নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পোষাক তৈরীর কারখানায় মাসিক বেতনে কামলা দেয় মাস শেষে মাইনের আশায়, যে মাইনে দিয়ে চলবে নিজের পরিবার ও সমাজের জন্য কিছু একটা করার প্রচেষ্টা মাত্র। নিতান্তই সাদামাঠা গ্রাম থেকে আসা স্বল্প শিক্ষিত মানুষ।

চোরাবালি-

চোরাবালি- › বিস্তারিত পোস্টঃ

দোষ কি শুধু বাল্য বিয়েরই??

০৫ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৪৫

মাঝে মধ্যেই পত্রিকায় বাল্য বিয়ে নিয়ে বেশ খবর দেখা যায়। এই দুদিন আগেও দেখা গেল বাল্য বিয়ে বন্ধ করতে গিয়ে বিয়ে বাড়ির খাবার সহ ফেলে দিয়েছেন। আমার মাথার উপর দিয়ে গেল কেন তারা খাবার ফেলল। খাবারে কি দোষ করল।

অধিকাংশ বাল্য বিয়ে হয় এলাকার সুন্দরী মেয়েদের আর সেটা হয় বখাটের উৎপাতে, প্রশাসনের বখাটে উৎপাত বন্ধের ক্ষমতা যাকে আবার কেও কেও হেডাম বলে সেটি কতটুকু তা আমরা কম বেশী সবাই জানি। নেতার ছেলে করলে দুষ্টামি করেছে, মেয়েকে সামলে রাখতে পারোনা টাইপের শাসন ব্যাস এটুকুই।

যাক বিষয় সেটা না, বিশাল লম্বা চওড়া কলাম পড়তে পড়তে দিশে হারা বাল্য বিবাহের ক্ষতির দিক জানতে জানতে। কিন্তু দোষ কি শুধু বাল্য বিবাহেই?? আমার দাদীর বিয়ে হয়েছিল ১১বছর বয়সে। মাশাল্লাহ তার ১০টা বাচ্চা, ৫টা মেয়ে ৫টা ছেলে। সহি-সালামতে প্রায় ৭০বছর বেচেছেন। দেখতে শুনতে আলতা স্নু লিপিষ্টিক ছাড়াই যে কোন সুন্দরী থেকেও সুন্দরী। আর ৫টা ছেলেই মাশাল্লাহ এক একটা একটা ব্রান্ডের চেহারার অধিকারী। তার বড় ছেলে অর্থাৎ আমার বাবা আল্লাহ পাকের রহমতে ১৯৪০এ জন্মগ্রহণ করে এখনও হেটে মসজিদে যেতে পারে গ্রামে বাস করেও। তার বড় আরো দুইজন বোন আছেন তারাও জীবিত এবং সবগুলার চেহারাই আল্লাহপারেক রহমতে একে অন্যের থেকে সুন্দর। নানি তারও একই অবস্থা বিয়ে হয় ৯বছর বা তারও কম বয়সে। ছেলে পিলে মাত্র ১১টা। সবাই প্রায় ৬ফিটের কাছাকাছি দুইজন মেয়েও ৫ফিট ৬ইঞ্চি লম্বায়। এভাবে খোজ নিলে প্রায় প্রতিটি পরিবারেই বিয়ে হত ৬-১৩বছর বয়সের মধ্যে। বাচ্চাকাচ্চাও আল্লাহ পারেক রহমতে তারা দান করে গেছেন, কাটা ছেড়ারও দরকার হয় নাই। তার মানে বাল্য বিবাহই যে স্বাস্থ্যঝুকির একমাত্র দায় সেটা বলার কোন যোগ্য ভিত্তি নাই। কেননা হাজার হাজার বছর ধরে বাল্য বিয়ে হয়েই সভ্যতা ১৯৮০-৮৫পর্যন্ত জনসংখ্যা বৃদ্ধি করেই টিকে ছিল এখনও আছে ভবিষ্যতের থাকবে।


