি মন্ত্রীপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে একটা কমিটি করার কথা বলেছিলেন। কিন্তু পরে দেখা যায় উনি বলছেন যে উনি কমিটি করে দিয়েছেন কিন্তু মন্ত্রীপরিষদ সচিব বলছেন কোন কমিটি হয়নি, কোন অগ্রগতি নেই। এর মধ্যে আড়াই মাস পার হল কিন্তু কোন কমিটি হল না, তার মধ্যে চলল বিভিন্ন মন্ত্রীদের উরাধুরা বক্তব্য। যেটা নিয়ে ছাত্রদের মধ্যে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছিল। যার পরিপ্রেক্ষিতে তারা আবার আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছিল।
পরে চলল ছাত্রলীগের( হাতুড়িলীগের) সন্ত্রাস। এবার অস্থির পরিস্থিতির মধ্যে কমিটি করা হল এবং ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হল। যে কমিটি চাইলে আগে করা যেত এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাগুলো এড়ানো যেত। এখানে আন্তরিকতার অভাব ছিল।
স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরেও কি আমরা এতটা সভ্য জাতি হতে পেরেছি যেখানে যোগাযোগ করে, মিটিং দাবি আদায় হয়? যেটা স্বাধীনতা পাওয়ার পরপরই হওয়ার কথা ছিল।এখানে যোগাযোগ করলে, মিটিং করলে, মানব্বন্ধন করলে সরকার কর্ণপাত করেনা যতক্ষণ না পর্যন্ত রাস্তাঘাট বন্ধ হচ্ছে।
২।আহতদের ক্ষতিপূরণের কথা বলেছেন, এখানে আহতদের চিকিৎসা পর্যন্ত নিতে দিচ্ছে না, হসপিটাল থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে।নুর( যুগ্মআহ্বায়ক) তাকে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে দেইনি, পরে বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তি হয় সেখান থেকেও
গভীর রাতে বের করে দেওয়া হয়েছে। তরিকুল(যুগ্মআহ্বায়ক) ছাত্রলীগ হাতুড়ি দিয়ে মেরে পা ভেঙ্গে দিয়েছে, কিন্তু রাজশাহী মেডিকেল কলেজ তাকেও পূর্ণ চিকিৎসা না দিয়ে বের করে দিয়েছে।
৩।২০০৮ সালের পর ২০১৮ সালে এসে প্রথম এই আন্দোলনের কারনে ছাত্রলীগের ক্ষমতা কিছুটা খর্ব হয়, যেটা ওরা ভালভাবে নেইনি, ওরা সেটা পুনরুদ্ধার করার জন্য এমন আগ্রাসী ভূমিকাতে গেছে। আর জানেন তো ভয় সংক্রামক। ভয় দেখিয়ে ছাত্রলীগ তাদের হারানো ক্ষমতা ফিরে পেতে চাচ্ছে।

০৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:


শেখ হাসিনার উচিত ছিল কমপক্ষে আপডেট দেয়া।

তবে, সংগঠকদের বুঝতে হবে, বাংলাদেশ সরকারে উনাদের বড় ভায়েরাই কাজ করছে।

১৯| ০৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:১৮

রসায়ন বলেছেন: সবই বাটপারি । পোলাপান বোঝে। আওয়ামীলীগ মনে করে এই ৩০% মুক্তিযোদ্ধা কোটায় যারাই নিয়োগ পায় তারাই আওয়ামি মনা । সিভিল প্রশাসনে এরকম বৈধ পথে অবৈধ নিয়োগ বন্ধ হয়ে যাবে কোটা না থাকলে । এজন্যই এত মারামারি হাতুড়ি লীগ দিয়ে।

০৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


যে যেইভাবে নিয়োগ পাক, আমাদের ব্যুরিক্রেটরা ডাকাত, এরা জাতির সম্পদ লুট করে।

২০| ০৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ২:৩০

অনল চৌধুরী বলেছেন: সব ছাত্র সংগঠনই হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলির সশস্ত্র শাখা।এদের রাখাই হয় প্রতিপক্ষের সাথে মারামারি অার ক্ষমতায় থাকতে বিরোধীদের পিটিয়ে অাধমরা করার জন্য।ঠিক জমিদাররা যেভাবে লাঠিয়াল পুষতো,ব্যবসায়ীরা যেভাবে মাস্তান পোষে-সেইরকম ব্যবস্থা।
এজন্যই এদেশের কোন রাজনৈতিক দল তথাকথিত এই ‘‘ছাত্র রাজনীতি’’ বাতিলে রাজী না।
অার ছাত্ররাও বোকা না।তারারও গাড়ি-বাড়ি অার নারীর লোভে এগুলিতে যোগ দেয়।

০৭ ই জুলাই, ২০১৮ ভোর ৬:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:


ছা্ত্র জীবনে পড়ালেখা না করে, রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ায় স্বয়ং শেখ সাহেব ও তাজুদ্দিন সাহেব অদক্ষতায় ভুগেছেন।

২১| ০৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ২:৩২

অনল চৌধুরী বলেছেন: সবাইকে লিলিপুটিয়ান, পিগমি বলা চরম রুচিহীনতা ও পারিবারিক শিক্ষার অভাবের বহি:প্রকাশ।

০৭ ই জুলাই, ২০১৮ ভোর ৬:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমার কোন পরিবার ছিলো না, আমি নিজকে সৃষ্টি করেছি।

২২| ০৭ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:০৩

সিগন্যাস বলেছেন: কোথায় যেন পড়েছিলাম পাকিস্তানের সাধারণ জনগণ আমাদের চেয়ে শান্তিতে আছে

০৭ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


সেটা ভয়ংকর ভুল প্রচারণা, জামাত-বিএনপি এসব প্রচারণা চলায়; পাকিস্তানের ভুমির পরিমাণ আমাদের ৪ গুন; এটাই একমাত্র ভালো দিক; কিন্তু নামাজ পড়তে গেলে পরিচিত মসজিদে যেতে হয়, সাধারণ মানুষ সাধারণ মানুষকে ভয় করে; প্রতিটি মানুষ মিথ্যা কথা বলে সেই দেশে।

২৩| ০৭ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন:

শেখ হাসিনাকে এই পর্যায়ে আসা ঠিক হয়নি; উনার নিজের বাবাকে মাঝে মাঝে উনার স্মরণ করা উচিত; আইয়ুব উনার বাবার লাল নীল সুতা বের করেছিলো, জিয়া শেষে উনার বাবাকে হত্যা করেছিলো; এদেশের মানুষ আইয়ুব, জিয়া, এরশাদ, বেগম জিয়াকে চাহেনি; উনার বাবাকে চেয়েছিলেন।


উনি নিজের বাবাকে খুব একটা দেখার সময় পান নি। শেখ মুজিব ছিলেন কারাগারে-কারাগারে। আর৫ শেখ হাসিনা ছিলেন বিদেশ।

০৭ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাবার ৬ দফা ও বাকশালের কথা তো তিনি শুনেছেন; উনার বাবা যে জনপ্রিয় নেতা ছিলেন, সেটা তো তিনি দেখেছেন।

২৪| ০৭ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:২০

টারজান০০০০৭ বলেছেন: একজন নেতৃস্থানীয় এনথ্রোপোলজিস্টের মতে বাঙালি চরম emotional এবং irrational ! ইহা বাঙালির জাতিগত বৈশিষ্ট্য ! কোটাবিরোধী আন্দোলন ও তাহা দমানোর পদ্ধতি দেখিয়া ইহার সত্যতা প্রমান হইতেছে ! :D =p~

০৭ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


শেখ সাহেব ও তাজুদ্দিন সাহেবের অদক্ষতার প্রমাণ হলো কোটা ব্যবস্হা; শেখ হাসিনা চাইলে সেটার সমাধান করতে পারে; উনার কাছে সেই বুদ্ধি নেই।

২৫| ০৭ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৩৫

গরল বলেছেন: সরকারি কেরাণীগিরী চাকুরী নিয়ে ছাত্রদের কামড়া কামড়ি বলে দিচ্ছে যে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভাল না। এই বিশ্বায়নের যুগে রাবিশরাই কেবল কেরাণীগিরী করতে চায়, তাহলে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যাবস্থা শুধুই কেরাণী তৈরী জন্য?

