নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

চলো চলো, আমেরিকা চলো, যে যেভাবে পারো, সেভাবে চলো!

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৫৮



উপরের ছবিতে যাদের দেখছেন, এরা হন্দুরাসের লোকজন, এরা আমেরিকা আসার জন্য মোটামুটি অনেকটা পায়ে হেঁটে রওয়ানা হয়েছেন; এই দলে এখন ৪ হাজারের কাছাকাছি লোকজন আছেন ,পথে পথে আরো মানুষ যোগ দেবে: দলে, পুরুষ, মহিলা থেকে ছোট বাচ্চারাও আছে; এরা এক সপ্তাহে আগে, হন্দুরাস থেকে যাত্রা শুরু করেছেন; হন্দুরাস আমেরিকার দক্ষিনে অবস্হিত ৩য় দেশ; এই দলের লোকেরা গুয়াতেমালা অতিক্রম করে, মেক্সিকোতে ঢুকেছে আজ; আমেরিকা অবধি পৌঁচতে এদেরকে আরো ২ হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিতে হবে; এরা দারিদ্রতা থেকে বাঁচার জন্য আমেরিকা আসছে! সাম্প্রতিককালে, ঘোষনা দিয়ে এইভাবে দল বেঁধে আমেরিকায় প্রবেশের ঘটনা ঘটেনি।

আমেরিকা মহাদেশে যারা খুবই ভালো আছেন, তারা সবাই কলম্বাসের পরের ইমিগ্রেণ্ট, যারা বেশী খারাপ অবস্হায় আছেন, তাদের সিংহভাগ স্হানীয় আমেরিকান, ও আফ্রিকান আমেরিকান। আমেরিকা (ইউএস) বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ও সম্পদশালী দেশ; আমেরিকার উত্তর পাশে আছে কানাডা, সেটাও ধনী দেশ। আমেরিকার দক্ষিণে ১ম দেশ হচ্ছে মেক্সিকো, এটা মোটামুটি দরিদ্র দেশ; মেক্সিকোর দক্ষিণে গুয়াতেমালা, ইহা মেক্সিকো থেকে দরিদ্র; গুয়াতেমালার দক্ষিণে আছে হন্দুরাস, ইহা গুয়াতেমালা থেকে দরিদ্র। কানাডা, ইউএস ও ব্রাজিল বাদে, আমেরিকা মহাদেশের বাকী দেশগুলো মোটামুটি স্পেনিশ ভাষাভাষীদের দেশ; এরা সবাই কমবেশী দরিদ্র; এদের দেশে বসুন্ধরা, সালমান রহমানরা ও বস্তি আছে, মাঝামাঝি কেহ নেই!

আজকে এরা মেক্সিকোতে সামান্য সাহায্য পেয়েছে; মেক্সিকানরা চাইবে যে, এরা আমেরিকার দিকে চলে যাক। এদিকে ট্রাম্প বলেছে,ওরা যদি আমেরিকার দিকে আসে, বর্ডারে রেগুলার সৈন্য মোতায়েন করা হবে, ও আমেরিকান-মেক্সিকান বর্ডার পুরোপুরি সীল করে দেয়া হবে।

মেক্সিকো, গুয়াতেমালা ও হন্দুরাস কেন এত দরিদ্র? এদের মাথাপিছু প্রাকৃতিক সম্পদ আমেরিকানদের সমান; কিন্তু একটি বিষয়ে এরা পেছনে: পড়ালেখা; এদের সরকারগুলো এদের পড়তে দেয় না। আমেরিকানদের গড় মাথাপিছু আয় ৪৮০০০ ডলার, হন্দুরাসের মানুষের গড় মাথাপিছু আয় ১৬০০ ডলার।

আমেরিকানদের সামনে একটা ছোট সমস্যা: এদের আসতে না দিলে এই মানুষগুলোর প্রতি অমানবিক ব্যবহার হবে; আবার, আসতে দিলে, এরপর, দক্ষিণ আমেরিকার সবগুলো দেশ থেকে মানুষ সবকিছু ফেলে দলে দলে রওয়ানা হবে।

মন্তব্য ৭৪ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৭৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:০৩

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আমেরিকা সবারই স্বপ্নের দেশ।যেতে পারলে মন্দ হত না গাজী ভাই ;)

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


এই মহুর্তে, এটা আসলে আর স্বপ্নের দেশ নয়: এখানে ১৪% মানুষ মানসিক কষ্টে আছেন, এখানকার দারিদ্রতা খুবই কঠিন; অতি ধনী ও দরিদ্র মানুষ পাশাপাশি থাকলে, মানুষের কষ্ট বেশী হয়।

