নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারু মৃন্ময়

চারু মৃন্ময় › বিস্তারিত পোস্টঃ

চলেছ পথিক আলোকযানে

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩০

(এই লেখা সত্য ঘটনা )

অফিস এর কিনে নেয়া সময়ে হাজিরা দিতে হুড়া-হুড়ি, ছুটাছুটি সক্কাল সক্কাল। নিজের দাস চেহারাটা রোজ ভেংচি কাটে এই সময়ে। রিকশা থেকে জ্যামের শুরুতে নেমে কিলো দুই হাঁটা দেই। হাঁটা নাকি দৌড় বুঝা মুশকিল, মনে হয় প্রভাতী শরীরচর্চা করছি। ফারাকটা শুধু পোষাকে। পরনে থাকে কর্তৃপক্ষের পছন্দমাফিক পোষাকের প্রহসন আর হাতে ইট-ভারী ল্যাপটপ ও অনুষঙ। ঘড়ি দেখি আর আর নিজেকে বলি -দে দৌড়! কান ধরে ঝোলা ইয়ার ফোনে রক মিউজিক বাজলে কখনো, সহসা নিজেকে হলিঊডি সিনেমার নায়ক নায়ক লাগে; যখন বড় রাস্তার বাস-গাড়ী আর রিকশা-মোটরসাইক কটিয়ে-কুটিয়ে কাবাডি খেলার মতো চিপা-চুপা দিয়ে ছুটে চলি। আজকে ঘটনাক্রমে বাজতেসিলো 'ইটস মাই লাইফ'।

আজকে জ্যাম শে্য হইসে যেই মোড়ে, সেখানেই এক হিউম্যান হলার (টেম্পু) লোক তুলছিলো। আমার পথে কিছুটা আগানো যাবে ভেবে তাকিয়ে দেখি বাহনের ভেতরে একেবারে দরজা ঘেষে এক সুন্দরী মেয়ে বসা, মনে হলো ক্লাসে যাচ্ছে। গায়ের রঙ এতো সুন্দর শ্যামলা যে আমার কলিজায় চাক্কুর ঘাই খেতে মুহুর্ত লাগলো না। শ্যাম বর্ণ ছিপছিপে কইন্যারা আমার অনেক বড় দুর্বলতা। তার উপরে মেয়েটা মেকআপ করে নাই। চোখে একটু কাজল শুধু। চাক্কুর ঘাই না খাইয়া যাই কোথায়। অতিরিক্ত মেকআপ (যেমন দেখি চারিদিকে) জিনিসটায় আমার আবার বমি ভাব হয়। যাই হোক , তাকাতেই তার সাথে চোখাচোখি হলো। আমার চোখে থাকা ভালোলাগার ঘোরেই হোক কিংবা কোনো কেমিস্ট্রিই হোক; চোখাচোখি হতেই তার চোখ হেসে উঠলো , সাথে সেও। সুন্দর একটা মিচকা হাসি । আমিও হেসে প্রত্যুত্তর করলাম। তার পাশের যায়গা সহ ওই পুরা সিটটাই তখন খালি ছিলো। উঠতে উঠতে ইচ্ছা হলো তার পাশে বসি। কিন্তু টেম্পুতে যে চাপাচাপি করে বসতে হয়! গায়ে গা লাগবেই! তখন মেয়েটা আমার হাসি, চোখের মুগ্ধতা ইত্যাদি মিলায়ে যদি ভাবে আমি লুইচ্চামি করে তার গায়ে গা ঘষছি, তবে এই সুন্দর অনুভুতি আর মুহুর্তটা বিষাক্ত হয়ে যাবে । এই ভেবে পাশে বসার লোভ সামলে তার উল্টা দিকের সিটে বসলাম । বরং চোখের নিরব কথপোকথনের ভালোলাগাতেই না হয় এই পথে কুড়িয়ে পাওয়া সুন্দর সময়টা মোহিত করে যাক আমাদের।