০৭ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমাদের বেশীর ছেলেমেয়ে ইউনিভার্সিটি পাশ করছে ২/১ সপ্তাহ পড়ে; ওরা নিজেরাই ভয়ে থাকে যে, তাদের দ্বারা কিছুই হবে না; তাই সরকারী চাকুরীই তাদের লক্ষ্য।

২৬| ০৭ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: হাতুড়ি দিয়ে পা ভেঙে দেয়ার পরে অনেক মানিমুনি জন (নাম বললে চাকরি থাকবে না) টক শো তে এসে সাময়িক নিন্দা জানাচ্ছেন ঠিকই, সাথে 'কিন্তু' 'যদিও' 'তারপরেও' বলে অন্য ষড়যন্ত্র তত্ত্বও দিচ্ছেন। কেন আপনারা এত ভয় পাচ্ছেন? কেন সাধারণ পাবলিক কি মনে করবে ভেবে আপনারা নিন্দা জানিয়ে বীর কর্মীটাকে অপমান করছেন? হাতুড়ি পুড়েন (ক্ষ্যাতা পুড়েন) আমাদের মত পাবলিকদের মুখে! আমাদের মুখে, হাতে, মাথায় হাতুড়ির বাড়ি অনেক আগেই পড়ছে, আমাদের ভয়ে নিজেদের লজ্জিত করবেন না প্লীজ, আপনাদের ইমেজের সাথে এই লজ্জা যায়না!

০৭ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


শেখ হাসিনা যেভাবে আওয়ামী লীগে এসেছেন, যেভাবে আওয়ামী লীগ চালাচ্ছেন, এখানে ষড়যন্ত্রকারীরা জড়ো হয়েছে; ওরা সবাইকে ভয় পায়, সবাইকে সন্দেহ করে।

শেখ হাসিনার নিজস্ব কারণ ছিল এভাবে দেশ চালাবার; তবে, এখন উনার অনেক শক্তি; তিনি চাইলে দেশকে ভালোর দিকে নিতে পারেন; হয়তো, মানুষ উনাকে বুঝাতে হবে যে, উনার ভয় নেই!

২৭| ০৭ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৫০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আপনার পোস্টের শিরোনাম থেকে কমেন্ট করছি......

শেখ হাছিনার নির্দশের প্রতি সম্মান দেখাবে তার অনুগতরা এটাই স্বাভাবিক। সেটা হয়নি।

এর ব্যাখ্যা দুইধরণের
১্। শেখ হাছিনার আদেশে বিরক্ত হয়ে মারা মানে শেখ হাছিনাকেই মারা। তারা তাই করছে।

আরেকটা হলো
শেখ হাছিনা ঘোষণা আই ওয়াস। তিনি ছাত্রলীগ লেলিয়ে দিয়েছেন নিজের মুখে নিজেই জুতো মেরেছেন।


আর স্বশিক্ষিত লোক আছে।
লেখাপড়া করেও অনেকে শিক্ষিত নন। কারণ স্বশিক্ষিত না হলে পড়ালেখা করে অশিক্ষিত থেকে যায় মানুষ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠের সময়। কোটা কতটা ঘৃণা করে ছাত্ররা সেটা দেখেছি। কোটায় নিয়োগ প্রাপ্তরা পর্যন্ত কোটার রেজাল্ট বা বিষয়টা যেন গোপন রাখা হয় এই ইচ্ছা প্রকাশ করেন । ড. শাহাদৎ হোসেন তিনিও মুক্তিোদ্ধা তার মেয়ে ক্যাডার হয়েছেন কোটায় মেধায় নয়। সাধারণ ছাত্রদের মনোভাব যারা ৯৯ ভাগ বা তার বেশি তারা কোটা রীতিমতো ঘৃণা করে। তাদেরকে রাজাকারের বাচ্চা বলা মতিয়ারা গণ্ড মূর্খের চেয়ে অধম। কোন বুদ্ধিমান বাংলাদেশি প্রাণি কোটার পক্ষে যাবেনা। অনগ্রসর কোটার কেউ দ্বিমত করবে না। মুক্তিযুদ্ধারা অনগ্রসর নন।

আবার অনেকে যুক্তি দিলেন ২-৪% পাওয়া মুক্তিযদ্ধাদের সন্তান। এর জন্য ৩০% রাখা তো যুক্তির কথা নয়। ২-৪% একেবারে শেষের দিকের তারা সবাই কেন চাকরি পাবে। ২-৪% এর মধ্যে ৫০% ভাগ দিলেও ১-২% হয় । গ্যাপটা দলীয়করণ আত্তীয়করণ অর্থিকরণ করা হয বা দূর্নীতি করা হয়। দেশের বিশাল একটা জনসংখ্যা এন্টি আওয়ামীলীগ। বর্তমানে ৭০-৮০% হবে। আওয়ামীলীগ ১০ বছরের বেশি সময় ধরে দলীয়করণ করে যাচ্ছে। একসময় তোফায়েল বিসিএস ছিল। সংখ্যালঘুদের কে মানবে? আর কার এতো লাখ লাখ টাকা দিয়ে চাকুরী নেয়ার সামর্থ আছে?

০৭ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:


কোটায় যে সমস্যা আছে, সেটা সবাই বুঝতেছে; কিন্তু আসল সমাধানের কথা কেহ বলছে না; আসল সমাধান হলো "চাকুরী সৃষ্টি"; চাকুরী না বাড়লে সবাই চাকুরী পাবে না।

শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসেছেন দেশের যোগ্যতম ব্যক্তি হিসেবে নয়; তিনি এসেছেন দলের প্রধান হিসেবে। উনার মুল এজেন্ডা ছিল বিএনপি'কে ক্ষমতাচ্যুত করা; বাকীগুলো সেকেন্ডারী।

২৮| ০৭ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৮

রক বেনন বলেছেন: সরকারী চাকরির ক্ষেত্রে আজীবন মেয়াদ তুলে দিলে কেমন হয়? সব সুযোগ সুবিধা থাকবে কেবল আজীবন মেয়াদ থাকবে না। প্রাইভেট চাকরির মতন যখন তখন চাকরি চলে যাওয়ার সম্ভাবনা সব সময় থাকবে। এতে কিছুটা কি সমস্যার সমাধান হতে পারে?

০৭ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমাদের সবকিছু ঠিক করে ব্যুরোক্রটরা; আজকে যারা আন্দোলন করছে, কালকে ব্যুরোক্রটের চাকুরী পেলে সবাই ডাকাতে পরিণত হবে; ওদের সিনিয়র ভাইয়েরা সেখানে আজকে চাকুরী করছে; ওদের বর্তমান অবস্হার জন্য ওদের সিনিয়র ভাইয়েরাই দায়ী; ওরা সবাই একই পথের পথিক।

২৯| ০৭ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৫০

ব্লগ মাস্টার বলেছেন: ভিক্ষা দেক না দেক, কমপক্ষে কুকুর সামলানোই গৃহস্হের একটা বড় দায়িত্ব। আর ভিক্ষুক সামলানো মানেই পিটিয়ে রক্তাক্ত করা নয়। :(

০৭ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


রক্তাক্ত যারা করছে, তারা মোটামুটি আন্দোলনকারীদেরই সহপাঠি; দেশের ছাত্রদের একাংশ রাজনৈতিক দলগুলোর গুন্ডা হয়ে কাজ করছে; এটা থামানোর জন্য ছাত্রদের থেকে কোনদিন আন্দোলন হয়ে আসছে?

৩০| ০৭ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:১৭

তারেক ফাহিম বলেছেন: এমন গৃহস্থের কাছে ভিক্ষুক না যেওেয়ওতো উপায় নাই। B-)

কুকুর পরিবর্তন করলেইতো হতো :(

০৭ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:


ইসলামী ছাত্র সংঘ গণহত্যা চালায়েছে, শিবির আমাদের ইউনিভার্সিটিগুলোকে মাদ্রাসা বানায়েছে ও রগ কেটেছে, ছাত্রদল ও ছাত্রলীগ মাফিয়া হয়ে ব্যবসা বাণিজ্য করেছিলো, করছে!