মেয়েরা এখন ঘুম থেকে ওঠেন সকাল ১০টায়। খাটের উপর বসে চা খায় যার না বেড টি। দিনের অধিকাংশ সময় কাটে পরনিন্দ আর পরনিন্দা প্রশিক্ষণে ভারতীয় সিরিয়াল দেখে, নাই হাটা চলা শারিরিক পরিশ্রমের কাজ যা খায় তাতেই জায়গা বুঝে চর্বি জমতে থাকে শরীরে। যা হউক আর সেদিক না বলি।

আবার বলা হয় পরিবেশর সাথে খাপ খাওয়াতে পারে না। আমার মনে হয় পুরোটাই ভিন্ন। অল্পবয়সীরা তাও ঠেলাগুতা খেয়ে খাপা খাওয়াতে পারে কিন্তু পূর্ণ বয়ষ্করা খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করে না। পৃতিবীর সে একাই সব বুঝে। বিবাহিতরা ব্যাপারটা ভালো বুঝবে।

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৪০

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: দোষ আমাদের সিস্টেমের। দোষ আমাদের মানুষিকতার।

০৫ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:০৬

চোরাবালি- বলেছেন: এই বাল্য বিবাহ নিয়ে যা করা হয় সেটি কাম্য নয়। আপনার সন্তান আপনি কোলে পিঠে করে বড় করছেন তার থেকে দরদী কেও হতে পারে না।

২| ০৫ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৩

গরল বলেছেন: আপনার বিবেচনায় ডর্জন ডর্জন বাচ্চ প্রডাকশন দেওয়াই হচ্ছে মেয়েদের প্রধান কাজ বা আপনার ধারণায় সংসার হল পোল্ট্রি বা ডেইরি ফার্ম বা মাছের হ্যাচারির মত কিছু একটা।

০৫ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:০৪

চোরাবালি- বলেছেন: আপনার বিবেচনায় মেয়েদের প্রধান কাজ কি?

৩| ০৫ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:২২

শফিউল আলম চৌধূরী বলেছেন: এগুলি নিয়ে কথা বলাই বিপদজনক! বাল্য বিবাহ কেন করা উচিৎ নয় জিজ্ঞাসা করলে প্রথমে যেই উত্তর আসে, সেটাই হচ্ছে বাচ্চা জন্ম দিতে গিয়ে নাকি বিপদ হয়; আবার আপনি যখনই বাচ্চা জন্মের বিষয়ে বললেন, তখন দেখেন একজন গড়ল প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন যে মেয়েদের কাজ কি এটাই?

এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে ধর্ম সামনে চলে আসে। ধর্মে বিবাহকে সহজ করা হয়েছে, তার বড় একটা কারণ হচ্ছে সমাজে যাতে অশ্নীলতা না ছড়ায়। কিন্তু কিছুদিন আগে দেখলাম একজন সরকারী কর্মকর্তা বা এনজিও কর্মকর্তা মহিলা এক মেয়েকে বুদ্ধি দিচ্ছে, ১৮ বছর পর্যন্ত প্রেম করবা, তারপর বিয়ে করবা।

এই প্রেম করতে গিয়ে আমাদের সমাজের অবস্থা দিন দিন যে কত খারাপের দিকে যাচ্ছে তা বলে বোঝানোর মত না। পর্ণে আসক্তি ঠেকাতে পারছি না আমরা। সারা বিশ্বের যত ধর্ষক ধরা পড়েছে, তাদের ৯০%এর বেশী স্বীকার করেছে যে তারা পর্ণে আসক্ত!