২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:১২

সাগর শরীফ বলেছেন: আমেরিকায় যারা খুব ভাল আছেন তারা কলম্বাসের পরে ইমিগ্রেন্ট। কথাটা অসলেই সত্য। নেটিভ আমেরিকানরাই ওখানে সুখে আছে।
ব্যক্তিগতভাবে আমি আমেরিকা পছন্দ করি না। ওদের উপর ইনটারেস্ট নাই।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমেরিকা ৩য় বিশ্বের অনেকের জন্য মুক্তির যায়গা; তবে, অনেক জাতি আমেরিকানদের থেকে সুখে আছেন।

৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:১৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: মেক্সিকানদের তো জিডিপি খারাপ না। এদের মূল সমস্যা কি?

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


সাদা স্পেনিশরা সব দখল করে ফেলেছে, এজটেক-স্পেনিশদের পড়তে দেয় না, অনেকটা জোর করে আমেরিকা পাঠায়ে দেয়।

৪| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:১৫

বিজন রয় বলেছেন: অামেরিকা যাবো না। এখানে ভাল আছি।

তবে যারা আমেরিকাকে গালাগালি করে তারা আমেরিকা যেতে চায় বেশি।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



যারা আমেরিকাকে গালাগালি করে, ওরা কমজ্ঞানী মানুষ

৫| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:১৮

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: আমেরিকানদের জন্য ইহা কোন সমস্যা না! তারা এদেরকে জনশক্তিতে রূপান্তর করতে পারবে!

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:



দক্ষিণ আমেরিকার লোকজন আমেরিকায় ভালো করেনি তেমন, এরা অশিক্ষিত ছিলো বরাবরই

৬| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:২০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সারা বিশ্বব্যাপীই অর্থনৈতিক বৈষম্য প্রকট। এই বৈষম্য দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরকম অবস্থায় দরিদ্র দেশগুলো থেকে ধনী দেশগুলোতে অভিবাসনের প্রক্রিয়া বন্ধ হবে বলে আমার মনে হয় না।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:



৩য় বিশ্বের বেশীর ভাগ দেশই শেখ হাসিনা বা বেগম জিয়ার মতো লোকেরা চালাচ্ছে; ফলে, এসব দেশের সম্পদ তেমন কোন কাজে দিচ্ছে না, মানুষ ভয়ংকর খারাপ জীবন যাপন করছে।

৭| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:২১

হাবিব বলেছেন:




প্রাচীন যুগে দেশটি Mesoamerican cultural area এর অংশ ছিলো। এরপর ,মধ্য আমেরিকাতে মায়া জাতির আধিপত্য তৈরি হয়। মায়ানরা হন্ডুরাসের পশ্চিম অংশে বাস করতো ।তারা 'চরতি' নামে পরিচিত ছিলো |
এখনো কি তারা চরতি নামেই পরিচিত? আর কেনই বা তাদের দেশে পড়ালেখা করতে দেয়া হয় না? সম্পদ যদি আমেরিকার সমান থাকে তাহলে দেশ ত্যাগের জন্য কি শুধু পড়ালেখায় দায়ী নাকি অন্য কিছু আছে এর পেছনে? তাদের মাথাপিছ আয়ও অনেক। তারপরেও অভিবাসনের আশায় আমেরিকার দিকে পদচারনা কেমন যেন খটকা লাগছে। আশা ছিল আপনার লেখায় আরো কিছু তথ্য পাবো তবে অন্যসব লেখার মতো এই পোস্ট আমাকে আকৃষ্ট করতে পারেনি।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি মোল্লা শফির বই টই পড়েন, উহা আপনাকে সাহায্য করবে!

৮| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৪১

টিয়া রহমান বলেছেন: দেশের সরকার পড়তে দেয় না! বুঝলাম না ব্যাপারটা। আমেরিকা তো আমার স্বপ্নের দেশ, তবে আপনার লিখা পড়ে স্বপ্ন পরিবর্তন
করার একটা সুযোগ পেলাম ।
ধন্যবাদ ভাইয়া

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


মেক্সিকো ও দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর সরকার গরীবদের পড়ালেখায় কৌশলে বাধা দেয়, যেভাবে পাকিস্তান ও বাংলাদেশে কৌশলে মানুষকে পড়ালেখা থেকে বন্চিত করে এসেছে, একই পদ্ধতি।

৯| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:০৪

মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: আয় হায় একি অবস্থা,
মানুষ নিজের ব্যাক্তিক উন্নতি না করে খালি চায় রেডিমেট কিছু পেয়ে যেতে।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