এরাই পরে দেশ চালায়; কুকুরও এরা, মালিকও এরা

৩১| ০৭ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৫৩

অনল চৌধুরী বলেছেন: তাজুদ্দিন সাহেব অদক্ষতায় ভুগেছেন। প্রাণ ভয়ে পালিয়ে বা আত্মসমর্পণ না করে একজন বিপ্লবী নেতার মতো পুরো মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাকারী তাজউদ্দিন যদি অদক্ষতায় ভোগেন তাহলে দক্ষ কি মীরজাফর মোশতাক?

০৭ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:


মোস্তাক দক্ষ ছিলো না, সে সিআইএ, পাকিস্তান ও জামাতের ষড়যন্ত্রের ঘুটি, মগজনহীন বিশ্বাসঘাতক!

তাজুদ্দিন যুদ্ধকালীন প্রাইম মিনিষ্টার, তিনি মানুষের কষ্ট, ত্যাগ, বীরত্ব, অবদান, স্বপ্ন দেখেছেন; কিন্তু মানুষের জন্য কিছুই করেননি।

৩২| ০৭ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:০২

বিষাদ সময় বলেছেন: বেকারত্বের একটা সমাধান হিসেবে কোটা সংস্কার চেয়েছেন আমাদের ইউনিভার্সিটির ছাত্রেরা,

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সাথে জড়িতরা যে ধরনের আক্রমনের শিকার হয়েছেন তারপর এদের বিপক্ষে যে কোন বিষয় নিয়ে বলতে বিবেকে বাধছে। তারপরও আপনার উপরোক্ত কথার পরিপ্রেক্ষিতে কিছু কথা না বললে না।

কোটা সংস্কার করলেই বেকারত্ব সমধান হবে তা মোটেও নয়, সেটা আপনি যেমন বোঝেন, আমি বুঝি, তেমনি কোট সংষ্কার আন্দোলনকারীরাও বোঝেন। তাহলে এতো আন্দোলন কেন? কারণ ধনতন্ত্রের কুফল আমাদের গ্রাস করেছে। ধন তৈরী হয়নি কিন্তু ভোগ বিলাসের মন মানসিকতা তৈরী হয়ে গেছে।

আগে সরকারী চাকুরীতে ক্ষমতা ছিল, অলসতা ছিল, ছিল নিশ্চয়তা, শুধু ছিলনা আর্থিক প্রাচুর্যতা । যে কারণে অনেকে সরকারী চাকুরী করতে চাইতেন না। কিন্তু সর্বশেষ পে-স্কেল ঘোষনার পর এখন সরকারী চাকুরী মানে অর্থিক প্রাচুর্যতাও। অর্থাৎ সব দিক দিয়ে সরকারী চাকুরী এখন লোল ফেলার মতো লোভনীয়। আর এ কারণেই কোটা সংস্কা আন্দোলনের এতো তীব্রতা।
এখন সবাই পাগলের মতো ছোটা শুরু করেছে সরকারী চাকুরী নামের সোনার খনির পিছনে।

০৭ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


ডামী প্রশ্নফাঁস জেনারেশন মুল সমস্যা বুঝেনি; ঘরে ডিম যদি ৩টা থাকে, বাচ্চা যদি ৪ জন হয়, বাচ্চাদের অর্ধেক করে ডিম দিবেন মা; মা নিজে খাবেন না; বাবাকে দেবেন ১টা। ডিম যদি ১০টা থাকে, মা সবাইকে কম করে হলেও ১টা করে দেবেন।

দেশে চাকুরী নেই; ১৯৭২ সাল থেকে আজ অবধি সরকারের কেহ বলেনি যে, আমাদের দরকার চাকুরী সৃষ্টি করার; তা'হলে কোটা মোটার সমস্যা হতো না।

দরকার ছিল চাকুরী সৃষ্টি জন্য চাপ দেয়া।

৩৩| ০৭ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:০০

রাজীব নুর বলেছেন: নেগেটিভ থিংকিং একটা দেশের জন্য কোন যুক্তিতেই ভাল হতে পারে না। আর এটা করেই আমরা আমাদের সব হারাতে বসেছি। আমাদের পূর্বসূরিররা গর্ব করার মতই অনেক কিছু দিয়ে গেছেন কিন্তু আমরা বিভেদ তৈরি করে সেসব নষ্ট করেছি।

০৭ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংগালীর মাঝে ১ম বার বিশাল আকারে "নেগেটিভ থিংকিং" প্রবেশ করেছে শেখ সাহেবকে হত্যার পর; আমি জানতাম যে, শেখ সাহেব দক্ষ নন; কিন্ত আমি কি সহ্য করবো যে, কেহ উনাকে হত্যা করে ডা: বদরুদ্দোজার মত লোক দেশ চালাক? আমি কি সহ্য করবো যে, উনাকে হত্যা করার পর জেনারেল জিয়ার বউ দেশ চালাক, এরশাদ দেশ চালাক?

আমি কি স হ্য করবো মতিুর রহমান নিজামী দেশ চালাক? আমাদেরকে "নিগেটিভ থিংকিং"এর মাঝে ঠেলে দিয়েছে জেনারেল জিয়া

৩৪| ০৭ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কুত কুত খেলার খুব শখ তাই না!!

০৭ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


ওটাতে বিশ্বকাপ আছে?

উহা কিভাবে খেলে? ইহা চিটাগং'এ নেই!

৩৫| ০৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:১৮

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: ছাত্রলীগ তার দায়িত্ব পালন করেছে।

০৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



ওদের আগের ভাইদের একাংশ শেখ সাহেবকে হেনস্তা করেছে, এরা শেখ হাসিনাকে ডুবাবে।

৩৬| ০৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৩৫

সনেট কবি বলেছেন: সামনে নির্বাচন বলে ছাত্রলীগ একটু প্রাকটিস করতেছে। মন্দ ভাবেন কেন? জনসম্পদে আমরা যথেষ্ট ধনী। এর একটু খয় খতি হলে এ আর এমন কি?

০৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


শেখ হাসিনার কোন ক্ষতি হলে, সেটা ছাত্রলীগের দিক থেকে আসার সম্ভাবনা

৩৭| ০৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৩:০৮

অনল চৌধুরী বলেছেন: তাজুদ্দিন যুদ্ধকালীন প্রাইম মিনিষ্টার, তিনি মানুষের কষ্ট, ত্যাগ, বীরত্ব, অবদান, স্বপ্ন দেখেছেন; কিন্তু মানুষের জন্য কিছুই করেননি। তিনি সশস্ত্র মুক্তিযদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন।দেশ স্বাধীন হওয়ার পর মোশতাকের ষড়যন্ত্রে মন্ত্রীত্ব হারিয়েছেন।১৯৭৫ এ খুনীদের মন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব গ্রহণ না করায় কারাগারে নৃশংশভাবে নিহত হয়েছেন।
একজন নেতার কাছ থেকে এর চেয়ে বেশী কি আশা করেন ?
বেইমানী করলে শাহ মোয়াজ্জেম,তাহেরুদ্দিন ঠাকুর,কাজী জাফর,মওদুদদের মতো বেচে থেকে ক্ষমতা,অান্দ-ফুর্তি-সবই করতে পারতেন।

০৮ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


উনার ভুলের জন্য উনার মৃত্যু হয়েছে; শেখ সাহেবকে হত্যার পর, লিষ্টে কার নাম থাকার কথা? উনার বুঝার দরকার ছিলো।

৩৮| ০৮ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:৪৮

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: দেশ শেখ হাসিমা ভালোই চালচ্ছেন । খারাপের কিছু দেখছিনা।

০৮ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



এখন দেশে বড় দল উনার

৩৯| ০৮ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:৪৯

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: দুঃখীত শেখ হাসিনা হবে ন মিশিং।