০৫ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:২৬

চোরাবালি- বলেছেন: উত্তরার নামকরা একটি স্কুলে ক্লাস সেভেনে পড়ুয়া মেয়ে যখন পেগনেট তার অষ্টম শ্রেণীত পড়ুয়া প্রেমিকার সাথে তখন এদেশে এসব স্বাথ্যজ্ঞানী বা বুদ্ধিজীবিদের খুজে পাবেন না; তারা বলবে প্রকৃতিক।

এটার পিছনে এক বিড়াট ষড়যন্ত্র কাজ করে। যুব সমাজকে যদি নষ্টামিতে ডুবিয়ে রাখা যায় তা হলে তাদের শাসন করা যায় যাচ্ছেতাই ভাবে। প্রতিবাদের কেও থাকে না।

৪| ০৫ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৫৩

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: তথাকথিত বালক বালিকারা অনেক কিছুই করে বসে, ঝোকের বশে বা না বুঝে। যে সময় মানুষ তার শারিরীক অনুভূতি কল্পনা করতে পারে সেই বয়সকে বাল্য বলা যায় না। বরং এটাই হলো উপযুক্ত বয়সের প্রাথমিক ধাপ। তাই অভিভাবদের ক্ষেত্রে উচিত সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে নিজের সন্তানদের বিপথে যাওয়া থেকে ঠেকানো। আর উপযুক্ত পাত্র-পাত্রী পেলে পাত্রস্থ করা, একই সাথে স্বাস্থ্য বিধি সম্পর্কে সচেতন করা।
স্বাস্থ্য বিধি সম্পর্কে সচেতন কোন বালিকাও (আমরা যাদের বাল্য বলে থাকি) সচেতনতার সাথে সুন্দর করে সংসার গুছিয়ে রাখতে পরে। শুধু দরকার সঠিক পরিচর্যা আর তাদের প্রতি ইতিবাচক সহযোগিতা। ধন্যবাদ, আপনার লেখাটা খুব ভাল হয়েছে, ভাল লাগল।

০৫ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:২৭

চোরাবালি- বলেছেন: বাল্য বিয়েই যদি স্বাস্থ্যঝুকির একমাত্র কারণ হত তা হলে সভ্যতা কবেই ধ্বংশ হয়ে যেত। মাতৃ মিত্যুর যে দোহায় দেয়া হয় সেটি সম্পূর্ণ মনগড়া। মাতৃত্বের সচেতনা সৃষ্টি না করে মনগড়া থিউরি দিয়ে চলে।

ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

৫| ০৫ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:২০

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আজকাল মানুষ শিক্ষিতর নামে গন্ড মূর্খ হচ্ছে বেশি :(

০৫ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৩১

চোরাবালি- বলেছেন: হুম, সঠিক বলেছেন, যত শিক্ষিত হচ্ছে তত বেশী স্বার্থপর আর অন্যের মাথায় কাঠাল রেখে কিভাবে খাওয়া যায় সে শিক্ষা শিক্ষিত হচ্ছে।

৬| ০৫ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৩৬

কামরুননাহার কলি বলেছেন: সেই অসচেতন সমাজে যদি মেয়েরা এখনো পরে থাকতো তাহলে আর আজ মেয়েদের জানা হতো না আসল কালপিটটা কে বা কি।

০৫ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৪১

চোরাবালি- বলেছেন: সচেতনতা মানে কি শুধু ৩০শে বিয়ে আর সন্তান জন্ম না দেয়া?

৭| ০৫ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৪৮

কামরুননাহার কলি বলেছেন: আর সচেতন মানে কি এটাই যে বিয়ে আর সন্তান জন্ম দেওয়া??

০৫ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:০২

চোরাবালি- বলেছেন: যে যেটাতে খুশি।
যে পড়া লেখা করে খুশি থাকতে চাই সে সেটি নিয়ে থাকুক আর যে বাচ্চা কাচ্চা নিয়ে সুখী থাকতে চাই সে সেভাবে থাককুক।
একটি সংসারের স্বার্থকতা যদি বাচ্চাই না থাকে?

একতরফা ভাবে বাল্য বিয়ের কেন দোষ দেয়া হয়?

