নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনের সকল কথাগুলো যদি আরও গুছিয়ে লেখতে পারতাম...

মাকার মাহিতা

কবি হবো...

মাকার মাহিতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছবি ব্লগঃ ঘুরে এলাম পানাম নগর

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৯

পানাম নগর
হাজার বছরের প্রাচীন নগর সূবর্ণগ্রাম ছিল পূর্ব বাংলার অন্যতম রাজধানী ও নদীবন্দর। আজকের সোনারগাঁ প্রাচীন সূবর্ণগ্রাম বলে ঐতিহাসিকগণ মনে করেন। এই সূবর্ণগ্রামেই তের শতকের স্থানীয় হিন্দু রাজা দনুজমাধব দশরথদেব তাঁর শাসনকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন। বঙ্গ অঞ্চল মুসলিম শাসনে আসার পর থেকে ১৬১০ সালের পূর্ব পর্যন্ত সোনারগাঁও ছিল স্বাধীন সুলতানী বাংলার অন্যতম রাজধানী ও প্রশাসনিক কেন্দ্র। ঔপনিবেশিক সময়কালে ও এই এলাকায় বাণিজ্যিক, আবাসিক, ধর্মীয় কেন্দ্রিক স্থাপত্য কর্ম নির্মিত হয়েছে।

রাজধানী ঢাকা থেকে ৩০ কি.মি. দক্ষিণ পূর্বে পানাম নগরের অবস্থান। উনিশ শতকের গোড়ার দিকে ধনাঢ্য হিন্দু বণিক দ্বারা পানাম নগরের গোড়া পত্তন ঘটে। পূর্ব দক্ষিণে বিস্তৃত প্রায় ৬০০ মিটার দীর্ঘ ও ৫ মিটার প্রশস্ত একটি সড়কের দুইপাশে সুরম্য মোট ৫২ টি ভবন নিয়ে পানাম নগর। ভবনগুলির অধিকাংশ আয়তাকার এবং উত্তর দক্ষিণে বিস্তৃত। উচ্চতা একতলা থেকে তিনতলা। স্থাপত্যশৈলিীতে ইউরিপীয় শিল্পরীতির সাথে মুঘল শিল্পরীতির মিশ্রণ লক্ষ্য করা যায়। এছাড়া নির্মাণ শৈলীতে স্থানীয় কারিগরদের শিল্প কুশলতার প্রয়োগ ও ঘটেছে। বিভিন্ন পরিমাপের ইটের সঙ্গে চুন সুরকীর আস্তর দিয়ে নির্মিত ভবন সমূহে ব্যবহৃত হয়েছে মোজাইক, রঙিন কাঁচ, চিনিটিকরী, ছাদে কাঠের বীমবর্গা। চমৎকার স্টাকো অলংকরণে সমৃদ্ধ ভবনসমূহের দুইপাশে পরিবেষ্টিত পরিখা, ঘাটসহ পুকুর ও অনেকগুলো কূপ রয়েছে। ভবনসমূহের মধ্যে প্রাপ্ত লিপি অনুযায়ী কাশীনাথ ভবন (১৩০৫ বঙ্গাব্দে নির্মিত), নীহারিকা ভবন এর নামকরণ পাওয়া যায়। পানাম নগরীর পার্শ্ববর্তী গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে বড় সর্দারবাড়ি, ছোট সর্দারবাড়ি, পানাম সেতু, গোয়ালদী মসজিদ, মঠ, পোদ্দারবাড়ি টাকশাল, গিয়াস উদ্দিন আজম শাহের সমাধি উল্লেখযোগ্য।

ছবিঃ ০১

ছবিঃ ০২

ছবিঃ ০৩

ছবিঃ ০৪

ছবিঃ ০৫

ছবিঃ ০৬

ছবিঃ ০৭

ছবিঃ ০৮

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩১

সনেট কবি বলেছেন: সুন্দর+

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৯

মাকার মাহিতা বলেছেন: ধন্যবাদ কবি।

২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪১

হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: আমার খুব পরিচিত জায়গা।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৯

মাকার মাহিতা বলেছেন: ওখানে কি আপনার শশুরবাড়ী ?

৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৪

এ.এস বাশার বলেছেন: ভাল্লাগছে......আপনার ছবি ব্লগ......
প্রীশু নিয়েন................

