নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ম সময় ও সভ্যতার সাথে তাল মিলিয়ে এতদুর এসেছে

১৪ ই মে, ২০১৯ রাত ২:২৫



সব ধর্মের মুখবন্ধে আছে, মানুষ সময় সময় তাদের সৃষ্টিকর্তা কর্ত্তৃক প্রদত্ত ধর্মকে ভুলে গিয়ে, কিংবা বাদ দিয়ে, নিজেদের মনগড়া কর্মকান্ডে লিপ্ত হওয়ায়, সমাজ পাপ ও অরাজকতায় ডুবে যাবার পর, সৃষ্টিকর্তা বারবার নতুন করে পয়গম্ভর পাঠায়েছেন, নতুন করে পরিত্র গ্রন্হ পাঠায়েছেন।

এই মুখবন্ধটা কার, বা কাহাদের লেখা; ইহা কি সৃষ্টিকর্তা কর্ত্তৃক লিখা, নাকি মানুষের লিখা? আসলে, মানুষ কি সময় সময় তাদের সৃষ্টিকর্তাকে ভুলে গেছে, নাকি মানব সভ্যতা সর্বদা বিবর্তনের মাঝ দিয়ে ক্রমাগতভাবে উন্নয়নের দিকে গেছে? উদাহরণ হিসেবে, খৃষ্টান ধর্মের উদ্ভবকে একটু এনালাইসিস করে দেখা যাক: ঈসা (আ: )'এর জন্মের কয়েক'শ বছর আগে, পশ্চিম বিশ্বে বেশ কয়েকটি বড় বড় সভ্যতা ছিলো: রোমান, গ্রীক, মিশরীয় ও পারসিক সভ্যতা; সেই সময়ে, কিতাবী ধর্ম ছিলো 'জুডাইজম' (ইহুদী ধর্ম), ইহা মুলত ছিলো জেরুসালেমের আশেপাশে, ইয়েমেনে, মদীনায় ও মিশরে।

ঈসা (আ: )'এর জন্মের ৬৪ বছর আগে, রোমানরা মিশরীয় সাম্রাজ্যের পতন ঘটায়ে, মিশর, জেরুসালেম, সিরিয়া এলাকা(পারর‌্য সাম্রাজ্যের অংশ) দখল করে নেয়; মিসরীয়রা সেই সময়ে আসলে, নিজেদের ধর্ম ও গ্রীক ধর্মে বিশ্বাসী ছিলো; মিশরীয়রা সুর্য মুর্যকে তাদের ভগবান হিসেবে মানতো, ও ক্ষমতাসীন ফেরাউনকে সৃষ্টিকর্তার সন্তান হিসেবে জানতেন, মানতেন; গ্রীকধর্ম ও রোমান ধর্ম ছিলো বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী রূপকথার ধর্ম। ফলে, মিশরীয়দের জন্য গ্রীক, বা রোমান ধর্ম বিরাট সমস্যা ছিলো না; রোমানদের ধর্ম কিন্তু জুডাইজমের জন্য ভয়ংকর চ্যালেন্জ ছিলো; কারণ, জুডাইজম ছিল ১ম কেতাবী ধর্ম, যাহা এক সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করতো ; এবং তাদের এলাকা ছিল রোমানদের হাতে। যাক, রোমানরা স্হানীয় ইহুদীদের ধর্মের যায়গায় রোমান ধর্মের প্রতিষ্ঠা করেনি।

