নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাতির মুক্তিযু্দ্ধ নিয়ে বিদ্রুপ, মিথ্যা, অপপ্রচার থামিয়ে দেবেন সব সময়

২৫ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:০৭



যতকিছু নিয়ে আমরা বাংগালী, তার মাঝে সবচেয়ে গৌরবের বিষয় হলো, আমাদের জাতির মুক্তিযুদ্ধ; আপনি যদি মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও থাকেন, তাতে কিছু আসে যায় না, আপনি এই জাতির অংশ, এই যুদ্ধ আপনার গৌরবের বিষয়; এই মহান আত্মদানের যু্দ্ধ আমাদেরকে স্বাধীন জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে; এর বিপক্ষে কেহ কথা বললে, তাকে থামিয়ে দেবেন, এখানে আপষের কিছু নেই!

আমাদের সময়, অষ্টম শ্রেণীতে বাংলা সাবজেক্টে একটা গল্প ছিল, 'আদু ভাই'; গল্পের নায়কের নাম ছিলো আদু ভাই; উনি অষ্টম শ্রেণীতে বারবার ফেল করেছেন; কিছুতেই নবম শ্রেণীতে যেতে পারছিলেন না। আমি যখন অষ্টম শ্রেণীতে পড়েছি, ইতিহাসের একটা কমন প্রশ্ন থাকতো পলাশী যুদ্ধের উপর; ১ম, ২য় সাময়িক পরীক্ষা ও ফাইনালে, ঘুরেফিরে পলাশী যুদ্ধের উপর প্রশ্ন এসেছিলো; যদিও সবাই জানতো যে, পলাশী যুদ্ধের উপর প্রশ্ন আসবে, তারপরও, ছাত্ররা ভালো করতো না! তিন পরীক্ষার কাগজ দেয়ার সময়, স্যার বকা দিয়ে আদু ভাইয়ের প্রসংগ টানতেন!

আদু ভাইয়ের ইতিহাস পরীক্ষায়ও পলাশী যুদ্ধ এসেছিলো; আদু ভাই, প্রশ্নোত্তরে কিছু না লিখে, শুধুমাত্র রবার্ট ক্লাইভ ও নবাব সিরাজ উদ দৌলার ছবি এঁকে দিয়েছিলেন; কিন্তু, পরীক্ষার পাতায়, উনার ছবি অবস্হা এতই খারাপ ছিলো যে, উনার অংকিত চিত্রে কোনটা রবার্ট ক্লাইভ ও কোনটা নবাব সিরাজ উদ দৌলা, সেটা কিছুতেই বুঝা যাচ্ছিল না।

আজকে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনেকের অবস্হা আদু ভাইয়ের মতো হতে পারে; কিন্তু মুক্তিযু্দ্ধ ঠিক অবস্হানে আছে; ইয়াহিয়া খান, তাজুদ্দিন সাহেব, সাধারণ মানুষের যুদ্ধ, ইপিআর, বেংগল রেজিমেন্ট, আমাদের বিজয়, সবই ঠিক আছে ইতিহাসে।

নয় মাসের লম্বা যু্দ্ধে অনেক কিছু ঘটেছে, যুদ্ধ চলাকালীন সময় জাতি বদলে গিয়েছিল, অনেকে এই যুদ্ধকে সুযোগ হিসেবে নিয়েছে, অনেকের জন্য ছিল ভয়ংকর কষ্টকের সময়: মানুষ আপন জনকে হারায়েছেন, নিজের চোখের সামনে আপন জনের মৃত্যু দেখেছেন, নারীরা নির্যতীত হয়েছেন, নারী বিধবা হয়েছেন, সন্তানেরা এতিম হয়েছে; চাষীর ছেলে হাতে অস্ত্র নিয়ে যোদ্ধায় পরিণত হয়েছেন, এগুলো চোখের সামনে ঘটলে, মানুষ বদলে যায়।

যেহেতু, পাকিস্তানী বাহিনী ব্যতিতও, ৫৫ হাজার নরাধম বাংগালীও পাকিস্তানী বাহিনীর পক্ষে অস্ত্র ধরেছিল; যেহেতু দেড়কোটী বাংগালী বৃহৎ পাকিস্তানে বিশ্বাসী ছিল, এবং তারা পারাজিত হয়েছিল; আজকেও তারা এই যুদ্ধের বিপক্ষে কোথায়ও না কোথায়, কোন না কোন বিতর্ক সৃষ্টি করছে; তাদের নতুন জেনারেশনও আমাদের মুক্তিযু্দ্ধকে বিবিধভাবে খাট করে, এই যুদ্ধের বিপক্ষে প্রচারণা চালায়, সুযোগ পেলে এই যুদ্ধকে ভারতীয় যুদ্ধ বলে, বাংগালীদের ভুমিকাকে খাট করে; একজন বাংগালী হিসেবে, মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে কোন যুক্তিতর্ক মেনে নেবন না, এই গৌরবের যুদ্ধের মানকে সমুন্নত রাখবেন।

মন্তব্য ৬৭ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৬৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:২০

আপেক্ষিক মানুষ বলেছেন: আপনাকে নিয়ে শংকিত ছিলাম কারন কাল একজন ডোডো আপনাকে নিয়ে খুব লাফালাফি করে শেষে ব্লগ ছেড়ে চলে গেছে। কিন্তু আপনি সম্ভবত কাল রাত ৮ টার(বাংলাদেশ সময়) পর কারো কোন পোস্টে মন্তব্য বা কোন পোস্টও লিখেননি। এখন ব্লগে ঢুকতেই আপনার লেখা দেখে যে কি ভাল লাগছে বুঝাতে পারব না।

আমাদের ক্লাশ সেভেনে আদু ভাই গল্প ছিল। =p~

২৫ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনাকে ধন্যবাদ; এগুলো ব্লগারদের বিবর্তনের বিবিধ ধাপ!

২| ২৫ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:২৪

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: আপেক্ষিক মানুষ বলেছেন: আপনাকে নিয়ে শংকিত ছিলাম কারন কাল একজন ডোডো আপনাকে নিয়ে খুব লাফালাফি করে শেষে ব্লগ ছেড়ে চলে গেছে। কিন্তু আপনি সম্ভবত কাল রাত ৮ টার(বাংলাদেশ সময়) পর কারো কোন পোস্টে মন্তব্য বা কোন পোস্টও লিখেননি। এখন ব্লগে ঢুকতেই আপনার লেখা দেখে যে কি ভাল লাগছে বুঝাতে পারব না।

২৫ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:


ব্লগিং বড় বড় লেখক, কবি, সমাজবিজ্ঞানী, সম-সাময়িক জ্ঞানী ব্যক্তিদের নিয়ে একটা জেনারেশন গড়ছে: এতে, নতুন নতুন অনেক অনেক মানুষ অন্তর্ভুক্ত হবেন, কেহ কেহ তাল মিলাতে না পেরে অন্য সারীতে নিজকে মিলিয়ে নেবেন।

৩| ২৫ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:৪৫

তারেক ফাহিম বলেছেন: গানটি শুনছেন?

বেকার শিক্ষিত যুবকদের জন্য চাকুরীর ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধ কোটা-ই বেশি বিভ্রান্তিতে ফেলেছে!

