নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোটীপতি, উগ্র-ধর্মীয়দের নিয়ে মোদীর নতুন মন্ত্রীসভা

০২ রা জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৮



মোদী ৫৭ জন মন্ত্রী নিয়ে নতুন মন্ত্রীসভা গঠন করেছেন; এবারের মন্ত্রীসভার বৈশিষ্ঠ্য হচ্ছে, সবাই কোটীপতি ও ধর্মীয়, বলতে গেলে উগ্র-ধর্মীয়। যাক, ভারতে বাংলাদেশ, পাকিস্তান বা আফ্রিকার মতো রাতারাতি ধনী হলে মিনিষ্টার হওয়া যায় না, ভারতের মন্ত্রী হতে হলে, টাকা পয়সার দিক থেকে পরিস্কার হতে হয়; ফলে, ভারতীয় কোটীপতি মন্ত্রীরা চোর হওয়ার সম্ভাবনা কম; কিন্তু ওরা গরীবদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি না করে, কোটীপতিদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করবে। অন্য খারাপ দিক হচ্ছে, এবারের মন্ত্রীরা ধর্মীয় ব্যাপারে নিজ নিজ এলাকায় উগ্রপন্হী হিসেবে পরিচিত।

নিযুক্তি, দায়িত্ব ও ক্ষমতার দিক থেকে ভারতে ৩ ধরণের মন্ত্রীর পদ আছে: (১) কেবিনেট মন্ত্রী: এদের বাংলায় হয়তো কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলা সম্ভব; নতুন প্রাইম মিনিষ্টারের লিষ্ট থেকে, এদের নিয়োগ দেন দেশের প্রেসিডেন্ট; প্রেসিডেন্ট চাইলে, লিষ্ট থেকে কাউকে বাদ দিতে পারেন; কেবিনেট মিনিষ্টারেরা মিনিষ্ট্রির প্ল্যান ইত্যাদিতে নিজে সিদ্ধান্ত নেন; ২৫ জন কেবিনেট মন্ত্রী নিযুক্তি পেয়েছে এবার; কেবিনেট মিনিষ্টারদের মাঝে ৩ জন পিএইচডি দেখলাম; (২) স্বাধীন ষ্টেইট মিনিষ্টার: কিছু কিছু মিনিষ্ট্রিতে কেবিনেট মন্ত্রী নিয়োগ দেয়া হয় না, এরা ক্ষমতার দিক থেকে কবিনেট মন্ত্রীর চেয়ে কম ক্ষমতাশালী; এরা প্রাইম মিনিষ্টারের অধীনে থাকে, প্ল্যান প্রোগ্রামে প্রাইম মিনিষ্টারের সন্মতি নেয়: (৩) ষ্টেইট মিনিষ্টার: এরা কেবিনেট মিনিষ্টারের অধীনে কাজ করে, বাংলাদেশের উপমন্ত্রীর মতো হয়তো!

ভারত চালায় ব্যুরোক্রেটরা, দল ও মন্ত্রীরা প্রধানত: নীতি নির্ধারণ করে থাকে। ভারতে বর্ণপ্রথা মুলত: ব্যুরোক্রেটরা চালু রেখেছে; প্রশাসনের অন্য এলাকায় নীচু বর্ণের হিন্দুরা বেশ অগ্রসর হলেও, ব্যুরোক্রসেসীতে নীচু বর্ণের হিন্দুদের প্রবেশের অনুপাত নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

ভারতের ২২ কোটী মুসলমানদের থেকে কেহ মিনিষ্ট্রীতে আছে বলে মনে হয় না; নাম দেখে, কাউকে মুসলিম বলে মনে হয়নি; বিবিধ দল থেকে ২৭ জন মুসলিম সাংসদ নির্বাচিত হয়েছে; তবে, তাদের দলের সংখ্যা ৫০টি। বিজেপি'র আমলে, ভারতের রাজনীতিতে মুসলমানেরা ও নীচুবর্ণের হিন্দুরা ভালো করতে পারবে না; ভারতের মধ্যবিত্ত ও নীচু মধ্যবিত্তরা বেশ উগ্র-ধরর্মীয় হয়ে গেছে সম্প্রতি; পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সাথে এদিক থেকে মিল আছে। ভালো কথা হলো, বাংলীরা ভারতে ধর্মনিরপেক্ষতা চায়, আর ভারতীয়রা বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতা চায়।