০৮ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


অর্থ পরিস্কার হয়নি

৪০| ০৯ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ২:৩৭

অনল চৌধুরী বলেছেন: উনার ভুলের জন্য উনার মৃত্যু হয়েছে; শেখ সাহেবকে হত্যার পর, লিষ্টে কার নাম থাকার কথা? উনার বুঝার দরকার ছিলো। তাহলে কি তাকে বেঈমানি করতে হতো।এছাড়া বাচার অার কোন উপায় ছিলো না।

০৯ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৩:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


একজন সাধারণ মানুষ ও একজন বুদ্ধমানের মাঝে পার্থক্য হলো, কোন ঘটনাকে এনালাইসিস করে কে কি ধরণের পদক্ষেপ নিচ্ছে সেটার উপর।

তাজুদ্দিন সাহেব শেখ সাহেবের মৃত্যুর সংবাদ শোনার পর, কমপক্ষে ঢাকা শহর থেকে বেরিয়ে যাবার দরকার ছিলো; ২/১ দিনের মাঝে ভারত চলে যাবার দরকার ছিলো।

৪১| ০৯ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৩:৩৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: অনল চৌধুরী ভাই, তাহের উদ্দিন ঠাকুর বেঈমান ছিলেন না, বেঈমান হলে শেখ হাসিনার আমলে বিচারিত আইনে তিনি বেকসুর খালাস পেতেন না, অন্যান্য সবার সাথে তার ও ফাঁসী হতো অবস্যই - ভুল তথ্য দিয়ে ভুল করছেন । শেখ মুজিব হত্যা ও অন্যান্য রাজনৈতিক প্রপাগান্ডা সহ সামরিক ক্যূ তে তাহের উদ্দিন ঠাকুর কোনো ভাবে কোনো কালে জড়িত ছিলেন না । - আর তাই জিয়া ও এরশাদ সরকার আমরে তাহের উদ্দিন ঠাকুর কোনো ভাবে পুরস্কিত হোন নি - না তিনি দেশ বিদেশে আমালা ছিলেন, না তিনি কোনো সাংসদ ছিলেন । আশা করি চাঁদগাজী ভাই অনল চৌধুরী ভাইয়ের সঙ্গে “তাহের উদ্দিন ঠাকুর বিষয়ক কথাটি পরিস্কার করবেন” । এটি জরুরী ।।

৪২| ০৯ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৩:৫২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: অনল চৌধুরী ভাই বলেছেন: বেইমানী করলে শাহ মোয়াজ্জেম,তাহেরুদ্দিন ঠাকুর,কাজী জাফর,মওদুদদের মতো বেচে থেকে ক্ষমতা,অান্দ-ফুর্তি-সবই করতে পারতেন। - তাহের উদ্দিন ঠাকুর মুজিবোত্তর দেশ বিদেশে কোনো আমলা ছিলেন না, কোনো সাংসদ ও ছিলেন না, তাহের উদ্দিন ঠাকুর তাঁর নিজ পারিবারিক সমস্যায় রাজনীতি ও সরকার থেকে ছিটকে পড়েন ১৯৭৪ জানুয়ারী ।

Taheruddin Thakur
From Wikipedia, the free encyclopedia
Taheruddin Thakur (died on 17 February 2009) was a Bangladeshi politician.[1] He served as the Minister of State for Information at the cabinet of President Sheikh Mujibur Rahman.[2]

Career
Thakur was arrested on 14 August 1996 for the charge of assassination of Sheikh Mujibur Rahman which took place on 15 August 1975.[3] He was acquitted from the case later.[1] On 20 October 2004, Metropolitan Sessions Judge’s Court (Trial Court) acquitted Thakur from another charge of Jail Killing case.[4]

Thakur worked as a journalist at The Daily Ittefaq.[1] He died on 17 February 2009 after suffering from kidney disease.[1]

References
"Taheruddin Thakur dies". bdnews24.com. 17 February 2009. Retrieved 7 September 2016.
"BANGABANDHU AND LAPSES IN HIS SECURITY". The Daily Star. 15 August 2014. Retrieved 7 September 2016.
Sarkar, Ashutosh (29 January 2010). "Long road to justice". The Daily Star. Retrieved 7 September 2016.
"Marfat, Mridha to be hanged in Jail Killing Case". The Daily Ittefaq. 30 April 2013. Retrieved 7 September 2016.

সুত্রঃ- Click This Link

৪৩| ১০ ই জুলাই, ২০১৮ ভোর ৪:০২

অনল চৌধুরী বলেছেন: মুজিব হত্যাকান্ডে সরাসরি অংশ নেয়া ব্যাক্তি ছাড়া কোন ষড়যন্ত্রকারীর বিচার হয়নি।তাহেরউদ্দিন ঠাকুর মুজিব হত্যার পর রেডিও ষ্টেশনে কেন গিয়েছিলেন?
তিনি কি কোনদিন হত্যার প্রতিবাদে কোন বক্তব্য দিয়েছিলেন যেটা তার দায়িত্ব ছিলো।
মোশতাক তাকে আদর করে ডকতো মুসলমান ঠাকেুর বলে।
উইকিপিডিয়া অনেক তথ্যের উৎস কিন্ত অনেক ভুলেরও।ওখানে কাদের সিদ্দিকির পরিচয় রাজাকার হত্যাকারীর,মুক্তিযুদ্ধে তার বিশাল অবদানের কোন বর্নণা নাই।
ভাই হিসাবে একটা প্রশ্ন করি,তাহেরউদ্দিন ঠাকুর কি আপনার অাত্মীয়?পদবীর মিল দেখে তাই মনে হচ্ছে।
নীচের লেখাটা পড়েন।
[শেথ মুজিবুর রহমান হত্যাকান্ডের সাথে জাসদসহ বামপন্থী দলগুলোর ভূমিকা উঠে এসেছে জাসদের উন্থান পতন:অস্থির সময়ের রাজনীতি বইয়ে। ১৫ আগস্ট ও পরবর্তী সময়ের ঘটনা বিবরন তুলে ধরা হলো ] - See more at: Click This Link



১৫ আগস্ট ভোরবেলা ঢাকা শহরের অনেক অধিবাসীর ঘুম ভাঙে গোলাগুলির আওয়াজে। দিনটি ছিল ৩০ শ্রাবণ, শুক্রবার। রেডিওতে ঘোষণা শোনা যাচ্ছিল : ‘আমি মেজর ডালিম বলছি। স্বৈরাচারী শেখ মুজিবকে হত্যা করা হয়েছে।’ সারা বিশ্বে কারফিউ জারি করা হয়েছে। উত্তেজনার বলে ডালিম ‘সারা বিশ্বে’ কারফিউ জারি করে দিলেন। তিনি ঘোষণা শেষ করলেন, ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ বলে। ঢাকা বেতারে প্রায় ৪৪ মাস পরে আবার ‘জিন্দাবাদ’ ধ্বনি শোনা গেল।

দুপুরের মধ্যে নগরবাসী জেনে গেলেন শেখ মুজিব, তার ভগ্নিপতি ও মন্ত্রিসভার সদস্য আবদুর রব সেরনিয়াবাত এবং শেখ ফজলুল হক মনির বাড়িতে সামরিক বাহিনী কিছু সদস্য ভোররাতে হামলা করেছে এবং যাকে পেয়েছে তাকেই হত্যা করেছে। ঘটনার আকস্মিকতায় অনেকেই শোকাহত, অনেকেই খুশিতে ডগমগ। রাস্তায় বেরিয়ে অনেকেই জটলা করছেন, এই ঘটনা নিয়ে কথাবার্তা বলছেন। এর আগে কয়েক মাস ধরে ‘এক নেতা এক দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ এই স্লোগান দিয়ে বাকশালের সদস্য হওয়ার জন্য অনেকেই ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতার কাছে ধরনা দিয়েছিলেন। কিন্তু ১৫ আগস্ট ঢাকা শহরের রাস্তায় শেখ মুজিবের জন্য প্রকাশ্যে আফসোস করার মতো মানুষ তেমন খুঁজে পাওয়া যায়নি। নিয়মিত রোজনামচা লেখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন একজন শিক্ষক ছিলেন বাংলা বিভাগের আহমদ শরীফ। শেখ মুজিব সম্পর্কে তার মন্তব্য ছিল।

