নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনের সকল কথাগুলো যদি আরও গুছিয়ে লেখতে পারতাম...

মাকার মাহিতা

কবি হবো...

মাকার মাহিতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরা ঢাকায় চলাচল করি, এই সমস্যা গুলো আবলোকন করি

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫৯

কয়েকটি নির্দিষ্ট সমস্যা দৃশ্যমানঃ

১। যত্রতত্র পার্কিং।
২। পাবলিক বাসগুলো যত্রতত্র যাত্রী উঠানামা করানো।
৩। লেন না মেনে গাড়ি চালানো।
৪। ট্রাফিক সিগনাল অমান্য করা।
৫। পথচারী পারাপার/জেব্রাক্রসিং না ব্যবহার করে রাস্তার মাঝদিয়ে দৌড়।
৬। রিকশা গুলো সব এলোপাথারি চলাচল।
৭। ট্রাফিক সিগনাল এর অপ্রতুলতা।
৮। প্রশিক্ষিত চালকের অভাব।
৯। নাগরিক সচেতনাতার অভাব।
১০। ফিটনেসবিহীন যান চলাচল।
১১। মহাসড়কে স্বল্পগতির যান চলাচল।
১২। সড়ক/মহাসড়কে নাই কোন নিদিষ্ট গতিসীমা।
১৩। জরিমানার সুষ্ট ব্যবস্থাপনা।
১৪। ঘুস দিয়ে চালকের লাইসেন্স/গাড়ীর লাইসেন্স ইত্যাদি সহজলভ্যতা।
১৫। চালকের জন্য প্রশিক্ষণ ক্লাসের কোন ব্যবস্থা নাই।
১৬। রিকশা/স্বল্প গতির যানবাহন আলাদা লেনে/রাস্তায় চলে না।
১৭। নগরে, নাগরিক ও যানবাহন এর তুলনায় রাস্তা সংখ্যা কম।
১৮। একমূখী চলাচল রাস্তা নাই, থাকলেও খুবই কম।
১৯। নগরের রাস্তা যে গুলো আছে তার সুষ্ট ও সঠিক কোন ম্যাপ নাই।
২০। সব লেভেল ক্রসিং -এ ফ্লাইওভার/পথচারী পারাপার ব্রিজ নাই।
২১। মহাখালী/গাবতলী/সায়দাবাদ এই তিন দুরপাল্লার বাসস্টেশন ঢাকার ভিতরে। বিভাগ ভাগ করে আরও কয়েকটা দুরপাল্লার বাসস্টেশন স্থাপন করা প্রয়োজন। যাতে ঢাকার ভিতরে বাসের চাপ কমে।
২২। পন্যবাহী ট্রাকগুলো ঢাকায় ঢুকে যার দুরুন রাস্তা গুলো নষ্ট হয়ে যায়।
২৩। কাওরান বাজার পাইকারি আড়ৎ সহ আরও যেসকল আড়ৎ ঢাকার ভিতরে সেগুলো ঢাকার বাইরে স্থানান্তর করা নাই। করলে ঢাকার ভিতরে চাপ কমবে।

সর্বপরি, ঢাকার যানজট ও ট্রাফিক শৃক্ষলা ফিরিয়ে আনতে সুনিদিষ্ট রোডম্যাপ ও পরিকল্পনা গ্রহন করে যে সকল রাস্তা বিদ্যমান সেগুলোর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করে, ট্রাফিক আইন অমান্যকারীদের(চালক/পথচারী) আইনের আওতায় এনে, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার মাধ্যে যারা অসৎ তাদের চিহ্নিত করে, বিআরটিএ কে সঠিক পথে এনে, চালকদের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করে একটা মাষ্টার প্লান করা যায় কিনা তা খাতিয়ে দেখা দরকার। যা পারবে বর্তমান সরকার।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।
পয়েন্ট গুলো গুরুত্বপূর্ণ।
এই সমস্যা গুলো দূর করতে পারলে জ্যাম অনেকখানি কমবে।

ধন্যবাদ আপনাকে পোষ্টের জন্য।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৭

মাকার মাহিতা বলেছেন: জ্বি হ্যা, কথা সত্য বলেছেন। এই সমস্যা গুলো দূর করতে পারলে জ্যাম অনেকখানি কমবে।

কিন্তু, বিদ্রোহী ভৃগু'র ভাষ্যমতে স্বেত হস্তিদের কে নিয়ন্ত্রন করবে?

২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Ministry of Road Transport and Bridges
Road Transport and Highways Division
Bangladesh Road Transport Authority - BRTA Mirpur
Bangladesh Sarak Paribahan Corporation
Bangladesh Road Transport Corporation (BRTC)
transport - Planning Commission
Bangladesh police Traffic Division
Highway Police
DMP Traffic Division

অল্প সময়ে এই কটা পেলাম! আরো এমন বহু সংষ্থা অংগ সংস্থা রয়ে গেছে নিশ্চয়ই আড়ালে আবডালে!