৮| ০৫ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:০১

ব্লু হোয়েল বলেছেন: রাস্তায় বের হবেন দেখবেন রিক্সায় হুড তুলে দুটি ছেলে-মেয়ে যাচ্ছে । কিন্তু ভাল করে দেখবেন মেয়েটি টিনেজ । সর্বোচ্চ ১৪-১৫ হতে পারে । শুধু কি হাত ধরে আছে ? আরও কত কি বলে শেষ করা যাবে না । আমারতো মনে হয় এহেন অপকর্মের চেয়ে এদেরকে বিয়ে হওয়াই ভাল ।

০৫ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:০৪

চোরাবালি- বলেছেন: আমরা তো শিক্ষিত হচ্ছি আর হচ্ছি সচেতন তাই,
রাস্তাঘাটে করি কুরের মত আচরণ।

৯| ০৫ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:১৪

নাহিদ০৯ বলেছেন: বাল্য বিবাহ এর কথা বলতে বলতে অনেকে ১৮ তে কেন ২৮ এও বিয়ে না করে দিব্যি আছে, দিব্যি চলছে, সেই দিব্যি থাকা টা পরবর্তি সংসারে গিয়ে পরিবর্তন করতে চায় না বলে ৩০ ও পার করে দিচ্ছে এরকম শত শত মেয়ে আছে একবার শুধু বিসিএস কোচিং গুলাতে খোঁজ নিয়ে দেখেন।

আমার ক্লাসের সবাই ই কম করে হলেও ২৮ বছর বয়স। যদিও জিগ্গেস করলে নিজের সার্টিফিকেট বয়সের থেকেও ২-১ বছর কমিয়ে ২৫-২৬ বানায়। তার পরেও এরা বাল্য এর মা এর বয়সে পৌঁছে গেছে একেক জন। আমার সাথে ২ বছর আগে মাস্টার্স পাশ করেছে এরকম অন্ততঃ ৭০ জন এর মতো আছে এখনো বিবাহ হয়নাই।

এরকম আমার কলেজের মোট ২৪ টি আলাদা বিভাগের কম করে হলেও ৫০০ মেয়ে আছে যাদের বিয়েই হয়নি এখনো। কেন হয়নি.. কারন অজানা। আমার পরেও আরো ২ টা ব্যাচ মাস্টার্স কম্প্লিট করে বের হয়ে বসে আছে।
বাল্য বিবাহ এর কথা বলতে বলতে অনেকে ১৮ তে কেন ২৮ এও বিয়ে না করে দিব্যি আছে, দিব্যি চলছে, সেই দিব্যি থাকা টা পরবর্তি সংসারে গিয়ে পরিবর্তন করতে চায় না বলে ৩০ ও পার করে দিচ্ছে এরকম শত শত মেয়ে আছে একবার শুধু বিসিএস কোচিং গুলাতে খোঁজ নিয়ে দেখেন।

আমার ক্লাসের সবাই ই কম করে হলেও ২৮ বছর বয়স। যদিও জিগ্গেস করলে নিজের সার্টিফিকেট বয়সের থেকেও ২-১ বছর কমিয়ে ২৫-২৬ বানায়। তার পরেও এরা বাল্য এর মা এর বয়সে পৌঁছে গেছে একেক জন। আমার সাথে ২ বছর আগে মাস্টার্স পাশ করেছে এরকম অন্ততঃ ৭০ জন এর মতো আছে এখনো বিবাহ হয়নাই।

এরকম আমার কলেজের মোট ২৪ টি আলাদা বিভাগের কম করে হলেও ৫০০ মেয়ে আছে যাদের বিয়েই হয়নি এখনো। কেন হয়নি.. কারন অজানা। আমার পরেও আরো ২ টা ব্যাচ মাস্টার্স কম্প্লিট করে বের হয়ে বসে আছে।


সম্পূর্ন বাংলাদেশের পরিসংখ্যান আমার একার পক্ষে জানা সম্ভব না। আমার কাছের জানা তথ্য দিয়ে মন্তব্য করলাম।



সম্পূর্ন বাংলাদেশের পরিসংখ্যান আমার একার পক্ষে জানা সম্ভব না। আমার কাছের জানা তথ্য দিয়ে মন্তব্য করলাম।

