নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পোষাক তৈরীর কারখানায় মাসিক বেতনে কামলা দেয় মাস শেষে মাইনের আশায়, যে মাইনে দিয়ে চলবে নিজের পরিবার ও সমাজের জন্য কিছু একটা করার প্রচেষ্টা মাত্র। নিতান্তই সাদামাঠা গ্রাম থেকে আসা স্বল্প শিক্ষিত মানুষ।

চোরাবালি-

চোরাবালি- › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঠিল ছুরে চুরি আর ছুরি ধরে ডাকাতি

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৪২



আজকের আম চোর আগামী দিনের ডাকাত-
গতকালের পোষ্টের অধিকাংশই এই চুরির পক্ষে। কেও বলেছেন ডাকাত হতে পারি নাই; যাকগে সেসব কথা; মূল বিষয় নৈতিকতা শিক্ষা। ছোট থেকে যদি নৈতিকতা শিক্ষা না পায় তা হলে বড় হলে সে যে ঘরেরই হউক না কেন সে ডাকাতই হয়। পড়া লেখা শিখে হয় কলমের মাধ্যমে ডাকাত আর না শিখলে হয় ছুরি ধরে ডাকাত। ছুরি ধরে ডাকাতির চেয়ে কলম ধরে ডাকাতি বহুগুন ভয়ংকর তা আমরা আজ টেরপাচ্ছি হারে হারে অবশ্য যারা বোঝার ক্ষমতা রাখে। এই গার্মেন্টস ট্রেডে কামলা খাটতে এসে বহু ধরনের ডাকাত, ছিনতাইকারীর কবলে প্রতিনিয়ত পরতে হয়।

২০০৪/৫ সালের দিকের কথা; কামলা খাটি সাভারে। ঠিক আসরের আগে স্বাক্ষর করাতে উঠলাম কাস্টমস কার্যালয়ে; সফেদ দাড়ি; রুপেও মাশাল্লাহ, দেখলেই শ্রদ্ধা হওয়ার মত চেহারা; নামাজ পড়তে যাবেন বলে ওজু করা অবস্থায় স্বাক্ষর করলেন; ইতস্তঃ করছি তার সম্মানী নামের ঘুষটা দিব কি দিব না (ঝামেলা এড়াতে প্রতি স্বাক্ষরে রেট বাধা); ইতস্তঃতা দেখে নিজেই বলে বসল, তারাতাড়ি করেন নমাজে যাব; টাকাটা বের কের দিয়ে আল্লাহর কাছে মাফ চাওয়া ছাড়া আর কিছুই করার নাই।

২০০৫ একটা সমস্যা নিয়ে কাস্টমস্ কার্যালয়ে; শুক্রবারে ফোনে কথা বললে শনিবারে সময় দিলেন। তো শনিবারদিন দীর্ঘ সময় সমস্যাটা নিয়ে আলাপ করলে উনি আস্বস্ত করলেন যে সমাধান করে দিবেন। কথার ফাকে যে হারে আল্লাহ খোদার নাম নিলেন আমি তো ভয়ই পেয়ে গেলাম; পরে আমার ইতস্ততা দেখে সরাসরিই বলে বসল- রেট, যা হউক উপায় নাই, সেটেল করেই বের হতে হল।

মহানগর গোধুলিতে টিট ইনচার্জ একজন আছেন কালো চেহারার স্বাস্থ্য ভালো; চট্টগ্রাম থেকে মহানগর গধুলিতে প্রায়শই দেখতে পাওয়া যায়। মাস চারেক আগে, কিছু যাত্রির সাথে অবৈধ টাকা নেওয়া নিয়ে কথা লেগে গেল; কেবিনের রো'তে টাকা নিয়ে লোক দাড়ি করিয়ে রেখেছেন; কোন এক যাত্রি বলেছে আপনারাতো টাকা নিয়ে অবৈধ ভাবে যাত্রি দাড় করিয়েছেন। দাপটের সঙ্গে উত্তর করল- ঘুষ নিব না কি করব; যত ইচ্ছে নিব যা পারেন করেন; ছেলেকে চাকরি দিতে ২৫লাখ গেছে; আমাকে ঘুষ নিতে হবে না। সেটাকা কোথা থেকে আসবে।

