নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বোধের থলিতে শুধু জমে শূণ্য আনাকড়ি
বার বার উদ্ধত শির
লজ্জায় নেতিয়ে পরে মৃত্তিকা ধুলায়
কর্মহীন বেলা শেষের সাঁঝ যেন;
আঁধার কালিমা গায়ে মেখে নির্লিপ্ত শরীর
রাতের কাছে বিনা দ্বিধায় সমর্পিত।
আকাশও...
জলমাকড়ষা ছায়া জলে হেঁটে যায় সন্তর্পণে
ভেবে ভেবে আর খোঁজ করা হল না
খোলা আকাশে মেঘ নেই বলে,
উধাও হয়ে গেল যে কখন? জানতে পারেনি কেউ
মেঘ নিলীমায়
বেশ তো...
কবিতার ঐ প্রদ্যুষ বিরহ
ইচ্ছা কেন জাগে?
মনের থরে থরে, নরম ঐ বকের পিঞ্জরে
সদাই চাওয়া।
এমনি এমনি সদাই চাওয়া
হাত উঁচিয়ে, বুক চেতিয়ে,
নত শিরে, ভালোবাসা; ক্ষুধার তরে
বাঁচার...
তোর জন্যই তো তৃঞ্চাবোনা
মেঘ ধিয়ানে,
তৃঞ্চায় কাতর চাতক চাতকি।
বসন্তের সৌম্য সারথি, ভালোবাসা! আবার ফিরে গেল
তপ্তধ্যানে মগ্ন রৌদ্র খোরা শরীরে চেপে
মৌনতা ধিয়ানে
স্বপ্ন পুনঃজন্মে; প্রেম ভিক্ষা চেয়ে...
বৈশাখে শিলা বৃষ্টি
মেঘের গায়ে ঝড় মেখে
বৃষ্টি এল ঝমঝমা ঝম,
বৃষ্টির ফোটায় বরফ কুচি
টিনের চালে টপটপা টপ।
থেতলে যায় পুঁই মাচা
ধুলো ভিজে কাদা,
চড়ুই ঝাঁকের কিচির মিছির...
স্বপ্নখরা ক্রান্তিকাল
ধ্বংসের মাসুল গুনতে
বিদেহি কাল; কত আর কাঁদবে বল?
যুগের পর যুগ যায়
ভূতলে ধুলার আবিরে ঢাকা পরে,
কালের পরিক্রমায়
বার বার মৃত্যু শুধু ইতিহাসের সাক্ষী;
এমন সবুজ...
অপেক্ষার এক অসয্য প্রহর
অপেক্ষার এক অসয্য প্রহর
পারি দিতে;
অচেনা পথের প্রান্ত সীমা মনে করে দেয়
প্রচ্ছদ যে, কাঠবিড়ালীর চঞ্চলতার মতো
চমকপ্রদ বটে!
পথিকের সাথে পথ হাঁটা; বাউল বিভাস
গুনগুনিয়ে আপদমস্তক জুড়ে
বৈরিতা...
দ্বিচারিনী উম্মক্তায়
দৈতরূপে কি মানুষ বাঁচে?
বাঁচে, তোমাকে না দেখলে জানা হতো না
জেনেছি বলে ফুলকে আজ তীর্যক বাসনাহিন
কাগজের ফুল মনে হয়।
তুমি কি পুঞ্জিভূত সত্তার অভিষারিনী?
কত রুপে কত কামনায়?
তোমাতে তোমার নেই জানা; যেন...
গত সাতদিনের মতো আবারও বৃষ্টি জন্য পথ চাওয়া
সেদিন দুপুরে
সেদিন দুপুরে প্রখর রৌদ্দুর তাপ
চারিদিকে গরম বাতাস বইতে ছিল, ঠিক মাথার উপর সূর্য
তীর্যক আলোর ফলা যেন,
মৃত্তিকা দহনে ফেটে চৌচির।
শুষ্ক খরায়...
বোশেখের আড়ম্বর রসে ভরা পিপাসার সুখ
বোশেখের খরা। তপ্ত দিন বলে, তৃঞ্চার হুটোপুটি। বাতাসে মাতাল মেঘে, ছড়িয়ে যায় পিপাসার পয়গাম। ঐ যে, সবুজ গেরাম ছিল। তা এখন রোদে পোড়া রুক্ষ।...
সনাতন মাটি
রক্ত ভোগী সনাতন সেই মৃত্তিকা আজও
তাজা রক্ত শোষণে সদা তৎপর;
তোর দেহে কত গ্যালন রক্ত ধরের সনাতন মাটি?
তুই না জননী আমাদের সবার;
মা বলেই কি এত সয্য...
আজীবন, বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা
আমার কথা ছাড়, এমন খরায় খড়কুটোর মতো
তোমার ছায়া খুঁজি;
মহীরুহু ছায়ার মতো ছিল,যে ছায়া ভুতলের বেঁচে থাকার স্বপ্ন প্রত্যয়
সাহারায় ধু ধু মরীচিকার উপরে একচিলতে মেঘের ছায়া যেন!
রোদে পোড়া...
মেঘের ছায়া
বোশেখের তীব্র, রোদ্দুর তাপ
এক খন্ড মেঘ চাই;
আসুক না হয় দক্ষিণা বাতাসে
ভেসে ভেসে রুক্ষ নগর জুড়ে
এক খন্ড মেঘে ছায়া চাই;
উতল আকাশ জুড়ে তাই তো
চঞ্চল মেঘ ছায়া ধরে, ছুটে চলে দিক...
ফেলে আসা কোন এক বোশেখ
ফেলে আসা কোন এক বোশেখ
হটাৎ ভর দুপুরে, আচমকা ঝমঝমাঝম বৃষ্টি এসেছিল
বড় বড় বৃষ্টির ফোটা,
উঠানে ঝুলানো কাপড় ভিজে সারা
রোদে পোড়া ভিজে জল ছিল স্বস্তিদায়ক বটে।
উঠানে ধুলি মাখা...
চৈত্র সংক্রান্তির রাত
বছর জুড়ে তাবর দাব দাহ
যত গ্লানি, প্রদাহ!
স্বপ্নের বেলুন উড়তে উড়তে
কতগুলো যে চুপসে গেছে?
তবও স্বপ্ন বেলুন উড়ে,
আশা জাগানিয়া ভরসার ছবি আঁকে।
রৌদ্র পোড়া ঝলমোলানো দিন শেষে
নামবে যখন সংক্রান্তির পূর্ভা রজনী
স্মৃতির...
©somewhere in net ltd.