নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পোষাক তৈরীর কারখানায় মাসিক বেতনে কামলা দেয় মাস শেষে মাইনের আশায়, যে মাইনে দিয়ে চলবে নিজের পরিবার ও সমাজের জন্য কিছু একটা করার প্রচেষ্টা মাত্র। নিতান্তই সাদামাঠা গ্রাম থেকে আসা স্বল্প শিক্ষিত মানুষ।

চোরাবালি-

চোরাবালি- › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুসলিমরা আজ টিস্যু পেপার

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:০৪

সারা বিশ্ব যখন গবেষণায় মগ্ন সেখানে মুসলিমরা বিবি তালাক সাথে নামাজ/জিকিরের মধ্যম নিয়ে ব্যস্ত। একদল আরেকদলকে কি করে হেনেস্তা করবে; কিভাবে তাদের বিরুদ্ধাচার করে নিজেদের পাণ্ডিত্য প্রচার করবে সে চিন্তায় ব্যাতি ব্যাস্ত। এর মধ্যে আরেক দল আছে শুধু আল্লাহ আল্লাহ কর; আল্লাহ তোমাকে সব দিয়ে যাবেন, জাগতিক কোন চিন্তা তোমার দরকার নাই। কেও আছেন ১হাফেজ ১৪জন বেহেস্তে; তাই হাফেজ বানাও যত পার (শুধু মাত্র আরবীতে কোরাণ মুখস্ত, না জানে অর্থ না বোঝে তার মর্মার্থ) সে হাফেজ কোরান মোতাবেক চলুক বা না চলুক। তাদের সাথে নতুন যোগ হয়েছেন আমিন ও শেয়ার পার্টি। কোন কিছু পেলেই আমিন না লিখে যাবেন না, সুবহানআল্লাহ বলেন, ঝড়ের গতিতে শেয়ার করেন, বিদ্যুৎতের গতিতে হাত চালান ইত্যাদি। এই দোয়া পরেন ৭০জন ফেরেস্ত নেকি লেখায় প্রতিযোগিতা করবে, এ দোয়া পড়ে ঘুমান, মইরা গেলে বেহেস্ত, তমুক কাজ করেন চৌদগুষ্ঠি বেহেস্তে।

কোরাণ একটি জীবন বিধান। জীবন কিভাবে অতিবাহিত করবেন তার বিস্তারিত বিবরণ দেয়া আছে। মুসলিমরা যদি তাদের ধর্মগ্রন্থও মেনে চলত তা হলে আজ তাদের এই দুরাবস্থা হয় না। আল্লাহ বলছেন -তোমরা সালাত আদায় কর এবং হালাল রুজির সন্ধানে বেরিয়ে যাও। - আবার তোমরা জিহাদ কর- এই জিহাদের এখন একটাই সঙ্গা জানে অধিকাংশ মুসলিমেরা তা হল মারো অন্যজনকে। নিজের সাথে জিহাদে আমরা প্রস্তুত না। আমরা দিব্যি ঘুষের টাকা পকেটে নিয়ে মসজিদে যাচ্ছি, দান করছি, বাহাবা কামাচ্ছি। আর শুকুরের মাংস হারাম বলে দুরে ঠেলে দিচ্ছি। প্রথম হিজাদ করা দরকার নিজের কু-প্ররোচনার বিরুদ্ধে যেন খারাপ কাজ থেকে নিজেকে বাচাতে পারি।

এরপর ভিন্নধর্মীরা আমাদের মাঝে ঢুকিয়ে দিয়েছে আরে ইসলাম তো শান্তির ধর্ম তুমি কেন অস্ত্র বানাবে তুমি কেন যুন্ধ করবে, তুমি থাকো মসজিদে। তোমার পড়া লেখার দরকার নাই; আল্লাহ বেহেস্তে থেকে তোমার জন্য খাদ্য পাঠাবো, তুমি বসে বসে খাবে আর বিবি নিয়ে বাচ্চা ফুটাবে। ব্যাস আমরাও বসে পড়েছি সে মোতাবেক। আজ সর্ব বৃহৎ কোরাণ শরিফ তৈরী করে মুসলিমেরা কিন্তু সর্ব বৃহৎ এটমিক বোমা বানাতে পারে না। আজ ৬বছরের বাচ্চাকে কোরাণ হাফেজ বানাতে পারে কিন্তু সেই বাচ্চা টর্চলাইটের পাছাই ব্যাটারি পুরতে পারে না। সর্বপরি নিজের নিরাপত্তায় তারা পুরোপুরি ব্যার্থ। ইসলামের সেনাপতি খালিদ প্রায় ৫৮টি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল নিজেদের নিরাপত্তা রক্ষায় ও সমাজের কল্যানে আর আজ মুসলিমরা অস্ত্রের কথা শুনলেই নাউজুবিল্লাহ বলে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। আজ মুসলিমদের না আছে নিজের নিরাপ্তা দানের ক্ষমতা না আছে তার জাতির নিরাপত্তা দানের ক্ষমতা। বিশ্ব আনাবিক বোমা বানায় আর আমরা তাদের ফেলে দেয়া অস্ত্র কিনে সাজসজ্জা করি।

টিস্যু পেপার যেমন হালাক বাতাসেই নড়াচরা করে মুসলিমদের অবস্থাও তাই; তারা পাতলা হতে হতে এখন টিস্যু পেপারের মত।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:২৭