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৭

মাকার মাহিতা বলেছেন: প্রীশু। ব্যপার টা চমৎকার সংক্ষেপ। আমারও ভাল্লাগছে .....

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!

৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: ছবি এত কম কেন??

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৮

মাকার মাহিতা বলেছেন: ছবি আরও ছিল, সময় সংকটের কারণে দিতে পারি না।

ধন্যবাদ রাজীব নুর।

৫| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৪

হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: কর্মসূত্রে ওখানে ঘন ঘন যাতায়াত ছিল!
শ্বশুর বাড়ি পুরান ঢাকায়।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩০

মাকার মাহিতা বলেছেন: যা ভেবিছিলাম তাহলে তা না। একটু মজা করলাম। তাহলেতো পনাম নগর আপনার নখদর্পনে। যাইহোক, সেই স্কুল লাইফে সোনারগাঁ লোকশিল্প জাদুঘরে গিয়েছিলাম, ঘটনাচক্রে পানাম নগর দেখা হয়নি। সেদিন মনের আশাটা পুরন করলাম।

ধন্যবাদ আপনাকে।

৬| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪১

পুলক ঢালী বলেছেন: সুন্দর বর্ননা। এই ঐতিহ্যবাহী জায়গাগুলি সংস্কার করে টুরিষ্ট স্পট করা উচিৎ এবং সেই আয় দিয়ে রক্ষনাবেক্ষনের ব্যয় নির্বাহ করা উচিৎ। সমস্য হলো উচিৎ কাজের ধারে কাছেও কেউ যায়না অথচ এই বিষয়ক একটা মন্ত্রনালয় আছে শুনেছি।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫৭

মাকার মাহিতা বলেছেন: পুলক ঢালী, চমৎকার মন্তব্যের জন্য আপনাকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। সত্যিকার অর্থে সেখানে যেয়ে আমার তেমন-ই ধারনা হয়েছিল। এমন একটা প্রত্নতাত্বিক পর্যটন এলাকা বেশ অবহেলায় পড়ে আছে মনে হল। সেখানে নেই কোন স্থায়ী নিরাপত্তা বলয়, মনে হল স্থানীয় প্রভাবশালীরা বেশ সক্রিয় ঐ জায়গাটুকু দখলকরার জন্যে। পুকুর, ঘাট আরও যে খালি জায়গাগুলো রয়েছে অযত্নের ছাপ পরিলক্ষিত। প্রত্নতাত্বিক বিভাগ ও পর্যটন মন্ত্রনালয়ের দায়সারা কার্যাবলী সেই পর্যটন এলাকায় দেখা যাচ্ছে।

পানাম নগরের রাস্তাটা স্থানীয় জনগন ব্যবহার করছে, সাথে ঐ রাস্তা, বাড়ি, ঘাট, মঠ, মন্দির ওগুলো নষ্ট করছে। তবে একটা সাইনবোর্ড দেখলাম তা না বললেই নয়। সেখানে লেখা গছের ফল ছিড়বেন না। ছিড়লে জরিমানা ৫০ টাকা। কিন্তু কোথাও দেখলাম না যে ভবন গুলো নষ্ট করবেন না। অথচ ভবন গুলো ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পুরনো একটা মন্দির দেখলাম যা প্রায় ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে। পেছনের পুকুর ও কুপ গুলো পরিত্যক্ত। ভবনের ভেতরে মনে হল গাঁজার আসর বসে নিয়মিত। দুগর্ন্ধ!

তাই, আপনার মন্তব্যের সাথে আমি আর একটি কথা যোগ করতে চাই, তা হল, এই গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন স্থানকে সঠিক ব্যবস্থাপনা, রক্ষাণাবেক্ষণ, সার্বিক উন্নয়ন, মানব সাধিত ক্ষতি থেকে রক্ষা করণ সহ আরও যে সকল পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন তা যেন নেওয়া হয়। এবং এই স্থান কে বিশ্বের দরবারে পরিচিত করতে সকল ধরনের প্রচারনা করে সেখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করে একটা ‍সুন্দর ও মনোমুগ্ধকর পর্যটন এলাকা করা যায় কিনা তার কার্যকর ব্যবস্থা নিতে আহ্ববান জানাচ্ছি।

৭| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ভোর ৪:২১

ওমেরা বলেছেন: খুব সুন্দর।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৬

মাকার মাহিতা বলেছেন: ধন্যবাদ ওমেরা।

শুভকামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.