নবী ঈসার (আ: )'এর মৃত্যুর পর, তাঁর অনুসারীরা খৃষ্টান ধর্ম প্রচার শুরু করেন; এই ধর্মের প্রচারের সুচনায় সেই এলাকার মানুষজন কি সৃষ্টিকর্তাকে ভুলে গিয়েছিল, অত্যাচার, অনাচারে লিপ্ত হয়েছিলো? ইতিহাস বলে যে, ইহুদীরা মিসরীয় ও রোমানদের ভয়ংকর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অত্যাচার সহ্য করেছে, কিন্তু নিজের ধর্মকে ত্যাগ করেনি, তাদের জীবনের মান, ধর্মের মান তারা রক্ষা করেছে, তারা পাপাচারে বা পংকিলতায় ডুবে যায়নি! রোমানরা কি তাদের ডজন ডজন সৃষ্টিকর্তাকে ভুলে গিয়েছিলো? না, ইতিহাস মতে, গ্রীক ও রোমানরাই সভ্যতার ভিত্তি স্হাপন করেছে!

সময়ের সাথে, গ্রীক, রোমান ও মিশরীয় ধর্মের সম্পুর্ণ বিলুপ্তি ঘটে, এরা সবাই মোটামুটি খৃষ্টান ধর্মে দীক্ষিত হন; তা'হলে, দেখা যাচ্ছে যে, ধর্মের ভালো বিবর্তন ঘটেছে; রূপকথার ধর্ম থেকে এরা বেরিয়ে এসে, এক সৃষ্টিকর্তার ধর্মকে গ্রহন করেছেন। এরা ইহুদী ধর্মে গেলো না কেন? ইহুদীরা নিজেদের গোত্রের বাহিরের লোকদের ইহুদী ধর্ম নিতো না, তারা ধর্ম প্রচার করতো না।

তা'হলে, যেইভাবে ধর্মগুলোর মুখবন্ধে বলা হয়েছিলো যে, মানুষ সৃষ্টিকর্তাকে ভুলে গিয়ে অত্যাচার অনাচারে লিপ্ত হয়েছিলো, সেটার প্রমাণ নেই; খৃষ্টান ধর্মের বিকাশের ফলে, সভ্যতার ধারক, বাহক গ্রীক, রোমান ও মিশরীয়রা তাদের রূপকথার ধর্মের বদলে এক সৃষ্টিকর্তার ধর্ম গ্রহন করেন; সেই সময়ে রাজত্ন্ত্রের সমস্যা ব্যতিত অন্য কোন জানা সমস্যায় রোমান, গ্রীক ও মিশরীয়রা ছিলো না; তারা অন্ধকারে নিপতিত জাতি ছিলো না; আসলে, তারাই ছিলো সভ্যতার ধারক ও বাহক। সময় ও সভ্যতার সাথে তাল মিলানো হচ্ছে বিবর্তন।

মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মে, ২০১৯ ভোর ৫:১২

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: অনেক দিন পর আজ ব্লগে ব্রাউজ করতে পারছি, আপনার লেখা ও পড়তে পারছি।
আশা করি আবার নিয়মিত হতে পারব,

১৪ ই মে, ২০১৯ সকাল ৯:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:


সরকার ও প্রশাসনের ইডিয়টরা ব্লগিং পারে না, সেই কারণেই সামুকে বন্ধ করতে চাচ্ছে; সামুতে কিছু সরকারী ব্লগার ছিলো বলে মনে হয়, কিসব ম্যাঁওপ্যাঁও পোষ্ট দিতো; শেষে হতাশ হয়ে চলে গেছে।

২| ১৪ ই মে, ২০১৯ ভোর ৫:৫৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ধর্মের একটি বিরাট গুন হল প্রতিটি ধর্মের মানুষই তাদের নিজের ধর্মকে সেরা বলে দাবি করে। এই দাবিতে কেউ ছাড় দিতে রাজি নয়। কোন কোন ধর্মের অনুসারীরা এই দাবি প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে যুদ্ধ পর্যন্ত করে। যার ফলে শান্তির বদলে বৃদ্ধি পায় হিংসা। সৃষ্টি হয় অশান্তির।

পৃথিবীতে একটি মাত্র ধর্ম আর একটি মাত্র ভাষা থাকলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যেতে পারতো।

১৪ ই মে, ২০১৯ সকাল ৯:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


গ্রীক ও রোমানদের ধর্ম হারিয়ে যাওয়াতে, আমি ভাবছি, কয়েক হাজার বছর যারা এই ধর্ম ২টি পালন করেছিলেন, মৃত্যুর পর, তারা এখন কোথায় আছেন, তাদের কি হবে?