দক্ষিণ আমেরিকার প্রতিটি দেশ সম্পদে ভরা; এগুলো কিছু মানুষ দখল করে রেখেছে; স্হানীয়দের এমন চাপে রাখে যাতে এরা পড়ালেখা করতে পারে না, সরকারগুলো বাংলাদেশ থেকেও খারাপ

১০| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:০৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
এক সময় আমেরিকাও দরিদ্র ছিল, ছিল গৃহযুদ্ধ । কিন্তু আজ সবচেয়ে কাঙ্খিত দেশ।

অন্যরা এভাবে দেশ না গড়ার ফলেই সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


জেনারেল জিয়া, এরশাদ, রওশন এরশাদ, বেগম জিয়া, শেখ হাসিনা দেশ গড়তে জানার কথা নয়।

১১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:১১

খাঁজা বাবা বলেছেন: উন্নত দেশ গুলির বাস্তবিক অর্থে গরিব দেশ গুলি কে শোষন করছে, এই দেশ গুলির সরকার চাইলেও খুব বেশি কিছু করতে পারে না। করতে গেলে এদের চেয়ার পরিবর্তন হয়ে যাবে। শোষন করার মানষিকতা থেকে উন্নত দেশ গুলির জনগন কে বের হয়ে আসতে হবে। আন্তর্জাতিক ভাবে এদের সরকারের উপর চাপ দিতে হবে। মাইগ্রেশন ভাল সমাধান না, তবে এটা চাপ প্রয়গের একটা পথ।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার ধারণা ভুল; বাংলাদেশ, পাকিস্তান থেকে আমেরিকা কি লাভ করছে?

১২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৪০

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
সালামালিকুম!


একদল অপ্রাপ্তবয়স্ক বৃদ্ধদের নিয়ে দেশ চালিয়ে পুরো একটা অশিক্ষিত জাতিকে ডিজিটাল করে দেখিয়ে দিয়েছে আমাদের সরকার, এই তুলনায় আমেরিকায় যথেষ্ট শিক্ষিত মানুষ আছে,তারা চাইলে দক্ষিণ আমেরিকানদের স্বাবলম্বী করে তুলতে পারে! কিন্তু সবাই চায়, অন্যেরা তার অধীনস্থ থাকুক!

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমেরিকা দ: আমেরিকান সরকারগুলোর অন্যায়ের বিপক্ষে কোন পদক্ষেপ নেয়নি; কারণ, ওসব দেশে আমেরিকার ক্যাপিটেলিষ্টদের দখল করা সম্পত্তি ছিলো সব সময়।

১৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: হন্দুরাসের সাথে মিশে আমারও আমেরিকা চলে যেতে ইচ্ছা করছে।
একবার কোনো রকমে যেতে পারলে- আর পেছনে ফিরে তাকাতাম না।
একটা ফাস্টফুডের দোকানে কাজ নিয়ে নিতাম। অথবা গ্রোগারি সপে।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



মেক্সিকোতে ১০ হাজার বাংগালী আমেরিকা প্রবেশের জন্য অপেক্ষা করছে

১৪| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪২

নজসু বলেছেন: হন্দুরাসদের নিয়ে আমেরিকা দেখছি উভয় সংকটে পরেছে।

আমেরিকা ওদের ঢুকতেই দেবেনা।
কখনও শুনিনি আমেরিকা মানবিক গুন সম্পন্ন।
তাই হয়তো অমানবিক হতে দ্বিধা করবে না।

আর বাড়তি লোকজনের চাপও নেবেনা।
ট্রাম্পের হুঁশিয়ারিও খেয়াল করার মতো।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



এখন ২ কোটী লোক বিনা অনুমতিতে আছে। হন্দুরাসের লোকজন আগে চুরি করে আসতো, এবার ঘোষণা দিয়ে আসছে, সেটা সমস্যা; ৪ হাজার মানুষ সমস্যা হতো না, যদি চুরি করে প্রবেশ করতো

১৫| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:১২

রাকু হাসান বলেছেন:


উভয় সংকটের দেখছি । ট্রাম্প প্রসাশন অমানবিক যে তার প্রমাণ আগেই দিয়েছে । আশ্রয় দিবে কিনা সন্দেহ ।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



যদি চুরি করে প্রবেশ করতো, ৪ হাজার মানুষ সমস্যা হতো না; ঘোষণা দিয়ে আসছে, সেটা সমস্যার সৃষ্টি করছে, উদাহরণ হয়ে যাবে।