০৫ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:১৫

চোরাবালি- বলেছেন: ভাই এ তর্কে না যায়। আমার লেখার বিষয় ভিন্ন;
লেখার বিষয় বাল্য বিয়েকে দোষারোপ নিয়ে।

গ্রামে একটা কথা আছে ভাত কাপড়ের ভাতার না কিল মারার গুসাই।

বেড়ে ওঠার নিরাপত্তা না দিয়ে বিয়ে বন্ধের হই চৈই বড়ই বিরক্তকর।

প্রতিষ্ঠিত হতে গিয়ে আর পাত্র মেলে না। কারণ ৩০পর মেয়েদের না যৌন চাহিদা থাকে যেমনটা ছেলেরা চাই, না তারা বাচ্চা প্রসব করতে পারবে যেমনটি সমাজের দরকার।

১০| ০৫ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:১৭

ব্লু হোয়েল বলেছেন: আমার দেখা আমাদের দেশের অধিকাংশ হিন্দু মেয়ে যারা লেখা-পড়ার ধার ধারে না অথবা পড়ালেখায় অমনযোগী তাদের কিন্তু ১৫-১৬ তেই বিয়ে হয়ে যাচ্ছে । কোথাও এ নিয়ে চেঁচামেচি আছে আমাদের ।

০৫ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৩

চোরাবালি- বলেছেন: এমনকি তাদের বিয়ে হয় ৩০উর্দ্ধ ছেলেদের সাথে,

১১| ০৫ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:১৭

কামরুননাহার কলি বলেছেন: বাল্য বিয়ে কেনো এক তরফা দোষ দেওয়া হয় ? এটাই তো আপনার প্রশ্ন তাই না। হুম, আমি বলছি বল্য বিয়ে কেনো একতরফা দোষ দেওয়া হয়। মেয়েটার বয়স ১৪/১৫ আর পুরুষ, মানি বুড়ো বেটার ৪০/৪৫ বছর বয়স। ঐ বুড়োর কি বিবেক যে মেয়ের বয়সের মতো একটি মেয়েকে বিয়ে করতে আসছে, বলতে পারেন। নাকি বলবেন ছেলে বলে কথা, বয়স যাই হোক, সোনার চামুচ মুখে দেওয়!!!! তাহলে এটা আবার আপনাদের কোন ধরনে বিকেক।

মেয়েটা প্রেম করে ১৪/১৫ বছর বয়সে, ছেলেরাও তো করে প্রেম, ১৭/১৮ বছর বয়সে। মেয়েটা প্রেম করে খারাপ হয়ে গেছে ছেলেটা প্রেম করে খারাপ হয়নি?

আসলে কি জানেন, এই সমাজটাকে না পুরুষদের বেড মন-মানসসিকতার কারণে খারাপ হয়ে গেছে। পুরুষরা যুগ যুগ ধরে মেয়েদেরকে নিচের দিকে নামানো চেষ্টা করে আসছে।

তাই আমি এই অন্ধ সমাজ আর সমাজের মানুষদের বিশ্বাস করি না। বিশ্বাস করি শুধু কোরআন। যেখানে আসল সত্য লুকিয়ে আছে। আর এই আসল সত্যটা যারা লুকিয়ে সমাজটাকে নষ্ট করেছে তারা আসলে বিবেকহীন মানুষ।

০৫ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:১০

চোরাবালি- বলেছেন: আপনি যে অভিযোগ করলেন তার % কত? ব্যাতিক্রম কখনও উদাহরণ হতে পারে না।
হুমায়ন আহমেদ যখন দ্বিতীয় বিয়ে করল তখনও কি আপনার একই প্রশ্ন ছিল?

