নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পোষাক তৈরীর কারখানায় মাসিক বেতনে কামলা দেয় মাস শেষে মাইনের আশায়, যে মাইনে দিয়ে চলবে নিজের পরিবার ও সমাজের জন্য কিছু একটা করার প্রচেষ্টা মাত্র। নিতান্তই সাদামাঠা গ্রাম থেকে আসা স্বল্প শিক্ষিত মানুষ।

চোরাবালি-

চোরাবালি- › বিস্তারিত পোস্টঃ

মশা ~ দায় বন্ধতা কি শুধু সিটি কর্পোরেশনের

৩১ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৩৩

নগর জীবনে মশা আজ একটি মারাত্মক হুমকি। প্রতিনিয়তই মশা বাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে নগর বাসি। সম্প্রতি -এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র পেলে জেল-জরিমানা- নিয়ে বেশ হাস্য রহস্য ও আলোচনা সমালোচনাও কম হচ্ছে না। এখানে আমার প্রশ্ন হচ্ছে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে কি একা সম্ভব মশা নিয়ন্ত্রণ করা? না সাথে জনসচেতনাও প্রয়োজন? আর আমরা যেহেতু সভ্যতার আগে সম্পদশালী তা হলে জেল জরিমানা ছাড়াকি আমরা সায়েস্তা হওয়ার মানুষ?

# উদহরণ দেয়া যাক ঢাকা শহরে ২০হাজার টাকা যার মাসিক ফ্লাট ভাড়া প্রদান করেন তারা অবশ্যই শিক্ষিতের কাতারে ও ভদ্র লোক বটে তা না হরে তার পক্ষে ২লাখ ৪০হাজার টাকা বাৎসরিক ভাড়া প্রদান করে থাকা সম্ভব নয়। ২০১৬ এ সুবিধে মত বাসা না পেয়ে বাধ্য হয়ে নিচতলার বাসা নিতে হল। বাসার বারান্দা দিয়ে বিড়াল প্রবেশ ঠেকাতে বাইরে নেট লাগাতে গিয়ে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির স্বীকার। মাছ, রান্না ঘরের ময়লা সহ দাম্পত্য জীবনে ব্যাবহৃত প্লাষ্টিক পর্যন্ত নিচে দেখে কর্মী কাজ করতে অস্বীকৃতি জানালো। বাড়ী ওয়ালাকে বললে উনি ঐ সাইডের সমস্ত ভাড়াটিয়াদের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভাষায় গালিগালাজ করলেন সাথে শতর্ক করলেন। ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করিয়ে দিলেন। ঠিক ৪মাস পড়ে যখন বাসা বদলাতে গেলাম ঠিক আগের পরিস্থিতি।

# বাসার সামনের একজনার কিছুটা অব্যবহৃত জায়গা সেটিতে ময়লা ফেলতে ফেলতে আবর্জার স্তুপ আর দুর্গন্ধে রাস্তায় টেকা দায়। জায়গার মালিক এসে বিভিন্ন রকম গালিগালজ করতেন নোয়াখালির ভাষায় বাংলার সাথে আরবী মিশিয়ে। তাতে কোন কাজ হয়েছে বলে মনে হয়নি কখনও।

# বাথরুমে বা রান্ন ঘরের হাউজে সপ্তাহে অনন্ত একদিন ব্লিলিচিং পাওয়ার ব্যবহার কররেল একদিকে যেমন জীবাণু মুক্ত হবে অন্যদিকে সেই পানি ড্রেনে জমা হলে বা ড্রেন দিয়ে প্রবাহিত হলে মশা তথা জীবনু ধ্বংশ হবে। নগর জীবনে ব্লিচিং পাউডার কি অধিকাংশ লোক চিনেনই না। এটা আমাদের সমাজের ভাড়াটিয়াদের চরিত্র।

# বাড়ির মালিক হিসেবে তার দায়িত্ব বাড়ীর আশেপাশে পরিষ্কার রাখা এবং জীবাণু নাশক স্প্রে করা। এদেশে অধিকাংশ বাড়ীতে যেখানে কোন কেয়ারটেকার নাই সেখানে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নই হয় না সেখানে জীবাণু নাশক স্প্রে করা তো স্বপ্ন। যদিও মাঝে মধ্যে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করেন তারা গিয়ে ময়লাগুলি ফেলে আসে রাস্তার উপর। সেই ময়লা আর ধুলি কনা আকারে প্রতিটি ভাড়াটিয়ার ঘরে পৌছে যায়। বাসার সামানে দিয়ে বয়ে যাওয়া ড্রেনে সপ্তাহে না হউক মাসে অনস্ত কিছু বিলিচিং পাওডার প্রয়োগ করলে মশার উপদ্রপও যেমন কমবে তেমনি দুর্গন্ধও কম হয়। আর এটা অবশ্যই সম্মিলিত ভাবে করতে হবে। আমাদের চরিত্রটা এমন যে কোরবাণীর সময় সিটি কর্পোরেশন থেকে সরবরাহ করা বিলিচিং পাউডারই ঘরে রাখা হয় না সিটিয়ে সেখানে আবার নিজেরা কিনে!!!!

