নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পোষাক তৈরীর কারখানায় মাসিক বেতনে কামলা দেয় মাস শেষে মাইনের আশায়, যে মাইনে দিয়ে চলবে নিজের পরিবার ও সমাজের জন্য কিছু একটা করার প্রচেষ্টা মাত্র। নিতান্তই সাদামাঠা গ্রাম থেকে আসা স্বল্প শিক্ষিত মানুষ।

চোরাবালি-

চোরাবালি- › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি কিন্তু সানির পক্ষেই (বন্তুতঃ অন্যায়ের বিপক্ষে)

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:২৭

যা হউক শুরুতেই আমাদের সবার ছোট বেলার পড়া তিনটি শব্দের কথা মনে করিয়ে দেয়-
১# উদাহরণ- মুসলমানেরা পাঞ্জাজী পাজামা পড়ে বা হিন্দু সম্প্রদায়ে ব্রাহ্মণেরা ধুতি পৈতা পড়ে
২# ব্যাতিক্রম- ডাঃ জাকির নায়েক মুসলিম ধর্মপ্রচারক হয়েও শার্ট প্যান্ট পরিধান করেন।
৩# নিদর্শণ- ইউনুস আঃ কে আল্লাহ মাছের পেট থেকে রক্ষা করেন। অন্যদিকে ভালবাসার নিদর্শণ আগ্রার তাজমহল।

আরাফাত সানিকে নিয়ে বেশ তোড়জোড় চলছে মিডিয়া পাড়ায়। আমি দর্শক হিসেবেই উপভোগ করছি যেমনটি খেলা উপভোগ করি। কিন্তু গতকাল যখন নিউজে দেখলাম সানির গার্ল ফ্রেন্ড (সঠিক বাংলায় কি বলে জানি না) অসচ্ছল পরিবারের তাই সানি তাকে মেনে নিচ্ছেন না। সানির মা নাকি তাকে পতিতা উপাধি দিয়েছেন। আমার খুব জানার ইচ্ছে সানির বাবা কি বলেছেন!!!!!!!!!!!

আমার লেখার মূল বিষয় এই অস্বচ্ছলতা নিয়ে-
স্কুল- মাদ্রাসা -স্কুল -স্কুল এণ্ড কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয় সর্ব শেষে এই গার্মেন্টস ট্রেডে কামলা দিতে এসে যে অভিজ্ঞতা সেটা সবার সাথে শুধু শেয়ার করা মাত্র।

কলেজ-
কলেজেপড়া কালিন সময়ে যে সকল মেয়েদের একটু উগ্র বা খুল্লাম খুল্লা টাইপের ড্রেস পড়ার কথা মনে পড়ে তারা কিন্তু এই অস্বচ্ছল মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়েরাই। এই সকল পরিবারের একটা টেডিশন আছে সেটি হল কি হনুরে। মেয়ে আমার ম্যাট্রিক পাশ রাষ্ট্রপতি আমার মেয়র জন্য পাত্র সেজে বছে আছে শুধু আমি বলছি না তাই, টাইপের চিন্তু ধারার মগ্ন। আর মেয়েটিও পরিবারের সে চিন্তু চেতনায় অগ্রগামী হয়ে চলা ফেরার বাকুম বাকুম বাহ্ টাইপের।

ভার্সিটি-
এখানকার ফাস্টইয়ারে ভর্তি হওয়ার সাথে সাথে ঐ সকল মেয়েরা তো আকাশের যত তাড়া প্রেমের ততধারার চিপায় চাপায় প্রেমে মগ্ন। আবডালে বাহিরে ফুটানির আর শেষ থাকে না। সেই সিনেমার চিরচেনা ডায়লগ-- চৌধুরী সাহেব আমি আপনার ছেলের প্রেমে পড়েছি আপনার বড়লোকি দেখে না। সে আমার জান, আমি শুধু তাকেই চাই। আপনার সম্পদ নাই। বস্তুতঃ তারা কিন্তু সেই প্রেমে পড়ে বোড়লোকী দেখেই, সেটাকে তারা ভাগ্য মনে করে, উপরে ওঠার সিড়ি পেয়েছেন ভেবে উঠতে উঠতে খাটে উঠে পড়ে। আর আমার দেখা উচ্চবৃত্তের মেয়ে-ছেলেরা "জান/জানু- আমি তোমার জন্য ৭তলার উপর থেকে ঝাপ দিব, পরীক্ষা নিতে চাও- এই দেখ ৭ফিট উপর থেকেও লাফ দিব না। কারণ পা ভাঙলে আমার ভাঙবে।" এদের সীমাবন্ধ থাকত পার্কে আর বেশী ঘনিষ্ঠ হলে পরিবারে পরিচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে। আর নিম্ন বৃত্ত- তাদের এসবে সময় নেই তারা থাকতেন পড়া লেখা নিয়ে।