২৫ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


মুক্তিযোদ্ধারা ছিলেন বিনা বেতনে, বিনা খাবারে, ৯ মাসের ভলনটিয়ার যোদ্ধা, বিনা ক্ষতিপুরণের প্রাণ দিয়েছেন; যু্দ্ধের পরেও বিনা বেতনে ওঁদের কমপক্ষে ৫০ বছর রাখা সম্ভব ছিল।

এই বিনা বেতনের চাষীর ছেলেপেলেকে যু্দ্ধ শেষে খালি হাতে, পোড়া বাড়ীতে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন আমাদের তাজুদ্দিন সাহেব; কিন্তু উনার চাকুরীটা ঠিক রেখেছিলেন, বেতনও নিতেন। বিনা বেতনের মানুষেদের চাকুরী থেকে বরখাস্ত করায়, এসব কৃষকের ছেলেরা আজকেের ঢাকা ইউনিভার্সিটির ছাত্রদের পা ধোয়ায়ে দেয়ার সুযোগ পায়নি।

৪| ২৫ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:৪৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে একটা চক্র নিজেদের বাপের সম্পত্তি মনে করে, এতে সাধারণ মানুষ হতাশা বোধ করে।

২৫ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


মুক্তিযুদ্ধের প্রাপ্তিকে সামান্য কিছু মানুষ দখল করে নিয়েছে, সেটা আমরা দেখছি, আমরা থামাতে পারছি না; কারণ, ওদের থামাতে গেলে, যারা বাংলাদেশ চাহেনি তারা আবার ক্ষমতা দখল করে ফেলতে পারে। ফলে, আমরা হায়েনার ভয়ে, নেকড়ের সাথে বসবাস করছি।

৫| ২৫ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:৫২

জাহিদ হাসান বলেছেন: আপনার পোস্টে কমেন্ট করতে না পারলে আমা্র রাতের ভাত হজম হয় না।
কি কারণ কে জানে।জয়বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

২৫ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার পরিবার সিদ্ধ চাউলের ভাত খান মনে হয়!

৬| ২৫ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:৫৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে কেহ কথা বলে না ।
কথা যা হয় একক আধীপত্যবাদের বিরুদ্ধে, অন্ধ দলীয় করণের বিরুদ্ধে!
মহান মুক্তিযুদ্ধকে দলীয় যুদ্ধে পরিণত করার অপচেষ্টার বিরুদ্ধে!
একচোখে দৃষ্টিভঙ্গির বিরুদ্ধে! চেতনার রং অন্ধতার পরিণতিতো দেখতেই পাচ্ছেন চোখের সামনে!
জনগন বলে তার বিরুদ্ধে!
কিন্তু সুবিধাবাদীরা নিজের পাপকে ঢাকতে, নিজের অন্যায়কে জাস্টিফাই করতে মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং চেতনাকে কৌশলে
নিজেদের ঢাল বানাতে গিয়েই যত বিভ্রতকর পরিস্থিতি।

মুক্তিযুদ্ধ ছিল সার্বজনীন। সকলের অংশগ্রহনের সকলের ত্যাগে। একে কোন একক দলের ব্যানের, বাক্সে আটকাতে চাইলেই জন্ম হয় ভিন্নমতের। তা আজ শুধু নয় সেই শুরুতেই এর শুরু হয়েছিল। মেজর জলিলকে দিয়ে। জাসদের প্রতিবাদে।

মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে বোধকরি অনুবীক্ষন যন্ত্রেও কাউকে পাবার কথা নয়। (চিহ্নিত রাজাকার গং ছাড়া, যেহেতু তারা এখনো ৭১ এর ভূমিকার জন্য ক্ষমা চায়নি, যদিও বাংলাদেশেরই পাসপোর্ট ব্যবহার করছে।)

২৫ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:


আওয়ামী লীগ ও বিএনপি-জামাত'এর মাঝে অকথিত যুদ্ধ চলছে; বিজয়ীরা বর্গীদের মতো, প্রজারা প্রাণ নিয়ে বাঁচতে পারলেই খুশী।

৭| ২৫ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:০৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে কোন কথা আমি কোনদিন সহ্য করিনি। আমৃত্যু সহ্য করবো না। শোনা মাত্র প্রতিবাদ করবোই।

২৫ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে, সুযোগ বুঝে অমুক্তিযোদ্ধা প্রবেশ করেছে; প্রতি ১ জন মুক্তিযোদ্ধার বিপরিতে ৩ জন ভেজাল হতে পারে, সেটা নিয়ে মন খারাপ; কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ ও সেদিনের কৃষকের ছেলেরা অম্লান।

৮| ২৫ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:২৫

জাহিদ হাসান বলেছেন: আমি কোন চাউলের ভাত খাই আমি নিজেও জানি না। জগতের সব কিছু জানতে নেই।
আচ্ছা আসল প্রসঙ্গে আসি। আমি কখনো মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি। তাই মুক্তিযুদ্ধ শুধু গল্পেই শুনেছি। আমার জম্ম ১৯৯৬ সালে।
তবে আমি রাজাকারের বিচার চাই। আমি রাজাকারের বিচার হতে দেখেছি। এটাই বড় স্বার্থকতা ।

২৫ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


১৯৭১ সালের রাজাকারেরা ছিল পরিচয়হীন বাংগালী; ২০০১ সাল থেকে তারা নিজেদেরকে দলীয় ও রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলো। এখন তারা লো-প্রোফাইলে আছে; তবে, তারা শক্তি যোগাড় করছে।

৯| ২৫ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:২৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: পাকিস্তানিরা খারাপ জাতি । পুরো বাঙালি জাতি যখন শেখ সাহেবের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হোন তারা আর এক সাথে থাকবে না তখনই পাকিস্তানের উচিত ছিল স্বাধীনতার স্বীকৃতি দেওয়া । তারা সেটা না করে উল্টো গ্রামেগঞ্জে দেশের আনাচে-কানাচে দুর্গম এলাকায় সেনাবাহিনী পাঠিয়ে সাধারণ মানুষকে হত্যা করার মিশন নিয়েছিল। কোন সভ্য জাতি এটা করতে পারে না।

অবশ্য এটাও ঠিক যে 1970 সালের সাধারণ নির্বাচন পূর্ব বাংলার স্বাধীনতার প্রশ্নে গণভোট ছিল না। এটা ছিল একটি সাধারণ নির্বাচন এবং সরকার গঠনের জন্য একটি নির্বাচন।

২৫ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


পাকিস্তানীরা বিশ্বাস করতো, দেশ চালাবে প: পাকিস্তানীরা, বাংগালীরা হবে বাজার। বাংগালীরা পাকিস্তানের সরকার গঠন করবে, এটা তাদের জন্য ছিল অগ্রহনযোগ্য ব্যাপার, মগজহীন জাতি

১০| ২৫ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:২৯

আরইউ বলেছেন: গতকাল ইনামের পোস্ট দেখেছিলাম; এড়িয়ে গিয়েছি, হাতে সময় ছিলনা আর তাই পড়া হয়নি। আজ পড়লাম। মহান মুক্তিযুদ্ধ, ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে তার বক্তব্য ভয়ংকর আপত্তিকর। ঐ পোস্টে লাইকগুলো দেখলাম — অবাক হইনি।

২৫ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:



মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে, সুযোগ বুঝে ভুয়া লোকজন প্রবেশ করেছে; প্রতি ১ জন মুক্তিযোদ্ধার বিপরিতে ৩ জন ভেজাল হতে পারে; এখানে উনি সামান্য গালাগাল করলে চলতো; কিন্তু উনি আমাকে গালি দিতে গিয়ে বাংগালীর গৌরবের যায়গায় অপবিত্র কথা বলেছেন; উনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অতটুকুই।

১১| ২৫ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৩১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই,
সংগ্রামের বছর যুদ্ধে যারা জড়িত ছিলো এবং যারা দেশে ছিলো - এই গ্রাম থেকে সেই গ্রাম, এই জেলা থেকে সেই জেলা, অনাহারে অর্ধাহারে তারা জানে মুক্তিযুদ্ধ কি? আমরা বলতাম “সংগ্রামের বছর” চাঁদগাজী ভাই যারা ভারতে পালিয়ে গিয়েছিলো - অনেকটা “নিজে বাঁচলে বাপের নাম” তারা মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানেনা, আর যারা ভারতের কোলকাতায় রঙীলা রঙশালায় বোতল নিয়ে ব্যাস্ত ছিলো তারাও জানেনা যুদ্ধ কি? কিভাবে হয়েছে যুদ্ধ আর মানুষ কিভাবে মারা গেছে!!!