আমার লেখায় কিন্তু মেয়ের দোষ নাই বা ছেলের দোষ নাই। এখানে কথা বাল্য বিয়ে নিয়ে। যৌন চাহিদা সবার সমান না; কারো ১৪/১৫তে কারো ২৫/৩০শে যার যখন ইচ্ছে সে করবে। এটা মৌলিক চাহিদা, অস্বীকার করার উপায় নেই। বাংলাদেশী আবহাওয়ায় ১৪ যেটা সরকার করতে চাচ্ছে সেটিই স্ট্যান্ডার। যেখানে ঝুকির কথা বলা হয় অল্প বয়সীরা ভুল করে ভুল পাত্রে বিয়ে বসবে। সেখানে ইসলামিক রুলস ফলো করলে কোন সমস্যা নাই। ইসলামিক রুলসে অবশ্যই মেয়ের গার্ডিয়ান থাকতে হবে (গার্ডিয়ান বলতে পুরুষ গার্ডিয়ান, প্রথমত বাবা, বাবার অবর্তমানে বড় ভাই, চাচা, মামা, তারপর অন্যান্য পুরুষ আত্মীয়)। যা হউক সেদিকে গড়াবো না।

একটা মেয়ে যখন খারাপ কিছু করে তারা গাছপালার সাথে করে না, ছেলের সাথেই করে তাই এক তরফা ছেলে বা মেয়ের দোষ দেয়ার কিছু নাই।

আমার লেখার উদ্দেশ্য স্বাস্থ্য ঝুকি স্বাস্থ্য ঝুকির নামে যে সর্বদা বাল্য বিয়েকে দায়ি করা হয় তার জন্য। আপনি আজ থেকে খেয়াল করা শুরু করেন দেখবেন ১৭/১৮বছর বয়সী মেয়ে থেকে ৩০/৩২বছর বয়সী মেয়েদের মাতৃত্বকালীন জটিলতা বেশী। দেখবেন যারা মারা যায় মাতৃত্বে তারা সম্পূর্ণ অসচতেনতায়। তারা গলায় ঝুলিয়ে রাখে তাবিজ, দক্ষ দাই অথবা ডাক্টার না ডেকে ডাকে কবিরাজ, নিয়ে আসে পানি পরা। ৪২বছর বয়সে আমি আমার এলাকায় কোন মা কে সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মারা যেতে দেখিনি শুধুমাত্র সচেতনার জন্য। না সিজার না রেনডম ডাক্টার, বরং সিজারের সময় মারা যাবার অনেক রেকর্ড আছে, ডাক্টারদের পাকনামোর কারনে। বাচ্চা গর্ভে থাকতে এত পরিমান ক্যালসিয়াম দিবে যাতে বাচ্চার সাইজ এতবড় হবে যেন বের না হয়। (সরি একটু খারাপ ভাষায় বলে ফেললাম)

১২| ০৫ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:২২

কামরুননাহার কলি বলেছেন: nahih09 আপনি বলেছেন ২৮/৩০ হয়ে গেছে মেয়েদের এখনো বিয়ে হয়নি । হতেই পারে সাভাবিক তাতে কি, লেখাপড়া করলে এই রকম তো হবেই। তবে বিয়ে তো হবে একদিন তাই না। আর ৪০/৪৫ বছর বয়সে বিয়ে করে সেই সব পুরুষদের কি বলবেন, মেয়েদের টা তো দিব্যি মনের আনন্দ বলতে পারলেন।

১৩| ০৫ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:২৩

কামরুননাহার কলি বলেছেন: nahih09 ভাইয়া আপনার যখন ২১ বছর বয়স ছিলো তখন আপনি বিয়ে করলে না কেনো বলুন তো। এখন

১৪| ০৫ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৪১

ব্লু হোয়েল বলেছেন: একজন পুরুষকে নিজের পায়ে দাঁড়িয়েই বিয়ে করতে হয় । হাতি কেনার আগে নাকি হাতির খাবার সংগ্রহে রাখতে হয় । একজন ৪০-৪৫ বছরের একজন মাঝ-বয়সীর সাথে ১৪-২০ বছর বয়সী মেয়ের ঘোর বিরোধিতা করছি । তবে অধিকাংশই হচ্ছে হতদরিদ্র এলাকাসমূহে ।

