নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

উগ্র হিন্দুবাদী বিজেপি, ভারতীয় কাশ্মীর ও জম্মুতে কি কি করতে চাচ্ছে?

০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৩২


১৯৪৭ সালে, কাশ্মীরের রাজা হরি সিং

প্রথমত: বিজেপি'র উগ্র হিন্দুবাদী নেতারা ও বিজেপি'র দরিদ্র হিন্দু সমর্থকেরা ভারতে মুসলিম-প্রধান কোন এলাকা রাখার পক্ষপাতী নয়; দ্বিতীয়ত: কাশ্মীরী গেরিলা ও পাকী জংগীরা কাশ্মীরের অভ্যন্তরে যে তৎপরতা চালায়, উহাতে কাশ্মীরীদের প্রত্যক্ষ, পরোক্ষ সমর্থন আছে; অধিবাসীদের ভেতরে হিন্দু প্রবেশ করিয়ে দিলে, গেরিলা ও জংগী তৎপরতা দ্রুত কমে আসবে; তৃতীয়ত: ভারতের অনেক শুস্ক এলাকার ভুমিহীন দরিদ্ররা এই এলাকাগুলোতে আসতে আগ্রহী; ৫০/৬০ লাখ ভারতীয় ধনী পরিবার কাশ্মীরে গ্রীস্মকালীন বাড়ী করতে প্রস্তত!

কাশ্মীরে ভারত সরকার সেনাবাহিনী, পুলিশ, সিকিরিটি ইত্যাদিতে বিপুল অর্থ ব্যয় করে; মোদী সরকার এই ব্যয় কমাতে চাচ্ছে। ভারতীয়দের মতে, পাকিস্তান এখন অনেক দুর্বল দেশ, সারা বিশ্বে এখন ভারত পাকিস্তানের চেয়ে অনেক বেশী সামনে; কাশ্মীরকে পুরোপুরিভাবে দখল করে নেয়ার জন্য এখনই সঠিক সময়।

ভারত সরকার শিখ ও আসামীদের স্বাধীনতা আন্দোলন পুরোপুরি থামিয়ে দিয়েছে, কিন্তু কাশ্মীরে উহা এখনো জীবন্ত; ভারতের বিশাল অংশ মনে করে যে, কাশ্মীরের স্বাধীনতা আন্দোলন থামানোর দরকার, এবং মোদীর দলই ইহাকে শক্ত হাতে দমন করতে পারবে।

কাশ্মীর ও জম্মু নিয়ে পাকিস্তানের সাথে বারবার যুদ্ধ হওয়ায়, পাকীরা ও ভারতীয়রা ইহাকে এখন নিজেদের মানসন্মান, ইগোতে পরিণত করেছে: জম্মু-কাশ্মীরের বেলায় কোন ছাড় দেয়া হবে না।

ঐতিহাসিকভাবে ১৯৪৭ সালে, কাশ্মীর নিয়ে যা ঘটেছে, পাকিস্তানের ভুমিকা কাশ্মীরীদের পক্ষে যায়নি; পুরো কাশ্মীর ও জম্মু'র আয়তন ২,২২,২৩৬ বর্গ কিলোমিটার; পাকিস্তান কৌশলে যুদ্ধ করে ১৯৪৭ সালে কাশ্মীরের ৭৭,১১৪ বর্গ কিলোমিটার দখল করে, উহাকে আজাদ কাশ্মীর নাম দিয়েছে। (কাশ্মীরের আরেকটা অংশ, আনুমানিক ৩৭,০০০ বর্গ কিলোমিটার চীন দখল করে নিয়ে ১৯৬২ সালের যুদ্ধে)। পাকিস্তানী কাশ্মীরে আনুমানিক ৫৫ লাখ কাশ্মীরী বাস করছে, আর ভারতীয় এলাকায় ১ কোটী ৫০ লাখের কাছাকাছি।

পাকিস্তান যদি একাংশ দখল করে না নিতো, তা'হলে পুরো কাশ্মীরের অবস্হা কি আজকের ভারতীয় কাশ্মীরের ভাগ্য বরণ করতো? মনে হয়, ইতিহাস অন্য দিকে মোড় নিতে পারতো; কারণ, কাশ্মীর নিয়ে যখন সমস্যা দেখা দিয়েছে, তখন ভারতের মুল সিদ্ধান্তগুলো নিতেন মহাত্মা গান্ধী ও পন্ডিত নেহেরু; তাঁরা ২ জনই বলেছিলেন যে, কাশ্মীরের জনগণ যা চায়, তাই হবে: তারা যদি পাকিস্তানের সাথে যোগ দিতে চায় তাই হবে; তারা যদি ভারতের সাথে যোগ দিতে যায়, তা সম্ভব; আর, তারা যদি আলাদা থাকতে চায়, সেটাও সম্ভব। এই ২ জন মানুষের কথার মুল্য ছিলো, এঁরা হিন্দু হলেও, তাঁরা মুসলিম বিরোধী ছিলেন না, ভারত বিভক্তির বিপক্ষে ছিলেন মাত্র।