আলী নওয়াজ খান বলেছেন: সত্যিই আজ মুসলিম উম্মাহর অবস্থা অত্যান্ত দু:খজনক । তবে এমতাবস্থা থেকে পরিত্রাণের একমাত্র পথ হচ্ছে পবিত্র কুরআনের দিকে সকলকে ফিরে আসা এবং পবিত্র কুরআন ভিত্তিক জীবন র্চচা করা। শুধুমাত্র অস্ত্র ধরলেই বা অস্ত্র বানাতে পাড়লেই সভ্যতা গড়ে তোলা যায় না বরং এর জন্য প্রয়োজন সুশিক্ষা এবং সুশিক্ষা ভিত্তিক জীবন র্চচা, গবেষণা , অর্থনৈতিক ভাবে স্বনির্ভরশীল হওয়া। এদিক থেকে আর বৃহত্তর মুসলিম উম্মাহর দুটি দেশ ইরান এবং তুরস্ক অনেকখানি এগিয়ে গেছে। তারা এখন আর তারো টিস্যু পেপার নয়।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:২৫

চোরাবালি- বলেছেন: সুশিক্ষা এবং অস্ত্র/ক্ষমতা দুটো না থাকলে সভ্যতা টিকে না; আমরা আজ শুধু কোরান মুখস্ত করি;
ইসরাইলি বাহিন যেখানে বুলেট ছোড়ে সেখানে তারা ইট পাটকেল ছুড়ে আরো উসকে দেয়।

যদি বুলেটের পরিবর্তে বুলেট ছুড়তে পারত তা হলে বুলেট ছুড়তে হলে চিন্তা করে ছুড়ত।

২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৫৯

ক্স বলেছেন: বিশ্ব যখন এগিয়ে চলেছে আমরা তখনো বসে
বিবি তালাকের ফতোয়া খুঁজছি হাদিস কোরআন চষে

আজ থেকে ৬০ বছর আগে কবি নজরুল মুসলিম জাতি সম্পর্কে এই বাণী করেছিলেন। মুসলিমদের সংখ্যা বৃদ্ধি সম্পর্কে তার অভিমতঃ

ভেতরের দিকে যত মরিয়াছি বাহিরের দিকে ততো
গুণতিতে মোরা বাড়িয়া চলেছি গরু ছাগলের মতো।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:২৬

চোরাবালি- বলেছেন: এদেশেও নামে সুসলিম অনেক বেড়ে গেছে।

৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:১৪

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন:



নিজে নিজে যতদিন আমরা কাটা কাটি করিতে থাকিবো তত দিনই আমরা টিস্যু পেপার ছাড়া কিছুই হইবোনা।

নজরুলের কথায় : -------------

ভেতরের দিকে যত মরিয়াছি বাহিরের দিকে ততো
গুণতিতে মোরা বাড়িয়া চলেছি গরু ছাগলের মতো।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:৪৩

চোরাবালি- বলেছেন: আমাদের জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে হবে। অদ্ভদ লাগে হযরত মুঃ সঃ যদি দিন জয়ের মত শক্তি জোগার করতে পারেন নাই ততদিন তিনি কোন আক্রমণ বা যুদ্ধে যান নাই। অথচ রহিঙ্গারা চাল নাই চুলো নাই, যায় সেনা চৌকি আক্রমণ করতে। ফিলিস্তিনিরা ট্রাঙ্গের সামনে গিয়ে ঠিল ছুড়ে উসকানী বাড়ায়। আর আল্লাহর সাহায্যের আশায় থাকে। এরাই মূলত বিধর্মীদের এজেন্ট।
নামাজের পাশাপাশি আমাদের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে হবে।

৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:১৮

ইনাম আহমদ বলেছেন: লেখার মূল বক্তব্যটা কি?
আমাদের সংশোধন হওয়া উচিত না নিজেদের মাঝে ডুবে থাকা উচিৎ? ধর্মগ্রন্থ তো ইহুদী-খ্রিস্টানদেরও আছে, ওরা সেটার অনুসরণ করলে আজকে বিজ্ঞানের এতো উন্নতি হতোনা। ব্লগ দিয়ে ইন্টারনেট চালানোও সম্ভব হতো না।
ধর্মকে ধর্মের জায়গায় রাখুন, সমাজব্যবস্থা-অর্থনীতি-শিক্ষা-রাজনীতি এগুলোকে ধর্মের প্রভাবমুক্ত করুন। ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি না করলে মুসলিম দেশগুলোর আজ এই পরিণতি হয় না।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:৩৩

চোরাবালি- বলেছেন: ধর্মকি বলেছে আপনাকে বিজ্ঞান চর্চা করা যাবে না?
সে সময় যুদ্ধের জন্য ব্যবহৃত লোহার বর্ম, তীর, তরয়ারী, ঢাল। সেটা তখন কার বিজ্ঞান ছিল।
এখন ব্যবহৃত হচ্ছে বন্দুক, বোমা, রাসায়নিক অস্ত্র। ধর্ম পালন করা যেমন ফরজ, নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও তেমন ফরজ।
এখন নিজের নিরাপত্তার জন্য যা যা করা দরকার সব করবেন। ধর্মগ্রন্থে কোথাও নিষেধ নাই
আসেন ফেসবুক নিয়ে-
সে সময় প্রয়োজনে কবতর ব্যাবহার করা হত, বাহক পাঠানো হত, ঢাক ঢোল পিটিয়ে জানানো হত।
সেটি ছিল সে সময়ের বিজ্ঞান। ধর্মগ্রহন্থ আপনাকে গবেষণা করতে নিষেধ করে নাই, যোগাযোগের জন্য যা যা করার দরকার সময়ের সাথে সাথে করতে হবে। কিন্ত যদি কেও না করে সেটি তাদের অলসতা।