গ্রীক ও রোমানরা আজকের সভ্যতার পত্তন করেছেন; তারা ক্রমাগতভাবে উন্নতি লাভ করেছে, বিজ্ঞানের পত্তন করেছে; কিন্তু তাদের ধর্মই লা-পাত্তা হয়ে গেছে!

৩| ১৪ ই মে, ২০১৯ সকাল ৯:২৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
হজরত আদমকে পৃথিবীতে পাঠানোর সময় সাথে কোন ধর্মগ্রন্থ দেয়া হয় নি। বরং অন্যান্যদের আদমকে সেজদা করতে বলা হয়েছিল।
এরপর লাখ লাখ বছর মানুষ বনে পাহাড়ে ঘুরছিলেন। কোন ধর্মগ্রন্থ বা ধর্ম প্রয়োজন লাগেনি।

মাত্র ৬ হাজার বছর আগে আল্লাহ মুছা নবির সাথে দেখা করলো। কিতাব নাজেল।
আবার কিছদিন পর আরেকজন নবির উদয় ।
বললো আগের কিতাব বাতিল। আমি সয়ং ঈশ্বর পুত্র।

এরপর মাত্র ১৪০০ বছর আগে জিবরাইল ফেরেস্তা গায়েবি আওয়াজে মৌখিকভাবে আরেকটি কিতাব। হজরত মুহাম্মদ (স) এর নিকট।

১৪ ই মে, ২০১৯ সকাল ৯:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


ইন্জিল কেতাব যেখানে এসেছিলো, সেখানে মুলত: ইহুদীরা ও রোমানরা ছিল; আশেপাশে মিশরীয় ও গ্রীকেরা ছিলো; ওখানে কেহ ধর্মীয় অনাচারে ছিলো না। ইহুদীরা মোটামুটি খৃষ্টান ধর্ম গ্রহন করেনি; খৃষ্টান ধর্ম বরং গ্রীক ও রোমান সাম্রাজ্যে জনপ্রিয়তা পায়; গ্রীক ও রোমান সাম্রাজ্যে কেহ সৃষ্টিকর্তাকে ভুলেননি হাজার বছর ধরেও, তাদের ধর্মের উৎপত্তি হয়েছিল ডজন ডজন দেবদেবীকে নিয়ে।

৪| ১৪ ই মে, ২০১৯ সকাল ১১:৪৯

বাংলার মেলা বলেছেন: আপনার পরামর্শ কি?
- আমরা সবাই খ্রিস্টান হয়ে যাব? যেহেতু গ্রীক রোমান ও মিশরীয়রা খ্রিস্টান হওয়াতে নিজেদের উন্নত করে ফেলেছে, তাই আমাদেরও খ্রিস্টান হওয়াই উচিত।
- ধর্ম যেহেতু গোলমাল আর হানাহানি ছাড়া ভালো কিছু দিতে পারেনা, তাই সকলের নাস্তিক হয়ে যাওয়া উচিত।
- বিবর্তনের নিয়ম মেনে মানুষের অন্য কিছু হয়ে যাওয়া উচিত, তাহলে আর ধর্ম নামের আপদ কোন কাজে লাগেনা।

১৪ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৪:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:



সময়ের ও সভ্যতার সাথে ধর্মের বিবর্তন ঘটেছে, খৃষ্টান ধর্মের আবির্ভাবের ফলে, বিশ্বের শক্তিশালী ২ সভ্যতা, রোমান ও গ্রীকদের ধর্মের বিলুপ্তি ঘটেছে; খৃষ্টান ধর্মের আবির্ভাবের সময়, ইহুদী এলাকার লোকজন পাপ ও অনাচারের মাঝে ঢুবে যায়নি; তারপরও খৃষ্টান ধর্ম এসেছে; কারণ, ইহুদী ধর্মে অন্যদের প্রবেশ ছিলো না। এটুকু বুঝতে পারলে, আপনি ভালো ছাত্র, আপনাকে প্রশ্নফাঁস করতে হবে না।

৫| ১৪ ই মে, ২০১৯ দুপুর ২:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: সেই আদি যুগ থেকেই ধর্ম দুষ্টলোকদের হাতিয়ার। তারা তাদের সুবিধা মতো বানী প্রসব করেছেন। সেই সমস্ত বানী এযুগে পুরাই অচল। অথচ এ যুগে সেসব বানী দেশকে অন্ধকারে নিছে।

১৪ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



মানব সভ্যতার উন্নয়নের বিবিধ স্তরে, বিবিধ জীবন ভাবনা এসেছে, কেহ কৃষিকাজ আবিস্কার করেছে, কেহ পশুপালন করেছে ও এলাকা থেকে এলাকায় ঘুরে বেড়ায়েছে; কেহ পেনিসিলিন বের করতে কাজ করেছে, কেহ তাবিজ আবিস্কার করেছে।

৬| ১৪ ই মে, ২০১৯ দুপুর ২:১৭

কানিজ রিনা বলেছেন: আমি ছোটকালে নানা বাড়িতে দেখেছিলাম
একটি আম গাছের চারটি ডালে চার স্বাদের
আম গাছের নাম ছিল চারডালে আম।
তখন নিজের কাছে প্রশ্ন জাগত এই চারডালে
আম কেন? আর তখন মনে হোত এই
আমের বিজটা প্রথম কোথা থেকে এসেছে।
এই প্রশ্নের জবাব আজ পর্যন্ত কোনও
বিজ্ঞানী দিতে পারবে বলে মনে হয়না।
তবে নাস্তিকরা গায়ের জোরে বলতে থাকে
এমনি হয়েছে। এরকম অনেক অনেক প্রশ্ন
আমার মনে আসত কেন প্রতিটি ফলের
স্বাদ আলদা আলাদা।
এখন বলেন বিজ্ঞানের যত যানবাহন আছে
সবগুল কোনও না কোনও ড্রাইভার আছে।
যত রকম আবিস্কার মানুষের হাতে তার
দিক নির্দেশনার নিয়মাবলির কাগজ আছে।
তথাপি পৃথিবীর সকল প্রাকতিক সৃস্টির
হাত আল্লাহর এই ভাবনাই ধর্ম।
একজন বিনা অন্যায়ে কাউকে খুন করল
আপনি বলতে বাধ্য সে জাহান্নামে বা নরকে
যাবে এই কথাটাই ধর্ম।
আর আপনি ধর্ম থেকেই জাহান্নাম বা নরক
বলতে শিখেছেন। প্রতিটা ধর্মেই স্বর্গ নরক
দোজক বেহেস্তে উল্লেখ আছে সুতারাং
ধর্মকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করার সুযোগ নাই।
মানুষ ধর্মের দিক নির্দশনা জেনেও পাপে
লিপ্ত থাকে তারা নরকের পোকা।
পৃথিবীটাকেই যে নরক বানায় স্বর্গ আশা
করে কেমনে?
আল্লাহ্ যত আদেশ নিষেধ মহামানবদের
দ্বারা পাঠিয়েছেন। সেইসব মহানমানব
আল্লাহর জ্ঞানে গুনাম্বিত।
ভাবতে থাকুন কোথা হতে এসেছেন,
কেন এসেছেন। আবার কোথায় যাবেন।
যদি জ্ঞানের পরিধি বেশী থাকে নিজের
থেকেই জবাব পাবেন।

১৪ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৪:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:


আম গাছের ৪ ডালে ৪ রকম আম ধরানোর মত পরীক্ষা নিরীক্ষা অনেক আগের থেকেই মানুষ করে আসছে; এগুলো মানুষের জ্ঞানের পরিধিকে বাড়িয়েছে সব সময়।
এখন স্বামী-স্ত্রীর বাচ্চা না হলে, মানুষ আর তাবিজ ব্যবহার না করে, ডাক্তারের কাছে যাচ্ছে, এটাও মানুষের ভাবনাশক্তির উন্নয়নের মাঝে পড়ে।

৭| ১৪ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৬

কানিজ রিনা বলেছেন: গোজামিল দিয়ে উত্তর দেওয়া আপনার
সভাবগত বৈশিষ্ট। আমগাছটা যখন কেটে
ফেলা হয় তখন গাছের বয়স হয়েছিল
দেরশত বছর। দেরশত বছর আগে আম
গাছের পরীক্ষা নিরিক্ষা ছিল না।
এখন ঠিকই প্রমান করলেন আপনি নাস্তিক।
তাইতো কোনও আল্লাহর বানীর ভাল উক্তি
দেখলেই আপনি হটকারী মন্তব্য করেন।
আপনি অবিশ্বাসী হলে ভাল কথা ধর্মীও
পোষ্টে মন্তব্য থেকে বিরত থাকলেও পারেন।
বিশ্বাসী অবিশ্বাসী, স্বর্গ নরক, আকাস পাতাল,রাত দিন আছেতো নয়কি?

১৪ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


১৫০ বছর আগে থেকে নয়, মানুষ ১৫০০ বছর আগের থেকেই ফসল ও ফল গাছ নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে আসছেন; জগদীশ চন্দ্র বসুর পরিবার ফসল ও গাছ নিয়ে অনেক পরীক্ষা করতেন; জগদীশ বাবুর জন্ম হয়েছিলো ১৮৫৮ সালে, ঠিক দেড়'শ বছর আগে।

আপনি আমাকে নাস্তিক ডেকে কি শান্তি পান? শান্তি পেলে, ডাকতে থাকুন।

৮| ১৪ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৬

কানিজ রিনা বলেছেন: হ্যা জগদীস চন্দ্রবসু গাছের প্রান আছে
গাছের অনুভূতি ক্ষমতা আছে গাছ অক্সিজেন
দেয় ইত্যাদী ইত্যাদী পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন।
তাইবলে একগাছে চারডাল চাররকম আমের
স্বাদ। সেই গাছ জগদীসচন্দ্র আবিস্কার করেন
নাই। আর হ্যা এই গাছের বংশদ্ভূত ছিল
আরও পাঁচশত বছর আগের। রাজবাড়ী
সুর্যচন্দ্র রাজার বাড়ি এই আমের গাছের
বংশ। সুর্যচন্দ্র নামে নাম করন সুর্য নগর
রাজবাড়ি। আর সুর্যচন্দ্র ছিলেন সাতশ বছর
আগের মানুষ। তারই বাড়ির গাছের বীজ
আমার মায়ের দাদা এনে লাগিয়েছিলেন।
জাতিরপিতা শেখ মুজিবর রহমান এইগাছের
আম খেয়েছেন। আমার নানা বাড়ি তার
খুব প্রিয় ছিল মা শেখ মুজিবকে কাকা
ডাকতেন। মা,দের ছোটছোট কয়টা বোনকে
খুব আদর করতেন।
বড় হওয়া অবধি আমি ওই গাছের বীজ
কোত্থেকে এসেছিল তা উদঘাটন করেছিলাম।

১৪ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:


সেই আমের অনেক লম্বা ইতিহাস দেখছি।

এক গাছে বিবিধ বর্ণ, স্বাদের ফল কলিকাতা বোটানিক্যাল গার্ডেনে দেখানো হয়েছে ১৮০০ সালের দিকে; ইহা আল্লাহ করেননি, মানুষ করেছেন।