পাকিস্তান যুদ্ধ লাগিয়ে দেয়াতে, মহাত্মা ও পন্ডিত নেহেরুর কথা যুদ্ধের দামামার নীচে চাপা পড়ে যায়; ভারতীয়রাও যুদ্ধকে বেচে নেয়।

পাকিস্তান কিভাবে ১৯৪৭ সালে কাশ্মীরের একাংশ এত সহজে দখল করে নিলো? ভারতীয় বাহিনী কি দুর্বল ছিলো? না, ভারতীয় বাহিনী দুর্বল ছিলো না, ভারতীয় বাহিনী কাশ্মীরে আসার আগেই পাকিস্তানের বাহিনী কাশ্মীরের রাজার বাহিনী থেকেই ভুমি দখল করে নেয়। রাজা ভারতীয় সাহায্য চেয়ে আসছিলো; কিন্তু সমস্যা ছিলো, ভারতীয় ও পাকিস্তানী বাহিনীর সুপ্রীম কমান্ডার-ইন-চীফ ছিলেন একই ব্যক্তি, বৃটিশ ফিল্ড মার্শাল ক্লদ অউচিনলেক। তিনি পাকিস্তান বাহিনী ও ভারতীয় বাহিনীর প্রধান হওয়ায়, ২ সেনা বাহিনীকে যু্দ্ধ থেক বিরত রাখেন।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান, ফিল্ড মার্শালকে দাংগার নামে কাশ্মীরে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী নিয়োগ করতে বললেন; তিনি নাকচ করে দিলেন। তখন লিয়াকত আলী খান পাকিস্তানের উত্তরান্চল থেকে ৩০ হাজারের মতো উপজাতীয় যোদ্ধা সংগ্রহ করে, তাদের সাথে প্রাক্তন সৈন্যদের যোগ করে কাশ্মীর দখলে পাঠায়ে দেয়। এই উপজাতীয়রা ও কাশ্মীরের কিছু মানুষ একত্রিত হয়ে, কাশ্মীরের দুর্বল বাহিনীকে আক্রমণ করে বিরাট এলাকা দখল করে নয়। কাশ্মীরের রাজা হারি সিং দেশটিকে পাকিস্তান ও ভারত থেকে আলাদা রাখার পক্ষে ছিলেন; দেশটি রাজা হারি সিং'এর পুর্ব পুরুষ মহারাজা গুলাব সিং ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী থেকে ১৮৪৬ সালে, আনুমানিক ৭৭ লাখ রুপিতে কিনে ছিলেন।

কাশ্মীর সমস্যার সমাধান ছিলো, বৃটিশ যেভাবে রেখে গিয়েছিলো, সেভাবে থাকা; সেভাবে থাকলে, দেশটা একদিন স্বাধীন রিপাবলিকে পরিণত হতো, এবং হয়তো ভুটানের মতো সুখী হতো, কিংবা নেপালের মতো দরিদ্র হতো; পাকিস্তান ও ভারতীয়রা মিলে ইহাকে কাশ্মীর বাসীদের রক্ত দিয়ে ভাসিয়ে দিয়েছে। পাকিস্তানী দখলের সময়, উপজাতীয়রা হিন্দু মুসলমান উভয় জাতিকে হত্যা করেছে জম্মুতে। মগজহীন পাকিস্তান সরকার ও নীচু মানসিকতার ভারতীয়দের হাতে পড়ে কাশ্মীরের মানুষগুলো চির দু:খীতে পরিণত হয়েছে।

এখন, সঠিক সমাধান হবে, তিনটি কাশ্মীরকে এক করে একটি স্বাধীন রিপাবলিক গঠন করা।

মন্তব্য ৫৬ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৫৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৪১

বিজন রয় বলেছেন: সমগ্র পৃথিবীটা উগ্রবাদীর জঙ্গীথাবায় ডুবে যাচ্ছে।
পরিত্রাণ নেই!!!!

০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


বিজেপি ভারতের দরিদ্র শ্রেণীর মানুষের মাথায় হিংসা ঢুকিয়ে দিয়েছে; এতে মুসলিম ও নীচু বর্ণের দরিদ্র হিন্দুরা আরো পেছনে পড়ে যাবে।

২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: হাজিরা দিয়ে গেলাম।
পরে এসে মন্তব্য করবো।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমার পোষ্টে আগে হাজিরা দেয়া, বা রিজাব করার মতো তেমন কিছু থাকে না।

৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৪৭

জুন বলেছেন: হি্ন্দু মৌলবাদী আর মুসলিম মৌলবাদীদের আচরনগত কোন পার্থক্য নেই । জঙ্গীরা যুগে যুগে দেশে দেশে একই চরিত্র ।
বহু ধর্মের বহু বর্নের ভারত যদি এই মৌলবাদী চরিত্র থেকে বেরিয়ে না আসে তবে তাদের কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে ।
+