লোকের অপেক্ষায় টেম্পু দাঁড়িয়ে আছে। একজন দুজন করে উঠছে। ওর পাশের যায়গাটাই দখল হলো সবার আগে। আমাদের চোখা-চোখি হচ্ছে বার বার ,চলছে দৃষ্টির লুকোচুরি খেলা আর খুব সুক্ষ ঠোঁটের কাজে হাসি বিনিময়। ফলে মন জুড়ে কবুতরের বাকবাকুম। অফিসের তাড়া, ঘড়ির কাঁটা কিছুই ভাবতে ইচ্ছা হচ্ছিলো না, মনে হচ্ছিলো যা হয় হোক। আর তখনই পাঁজ জন বয়স্ক মোটাসোটা মহিলা আর দুই জন লোকের একটা দল তাড়া হুড়ো করে টেম্পুতে উঠার জন্য ভীড় করলো, সীট খালি ছিলো ওই সাতটাই। লোক দুজন ওর পাশের সীটে বসলো আর মহিলা দল আমাকে বললো- ‘এইযে, আফনে চাপেন তো, আমরা মহিলারা এক লগে বসি’। কিছু আর করার নাই আমি চেপে গিয়ে বসতে বাধ্য হলাম টেম্পুর একেবারে ভেতরে । খানা-পিনা ওলা ঘরের ওই বয়স্ক মহিলারা উঠে বসার পরে একপাশে টেম্পুর ধাতব দেয়াল আর অন্যপাশে সবচেয়ে মাচো আর হোৎকা মহিলার মাঝে কোনো মতে চ্যাপ্টা হয়ে বসে রইলাম। এই ছিলো কপালে! হাল্কা মন খারাপ করে বসে আছি। এখান থেকে মেয়েটিকে হঠাৎ হঠাৎ দেখা যায় মানুষের ফাঁক গলে । এমনি এক সুযোগে ওকে দেখলাম উদাস দৃষ্টিতে চেয়ে আছে চলে যাওয়া রাস্তার দিকে। মনে মনে বললাম ভালোলাগা নিও।অফিস এর কিনে নেয়া সময়ে হাজিরা দিতে হুড়া-হুড়ি, ছুটাছুটি সক্কাল সক্কাল। নিজের দাস চেহারাটা রোজ ভেংচি কাটে এই সময়ে। রিকশা থেকে জ্যামের শুরুতে নেমে কিলো দুই হাঁটা দেই। হাঁটা নাকি দৌড় বুঝা মুশকিল, মনে হয় প্রভাতী শরীরচর্চা করছি। ফারাকটা শুধু পোষাকে। পরনে থাকে কর্তৃপক্ষের পছন্দমাফিক পোষাকের প্রহসন আর হাতে ইট-ভারী ল্যাপটপ ও অনুষঙ। ঘড়ি দেখি আর আর নিজেকে বলি -দে দৌড়! কান ধরে ঝোলা ইয়ার ফোনে রক মিউজিক বাজলে কখনো, সহসা নিজেকে হলিঊডি সিনেমার নায়ক নায়ক লাগে; যখন বড় রাস্তার বাস-গাড়ী আর রিকশা-মোটরসাইক কটিয়ে-কুটিয়ে কাবাডি খেলার মতো চিপা-চুপা দিয়ে ছুটে চলি। আজকে ঘটনাক্রমে বাজতেসিলো 'ইটস মাই লাইফ'।

