নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইহুদী, খৃষ্টান ও মুসলমানদের মাঝে কারা, কেন পেছেন পড়ে গেছে?

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:১০



অবশ্যই ইহুদীরা পেছনে পড়েনি; তারা জীবনের সাথে, রাষ্ট্রের সাথে, ধর্মের সমন্ময় ঘটাতে পেরেছে।

ইহুদী, খৃষ্টান ও মুসলমানেরা কিতাবী ধর্মের লোক হিসেবে পরিচিত, এদের ধর্মের উৎপত্তি একই এলাকায় ও প্রায় একই মতবাদের উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত; মুসলমানেরাই কিতাবী ধর্মের শেষ সংস্করণ। এই ৩টি ধর্মের মুখবন্ধে মোটামুটি একই কথা বলা হয়েছে, "মানুষ যখন নিজের সৃষ্টিকর্তার আদেশ, আইন অবমাননা করে, নিজের আইন, নিজেদের ট্রেডিশন চালু করেছে, তখনই তারা ভুল পথে গেছে, তারা অভিশপ্ত হয়েছে, শাস্তিপ্রাপ্ত হয়েছে, তাদের উপর অন্যদের খড়গ নেমে এসেছে। এই অবস্হা থেকে তাদের মুক্ত করার জন্য নবী/রাসুলদের পাঠানো হয়েছে।"

ইহুদীদের মতে, তাদের সবচেয়ে বড় ইতিহাস হলো, তারা কখনো সৃষ্টিকর্তার আইন ভংগ করেনি; বরং, তাদের সঠিক অবস্হানের বিপক্ষে অবস্হান নিয়ে অনেক জাতি, এমন কি প্রাচীন মিশরের ১ বা একাধিক ফারাওন বিপদে পড়েছে, ধ্বংস হয়েছে; কিন্তু ইহুদীরা কোনভাবে বিধাতার হাতে নিগৃহিত হয়নি। তাদের সবচেয়ে বড় বিপদের সময় ছিলো হিটলারের সময়; হিটলারও পরাজিত হয়েছে। তারপর তাদের দেশ গঠনে বাধা দিয়েছে আরবেরা, আরবেরা আজকে ভয়ংকর বিপদে। ইহুদীরা নিজেদেরকে বিধাতার অনুগ্রহপ্রাপ্ত একমাত্র জাতি হিসেবে মনে করে।

কিতাবী ধর্মের ১ম ধর্ম ইহুদীবাদ হলেও, তার বিশ্বে মাত্র ১ কোটী ৪০ লাখ মাত্র; কারণ, তারা ধর্ম প্রচার করে না, এবং তাদের ধর্মে সহজে কাউকে আসতে দেয় না: ইহুদী মায়ের সন্তানই ইহুদী। কেন তারা ধর্ম প্রচার করে না, এবং অন্যদের আসতে দেয় না? তারা মনে করে যে, এতে ধর্মের বিশুদ্ধতা কমে যাবে, ও অন্য সংস্কৃতির লোকজন তাদের ঐক্যের ক্ষতি সাধন করবে।

ইহুদীরা ধর্ম ও রাস্ট্র পরিচালনায় সমন্ময় ঘটায়েছে; ইসরায়েলের গণতান্ত্রিক ব্যবস্হা এখন বিশ্বের মাঝে সবচেয়ে বিশুদ্ধ গণতন্ত্র; তাদের নির্বাচন পদ্ধতি সবচেয়ে লজিক্যাল। কোন মুসলিম দেশে রাষ্ট্র ও ধর্মের মাঝে সমন্ময় ঘটেনি; সেজন্য, সব মুসলিম দেশে একাংশের ইচ্ছা, দেশ যেন ইসলামী হয়, ইসলামী শরিয়াহ আইনে চলে; ফলে, মুসলিম দেশে কোনটারই ভিত্তি থাকছে না, সবমিলে খিচুড়ী রান্না হচ্ছে।