০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:


ধর্মগুলো ক্রমেই তাদের ভুল প্রথা ও অপ্রয়োজনীয় প্রভাব হারাচ্ছে, এটা হয়তো মানবতার জন্য সুখবর। শুধু নিজ ধর্মে বিশ্বাস করার কারণে, ১৯৪৭ সালে, লাখের বেশী মানুষ প্রাণ হারায়েছে জম্মু ও কাশ্মীরে।

৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৫৫

নতুন বলেছেন: কাশ্মীর সমস্যা কমে যাবে এই সিদ্ধান্তের ফলে।

পাকিস্তানের মমদে কাশ্মীরের জঙ্গীবাদের চাষাবাদ হচ্ছে সেটা কমে যাবে।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


পাকিস্তানীদের অনুপ্রবেশ কমবে, নতুন হিন্দু মাইগ্রেশন ভয়ংকর সমস্যার সৃষ্টি করবে।

৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:০১

রাজীব নুর বলেছেন: ভারতের কাশ্মির আক্রমণের লক্ষ্য হচ্ছে কাশ্মিরের জমি, মানুষ না। ফলে কাশ্মীর রক্ষায় অনেক ত্যাগ ও রক্ত দিতে হবে…

০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


'কাশ্মীর রক্ষা' বলে কিছু নেই; ভারতীয় কাশ্মীরের লোকদের উচিত হবে, ভারতীয় আইন মেনে, নিজেদের শিক্ষিত করে তোলা। ভারত নিরক্ষরের হার ২৮%, কাশ্মীরের ৩৬%।

৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:০২

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন:
আমার পোষ্টে আগে হাজিরা দেয়া, বা রিজাব করার মতো তেমন কিছু থাকে না।

এটা আপনার মহানুভবতা।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমি কোন বিষয়ের উপর সামান্য কিছু তথ্য দেয়ার চেষ্টা করি, তেমন কিছু না।

৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:১২

তারেক ফাহিম বলেছেন: মগজহীন পাকিস্তান সরকার ও নীচু মানসিকতার ভারতীয়দের হাতে পড়ে কাশ্মীরের মানুষগুলো চির দু:খীতে পরিণত হয়েছে

একে অপরের উপর ক্ষেপিয়ে তোলাতে আজ এ অবস্থা।

“৩ কাশ্মির মিলে একটি রিপাবলিক” সঠিক সমাধান।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:


এখন সঠিক সমাধান, "৩ কাশ্মীর মিলে একটি রিপাবলিক" গঠন করা

৮| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:১৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অসাধারণ একটি পোস্ট ‌

০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:



ঘটনা অনেক বড় ও ভয়ংকর; সহজ কিছু মনে রাখা সম্ভব; আমি সহজ কিছু বিষয় তুলে ধরেছি।

৯| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন:
'কাশ্মীর রক্ষা' বলে কিছু নেই; ভারতীয় কাশ্মীরের লোকদের উচিত হবে, ভারতীয় আইন মেনে, নিজেদের শিক্ষিত করে তোলা। ভারত নিরক্ষরের হার ২৮%, কাশ্মীরের ৩৬%।

গত কয়েকদিন মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছে না। দোকান পাট অফিস আদালত সব বন্ধ। প্রতিটা রাস্তায় পুলিশ।
মানুষ খেয়ে- না খেয়ে আছে। বর্তমান পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, কিছু কিছু দেশে জন্মগ্রহন করাটাই পাপ।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


কাশ্মীরী নেতারা এসব প্ল্যানের কথা আগের থেকেই জানতো; তাদের উচিত ছিলো সরকারের সাথে বসে, ভারত-বিরোধীতা ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দেয়া; পরে কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে, অবস্হা কিছুটা বদলাতো; তবে, কংগ্রেসও পরে এগুলোর রদবাদল করবে না।

১০| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:২২

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন:
আমি কোন বিষয়ের উপর সামান্য কিছু তথ্য দেয়ার চেষ্টা করি, তেমন কিছু না।

সামুর এক নম্বর ব্লগার আপনি।
বহু ব্লগারের চোখে আপনি একজন গ্রেট ব্লগার।
আমি নিজেই আপনার কাছ থেকে ব্লগিং শিখেছি।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমি কেহ নই, আপনাদের আগের জেনারেশনের একজন প্রতিনিধি মাত্র; আমার ধারণা, ব্লগিং তরুণদের থেকে ফিল্টারিং করে কিছু শক্তিশালী ব্যক্তিত্বের মানুষকে সামনে আনবে।