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: তালিকা দৃষ্টে মনে হয় মুখতার আব্বাস নকভি নামে একজন মুসলমান আছেন , তিনি মিনিস্ট্রি অব মাইনরিটির দায়িত্ব পেয়েছেন , তিনি আর্ট ও মাস কমুনিকেশন বিষয়ে পড়াশুনা করেছেন এং বিজিপি রাজনীতির সাথে সংষ্লিষ্ট ।

০২ রা জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:


আচ্ছা, ভালোই হলো, আমি আব্বাসকে মিস করেছি। ভারত কোন দিকে যাবে বলা মুশকিল; তবে, নীচুবর্ণের হিন্দু ও মুসলমানদের জন্য সুযোগ খুবই কমে আসবে।

২| ০২ রা জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: মন্ত্রী সভায় মুসলমান না থাকলে ক্ষতি নেই।
একজন রাজনীতিবিদ দেশের সবার জন্য কাজ করবেন। তিনি যদি ধর্মীয় দিক বিবেচনা করে দেশের জন্য কাজ করেন তাহলে তার সুফল সবাই পাবে না।

০২ রা জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:


এবারের ভোটে ভারতের ভোটারদের সম্পর্কে ধারণা কিছুটা খারাপ হয়েছে; তারা 'বালাকোট' ভোট দিয়েছে, ইহা তাদের ভোটের মান কমায়েছে; সাথে সাথে ধর্মীয়দের অকারণ আস্ফালন নীচু বর্নের লোকদের অধিকার হরণ করার পথ খুলেছে।

৩| ০২ রা জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি কি ক্রিকেট খেলা দেখছেন না??
বাংলাদেশ আজ জিতবে। ভাবা যায় সাউথ আফ্রিকার সাথে ৩৩০ করেছে!!!!
৩৩০ বাংলাদেশের সর্বোচ রান কোনো দলের সাথে!!!!

০২ রা জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



ক্রিকেট খেলা আমার কাছে ভালো লাগে না; বাংলাদেশ জিতলে খুশী হবো।

৪| ০২ রা জুন, ২০১৯ রাত ৯:০৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: রাজীব নুর বলেছেন: আপনি কি ক্রিকেট খেলা দেখছেন না??
বাংলাদেশ আজ জিতবে। ভাবা যায় সাউথ আফ্রিকার সাথে ৩৩০ করেছে!!!!
৩৩০ বাংলাদেশের সর্বোচ রান কোনো দলের সাথে!!!!


বিদেশে যারা থাকে তাদের এত সময় নেই ক্রিকেট খেলা দেখার।

০২ রা জুন, ২০১৯ রাত ৯:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমি নিজেই ফুটবল খেলতাম; স্কুলে থাকতে ৫/১০ টাকায় টুরনামেন্টে খেলতাম; ক্রিকেট কখনো আমাকে টানেনি।

৫| ০২ রা জুন, ২০১৯ রাত ৯:০৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
পশ্চিমবঙ্গ থেকে কোন মন্ত্রী কি মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন? জ্যোতি বসুর পরে মমতাই বড় নেতা যিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা রাখেন।

০২ রা জুন, ২০১৯ রাত ৯:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:


পশ্চিমবঙ্গ থেকে ২জন মন্ত্রী হয়েছে; আমি নাম জানি না; পদাতিক চৌধুরী বলতে পারবেন।

জ্যোতি বসু আসলে ভালো করেননি; তিনি সোস্যালিজমের অর্থনীতি চালু না করে, এক জগাখিচুড়ী সোস্যালিষ্ট সরকার চালিয়ে গেছেন, যা আসলে সোস্যালিষ্টদের জন্য কলংক ছাড়া কিছুই না।

৬| ০৩ রা জুন, ২০১৯ রাত ৩:২৬

জাহিদ অনিক বলেছেন: ভারতের মন্ত্রী সভার সিদ্ধান্ত নিশ্চয়ই বাংলাদেশের উপর প্রভাব ফেলবে।