ইহুদীদের মতে, ইহুদী ধর্ম বিশুদ্ধ, তাদের খাদ্য বিশুদ্ধ, তাদের সংস্কৃতি বিশুদ্ধ; ফলে, ইহুদী ধর্ম চালু থাকাকালীন, "মানুষ নিজের সৃষ্টিকর্তার আদেশ, আইন অবমাননা করে, নিজের আইন, নিজেদের ট্রেডিশন চালু করেছে, তারা ভুল পথে গেছে, এই অবস্হা থেকে তাদের মুক্ত করার জন্য নবী/রাসুলদের পাঠানো হয়েছে", এই মুখবন্ধে তারা নতুন করে বিশ্বাস করে না; সেজন্য তারা হযরত ঈশা (আ: ) ও ইসলামের নবী মোহাম্মদ (স: )'কে মানে না।

সম্প্রতি, হেসিডিক ইহুদীদের বড় রাবাইকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো যে, হিটলারের হাতে ইহুদীদের নিগৃহ কি বিধাতার শাস্তি কিনা? সে বলেছে যে, না ইহা শাস্তিও নয়, পরীক্ষাও নয়, ইহা ইহুদীদের নিজস্ব ভুল ভাবনার ফল, তাদের নিজের দেশ না থাকাতে এই ঘটনা ঘটেছে; তাদের জাতি আগে রাষ্ট্র গঠনের চেষ্টা না করায়, তাদেরকে এত বড় মুল্য দিতে হয়েছে।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৪৪

বলেছেন: ইহুদিদেরকে মুসলমানদের প্রকাশ্য দুশমন বলে মনে করা হয়.

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


ঐতিহাসিকভাবে সম্পর্ক কিছুটা ঐ রকমই হয়েছে: মদীনা নগরীতে রিফিউজী হিসেবে প্রবেশ করেছিল মুসলমানেরা, পরে সেটাই মুসলমানেরা দখল করে, মুসলিম ইতিহাসে ১ম সাম্রাজ্য গঠন করা হয়; ফলে, অনেক কারণ আছে।

২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৫১

হাবিব বলেছেন: ইহুদিদের মতো ঐক্য বর্তমানে দেখা যায় না। খ্রিস্টানদের চেয়েও তারা ঐক্যের দিক দিয়ে শক্তিশালী।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


বর্তমান বিশ্বে, ধর্মীয় জাতি হিসেবে ওরা সবার চেয়ে বেশী ঐক্যবব্ধ: জীবনযাত্রা, ধর্মীয় ভাবনা ও দেশের আইনের মাঝে সমন্ময় ঘটিয়েছে তারা।

৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:০১

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আসলে এই সব বিষয়ে কথা বলার আগে অনেক জিনিষই আমাদের সেট করে নিতে হবে। যেমন এইযে পিছিয়ে পড়া, এগিয়ে যাওয়া। একজন মুসলিম, যে সঠিক রাস্তার উপরে নিজেকে ধরে রাখতে প্রচন্ড চেষ্টা করে যাচ্ছে তার কাছে এগিয়ে যাওয়া পিছিয়ে যাওয়ার অর্থ এক রকম। আর একজন যে নিজেকে হয়ত মুসলিম দাবী করছে, কিন্তু আসলে তেমন ভাবে ইসলামের সাথে থাকছে না তার কাছে এক রকম। আর যে মুসলিমই না; বাহির থেকে দেখছে, তার কাছে এগিয়ে যাওয়া সম্পূর্ণ আর এক রকম।

কোরআনে একটি ঘটনার বিষয়ে কথা বলা হয়েছে, সেখানে এক আল্লাহর উপর বিশ্বাস আনার কারণে একটি গ্রামের সকলকে এক এক করে পুড়িয়ে মারবার কথা বলা হয়েছে; কিন্তু ঘটনা যেখানে শেষ আল্লাহ সেখানে বলছেন, "এটাইতো মহা সাফল্য"! এখন বাহির থেকে যদি দেখা হয়, সব তো পুড়ে শেষ, সেটা সাফল্য হলো কি করে?