নদীতে খালে মানুষ মরে পরে থাকতো - কবর দেওয়ার লোক নাই, সন্ধ্যা রাতে মনে হতো গহীন রাত, বাড়ীর সামনে দিয়ে জুতার শব্দ শুনলে চমকে উঠতাম ভয়ে বুক কাঁপতো - প্রচন্ড ভয়ের এই অনুভুতি আজকের রাজাকার শিবির বিএনপি বুঝবেনা কারণ দেশের দুর্দিন তারা দেখেনি, তাদের মাতাপিতাও তাদের বলেনি কারণ তারা ভারতে পলাতক ছিলো অথবা পাকিস্তানী ক্যাম্পে দালালীতে ব্যাস্ত ছিলো।

যুদ্ধ নিয়ে লিখতে ইচ্ছে করে কিন্তু ক্লান্ত লাগে কার জন্য লিখবো, আমি ১৯৭১ সম্পর্কে যতোটুকু যা জানি পরিবার পরিজন আত্মীয় স্বজন তা জানে, বাইরের মানুষকে জাননো মানে রাজাকার শিবির বিএনপির সাথে তর্কে জড়ানো।

আর ১৯৭১ সংগ্রাম - মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কারো সাথে তর্ক করতে ভালো লাগেনা, মনে হয় দেশে রাজাকার সন্তান আর পকিস্তানী রক্তে ভরপুর যা ধর্মের নামে কামড়ে কামড়ে খাচ্ছে দেশ।


২৬ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


যাঁরা যুদ্ধ করেছিলেন, তাঁরা এই যু্দ্ধের বিশালতা ও মুল্য বুঝার মতো শিক্ষিত ছিলেন না; ফলে, অন্যেরা এঁদের অবদান ও প্রাপ্তিকে দখল করে নিয়েছে।

যুদ্ধ সবাই করতে পারে না, সবাই করে না; কিন্তু কাউকে না কাউকে করতে হয়, প্রাণ দিতে হয়।

১২| ২৫ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৩৬

জাহিদ হাসান বলেছেন: রাজাকারেরা এখন কল্লাকাটার গুজব রটিয়ে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করায় ব্যস্ত।
চিরকালই বোধহয় এরা এভাবে দেশের ক্ষতি করতে থাকবে।

২৬ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



ভেবে দেখেন, ১৯৭২ থেকে সব বাংগালীকে পড়তে দিলে; এমন কি, বয়স্ক ইপিআর, বেংগল রেজিমেন্টের লোকদের পড়ালে, আজকের ছেলে-ধরা, মাথার দরকার এসব কুসংস্কার বিশ্বাস করার মতো লোক কি পাওয়া যেতো বাংলাদেশে।

১৩| ২৫ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:৩০

নিমো বলেছেন: আরইউ বলেছেন: গতকাল ইনামের পোস্ট দেখেছিলাম; এড়িয়ে গিয়েছি, হাতে সময় ছিলনা আর তাই পড়া হয়নি। আজ পড়লাম। মহান মুক্তিযুদ্ধ, ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে তার বক্তব্য ভয়ংকর আপত্তিকর। ঐ পোস্টে লাইকগুলো দেখলাম — অবাক হইনি।

ইনাম বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধা সম্পর্কে আমার ধারণা এখানেই মোটামুটি সীমাবদ্ধ, আমার বাপ বেশ ছোটো ছিলো আর দাদা বেশ বুড়া, তাই আমার বংশের কপালে মুক্তিযোদ্ধার সনদ জোটানোর ইচ্ছা হয়নি, আমারও কোনো কোটা নাই।

ইনামের চৌদ্দগোষ্ঠীতেও বোধহয় সবাই বেশ ছোটো আর বেশ বুড়া ছিল তাই তারা কেউই মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে পারে নি (বিবর্তনের দৃষ্টিতে এটা একটা প্রহেলিকা বলা যেতে পারে B:-) )। অন্তত ইনামের মুক্তিযু্দ্ধ নিয়ে ধারণা তাই বলে। যাই হোক ইনামের উক্ত আবর্জনা পোস্টের জন্য নিচের কথাটি উৎসর্গ করলাম।
" 'কত বড়ো আমি' কহে নকল হীরাটি। তাই তো সন্দেহ করি নহ ঠিক খাঁটি॥ " - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (যদিও আমার ধারণা ঢাবিয়ানকে মাথায় রেখেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এটা রচে ছিলেন ;) )

২৬ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



ইনাম আহমেদ আমার উপর রাগান্বিত হয়ে জাতির গৌরবের অনুভুতিতে পা রেখেছেন।
উনার পোষ্টে যাঁরা লাইক দিয়েছেন, তাঁরা উনার লেভেলের মানুষ।

১৪| ২৫ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ আমাদের বড় সম্পদ।
আজ একটা মুক্তিযুদ্ধের বই পড়ছিলাম, ২৫ শে মার্চ রাতে হঠাত আক্রমন করলো বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে। অসংখ্য ছাত্র মারলো। আহা কি কি কষ্ট!! কি কষ্ট। সব যেন চোখের সামনে দেখছিলাম!

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কেউ ভুল বললে আমার খুব কষ্ট হয়, রাগ হয়।

২৬ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলার বুকে অনেক যুদ্ধ করেছে অনেক রাজার সৈন্যরা; বাংগালী জনতা ভলনটিয়ার হয়ে নিজের জাতির জন্য একবারই যুদ্ধ করেছেন।

১৫| ২৬ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:০৬

আখেনাটেন বলেছেন: মুক্তিযু্দ্ধ বাঙালির অহংকার। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা এবং যারা পাকিদের নিদারুন বৈষম্য থেকে মুক্তির পথ খুঁজেছে তারা সকলেই দেশের গর্ব।

বাকিরা পতিত......

