নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুচ্ছ কবিতা-৫
শীতের রং
মাঠ জোড়া হলুদ রঙ মাখা
মৌমাচিরা গুনগুনিয়ে মধু রসে রাঙা।
রাঙা বেশে ফড়িং উড়ার খেলা
প্রজাপ্রতির ঝাঁক সঙ সাজে বসেছে যেন মেলা।
মেলা বসেছে হাট বাজারে
পিঠা পার্বন আর গাজীর গানের আসর।
প্রত্যহ কাল!
অতঃপর...
গুচ্ছ কবিতা-৪
শীতের সকাল
কুয়াশায় ঢাকা,
সকালের সোনা রোদ; চুপি চুপি ছিটে ফোটা রৌদ্র
পৌষের শীতে বিনুনী বাঁধে।
ধুয়া উঠা জলে জল কেলী
হাসের ছানাদের; ডুব সাঁতারে জেগে উঠে ঐ
পানকৌড়ি পদ্মপাতার ভাঁজে।
শীতের পিঠা
ধুঁয়া উঠা উনুনের চাল,...
গুচ্ছ কবিতা-৩
বিশুদ্ধ
ফেরা হল না আর,
নদীর মতো
এঁকে বেঁকে চলতে চলতে
সাগরের দিশা ভুলেছি;
নুন জলে,
বিশুদ্ধ হওয়া আর হলো না।
মৃত্তিকায় জল
একদিন ভাবনায় ছিল বৃষ্টির জল। মৃত্তিকা তার শরীর চুপসে একাকার। মেঘ মোল্লার আনা গুনো...
প্রত্যহ
মিথ্যা চরাচরে,
ছলচাতুরি বাসা বেধেছে
দিন গরিয়ে সন্ধ্যা নামে
অতি সাধারন বেসে।
কেই ছুঁতে পারে না তাকে,
ধরতে যাওয়া; সেও বোকামি
তবু তাকেই প্রত্যহ দেখতে হয়
একই রুপ ভোজে ঘুম নামে শেষে।
আকুলতা
তবুও দম্ভ মুছে না মনে
দমে না...
নতুন কোন কিছু
সে তো,
নতুন ছিল বরাবরই
কবিতার শরীরের মতো
কালে কালে;
না না রুপে না না বেশে
যুগে যুগে।
ধাতব পদার্থের মতো
মরিচা ধরেনি কোন কালেই।
আসবে বলে ফিরে,
নতুন ঝড়ো বাতাস বইয়ে
আঁধার কি আলো?
তা তো জানা নেই...
জনম আর কত জনম পরে?
দিন বদলের কাব্যকথা
শুধু স্বপ্নের জাল বুনে; পাতা ঝরার মতো
পৌষ শীতে নিঃস্ব হতে হয়, বারং বার, ফির বছর।
কোন ইতিহাসের প্রেক্ষিত
পরিবর্তন আসবে পৃথিবীতে! সাম্যের ইতিহাস কই?
ইতিহাস তো শুধু...
নগর সভ্যতায় ফুটপাতের বিমর্স সম্ভ্রম
নতুন করে পৌষ এল বলে,
ঠান্ডা নাকি একটু বেশী?
কাগজ, পাতা, পুড়িয়ে ইটের উনুনে
ধুঁয়ার কুন্ডলি ফুটপাত জুড়ে।
ময়লা কম্বলে থুথথুরে বুড়িটার
খক খক করে কাশির জোর বাড়তেই থাকে
রাত যতই বাড়ে...
বাতাস তার বয়ে চলা
বাতাস ধেয়ে গেল
শূণ্য খালি পথে; অনেক দিন ঐ পথে
পথ মাড়ায় না বোধ হয়।
ঐ পথে বাতাস তাই
গুন গুনিয়ে গান গেয়ে পথ চলে।
বাতাস প্রতি মহুর্তে,
কত পথ যে মাড়ায় তার...
বেওয়ারিশ কবিতার ব্যবচ্ছেদ
বুঝতে চায় না
অনেকে আবার না বুঝার ভান করে
আবার বুঝেও বুঝতে চায় না।
এমনও হয়, বুঝতে চায়নি বলে
এখন মনো কষ্টে অন্তরালে
কবিতার সাথে বসবাস; জীবনবোধ
যাপিত জীবন এমনি মাপ যোক ছাড়া
আবার এমনও...
পৌষ এসেছে
হলুদ আভায় রাঙা ক্ষেত
পৌষ শীতে মানায় বেশ
শিশির ঝরে উড়ে কুয়াশা
সূর্যের মুখ যায় না দেখা।
শিশির ধোয়া শিউলী ঝরে
সবুজে ঘাসে চুপটি করে
কাঠবিড়ালী লেজ উঁচিয়ে
ইটিস পিটিস চেয়ে ছোটে।
পৌষের শীত উত্তরের হাওয়া
ঠোঁটে কাঁপন...
পৌষ পার্বন
খেঁজুর গাছে
মাটির হাঁড়ি,
ঠোঁট ভিজিয়ে
লঙ্খি পেঁচা।
উনুন জ্বলে
মিঠা রসের
খড়ের চালে
ধুয়া উড়ে।
বৌ ঝিদের
বাপের বাড়ি,
মিঠা রসের
পিঠা পুলি।
আছসে পৌষ
শীত জড়িয়ে,
পৌষ পার্বনে
ওম কুড়াতে।
১৪২২/৫,পৌষ/শীতকাল।
এমন নন্দন নেশা
ঘন কুয়াশার চাদরে, শিশি ভেজা ঘাস ধুলো
আমলকি বন; শাখা প্রশাখায় পত্র বিনে গায়ে
ঠান্ডা বিদ্রুপ বাতাস খেলে যায়
গা সহা তাই শিহরণ; কুয়াশার অবয়ব সাজে
যেন তারই চাদর জড়ানো গায়ে বিরহী...
পৌষের সাঁঝরাত
বেলা গড়িয়ে কখন ঢলে পরেছে
দিনের আলো; কেমন যেন গাঢ় ঘন হতে হতে
আলো ফুরিয়ে গেল সাঁঝে।
পথে মাঝে দারিয়ে পথিককে
চেনা যায় না; যেন ভুত!
ধুঁয়ার আবির ঠেলে বেড়িয়ে আসছে
পা আর মুখ দেখা...
©somewhere in net ltd.