ইসলামের দৃষ্টিতে সাফল্য তখনই আসলো, যখন কেউ জান্নাতে তার ঠিকানা করে নিতে পারলো; আর কিছুতেই নয়। রাষ্ট্র গঠন, শক্তি অর্জন, বিজ্ঞানে এগিয়ে যাওয়া, শক্তিশালী অর্থনীতি থাকা ইত্যাদি ইত্যাদি কিন্তু একজন আসল মুসলিমের কাছে সম্পূর্ণটাই দুনিয়ার হিসাব। আর আসল মুসলিমের কাছে দুনিয়ার হিসাব খুব একটা বড় কিছু না।

সূরা আন-নূর এর ৫৭ নং আয়াতে আল্লাহ বলছেন, "তোমরা কাফেরদেরকে পৃথিবীতে পরাক্রমশালী মনে করো না। তাদের ঠিকানা অগ্নি। কতই না নিকৃষ্ট এই প্রত্যাবর্তনস্থল।" এখন যখন মায়ানমার থেকে মুসলিমদের মেরে বের করে দিচ্ছিলো, আমরা হিসাব করছিলাম মায়ানমারের কত বড় সেনা বাহিনী, বাংলাদেশের কত বড় সেনা বাহিনী; কিন্তু আসলে মুসলিমের এভাবে হিসাবের কোন অর্থই নেই।

এবার যদি দুনিয়ার হিসাব করেন, তাহলে দেখা যায় যে হিসাবে মুসলিমরা অনেক পিছিয়ে পড়েছে। এখানে যদি উত্তর খুঁজতে আসেন যে কেন এমন হলো, আবার সেই দুনিয়ার হিসাব দুনিয়ার বাইরের হিসাব। মুসলিম বিশ্বাস করবে যে আল্লাহর উপর সেই ঈমান না থাকার কারণে আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি, আমাদের ঐক্য নষ্ট হচ্ছে; আর দুনিয়ার হিসাব করলে ব্লা ব্লা ব্লা বহুত কিছু।

পৃথিবীর হাজার বছরের ইতিহাস ঘাটলে একটা জিনিষই দেখা যায়, ক্ষমতা কারও কাছে আটকে থাকে না; বরং এক হাত হতে অন্য হাতে চলে যায়। সমস্যা হচ্ছে আমরা যখন "এখন কি হচ্ছে" হিসাব করি, আমরা মাত্র কয়েক বছর বা কয়েক দশক বা কয়েক শতাব্দী হিসাব করি। কিন্তু ইতিহাস; ক্ষমাতার পালা বদল কখনোই বছর-দশক-শতাব্দীতে আটকে ছিলো না; থাকে না; থাকবে না। :)

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


মুসলমানরা মৃত্যুর পর ভালো থাকবে, সেজন্য বর্তমানে এই অবস্হা ! এগুলো প্রাগিতিহাসিক জ্ঞান।

৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:০২

নতুন বলেছেন: পরিবত`নে খাপ খাইয়ে নিতে পারছেনা মুসলমানেরা ফলে পিছিয়ে পড়ছে।

দেশে কিছু মানুষ এখনো ছবি তোলেনা কারন তাদের পীরের নিষেধ আছে....

কিছু মানুষ এখনো ঢিলা কুলুক নিয়ে ৪০ কদম হাটে আর কাশি দেয়....

দুনিয়ার মানুষ এখন ইলেকট্রিক কার বানায়, মঙ্গলে মানুষের বসতি নিয়ে ভাবে আর আমাদের দেশের মানুষ এখনও মেয়েরা কি পোষাক পরবে সেটা নিয়ে ভেবে ফতোয়া দেয়।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:


ইসলাম ততকালীন সমসাাময়িক জীবন সম্পর্কে সঠিক কোন ধারণা দিতে পারেনি। একই ধর্ম (ইহুদী) থেকে বাকী ২টি ধর্মের পত্তন হলেও, মক্কা মদীনার মানুষদের পক্ষে শিক্ষিত ইহুদীদের সংস্কৃতি ও সামাজিক জীবন বুঝা সম্ভব হয়নি; ফলে, ইসলাম আগেও তেমন কোন কাজে লাগেনি।

৫| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১:৫৭

ডার্ক ম্যান বলেছেন: গাজী ভাই কেমন আছেন

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৩:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমি ভালো আছি, ব্লগে ফিরে আসেন।

৬| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ২:৩০

রাফা বলেছেন: স্থির থাকা আর সচলের মধ্যে যে পার্থক্য আছে সেটা বুঝাবে কে কাকে ?