২৬ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:



সঠিক প্রকাশ

১৬| ২৬ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:১৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে কেহ কথা বলে না ।
কথা যা হয় একক আধীপত্যবাদের বিরুদ্ধে,


সেটা ঠিক আছে বিদ্রোহী কবি ভাই।
কিন্তু অন্ধ ভাবেই একদল ছাগু মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের বিরোধিতা করে যাচ্ছে। উলংগ গালাগালি করে যাচ্ছে।
সবচেয়ে দুঃখজনক এই গালিবাজদের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে কিছু তথাকথিত তরুন কবি-সাহিত্যিক নামধারি শিবির চক্র।
এর আগেও এক 'মা বাপ তোলা এক গালিবাজ ছাগু' রক্ষায় নেমে ছিল এই শিবির চক্র।

২৬ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:



ইসলামী ছাত্র সংঘ ছিল বাংগালী জাতির জল্লাদ, তাদের ছোট ভাইরা কবি-লেখক-জল্লাদ।

১৭| ২৬ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১:৩৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: গোরাম আজম, নিজামী তারা ছিলো সাচ্চা মুচলমান !!! আর মুক্তিযোদ্ধারা ছিলো পাকিস্তান বিরোধী। পাকিস্তান অর্থ: - পাক সার জমিন বা পাক স্থান আর বাকী সব নাপাক। তাই আজো ব্লগে ফেসবুকে সাচ্চা মুচলমান দ্বারা আক্রমণ হয়। সাচ্চা মুচলমানদের উচিত তাদের নিজ দেশে চলে যাওয়া সেখানে বোমা বানিয়ে কাস্মীরে হামলা করে শিশু নারীদের অত্যাচার করা।

সাউদি সাচ্চা মুচলমান আইন কায়েম করা অর্থ কামের বেটি রেপ করা।

২৬ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



বাংলাদেশের সুযোগ সুবিধা, গোলাম আজম, নিজামী, সাইদীর গোষ্টিরা গড় মুক্তিযোদ্ধাদের চেয়ে অনেক বেশী পেয়েছে; শিবির ইতাাদিরা সাধারণ বাংগালীদের চেয়ে বেশী সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে।

১৮| ২৬ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ২:১২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আবদুল্লাহিল আমান আযমী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (সাবেক) ছিলেন। জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির প্রয়াত গোলাম আজমের মেঝো ছেলে, সেনাবাহিনীতে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদে কর্মরত থাকা অবস্থায় তিনি বরখাস্ত হন, আমান আযমী মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদের তথ্যকে ‘কাল্পনিক’ আখ্যায়িত করেন।

৩০ লাখ শহীদ নিয়ে বাংলার দালাল’রা আজো ব্লগে ফেসবুকে প্রশ্ন করে !!! সমস্যা হচ্ছে এইসব দালাল সব ভার্চুয়াল জগতের মুখোশধারী দালাল, আমনা সামনি হলে তার এক জীবন থানায় আর কোর্ট হাজিরায় পার করিয়ে দিতাম, শরীরে জমা সকল তৈল চর্বি ঢাকার জানজটে বের হয়ে যেতো।।



২৬ শে জুলাই, ২০১৯ ভোর ৪:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমার পক্ষে কথা বলার জন্য ধন্যবাদ।

আরব ও পাকিস্তানী খয়রাতী টাকায় জামাত ইত্যাদির লোকেরা বাংলাদেশে ব্যবসা বাণিজ্য করে, সাধারণ বাংগালীদের চেয়ে বেশী ক্ষমতাশালী হয়ে বসে আছে।

১৯| ২৬ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৩:৩৬

কালো যাদুকর বলেছেন: যুদ্ধ দেখিনি, শুনেছি। সেই ছোট বেলা থেকে শুনে আসছি শেখ মুজিব সাহেবের একটা জালাময় ভাসন আছে, তখনো দেখা হয়নি, শুধু শুনেছি। আমার মনে আছে , বিটিভি তখন ও প্রধান টিভি ছিল, যেটা বাংলাদেশের জেনারেলদের ( জিয়া, এরশাদ) নিয়ন্ত্রণে ছিল। এরশদের পতনের পরে ওই ভাষণ প্রথম দেখি। আমার বাবা ওই ভাষন সরাসরি দেখেছিলেন। ওই আমলে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ভুল শিখানো হায়েছিল। তবে পারিবারিক ভাবে জানতাম বলে সব সময়ই মুক্তিযুদ্বের বিপক্ষে কেউ বললে আমার সাথে লেগে যেত।

২৬ শে জুলাই, ২০১৯ ভোর ৪:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংগালীরা যখন আক্রান্ত হয়েছিলেন, তখন সাধারণ মানুষ অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিলেন, এবং জয়ী হয়েছেন; এটা আমাদের প্রত্যেকের জন্য বড় একটি বিষয়।

২০| ২৬ শে জুলাই, ২০১৯ ভোর ৪:০৯

রাফা বলেছেন: পোষ্টের বিষয়ে বলার কিছু নেই। মুক্তিযুদ্ধ যেমন প্রতিদিন হয়না লক্ষকোটিবার চেষ্টা করেও একজন মুক্তিযোদ্ধা জন্ম দেওয়া সম্ভব নয়।যদি আবার কখনও মুক্তিযুদ্ধ হয় তখনি আবার আরেক প্রজন্ম মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার সুযোগ পাবে।

কথা বলতে চাই মন্তব্যের বৈপরিত্ত্ব দেখে।একজন খুব অবলিলায় বলে ফেললেন দূরবিন দিয়ে খুজলেও নাকি বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ-বিরোধী মানুষ খুজে পাওয়া যাবেনা বা যায়না।কতিপয় চিন্হিত যুদ্ধাপরাধী ছাড়া।
আরেকজন বললেন মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে পোষ্ট দিতে মন চায়না , কারন অসংখ্য রাজাকার ঝাপিয়ে পড়ে মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করার উদ্দেশ্যে।

এখন বলুন কোনটা সত্য ? আসলে একটা কথা আমরা ভুলে যাই ; ১৯৭০-এর নির্বাচনে ৩০% মানুষ ভোট দিয়েছিলো পক্ষান্তরে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধি শক্তিকে।সেখান থেকে যদি ১৫% বাদ দিয়ে দেই তারপরও ১৫% মানুষ আমাদের ভুখণ্ডেই বসবাস করছে যারা মনেপ্রাণে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের মানুষ।সংখ্যায় এটা দেড় কোটিরও বেশি।তাই বাংলাদেশে নিজামি / মুজাহিদ /দৈল্যা ও কসাই কাদেরর এমপি হ্য়ে আমাদের পবিত্র সংসদে চলে আসে।

পরিশেষে সবাইকে বলবো বাস্তবাতার নিরিখে কথা বলতে। মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে অন্তত কুযুক্তি দিয়ে জয়ী হওয়ার মধ্যে কোন গৌরব নেই।বরং মুক্তিযুদ্ধ তার স্বমহিমায় থাকুক আমার পরাজয় হলেও।

ধন্যবাদ,চাদঁগাজী।

২৬ শে জুলাই, ২০১৯ ভোর ৪:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:


১৯৭০'এর ভোটে যারা জামাত, মুসলিম লীগ ইত্যাদিকে ভোট দিয়েছিল (৩০% ভোট), তাদের থেকেই ৫৫ হাজার রাজাকার ও ৫০ হাজারের মতো শান্তি কমিটিতে ছিলো; ১৯৭৫'এর পর থেকে গড়ে ওরা সাধারণ মানুষ থেকে ভালো আছে; পরাজিত শক্তি হিসেবে, ওরা একতাবদ্ধ হয়ে, জে: জিয়া, এরশাদ, বেগম জিয়াকে জয়ী করেছিলো।

দু:খের বিষয়, শেখ হাসিনা এখন এককভাবে ক্ষমতার অধিকারী হওয়ার পরও, মুক্তিযুদ্ধের লোকেরা কোনভাবেই জাতির উন্নয়নে অবদান রাখতে পারছে না।

২১| ২৬ শে জুলাই, ২০১৯ ভোর ৪:১১

ডার্ক ম্যান বলেছেন: যাদের জন্মের ঠিক নাই তারাই মুক্তিযুদ্ধকে হেয় করার চেষ্টা করে

২৬ শে জুলাই, ২০১৯ ভোর ৪:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংগালীর শিক্ষার মান কম, আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে, মুক্তিযু্দ্ধের বিপক্ষে কথা বলছে, এরা কোনদিন দায়িত্বশীল নাগরিক হলো না।