ধর্মের সঠিক প্রয়োগ থাকলে মুসলিমদের এ অবস্থা হত না। মুসলিমদের কাজের সাথে যেটুকু মিলে মুসলিমরা সেটুকুই ধর্ম পালন করে।

৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৪

সারা মীর বলেছেন: ইনশাআল্লাহ, খুব শীঘ্রই ইমাম মাহদী আসলে, আল্লাহর রহমতে সবই ঠিক হয়ে যাবে। এই সব গোড়ামীর কারনেই তো একের পর এক যিল্লতির নিউজ আসছে, আগে আসত মাসে একবার, আর এখন ঘন্টায়, ঘন্টায়।
আরো বিপদ আমাদের সামনে।
যেমন আমরা কামাই করছি, তাতো ভুগতে হবে
তারপরই হয়ত দিশা আল্লাহ দিতে পারেন
ইয়া আল্লাহ আমাদের রহম করুন আর নিজেদের ভুল ভ্রান্তি গুলোকে বোঝার ও তা থেকে শিক্ষা গ্রহণের তৌফিক দিন। আমীন

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:৩৪

চোরাবালি- বলেছেন: ইমাম মাহদী তো আসবে, আমার উপর যে দায়িত্ব ছিল সেটি কি আমি পালন করছি?

৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৯

নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন: ইমাম মাহ্দী (আঃ)-এর আগমন -আলহাজ্জ ডঃ তারিক সাইফুল ইসলাম
ইমাম মাহ্দী (আঃ)-এর আগমনের কথা বললে অনেকেই এই অভিমত ব্যক্ত করেন,
• ১। ইমাম মাহ্দী (আঃ)-এর আগমনের সময় এখনও হয়নি।
• ২। ইমাম মাহ্দী (আঃ)-এর আগমন হয়ে গেছে বা তাঁর আগমনের সময় হয়েছে এমন কথা শুধু আহ্মদীয়া জামা’তই বলে থাকে।
এই অভিমত দু’টির আলোচনা করাই প্রবন্ধের মূল উদ্দেশ্য।
বিশ্লেষণ পদ্ধতি
আমার এই প্রবন্ধে ইমাম মাহ্দী (আঃ)-এর আগমন সম্পর্কে কয়েকটি মূল বিষয় আলোচনা করেছি। এগুলো হলোঃ
• ১) ইমাম মাহ্দী (আঃ) যে আসবেন এটা কি নিশ্চিত?
• ২) ইমাম মাহ্দী (আঃ)-এর আগমন হলে তাঁকে কি মান্য করতে হবে?
• ৩) ইমাম মাহ্দী (আঃ) কখন আসবেন?
• ৪) ইমাম মাহ্দী (আঃ)-এর আবির্ভাবের কয়েকটি লক্ষণ।
• ৫) ইমাম মাহ্দী (আঃ) এসে গেছেন: বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তবিদদের ঘোষণা।
• ৬) ইমাম মাহ্দী (আঃ) কোন এলাকায় আসবেন।
• ৭) ইমাম মাহ্দী (আঃ)-এর নাম কি হবে।
• ৮) ইমাম মাহ্দী (আঃ)-কে মানার জন্য উদাত্ত আহ্বান।
• ৯) চতুর্দশ হিজরী শতাব্দীতে ইমাম মাহ্দী (আঃ) হওয়ার দাবীদার।
উপরোক্ত বিষয়গুলো আলোচনা করার সময় আমরা আহ্মদীয়া মুসলিম জামাতের সদস্য নন এমন বিজ্ঞ আলেমগণের এবং আহ্মদীয়া মুসলিম জামাতের বাইরে থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন ইসলামী প্রকাশনার উদ্ধৃতি দিয়েছি। উদ্দেশ্য এটি প্রদর্শন করা যে, ইমাম মাহ্দী (আঃ)-এর আগমনের বিষয়টি শুধু আহ্মদীয়া মুসলিম জামা’ত নয়, এই জামাতের বাইরের বিজ্ঞ আলেমগণও ব্যাপকভাবে আলোচনা করছেন।
প্রবন্ধে অন্যান্য আলেমগণের উদ্ধৃতিগুলোর ভাষা সব স্থানে সঠিক মনে না হলেও আমরা এর পরিবর্তন করিনি। যেখানে আমরা আমাদের ব্যাখ্যা দিয়েছি তা বন্ধনীর মধ্যে দেয়া হয়েছে। এছাড়া প্রবন্ধের শেষে আমরা আমাদের অভিমত দিয়েছি। তবে এর যথার্থতা বিচার করার ভার পাঠকের ওপর ছেড়ে দিয়েছি।
১। ইমাম মাহ্দী (আঃ) যে আসবেন এটা কি নিশ্চিত?
o ১.১ উম্মত জননী হযরত ফাতেমা (রাঃ) বর্ণনা করেন, হযরত নবী করীম (সাঃ)-কে তিনি এরূপ বলতে শুনেছেন যে, ইমাম মাহ্দীর আবির্ভাব সম্পর্কে সন্দেহের কোনই অবকাশ নেই। (হাদীসে রসূল (সাঃ), মাসিক মদীনা, জানুয়ারী ২০০৪, পৃষ্ঠা ০৪)
২। ইমাম মাহ্দী (আঃ)-এর আগমন হলে তাকে কি মান্য করতে হবে?
o ২.১ ইবনে মাজায় বলা হয়েছে, অতঃপর ইমাম মাহ্দী আবির্ভূত হবেন। তোমরা যে কোন মূল্যে তাঁর হাতে বয়আত করার চেষ্টা করবে। (মাসিক মদীনা, জানুয়ারী ২০০৪, পৃষ্ঠা ০৪)
o ২.২ যখন তোমরা তাকে দেখতে পাবে তার কাছে বয়আত করিও, যদিও বরফের দেশে থাক এবং তোমাদেরকে হামাগুড়ি দিয়ে আসতে হয়। কেননা নিশ্চয় সে আল্লাহ্ তাআলার খলীফা মাহ্দী হবেন (মাসিক মদীনা, জানুয়রী ২০০৪, পৃষ্ঠা ২৯)।
o ২.৩ তিনি পৃথিবীতে (আল্লাহ্র) খলীফা, তাঁর কাছে বয়’আত করিও (হাজা খালীফাতী ফিল আরদ্ব ফাবাইউহু)। (মাসিক মদীনা, জুলাই ২০০৪, পৃষ্ঠা ১৫)
৩। ইমাম মাহ্দী (আঃ) কখন আসবেন?
o ৩.১ আবি কাতাদাহ বর্ণনা করেছেন, হযরত রসূলে করীম (সাঃ) বলেছেন, ইমাম মাহ্দী সম্পর্কিত লক্ষণসমূহ সেই ২০০ বছর পর দেখা দিবে যা হাজার বছর পর আসবে। (মিশকাত কিতাবুল ফিতান)
o ৩.২ উপরে ২.১-এর বর্ণিত হাদীসের ব্যাখ্যায় এবং সমর্থনে হযরত মোল্লা আলী কারী (রহঃ) লিখেছেনঃ সেই দুইশত বছর পরে, যা হাজার বছর পরে আসবে, সেটাই ইমাম মাহ্দী (আঃ)-এর যাহির হওয়ার সময়”। (মিরকাত, শরহে মিশকাত)
o ৩.৩ পীর আকবর মুহীউদ্দীন ইবনে আরবী (রাঃ) বলেছেনঃ সহস্র হিজরী সনের পরবর্তীকালে তিনশত বছর অতিক্রান্ত হবার দ্বারপ্রান্তে উপনীত হবে, সে সময় হযরত ইমাম মাহ্দীর আবির্ভাব হবার সময় উপস্থিত হবে। (মাসিক মদীনা, জানুয়ারী ২০০৪, পৃষ্ঠা ৩) {উপরোক্ত আলোচনা থেকে এটা প্রতীয়মান হয়, ইমাম মাহ্দী (আঃ)-এর আবির্ভাব ত্রয়োদশ বা চতুর্দশ হিজরী শতব্দীতে হবে।}
৪। ইমাম মাহ্দী (আঃ)-এর আবির্ভাবের কয়েকটি লক্ষণ
o ৪.১ সৌরজাগতিক লক্ষণ মোজাদ্দেদ আলফেসানী (রঃ) ‘মাকতুবাত শরীফ’ এর দ্বিতীয় খন্ডে ৬৭ মাকতুবে লিখেছেন: ইমাম মাহ্দীর আবির্ভাবের জামানায় রমজান মাসের ১৪ তারিখ সূর্যগ্রহণ এবং জ্যোতির্বিজ্ঞানের হিসেবের বিপরীত এবং কালের নিয়মের বিপরীতে উক্ত রমজান মাসের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ হবে। (মাসিক মদীনা, জানুয়ারী ২০০৪, পৃষ্ঠা ১৫)