চট্টগ্রাম বন্দরে এক নতুন অফিসার এসেছেন, কোন নিয়মনীতি বুঝিনা প্রতি কনটেইনারে ২০হাজার দিলেই স্বাক্ষর হবে না হলে হাজারও সমস্যায় ইমপোর্টারের অবস্থা কাহিল। বাধ্য হয়ে মাথানত কিছু করার নেই।

এরকম হাজারও সমস্যা প্রতিনিয়ত কাধে নিয়েই পথ চলি; এদের কাছে কোনকিছুই আজ চুরি না; সম্মানী, অনেকে তো বলে বসে "হক" বা অধিকার। ছোটবেলার দুরন্তপনায় চুরি আর আজ আভিযাত্যের টানে ডাকাতি। শুধু ছুরি ধরে ডাকাতি আমাদের নজরে আসে; এসবকিচু আড়ালেই থেকে যায় কারণ তারা ভদ্রপোষাক পড়ে, রংকরা বাড়ীতে থাকে, ঠান্ডা বাতাসের গাড়ীতে চড়ে। এদের ডাকাত অথবা ছিনতাইকারী বলার কোন সুযোগ নাই। যে যাই বলুক আমি বলব ছোটবেলা থেকে নৈতিকতা শিক্ষার অভাবেই আজ তাদের এই দুরাবস্থা।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৫০

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: আলোচনায় যথার্থ যুক্তি আছে।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৬

চোরাবালি- বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৪

মৌরি হক দোলা বলেছেন: বর্তমানে সারাদেশেই এই চুরি- ডাকাতি। বিষয়টা এখন কেমন প্রথা হিসেবে অঘোষিত রায় পেয়ে গিয়েছে।

যদি সত্যিই কখনো এসব বন্ধ হতো !!:( :(

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৭

চোরাবালি- বলেছেন: দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রেই/প্রতিটি ডিপার্টমেন্টে আজ এ প্রথা বিদ্যমান।

৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:১৭

আবু আফিয়া বলেছেন: যুক্তিসঙ্গত লেখা, লেখককে ধন্যবাদ

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৫

চোরাবালি- বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: চোরাবালি আপনার কথায় শত যুক্তি আছে তবে কথা হচ্ছে ঘুষ খোর আপনি পাবেন কোথায় যদি ঘুষ না দেন । কদম আলী ট্রেনের কেবিনে কেনা যাবেন ? টিকেটে করে সিটে বসে যাক কদম আলী এখন সিটের টিকেট করে যদি কেবিনে যাওয়ার বাসনা হয় আর কদম আলী টিকিট চেকারকে টাকা ধরিয়ে দেয় দোষটা কার মাথামোটা টিকেট চেকারের না কদম আলীর ? সমাজ দুষিত সমাজের মানুষের কারণে ! প্রশাসনে মানুষ বেশী না সাধারণ মানুষ বেশী । আর ব্লগে উদ্যত হাতে ছুরির ছবিটি মুছে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছিে এটি আপত্তিকর, মানুষ ছুরি ধরতে আগ্রহ অনুভব করবে ।।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৭

চোরাবালি- বলেছেন: আপনার মনে হয় কোন কাজ করতে হয় না।
আপনি একটা মাল আমদানি করে ফেলে রাখবেন?
আপনি যেভাবে বলছেন সেরকম সমাজ হলে সমাজে পুলিশ/ প্রশাসন দরকার পরত না।
কঠোর নীতিবান প্রশাসনকেই হতে হয়; সাধারণ কখনও ১০০ভাগ হয় না।

৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বর্তমানে বাংলাদেশের জনগণের নিকট ঘুষ একটি বহুল পরিচিত শব্দ। ঘুষ একটি সামাজিক ব্যাধি। আমাদের সমাজ ব্যবস্থার রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে পড়েছে এ সর্বনাশা অসুখ। ক্রমেই সমাজ ব্যবস্থা থেকে বিলুপ্ত হচ্ছে, হারিয়ে যাচ্ছে মানবতা। আজকাল যে দিকে তাকান, সেদিকেই ঘুষ চোখে পড়ে, নজরে আসে। ঘুমের উৎপত্তি সম্পর্কে জানা যায়, দেব-দেবীর কাহিনী পড়লে দেবতাদের সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য, মনুষ্য কর্তৃক নানা রকম উপটৌকন বা ঘুষ প্রদানের ঘটনা দেখা যায়। ফল-মূল, অস্ত্র, শস্য, নারী থেকে আরম্ভ করে কি না ছিল সেই উপটৌকনের তালিকায়। এই উপমহাদেশে ঘুষের ব্যাপক প্রসার ঘটে বিদেশী শস্তিসমূহ এই অঞ্চলের শাসন ক্ষমতা গ্রহণের পর। ঘুষ শুধু উপরথেকে নিচেই বিস্তৃত হয়নি। নিচ থেকে বিস্তৃত হয়েছে পরেও। ব্রিটিশ আমলে ঘুষ প্রতিষ্টানিকতা পায়। এই আমলে জনগণের কল্যাণের নামে প্রণীত হয় নানাবিধ আইন। ভূমি রাজস্ব আদায় উন্নয়, আইন-শৃঙ্খলা, রক্ষা, বিচার কার্য ইত্যাদির সাথে সাথে ইংরেজ রাজ পুরুষদের ব্যক্তিগত উচ্চভিলাসের পথ পরিক্রমায় ঘুষের পরিধি বিস্তৃত থাকে।
ঘুষ হচ্ছে অনেকটা প্রেমের মতো। প্রেম নামক অমিত শক্তি যেমন প্রেমিক-প্রেমিকাকে দুর্বার গতিতে টানে-ঘুষ নামক যাদুকরী শক্তি একভাবে কাছে টানে- ঘুষদাতা এবং ঘুষখোরকে। প্রেমিক প্রেমিকাকেন একজন আরেক জনের প্রতি আকৃষ্ট হয় তার সঠিক কারণ যেমন বলা যায় না, তেমনি ঘুষ দাতা ও ঘুষরখোরের পরস্পরের আকর্ষণের সুনির্দিষ্ট কারণ বর্ণনা করা অসম্ভব। ঘুষের সংজ্ঞায় বলতে হয়- কোন ক্ষমতাধর ব্যক্তির কাছ থেকে বিশেষ সুবিধা গ্রগণের জন্যে য বিশেষ সুবিধা দেয়া হয় তাই হচ্ছে উৎকোচ বা ঘুষ। ঘুষ কখনো দিতে বাধ্য করা হয়, আবার কখনো নিজস্ব প্রয়োজনেই দেয়া হয়।
পবিত্র কুরআন মজীদ আল্লাহ রাব্বুল ‘আলামীন ইরশাদ করেন : “তোমরা অন্যায়ভাবে একে অপরের সম্দ ভোগ করো না এবং জনগণের সম্পদের কিয়দাংশ জেনে শুনে অন্যানয়ভাবে আত্সসাৎ করার উদ্দেশ্যে শাসন কর্তৃপক্ষের হাতেও তুলে দিও না। সূরা আল বাক্বারাহ ২ : ১৮৮।
অন্য এক আয়াতে ইরশাদ করেন, “হে মানব জাতি। যমীনের মধ্যে যা কিছু রয়েছে তা থেকে তোমরা হালাল ও পবিত্র বস্তুসমূহ খাও। আর শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। কেননা, সে তোমাদের প্রকাশ্য দুশমন।” সূরা আল বাক্বারাহ ২ : ১৬৮।