শেখ মুজিবের সাড়ে তিন বছরের দুঃশাসন হত্যা-লুণ্ঠনের বিভীষিকা মুজিবকে গণশত্রুতে পরিণতক করেছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার আন্তর্জাতিক রাজনীতির স্বার্থে সে সুযোগে তাকে হত্যা করায় সপরিবারে।

ধীরে ধীরে ১৫ আগস্টের ঘটনার বিবরণ প্রকাশ হতে থাকল। জানা গেল, সেনাবাহিনীর একদল জুনিয়র অফিসার এই কাণ্ডটি ঘটিয়েছিল। তাদের নেতা মেজর ফারুক রহমান ও মেজর খন্দকার আবদুর রশিদ। তাদের সাথে যোগ দিয়েছিলেন আরো কয়েকজন মেজর, ক্যাপ্টেন, লেফটেন্যান্ট ও জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার। তাদের কয়েকজন এর আগে সেনাবাহিনী থেকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বরখাস্ত হয়েছিলেন। এই দলের অন্যতম ছিলেন ক্যাপ্টেন বজলুল হুদ। পরে তাকে মেজর পদে পদোন্নতি দেয়া হয়। হুদা ১৯৬৫-৬৭ সালে ঢাকা কলেজের ছাত্র ছিলেন। তখন তিনি ছাত্রলীগ করতেন। উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর ১৯৬৭ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হন। ছাত্র থাকাকালে তিনি সেনাবাহিনীর ক্যাডেট হিসেবে যোগ দেন। তার কলেজ জীবনের অন্তরঙ্গ বন্ধুদের একজন ছিলেন আবদুল বাতেন চৌধুরী। বাতেন ছিলেন জাসদের ঢাকা নগর পার্টি ফোরামের সদস্য। তিনি মুহসীন হলের তিন নম্বর কক্ষে থাকতেন। হুদা বাতেনের রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কে অবহিত ছিলেন। বাতেন স্কুলজীবন থেকেই ছাত্রলীগের সদস্য এবং ১৯৭২-৭৩ সালে এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। তার স্মৃতিচারণ থেকে এখানে উদ্ধৃত করা হলো :

পঁচাত্তরের ১৩ আগস্ট বিকেল ৩টায় সেনা গোয়েন্দা দফতরের (ডিএমআই) ক্যাপ্টেন বজলুল হুদা অসামরিক পোশাকে মুহসীন হলে আমার কক্ষে এলো। সে ঢাকা শহরের দায়িত্বে ছিল। আমরা সূর্যসেন হলের ক্যানটিনে গিয়ে চা খেলাম এবং তারপর রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে একটি গাছের নিচে ঘাসের ওপর বসলাম। তারপর শুরু হলো কথাবার্তা।
হুদা : তোরা যেভাবে চেষ্টা করছিস, তাতে কিছু হবে না। লেট আস ইউনাইট অ্যান্ড গিভ হিম আ ব্রো।
বাতেন : ইউনাইট হতে পারি, কিন্তু ব্রো দিতে পারব না। আমরা বিপ্লবে বিশ্বাস করি। তুমি যা বলছ, সে পথ আমাদের নয়।
এভাবে কিছুক্ষণ কথা বলার পর সন্ধ্যা হয়ে এলো। তারা দু’জন বলাকা বিল্ডিংয়ের দোতলার একটা চায়নিজ রেস্তোরাঁয় খাবার খেলেন। হুদা চলে যাওয়ার সময় বাতেনকে সতর্ক করে দিয়ে বললেন, ‘কাল-পরশু দুর্দিন হলে না থাকাই ভালো। বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবেন। নানা ধরনের চাপ থাকবে। রাতে বাইরে থাকিস।’ হুদা বাতেনকে যোগাযোগের জন্য একটা টেলিফোন নম্বর দিলেন।
বাতেন সে রাতে মুহসীন হলেই ছিলেন। ১৪ আগস্ট তিনি আজিমপুর কলোনিতে তার বোনের বাসায় যান এবং সেখানেই রাত কাটান।
১৫ আগস্ট সকালে ঘুম ভাঙতেই রেডিওতে তিনি অভ্যুত্থানের সংবাদ পান। তিনি হেঁটে হেঁটে নিউ মার্কেট-নীলক্ষেতের মোড়ে বিউটি রেস্টুরেন্টে যান এবং সেখানে নাশতা করেন। তারপর মুহসীন হলের দিকে রওনা হতেই দেখলেন, বেশ কয়েকজন ছাত্র ঊর্ধ্বশ্বাসে দৌড়াচ্ছেন। তারা অত্যন্ত ভীতসন্ত্রস্ত। বাতেন এদের মধ্যে ফকির গোলেদার রহমানকে দেখলেন। গোলেদার মনোবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র এবং সরকার-সমর্থিত ছাত্রলীগের একজন নেতা গোছের ছিলেন। তার পরনে লুঙ্গি এবং গায়ে স্যান্ডো গেঞ্জি। গোলেদার বললেন, তিনি হলের গ্রিলবিহীন জানালা দিয়ে হল অফিসের একতলার ছাদে লাফিয়ে নেমেছেন এবং এখন যত দূরে সম্ভব চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। বাতেনকে তিনি বললেন, ‘আমারে মাপ কইরা দিস।’


বাতেন মুহসীন হলে তার কক্ষে গেলেন। তিনি সেখানে জাহাঙ্গীর ও রুবেলকে পেলেন। ওরা দু’জনই সরকার-সমর্থিত ছাত্রলীগের কর্মী এবং ওই কক্ষেই থাকতেন। বাতেন বললেন, ‘তোরা আমার বোনের বাসায় চলে যা।’ তিনি নিজেই তাদের আজিমপুরে বোনের বাসায় নিয়ে এলেন।

বেলা ১১টার দিকে বজলুল হুদা বাতেনের বোনের বাসায় এসে হাজির হলেন। তিনি বাতেনকে নিয়ে বেরোলেন। তিনি নিজেই একটি জিপ চালাচ্ছিলেন। জিপের পেছনে একটা পিকআপে কয়েকজন সেপাই। হুদা বললেন, ‘জাসদের সাপোর্ট দরকার, এটার ব্যবস্থা করো।’ বাতেন বললেন, ‘জাসদ সাপোর্ট দেবে না। জাতীয় ঐক্যের চেষ্টা করো। তাজউদ্দীনকে আনো, রাজ্জাককে আনো।’
হুদা বাতেনকে নিয়ে গণভবনের পেছনে একটা সেনাক্যাম্পে গেলেন। সেখানে একটা ক্যানটিনে তারা পরোটা-গোশত খেলেন। তারপর বাতেনকে আসাদ গেটের কাছে নামিয়ে দিয়ে তাজউদ্দীনের বাসার দিকে রওনা হলেন। হুদা পরে তাজউদ্দীনের বাসায় তার অভিজ্ঞতার কথা বাতেনকে বলেছিলেন। তাজউদ্দীনকে হুদা সরকার গঠনের অনুরোধ জানালে তাজউদ্দীন জবাবে বলেছিলেন, ‘শেখ মুজিবের রক্তের ওপর দিয়ে হেঁটে আমি প্রধানমন্ত্রী-প্রেসিডেন্ট হতে চাই না।’