০৩ রা জুন, ২০১৯ ভোর ৪:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশের মাণুষের শিক্ষা, দক্ষতা ও সাধরণ জ্ঞান কম হওয়ায়, ভারতীয়রা ইহাকে সহজ বাজারে পরিণট করেছে।

৭| ০৩ রা জুন, ২০১৯ সকাল ৭:৪৫

নাসির ইয়ামান বলেছেন: পৃথিবীব্যাপী অশুভের জয়_ভারতে মোদী,বাংলায় হাসিনা,যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প,মিশরে সিসি,সিরিয়ায় বাশার আল আসাদ,ইরানে খোমেনি আরো আরো...

ইহা কীসের প্রমাণ করে? আপনার রাজনৈতিক বিশ্লেষণে বলুন!

০৩ রা জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



ইহাকে বলে অশুভ জাতীয়তাবাদ; এতে বিরাট কোন ধরণের ক্ষতি হবে না।

৮| ০৩ রা জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৫৭

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: ভাই আমি রাজনীতি কম বুঝি। তবে মোদী আসার পর থেকে ভারতে ধর্ম নিয়ে দলাদলি আর ঝগড়া ফ্যাসাদ বেড়েই চলছে।

০৩ রা জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংগালীরা খুশী হতো, যদি মোদী আগামীকাল ইসলাম গ্রহন করে, আরো শক্তিশালী ধর্মীয় পদক্ষেপ নিতো; যেমন,মদীনা সনদ চালু করতো; বাংগালীরা খুশী নয়, সে ধর্মীয় উন্মাদনা এনেছে হিন্দু ধর্মে।

৯| ০৩ রা জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:০০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় মান্যবরেষু,

এবারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে যে দুজন প্রতিমন্ত্রীর( পূর্ণ মন্ত্রী বা স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী নন) দায়িত্ব পেলেন তারা হলেন-
১ আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়- পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন। যে দপ্তরের মাথায় আছেন অভিজ্ঞ প্রকাশ জাফরেকর।
২ রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী-নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রক। যে ডাক্তারের মাথায় আছেন অভিনেত্রী স্মৃতি ইরানি।
উল্লেখ্য গত বার দুজন সাংসদের দুজনেই মন্ত্রী হয়েছিলেন। এবার 18 জনের মধ্যেও দুজন মন্ত্রীত্ব পেলেন। মোদ্দা কথায় এনাদেরকে হাফপ্যান্ট পড়া মন্ত্রী বলা যেতে পারে।
এই দুটো ক্ষেত্রেই কাজের কোন অবকাশ আছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন না। পাশাপাশি দুটি মন্ত্রকের দায়িত্বে যারা মাথায় আছেন তাঁরা যথেষ্ট অভিজ্ঞ। কোন খাতে কি কি প্রয়োজন তা তারা ভালই বোঝেন।কাজেই বাংলার জন্য আলাদা করে কোন কেন্দ্রীয় অনুদান বের করে আনার সুযোগ দুই প্রতিমন্ত্রীর নেই বলাই যায়।

শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।




০৩ রা জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


আসলে পশ্চিম বাংলার সরকার নিজেরা বড় কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না; ফলে, কেন্দ্র থেকে কোন কিছুর দরকার পড়ছে না; বাংগালীরা মুলত: চাকুরী করেন, ও সরকারী চাকুরী পাবার জন্য লাইনে থাকেন; পশ্চিম বাংলার বড় বড় ব্যবসা অন্যদের হাতে।

মমতার অস্বাভাবিক জীবন রাজনীতির জন্য সঠিক নয়।

১০| ০৪ ঠা জুন, ২০১৯ রাত ৯:১২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


১১| ০৪ ঠা জুন, ২০১৯ রাত ৯:৩৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বাংলাদেশের ঈদ হবে বৃহস্পতিবার। মালয়েশিয়াতে হবে বুধবার।

০৫ ই জুন, ২০১৯ রাত ১:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


মৌলভীদের ঠিকঠিকানা নেই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.