নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বড় বড় ইস্যুতে, নাগরিকের নালিশের জন্য একটা স্হান থাকতে হয়

২৩ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:২৯



সব শিক্ষিত দেশে, বড় বড় ইস্যুতে নালিশ করার একটা স্হান থাকে; আমেরিকাতে বিবিধ লেভেলের জনপ্রতিনিধি আছে, তাদের অফিস আছে, মানুষ সেখানে যেতে পারে, নালিশ করতে পারে; ব্যক্তির নালিশগুলো শুনেন জনপ্রতিনিধিরা। বেশী মানুষ নালিশ করলে, সেটার উপর পাবলিক শুনানী হয়, টাউনহল মিটিং হয়, নালিশ উপরের দিকে যেতে থাকে; শেষে উহা কংগ্রেস বা প্রসিডেন্ট অবধি পৌঁছতে পারে; স্বয়ং প্রেসিডেন্টকে লিখা যায়; সময় লাগলেও(২/১ মাস) প্রেসিডেন্ট'এর উত্তর পাওয়া যায়। আমেরিকার আরেক উপায় হলো, কোর্টে যাওয়া; কোর্ট অবস্হা বুঝে সপ্তাহ'খানেকের মাঝে শুনানী শুরু করবে। এই ব্যতিত বড় বড় বিষয়ে কংগ্রেস নিয়মিত শুনানীর ব্যবস্হা করে। সর্বশেষ স্হান: হাইকোর্ট, সুপ্রীমকোর্টও বড় বড় সমস্যা নিয়ে ফেডারেল ও ষ্টেইট গর্ভমেন্টগুলোকে সমাধান বের করার জন্য চাপ দিতে পারে।

বাংলাদেশে লোকেল গভর্মেন্ট'এর চেয়ারম্যান ইত্যাদি আসলে এত নীচু মানের লোকজন ইত্যাদি থাকে যে, ইহাদের কাছে কোন বিষয়ে নালিশ করতে গেলে, বরং বিপদ হওয়ার সম্ভাবনা আছে! আমার এলাকার এমপি'র কোন অফিস নেই, ঢাকাতে উনার বাসা আছে; বাসায় উনাকে পাওয়া যায় না। তবে, গ্রামে উনার বাড়ী আছে, উনি গ্রামের বাড়ীতে এলে দেখা করা সম্ভব, এবং মানুষজন দেখা করেন। কিন্ত, বদি'র বউ'এর মতো এমপি'র কাছে নালিশ করা কি বুদ্ধিমানের কাজ হবে?

১৯৯৬ সালের সরকারের সময়, শেখ হাসিনার সাথে পরিচিত ও উঁচু লেভেলের মানুষজন দেখা করার জন্য মাসে একদিন সময় ছিলো; কিন্তু এসব মানুষের সাহায্যের দরকার ছিলো না, বা নালিশের কিছু ছিলো না; সাধারণ মানুষ, যাদের কিছু বলার, কিংবা নালিশ করার কিছু ছিলো, তারা উনার চিল-কাউয়ার দল ভেদ করে অতটুকু পৌঁচতে পারতেন না। বর্তমানে, উনার সাথে সাধারণ মানুষের দেখা করার, বা নালিশ করার কোন সময়সুচি, বা নিয়ম নেই; বর্তমানে, উনার দলের লোকেরা ও ২/৪ জন নামকরা নাগরিক: গায়ক, অভিনেতা, লেখক ইত্যাদিরা দেখা করতে পারেন।

আমাদের প্রেসিডেন্ট'এর ক্ষমতা ও কাজকর্মের প্যাটার্ণ থেকে বুঝা যায় যে, উনি নাগরিকদের বড় বড় সমস্যা নিয়ে নালিশগুলো শুনতে পারতেন, ও সমাধান খুঁজতে পারতেন; সমাধান না করতে পারলেও, শান্তনা দিতে পারতেন; কিন্তু উনি ঐ ধরণের কোন ব্যবস্হা রাখেননি। উনি হয়তো এসব বিষয় বুঝার মত অভিজ্ঞ নন; কিন্তু বিশ্বে যা ঘটছে, উনার জানার কথা। উানর একটা সমস্যা হতে পারে, উনি পার্টি থেকে সিলেকটেড; ফলে, হয়তো, বড় পোষ্টে থাকলেও কলকাঠি উনার হাতে নেই।

দেশের প্রেসিডেন্টকে নিজের মতো করে কাজ করতে দেয়া, ও দলের প্রভাবের বাহিরে রাখার একটা উপায় হলো, জনভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। কিন্তু সমস্যা হলো, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ তা করতে দেবে না সহজে! সমস্যার ফয়সালা হোক না হোক, রাষ্ট্রে, নালিশ করার মতো একটা স্হান থাকার দরকার!

মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:৩৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: নালিশ করে কাজ হচ্ছে নাতো, কাদের নামে নালিশ করবো, কার কাছে নালিশ করবো? সব ক্রিমিনাল-ধর্ষক-হত্যাকারী তো একটি বিশেষ দলের আত্মীয় লতায় পাতায় দলের নুর হোসেন !!!

২৩ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



নালিশ করার জন্য একটা স্হানের দরকার; সেটা হতে পারেন, আমাদের প্রেসিডেন্ট!

২| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:৪০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ফেসিডেন সাব নানান বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন হাসি তামাশা মশকরা করেন। ফেসিডেন সাবের বাসন

২৩ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



হিউমার করতে পারা একটা বড় গুণ; কিন্তু সেটা প্রেসিডেন্টের লেভেলের হতে হবে। উনি, প্রায় ৯০ টি ইউনিভার্সিটির চ্যানচেলর।

২৩ শে জুলাই, ২০১৯ ভোর ৪:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


এক ইউনিভার্সিটির কমেনসমেন্টে বক্তব্য রাখার সময়ে, আফ্রিকান আমেরিকান ব্যবসায়ী, রবার্ট এফ স্মীথ ৪০০ ছাত্রের ৪০ মিলিয়ন ডলার ঋণ নিজের ঘাঁড়ে নিয়ে নেন; আমাদের প্রেসিডেন্ট ৪০০ জনকে চাকুরীও দিতে পারতেন।

৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১:২০

রাকু হাসান বলেছেন:

শুধু হাসিনা সরকার অন্য দল গুলোও যে দিবে মনে হয় না ।

২৩ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:


অন্যদলগুলো এখন আর দল নেই, ওগুলো কখনো দল ছিলোও না। শেখ হাসিনা বাবার মৃত্যু, উনাকে এমন পজিশনে নিয়ে গেছে যে, উনি উনার ঘনিষ্টদেরও ক্ষমতা দেন না; গতকালের ঘটনা দেখেন: ওবায়দুল কাদের সাব বললেন, "প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নেয়া হবে"। শেখ হাসিনা উনাকে বললেন, সবকিছু না শুনে যেন কিছু না বলেন; ১ ঘন্টা পরে, উনি শেখ হাসিনার কথাটা উচ্চারণ করলেন, তোতা পাখী।

৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ ভোর ৫:৪৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
এক সময় নালিশ দেবার জন্য ন্যায়পাল নামক একটি পদ সৃষ্টির কথা খুব শুনেছিলাম। আজকাল আর ন্যায়পালের কথা শুনি না।

আমার এক সহপাঠী সেই সময় বলেছিল- ন্যায়পাল শব্দটিতে সে হিন্দু হিন্দু গন্ধ পায়। তাই সে নামপ্রস্তাব করেছিল- ন্যায়হহুজুর।

২৩ শে জুলাই, ২০১৯ ভোর ৫:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



বাংগালীরা নতুন পদ, নতুন সংস্হা, নতুন দায়িত্বের কথা বলে; কিন্তু বিশ্বে এগুলো নতুন কিছু নয়।

৫| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ ভোর ৫:৫০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমি যখন প্রাইমারী স্কুলে পড়তাম তখন কিছু ছেলে যে কোন ইস্যু পেলেই গুরু মহাশয়ের কাছে নালিশ দিত। আর বাকিরা তাকে খেপাতো এই বলে- নালিশ দিলে বালিশ পাবি----

২৩ শে জুলাই, ২০১৯ ভোর ৬:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:


হয়তো প্রাইমারী স্কুলের বেলায় তাই; কিন্তু রোহিংগা হত্যার বিপক্ষে, ভারতে গরু নিয়ে হেনস্তাকারীদের বিপক্ষে, বাংলাদেশে মুর্তিভংগনের বিপক্ষে, বসুন্ধরা ও আফতাব গ্রুপের জমি দখলের বিরুদ্ধে নালিশের দরকার আছে।