শায়খ আকবর মুহীউদ্দীন ইবনে আরাবী (রঃ) ‘ফতুহাতে মক্কীয়া’ কিতাবে লিখেছেন (কানযুল উম্মাল গ্রন্থেও অনুরূপ বর্ণনা রয়েছে): ইমাম মাহ্দীর আবির্ভাবের অব্যবহিত পূর্বে একই রমজান মাসে চন্দ্রগ্রহণ এবং সূর্যগ্রহণ সংঘটিত হবে (মাসিক মদীনা, জানুয়ারী ২০০৪, পৃষ্ঠা ১৫-১৬)।
হযরত রসূলে আকরাম (সাঃ) ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে, যে বছর রমযান মাসে চন্দ্রগ্রহণ ও সূর্যগ্রহণ উভয়ই (এক মাসে) সংঘটিত হবে, ঠিক সেই বছরই হজ্জের মৌসুমে ইমাম মাহ্দী আত্মপ্রকাশ করবেন। (ডঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম, মুসলিম পুনর্জাগরণ: প্রসঙ্গ ইমাম মাহ্দী, মদীনা পাবলিকেশন্স, ঢাকা, ২০০৫, পৃঃ ৬৯)
{চন্দ্রগ্রহণ এবং সূর্যগ্রহণ সম্পর্কে যে হাদীসটি রয়েছে তাতে এই গ্রহণসমূহ প্রকৃতির নিয়মের বিপরীতে হবে এবং ইমাম মাহ্দীর আবির্ভাবের অব্যবহিত পূর্বে সংঘটিত হবে এমন কোন কথা নেই। মূল হাদীসটি হ’ল, “ইন্না লি মাহ্দীনা আয়াতায়নে, লাম তাকূনা মুন্যু খালকিস্ সামাওয়াতি ওয়াল আরয্; ইয়ানকাসিফুল কামারু লি আওওয়ালি লাইলাতিম মির রামাযানা, ওয়া তানখাসিফুশ্ শামসু ফিন্নিসফি্ মিনহু” অর্থাৎ নিশ্চয় আমাদের মাহ্দীর জন্য এমন দু’টি নিদর্শন রয়েছে যা আকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টি অবধি (কারো সত্যতার নিদর্শন্স্বরূপ) প্রকাশিত হয়নি। (তা এই,) চন্দ্রগ্রহণ হবে (চন্দ্রগ্রহণের রাতগুলোর) প্রথম রাতে ও সূর্যগ্রহণ হবে এর (অর্থাৎ সূর্যগ্রহণের দিনগুলোর) মধ্যম দিনে।}
o ৪.২ ইমাম মাহ্দীর আবির্ভাব কালে আরব অঞ্চলের ভূপ্রাকৃতিক অবস্থার বিবরণ ইমাম মাহ্দীর আবির্ভাবকালীন সময়ে আরব ভূমি হবে উর্বর এবং সরস। কৃত্রিম খালের পানির প্রবাহ নিশ্চিত করে ধূসর মরুভূমি সুজলা সুফলা হবে। বাগবাগিচায় ভরে যাবে। শস্যের প্রচুর উৎপাদন হবে। বিভিন্ন প্রকার খনিজ আবিষ্কারের ফলে আরববাসীরা সম্পদশালী হবে। সেসময় সম্পদের এতই প্রাচুর্য হবে যে, কেউ যাকাত গ্রহণ করবে না। (মুসলিম মেশকাত শরীফ; মাসিক মদীনা, জানুয়ারী ২০০৪, পৃষ্ঠা ১৪)
৫। ইমাম মাহ্দী এসে গেছেনঃ বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদগণের ঘোষণা
মাসিক মদীনার বিজ্ঞ লেখক বেশ কয়েকজন ইসলামী বিশিষ্ট চিন্তাবিদের কথা বলেছেন যারা ঘোষণা করেছেন, ইমাম মাহ্দী (আঃ)-এর জন্ম হয়ে গেছে বা তাঁর আগমন অতি নিকটে। এই ঘোষণাগুলো নিম্নরূপঃ
o ৫.১ ইসলামী চিন্তাবিদ ও পীর মাওলানা মোহাম্মদ মঈজ উদ্দিন হামিদী সাহেব, খুলনা-এর ঘোষণা অভিন্ন পাকিস্তান থাকাকালীন ১৯৭০ সনে তৎকালীন রাজশাহী জেলার চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহকুমার অধীনে বালিয়া ডাঙ্গা গ্রামে এক বৃহৎ ধর্মীয় জলসায় বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত ধর্মানুরাগীদের উদ্দেশ্যে সর্বপ্রথম প্রকাশ্যে ঘোষণা দেন ইমাম মাহ্দীর জন্ম হয়ে গেছে। পীর সাহেব ইমাম মাহ্দীর জন্ম কোথায় বা কখন হয়েছে তা বিস্তারিত কিছুই বলেননি। সে মজলিসে প্রায় ১০,০০০ (দশ হাজার) লোক উপস্থিত ছিলেন। (মাসিক মদীনা, জানুয়ারী ২০০৪, পৃষ্ঠা ১৬)
o ৫.২ ইসলামী চিন্তাবিদ ফুরাফুরা শরীফে পীর মোহাম্মদ আব্দুল হাই সিদ্দিকী সাহেব, (কোলকাতা, ভারত)-এর ঘোষণা ১৯৮৫ সনের ফেব্রুয়ারী মাসে ঈশ্বরদীর ইসালে সওয়াব মাঠে বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ফুরফুরা শরীফের পীর মোহাম্মদ আব্দুল হাই সিদ্দিকী হাজার হাজার লোকের উপস্থিতেতে ঘোষণা করেন, ইমাম মাহ্দীর জন্ম হয়ে গেছে। তিনি কোথায় জন্মগ্রহণ করেছেন, সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলেন নি। (মাসিক মদীনা, জানুয়ারী ২০০৪, পৃষ্ঠা ১৭)
o ৫.৩ সৌদী আরব থেকে আগত তাবলীগ জামাতের আমীরের ঘোষণা গত অক্টোবর ২০০৩-এ সৌদী আরব থেকে আগত তাবলীগ জামাতের আমীর বিশেষ আলোচনার এক পর্যায়ে বলেন, `Imam Mahadi is knocking at the door’ (ইমাম মাহ্দী দরজায় কড়া নাড়ছেন) মারকাজ মসজিদ কুষ্টিয়া, বাংলাদেশ এর জামাতে উপস্থিত মুসল্লিদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য। (মাসিক মদীনা, জানুয়ারী ২০০৪, পৃষ্ঠা ১৭)
৬। ইমাম মাহ্দী (আঃ)- কোন্ এলাকায় আসবেন
