নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পোষাক তৈরীর কারখানায় মাসিক বেতনে কামলা দেয় মাস শেষে মাইনের আশায়, যে মাইনে দিয়ে চলবে নিজের পরিবার ও সমাজের জন্য কিছু একটা করার প্রচেষ্টা মাত্র। নিতান্তই সাদামাঠা গ্রাম থেকে আসা স্বল্প শিক্ষিত মানুষ।

চোরাবালি-

চোরাবালি- › বিস্তারিত পোস্টঃ

যা কিছু হয় দোষ মোল্লা ব্যাটা তোর

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:০০

আমাদের দেশে একটা কমন কালচার, কিছু হইলেই মোল্লা বেটা এই করেছে সেই করেছে ইত্যাদি বচন। আর মোল্লা মানে হল দাড়ি টুপিওয়ালা লোক, হোক না সে টুপি বেগুন বিক্রির জন্য আর হউক না সে টুপি রাজনৈতিক ফায়দা হাচিলের জন্য। মোট কথা দাড়ি-টুপি থাকলেই মোল্লা। আর তার সব দোষ মোল্লা জাতির উপরে প্রযোজ্য।

মহল্লার কোন এক মাস্তান ফ্যাশনের দাড়ি রেখে আকাম কুকাপ করে বেড়ালে সে যখন অন্য এলাকায় যাবে তখন সে হয়ে যায় মোল্লা। শহরের পতিতারা যখন বোরখা পড়ে আড়াল করে চলে তখন প্রকৃত পর্দাশীল নারীদেরও এক শ্রেণী দেখে সে চোখে। উদাহরণ টানতে উদাহরণ টানে খারাপ কাজের। কেও কেও হিজাব পড়ে অর্ন্তরবাস দৃর্শ্যমান হয়ে থাকে, উদাহরণ টানতে গেলে তাদেরটাই চোখে পড়ে।

যা হউক বিষয় সেটা না, কথা অন্যখানে। মানুষের অসুখ হলে যেমন ডাক্টারের কাছে যায় এবং ডাক্টারেরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ইস্যুতে জনসচেতনা মূলক প্রচার চালিয়ে থাকেন। যেমন ঠান্ডার সময় কি করবেন, গরমের সময় কি করবেন, ঋতু পরিবর্তনে কি করতে হবে এসব।
আবার সমসাজ কর্মীরা বিভিন্ন সময় সামাজিক অবক্ষয় রোধে বিভিন্ন সামাজিক কার্যকলাপ করে থাকেন। এভাবে পুলিশ, সেনাবাহিনী, রোটারিয়ান যে যেমন পারে তাদের সেবা নিয়ে সামাজিক সচেতনতামূলক কার্য কলাপ চালিয়ে থাকেন। কোথাও কোন সমস্যা নাই

কিন্তু

সমস্যা আমাদের একখানে আছে। যদি কোন ধর্মপ্রাণ মুসলমান কোন সচেতনতা মূলক কথা বলে!!!!!!!!!!!!!!! এতেই শুরু হয়ে যায় গায়ে বিনা এলার্জিতে চুলকানি।

যদি কোন ডাক্টার পরামর্শ দেয় শীতকালে গরম কাপড় ছাড়া বাইরে বের হবেন না তা হলে ঠান্ডা লাগবে তা হলে কোন প্রতিবাদ নাই। কিন্তু যদি কোন ধর্মপ্রাণ মুসলমান বলে, পর্দা ছাড়া বাইরে বের হবেন না তা হলে সেটা শরীয়া বিরোধী হবে তখনই শুরু হয়ে যাবে গ্যাঞ্জাম খানদের উছিলা।

শরীরে যেমন অসুখ হলে ডাক্টার চিকিৎসা দেন তেমনি ধর্মের অসুখ হলেও ধর্মপ্রাণেরা অষুধ দেন।

আপনি একজন মানুষ ডাক্টারের কাজ সচেতন করা রোগ মুক্তির জন্য, পুলিশের কাজ সচেতন করা বিপদ প্রবণ এলাকায় সাবধানে চলাচল করা, -------------------------- এভাবে মোল্লাদের (ধর্মপ্রাণ মুসলিম) কাজ ধর্ম সম্পর্কে সচেতন করা। এবার আপনি ঠান্ডায় বের হলে ঠান্ডা লাগলে আপনার লাগবে, বিপদে পড়লে আপনি পড়বেন আর ধর্মমতে জাহান্নামে গেলে আপনি যাবেন। এতে ডাক্টারের যেমন কিছু এসে যায় না মোল্লারও কিছু এসে যায় না।

আপনি একজন মানুষ, আপনার ভালো মন্দ বোঝার দায়িত্ব আপনার।

যা হউক মূল কথায় আসি। লেখাটা আজকের ভ্যালেনটাইডে উপলক্ষ্যে বিভিন্ন সচেতনতামূলক লেখায় গা জ্বলে লেখাটি তাদের উদ্দেশ্য

সর্বশেষ কোরানের একটি আয়াত দিয়ে-
"পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সামনে দন্ডায়মান হওয়াকে ভয় করেছে এবং খেয়াল-খুশী থেকে নিজেকে নিবৃত্ত রেখেছে, তার ঠিকানা হবে জান্নাত।"
(সূরা আন্ নাযিআত, আয়াত ৪০-৪১)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: কোরআনের আয়াত টি মনটা শান্ত করে দিল।

২| ২৪ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৪৫

টারজান০০০০৭ বলেছেন: ঠিকই কইছেন ! দোষ আগে আছিলো কেষ্টা বেটার এখন হইছে মোল্লা বেটার !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.