১১| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:২৭

আখেনাটেন বলেছেন: মগজহীন পাকিস্তান সরকার ও নীচু মানসিকতার ভারতীয়দের হাতে পড়ে কাশ্মীরের মানুষগুলো চির দু:খীতে পরিণত হয়েছে। -- দুটো দেশই সমানভাবে দায়ী কাশ্মীরিদের এই অবস্থার আসার পেছনে। আশির দশক থেকে ধর্ম-ধর্ম করে পাকিস্থানীরা যেভাবে আজ সামাজিক-অর্থনৈতিকভাবে খাদের কিনারে দাঁড়িয়েছে, ঠিক সেই পথেই এগুচ্ছে ভারতীয়রাও গেরুয়া পোশাকে।

এখন, সঠিক সমাধান হবে, তিনটি কাশ্মীরকে এক করে একটি স্বাধীন রিপাবলিক গঠন করা। -- এই সমাধান আর কোনভাবেই সম্ভব নয়। ৫০'র দশকেই এটি মৃতবৎসা। মনে রাখতে হবে কাশ্মীর শুধু বরফাচ্ছাদিত পাহাড় আর টিউলিপ ফুলের জন্যই ভূস্বর্গ নয়, এটি পৃথিবীর অন্যতম স্বাদু পানির উৎসস্থলও বটে। আজ পাঞ্জাবকে শস্যভাণ্ডার বলার কারণও ঐ কাশ্মীর। তাই এ অঞ্চলের দখল কেউই এক চুল পরিমাণ ছাড় দিবে না।

ভবিষ্যতে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে নুক এটাক হলে সেটা কাশ্মীরি জনগণের মুক্তির জন্য হবে না, হবে ঐ পানির উৎস দখলের জন্য। কাশ্মীরি জনগণ নিয়ে দু দেশের বিন্দুপরিমাণ আগ্রহ নেই। যেটা পঞ্চনদের উপর সিরিয়াল ড্যাম ও হাইড্রোপাওয়ার প্লান্ট নির্মানে বুঝা যায়।

পাকিদের জঙ্গী জঙ্গী খেলায় পাঁড় হিন্দুত্ববাদী মোদী-অমিত জুটি শুধু আগুনের মধ্যে কিছু কড়িকাঠ যোগান দিয়েছে ৩৭০ ধারা রদ করে। এখন আমাদের ভস্ম দেখার অপেক্ষা করা ছাড়া আর কিছু করার নেই।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:


কাশ্মীরের সাংসদীয় অধিকার কেড়ে নিয়ে, ভারত নতুন করে রক্ত ঝরানোর পথে নেমেছে; তবে তারা, পানি সম্পদের উপর দখল, পাকী অনুপ্রবেশ বন্ধ ও সিকিউরিটি খাতে ব্যয় কমানোর জন্য রক্তের দরকার আছে বলে মনে করে, মনে হচ্ছে!

১২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৩২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমার ধারণা, বৃটিশরা ইচ্ছে করেই সমস্যাটি ঝুলিয়ে দিয়ে গেছে।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


না, বৃটিশরা কোন জাতির রক্ত ঝরানোতে বিশ্বাস করে না; ২য় বিশ্বযুদ্ধে ওরা ভয়ংকর পরিস্হিতির মাঝ দিয়ে গেছে, ওদের অনেক রক্ত ঝরেছে! ওরা ভারতীয় ও পাকীদের অমানবিক হৃদয়কে অনুধাবন করেনি।

১৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৪৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: কাশ্মীরের স্বাধীনতাই সর্বোত্তম সমাধান। কিন্তু এই কাশ্মীরি ও ফিলিস্তিনিরা সত্তর বছর যাবত গুলির বিরুদ্ধে ইট পাটকেল ছুঁড়ে যুদ্ধ করছে। এরা স্বাধীন হওয়া তো দূরের কথা, নিজেদের অস্তিত্বই টিকিয়ে রাখতে পারবে না।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


স্বাধীনতার জন্য রাজনীতি ও দরকার মতো যুদ্ধ করতে হয়; কাশ্মীরের বেলায়, ১৯৪৭ সালে মানুষ দ্বিধায় ছিলো; কাশ্মীরের নেতৃত্ব ২ ভাগে বিভক্ত হয়ে, এক অংশ কংগ্রেসের সাথে ছিলো, অন্য অংশ মুসলিম লীগের সাথে ছিলো; সেটা ভয়ংকর সমস্যার সৃষ্টি করে; তাদেরকে রাজার সাথে থাকা উচিত ছিলো; পাকিস্তান যদি একাংশ দখল না করতো, রাজা কারো সাথে যোগ দিতো না।

১৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৫৪

আখেনাটেন বলেছেন: কাশ্মীরের সাংসদীয় অধিকার কেড়ে নিয়ে, ভারত নতুন করে রক্ত ঝরানোর পথে নেমেছে; -- এতে বিন্দু পরিমাণ দ্বিমত নেই।