১৬| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৫

বাকপ্রবাস বলেছেন: সবাই একটু সুখ পেতে উপরে উঠতে চায়

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমেরিকায় সিকিউরিটি আছে, সুখ তেমন নেই

১৭| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:২০

জাহিদ অনিক বলেছেন:
হন্দুরাস যদি মেক্সিকো বর্ডার পার হয়ে আম্রিকাতে ঢুকতে না পারে, তাদের প্রতি আমার আহ্বান রইলো কালবিলম্ব না করে তারা যেন বাংলাদেশের দিকে রওনা করেন।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশে আরও একটা ক্যাম্প খুলে দেয়া হবে।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


খোদার বিচারে যাদের দোযখে যেতে হবে, খোদা তাদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়ার কথা।

১৮| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:২১

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: আমেরিকা, কানাডা যারা নতুন নতুন যায়। তাদের অভিজ্ঞতা টা এতো ভালো হয়না । আর যাদের আগে থেকেই বংশের ভাই বাপ থাকে তাদের অন্য কথা ।।। তবু তাদের অবস্থাও এতো মধুর নয়। মানুষ যতো সুখের আশা করে। আসলে এতো সুখ নয়।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:


অনেক দেশের মানুষ নিজ দেশের সরকার ও নিজ দেশের প্রশাসন থেকে পালিয়ে যাবার জন্যই আমেরিকা আসে। চীনারা এখন আসে চোরা টাকায় ভালো থাকার জন্য।

১৯| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৬

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: চাঁদগাজী ভাইকে জনসচেতনতামূলক পোস্টের জন্য ধন্যবাদ জানাই। পাশাপাশি কয়েকটা বিষয় আমি পরিস্কার ভাবে উল্লেখ করার প্রয়োজন বোধ করছি।

- আমেরিকাতে অবৈধ লোকের সঠিক সংখ্যা গণনা করা প্রায় অসম্ভব। তবে সেটা ২ কোটির কম/বেশী সে নিয়ে কারো দ্বিমত নেই। এদের মধ্যে মেক্সিকোর ৫৬%, গুয়াতেমালার ৭%, এল সালভাদর ৪%, হন্ডুরাস ৩%, চায়নার ২% এবং অন্যান্য দেশের লোকজনও রয়েছেন (১)(২)। শুধুমাত্র নিউ ইয়র্ক সিটিতেই ৫০ হাজারের অধিক বাংলাদেশী অবৈধ অভিবাসী রয়েছেন (৩)।

- পৃথিবীর এমন কোন দেশ খুঁজে পাওয়া মুশকিল যার অধিবাসীরা আমেরিকায় অভিবাসী হয়ে আমেরিকাতে আসেনি।

- পৃথিবীর বিভিন্ন দেশকে উন্নয়ন খাতে সবচেয়ে বেশী বৈদেশিক সাহায্য করে আমেরিকা। ২০১৬ সালের হিসেব অনুযায়ী সাহায্যের পরিমান ৩১ বিলিয়ন ডলারের বেশী (৪)। আর ২০১৬ সালে বাংলাদেশ আমেরিকার কাছ থেকে ২৬৩ মিলিয়ন ডলারেরও বেশী সাহায্য পেয়েছে(৫)। চলতি ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে আমেরিকার কাছ থেকে ১৯৩ মিলিয়ন ডলারের বেশী সাধারন সাহায্য পেয়েছে (৬)। রোহিঙ্গা ইসুতে বাংলাদেশকে এ বছরই আরো ১৮৫ মিলিয়ন দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, এ সংখ্যাকে ধরে, শুধু মাত্র রোহিঙ্গা ইসুতে বাংলাদেশকে প্রদত্ত সাহায্যের পরিমান ৩৮৯ মিলিয়ন ডলার (৭)।

একজন বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত আমেরিকান হিসেবে আমেরিকা বিদ্বেষী বা ট্রাম্প প্রশাসনের বিরোধী মতবাদকে আমি কোন ভাবেই সমর্থন দিই না। ব্যাখ্যায় না গিয়ে, যারা ট্রাম্পকে মুসলিম বিদ্বেষী মনে করেন তাদের ট্রাম্পকে নিয়ে আরো বেশী জানার চেষ্টা করা উচিত। জাতীয়তাবাদ ধারনাকে আমি খারাপভাবে দেখিনা। একজন আমেরিকান হিসেবে ট্রাম্প তার নিজের দেশের লোকজনদেরকই বেশী প্রাধান্য দেবেন এটাই কাম্য।

