নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পোষাক তৈরীর কারখানায় মাসিক বেতনে কামলা দেয় মাস শেষে মাইনের আশায়, যে মাইনে দিয়ে চলবে নিজের পরিবার ও সমাজের জন্য কিছু একটা করার প্রচেষ্টা মাত্র। নিতান্তই সাদামাঠা গ্রাম থেকে আসা স্বল্প শিক্ষিত মানুষ।

চোরাবালি-

চোরাবালি- › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি নেড়ি কুকুড়

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১০

বাচ্চাগুলি আজ প্রচন্ড যন্ত্রণা দিচ্ছে। দুগ্ধবিহীন ওলানে লেগেই আছে সেই ভোরের আলো ছড়ানোর সময় থেকে এখন সূর্য তার আলোক রশ্মীর তাপ বাড়াতে শুরু করেছে। বাচ্চাগুলি ক্ষধুর যন্ত্রণায় কুই কুই শব্দে কান্না করছে। নিজে আজ অভুক্ত দু'দিন ধরে, ড্রেনের পানিতে কোনরকমে জীবন বেঁচে আছে। খাদ্যহীন শরীরে ওলান শুককো প্রায়। শহরের ডাস্টবিনগুলোতে খাদ্য খুজে পাওয়া দায় এখন ময়লার স্তুপে। আর স্বএলাকা ভিন্নে ভিন্ন এলাকায় গিয়ে খাবার খুঁজতে গেলে আছে বিপদের আশংকা। কুকুড়দের জগতে নিয়ম ভঙ্ন জঘন্যতম অপরাধ। যদি কেও ভাঙতে চাই তাকে চড়া মাশুল দিতে হয়, সম্মুখীন হতে হয় আক্রমনের। শরীরিক যোগ্যতা দেখিয়ে নিজের জায়গা করে নিতে হয় তা নাহলে লেজ নিচুকরে ক্ষমা চেয়ে আশ্রয় প্রার্থণা করে আশ্রয় করে নিতে হয়। এই কাহিল শরীরে সেপথে যাওয়ার সঠিক সিদ্ধান্ত হবে না। বাচ্চাগুলির কান্নাও যন্ত্রণায় রূপ নিচ্ছে, ই্চ্ছে করছে কামড়িয়ে খেয়ে ফেলি। দাঁতে দাঁত রেখে কামড় বসাতে গিয়েও বাচ্চাগুলি শরীর স্পর্শের আগমুহুর্তে থমকে যায় রক্তের বন্ধনে।

কিছু নিজে খেলেই তবেই শরীরে দুধ নামবে তাই নিজের খাওয়াটা যেভাবেই হউক দরকার। খাদ্যের সন্ধানে বহুদুর ঘুরে কিছুটা খাওয়ার পেটে জুটলেও সহ্য করতে হয় প্রতিনিয়ত মানুষের লাঠি, ইট পাথরের আঘাত আর যদি দুষ্টু ছেলের দল দেখে নেড়িকে তা হলে তো তারা ঝাপিয়ে পড়ে আঘাত করতে। বাঙালীর আর কোন যোগ্যতা থাক বা না থাক নেড়ি কুকুড় পেটাতে তারা ওস্তাদ। বাঘ তো দুরে থাক ক্ষেপা কুকুড় দেখলেও যারা ঘরে লুকোয় তারাই নেমে আসে নেড়ি কুকুড় দেখলে বাঘ শিকারের হুংকারে। আর সে হুংকারও পেছন থেকে পাছায় বা পায়ে একটি আঘাত করেই ভো দৌড়। যদিও সে আঘাত অধিকাংশ পতিত হয় ভূমিতে।
এই বাচ্চাদের দিকে তাকিয়ে তাদের খাবার যোগাতে প্রতিনিয়ত অসহ্য যন্ত্রণা আর আঘাত সামলে টিকিয়ে রাঘতে হয় তাদের। বিভিন্ন দুর্ঘটনা আর আক্রমণ থেকে বাচ্চাদের সব সময় বাচানো সম্ভব হয় না এই সৃস্টির শ্রেষ্ঠবলে দাবিদার মানুষের কাছ থেকে।

আর সম্ভবইবা কিভাবে যেখানে তারা নিজেদের বাচ্চাদের ভূমিষ্ট করেই ফেলে দেয় জঙ্গলে অথবা ডাস্টবিনে। কুকুড় সমাজে কামবাসনা জাগে বছরে একবার আর মানুষ্য সমাজে লালসা থাকে সারামাস। তাই তাদের বাচ্চাও জন্মায়। মানুষ্য সমাজে লালসায় সম্মান ভয় না থাকলেও আছে শিশু জন্মে সম্মান ভয়। কুকুড় সমাজে কামসিদ্ধ হয় মৌসুমে এবং অনেকটা প্রকাশ্যেই কিন্তু সে সৃষ্টিক ধারাটাকে এখন অনেকটা মানুষের দখলে। জঙ্গল কুকুড়ের দখলে থাকলেও সভ্যতার বিশাসের সাতে সাথে এখন মানুষ জঙ্গল দখল নিয়ে মেটায় বাসনা। অথবা রমরমা আলোকসজ্জিত আট্টালিকায় বাসনা মিটিয়ে সে শিশুকে ছুড়ে ফেলে জঙ্গলে, অথবা গর্ভেই খুন করে টুকরো টুকরো করে কেটে বের করে ভাসিয়ে দেয় ড্রেনের জলে। অথবা পলিথিনে মুড়িয়ে ডাস্টবিনে।

view this link


মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: দুঃখজনক ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.