আলোচ্য আয়াতে হারাম পন্থার সম্পদ অর্জন এবং ভোগ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাই আল্লাহ পাক হালাল পন্থায় সম্পদ অর্জন এবং ভোগ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)। ঘুষদাতা ও ঘুষ গ্রহীতা এবং ঘুষের দালাল সকলের উপর অভিসম্পদ করেছেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “ঘুষদাতা ও ঘুষগ্রহীতা উভয়েই জাহান্নামে যাবে।” পবিত্র কুরআনে ও গুনাহের কাজ। ঘুষ মানুষের দুনিয়া ও আখিরাত উভয়ই নষ্ট করে দেয়।
আমাদের বর্তমান সমাজে ঘুষ একটি মারাত্মক সংক্রামক বাধির ন্যায় বিস্তার লাভ করেছে। ঘুষ ছাড়া কাজ হয় না। কেউ ঘুষ দিচ্ছে স্বেচ্ছায়, আবার কেউ ঘুষ দিচ্ছে বাধ্য হয়ে এবং ঘৃণা ভরে। ঘুষের অর্থ আজ প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে মিশে আছে আমাদের রক্ত মাংসের সাথে। যারা সুদ ঘুষ খেয়ে টাকার পাহাড় গড়েছে তাদের জীবনের সামান্য নিরাপত্তাও নেই। কোথাও বসে দুদ- বিশ্রাম করার ফুরসতও তাদের হয় না।
মোটকথা, হারাম উপার্জনের পরিণতি অশুভই হয়ে থাকে। আর যারা অন্যের দু’পয়সা অন্যায়ভাবে আত্মসাৎ করে না। যতদূর সম্ভব হালাল উপার্জন দিয়ে খেয়ে পরে কোন রকমে জীবন কাটিয়ে দেয়। এ ধরনের লোকেরা কতই না সুখে আছে।
আর বিচারকদের ঘুষ দেয়া প্রসঙ্গে বলতে চাই। বিচারক ও তার সহযোগীদের মধ্যে ঘুষের আদান প্রদান করা ইসলাম চিরতরে নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হচ্ছে- “তোমরা নিজেদের মধ্যে একে অন্যের অর্থ সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না এবং জেনে-শুনে মানুষের ধন-সম্পত্তির কিংদংশ অন্যায়ভাবে গ্রাস করার উদ্দেশ্যে বিচারকগণের নিকট পেশ করো না।” সূরা আর বাক্বারাহ ২: ১৮৮”।
পবিত্র কুরআনের এই আয়াতটি বিচারকদের ঘুষ দেয়া প্রসঙ্গে বলা হয়েছে। মনে রাখতে হবে যে, বিচারকের ফয়সালা বা রায়ের দ্বারা কোন হারাম জিনিস হালাল হয়ে যায় না। আবার কোন হালাল জিনিসও হারাম হয়ে যায় না। কারণ বিচারকদের রায় সাধারণত: প্রকাশ্য যুক্তি প্রমাণ ও দলিলাদির উপর ভিত্তি করে দেয়া হয়ে থাকে। সুতরাং যে ব্যক্তি ধোঁকা দিয়ে কিংবা ভুয়া দলিল ও প্রমাণপত্র পেশ করে অথবা ভুল তথ্য সরবরাহ করে বা ভুল যুক্তি দিয়ে বিচারকের ফায়সালাকে নিজের স্বপক্ষে আনার এবং সত্যকে চাপা দেয়ার চেষ্টা করবে সেই দায়ী এবং গুনাহগার হবে। আর যদি কেউ বিচারককে ঘুষ দিয়ে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে এবং বিচারক ঘুষ খেয়ে রায় দেন, তাহলে ঘুষদাতা ও বিচারক উভয়েই দায়ী ও গুনাহগার হবে।