কামলাক্ষেত্রে বা কর্মস্থলে-
এখানেও কিন্তু একই হাল। ঐ সকল মেয়েরা এসেই সিড়ি খোজে, কোন সিড়ি দিয়ে উঠবেন, কখনও অফিসের বস, কখনও উচ্চবৃত্ত বা একই লেভেলের পয়সাওয়ালা ছেলে (মানে যে যতটা ফুটানি দেখাবে তার দিকে ততঝোক)। আর বেশী না আগানো ভালো। যা হউক সর্বশেষ একটি ঘটনাদিয়ে শেষ করি।

আমাদের সহর্কী ছিলেন। বাবা মারা গছেনে, দুই বোনের বড় বোন। একজনার অনুরোধে চাকুরী দেয়া হয়। সবার সাথে সহজে মিশে যাওয়ার স্বভাবে তার সাথেও বেশ আলাপ চারিতা হত কথাও হত বেশ। থাকতেন আমার পরিচিত একজনার বাসাতেই। তো সে ভাবি একদিন বলল ভাই এই মেয়ের চাল-চলন তো আমার কাছে ভাল লাগে না, বলেছিলেন তো বেশ ভাল গরিব ঘরের মেয়ে অভাবে চাকরী করছে। কিন্তু কারো সাথে মনে হয় প্রেমে মশগুল। মাঝে মধ্যে বাসায় ফিরে ১ঘন্টা ধরে গোসল করে। এসব। - যা হউক সে সূত্র ধরেই- বললাম একদিন কি জেরিন (নামটি সঠিক নয়) প্রেমে পড়েছো নাকি, চেহারা তো বেশ উজ্জল হয়ে যাচ্ছে। লজ্জায় মুখ কামরাঙা না হলেও সদ্যফোটা ডালিম ফুল হয়ে গেল। পরবর্তীতে খুচিখুচিয়ে জানাগেল তার পাশের গ্রামের ছেলে, অনেক বড় ঘর, ব্যাসায়ী ছেলে। ওকে দেখে পচ্ছন্দ, তার থেকেই প্রেম ভালোবাসা, মাঝে সাঝে ঘুরতেও যায়। ছেলের এক ভাবির বাসায় নাস্তাটাস্তা করায় ভাবি এই আরকি।
যা হউক। আমি আমার মত কয়েদিন বিভিন্ন উদাহরণ দিয়ে বোঝালাম। কিন্তু তাতে কোন ফল হল না। বলল ভাইয়া জানি তার পরিবার মেনে নেবে না, কেননা তাদের সাথে আত্মীয়তার পর মিশতে হলেও যে যোগ্যতা লাগবে সেটাও নেই কিন্তু ও তো আমাকে ভালোবাসে। বিয়ের পর ঠিকই আমি মানিয়ে নিব। আর মানুষের সুযোগতো সব সময় আসে না। এটা আমার ভাগ্য ওর মত বড় ঘরের একটা ছেলের সাথে সম্পর্ক হওয়া।
কিছুদিন পর চাকুরী ছেড়ে চলে গেলে আর কোন যোগাযোগ নাই। হঠাৎ একদিন অপিরচিত নাম্বার থেকে ফোন নন-স্টপ বেজেই চলেছে। (আমি ব্যক্তিগত নাম্বারে অপরিচিত নাম্বার সহজে রিসিভ করি না)। অবশেষে বিরক্ত হয়ে ধরলাম। ওপাশ থেকে সেই পরিচিত কণ্ঠ ভাইয়া কেমন আছেন? আলাপ চারিতার পর জানতে পারলাম তার সে প্রেমিক বাবা মায়ের পচ্ছন্দে বিয়ে করেছে। তার ফোন ধরে না, সর্বশেষ মামলা করার চিন্তু করছে। ইত্যাদি ইত্যাদি- তার কদিন পরে কান্না জড়িত কণ্ঠে বলল তার কথায় সে বাচ্চাও নষ্ট করেছে!!!! আমি শুধু চুপ করে রইলাম। বলল ছেলেরা জাতে মাতাল তালে ঠিক। তুমি যখন তার বিছানায় সময় কাটিয়েছো, সে ধরেই নেবে অন্যকারো সাথেও তুমি এসময় পার করেছো নিশ্চয়। কেননা তুমি তো স্কুল কলেজ ভার্সিটি ডিঙ্গিয়ে এখানে। আর অভিজ্ঞরা মেয়ের হাত ধরলেই বুঝতে পারে তার জীবনে সেই কি প্রথম নাকি আগেও কেও ঘুড়ি উড়িয়ে গেছে।