৯| ১৪ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:১০

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: নবী ঈসা(আ:) এখনও মৃত্যু বরন করেন নি।

১৪ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


নবী ঈসা (আ: ) ব্লগে আছেন, প্রতিদিন ব্লগিং করেন।

১০| ১৪ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:৫৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ধর্ম একটা মিথ। মানুষ এটাকে ছাড়তে পারবে না। ধর্ম ব্যবসায়ীরা এ কে বাঁচিয়ে রাখবে।

১৪ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


ধর্ম ক্রমেই বিবর্তিত হচ্ছে; যারা উহাকে বিবর্তিত হতে দেবে না, তারা সময় ও সভ্যতার বিপক্ষে চলে যাচ্ছেন; অর্থৎ, পেছনে পড়ে যাচ্ছেন।

১১| ১৪ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:২২

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম আকড়ে থাকলে দেশের উন্নয়ন সম্ভব না।
আজ দুবাই কোথায় চলে গেছে!!! আর সৌদি

১৪ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


সৌদীদের ধর্ম হলো টাকা আছে, ভালো থাকো।

ধর্ম বলতে যতটুকু বুঝায়, উহা সব মানুষই সহজে বুঝেন; বাংলাদেশের তরুণরা ধর্মের নামে যা করছে, উহা জ্ঞানের অভাব।

১২| ১৪ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:৩৫

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:



ধর্ম বিষয়ে আমার জ্ঞান কম । কারন এটা অনেক সেন্সিটিভ একটা বিষয় । তবে গ্রীক আর রোমনারা যে সভ্যতার ভিত্তি তৈরি করেছে এটা বলতেই হবে ।

১৪ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:


গ্রীক ও রোমানদের অনেক রূপকথা ও বীরত্বের কাহিনী নিয়ে ধর্ম ছিলো; অনেক সুন্দরী দেবী ছিলো, বীর ছিলো; কিন্তু ওরা সব বাদ দিয়ে খৃষ্টান হয়ে গেছে; ধর্মগুলো যে বিবর্তনের মাঝ দিয়ে যাচ্ছে, এটা একটা উদাহরণ।

১৩| ১৪ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:৪৪

কানিজ রিনা বলেছেন: কলকাতা বোটানীতে কয়েকবার গিয়েছি।
এধরনের গাছ দেখেছি হয়ত। তবে
চারডালে আমের বৈশিষ্ট যে কোনও
ডালের আমের বীজ থেকে একই
রকম চারডালে গাছ হয়। আপনি
বোটানীতে যে গাছ দেখেছেন হরেক
ফল একই গাছে তা মানুষের উদ্ভাবন।
কিন্ত হরেক ফলের মধ্যে একটি ফলের
বীজ রপন করলে ওই একটি ফলের
গাছই হবে হরেক রকম ফল হবেনা।

১৪ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


আজকাল, অনেক কমপ্লিকেইটেড সায়েন্টিফিক প্রসেস প্রয়োগ করে এমনসব ফল ও ফসল উদপাদন করছেন মানুষ, সেগুলোর সাথে খোদার কোন কুদরতিকে তুলনা করলে মাথা ঘুরে যাবে, ও সঠিক হবে না; আপনি এসব ছোটখাট ব্যাপার দিয়ে ধর্মের বিবর্তন থামাতে পারবেন না।

১৪| ১৪ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:২১

কানিজ রিনা বলেছেন: আমি আপনাকে বলেছি ধর্মের ভাল উক্তি
গুল আপনার ভাল নালাগলে মন্তব্য থেকে
বিরত থাকুন।
ছোটকাল থেকে শুনে আসছি মিথ্য বলনা
কারো প্রতি অন্যায় করোনা, কাউকে দুঃখ
দিওনা। আর একটি মানুষ যদি এই তিন
উক্তি মেনে চলে সেই ধার্মীক।
এই তিন উক্তির যতদিন বিবর্তন হবেনা
ততোদিন ধর্মের বিবর্তন আসবে না।

১৪ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


ঠিক আছে!