বাতেনকে হুদা মুজিব হত্যার বিবরণ দিয়েছিলেন। তার ভাষ্য মতে, ধানমন্ডিতে শেখ মুজিবের বাড়িতে ওরা আক্রমণ চালায় মেজর (অব.) নূরের নেতৃত্বে। গোলাগুলির শব্দ শুনে শেখ কামাল বেরিয়ে আসেন। তিনি প্রথমে গুলি ছোড়েন। হুদা তৎক্ষণাৎ কামালকে গুলি করে হত্যা করেন। গোলাগুলির শব্দ শুনে শেখ মুজিব ওপর থেকে চিৎকার করে তাদের গোলাগুলি থামাতে বলেন। তিনি বলেন, ‘তোমাদের কোনো কিছু বলার থাকলে ওপরে এসে আমাকে বলো।’ হুদারা তখন দোতলায় ওঠেন। শেখ মুজিবকে দেখে হুদা স্যালুট দেন। রাষ্ট্রপতিকে সামনাসামনি দেখে ভয়ে ও উত্তেজনায় তার পা কাঁপছিল। সাহস সঞ্চয় করে হুদা বলেন, ‘আমরা আপনাকে নিতে এসেছি। আমাদের সঙ্গে আপনাকে যেতে হবে।’ শেখ মুজিব ক্রুদ্ধ কণ্ঠে বলেন, ‘কোথায় যাবো? কেন যাবো? না, আমি যাবো না।’ হুদা সাহস সঞ্চয় করে বলেন, ‘আপনাকে যেতেই হবে।’ তিনি শেখ মুজিবের গলার কাছে রিভলবারের নল ঠেকালেন। শেখ মুজিব বললেন, ‘ঠিক আছে,্ আমি একটু চেঞ্জ করে আসি।’ তার পরনে লুঙ্গি। হুদা সময় নষ্ট করতে রাজি ছিলেন ন া। বললেন, ‘এ পোশাকেও আপনি বঙ্গবন্ধু, চেঞ্জ করলেও বঙ্গবন্ধুই থাকবেন। পোশাক বদলানোর দরকার নেই।’ মুজিব তাদের সাথে যেতে রাজি হলেন। বললেন, ‘দাঁড়াও, আমার পাইপ আর তামাক নিয়ে আসি।’ এই বলে তিনি তার ঘরে গেলেন এবং পাইপ নিয়ে বেরিয়ে এলেন। সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় মাঝামাঝি জায়গায় পৌঁছালে পেছন থেকে একজন একটা গামছা বের করে শেখ মুজিবের চোখ বাঁধতে যান। শেখ মুজিব হাত দিয়ে এক ঝটকায় তাকে সরিয়ে দেন। হাতের আঘাত থেকে বাঁচতে হুদা হাঁটু মুড়ে বসে পড়েন। তখন হুদার পেছন থেকে শেখ মুজিবের ওপর ব্রাশফায়ার করা হয়। শেখ মুজিব ঘটনাস্থলেই নিহত হন। অন্যরা এ সময় দোতলায় গিয়ে বাড়ির সবাইকে হত্যা করেন। ‘অপারেশন’ শেষ করে ফেরার সময় হুদা কামালের টয়োটা গাড়িটা চালিয়ে নিয়ে আসেন এবং সেনানিবাসে তার মেসের সামনে রেখে দেন।

বাতেন হুদাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘তাকে তোমরা কোথায় নিয়ে যেতে চেয়েছিলে?’ হুদা বলেছিলেন, ‘রেডিও স্টেশনে। সেখানে তাকে অ্যানাউন্সমেন্ট দিতে হতো, ‘বাকশাল বাতিল করা হয়েছে, খন্দকার মোশতাককে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’ হুদা আরো বলেছিলেন, ‘আমি জানতাম না, তাকে মেরে ফেলার কোনো পরিকল্পনা ছিল। আমার অ্যাসাইনমেন্ট ছিল, তাকে ধরে রেডিও স্টেশনে নিয়ে যাওয়া।’ বাতেন জানতে চেয়েছিলেন, ‘তোমরা তো তাকে পেয়েছিলেই, অন্যদের মারতে গেলে কেন?’ হুদার জবাব ছিল, ‘শেখ মুজিবকে মেরে ফেলার পর আমরা আর কোনো সাক্ষী রাখতে চাইনি।’

শেখ মুজিবের হত্যাকাণ্ডের আকস্মিকতায় অনেকেই হতবুদ্ধি হয়ে পড়লেও সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে তেমন উত্তেজনা লক্ষ করা যায়নি। হুদা বাতেনকে বলেছিলেন, এরকম একটা ঘটনা দু-একজন ব্যতিক্রম ছাড়া সবার কাম্য ছিল। শুধু দুটো বিষয়ে তাদের অনেকের অজ্ঞতা ছিল। প্রথমত, ঘটনাটি কবে ঘটানো হবে এবং দ্বিতীয়ত, শেখ মুজিবকে হত্যা করা হবে কি না। রশিদ-ফারুকের পরিকল্পনায় এই অভ্যুত্থানে যারা অংশ নিয়েছিলেন, তারা সবাই হত্যা পরিকল্পনার কথা জানতেন না। অপারেশনে কার কী ভূমিকা, তা রশিদ-ফারুক ঠিক করে দেন।

মেজর নূর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালে ছাত্র ইউনিয়নের (মেনন গ্রুপ) সদস্য ছিলেন। পরে তিনি সর্বহারা পার্টির সাথে যুক্ত হন। সিরাজ শিকদারের নিহত হওয়ার ঘটনায় তিনি ক্ষুব্ধ হন। ১৫ আগস্টের কয়েক দিন পর সর্বহারা পার্টির কয়েকজন নেতা কলাবাগান বাসস্ট্যান্ডের পাশে একটি বাসায় সন্ধ্যাবেলা বৈঠক করেন। তাদের মধ্যে ছিলেন লে. কর্নেল জিয়াউদ্দিন, আকা ফজলুল হক ও মহসীন আলী। তারা নূর ও ডালিমকে ডেকে পাঠান। নূর একাই এসেছিলেন। শেখ মুজিবের পরিবারের সবাইকে হত্যা করার বিষয়ে জানতে চাইলে নূর বলেন, ‘ওরা আমার নেতাকে খুন করেছে, আমি সবাইকে মেরে প্রতিশোধ নিয়েছি।’ নূরের উদ্ধত আচরণে এবং নৃশংসতার পরিচয় পেয়ে জিয়াউদ্দিন ক্ষুব্ধ হন।

১৫ আগস্টের পর ফারুক, রশিদ ও ডালিমকে লে. কর্নেল হিসেবে পদোন্নতি দেয়া হয়েছিল। অনেক দিন পর বনানী ডিওএইচএসে কর্নেল ফারুকের বাসায় ফারুক ও রশিদের সাথে আলাপ করার সময় আকা ফজলুল হককে রশিদ বলেছিলেন :
শেখ মুজিবকে রেখে ক্যু করা যাবে কি না, তা নিয়ে আমরা অনেক ভেবেছি। দেখলাম তা সম্ভব নয়। রক্ষীবাহিনীর চিফ ব্রিগেডিয়ার নূরুজ্জামানকে আগেই দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেয়ার বন্দোবস্ত হয়। মুজিব পরিবারের অন্য সদস্যদের হত্যা করার কোনো পরিকল্পনা ছিল না। সিদ্ধান্তটি অভিযানে অংশগ্রহণকারীরা তাৎক্ষণিকভাবে নিয়েছিল।

মুজিব হত্যার পরিকল্পনায় বিমানবাহিনীর কয়েকজন কর্মকর্তার অংশ নেয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরে তাদের বাদ দিয়েই এই অপারেশন চালানো হয়। এরকম একটা ‘অ্যাডভেঞ্চারে’ শরিক হতে না পেরে তারা মনোক্ষুণœ হয়েছিলেন। এর প্রকাশ ঘটেছিল নভেম্বরে। ১০
হুদার সাথে কথাবার্তায় বাতেনের মনে হয়েছিল, তাদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব আছে। সবাই সবটা জানেন না।যারা এ ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলেন, তাদের মধ্যে একটি বিষয়ে মতৈক্য ছিল। শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে তাদের অনেকের ব্যক্তিগত ক্ষোভও ছিল। ১১