o আল্লামা ইবনে কাসীর (রহঃ) ‘আলামাতে ইয়াওমেল কিয়ামাহ’ গ্রন্থের ৩৬ পৃষ্ঠায় লিখেছেনঃ সেই প্রশংসিত এবং প্রতিশ্রুত ইমাম মাহ্দী শেষ যামানায় সশরীরে আবির্ভূত হবেন। পূর্বাঞ্চল হতে তিনি প্রকাশিত হবেন। (ডঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম, মুসলিম পুনর্জাগরণ: প্রসঙ্গ ইমাম মাহ্দী, মদীনা পাবলিকেশন্স, ঢাকা, ২০০৫ পৃঃ ১৩৯)
৭। ইমাম মাহ্দী (আঃ)-এর নাম কি হবে
o বাগদাদ শরীফের বড় পীর হযরত সৈয়দ মুহীউদ্দীন আব্দুল কাদের জিলানী (রহঃ) ভবিষ্যদ্বাণী করেন, তাঁর মৃত্যুর ৪০০ বছর পরে মোজাদ্দেদ আলফে সানী (রহঃ) আগমন করবেন যা সত্যে পরিণত হয়েছে। আবার হযরত মোজাদ্দেদে আলফে সানী (রহঃ) ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, তাঁর মৃত্যুর ৪০০ বছর পরে ‘আহমদ’ নামে একজন বিশ্ব নেতা বা সংস্কারকের আবির্ভাব হবে। হিজরী ১৫০০ শতাব্দীর প্রথম ভাগে (২০০২ ইংরেজী সনের পরে) উক্ত ৪০০ বছর শেষ হবে। অতএব আশা করা যায়, হিজরী ১৫শ শতাব্দীর প্রথমভাগে (অর্থাৎ ২০০২ সালের মধ্যে) ইমাম মাহ্দী (আঃ)-এর আবির্ভাব অনিবার্য। (হযরত শাহ সূফী এম, এন, আলম, ২০০২ সালের মধ্যে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং বিশ্বশান্তির পয়গাম নিয়ে ইমাম মাহ্দী (আঃ)-এর আগমন, ওরিয়েন্টাল বুক সার্ভিস, ঢাকা, ১৯৯৭, পৃঃ ৫১)
৮। ইমাম মাহ্দী (আঃ)-কে মানার জন্য উদাত্ত আহবান
o একজন বিশিষ্ট লেখক লিখেছেন, “ইসলামী চিন্তাবিদদের ঘোষণা অনুসারে ইমাম মাহ্দীর আবির্ভাবের সময় খুবই নিকটবর্তী। এটা সত্য হলে আমাদের অবশ্যই মানসিকভাবে ইমাম মাহ্দীকে সাহায্যের জন্য (বা আন্তরিকভাবে গ্রহণের জন্য) প্রস্তুত থাকতে হবে। হাদীস অনুসারে তাঁকে এবং তাঁর সাহায্যে আসা সেনাবাহিনীকে সকলের সাহায্য করা ওয়াজেব। ইমাম মাহ্দীর যখনই আবির্ভাব হোক না কেনো সত্য ভক্তদের অবশ্যই ইমাম মাহ্দীকে স্বাগত জানানোর জন্য সদা সর্বদাই প্রস্তুত থাকা উচিত। শেষ যামানায় ইসলামকে রক্ষার জন্য এটাই হবে সর্বশেষ এবং একমাত্র উপায়”। (মুসলিম পুনর্জাগরণ: প্রসঙ্গ ইমাম মাহ্দী, মদীনা পাবলিকেশন্স, ঢাকা, ২০০৫, পৃঃ ১০৪)
৯। চতুর্দশ হিজরী শতাব্দীতে ইমাম মাহ্দী (আঃ) হওয়ার দাবীদার
o হযরত মির্যা গোলাম আহমদ (আঃ) ১৮৩৫ খৃষ্টাব্দে (অর্থাৎ ত্রয়োদশ হিজরী শতাব্দীতে) জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৮৮৯ খৃষ্টাব্দ (অর্থাৎ চতুর্দশ হিজরী শতাব্দী) থেকে ইমাম মাহ্দী হিসাবে বয়’আত গ্রহণ শুরু করেন। তাঁর সত্যতার নিদর্শনস্বরূপ একই রমযান মাসে চন্দ্রগ্রহণ এবং সূর্যগ্রহণ হয়েছে (১৮৯৪ সালে পূর্ব গোলার্দ্ধে এবং ১৮৯৫ সালে পশ্চিম গোলার্দ্ধে)। তাঁর জন্ম পূর্বাঞ্চলে হয়েছে। তাঁর নাম ‘আহমদ’। উপরে বর্ণিত হাদীস এবং বুযুর্গানে দ্বীনের অভিমতের সঙ্গে এই বিষয়গুলো সামঞ্জস্যপূর্ণ। আহ্মদীয়া মুসলিম জামা’ত নামে পরিচিত তাঁর প্রতিষ্ঠিত জামা’ত বর্তমানে পৃথিবীর ১৯৪টি দেশের মধ্যে ১৮৩টি দেশেই রয়েছে। তাঁর অনুসারীর সংখ্যা প্রায় ২০ কোটি যা ক্রমাগত বাড়ছে।
উপসংহার
বুযুর্গানে দীনের অভিমত অনুসারে ত্রয়োদশ বা চতুর্দশ হিজরী শতাব্দীতে ইমাম মাহ্দী (আঃ)-এর আগমন হওয়ার কথা। যেহেতু এখন চতুর্দশ শতাব্দী পার হয়ে পঞ্চদশ হিজরীরও ছাব্বিশ বছর অতিবাহিত হয়েছে সেহেতু সবার কাছে একটি বড় প্রশ্ন, ত্রয়োদশ বা চতুর্দশ হিজরী শতাব্দীতে প্রতিশ্রুত ইমাম মাহ্দী (আঃ) হওয়ার দাবীদার কে এবং তাঁর সত্যতা কিভাবে যাচাই করা যায়?
উপরোক্ত আলোচনা থেকে দেখা যাচ্ছে, ইমাম মাহ্দী (আঃ) অবশ্যই আসবেন, তিনি এলে তাঁকে মানতে হবে, তিনি ত্রয়োদশ বা চতুর্দশ হিজরী শতাব্দীতে আসবেন, তিনি পূর্বাঞ্চলে আসবেন এবং তাঁর নাম ‘আহমদ’ হবে। আরব ভূমিতে পানি সেচের মাধ্যমে চাষ হবে এবং খনিজ পদার্থ আবিষ্কারের ফলে আরববাসীদের আর্থিক অবস্থার অসাধারণ উন্নতি হবে।
যেহেতু এখন ১৪২৮ হিজরী সন চলছে, অর্থাৎ এটা পঞ্চদশ হিজরী, সেহেতু চতুর্দশ হিজরী শতাব্দীতে ইমাম মাহ্দী হওয়ার দাবীদার হযরত মির্যা গোলাম আহমদ (আঃ)-কে মান্য করা উচিত। যাঁরা হযরত মির্যা গোলাম আহমদ (আঃ)-এর দাবী মানতে অস্বীকার করেন তাঁদের কাছে আমাদের আহ্বান তাঁরা যেন ত্রয়োদশ বা চতুর্দশ হিজরী শতাব্দীর প্রত্যাশিত ইমাম মাহ্দী (আঃ)-কে উপস্থিত করেন।
পাক্ষিক আহ্মদী - ৩১শে জানুয়ারী ২০০৭
সূত্র : Click This Link)/Imam-Mahdir-Agoman.htm

