নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারু মৃন্ময়

চারু মৃন্ময় › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাঝ রাতের গল্প (১৬ +)

০১ লা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৯

সালটা তখন ১৯৯৮। আমরা সবে ক্লাস নাইনে ঊঠেছি। তখন ঘরে ঘরে কম্পিউটার ছিলো না। যাও ছিলো তা বড়দের দখলে । আমাদের জন্য বরাদ্দ ছিলো গেম খেলা , মাঝে মধ্যে সিনেমা বা মিউজিক ভিডিও। পর্ণ ভিডিও দেখা তখন আমাদের বিরাট বড় গোপন এডভেঞ্চার। ক্লাসের গোপন আড্ডায় কিংবা রাতে গোপনে চটি পড়ি, প্লেবয় এর কার্ডস দেখি । ভিডিও ফরম্যাটে দেখা আয়োজনের ব্যাপার। সিনেমা হলে গিয়ে গোপনে কিংবা কারো বাসায় গোপনে কম্পিউটার এর দখল পেলে তবেই ভিডিও দেখার সুযোগ মেলে।

তো এমন সময় আমার বন্ধু রকি'র(ছদ্মনাম) বাসার সবাই এক রাতের জন্য গেছে বেড়াতে কোনো এক আত্মিয়ের বাসায় । রকি যায়নি পরীক্ষা সামনে এই বাহানায়। তো খালি বাসা পাহারায় রকি। একা বাসা, আর তার বড় ভাইয়ের নতুন কেনা পিসি যার আবার ১৭ ইঞ্চি মনিটর। আর যায় কোথায় ! ভুত থেকে ভুতে আমরা গোপন দাওয়াত পেলাম । সবাই একটা করে পর্ন সিডি নিয়ে আসবো , সারা রাত পর্ণ দেখবো সাথে আড্ডা। আমরা বাসায় নানান ভুজুং-ভাজুং দিয়ে বিড়ি কোক কিনে পার্টি মুডে গেলাম ওর বাসায়, সবার কোমোরে গোজা পর্ণ সিডি। সাথে খাবার জন্য চাল, ডিম , ডাল নিয়ে এসেছি। ওর বাসায় তো বলা যাবে না আমরা এতোজন ছিলাম রাতে। তাই খাবার আয়োজন আমারাই করবো ঠিক করেছিলাম ।

আমরা মোট ৫ জন। শিহাব ভাত রান্না করে ফেললো। এদিকে আমদের তো আর ধৈর্য ধরার সময় ছিলো না । শুরু হয়ে গেলো শো , তাও সশব্দে। আহ কি স্বাধীন! কি আনন্দ! আমাদের আনন্দ দেখে কে। কোনটা রেখে কোনটা দেখবো তাই নিয়ে কথা চলছে, সিডি বদল চলছে। আর আমাদের হোস্ট রকি, ভালো ছাত্র, এগুলো যা একটু আমাদের সাথে মিশে শিখছে। ও হাঁ করে গিলছে আর গিলছে যেটাই চলুক না কেনো। আর হাত তো রানের মাঝে ফিক্সড। আমার কাজ ছিলো ডাল রান্না , আমি ডাল সেদ্ধ বসিয়ে রকিকে বললাম কিচেনে কোথায় পেঁয়াজ, মরিচ, রসুন আছে বের করে কেটে দিতে। কাটা কাটি আর ডিম ভাজি ছিলো রকির কাজ। ও গাই গুই করে ঊঠে তাড়া-হুড়ো করে পেঁয়াজ মরিচ কেটে দিলো । আমি ডাল রান্না করলাম আর ও করলো ডিম ভাজি। আমরা শো চালিয়েই খেয়ে নিলাম। খাওয়ার ফাঁকে দেখি সবার প্যান্ট এর মাঝখানে তাবু উত্থিত।

প্লেবয় এর খুব সেক্সি এক নতুন মডেল এর স্ট্রিপিং আর মাস্টারবেসন এর ভিডিও দেখলাম। আমাদের যে কি অবস্থা তখন! এরপর শুরু হলো হার্ডকোর পর্ণ। আমাদের সবার নিশ্বাস ভারী। রকি আর সইতে পারলো না । বাথরুমে ছুটে গেলো । গিয়ছে মাত্র , তখনই শুনি ভেতর থেকে চিৎকার । গেলো রে গেলো রে , জ্বইলা গেলো রে। আগুন লাগলো কিনা এই আতংকে আমরা ছুটে গিয়ে দেখি ও দরজা খুলে না। আমরা জিজ্ঞেস করলাম কি হইসে । ও বলে পরে কইতাসি আগে একটা লুঙ্গি, কিচেন থাইকা একটা বাটি আর ফ্রিজ থাইকা বরফ নিয়া আয় । আমরা কি হয়েছে না বুঝেই বরফ ,বাটি ও লুঙ্গি বাথরুমে চালান করলাম । অনেকে তখনি হাসা হাসি শুরু করলো কি হইসে এই কল্পনায়। কিছুক্ষন পরে ও বের হয়ে এলো বাটির বরফ ঠান্ডা পানিতে ওর 'টাকি মাছটা' চুবিয়ে রেখে। ঘটনা হলো , ও যে মরিচ কেটেছিলো ডিম ভাজি আর ডাল এর জন্য, তখন ঠিক মত হাত ধোয় নাই তাড়াহুড়া করে। বাথরুমে ঢুকে মাস্টারবেট করতে গিয়ে মরিচ লেগেছে 'মোরোগের ঝুটি' তে ।

এর পর আমরা বাকি রাত পর্ন দেখলাম , আর ও বাটিতে টাকিমাছ চুবিয়ে রেখে আহ-উহ করে শেষ রাতে কোনো মতে ঘুমাতে গেলো।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৬

বিজন রয় বলেছেন: হা হা হা

২| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:১২

রানা আমান বলেছেন: ;) ;) ;)

৩| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৯

আলী বলেছেন: বাটিতে টাকিমাছ চুবিয়ে রেখে আহ-উহ করে শেষ রাতে কোনো মতে ঘুমাতে গেলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.