তবে পাকী অনুপ্রবেশ বন্ধ ও সিকিউরিটি খাতে ব্যয় কমানোর -- কখনই দুটো একসাথে ঘটবে না। কারণ ভৌগোলিক অবস্থার কারণে সেখানে একেবারে পাকিপন্থী (পাকিস্থান ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে তারা ১৪ই আগস্ট একসাথে স্বাধীনতা দিবস উৎযাপন করবে; এখানে লক্ষনীয় যে কাশ্মীরির স্বাধীনতা দিবস নয়)দের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে পারবে না। আর তা ঠেকাতে গেলে আরো সৈন্য সমাবেশ ঘটাতে হবে ভারতকে। ফলে অবশ্যই আরো ব্যয় বেড়ে যাবে সামরিক খাতে।

বরং আমার মতে ভারত সামরিকভাবে তাদের উপস্থিতি সেখানে আরো বাড়াবে। এবং ইসরাইল স্টাইলে, আপনি যেটা লিখেছেন দরিদ্র উষ্ণ অঞ্চলের অধিবাসীদের সেখানে সেটল করাবে, এবং ডেমোগ্রাফিতে পরিবর্তনের মাধ্যমে কাশ্মীরিদের আরো মারজিনালাইযড করে দেবে। এভাবে সামাজিক-রাজনৈতিক-অর্থনৈতিকভাবে কাশ্মীরিদের কোনঠাসা করে রেখে নিজেদের হেজিমনিকে প্রতিষ্ঠিত করবে। কিন্তু এই বাড়া ভাতে পাকিরা কতটুকু ছাই দিতে পারে সেটাই শুধু আমরা বিশ্ব মিডিয়ার মাধ্যমে অবলোকন করব, কাশ্মীরি জনগণের প্লাইটকে নয়।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



পাকিস্তান সরকার যতই চীৎকার দেক, তারা ক্রমেই দুর্বল হচ্ছে; এটম বোমার ভয়ে সরাসরি যুদ্ধেও যেতে পারবে না; শুধু উপায় হলো, "ইসলামের নামে" ফ্রি পাগলদের একত্রিত করে, জংগী অনুপ্রবেশ। সেটাকে ঠেকানোর জন্য বিজেপি কাশ্মীরের সীমান্ত বরাবর হিন্দু বসতির ব্যবস্হা করবে, মনে হয়; হিন্দুরা অনুপ্রবেশকারীদের বিপক্ষে কাজ করবে।

১৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:১৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: কাশ্মীর বাসী তাহলে এখন কি করবে! তাদের কি করা উচিত?

০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:


তাদের উচিত এই পরিবর্তযনের প্রতিরোধ করতে গিয়ে প্রাণ না হারানো, আহত না হওয়া; যেহেতু এই নিয়মের ফলে, কাশ্মীরে দরিদ্র হিন্দুদের আগমণ ঘটতে পারে, তাদেরকে তার জন্য মানসিক প্রস্তুতি নেয়া, নতুনদের সাথে যাতে দাংগা না বাঁধে। কাশ্মীরীদের উচিত ১০০ ভাগ কাশ্মীরীকে শিক্ষিত করে তোলা ও চাকুরীতে যাওয়া, কিংবা ব্যবসায় যাওয়া।

১৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:২০

কালো যাদুকর বলেছেন: কাজ নাই তাই আসলাম। এইটা হবে মনে হয়,
1.হিন্দুরা জমি কিনবে।
2. গরীব মুসলমানরা ভূমিহীন হবে।
3. হিন্দুরা আস্তে আস্তে কাশ্মীরের নীতি ঠিক করবে।
3. মুসলমানদের পাকিস্তানে পুশ ইন করবে।
4. শেষে ওইটা আরেকটা হিন্দু প্রদেশ হবে।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


অনেকটা।
তবে, কাশ্মীরা বুদ্ধিমান হলে, খুব একটা সহজ হবে না; কারণ, ভারতে অনেক শিক্ষিত মানুষ আছে, এবং কংগ্রেসের অনেক ভালো মানুষ আছে।

১৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:২৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: "৩ কাশ্মীর মিলে একটি রিপাবলিক" সমাধানটা আমার পছন্দ হয়েছে।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


জাপানীরা চাইলে হয়তো ঘটতে পারে।

১৮| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৩৫

কালো যাদুকর বলেছেন: অনেকে ভাবেন ধর্মটা এইখানে ব্যাপার, আসলে তানা। আসলে ভারতীয়দের কাছে কাশ্মীরের জমি পাকাপাকি দখল করাটাই ওদের কাছে মূল ব্যাপার। ওদের কাছে স্থানীয়দের কিহবে না হবে সেটা কোন ব্যাপার না।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:




ধর্ম নিয়ে শহীদ হয়ে যায় দরিদ্র ইডিয়টরা, সেই রকম নিম্ন মধ্যবি্ত্তদের সংখ্যা বিজেপি'তে অনেক।

কাশ্মীরে গ্রীস্মকালীন সময় কাটানোর জন্য বাড়ী করার মতো ৫০ লাখ হিন্দু ধনী পরিবার হয়তো প্রস্তুত হয়েই বসে আছে।

১৯| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৫৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: Borneo island কে ব্রিটিশরা ইচ্ছা করলে একটা রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করতে পারতে।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


উহা কোথায়?
বৃটিশের যারা উপনিবেশ স্হাপন করেছিলো, ও যারা উপনিবেশ ছেড়ে দিয়েছিলো, তারা মোটামুটি ভিন্ন জেনারেশন ছিলো।

২০| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৫৩

অজ্ঞ বালক বলেছেন: এই বিলাইয়ের গলায় ঘন্টা বাঁধবো ক্যাডা?