আজকে জ্যাম শে্য হইসে যেই মোড়ে, সেখানেই এক হিউম্যান হলার (টেম্পু) লোক তুলছিলো। আমার পথে কিছুটা আগানো যাবে ভেবে তাকিয়ে দেখি বাহনের ভেতরে একেবারে দরজা ঘেষে এক সুন্দরী মেয়ে বসা, মনে হলো ক্লাসে যাচ্ছে। গায়ের রঙ এতো সুন্দর শ্যামলা যে আমার কলিজায় চাক্কুর ঘাই খেতে মুহুর্ত লাগলো না। শ্যাম বর্ণ ছিপছিপে কইন্যারা আমার অনেক বড় দুর্বলতা। তার উপরে মেয়েটা মেকআপ করে নাই। চোখে একটু কাজল শুধু। চাক্কুর ঘাই না খাইয়া যাই কোথায়। অতিরিক্ত মেকআপ (যেমন দেখি চারিদিকে) জিনিসটায় আমার আবার বমি ভাব হয়। যাই হোক , তাকাতেই তার সাথে চোখাচোখি হলো। আমার চোখে থাকা ভালোলাগার ঘোরেই হোক কিংবা কোনো কেমিস্ট্রিই হোক; চোখাচোখি হতেই তার চোখ হেসে উঠলো , সাথে সেও। সুন্দর একটা মিচকা হাসি । আমিও হেসে প্রত্যুত্তর করলাম। তার পাশের যায়গা সহ ওই পুরা সিটটাই তখন খালি ছিলো। উঠতে উঠতে ইচ্ছা হলো তার পাশে বসি। কিন্তু টেম্পুতে যে চাপাচাপি করে বসতে হয়! গায়ে গা লাগবেই! তখন মেয়েটা আমার হাসি, চোখের মুগ্ধতা ইত্যাদি মিলায়ে যদি ভাবে আমি লুইচ্চামি করে তার গায়ে গা ঘষছি, তবে এই সুন্দর অনুভুতি আর মুহুর্তটা বিষাক্ত হয়ে যাবে । এই ভেবে পাশে বসার লোভ সামলে তার উল্টা দিকের সিটে বসলাম । বরং চোখের নিরব কথপোকথনের ভালোলাগাতেই না হয় এই পথে কুড়িয়ে পাওয়া সুন্দর সময়টা মোহিত করে যাক আমাদের।

লোকের অপেক্ষায় টেম্পু দাঁড়িয়ে আছে। একজন দুজন করে উঠছে। ওর পাশের যায়গাটাই দখল হলো সবার আগে। আমাদের চোখা-চোখি হচ্ছে বার বার ,চলছে দৃষ্টির লুকোচুরি খেলা আর খুব সুক্ষ ঠোঁটের কাজে হাসি বিনিময়। ফলে মন জুড়ে কবুতরের বাকবাকুম। অফিসের তাড়া, ঘড়ির কাঁটা কিছুই ভাবতে ইচ্ছা হচ্ছিলো না, মনে হচ্ছিলো যা হয় হোক। আর তখনই পাঁজ জন বয়স্ক মোটাসোটা মহিলা আর দুই জন লোকের একটা দল তাড়া হুড়ো করে টেম্পুতে উঠার জন্য ভীড় করলো, সীট খালি ছিলো ওই সাতটাই। লোক দুজন ওর পাশের সীটে বসলো আর মহিলা দল আমাকে বললো- ‘এইযে, আফনে চাপেন তো, আমরা মহিলারা এক লগে বসি’। কিছু আর করার নাই আমি চেপে গিয়ে বসতে বাধ্য হলাম টেম্পুর একেবারে ভেতরে । খানা-পিনা ওলা ঘরের ওই বয়স্ক মহিলারা উঠে বসার পরে একপাশে টেম্পুর ধাতব দেয়াল আর অন্যপাশে সবচেয়ে মাচো আর হোৎকা মহিলার মাঝে কোনো মতে চ্যাপ্টা হয়ে বসে রইলাম। এই ছিলো কপালে! হাল্কা মন খারাপ করে বসে আছি। এখান থেকে মেয়েটিকে হঠাৎ হঠাৎ দেখা যায় মানুষের ফাঁক গলে । এমনি এক সুযোগে ওকে দেখলাম উদাস দৃষ্টিতে চেয়ে আছে চলে যাওয়া রাস্তার দিকে। মনে মনে বললাম ভালোলাগা নিও।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আহ!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.