ধন্যবাদ,চাঁদগাজী।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৩:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


ধর্মকে এক সময় দর্শনের অংশ হিসেব করা হতো; এখন সেই গুরুত্ব নেই; ইসলামে সামাজিক জীবন, রাষ্ট্রীয় জীবনের উপর গুরুত্ব না দিয়ে, মৃত্যুর পরবর্তী জীবনের উপর গুরুত্ব দেয়ায়, মানুষ সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে।

সভ্যতা ও বিজ্ঞান যেই গতিতে বদলাচ্ছে, ইসলাম উহার সাথে তাল মিলাতে পারবে না, মনে হচ্ছে; তখন ইসলামিক দলসমুহ দোষ দেবে যে, মানুষ সৃষ্টিকর্তার আইন মানছে না, মানুষ অন্ধকারের দিকে যাচ্ছে।

৭| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৭:৪৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: কে সেরা তা শুধু মাত্র Longitudial data তথা সমসাময়িক কালের ডাটা বা তথ্য উপাত্ত দিয়ে বিশ্রেষন করলে সঠিক চিত্র পাওয়া যাবেনা । এর জন্য সুদির্ঘকালের Time series data তথা তথ্য উপাত্ত দিয়ে বিশ্লেষন করলে সঠিক চিত্র ফুটে উঠতে পারে ।

প্রাচীন বিশ্ব মানচিত্রে খৃষ্টপুর্ব ৩০০০ সন হতে ৪৭৬ খৃষ্টাব্দ পর্যTন্ত সময়কালে পৃথিবীর ক্ষমতাধর ও সেরা জাতি , সাম্রাজ্য ও নৃপতিদের ইতিহাস পর্যাুলোচনা করলে দেখা যায় যে সেসময়ে কোন বিশেষ ধর্মাবলম্বি গনগুষ্ঠির চেয়ে অগ্নি ও মুর্তি পুজক ধর্মাবলম্বিরবই শ্রেষ্টত্বের আসনে সমাসিন ছিল । সেসময়ে ক্ষনকালের জন্য মাত্র প্রায় চার শতক কালে খৃষ্টান ধর্মাবলম্বিদের (খৃষ্টান রোমানদের ) কিছুটা প্রাধান্য ছিল । পক্ষান্তরে সে সময় ইহুদিদের কোন উল্লেখযোগ্য নাম গন্ধ ছিলনা বিশ্ব মানচিত্রে ।

সপ্তম শতাদ্বি হতে শুরু করে চতুর্দশ শতাদ্বি পর্যগন্ত সময় কালে মধ্য যুগে ইসলাম ধর্মাবলম্বিরাই পৃথিবীতে শ্রেষ্টত্বের আসনটি ধরে রাখে , এটা ঐতিহাসিক ভাবে স্বিকৃত।
The Middle Ages proper begin with the collapse of the remnants of Late Antiquity in the 7th century due to the Islamic conquests. The Old World is largely dominated by Muslim caliphates during the mid-7th to 10th centuries and later by the Aotoman dynasty .

বলা হয়ে থাকে The Ottoman Empire was one of the mightiest and longest-lasting dynasties in world history. This Islamic-run superpower ruled large areas of the Middle East, Eastern Europe and North Africa for more than 600 years. While Western Europeans generally viewed them as a threat, many historians regard the Ottoman Empire as a source of great regional stability and security, as well as important achievements in the arts, science, religion and culture.