০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



ঘন্টা বাঁধার আপাতত কেহ নেই; সর্বোপরি, বিড়ালও ২টা

২১| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:১৫

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: সহমত। কিন্তু ভারতী পাকিরা এমন সমাধান চাইবে না; যদিও পাকিরা বলছে কাশ্মীরের মানুষ যেটা চাইবে সেটা হবে।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:


পাকীরা যখন চাইবে, তখন ভারত চাইবে না; ভারত চাইলে পাকীরা চাইবে না; এগুলো অমানুষের হাড্ডি

২২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:৪৫

আখেনাটেন বলেছেন: লেখক বলেছেন:
পাকীরা যখন চাইবে, তখন ভারত চাইবে না; ভারত চাইলে পাকীরা চাইবে না; এগুলো অমানুষের হাড্ডি
---
:P :-P =p~

কিন্তু ভয়ের ব্যাপার হচ্ছে এই কাশ্মীরের অরাজকতাকে পুঁজি করে আমাদের দেশী পাকিরা না আবার খাউজানি শুরু করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার জন্য। সাথে আবার আসামের ৪০ লাখ স্টেটলেস, ভারতীয়দের মতে বাংলাদেশী , মানুষের টানাপোড়েন বা বিতাড়ন সরাসরি বাংলাদেশের...। ভারতীয় উগ্রপন্থীদের এইসকল কর্মকাণ্ড নিশ্চয় ফুয়েল যোগান দিচ্ছে দেশীয় উগ্রপন্থীদের।

সামনের দিনগুলিতে উপমহাদেশে আরো বেশি পোলারাইজেশন ঘটবে বলে মনে হচ্ছে।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:


দেশের অমানুষগুলোকে মানুষ করার কথা ছিলো শেখ হাসিনার; উনি মুলত: নিজের বাবা ও পরিবারের পক্ষে প্রতিশোধ নেয়া ছাড়া কিছুই করেননি; জাতিকে ভয়ংকর দুরাবস্হার মাঝে রেখে যাবেন উনি।

২৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:২৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: এগুলো ভারতের আভ্যন্তরীণ বিষয়। ভারতের আভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে আমাদের সাধারণ মানুুষের উচিত একদম ঘুমে থাকা। আমরা কিছুই জানিনা কিছুই বুঝিনা। দরকার নেই ভারতের কোনো আভ্যন্তরীন বিষয়ে আমাদের কথা বলার।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


শুরুতে সব কিছু ভালোই ছিলো; রাজা নিজের রাজত্ব রক্ষা করে, রাজা থাকতে চেয়েছিলেন; পাকীরা একাংশ দখল করে, সব সমস্যার জন্ম দিয়েছে।

২৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:২৬

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: মহাত্মা গান্ধী, পন্ডিত নেহেরু ছিলেন উদার মানসিকতার, গ্রেট পলিটিশিয়ান।

"তিনটি কাশ্মীরকে এক করে একটি স্বাধীন রিপাবলিক গঠন করার কথা মুখে বললেও বাস্তব সম্মত নয়। কারণ ভারত, পাকি বা চিন কেউ একমুঠো জায়গা ছাড়তে রাজি নয়।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


পাকী আর ভারতকে এক করা গেলে, তখন বাংগালীরা বেঁকে বসবেন; কমপক্ষে আপনি বেঁকে বসতে পারেন।

বিশ্বে আগামী ২০/২৫ বছরে অনেক ভালো কিছু ঘটতে পারে।

২৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই, আমার পোস্টে আপনার প্রতি একটি প্রশ্ন করে রেখেছি তার উত্তর আপনার কাছে আশা করছি প্লিজ।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



ঠিক আছে।

২৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:০৪

আপেক্ষিক মানুষ বলেছেন: আমি চাই ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ মিলে আবার ৪৭'র আগের মত একটি রাষ্ট্র হক।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:



বিশ্বে সেই পরিবেশ নেই

২৭| ১০ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৩:৪৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
মহারাজা হরি সিং প্রতিরক্ষা, যোগাযোগ ও বৈদেশিক সম্পর্ক - শুধু এই তিনটি ক্ষেত্রে ভারতভুক্তি স্বীকার করে, নিজের রাজ্যকে ভারতের সঙ্গে পুরোপুরি মিশিয়ে দেননি বলে বলা হয়ে থাকে, কিন্তু এই তিনটি বিষয় একটি রাজ্যের হাতে না থাকলে ,বাকি সব যে নখ দন্তহীন তা কি বলার অপেক্ষা রাখে। এ তিনটি মুল বিষয়কে হাতের মুঠায় নিয়ে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা অনুযায়ী জম্মু ও কাশ্মীরকে যে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছেছিল সেগুলিযে লোক দেখানো অন্তসারসুন্য বিষয় ছিল সেটা এতদিনে কাশ্মীরবাসী সহ সারা দুনিয়া দেখতে পেল । মাথা মোটা ক্ষীনদৃস্টি সম্পন্ন পাকিস্তানী রাজনৈতিক ও সামরিক শাসককুল বুঝতেই পারেনি তারা কত বড় ভুলের সাগরে তরী বেয়ে চলছিল।

কাশ্মীর নিয়ে সেই ১৯৪৮ সনে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে প্রথমে যুদ্ধ শুরুর পর বাকী যুদ্ধ ও সংঘাতগুলোতে ভারত জড়িয়ে পরলেও তারা নীজেদেরকে বেশ নিরাপদ দুরত্বে রাখতে পেরেছিল । পক্ষান্তরে আফগানিন্তান ও কাশ্মীর উস্যুতে পাকিস্তান নীজেদরকে তাবত দুনিয়ার কাছে একটি জংগী মদদ দানকারী দেশ হিসাবে তুলে ধরেছে।পাকিস্তানে শাসক বদলেছে ঘন ঘন, কিন্তু কাশ্মীর প্রশ্নে তাদের নীতির ধারাবাহিকতায় কোনও ছেদ পড়েনি। ইদানীং শ্রীনগর বা বারামুলায় যে কোনও বিক্ষোভ হলে তাতে পাকিস্তান বা ইসলামিক স্টেটের পতাকা নাকি চোখে পড়েছে অহরহই ।

ভারত এ দিনটির জন্যই অপেক্ষা করছিল । পাকিস্তানের জঙ্গী তৎপরতাকে আরো জোরদার করার জন্য যত প্রকারের ইন্ধন দানের প্রয়োজন ছিল ভারত তা বেশ ভাল ভাবেই যোগিয়ে গেছে। কাশ্মীর অভ্যন্তরে পাকিস্তানি মদদে পরিচালিত জঙ্গী দমনের অযুহাতে সেখানে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতার বিষয়টি ভারত দুনিয়ার বুকে তাদের শান্তি প্রতিষ্ঠার কার্যকলাপ বলেই প্রচার করেছে । অপর দিকে বিদেশী ঋনের বুঝা মাথায় নিয়ে পাকিস্তান সামরিক দিক দিয়ে কিছুটা শক্তি সামর্থ অর্জন করলেও রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে খুবই নাজুক অবস্থায় পৌঁছেছে। ভারত এই সুযোগটিই এখন নিয়েছে ।

তবে বলা যায় ভারত সরকার যদি কাশ্মীর সমস্যাকে বলপূর্বক দমন না-করে গণতান্ত্রিক পন্থায় মীমাংসা করার চেষ্টা করত তাহলে হয়তো পরিণাম অন্য রকম হত। কাশ্মীরের স্বাধীনতা আন্দোলনের যে রূপ আজ দাঁড়িয়েছে তা সেই ব্যর্থতারই প্রতিফলন - যদি অন্য রাস্তা সফল হত তাহলে হয়তো এই আন্দোলনে জঙ্গী রূপ একেবারেই থাকত না । পলিটিক্যাল মোবালাইজেশনের চরিত্রটাই এমন, যে অন্য কোনও স্ট্র্যাটেজি বা গণতন্ত্রীকরণ যখন কাজ করে না তখন বেশির ভাগ রাজনৈতিক সমস্যাই ধর্মায়নিক সমাধানের দিকে ঝোঁকে, এখন দুদিকেই দুই কট্টরপন্থী ধর্মান্ধ গুষ্ঠি । আজকেও জুম্মার নামাজের পরে সান্ধ আইন ভংগ করে কাশ্মীরিগন তাদের স্বাধিকার হরনের বিরোদ্ধে শ্রীনগরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে, অপরদিকে ভারতীয় ধর্মান্ধ সমর্থিত সরকারও তা দমনের জন্য যা যা ব্যবস্থা নেয়ার তা নিচ্ছে । সেখানে শান্তি যে সুদুরের রাস্তা তাও আজ পরিস্কার হয়ে গেছে সকলের কাছে ।