৬| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৭:৪১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সাধারণ নাগরিকদের নালিশ করার জায়গা না থাকায় তারা ফেসবুক, টুইটার আর ব্লগে নালিশ করে। মাঝে মাঝে গণপিটুনি দিয়ে নিরিহ লোককে হত্যা করে। পদ্মা সেতুতে মানুষের মাথার প্রয়োজন কেন সেটা ভেবে নিজের নালিশের কথা ভুলে যায়। তারপর আবার যখন মনে পড়ে, তখন হাউ কাউ শুরু করে।

২৩ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমাদের সরকারগুলো, প্রশাসন ও ব্যুরোক্রেটরা মিলে মানুষকে ভেঁড়ায় পরিণত করেছে; এই যুগে আফ্রিকা ছাড়া, বামর্মার মানুষও এই ধরণের ইডিওটিক কাজকর্ম করে না।

৭| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: নালিশ করেও কোনো লাভ হয় না।
যাদের কাছে নালিশ করা হয়- তাহারা ঘটনা আগে থেকেই জানেন। এমন কি তাদের ইন্দনে কাজ হয়।

২৩ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১০:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



নালিশ করতে হয় জ্ঞানী মানুষের কাছে; দুষ্টের কাছে নালিশ করলে, শেষে ভয়ংকর ক্সকিছু ঘটতে পারে! বাংলাদেশে নালিশের জন্য যায়গা হতে পারতো, দেশের প্রেসিডেন্ট।

মির্জা ফখরুল নালিশ করেন বিদেশী দুতাবাসে।

৮| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:০৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: নালিশ শুনে প্রেসিডেন্টের কি ক্ষমতা আছে বিচার করার ?
(আপনার ছবিটা সুন্দর হইছে :P )

২৩ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



প্রেসিডেন্টের আদেশে সরকার গঠন হয়, সরকার ভেংগে দেয়া হয়, বিচার টিচার এগুলো তো ছোটখাট ব্যাপার।

৯| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:২২

রোকসানা লেইস বলেছেন: নালিশ করার জায়গা নাই বলে একটা জায়গা খুঁজতে হয়েছে।
আর নালিশ করার জায়গা থাকলেও নালিশ করতে গিয়ে মানুষ প্রশংসা করে আসত। আসলে আমেরিকা বা অন্যান্য উন্নত বিশ্বের দেশে যে অধিকারের ব্যাপারে যে অবস্থা তৈরি হয়েছে আগামী পঞ্চাশ বছরে তেমন অবস্থা হবে বলে মনে হয় না।

২৩ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


এগুলো বর্তমান রাজনৈতিক পরিবেশ ও সামাজিক পরিস্হিতিতে ঘটার কোন সম্ভাবনা নেই; আমি এসব নিয়ে লিখছি, যাতে ব্লগারেরা কিছু ধরণা পেতে পারেন। ব্লগে অনেকই আছেন, যারা শিবির মিবির করেন, এদের বিশ্ব সম্পর্কে কোন ধারণা নেই।

১০| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:২৭

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: বাংলাদেশে নালিশ জানানোর এমন কোনো উন্মুক্ত স্থান থাকলে মির্জা ফখরুল, প্রতিদিন বিভিন্ন নালিশ নিয়ে যাওয়া আসা করবেন। নালিশ শুনতে শুনতে ত্যাক্ত হয়ে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। :)

২৩ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:


মির্জা ফখরুল দেশের ২য় বৃহত্তম দলের সেক্রেটারী; উনি রাজনীতি জানলে, দলের অবস্হা যাই হোক, উনাকে ড: কামাল হোসেনের পেছনে হাঁটতে হতো না, উনি ইডিয়ট।

১১| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:০৭

ডার্ক ম্যান বলেছেন: আপনার বিরুদ্ধেও সামু ব্লগে অনেকের নালিশ আছে ।

২৩ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



আছে, আমি জানি, থাকার মতো কারণ আছে; কিন্তু কারো বিপক্ষে আমার নালিশ নেই!

১২| ২৪ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:৪৮

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:





স্যার আমরা পদ সৃষ্টি করি । পদে লোক বসাই । এরপর আমরা নিজেদের মাথার চুল নিজেরাই ছিড়ি । এইটা হচ্ছে বাস্তব ।

২৪ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


পদে সঠিক মানুষকে বসানো একটি বড় দায়িত্ব।

১৩| ২৪ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৭

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: শুধু লোকাল গর্ভমেন্ট-এর লোকজন না, এমপি, মন্ত্রী, পুলিশ সহ বেশীরভাগ সরকারী কর্মচারীই নীচু মনের...

২৪ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশ সরকার ও প্রশাসনে নালিশ করতে গেলে, বিপদে পড়ার সমুহ সম্ভাবনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.