০৫ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৩

চোরাবালি- বলেছেন: ভাই সেটার % কত? সেগুলি হল ব্যাতিক্রম এবং এবং মেয়ের বাবাদের জন্যই। মেয়ের বাবারা চাই বিয়ে দেবার আগেই মেয়ের সোনার গহনা আলাদা ফ্লাট

১৫| ০৫ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: বিয়ের খাবার ফেলে দিল কেন? হা হা হা
আসলে বাঙ্গালীরা এমনই।
পুকুরের মাছ বিষ দিয়ে মেরে ফেলে।
জমির ফসল কেড়ে ফেলে।
বিষ দিয়ে খেতের সমস্ত সবজি নষ্ট করে দেয়।

০৫ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:১৫

চোরাবালি- বলেছেন: আমার প্রশ্নও তাই, খাবারের কি দোষ ছিল।

১৬| ০৫ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:১৯

রাকু হাসান বলেছেন: বাল্যবিবাহে বন্ধে এলাকার বকাটেদের সাইজ করা উচিত ;) ,.এ অংশে একমত পোষণ করছি । কিন্তু খাবার ফেলে দিয়ে বিয়ে ভাঙ্গতে হবে কেন :| । কোথায় হয়েছে এমন ঘটনা ? চোরবালি ,ভাইয়া/আপু ?

০৫ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৩০

চোরাবালি- বলেছেন: Click This Link

১৭| ০৫ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:২২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সময়ের সাথে সাথে সব কিছুর পরিবর্তন হয়। ঐ সময় বাল্য বিবাহ প্রচলিত ছিল সামাজিক কারণে। এখন সেটা সম্ভব হয়ে ওঠেনা। আর আমাদের দেশে এখন চরিত্রেরও সমস্যা আছে। তাই ১৩/১৪ বছরের মেয়েকে শশুর বাড়িতে পাঠানো মানে তার সাথে অন্যায় করা। বউ তো না বুয়া হিসেবে পাঠানো হয়। এখনকার শাশুড়িরাও যে পরিমাণ অত্যাচার করে একটা বাচ্চা মেয়ে এসব সহ্য করতে পারে না। তাই তাকে পরিণত বয়সেই বিয়ে দেয়া উচিত...

০৬ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৩৩

চোরাবালি- বলেছেন: আপনার বউকি আপনার বাসায় কাজের বুয়া?
আপনি যে বয়স ক‌ে পরিনত বলছেন সেটা আরেক জনার কাছে বেশী বা কম হতে পারে

১৮| ০৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:০৭

টারজান০০০০৭ বলেছেন: @ কলি !

আপনি শুধুই কুরআন বুঝিলেন আর যাহাদের মাধ্যমে কুরআন পাইলেন তাহাদের আমল দেখিলেন না ? হজরত মুহাম্মদ স. যখন মা আয়েশা রা. কে বিবাহ করিলেন তিনি বাল্য বয়সেই ছিলেন। হজরত ওমর রা. যখন উম্মে কুলসুম রা. কে বিবাহ করিয়াছিলেন তিনিও বাল্যই ছিলেন !

খুব বেশিকাল আগে নহে , আমাদের উপমহাদেশেও দ্বাদশ বছর পার হইলে বিয়ের বয়স চলিয়া যাইতেছে বলা হইত ! আমাদের রবি ঠাকুর বাল্য বিবাহ করিয়াছিলেন, তাহার মেয়েকে বাল্য বিবাহ দিয়েছিলেন। আমাদের বঙ্গবন্ধুও বাল্য বিবাহ করিয়াছিলেন। (অসমাপ্ত আত্মজীবনী দ্রষ্টব্য) !