# রাস্তার ঝালমুড়িওয়ালা দেদারছে ঝালমুড়ি বিক্রি করে যাচ্ছে আর ব্যবহৃত কাগজ আর ময়লা গুলি রাস্তায় ফেলে ময়লা করছেন গণতান্ত্রিক দেশে এটা তার অধিকার। আর ডাব বিক্রেতা তার তো কোন ভ্রুক্ষেপই নেই। সারাদিন বিক্রি করে সন্ধ্যায় রাস্তার কোন এক কোনায় ফেলে চলে যায়।

এভাবে আমাদের নিজেদের মাঝে হাজারো অসংগতি সেখানে সিটি কর্পোরেশনের কিইবা করার আছে। ৬মাসে একদিন মশার ওষুধ স্প্রে করে কি আদৌও মশা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব? আর সেখানেও তো আমাদের মত মানুষই।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:১৯

আখেনাটেন বলেছেন: আসলে এটি একটি দুষ্টক্ষত। আমরা যেমন আমরা নেতা তৈরিও করি তেমন। ফলে সিটি কর্পোরেশনও তেমনই হবে। সবাই একে অপরের পরিপূরক। কেউ কারো অবস্থানেই আমরা সঠিক নেই।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই সিভিক সেন্স আমাদের আসবে কীভাবে? সামষ্ঠিকভাবে আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় ঘুণ ধরেছে। এর কুফল এই সিভিক সেন্সের অবলোপন। এখানে আপনি না দোষ দিতে পারেন ব্যক্তিকে না পারেন প্রতিষ্ঠানকে।

দেশে 'আইনের শাসন' কার্যকর থাকলেই মানুষের মধ্যেও সেন্স-ফেন্স সব চলে আসার কথা। এই জিনিসের চরম অভাবে আমাদের সকলের মাঝে এক ধরনের উন্নাসিকতা চলে এসেছে। এটা জাতির ভবিষ্যতের জন্য একটা মারাত্মক খারাপ লক্ষণ।

ধরুন, সিটি কর্পোরেশন থেকে যদি কড়া হুঁশিয়ারী থাকত যে বাড়ীর অাশেপাশে পরিষ্কার থাকতে হবে। না হলে বড় ধরণের জরিমানা। এবং তা সঠিকভাবে কার্যকর করা হত। দেখতেন জনগণ সুড়সুড় করে নিজের লুঙ্গি-ধুতির পাশাপাশি বাড়ির চৌহদ্দিও সাফ সুতোরো করে রাখছে। এভাবে বাবা করলে তার দেখাদেখি ছেলেও শিখে ফেলবে। এতে একটা কালচার তৈরি হবে। এক সময় গিয়ে দেখবেন সিটি কর্পোরশন না বললেও সবকিছু সাফ। কারণ ততদিনে সকলের মাঝে মূল্যবোধ তৈরি হয়ে গেছে।

মানব ধর্মের এই বেসিক জিনিসগুলি আমাদের মাঝ থেকে হারিয়ে যাওয়ার জন্যই এতসব অরাজকতা।

দঃখিত অনেক বড় কমেন্ট করে ফেলার জন্য।

২| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:২০

আখেনাটেন বলেছেন: *দুঃখিত।

৩১ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৪০

চোরাবালি- বলেছেন: গণতন্ত্রের দেশে ভোটের দরকার তাই সবাই ভোটারদের মাথায় তেল মেখে চলে। আর কোনরূপ নেতা উপাধি গায়ে লাগাতে পারলে তো কথায় নাই। তার জন্য সব কিছু মাফ। প্রশাসনিক ব্যবস্থায় যতদিন নেতারা হস্থক্ষেপ বন্ধ না করবে ততদিন এ থেকে পরিত্রাণের কোন উপায় নেই।

৩| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: দেশে নির্বোধ লোক দিয়ে ভরে গেছে। আমাদের পাশের বাসার কথাই বলি। টাংকির পানি পড়ে ছাদে দীর্ঘদিন ধরে পানি জমে আছে। সেই পানি গুলো কুচকুচে কালো রঙ ধারন করেছে। সেখানে লক্ষ লক্ষ মশা । আমি তাদের জানালাম। তারা বললেন আমার বাড়ির ছাদ নিয়ে আপনাদের ভাবতে হবে না।

৩১ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:২৩

চোরাবালি- বলেছেন: সব ক্ষেত্রেই এমন। আমরা সভ্যহওয়ার আগে সম্পদ পেয়ে গেছি। এখানেই যত বিপত্তি।
এখন প্রতিবেশীর সাথে কিভাবে কথা বলতে হয় সে শিক্ষাটাও মানুষের মাঝে নেই।

৪| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:২০

ক্স বলেছেন: সিটি কর্পোরেশন তার দায়িত্ব পালন করে দেখাক - কই তা তো করছেনা। সব দায়িত্ব নাগরিকদের ঘাড়ে চাপিয়ে তারা নিশ্চিন্ত হয়ে রয়েছে। এক অকর্মা (সাইদ খোকন) আরেক অকর্মি (ওসমান গণি) কেবল ফায়দা লোটাতেই ব্যস্ত

৩১ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৯

চোরাবালি- বলেছেন: আগে নিজের টা করে তারপর অন্যের দিকে আগুল তুলতে হয়। কিন্তু এখনে উল্টো সবাই অন্যের দিকে আঙুল তোলে। তবে হ্যাঁ সিটি কর্পোরেশনের উচিত বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে জরিমার হার নির্ধারণ করে তা পরিচালনা করা। তাতে কিছু আয়ও বারবে নগরও পরিষ্কার হবে। তবে সেখানেও সমস্যা ভোটে প্রভাব পড়বে তখন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.