কর্নেল তাহের সম্ভবত জানতেন না, ১৫ আগস্ট তারিখটিই অভ্যুত্থানের জন্য নির্ধারিত হয়ে আছে। তবে এরকম একটি ঘটনা যে ঘটতে পারে, তা তার অজানা থাকার কথা নয়। কোটি টাকার প্রশ্ন ছিল, কবে, কখন? শেখ মুজিবের সরকারকে উৎখাতের জন্য তাহেরের নিজস্ব পরিকল্পনা ছিল। শেখ মুজিবের প্রতি তার ক্ষোভ ছিল অপরিসীম। তাহের মনে করতেন, ‘মুজিব সরকার সেনাবাহিনীর উন্নয়নে চরম অবহেলা দেখিয়েছে এবং রক্ষীবাহিনীর মতো একটা কুখ্যাত আধা সামরিক বাহিনী তৈরি করেছে। তিনি সংশ্লিষ্ট মহলের কাছে এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। যুদ্ধের সময় ভারতের সাথে করা গোপন চুক্তির ব্যাপারেও তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। বাহাত্তর সালের নভেম্বরেই এসব ঘটেছিল এবং এ কারণেই লে. কর্নেল জিয়াউদ্দিন ও তিনি যার যার রাজনৈতিক লাইন বেছে নিয়েছিলেন। অবশ্য তারা পরস্পরের সাথে যোগাযোগ রাখতেন এবং সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় করতেন।’ বিরাজমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে তাহেরের পর্যবেক্ষণ ছিল সোজাসাপটা : ‘পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ভূমিকা সবারই জানা, কীভাবে একটির পর একটি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করা হয়েছিল, কীভাবে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার নিষ্ঠুরভাবে দমন করা হয়েছিল। আমাদের সব লালিত আকাক্সক্ষা, স্বপ্ন ও মূল্যবোধ একের পর এক ধ্বংস করা হয়েছিল। গণতন্ত্রকে কবর দেয়া হয়েছিল অত্যন্ত নোংরাভাবে। জনগণকে পদদলিত করে জাতির ওপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল ফ্যাসিস্ট একনায়কতন্ত্র।’ ছিয়াত্তরে তাহের ও অন্যদের বিচারের সময় ট্রাইব্যুনালে দেয়া জবানবন্দিতে তাহের এসব কথা উল্লেখ করেন।

শেখ মুজিব সম্পর্কে তাহেরের মূল্যায়ন ছিল এরকম : ‘শেখ মুজিব জনগণের নেতা ছিলেন। অস্বীকার করার অর্থ হবে সত্যকে অস্বীকার করা। চূড়ান্ত বিশ্লেষণে তার ভাগ্য নিয়ন্ত্রণের ভার জনগণের ওপরই বর্তায়। জনগণের জন্য সঠিক পথ হবে জেগে ওঠা এবং প্রতারণার দায়ে মুজিবকে উৎখাত করা। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, যে জনগণ মুজিবকে নেতা বানিয়েছে, তারাই একদিন স্বৈরাচারী মুজিবকে ধ্বংস করবে। জনগণ কাউকে ষড়যন্ত্র করার অধিকার দেয়নি।’

আওয়ামী লীগ-বাকশালের বাইরে ওই সময় সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল ছিল জাসদ। জাসদের প্রধান নেতা সিরাজুল আলম খান তখন দেশে নেই। দলে একাধিক ‘কেন্দ্র’। গণবাহিনীর ইউনিটগুলো বিভিন্ন জেলায় মোটামুটি স্বাধীনভাবে কাজ করছে নিজেদের শক্তি-সামর্থ্যরে ওপর নির্ভর করে। ঘটনার আকস্মিকতায় সবাই হকচকিত, বিহ্বল। জাসদের মধ্যে যারা ষাটের দশকের রাজনৈতিক সংগ্রামের উত্তরাধিকার বহন করে চলেছেন, ১৫ আগস্টের মতো একটা ঘটনা ঘটতে পারে, এটা তারা কখনো চিন্তা করেননি।

১৫ আগস্ট সকালে ঢাকা নগর গণবাহিনীর সদস্য মীর নজরুল ইসলাম বাচ্চুর সাথে তিতুমীর কলেজের সহসভাপতি কামালউদ্দিন আহমদ, আবদুল্লাহ আল মামুন, ওয়াহিদুল ইসলাম সুটুল, নওশের ও রতন ধানমন্ডিতে তাজউদ্দীনের বাসায় যান। কামালের বাড়ি ঢাকার কাপাসিয়া থানায়। তার বড় ভাই নৌবাহিনীর সাবেক লিডিং সি-ম্যান সুলতানউদ্দিন আহমদ আগরতলা মামলায় অভিযুক্ত এবং জাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক ছিলেন। তাজউদ্দীনের সাথে তার আগে পরিচয় ছিল এবং একই এলাকায় বাড়ি বলে তাদের মাঝে মধ্যে দেখা সাক্ষাৎ হতো।

তাজউদ্দীনের বাসায় গিয়ে তারা শুনলেন, তিনি গোসল করছেন। তারা বাইরের ঘরে অপেক্ষা করতে থাকলেন। মিনিট দশেক পর তাজউদ্দীন এলেন। পরনে একটি পায়জামা, গায়ে হাতাওয়ালা গেঞ্জি। সিলিং ফ্যানের নিচে দাঁড়িয়ে দুই হাতের আঙুল দিয়ে ব্যাকব্রাশের মতো ভঙ্গিতে চুল থেকে পানি ঝরাচ্ছিলেন। পানির ঝাপটা কামালের চোখে-মুখে এসে লাগছিল।তাজউদ্দীন উত্তেজিত হয়ে বলতে থাকলেন, ‘বোকার দল লাল বাহিনী বানায়, নীল বাহিনী বানায়। কোনো বাহিনী তাকে বাঁচাতে পারল?’বাচ্চু বললেন, ‘আপনাকে আমাদের সাথে যেতে হবে।’ তাজউদ্দীন বললেন, ‘কোথায় যাবো? কেন তোমাদের সঙ্গে যাবো?’ বাচ্চু বারবার বলছিলেন, ‘যেতেই হবে।’
তাজউদ্দীন কামালকে বললেন, ‘নান্নু, এটা কারা করল? রাইটিস্টরা না লেফটিস্টরা? ফেলটিস্টরা হলে আমাকে আর জীবিত রাখবে না।’ নান্নু কামালের ডাকনাম। তাজউদ্দীন তাকে এই নামেই ডাকতেন। লেফটিস্ট বলতে তিনি পিকিংপন্থীদের বোঝাচ্ছিলেন। বাচ্চুর কথার জবাবে তিনি বললেন, ‘সিরাজ কোথায়? ও যদি বলে তাহলে যেতে পারি। তাকে নিয়ে আসো।’ বাচ্চু বেরিয়ে গেলেন। আধা ঘণ্টা পর তিনি ফিরে এসে জানালেন, সিরাজুল আলম খান কোথায় আছেন, তা জানা যায়নি। বাচ্চু জানতেন না, তিনি দেশে নেই। অগত্যা তাজউদ্দীনকে ছাড়াই তারা ফিরে এলেন।

তাজউদ্দীনকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হবে এবং কেন, এটা বাচ্চু ছাড়া তার অন্য সহযোগীরা জানতেন না। বাচ্চুর সাথে যাওয়ার সময় কামালের মনে হয়েছিল, তাজউদ্দীনকে বোধ হয় কোনো নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেয়া হবে। ২৬ নভেম্বর ভারতীয় হাইকমিশনে একটি অভিযানে বাচ্চু নিহত হলে বিষয়টি চাপা পড়ে যায়। এটা আর হয়তো কোনো দিনই জানা যাবে না যে কে বাচ্চুকে পাঠিয়েছিল এবং কী উদ্দেশ্যে।