মানবিকতা দেখাতে গিয়ে, আমেরিকার সাধারণ জনগণ ভোগান্তিতে পড়েছে এবং এটা আর এখন মেনে নেয়ার পর্যায়ে নেই। একজন অবৈধ অভিবাসী এখানে এসে খুব সহজেই বিনামূল্যে স্বাস্থ সেবা পাচ্ছেন, কিন্তু খোদ দেশের নাগরিকের অনেকেই সেটা পারছেনা (স্বল্প আয়ের লোকজন)। আমি নিজেও নাগরিক হিসেবে প্রতি মাসে স্বাস্থ সেবার জন্য বীমা প্রিমিয়াম পে করি, পাশাপাশি আয়কর পরিশোধ করি। আমার আয়ের ২৪-২৫% আয়কর হিসেবে দিতে হচ্ছে। তাহলে একজন অবৈধ লোক কেন ফ্রি সরকারি সুবিধা পাবে? যেখানে খোদ আমেরিকার নাগরিকদের অনেকেই বিভিন্ন সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে?! অবৈধরা টাকা উপার্জন করে, সরকারকে আয়কর না দিয়ে নিজের দেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে, তাতে আমেরিকার লাভ হচ্ছেনা। একজন অবৈধ অভিবাসীকে আইনগত এবং অন্যান্য মানবিক সুবিধা দেয়ার জন্য সরকারকে বৈধ নাগরিকদের আয়করের টাকা ব্যয় করতে হয়, যেটা গ্রহণযোগ্য নয়। জনগন চায় সরকার যেন স্বল্প আয়ের জনগণের পাশে আরো সাহায্য নিয়ে দাঁড়ায়। কোটি কোটি মানুষের বিনামূল্যে এসব সেবা প্রদান করা অসম্ভব হলেও আমেরিকা সেটা করে যাচ্ছে অনেক কিছুর পরেও।

বিভিন্ন ধরনের অপরাধের (খুন, ধর্ষণ, ডাকাতি, গ্যাং, ড্রাগস) কারনে দক্ষিন/লাতিন আমেররিকার একটা বিশাল জনগন আমেরিকার জেলে আছে। জাতিগতভাবে আনুপাতিক হারে তারা আমেরিকায় অবদান রাখার চেয়ে বেশী সমস্যা তৈরী করছে এতে জনগণের মাঝে তাদের ব্যাপারে একটা নেগেটিভ ধারনা তৈরী হয়ে গেছে। অনেকে ২/৩য় প্রজন্মের আমেরিকান হয়েও খুব বেশী একটা কিছু করতে পারছেনা এই সমস্যাটা চাইনিজ বা ভারতীয়দের মধ্যে নেই বললেই চলে।

আমেরিকায় প্রথাগত রাজনীতিবিদদের অনেকেই ভোটের জন্য স্ব-বিরোধী মতবাদকে সমর্থন দিচ্ছে, বিশেষ করে ডেমোক্রাটিক পার্টি। ব্যক্তিগতভাবে আমি ইন্ডিপেন্ডেন্ট ভোটার হলেও এবার ট্রাম্পকেই ভোট দেয়ার পক্ষেই থাকবে। তার দক্ষিনের বর্ডার সিলগালা করে দেয়ার পাশাপাশি আর্মি নামানোর হুমকি এবং দক্ষিণ আমেরিকার সকল দেশের জন্য প্রদত্ত সাহায্য বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই।

সোর্স:
১. Click This Link
২. Click This Link
৩. Click This Link
৪. Click This Link
৫. Click This Link
৬. Click This Link
৭. Click This Link

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার ভাবনা সঠিক আছে।
আমেরিকার দক্ষিণের দেশগুলো সরকারেরা মানুষকে পড়তে দেয় না, চাকুরী সৃষ্টি করে না, এই ২ ব্যাপারে আমেরিকা কোন পদক্ষেপ নেয় না।

২০| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: প্রতিটি মানুষের জন্য তার নিজ দেশের চাইতে আরাম, শান্তি, সুন্দর ও নিরাপদ দেশ আর একটা পৃথিবীতে আছে বলে আমার জানা নেই । তবে দেশের মানুষের কাছে যখন নিজের দেশ বিষাক্ত করে তেলা হয় তখন সে হয় পরবাসী, অভিবাসি, রিফিওজি !!!