এই এত এত শ্বেত হস্তিগুলারে জনগনের ট্যাক্সের টাকায় পোষা হয় কেন?
দায়িত্বে ব্যর্থতার কোন শাস্তি নেই?
সবশেষে সব দুর্ভোগ জনতার কপালে আর সব দোষ জনগনের!!!

কে চাইবে জবাব? কে দেবে জবাব??

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৬

মাকার মাহিতা বলেছেন:

সুত্রঃ উইকিপিডিয়া

আপনি যে প্রশ্ন গুলো করেছেন এগুলোর উত্তর আমার জানা নাই। মাননীয় সেতুমন্ত্রী, রেলমন্ত্রী, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী, মাননীয় নৌমন্ত্রী তিনারাই আপনার উত্তর সঠিক দিতে পারবেন।
কারন, ঐ স্বেত হস্তিগুলো তারা লালনপালন করেন।
আমরা আম জনতা কোন চে...বা...?

৩| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ঢাকায় দেখি গাড়ী বাস সবই থেমেই থাকে। অল্প একটু চলে আবার থেমে থাকে।
পৃথক বাস লেন থাকলে অন্তত একটি শ্রেনির গাড়ী (বাস) গতি বাড়বে। জটে পড়বে না।
আমেরিকার শহরগুলোতে মাঝে মাঝে বাংলাদেশের চেয়েও বড় জ্যাম হয়, কিন্তু পৃথক লেন থাকায় বাস সার্ভিস জ্যামে পড়ে না।
পৃথক বাস লেন দরকার জরুরি

এ নিয়ে আমার লেখাটি পড়ুন
নাগরিক চলাচল ভোগান্তি কমাতে আমার নিজস্য কিছু ভাবনা

৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৭

সনেট কবি বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৭

মাকার মাহিতা বলেছেন: ধন্যবাদ, সনেট কবি।

৫| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৪

মাকার মাহিতা বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু,

আমি যে ডায়াগ্রাম টা আপনাকে প্রতিউত্তর করলাম তা হয়তো সঠিক বুঝতে পারছেন না তার জন্য দুঃখিত। রেজুলেশন খারাপ দরুন বোঝা যাচ্ছে না। পরবর্তীতে ঐসব স্বেত হস্তীদের ক্লিয়ার করে উপস্থাপন করবো আশা করি।

ধন্যবাদ।

৬| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ!
ডায়াগ্রামটা বড় হচ্ছে না। আপনার বিস্তারিত পোষ্টের অপেক্ষায় রইলাম।

অযথাই মাথা ভারি প্রশাসনের নামে এক ভজঘট পাকিয়ে বসে আসে!
এর মাঝে কারো কোন দায় নেই। কারণ সরকারী চাকুরী জীবনেও যাবেনা। বড়জোর বদলী!
ফলে দায়হীন সরকারী একেকটা বিশাল শ্বেতহস্তী আমজনতার ঘাড়ে চড়ে নাদুস নুদুস হচ্ছে। আর জনগণের নাভীশ্বাস উঠছে!
প্রয়োজন কার্যকর এক্ট্রিভ দায়বদ্ধ স্লিম প্রশাসন।
যারা দায়িত্বে ব্যার্থতায় আত্মসম্মানের দায়ে নিজেই পদত্যাগ করবে যোগ্য লোকের হাতে সমস্যা সমাধানের আশায়!

সরকারী চাকুরি বিধীমালা সংষ্কার করার সময় এসেছে।
অনন্তকালে চাকুরী নিশ্চয়তা তাদের দায়হীন পা ভারী প্রশাসনে পরিণত করেছে।
প্রমোশন ইনক্রিমেন্ট আর রাজনৈতিক খেলায় শতভাগ বাড়তি বেতনে এখনো তো আরো পোয়াবাড়ো!
কোটি কোটি মানুষের জীবনের স্বস্তি দানের দায়িত্বপ্রাপ্তরাই আজ দায়ে পরিণত হয়েছে!

৭| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৩

বাকপ্রবাস বলেছেন: সমস্যাগুলো শুধু ঢাকার নয় পুরো দেশেই একই চিত্র। ঢাকা রাজধানী বলে চোখে পড়ে বেশী। অন্যতম সমস্যা রাজনৈতিক সমস্যা। রাজনীতি চায়না দেশটা সুন্দর হোক, তারা ভোটের রাজনীতি করে, কোন একটা সেক্টরে হাত দিবেনা কারন ভোট পেতে হবে, সকল সেক্টরে অন্যায়, অনিয়ম, দূর্নীতি, স্বেচ্ছাচার ইত্যাদি। সবাই বলে পাবলিক ঠিক নেই। পাবলিক ঠিক হতে একমাসের ব্যাপার। ডান্ডার বাড়ি খেলে সবাই ঠিক হয়ে যাবে। আগে সরকার এর সদিচ্ছা প্রয়োজন।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:০৬

মাকার মাহিতা বলেছেন: সত্য কথা বলেছেন।
ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.