১৫ আগস্ট সকালে মুহসীন হলের ছাত্র নূর মোহাম্মদ ঢাকা গণবাহিনীর উপপ্রধান আবুল হাসিব খানের কাছে ঢাকা নগর গণবাহিনীর কমান্ডার আনোয়ার হোসেনের একটি চিরকুট নিয়ে আসেন। চিরকুটে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের অফিসে ঢাকা নগর গণবাহিনীর জরুরি সভা হবে বলে উল্লেখ ছিল। সভা শুরু হলে আনোয়ার হোসেন উপস্থিত সবাইকে বলেন, ‘ভাইজান (লে. কর্নেল আবু তাহের) সকালে রেডিও স্টেশনে গিয়েছিলেন। তিনি মেজর ডালিমকে বকাঝকা করে বলেছেন, ‘র মেজর হয়েছ, এখন পর্যন্ত একটা মার্শাল ল প্রক্লেমেশন ড্রাফট করতে পারলে না। জানো, কাল ইউনিভার্সিটিতে কারা বোমা ফাটিয়েছিল? দে আর মাই বয়েজ।’১৪

লে. কর্নেল আবু তাহের গোপনে গণবাহিনী গড়ে তুলছিলেন। ডালিম ও নূর তার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন। তাহের ও ডালিমের চিন্তাধারা ছিল একই রকম। তাহের ১৫ আগস্টের অভ্যুত্থানে সরাসরি অংশ নেননি। তবে ওই দিনই তিনি অভ্যুত্থানকারীদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করেন।

লে. কর্নেল আবু তাহের মেজর রশিদের অনুরোধে সকাল ৯টায় ঢাকা বেতারকেন্দ্রে যান। সেখানে তিনি খন্দকার মোশতাক আহমদ, তাহেরউদ্দিন ঠাকুর, মেজর ডালিম ও মেজর জেনারেল খলিলুর রহমানকে দেখতে পান। তার পরামর্শে ডালিমরা সশস্ত্র বাহিনীর তিন প্রধানকে বেতার ভবনে নিয়ে আসেন অভ্যুত্থানকারীদের পক্ষে বিবৃতি দেয়ার জন্য। তিনি খন্দকার মোশতাককে পাঁচটি প্রস্তাব দেন।

৪৪| ১০ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:০৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: অনল চৌধরী ভাই, নামে নামে যমে টানে আমার ধারণা আপনিও একই তথ্য বিভ্রাটে ভুগছেন কর্ণেল তাহের আর তাহের উদ্দিন ঠাকুর এক ব্যাক্তি নন, সেই কর্ণেল তাহের ও তাহের উদ্দিন ঠাকুর নামে ঠাকুর তার রেষ্ট অফ দ্যা লাইফ পাপের বোঝা টেনেছেন বিনা পাপে !!! আর আপনার বিবরণ মুজিব হত্যার বিচারাধীন প্রধাণ সাক্ষি রমা’র সাথে অমিল - এটা কিভাবে সম্ভব !!! তাহলে সঠিক তথ্য কার আপনার না রমা’র !!! “তাহের উদ্দিন ঠাকুর আমার আপন বেকুব ছোট চাচা - যার কারণে রাজা কমলা রঞ্জন রায় ঠাকুর ষ্টেটের অর্ধেক জমি জিরাত দেশের মামলা মোকাদ্দমা পুলিশ কোর্ট হয়রানিতে জলের দামে বিক্রিয় হয়েছে” - রাজনীতি তাহের উদ্দিন ঠাকুরের বেকুবী ও দুর্বলতার জন্য সকল সুযোগ নিয়েছে। তাহের উদ্দিন ঠাকুর রেডিও অফিসে যাননি, তিনি ব্যাকবোন ব্যাথায় ১৫ আগষ্টের প্রায় ছয় মাস আগে থেকে দিল্লি তে চিকিৎসাধীন ছিলেন তার দ্বিতীয় পরিবার সহ। তাছাড়া তিনি রাজনীতি ক্ষমতা ও সরকার হতে বলা যায় ছিটকে পড়েন ১৯৭৪ জানুয়ারী, তার দুই পরিবারের অশান্তি থেকে তিনি রাজনীিতি থেকে আলাদা হয়ে পড়েন। মুসতাক শুধু না মুজিব সাহেব ও মুসলিম ঠাকুর নামে তাকে ডাকতো - বাংলাদেশে মুসলিম ঠাকুর বংশগতভাবে একটি গোষ্টি, বাদবাকি নিজ নাম নিজ নিজ টাইপ, বাংলাদেশে নামের পদবী বা বংশ পদবী রেজিষ্টার্ড করার কোনো আইন নেই ।

৪৫| ১০ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪০

অনল চৌধুরী বলেছেন: বাংলাদেশের জীবিত বা মৃত কোন নেতার প্রতিই অামার অন্ধ অনুগত্য বা অকারণ ঘৃণা-কোনটাই নাই।অামি সবকিছু যুক্তি দিয়ে বিচার করতে সক্ষম।ওই বিবরণটা অামার না।ইন্টারনেটের একটা সাইট থেকে দেয়া।নামটা হয়তো বাদ পড়ে গেছে।
“তাহের উদ্দিন ঠাকুর আমার আপন বেকুব ছোট চাচা’’ তার মানে তাহের উদ্দিন ঠাকুর অাপনার চাচা?তা যে কেউ যে কারো অত্মীয় হতে পারে।এতে কোন সমস্যা নাই।
তার প্রকৃত ভূমিকা কি,সে সম্পর্কে অামি কোন রায় দেইনি।তবে তিনি রেডিও ষ্টেশনে যাননি-এই তথ্যটা অাপনি ভুল দিয়েছেন।এটা বলতে পারেন যে তিনি হয়তো স্বেচ্ছায় যাননি,অন্যদের মতো তাকেও অস্ত্রের মুখে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

৪৬| ১০ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪১

অনল চৌধুরী বলেছেন:
লে. কর্নেল আবু তাহের মেজর রশিদের অনুরোধে সকাল ৯টায় ঢাকা বেতারকেন্দ্রে যান। সেখানে তিনি খন্দকার মোশতাক আহমদ, তাহেরউদ্দিন ঠাকুর, মেজর ডালিম ও মেজর জেনারেল খলিলুর রহমানকে দেখতে পান। তার পরামর্শে ডালিমরা সশস্ত্র বাহিনীর তিন প্রধানকে বেতার ভবনে নিয়ে আসেন অভ্যুত্থানকারীদের পক্ষে বিবৃতি দেয়ার জন্য। তিনি খন্দকার মোশতাককে পাঁচটি প্রস্তাব দেন।

৪৭| ১১ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:১৪

নতুন বাঙ্গাল বলেছেন: দেখুন কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠকদের কেউ কেউ, বাইরের উস্কানিতে নিজেদেরকে বিশাল নেতা ভাবা শুরু করছিল।তেনারা ভাবতেছিল শেখ হাসিনা তাদের কাছে অসহায়, তারা বললেই লাখ লাখ ছাত্র বেরিয়ে এসে দেশ অচল করে দেবে ইত্যাদি। ওদের কয়েকজনের ফেসবুক লাইভের কথাবার্তা দেখেই মনে হচ্ছিল এরা ধরা কে সরা জ্ঞান করছে। ওরা নিজেরাই মাইর খাওয়ার পরিবেশ তৈরি করছিল। কোটা হয়তো সংস্কার হবে, তবে এদেরকে মনে হয় সহজে ছাড়বে না , স্রেফ এদের কথাবার্তার জন্য সরকার ক্ষেপে গেছে।

১১ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:


অনুমানে মনে হচ্ছে, এদের সাথে হাসিনা বিরোধীরা যোগাযোগ করেছে

৪৮| ১২ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৪৩

অনল চৌধুরী বলেছেন: ওরা নিজেরাই মাইর খাওয়ার পরিবেশ তৈরি করছিল।সন্ত্রাসীমার্কা কথা।
কেউ কাউকে মারতে পারেনা।তেউ অপরাধ করলে দেশে আইন আছে।
যারা ক্ষমতায় থাকতে অন্যদের মারবে,ক্ষমতা ছাড়ার পর তাদেরও একই পরিণতি হবে।

৪৯| ১২ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:


"ওরা নিজেরাই মাইর খাওয়ার পরিবেশ তৈরি করছিল। ", বাক্যটা কার?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.