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:৩৮

চোরাবালি- বলেছেন: যে আসার সে আসবে, আমার উপর যে দায়িত্ব সেটি আমাদের পালন করতে হবে। বিশ্বে যত কোরাণ হাফেজ আছে তার অর্ধেকও যদি বিজ্ঞান নিয়ে চর্চা করত তা হলে মুসলিমদের নিয়ে কেও কথা বলার সাহত পেত না। একটা ছেলে বিশাল এক গ্রন্থ মুখস্ত করে ফেলছে, তার মেধার জোড় অবশ্যই অনেক বেশী। তাকে আমরা কোরানে পাশাপাশি নিজের নিরাপত্তা সম্পর্কে কি করতে হবে, বিশ্বে কিভাবে টিকে থাকতে হবে এ সম্পর্কে কিছু্ই শেখাচ্ছি না।

৭| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:২৭

কানিজ রিনা বলেছেন: কোরআন জ্ঞান বিজ্ঞান অতপ্রোত জড়িত।
প্রতিটা ইসলামীক ভার্সিটিতে কোরআনের
জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চার গবেষনাগার থাকা
অবশ্যই জরুরী। বিজ্ঞানী ডাঃ শমসের
আলির কোরআন ভিত্তিক বিজ্ঞান চর্চা ও
গবেশনার বইগুল প্রতিটি শিক্ষিত মুসলিম
জ্ঞান অর্জন করা উচিৎ। প্রতিটি কওমী
হাফিজিয়া মাদ্রাসার পরিচালক প্রধানরা
কোরআন ভিত্তিক জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চা করা
অবশ্যই প্রয়োজন। তাহলে তারা কোরআনে
জ্ঞান বিজ্ঞানের দিকে ছাত্রছাত্রীদের এগিয়ে
নিতে পারবেন। সর্ব প্রথম শব্দ রেডিও
আবিস্কার করেন বিজ্ঞানী মার্কনী। কোরআনের
আয়াত ধরে। আল্লাহ্ সর্বস্থানে সমান ভাবে
বিস্তীর্ন। এমন হাজার আয়াত বড় বড় বিজ্ঞানী
চর্চা করেন। বিশ্বের প্রতিটি বিজ্ঞান গবেষনাগারে
কোরআনের বিজ্ঞানের যে দিক আছে তা
গবেষনা করা হয়। হোক ইহুদী খৃষ্টান হোক
অমুসলিম।
সত্য বলেছেন আজ মুসলিমরা নিজেরা
নিজেরা দলবেদলে হানাহানী করতে করতে
দিন গুজরাচ্ছে। বিশ্বের মুসলিম দেশ সবচেয়ে
শক্তিশালী দেশ অর্থবিত্বে ভরপুর সৌদী রাস্ট্র
তারা গরীব মুসলিম রাস্ট্রকে শুধু মসজিদ
তৈরি করতে দান করেন। অথচ তারা ইচ্ছা
করলেই গরীব মুসলিম রাস্ট্রগুলকে জ্ঞান
বিজ্ঞানের গবেষনার বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করে
দিতে। তা হোত যদি কোরআন বিত্তিক জ্ঞান
বিজ্ঞানের গবেষনাগার। সৌদী রাস্ট্র ধনসম্পদ
তেলের সোনার খনি আল্লাহর রহমতের দান।
সে দেশ হযরত মোহাঃ সাঃ দেশ। বিশ্বের
সকল মুসলিম দেশের সে সম্পদে গড়ে তোলা
যেত। তবে মাথা মোটা সৌদী বাদশারা ভোগ
বিলাসীতার কারনে অজ্ঞনতা তারা অন্য
রাস্ট্রর কথা চিন্তা করে নাই। এখন চিন্তা
করতে হবে মুসলিম বিশ্ব হানাহানী ছেরে
কিভাবে জ্ঞানের দরজায় পা রাখবে। তবে
কোরআনে ছোটকাল থেকে হাফেজ হওয়া
প্রয়োজন সেই সাথে কোরআনের জ্ঞান অর্থ
সহ পড়লে ছাত্ররা অনেক এগিয়ে যাবে বলে
আমার বিশ্বাস। ভাল ছাত্ররা কোরআনের
বিজ্ঞান জ্ঞান গবেষনায় দ্বার খুলবে।
তাই আবারও বলব ডাঃ শমসের আলির
বইগুল প্রতিটি ইসলামিক মাদ্রার পরিচালক
যোগার করবেন।
আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কওমী মাদ্রাসা
সরকারী আওতায় এনেছেন বলে উনাকে
অনেক অনেক ধন্যবাদ সেই সাথে ইসলামীক
বিশ্ববিদ্যালয় গুলকে গবেষনাগার করার সহায়তা
করলে ভবিষ্যতে এইসব ছাত্ররা অনেক দুর
আগাতে পারবে। ধন্যবাদ আপনার লেখার
যুক্তি আছে।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:৩৯