তাই থাকার পরে বিয়ে হয় সেটি ব্যতিক্রম, আর সে বিয়ে টিকে যাওয়া নিদর্শণ!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

সর্বপরি- এসব নষ্টামি রাষ্ট্রীয় আইনে কি বৈধ???? ধর্মীয় আইনে তো ১০০ডোরার বাড়ি এবং ১বছরের জন্য এলাকা ছাড়া (অবিবাহিতদের জন্য) সেকথা না হয় বাদই দিলাম।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:০৭

masswood বলেছেন: আমিও সানির পক্ষেই :-B

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:২১

চোরাবালি- বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৯

অনিক০০৭ বলেছেন: আপনার কথাগুলো আসলে কিছু জেনেরিক কথা, এই ক্ষেত্রে (সানি এবং ওই মেয়েটির ক্ষেত্রে) আসলে কী ঘটেছে না জেনেই ওই জেনেরিক কথাগুলো ওদের ক্ষেত্রেও খাটবে সেটা বলা যায় না। আমি নিজেও জানি না আসলে কী ঘটেছে এই ক্ষেত্রে, তাই বলতে পারছি না ক্রিকেটার সানি অপরাধী না ঐ মেয়েটি। আমাদের সবারই উচিৎ বিস্তারিত না জেনে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকা। আদালতে মামলা হয়েছে তথ্য প্রমাণ সবই হয়তো বেড়িয়ে আসবে। ততোদিন একটু ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করাই সবার জন্যে ভালো। ধন্যবাদ।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:২০

চোরাবালি- বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য

আমি আমার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছি মাত্র।
যদি আইন হত এসব নষ্টামি করলে ডোরার বাড়ি অথবা জড়িমানা বা জেল তা হলেও কমে যেত। এখন কমন টেডিশন, ভোলিয়ে ভালিয়ে প্রেম তার পর বিছানা সর্বপরি ছেলে কেটেপড়লে ধর্ষণ মামলা আর মেয়ে কেটে পড়লে, মেয়ে বুদ্ধিমান, ছেলে কিছু করতে গেলে টিজিং এর দায়ে জেল জরিমানা আর মামলা। সর্বদোষ এখন এই ছেলে জাতির।

৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৮

আহা রুবন বলেছেন: মাছ খামু একসাথে, ফাঁইসা গেলে কমু ঐ কেষ্ট বেটাই চোর!!!! :-/

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:১৬

চোরাবালি- বলেছেন: হুম, আর আইন তো কেষ্ট বেটার জন্য খাড়া

৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:২৬

ডার্ক ম্যান বলেছেন: সানি তার প্রেমিকাকে ত্যাগ করতে পারে। কিন্তু তাই বলে সে অন্য কারো ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে খেলতে পারে না। তথ্য প্রযুক্তি আইনে তার অপরাধটি বেশ গুরুতর।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:০৮

চোরাবালি- বলেছেন: অবশ্যই অন্যায়,

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.