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


নিজ দেশই ভালো; ৩য় বিশ্বের দেশগুলোকে সেসব দেশের সামান্য কিছু মানুষ দখল করে ফেলেছে, সরকারগুলো নিজের দেশকে উপনিবেশের মত চালায়।

২১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫১

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: অত্যন্ত দুঃখজনক, আজকে দক্ষ জনশক্তি থাকলে এমনটা হতো না।
আমাদের দেশের মানুষকে তাই দক্ষ করতে হবে। দেশে আরো স্কুল কলেজ করতে হবে, শিক্ষার মান বাড়াতে হবে, স্কুল কলেজের মান বাড়াতে হবে। সরকারকে শিক্ষা খাতে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন ঘটাতে হবে! আমরা কেন সিংগাপুর মিংগাপুরের কারিকুলামে পড়বো!!
নিজেদের টেক্সট বই হাতে নিলে, আর ভারতের টেক্সট বই হাতে নিলে চোখে জল এসে পড়ে!!

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:



বেগম জিয়া যদি ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে পড়াতে চায়, উনাকে ছেড়ে দেয়ার দরকার।

বাংলাদেশের মানুষকে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো পড়ালেখা থেকে দুরে রেখেছে।

২২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৩

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: আমেরিকা, সুইজারল্যান্ড, সুইজ ব্যাংক।, দুবাই এরা হল ওই সকল দেশ। বা ওই সকল ফাউন্ডেশন। যারা যতো অপরাধী, পলাতক লোক দের সাহায্য করে। সুইচ ব্যাংকে থাকে কালো টাকা। আর দুবাই থাকে ভারত সহ সারা দুনিয়ার পলাতক ঘাতক সন্ত্রাসী রা।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:


দুবাইতে বাড়ী কেনে ভারত, পাকিস্তানের কালো টাকার মালিকেরা; সম্প্রতি সামান্য বাংগালীও সেই সুযোগ নিয়েছে। সুইজারল্যান্ড চোরা টাকার ষ্টোরেজ।

২৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৭

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: আমার এক শিক্ষকের সঙ্গে কিছুদিন আগে গল্প করছিলাম,
তিনি বললেন,"আমরা চাই, তোমরা সবাই পড়াশোনা করে, ভালো মানুষ হও, তারপর সরকারি চাকরি করো, আমাদের প্রশাসনকে শক্তিশালী করো। আমাদের দক্ষ জনশক্তি চাই!"
বিষয়টা নিয়ে ভাবছি

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশের ৯০% শিক্ষক একটু ইডিয়ট টাইপের।

২৪| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৬

জুন বলেছেন: আমি ভাবছি পানামাতে পা নামিয়ে রোলার কোষ্টারে উঠে ভোঁ করে কোষ্টারিকা, নিকারাগুয়া, এলসালভাদর পাড়ি দিয়ে হন্ডুরাসে হোন্ডা চড়ে ঘুটেরমালা (গুয়াতেমালা) পরে মেক্সিকো হাজির হবো । সেখান থেকে বাকী শরণার্থীদের নিয়ে ট্রাম্পের বানানো দেয়াল উড়িয়ে সোজা স্বপ্নের আমরিকা হাজির ;)
এটা কি সম্ভব হবে বলে মনে করেন চাঁদগাজী ;)

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমেরিকা এখন আর সুখের দেশ নয়, ১৪% আমেরিকানরা অনেক কষ্টে আছেন; প্রশাসনে অনেক স্পেনিশ, চাইনীজ, ভারতীয়, পাকিস্তানী ঢুকে গেছে, আমেরিকার স্টানডার্ড নীচে নেমে গেছে; তবে, জীবনের সিকিউরিটি আছে।

২৫| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: নাহ, স্যার এমনে খুব ভালো মানুষ, বিসিএস ক্যাডার, শিক্ষক নেতা, খুব সহজ সরল জীবন যাপন করেন।
গত দশ বছরে ওনাকে ১৪ বার ট্রান্সফার করা হয়েছে....
উনাকে কোনদিন পেপার পত্রিকায় দেখা যায়, বলা মুশকিল

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



উনি হয়তো, ভালো ১০% এর মাঝে আছেন।

আমার ভাষায়, বাংলাদেশের শিক্ষকেরা "সব বাংগালীকে ফ্রি পড়ানোর জন্য সরকারকে কোনদিন চাপ দেয়নি", এরা শিক্ষক নয়, কুলাংগার।

২৬| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৫

মোঃ ইকবাল ২৭ বলেছেন: ভবিষ্যতে ডিভির মতো সুযোগ আর আসবে কিনা? জানাবেন কিন্তু।আমেরিকা যাওয়ার ইচ্ছা সেই ছোটবেলা হতে।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:


ট্রাম্পের সময় ডিভি থাকছে না, বাংলাদেশের জন্য ডিভি না থাকারই কথা; ভালো বিষয়ে, ভালো পড়ালেখা করলে, বিশ্বের যেকোন দেশে যাওয়া সম্ভব।

২৭| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বলেছেন, মেক্সিকো, গুয়াতেমালা ও হন্দুরাস কেন এত দরিদ্র? এদের মাথাপিছু প্রাকৃতিক সম্পদ আমেরিকানদের সমান; কিন্তু একটি বিষয়ে এরা পেছনে: পড়ালেখা; এদের সরকারগুলো এদের পড়তে দেয় না।
প্রশ্নফাসের মাধ্যমে আমাদের দেশকেও মেক্সিকো, গুয়াতেমালা ও হন্দুরাস বানানোর চক্রান্ত চলছে।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


আসলে, আমাদের মানুষের জীবনযাত্রার মান মেক্সিকো, গুয়াতেমালা ও হন্দুরাস থেকে অনেক নীচে; স্বয়ং শেখ সাহেব ও তাজুদ্দিন সাহেব মানুষকে পড়ালেখা শেখানোর কথা বলেনি; জেনারেল জিয়া, জেনারেল এরশাদ, রওশন, বেগম জিয়া ও শেখ হাসিনা লেখাপড়ার মুল্য বুঝার কথা নয়।

২৮| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:২৬

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এরা আসলেই বোকারাম। আচ্ছা চীন বা আমেরিকা ওসব দেশে বিনিয়োগ করেনি? আগে তো জানতাম শুধু আফ্রিকা মহাদেশে এমন গরীব দেশ আছে। এখন দেখি দক্ষিণ আমেরিকাতেও আছে...

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



আফ্রিকার দারিদ্রতার অনেক কারণ আছে; দক্ষিণ আমেরিকার একমাত্র কারণ: আমেরিকান মালিকানা ও স্হানীয়দের পড়ালেখা থেকে দুরে রাখা।

২৯| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৪৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: It's really a good article, Sir. I like such types of writing from you as you are an experienced man over there in the USA.

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



এই অন্চলের মানুষকে দেখার ও বুঝার সুযোগ পেয়েছি কিছুটা

৩০| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৪:৪৭

সোহানী বলেছেন: আরে ট্রাম্প এদেরকে ঢুকতে দেবে বলে বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে। যেখানে অবৈধ অভিবাসী নিয়ে তার কঠোর মনোভাব।

যাহোক ব্যাক্তিগত অভিমত হলো এ ধরনের অবৈধ অভিবাসীর একটি বড় অংশই বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ে অনেকটা না বুঝেই। যা মূল অভিবাসীর জন্য মোটেও সুখকর বিষয় নয়। আর এ সমস্যার ডালপালা বাড়তেই থাকে সবসময়।

তবে আমার ধারনা এদের বড় অংশই কানাডায় ঢুকবে। কারন ট্রাম্পের পর যেভাবে স্রোতের মতো কানাডায় ঢুকছে!!!!!!!!!!

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৬:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


ল্যাটিনরা কানাডা অবধি যায় না তেমন; তবে, কানাডা ও আমেরিকার উচিত দ: আমেরিকার দুষ্ট সরকারগুলোকে চাপের মাঝে রেখে নিজের ক্সলোকগুলোর শিক্ষার ব্যবস্হা করানো।

৩১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৬:১২

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আমেরিকাতে কাজের সুযোগ রয়েছে প্রচুর | যে খুব পরিশ্রমী এবং যেকোনো কাজ করতে প্রস্তুত তার জন্য উত্তম দেশটি হচ্ছে আমেরিকা | এমনকি তার প্রতিবেশী কানাডাতেও আমেরিকার মতো এতো কাজের সুযোগ নেই | কানাডাতে অড জবের জন্যও রেজুমি নিয়ে ঘুরাঘুরি করতে হয় যা আমেরিকাতে প্রয়োজন হয় না | তবে বর্তমানে কানাডার চাকুরীর বাজার আগের তুলনায় একটু ভালো হয়েছে | কেউ যদি পরিশ্রম করে জীবনে উন্নতির স্বপ্ন দেখে তার অবশ্যই আমেরিকাতে আসার চেষ্টা করা উচিত | তবে আমেরিকার অনেক নেতিবাচক দিকও আছে | এখানে সার্বজনীন ফ্রি চিকিৎসা নেই যা কানাডাতে আছে | আইনশৃঙ্খলার দিক দিয়ে কানাডার অবস্থা আমেরিকার চাইতে অনেক ভালো |