ঘুষ দাতা ও গ্রহীতা উভয়েই সমান অপরাধী।
ঘুষ দিলে নিবে, না দিলে পাবে কোথায়?

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৯

চোরাবালি- বলেছেন: অত্যন্ত চমৎকার ভাবে তুলে ধরেছেন। একটা ব্লগ আকারে পোষ্ট করলে অনেকে পড়ার সুযোগ পাবে
ঘুষ না দিলে পাবে কোথায় ?
সাধারণ একটা উদাহরণ দেই- আমার কোম্পানী কর্তৃপক্ষ ঘুষ লেনদেরে ১০০ভাগ বিপক্ষে; প্রয়োজনে কদিন দেরি হউক। কিন্তু অবস্থা এমন- গত ১৫তারিখে মাল এসেছে, কাস্টমস ক্লিয়ার করছে না বিভিন্ন বাহানায়, ১৮তারিখ থেকে আমাকে বন্দর বিলম্বশুল্ক গুনতে হচ্ছে। এখন আমার কি করা? কার কাছে বিচার চাইব? যদি কারো কাছে বিচার চেয়ে পরিত্রাণ পাওয়া যেত তা হলে তার কাছে বিচার চাওয়া যেত। কিন্তু কোন উপায় নেই, আমাকে ঘুষ দিতেই হবে তা না হলে এপণ্য খালাস নেয়া যাবে না সরকারী বিভিন্ন আইনে আটকে যাব। ঠিক প্রতিটি স্তরেই এভাবে অদৃশ্য ছুরি ধরে ডাকাতি করা হচ্ছে ঘুষ নামে।

৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:১৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: রাস্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে যদি অনৈতিকতাকে বাধ্যতা্মুলক করা হয় তবে আপনি কি করবেন? আপনি যাদের ঘুস দিচ্ছেন, তাদেরও একইভাবে আবার অন্যদের ম্যানেজ করতে হয়। পুরোটাই একটা চেইন। এই চেইন ভাঙ্গতে হলে মুলে আঘাত করতে হবে। ২০ /২২ বছরের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীরা দেখিয়ে দিয়েছে নিজের অধিকার পেতে হলে আঘাতটা কোথায় করতে হবে।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:১৮

চোরাবালি- বলেছেন: সেই তো একই কথা; আমাদের দেশে রাজনীতি করতে হলে কোন যোগ্যতা লাগে না; অঞ্চলের যত ছেচড়া, দুনম্বরী লোক ছিল তারা আজ একএকটা রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব; যারা আমাদের শিক্ষা দিবেন তাদেরই যদি কোন নৈতিক শিক্ষা না থাকে শিখবে কোথা থেকে জাতি?

৭| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:২৬

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ঢাবিয়ানের সাথে একমত। এটা একটা চেইন। ভালো থাকলেও সে পেরে উঠেনা খারাপদের সাথে আবার অনেক সময় উপরের চাপে তাকেও এসব মানতে হয়। আমরা যারা সৎ জীবন যাপন করছি তারা আসলেই আল্লাহর রহমত প্রাপ্ত যে ঐ কঠিন পরীক্ষা আমাদের দিতে হচ্ছে না। তবে ঘুষখোরদের জীবন খুব একটা ভালো নেই। তারা নিজেরাও অসুখী, সন্তানরাও অসুখী হয়...

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:২০

চোরাবালি- বলেছেন: ঘুষখোরেরা শুধু খারাপ নেই কতটা খারাপ থাকে তারা কাছ থেকে না দেখলে বোঝা যায় না। বাইরের চাকচিক্য দেখে আমরা মুগ্ধ হয় কিন্তু ঘরে বাইরে তাদের শান্তি নেই; ছেলে কথা শোনে না, বউ চলে তার মত; আত্মীয় স্বজন ফোন করেই টাকা খোজে ভালো মন্দ কোন খোজ রাখে না হাজারও সমস্যা তদের।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.