১৫| ১৪ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:২৩

শিখণ্ডী বলেছেন: @কানিজ রিনাঃ আমাদের বাড়িতে একটি আম গাছের দুই ডালে দুই ধরণের আম ধরত। এটা অস্বাভাবিক কিছুই নয়, এতটাই সাধারণ ঘটনা যে আমাদের অঞ্চলে দো-ডাইলা/তিন-ডাইলা গাছ নামে এদের ডাকা হয়। আপনি সৃষ্টকর্তার কেরামতি দেখছেন! আমার এক ঠ্যাং অন্যটার চেয়ে দু ইঞ্চি লম্বা। এগুলো সৃষ্টিকর্তার ব্যর্থতা।

১৬| ১৪ ই মে, ২০১৯ রাত ১১:১৩

কানিজ রিনা বলেছেন: শিখন্ডী, অপুষ্টিজনিত মায়েদের সন্তান
প্রতিবন্দি হয়। আজকাল টেলিফোন কম্পিউটার
রেডিয়েশন শিশুরা বিকলাঙ্গ প্রতিবন্দি হচ্ছে। সৃস্টিকর্তার ব্যর্থতা বলে কিছু নাই।

একজন প্রতিবন্দি পুরুষ মোটেও হাটতে
পারেনা তারপরেও সে গড়িয়ে গড়িয়ে
মসজিদে নামাজ পড়ে। ব্যবসা করে রুটি
রিজিকের জন্য। আমি বলব সেই মানুষটাই
পুর্নাঙ্গ মানুষ। তাই সৃস্টিকর্তার ব্যর্থতা বলা ভুল।
একটি প্রতিবন্দি শিশুকে বাবা মা ইচ্ছা
করলে শিক্ষা কর্মক্ষম করে তুলতে পারে।

১৭| ১৫ ই মে, ২০১৯ রাত ১:০৪

পথিক প্রত্যয় বলেছেন: ধর্মের বাণী কোনটা আসল কোনটা নকল সেটা বুঝাই মুশকিল

১৫ ই মে, ২০১৯ রাত ২:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


ধর্মের বাণী যে হারে যুক্ত হয়েছে, মানুষের বাণীই টিকে আছে।

১৮| ১৫ ই মে, ২০১৯ ভোর ৫:৪৩

পথিক প্রত্যয় বলেছেন: মানুষের বাণী নির্ভুল নয় । সেখানে যত গন্ডগোল । কালে কালে বাণী পরিবর্তিত হয়।

১৫ ই মে, ২০১৯ সকাল ৮:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


সময়ের সাথে মানুষের ধারণা বদলে গেছে

১৯| ১৫ ই মে, ২০১৯ সকাল ৮:০৯

অগ্নিবেশ বলেছেন: ইসলাম যদি কিতাব থেকে মার মার কাট কাট অংশগুলো বাদ না দেয়, অনান্য ধর্মের সাথে সহিংসতা বাড়তেই থাকবে।
আগামীতে হিন্দু মৌলবাদী, বৌদ্ধ মৌলবাদী, খ্রিষ্টান মৌলবাদী, ইহুদি মৌলবাদীর উত্থান হবে ভয়ংকর ভাবে এবং এর ফল হবে মারাত্মক। ইহুদী নাসারা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছেড়ে ভক্তিবাদ, সূফীবাদে জোর দিতে হবে সকল রকম সহিংসতা বর্জন করতে হবে, মসজিদ গুলো থেকে ধর্ম-বর্ন নির্বিশেষে সমাজ সেবা মূলক কাজ করতে হবে। শান্তির ইসলাম প্রচার করতে হবে, ভিন্নধর্মীরা দোযকে যাবে বলে উপহাস না করে তাদের আস্থা অর্জন করতে হবে। মসজিদে মসজিতে ভিন্ন ধর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো কিছু প্রচার হলে সাথে সাথে তা রুখে দিতে হবে। যারা ইসলাম ভালোবাসে তাদের ইসলামের জন্যই এটা করতে হবে। অন্যথায় ইসলাম থাকবে না। তবে আল্লাহ বা ইশ্বর ঠিকই বেঁচে থাকবে আরো বহু বছর।