বাঙালিরা বিদেশে যাওয়ার জন্য অনেক ঝুঁকি নিতে পারেন | আমরা খুবই পরিশ্রমী জাতি শুধু আমাদের প্রধান দুর্বলতা হচ্ছে ইংরেজিতে কমিউনিকেশনে | এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারলে যেকোন দেশেই আমরা খুব ভালোভাবে এস্টাব্লিশড হতে পারবো | ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি বাংলাদেশের অসাধু রাজনীতিবিদ/আমলা/ব্যবসায়ী চক্রের পুতুল নাচের উপকরণ হয়ে সারাটা জীবন বঞ্চিত না হতে চাইলে আমেরিকাসহ যেকোনো উন্নতদেশে যাওয়ার চেষ্টা সবারই করা উচিত এবং এই বিষয়ে সরকারেরও সদিচ্ছা এবং উদ্যোগ থাকা উচিত |

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৬:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:


দক্ষিণ আমেরিকা, পুরো আফ্রিকা, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, বার্মা, আফগানিস্তান চালাচ্ছে অদক্ষ দুষ্টরা, সেজন্য সম্পদ থাকা সত্বেও এসব দেশের মানুষ চরম কষ্টের মাঝে আছে; আমেরিকা সবকিছুর সমাধান দিতে পারবে না।

৩২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: মেক্সিকোতে ১০ হাজার বাংগালী আমেরিকা প্রবেশের জন্য অপেক্ষা করছে


আমি চালাকি করে কোন এক ফাঁক ফোকর দিয়ে ঢুকে যাব।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি দেশে কিছু করার চেষ্টা করেন, পরিবার রেখে কোথায় যাবার চেষ্টা করা মানে ভুল করা




৩৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ২:২৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: অবৈধ পথে বিদেশে পাড়ি দেওয়াতে বাংরাদেশীরা ও ঝানু উস্তাদ, ডিঙ্গি নৌকা করে মিশর, মরক্কো থেকে ইতালীতে যেতে গিয়ে এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার বাংলাদেশী পানিতে ডুবেছে । আদম গন্ধমের দেশ মালয়েশিয়াতে যেতে বঙ্গোপসাগরে, ভারত সাগরে, থা্ইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়া’র সাগরে ডুবেছে আরো হাজার খানেক ।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৪:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


এগুলো ঘটছে, কারণ সরকার চাকুরী সৃষ্ট করার কোন চেষ্টাই করছে না; ওরা ড: কামাল টামাল নিয়ে ব্যস্ত

৩৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:০৪

সিগন্যাস বলেছেন: ইহুদিরা নাকি আমেরিকার ৮০% সম্পত্তি দখল করে বসে আছে?এই ব্যাপারে কিছু বলুন

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:


৮০% হবে না; তবে, নিউইয়র্কে শহরে রিয়েল-ষ্টেইটের বড় অংশ তাদের; বড় বড় ইনভেষ্টমেন্ট ব্যাংকগুলোতে ওদের বিনিযোগ ও ম্যানেজমেন্ট খুবই বেশী

৩৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৫৯

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: স্যার, একবার যাওয়ার ইচ্ছা আছে। মন ভরে ঘুরার ইচ্ছা আছে।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


দেখার দরকার; সম্ভব হলে, আমেরিকা ও ইউরোপ দেখার দরকার; প্ল্যান করেন, পারবেন।

৩৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৪২

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: ধন্যবাদ স্যার। ভালো থাকবেন। শুভ রাত্রি।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৩:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



ভালো থাকুন

৩৭| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৩১

খায়রুল আহসান বলেছেন: ছোট্ট লেখা, কিন্তু এ লেখায় সমস্যার কথা আছে, সমস্যার কারণের উল্লেখ আছে, আর আছে মানবিক মমতার ছোঁয়া। ছবির মুখগুলো মনে তাদের পাশে দাঁড়ানোর একটা আবেদন জানায়।
শিক্ষাই উন্নতি ও প্রগতির সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। আর এ জন্যেই শাসকগণ শাসিতদেরকে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করা ও রাখার পাঁয়তারা করে থাকে অহরহ।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:



পুরো আফ্রিকা, দ: আমেরিকা, আফগানিস্তান, ইয়েমেন ও পাকিস্তানে পড়তে বাধা দেয়া হয় সরাসরি; বাংলাদেশে ব্যুরোক্রটরা ও সরকার কৌশলে পড়ালেখার পথে কাঁটা দিয়ে আসছে।

শেখ সাহেব ও তাজুদ্দিন সাহেব পড়ালেখার মুল্য অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.