২২| ২৬ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৭:৪০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুবই মুল্যবান কথা সমৃদ্ধ পোষ্ট । অনেক গুঢ় কথা বলা হয়েছে লেখাটিতে।
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কিছু বলতে গেলে পিছনের কিছু ইতিহাস এমনিতেই উঠে আসে তাতে করে অনেকের স্বরূপ উন্মোচিত হয়ে যেতে পারে নিমেসে ।
কাগজের কালিতে প্রাক মুক্তিযুদ্ধকালীন ঐতিহাসিক অনেক ঘটনাকে যে যেভাবে পারে নীজের মনের মাধুরী কিংবা চাতুরী মিশিয়ে বিভিন্ন মাত্রা দিতে চেষ্টা করে এবং তা করেও যাচ্ছে নিরলসভাবে । সেগুলির জবাব তখনকার দিনের দলীল দস্তাবেজ কিংবা ভুক্তভোগিদের কথামালা দিয়েই দেয়া যায় ভাল করে । কিন্ত সে কাজটি করবে কে , সামাজিক পাওয়ার স্ট্রাকচারে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধিরা এখনো বিচরণ করছে সদর্পে এখানে সেখানে সবখানে। সিংহভাগ মুক্তিযুদ্ধা, যারা জীবনবাজি রেখে যুদ্ধে গিয়েছিলেন তাঁরা স্বাধিনতাউত্তর কালে নীজেদেকে সুসংগঠিত ও পুণর্বাসিত করতে না পারায় কিংবা করতে না দেয়ায়, তাঁরা আর্থ সামাজিক পাওয়ার স্ট্রাকচারের তলানীতে চলে গিয়েছিলেন। কিন্ত সুযোগ সন্ধানীরা বিবিধ প্রকারের দেশী বিদেশী চক্রান্ত ও সাহায্য সযোগীতায় এবং অনুকুল পরিবেশে নীজেদেরকে আর্থ-সামাজিক পাওয়ার স্ট্রাকচারের চুড়ায় অধিস্ঠিত করেছে সবলভাবে ।
তবে আমরা যারা মুক্তি যুদ্ধের বাস্তব অভিজ্ঞতা নিয়ে কালের স্বাক্ষী হয়ে এখনো জীবিত আছি তারা যদি দু চার কথা বলে না যাই তাহলে আর কারো কাছে না হলেও ইতিহাসের কাছে দায়ী হয়ে থাকতে হবে ।

মুক্তিযুদ্ধারা জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন , কেও ভারত হতে প্রশিক্ষন প্রাপ্ত হয়ে , কেও দেশের ভিতরেই প্রশিক্ষন নিয়ে , কেও সক্রিয় সাহায্যকারী আর বাদবাকী সমর্থনকারী, তবে প্রকৃত অর্থে সকলেই মুক্তিযোদ্ধা। সম্মুখ সমরে যুদ্ধরত মুক্তিবাহীনীর মত দেশের ভিতরেও সাহয্যকারীরাগন হয়েছেন নির্যাতীত ও অনেকেই জীবন দিয়েছেন পাক বাহিনী , রাজাকার ও আলবদরদের হাতে ।সাহায্যকারীগন যারা জীবনকে পাকবাহিনী ও তার দুসরদের বুলেট আর মেসিনগানের মুখে বিপন্ন জেনেও সাহায্য করেছেন বিবিধভাবে তাদের অবদানও কম নয়, তারাও মুক্তিযুদ্ধার গৌরবময় সন্মানের অধিকারী , কেও পেয়েছেন ৩০ লক্ষ শহীদের মর্যাদার আসন, তবে অন্যদেরকে হয়নি করা যথাযথভাবে মুল্যায়ন । প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ্য, আমি আর আমার সমবয়সি ছোট কাকা মুক্তিযুদ্ধে সক্রীয়ভাবে অংশ নিয়েছিলাম বলে আমাদের গুটা পরিবারের উপরে যে অমানুসিক নির্যাতন ও বাড়ীঘর , পারিবারিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল তা ভাষায় প্রকাশ করতে গেলে শুধু হদয়ে রক্তক্ষরনই হবে। তবে দেশের সিংহভাগ মুক্তিযুদ্ধাদের করুন জীবন গাথায় তেমন কষ্ট লাগেনা কারণ যারা নীজের জীবনকে দেশ মাতৃকার মুক্তির জন্য উৎসর্গ করার জন্য ছিলেন প্রস্তুত, তাদের কাছে জাগতিক আরাম আয়েশ ততটা গুরুত্বপুর্ণ নয় কিন্তু বেশী কষ্ট লাগে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটাক্ষপুর্ণ কথাবার্তা লেখাপাঠে। ঐ সময় বঙ্গবন্ধু সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ব্যতিত বড়মাপের স্বাধিনতা বিরোধি ছাড়া অন্যদের জন্য গনহারে সাধারণ ক্ষমা ঘোষনা না করলে স্বাধিনতা পরবর্তী সময়ে দেশে রক্তের বন্যা বয়ে যেতে পারতো । সেসময়কালের মানুষজন ব্যতিত অন্যরা পরিস্থিতি সঠিকভাবে বুঝতে পারবেনা। বঙ্গবন্ধুর কথা ও নির্দেশনার প্রতি সে সময় দেশের সাধারণ মানুষের যে কি পরিমান ভক্তি ও আস্থা ছিল তা এখনকার প্রজন্মের কাছে একান্তই অপরিচিত ।

মুক্তিযুদ্ধকে কটাক্ষ করে কিংবা এর ইতিহাস বিকৃত করে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে, মাঠে ময়দানে ও আলোচনার টেবিলে যে সমস্ত
কথা বলা হয় সেগুলির জবাব সেভাবেই, সেখানেই দেয়া বেশী ভাল । এ কাজটি যাদের করার কথা তারা বলতে গেলে একেবারেই ব্যর্থ । তাদের ব্যর্থতার মুলে তাদের নীজেদের অযোগ্যতা , নীজস্ব কায়েমী স্বার্থপরতা ও পর্দার অন্তরালে একে অপরের সাথে অভিন্ন স্বার্থে পারস্পরিক মিথক্রিয়া। ভাবখানা এই, সবইতো আমাদের কব্জায়, তাই নীজ স্বার্থে সামান্য একটু ছাড় দিলে ক্ষতি কি । কিন্তু তাদের ভাষায় এই সামান্য ক্ষতিই আখেরে যে কতবড় দুর্গতির কারণ হতে পারে তা অনেকেই জীবন দেয়ার পরে বুজেছে , তবু তাদের হয়না কোন হুস, অতি দ্রুতলয়ে তারা অন্ধকারের অতলে হারিয়ে যাওয়ার তালে মত্ত বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে ।