১৫ ই মে, ২০১৯ সকাল ৮:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


প্রতিটি ধর্মের মানুষ বিশ্বাস করেন যে, অন্য ধর্মের লোকেরা ভুল, এবং এদের শাস্তি হবে; তাই, অন্য ধর্মের মানুষের প্রতি তারা হৃদয় থেকে সন্মান অনুভব করে না।

২০| ১৮ ই মে, ২০১৯ রাত ১১:৫৬

গোলাম রাব্বি রকি বলেছেন: নাস্তিকদের কথা আমার ভালো লাগে না কারণ তারা নিজেরা সবসময়ই পরস্পর বিরোধী কথা বলে। আপনি যেমন বললেন সব ধর্মই দাবি করে তারটাই সেরা তেমনি আপনারাও দাবি করেন আপনারাও সেরা। ধর্ম সবসময় একটাই ছিল। আপনি ধর্মে বিশ্বাস করতে চাননা তাতে আমার আপত্তি নাই । স্বয়ং সৃষ্টিকর্তাই স্বাধীনতা দিয়েছে আমি আপত্তি করার কে ?? কিন্তু আপনাদের উচিত ধর্ম সম্পর্কে ভালো ভেবে জেনে, রিসার্চ করে তারপর নাস্তিক হওয়া। কিন্তু দুঃখের বিষয় নাস্তিকদের অধিকাংশেরই ধর্ম নিয়ে ধারণা খুবই অপ্রতুল। ধর্ম কোথাও বলেনি বিজ্ঞান চর্চা করা যাবে না, উন্নত হওয়া যাবে না। ধর্ম আসলে মানবিকতা শেখায়, মানুষের আসল পরিচয় কি, সে কিভাবে মানবিক হবে, মানুষ হিসেবে প্রতিষ্টিত হবে তা শেখায়। যে বিজ্ঞান বলে প্রাণ ছাড়া আরেক প্রাণের উৎপত্তি হয়না আবার সেই বিজ্ঞানই বলে পৃথিবীতে প্রাণ আপনি আপনিই তৈরি হয়েছে ! ধর্মওয়ালারা বিজ্ঞানের বিরোধীতা করে না কিন্তু আপনারা নিজেরাই ধরে নেন ধর্ম মানেই বিজ্ঞান বিরোধী।

১৯ শে মে, ২০১৯ রাত ১২:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


আজকের সব ধর্ম আপনার মতো লোকজন সৃষ্টি করেছে; সৃষ্টিকর্তা ধর্ম দিলে, উহা হতো সব সময়ের জন্য সেরা বিজ্ঞান, দর্শন, সাহিত্য, সংবিধান।

২১| ১৯ শে মে, ২০১৯ রাত ২:১৪

গোলাম রাব্বি রকি বলেছেন: আপনার মত চিন্তা করে যদি সৃষ্টিকর্তা সব দিয়ে দিতেন তবে মানবজাতিকে এত জ্ঞান আর এত ক্রিয়েটিভিটি দিয়ে সৃষ্টি না করে ছাগল মার্কা জ্ঞান দিয়ে তৈরি করতে হত। যাই হোক আপনার কাজের ফল আপনার আর আমার কাজের ফল আমারই। ভালো থাকুন।

১৯ শে মে, ২০১৯ রাত ৩:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


বহু মানুষকে ছাগল মার্কা জ্ঞান দিয়ে তৈরি করা হয়েছে, আসলে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.