এখন কাশ্মীর সমস্যার এমন কোনও পর্ব নেই যেখানে ফিরে গিয়ে আমরা বলতে পারি এখান থেকে সমস্যাটা আবার রিসেট করা যায় । আজ যদি কাশ্মীরে গণভোট হয় কিংবা পাকিস্তান তাদের দিকের কাশ্মীর থেকে সরেও যায় - তাতে কোনও সমস্যার আদৌ সমাধান হবে বলে মনে হয় না । আর পাকিস্তানের ফিরে যাওয়ার কোন পথও নাই পাকৃতিক কারণেই ।

উজানের কাশ্মীর থেকে আসা পঞ্চ নদীই যে পাকিস্তানের শস্য ভান্ডার খ্যাত পাঞ্জাব ও সিন্ধু অববাহিকর প্রাণ , তাই কাশ্মীর ইস্যু হতে পাকিস্তান কোন মতেও পিছু হটে আসবেনা, নীজেদরই বাচা মরার প্রশ্নে । ভারত ও পিছাবেনা তাদের অবস্থান হতে ।

এছাড়াও সংঘাতময় কাশ্মীর ইস্যু তাজা থাকলে ভারত পাকিস্তান দুদেশেরই আরো একটি লাভবান মঝাদার দিক আছে , তা হলো কাশ্মীরের অধিবাসী পরিচয় দিয়ে একটু উর্দু হিন্দি বাতচিত জানা থাকলে কোন মতে দেশ পারি দিতে পারলে পাশ্চাত্তের ধনি দেশগুলিতে রাজনৈতিক আশ্রয় লাভের সুযোগতো থেকেই যায় , পাশ্চাত্তের ধনি দেশগুলিতে এমনতর ভারতীয় ও পাকিদের বেশুমার সংখ্যাও রয়েছে। তবে হত দরিদ্র প্রকৃত কাশ্মীরবাসিগন দেশান্তরী হতেও পারেনা আর রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে বিনা আয়েসে সে সব দেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করে উন্নত জীবন যাপনের সুযোগটিও নিতে পারেনা , ফলে তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে অন্যরা সুযোগটি নিলেও প্রকৃত কাশ্মীরিগন চীর দুখিই থেকে যাচ্ছে ।

যাহোক, এটা সত্য যে কাশ্মীরের বেশির ভাগ মানুষ শান্তিতে থাকতে চান ও নিজের জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান - আর তারা জানেন শিক্ষা-স্বাস্থ্য-কর্মসংস্থান-উন্নয়নই সেই অগ্রগতির মাধ্যম, এর জন্য বর্তমান ও ভবিষ্যত অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে স্থানীয় কাশ্মীরীদের নীজেদেরকেই তাদের চলার পথ বেছে নিতে হবে, হয় দু'দিকের দুই স্বার্থান্বেসিদের সৃষ্ট দীর্ঘকালীন সংঘাতময় পরিবেশের জীবন, না হয় শন্তিপুর্ণ পন্থায় জীবন যাপন করে নীজেদের অগ্রগতি সাধন ।

ধন্যবাদ মুল্যবান তথ্য সমৃদ্ধ লেখাটির জন্য ।

১০ ই আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৪:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



পানি নিয়ে পাকিস্তানের জীবন-মরণ সমস্যা; তারা ভারতের মতো ভয়ংকর অমানবিক প্রতিবেশীকে বিশ্বাস করে, পানির দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে, অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে রাজী হবে না।

কাশ্মীরের মানুষকে আজকের জন্য বাঁচতে হবে, তাদেরকে অলৌকিক স্বাধীনতার জন্য প্রতিদিন অপেক্ষা করা সঠিক হবে না।

২৮| ১০ ই আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৪:০৬

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: সারা বিশ্বে এখন ভারত পাকিস্তানের চেয়ে অনেক বেশী সামনে;
কাশ্মীরকে পুরোপুরিভাবে দখল করে নেয়ার জন্য এখনই সঠিক সময়।

..........................................................................................................
আমরা ভুলে যাইনি , এক সময়ের সিকিম কিভাবে বিলীন হয়ে গেল ।
আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে দুর্বল হলে পার্শ্ববতী দেশ নানা অজুহাতে গিলে খাবে ,
অতীতের রের্কড তাই বলে ।
আমাদের গভীর সমুদ্রবন্দর এবং জিডিপি বৃদ্ধি, কিছু কিছু দেশের জন্য অত্যন্ত মাথাব্যথার কারন
হয়ে পড়েছে, সে কারনে আমাদের উপর দিয়ে রোহিঙ্গা ঘোড়া চালায়ে দিল ।
"দেখা যাক বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মেরুদন্ড কিভাবে সোজা করে !!!?
........................................................................................................................

এখন, সঠিক সমাধান হবে, তিনটি কাশ্মীরকে এক করে একটি স্বাধীন রিপাবলিক গঠন করা।
..................................................................................................................................
বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাধঁবে কে ???

১০ ই আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৪:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:


ওগুলো যদিও বিড়ালের মতো মিউমিউ করে, ওগুলো আসলে হায়েনা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.