যাহোক, পোষ্টের লেখার বিষয়বস্তুর মুল রেফারেন্স এই ব্লগের কোন এক ব্লগারের লেখা ও মুক্তিযুদ্ধের উপর তার দৃষ্টতাপুর্ণ কদর্য ও মনগড়া কথামালা । কিন্ত এ ব্লগের আনাচে কানাচে আরো যে সমস্ত লেখা আছে, হোক সে কবিতা, গল্প কিংবা রম্য কথা, সেগুলিতে প্রায়শই দেখা যায় ইনিয়ে বিনিয়ে বলা হয় জীবনবাজী রেখে মুক্তিযুদ্ধ করে এই স্বদেশই কি চেয়েছিলাম?, এই কি স্বাধিনতার সুফল? মনে হয় মুক্তি যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করাই যেন ছিল আজন্মের পাপ । কিন্ত একটি লেখার মধ্যে যে ভাবেই হোক মুক্তি যুদ্ধ কিংবা স্বাধিনতাকে যদি ভাল ভাল মনোরম কাব্যিক কথামালার মারপ্যচে ফেলে প্রকারান্তরে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধিনতাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করার প্রয়াস দেখা যায় তবে তা অন্তরে শেলের মত বিধে । যাহোক, তারা যতভাবেই প্রচেষ্টা চালাকনা কেন স্বরূপ তাদের থাকবেনা ঢাকা বেশী দিন, একদিন তা উঠে আসবে প্রদিপের পাদপিঠে । তাই সেটাই ভাল হবে যদি তারা তাদের লেখাগুলিতে যে কোন কথা ও ভাষারই সমাহার ঘটাননা কেন কোনভাবেই যেন তাদের লেখায় আভাসে ঈঙ্গিতেও মুক্তিযুদ্ধ ও দেশের স্বাধিনতাকে প্রশ্নবিদ্য করা না হয় । কারো কথায় কিংবা কাজে কারো যদি কোন কথা বলার থাকে তাহলে তাকে নিয়ে সরাসরি কথা বলাই ভাল, শুধু শুধু হাতে গোনা জনাকয়েকের স্বার্থপর কিংবা ভ্রান্ত কার্যকলাপের জন্য সার্বিকভাবে মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাথাকে কলুসিত করা কেন। এতে মুক্তিযুদ্ধের গৌরব গাথায় কোন কালিমা পরবেনা, কালীমা যা পরবে তা ঐ লেখকের গায়েই পড়বে। ইতিহাস তাদেরকে একদিন সেভাবেই চিনবে ।

২৬ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


প্রথমে, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আপনার জন্য অনেক অনেক সন্মান রলো!

ভলনটিয়ার মুক্তিযোদ্ধারা ছিলেন বিনা-বেতনে, বিনা-খাবারে, ৯ মাসের যোদ্ধা; যুদ্ধের পর, তাজুদ্দিন সাহেব খালি হাতে তাঁদেরকে তাঁদের পোড়া বাড়ীতে পাঠিয়ে ছিলেন; যেই ২২ হাজারের মৃত্যু হয়েছিলো, তাদের বিধবা স্ত্রী ও এতিম সন্তানদের দায়িত্ব নেননি; কিন্তু উনি ও শেখ সাহেব বড় পদে চাকুরী করেছেন; উনার ২ জনের এই ব্যাপারে চিন্তাশক্তি ছিল আসলেই পংগু; উনার ভাবনা শক্তি কম হওয়ায়, সিআইএ উনাদের অতি স হজে উৎখাত করতে পেরেছে।

আজকে, শিবির ইত্যাদি, নতুন প্রজন্মের নামে চাকুরীর কোটা নিয়ে যখন মুক্তিযোদ্ধা-বিরোধী কথা বলে, তাদের ১টা করে কান কাটার দরকার।

২৩| ২৬ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:০৩

কালো যাদুকর বলেছেন: ডাঃ আলী সাহেবের কমেন্ট পরে আরো কিছু বুঝতে পারছি।
আসলেই সেটা একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার।
একটা কথা কি, এদের অনেকেই মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে না জেনেই মতামত দেয়া শুরু করে। যেখানে সেখানে ধর্মটা নিয়ে আসেন। আসলে ধর্ম ও মুক্তিযুদ্ধ এদের মধ্যে যে কোন বিরোধ নেই, এটা মোটেই বুঝতে চান না। বিশেষ করে বয়স কম যারা ।

আবার অনেকে ইচ্ছে করেই ইনিয়ে বিনিয়ে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে নেগেটিভ কথা বলেন। এগুলা শুনলে মেজাজ খারাপই হয়। আমার বাবাও মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। আমার চাচাও কমান্ডো ছিলেন।
যারা এভাবে বলে, এদের আসলে কোন রুট নেই বাংলাদেশে।

২৬ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


মুক্তিযুদ্ধে পরাজিতরা নিজেদের মাঝে ঐক্যবদ্ধ হয়ে, নিজেদের ভালো, ও জাতির ক্ষতির জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

২৪| ২৬ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৮

নিমো বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তা আজ শুধু নয় সেই শুরুতেই এর শুরু হয়েছিল। মেজর জলিলকে দিয়ে। জাসদের প্রতিবাদে।

মোহম্মদ আব্দুল জলিল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) গঠনের সময়ে তিনি কাজ করেছিলেন। এছাড়া তিনি ১৯৮১ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন৷ ১৯৮৪ সালে তিনি জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন৷ পরবর্তীকালে তিনি জাসদ ত্যাগ করে জাতীয় মুক্তি আন্দোলন নামে একটি দল গঠন করেন৷

এটা থেকে কী সিদ্ধান্তে আসব, যে জাসদ প্রতিষ্ঠা এবং তার ফলে সংঘটিত কর্মকান্ড ভুল ছিল ? এর মধ্যে দিয়ে কি আপনার বলা একক আধীপত্যবাদ, অন্ধ দলীয় করণ !
মহান মুক্তিযুদ্ধকে দলীয় যুদ্ধে পরিণত করার অপচেষ্টা!
একচোখে দৃষ্টিভঙ্গি! চেতনার রং অন্ধতা এসবের সমাধান এসেছিল ?

ঐ Anarchism ( আপনার কাছে কী আমি জানি না ) আসলে ৫০ বছরের দ্বারপ্রান্তে থাকা বাংলাদেশকে ঠিক কিভাবে উপকার করেছে একটু জানাবেন ?

রাফার মন্তব্যের পর আপনার অনুবীক্ষন যন্ত্রে কি আরও কাউকে পাওয়া গেল ? তারা কি এই ব্লগেও থাকে/আছে বলে মনে করেন ? যদি থাকে তাদের কি ব্লগে থাকতে দেয়া উচিত ?


বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: চিহ্নিত রাজাকার গং ছাড়া, যেহেতু তারা এখনো ৭১ এর ভূমিকার জন্য ক্ষমা চায়নি


শুধু ক্ষমা চাইলেই কি কেল্লা ফতে হয়ে যাবে ?

আশা করি উত্তর গুলো দিয়ে বাধিত করবেন।

২৬ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:


যারা বৃহত্তর পাকিস্তান চেয়েছিলেন, যারা জেনারেল জিয়ার হতয়াকান্ড ও পাকিস্তানীদের ফিরে আসা চেয়েছেন, ব্লগার বিদ্রোহী ভৃগু তাদের মুখপাত্র।

২৫| ২৬ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:২৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: এই মন্তব্যটি আমি করতে চাইনি, কিন্তু বাধ্য হয়ে মন্তব্য করতে হচ্ছে।

যুদ্ধশেষে মুক্তিযোদ্ধারা চিনতো ১৯৭১ এর রাজাকারদের তাদের পরিবারদের, কিন্তু সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর কে কোথায় ছড়িয়ে পড়েছে তা খোঁজা সম্ভব ছিলোনা, কারণ মুক্তিযোদ্ধারা একমুঠো ভাতের জন্য জীবন যুদ্ধে লেগে গেলেন, ইপিআর, ইষ্ট বেঙ্গল হতে রিটায়ার্ড করা লোকজন সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে দারোয়ানের কাজও করেছে ( দুঃখিত সিকিউরিটি গার্ড/ইনচার্জ না লিখে দারোয়ান লিখেছি - কিন্তু তা ছিলো বাস্তব ঘটনা) মনে হয়েছিলো “যুদ্ধ শেষ যে যার বাড়িতে যাও - যাও ভাগো” এখন স্বাধীন দেশে আমরা আমাদের কোলকাতায় রঙশারায় মউজ মাস্তি করা নেতাদের নিয়ে দেশ চালাবো তামাশা করবো !!! - কথাটি কি ভুল বলেছি। আমার তো নিজের চোখে দেখা, নিজের কানে শোনা।