মধ্যযুগে পুর্ব ইউরোপে বা্ইজানটাইন এমপায়ার (পুর্ব রোমান এমপায়ার) কিছুদিন প্রাধান্য ধরে রাখলেও তার পরিধি ছিল সীমিত ।যেমনটি বলা হয়ে থাকে
The Byzantine Empire (Eastern Roman Empire) was the foremost Christian power in the early medieval period, but under pressure from the Islamic conquests and the Turkic expansion it declined in the high medieval period. It fell to Frankish conquest in 1204 and although restoredin the 1260s it did not regain its former stature.

Early modern যুগে এককভাবে কেও শ্রেষ্টত্বের আসনে বসতে পারেনি।সে সময়ে ইউরোপে ফ্রান্স , বৃটিশ , স্পেনিশ ও পর্তুগীজ এমপায়ার, এশিয়ায় মুসলিম আটোমান ও মুঘল সাম্রাজ্যের আধীনে মুসলমানগন, চীনে ও জাপানে বৌদ্ধ ধর্মালম্বিগন শ্রেষ্টত্বের আসনে ছিল সমাসিন । সপ্তদশ শতকে শিল্প বিপ্লব ও ফরাসি রেনেসার পরে শুরু হয় জগত জুরে খৃষ্টানদের শ্রেষ্টতের শুরু । এ সমস্ত সময়কালে ইহুদিদের আবস্থান কোথায় ছিল তা কি আর বলার আপেক্ষা রাখে। দ্বিতিীয় বিশ্ব যুদ্ধের পরে মার্কিন ও বৃটিশদের দয়ায় ও সরাসরি পৃষ্টপোশকতায় টেষ্ট টিইউব বেবির মত তাদের বেড়ে উঠার ইতিহাস দেখা যায় । তাদের প্রতি আমিরিকান ও বৃটিশের সমর্থন ও পৃষ্ঠপোশকতা উঠে গেলে তাদের আবস্থা কি হবে তা কি ভেবে দেখেছে কেও ।যাহোক কালের পরিক্রমায় উথ্থান পতন একটি চিরাচরিত বিষয় । মুসলমানরা তাদের শ্রেষ্টত্বের আসনটি সাময়িকভাবে হারালেও কালের পরিক্রমায় তা পুনরুদ্ধারে হয়তবা আর বেশীদিন লাগাবেনা , বিগত কয়েক শতাদ্বি যাবত মুসলমানদের নীজেদের ভুলভ্রন্তির খেসারত হসিাবে নির্যাতন ও পিষ্ট হতে হতে মুসলমানদের মধ্যে বোধদয় হচ্ছে, তারা সচেতন হচ্ছে ঘুরে দাড়াবার জন্য । সে দিন হয়তবা আর বেশী দেরী নাই । আশায় থাকতে দুষ কি ।

এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে ধর্মভিত্তিক লোক সংখ্যার দিক দিয়ে মুসলমানদের প্রবৃদ্বি বিশ্বে সেরা । অন্য সব ধর্ম অনুসারী মানুষের সংখ্যা ক্রমেই কমছে । এমনকি ইশ্বরে অবিশ্বাসী মানুষের সংখ্যাও কমছে উল্লেখযোগ্যভাবে । ২০১০ সালে সারা দুনিয়ায় মোট জনসংখ্যার মধ্যে খৃষ্টানদের হিস্যা ছিল ৩১.৪% , ২০৫০ সনেও তাদের সংখা প্রায় তাই থাকবে বলে আমিরিকান পিউ রিসার্চ সেন্টারের প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে । আর বিশ্ব জন সংখ্যায় ইহুদিদের হিস্যা ০.২০ ঘরে কিংবা তারো নীচে গিয়ে দাড়াবে । নীচের বিবরনী ও সারনীতে অবস্থাটি দেখা যেতে পারে ।
According to a study by the Pew Research Center Islam is growing faster than any other religion. In fact, most of the world's major religious groups are expected to rise in absolute numbers by 2050, the research finds, with Islam set to overtake Christianity and become the world’s dominant religion by 2070.


ধন্যবাদ পোষ্টটি দিয়ে এ প্রসঙ্গে আলোচনার সুযোগ করে দেয়ার জন্য ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.