চোরাবালি- বলেছেন: আমরা আজ কোরানের অর্থ বুঝি না। বিজ গণিত করতে গেলে আমরা সূত্র গুলির প্রমাণ দেখি কিন্তু কোরাণ পড়তে গিয়ে তার প্রমাণ খুজি না। আমাদের মাঝে যদি কোরাণ পড়তে গিয়ে প্রমাণ খোজার প্রবণতা থাকত তা হলে আমরা আজ এত পিছিয়ে থাকতাম না।

৮| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:৫৩

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ভাল লিখেছেন।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:০৩

চোরাবালি- বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

৯| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:০০

রাজীব নুর বলেছেন: আজকাল এমন অবস্থা দাড়িয়েছে- বিদেশীরা মনে করে মুসলিম মানেই জঙ্গি। মুখে দাড়ি দেখলেও সন্দেহ করে।
একসময় মুসলিমরা সাম্রাজ্যর পর সাম্রাজ্য শাসন করেছিল।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:০১

চোরাবালি- বলেছেন: তার প্রধান কারণ তারা প্রথমে কিছু মিডিয়া সৃষ্টি করেছে যারা সর্বদা তাদের জয়গান করবে এবং মুসলিমদের জঙ্গী বানাবে। মুসলিমদের দখলেও যদি কিছু মিডিয়া থাকত তা হলে তারার মুসলিমদের ঐতিহ্য দেখাতে পারত সাথে সঠিক নিউজ প্রচার করতে পারবত।

১০| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:০৭

প্রথম বাংলা বলেছেন: আসলেই মুসলিমরা এখন টিস্যু পেপার

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:০১

চোরাবালি- বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

১১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:০৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: বৈশ্বিক রাজনৈতিক কৌশলে আজ মুসলমানরা মার খাচ্ছে। তবে তারা জ্ঞান বিজ্ঞানে পিছিয়ে আছে সেটা বলা যাবে না। ধর্ম চর্চা ও বিজ্ঞান চর্চা সমান তালেই চলছে। সবাই হাফেজও হবে না, আবার সবাই বিজ্ঞানীও হবে না। আর মুসলমানদের ধারা উপধারা নিয়ে বিভক্তির কারণে ঐক্য কম...

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:০৩

চোরাবালি- বলেছেন: মুসলিমরা আজ না করছে ধর্ম চর্চা না করছে বিজ্ঞান চর্চা। দুটির মাঝামাঝি থেকে তারা মুসলিম। আমার কয়েকজন বন্ধু আছে যারা মুসলিম, কিন্তু ধর্ম মানে না, কোরানের কিছু আয়াত অর্থ করে বলে এটা বলে কিজন্য সোয়াব হবে। এসব ঠিক না। ইত্যাদি-

১২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৪৭

টারজান০০০০৭ বলেছেন: তা আপনি এখন কোন ব্র্যান্ডের টিসু পেপার ; বসুন্ধরা গোল্ড নাকি বাংলা সাদা ?
এক কাজ করিতে পারেন। নিজেরে টিস্যু পেপার না বানাইয়া শিরিষ কাগজ বানাইয়া ফেলুন !!!!!!! তাহা হইলে একবার ব্যবহার করিয়াই আপনারে দিয়া জীবনে আর ইয়ে মুছিবে না ! X((


একেতে বক্তব্য পরিষ্কার না , তারউপর উদাহরণও বাজে ! আত্মসমালোচনা ভালো, তবে তাহা করিতে গিয়া নিজ জাতিকে টিস্যু পেপারের সাথে তুলনা করিয়া অন্যের হাসির খোরাক হওয়া বুদ্ধিমানের কাজ নহে। নিজের ইয়েতে বাঁশ লওয়ার কোন দরকার দেখিনা। আত্মসংশোধন, আত্মসমালোচনার প্রক্রিয়া এমন নহে !


১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৩০

চোরাবালি- বলেছেন: যে জাতি নিজের অবস্থান আগে চিন্তা করতে পারে না তাদের দ্বারা আর যাই হউক জাতি উন্নয়ন সম্ভব না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.