মুক্তিযোদ্ধারা বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর জন্য অনাহারে অর্ধাহারে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে শুরু করলো। আর রাজাকার’রা তাদের লুকানো সম্পত্তি বের করে শুরু করে ব্যাবসা !!! গোলাম আজমের মতো রাজাকার সওদাগরের পোলা হয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার, নিজামী হয় মন্ত্রি, সব রাজাকর রাজনৈতিক পৃষ্টপোষকতায় পায় সাংসদ পদবী- বাড়ী-গাড়ী, বেয়ায় বেয়াইন সম্পর্ক। সব রাজাকার হয় স্থানীয় বাজারের সরকারী ডিলার।

ইমোশনাল একদল বাঙ্গালী কেনো মুক্তিযুদ্ধ করেছিলো -
বাংলাদেশে যাতে রাজাকার’রা সাংসদ হতে পারে
রাজাকার’রা দল গঠন করে দেশে আন্দোলো্ন করে নির্বিচারে হত্যা করতে পারে
মুক্তিযোদ্ধাদের প্রত্যেক্ষ পরোক্ষভাবে হত্যায় জড়িতরা দেশে মেম্বার চেয়ারম্যান সাংসদ সরকারী কর্মকর্তা আরো কতো কি

- এই সব ভুল কার? ১৯৭১ পর যারা দেশ চালিয়েছে মুক্তিযুদ্ধে তাদের পরিবারের একজনও মারা যাায়নি - শহীদ হয়নি, তারা জানেনা পরিবারের সন্তান হারানোর ব্যাথা।

চাঁদগাজী ভাই, অন্যায়ের বিচার ভয়ংকর এটি প্রকৃতি তার নিজ হাতে করে, ১৯৭০ হতে ২০১৯ পর্যন্ত দেখছি আজকে খালেদা জিয়া জেলে, জিয়াউর রহমানের অপমৃত্যু - অন্যায় পাপ বাপকেও ছাড়েনা।

উপসংহার: - জেনারেল এরশাদের সাধারন মৃত্যুতে অনেকে গভীর শোক পেয়েছেন এতোটাই গভীর যে তলিয়ে গেছেন। জেনারেল এরশাদের হাত নিরপরাধ মানুষের রাক্তে রঞ্জিত ছিলোনা। জেনারেল এরশাদ তাঁর জীবন কালে রাজাকারদের সাথে হাত মেলাননি, তবে ১৯৯০ সনে দেখেছি কারা রাজাকারদের সাথে লাঞ্চ ডিনার করেছে দিন রাত মিটিং ফিটিং করেছে। এই দেশে আ্ওয়ামী লীগ+জামাত+বিএনপি তিনটি ভগ্ন দল মিলে একটি পূর্ণাঙ্গ দল। এখন এই দলের ভিতর কোন্দল চলছে - এই যা।







২৬ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


যুদ্ধ সবাই করতে পারে না; বেংগল রেজিমেন্টের পালিয়ে যাওয়া সব অফিসার, সব যোয়ান যুদ্ধে আসেনি, ভারতে যাওয়া সব তরুণ যুদ্ধ করেনি; দেশ স্বাধীন করেছেন কৃষকেের ছেলেরা: এরাই ছিলো ইপিআর, এরাই বেংগল রেজিমেন্ট, এরা গরীব ছাত্র।

তাজুদ্দিন সাহেব ও শেখ সাহেবের ভুলের জন্য বিনা-বেতনের মুক্তিযোদ্ধারা খালি হাতে ঘরে ফিরেছেন, উনারা ২ জনে বড় পদে চাকুরী করেছেন, বেতন পেয়েছেন, প্রানও হারায়েছেন।

জিয়া, এরশাদ ও বেগম জিয়া ছিলো সেনাবাহিনীর শাসনের রিপ্রেজেন্টটেটিভ, উনারা পাকিস্তান ও সিআইএর'র এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছে।

২৬| ২৬ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৫

মোগল সম্রাট বলেছেন: রাজাকারেরা মুক্তি যুদ্ধের বিরোধিতা করে যে অপরাধ করেছিলো তার চাইতে হাজার গুন অপরাধ সংগঠিত হয়ছে মুক্তি যুদ্ধকে আর মুক্তি যোদ্ধাদের পুজি করে কখনো সরকারের লোকজন কখনো বিরোধী দলের লোকজন। চাকরিতে কোঠার ব্যাবস্থা করে মুক্তি যোদ্ধাদের জাতির এখনকার প্রজন্মের কাছে শত্রুতে পরিনত করেছে।

২৬ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


মুক্তিযোদ্ধারা ছিলেন বিনা-বেতনে, বিনা-খাবারে, ৯ মাসের ভলনটিয়ার যোদ্ধা; যুদ্ধের পর, খালি হাতে তাঁদেরকে তাঁদের পোড়া বাড়ীতে পাঠানো হয়েছিলো; যেই ২২ হাজারের মৃত্যু হয়েছিলো, তাদের বিধবা স্ত্রী ও এতিম সন্তানদের দায়িত্ব নেয়ার কথা কার ছিলো? এঁদের দায়িত্ব নেয়ার দরকার ছিলো শেখ সাহেব, তাজুদ্দিন সাহেবের ও পুরো জাতির! আজকের নতুন প্রজন্ম এসব বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধা ও ২২ হাজার শহীদ মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছে? নেয়নি! এই ফাক্ড-আপ নতুন প্রজন্মকে সরকারী চাকুরী আসতে দেয়া ঠিক হচ্ছে না; এবং যেসব ফাক্ড-আপ শিবিরেরা মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিপক্ষে কথা বলেছে, তাদের ১ কান কেটে দেয়ার দরকার।

২৭| ২৬ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৩

পুলক ঢালী বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ ভাই আপনার মন্তব্যগুলি সঠিক। মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে যা জানেন লিখুন অন্তত লিখিত দলিল হিসেবে থাকুক।
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন ভাই ঠিক বলেছেন ৭০ এর নির্বাচন সরকার গঠনের নির্বাচন ছিল। ক্ষমতা হস্তান্তরে গড়িমসি মুক্তিযুদ্ধ ডেকে আনে। রাজনৈতিক সহায়তা (ইন্দিরা গান্ধী কর্তৃক) দেওয়ার জন্য মুজিব সরকার গঠন হয় । না হলে পাকিস্তানের দোষারোপ যেমন ভারতের মদদে পূর্বপাকিস্তানের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা অরাজকতা সৃষ্টি করছে এই অপবাদ আন্তর্জাতিক মহলে গৃহীত হতো কারন আমেরিকা,চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিল। মুজিব সরকারের অধীনে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়। সবাই জানেন নজরুল ইসলাম রাষ্ট্রপ্রধান এবং তাজউদ্দিন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।

ভৃগু ভাই অনেক সুন্দর সুন্দর কথা বলেছেন, কিন্তু এ কথা কেন বললেন যে, মহান মুক্তিযুদ্ধকে দলীয় যুদ্ধে পরিণত করার অপচেষ্টার বিরুদ্ধে! কথা বলতে হবে।

মহান মুক্তিযুদ্ধ তো আপনা আপনি শুরু হয়নি দলীয় নেতৃত্বের কারনে শুরু হয়েছে সেই দলের নেতা ছিলেন বঙ্গবন্ধু।

বর্তমানে অথর্ব রাজনৈতিক নেতৃত্বের তেমন যোগ্যতা নেই (আমাদের পরিকল্পিত ভাবে মেধাশূন্য করা হয়েছে ১৪ই ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে এবং তার পরেও) তাই অতীতের গৌরব ভাঙ্গিয়ে আত্মশ্লাঘা ভোগ চর্চা চলছে (বর্তমান আওয়ামী লীগ এবং বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ এক নয়। বঙ্গবন্ধু কন্যা হাল না ধরলে আওয়ামী লীগ থাকতো কিনা জানিনা।) তাই বলে মুক্তিযুদ্ধে দলীয় নেতৃত্বকে কি অস্বীকার করা যায় ? তাহলে তো বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করতে হয়, আর ওনাকে অস্বীকার করা মানে বাংলাদেশকে অস্বীকার করা। আওয়ামী লীগের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে বলা যায় মনপুতঃ না হলে, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে? কখনোই নয়।
মুক্তিযুদ্ধকে কমিউনিষ্ট পার্টির রাশা পন্থীরা সমর্থন করলেও চীনপন্থীরা করেনি। বর্তমানে একগ্রুপ আওয়ামীলীগের সাথে আছে আরেক গ্রুপ বিএনপির সাথে আছে।
রাজনীতি আমি কম বুঝি। আমার মন্তব্যে অনেক গ্যাপ থাকতে পারে বোদ্ধারা ঠিক করে নেবেন।

২৬ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:


ঠিক কথা বলেছেন।

২৮| ২৬ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৮

আমিই মুসাফির বলেছেন: জাতির মুক্তিযু্দ্ধ নিয়ে বিদ্রুপ, মিথ্যা, অপপ্রচার থামিয়ে দেবেন সব সময়

ইনাম তাইলে ঠিকমত আম্নের পিছে লাগছে।

২৬ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি মানহীন মন্তব্য করে আমার পোষ্টটার মানহানি করলেন!

২৯| ২৬ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:১৩

আমিই মুসাফির বলেছেন: আপনি মানহীন মন্তব্য করে আমার পোষ্টটার মানহানি করলেন!

আমি যে আসলেই মানসম্মত মন্তব্য করছি আম্নের কথাই তার প্রমান।নিন্দুকে ভইরা গেছে ব্লগ।হাছা কতা গাত লাগে আম্নেগো।

২৭ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি ২ বছরে ১টি পোষ্ট লিখেছেন; আপনি সত্য/মিথ্যা বুঝার সুযোগ কোথায় পেলেন? আপনার উপর আমার ভরসা নেই!

৩০| ২৭ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:০৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




চাঁদগাজী ভাই,
আজেবাজে লোকের সাথে মন্তব্য প্রতিমন্তব্য না করার জন্য অনুরোধ করছি, প্লিজ কথা রাখুন। দরকার নেই তাদের সাথে কথা বলার। ইগনোর করুন। প্লিজ।


কুকুরের কাজ কুকুর করেছে
কামড় দিয়েছে পায়,
তা বলে কুকুরে কামড়ানো কিরে
মানুষের শোভা পায়?

২৭ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



সমস্যা হয়ে গেছে!

৩১| ২৭ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১:০২

মানতাশা বলেছেন: **********************************************************************
চাঁদগাজী ওরা যে মন্তব্য রেখেছে তা পড়ে আমার মন্তব্য করার ইচ্ছা নেই ।
মন্তব্য করলেই বিপদ।ওদের মতো নিচে নামতে পারবো না । ইহা যে আপনার মাল্টি নিক না ,তাহা আমি জানি ,আপনিও । ব্লগের মডুরা জানিতে পারবেন। ওদের বলেও বিশ্বাস করানো যাবে নাহ।আপনিই চুপ থাকুন । ওরা হারিয়ে যাবে সময় নিন।দেখবেন এখানে এসেই কামড়াবে।
************************************************************************

২৭ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ২:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


জামাত, শিবির, বিএনপি'র অনেকে, হেফাজত ইত্যাদিরা ব্লগিংকে খারাপ মনে করে; প্রশাসনের চাপে আছে সামু; এই শিবির, জামাতী, হেফাজতীরা ব্লগে গন্ডগোল করে বেড়াচ্ছে

২৭ শে জুলাই, ২০১৯ ভোর ৪:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


জামাত, শিবির, বিএনপি'র অনেকে, হেফাজত ইত্যাদিরা ব্লগিংকে খারাপ মনে করে; প্রশাসনের চাপে আছে সামু; একই সময় শিবির, জামাতী, হেফাজতীরা ব্লগে গন্ডগোল করে বেড়াচ্ছে

৩২| ২৭ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: কেমন আছেন?

২৭ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমি ভালো আছি, চোখের সমস্য আছে। আপনার পরিবারের প্রায় সবাই অসুস্হ, খুবই কষ্টকর অবস্হা; চেষ্টা করেন যাতে আপনার ডেংগু না হয়; শুভকামনা রলো।

৩৩| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১১

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: শ্রদ্ধেয় চাঁদগাজী সাহেব,বেয়াদবি মাফ করবেন।
আপনার নিক নেইম লিখে গুগলে সার্চ করে জানলাম আপনার নামের অভিন্ন নামেই ফেনীতে একটি বাজার/এলাকা রয়েছে। আরো কৌতুহলোদ্দীপক বিষয় এই যে বিভিন্ন সাইট পেয়েছি যেখানে 'চাঁদগাজি ডিফেন্স' কথাটির উল্লেখ রয়েছে। স্থানটি মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের সাক্ষী তা স্পষ্টতই বুঝতে পেরেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে কোন লিংক থেকেই এই 'চাঁদগাজি ডিফেন্স'এর নিরবিচ্ছিন্ন বিবরণ পেলাম না :(। কিন্তু আমি এ সম্পর্কে জানতে অত্যন্ত আগ্রহী এবং সম্ভব হলে এ নিয়ে একটি পোস্টও ভবিষ্যতে দিতে চাই(গতকাল আমি এরকমই একটা অপারেশনভিত্তিক পোস্ট দিয়েছিলাম)
আমার দৃঢ় বিশ্বাস আপনি চাঁদগাজি সম্পর্কে জানেন এবং আপনার নিকের নামকরণের সাথে কোন না কোনভাবে চাঁদগাজি ডিফেন্সের যোগসূত্র রয়েছে। আপনার সংগ্রহে যদি এ সম্পর্কিত কোন প্রতিবেদন বা ব্লগ পোস্ট থাকে (যেখানে নিরবিচ্ছিন্ন ও ধারাবাহিক বিবরণ রয়েছে) তবে তার লিংক দিয়ে সহায়তা করলে কৃতার্থ হই।
আমার কোন বক্তব্যে মনোক্ষুণ্ণ হলে মাফ করবেন। ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

১৫ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমি ১৯৭১ সালে চাঁদগাজীতে পাকী বাহিনীর বিপক্ষে যুদ্ধ করেছি; কোন লিখিত বিষয়ে আমার জানা নেই; হয়তো মেজর জিয়া, বা কর্ণেল ওলির লেখায় কিছু থাকতে পারে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.