আর বেশি বয়সী পুরুষের কম বয়সী বালিকা বিবাহ করা হালাল, হারাম নহে ! ইহাকে হারাম মনে করাও হারাম ! বড়জোর অপছন্দ হইতে পারে ! হারাম নহে ! পাশ্চাত্যে অসমবয়সী বিবাহ হরদম হইতেছে ! শুধু বালিকা নহে এই যা ! তাহাদের দেশে আকাম কুকাম বালক/বালিকা বয়সেই শুরু হইলেও বিবাহ বুড়িফাইলকেই করিতে হইবে, ইহাই তাহাদের সংস্কৃতি! বিবাহ না করিয়া পেডোফাইল, চাইল্ড পর্ন ইহাও তাহাদেরই সংস্কৃতি !

আর তাহাদের ঘেটুপুত্র-পুত্রীরা তাহাদের সংস্কৃতিই চালু করিতে চাহিতেছে ! ক্ষুধা লাগিলেও চুরি করিয়া খাইতে হইবে, একসময় চুরিই আইনসিদ্ধ বানাইয়া দেওয়া হইবে ইহাই তাহাদের নিয়ম ! আমাদের সংষ্কৃতি কোথায় যাইতেছে খেয়াল আছে ? স্কুল লাইফ পার হইতেই কতজনের অবৈধ যৌনতার অভিজ্ঞতা হইতেছে খেয়াল আছে ?

আমাদের ওলামায়ে কেরাম বলেন, বিবাহ কঠিন হইলে আকাম সহজ হইয়া যায়, বিবাহ সহজ হইলে আকাম কঠিন হইয়া যায় ! বিবাহ কঠিন বানাইয়া আকাম সহজ বানানোই চুশীলদের আসল উদ্যেশ্য ! আর এ কারণেই চুশীল ফতোয়া হইল , বাল্য প্রেম জায়েজ , বাল্য বিবাহ নাজায়েজ !

যাহা দরকার ছিল নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা , বখাটের হাত হইতে বাঁচানো , স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরী করা, বিবাহে নারীর এজিন নেওয়ার সংস্কৃতি তৈরী করা, নারীর প্রতি, বাড়ির বৌয়ের প্রতি অসম্মানের সংস্কৃতি পরিবর্তনের চেষ্টা করা, মা হওয়া যেহেতু নারীত্বের প্রাইম তাই মা হওয়া , সন্তান লালন পালন , সংসার ধর্ম ইত্যাদি সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান অর্জন নিশ্চিত করা ! তাহা না করিয়া ইসলামের এক হালালকে হারাম বানাইবার জন্য নারীবাদী, এনজিও, চুশীলদের প্রচেষ্টা হইল বাল্যবিবাহ বন্ধ করিয়া জিং জিং খেলা প্রসারিত করা , নারীকে নিরাপত্তা না দিয়া ধর্ষিত হইতে সহায়তা করা !

নারীর কর্মজীবী হইতে কেহ নিষেধ করে নাই ! তবে পূর্বশর্ত হইল নারীর কর্ম পরিবেশ , নিরাপত্তা, পর্দা নিশ্চিত করিয়া কর্মে পাঠানো। তাহা আছে ? পথে, ঘাটে, যানবাহনে, শিক্ষালয়ে, গার্মেন্টসে, কর্মক্ষেত্রে নারীর নিরাপত্তার কি জঘন্য অবস্থা ! ইহা কাহাদের তৈরী ? কাহারা দায়ী ? চালুনি বলে সুই তোর পাছায় ফুটো !

তাহাদের এজেন্ডা পরিষ্কার ! আর আমরা ম্যাংগোপিপল তাহাদের সাথে তাল মিলাইয়া কাহাদেরকে পেডোফাইল বলিতেছি তাহাও বুঝিতেছি না ! বাল্যবিবাহ যদি দোষের হয়, তাহা হইলে ৫০ বছর আগের মানুষেরাও প্রায় সবাই পেডোফাইল, সবাই দোষী হইয়া যায়, ধর্মীয় সম্প্রদায় বাদই দিলাম ! ইহা কিভাবে হইতে পারে ?

লেজকাটা শিয়াল লেজ কাটিতে বলিল আর আমরাও ছুরি লইয়া খাড়া হইলাম !!!

০৭ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৩৬

চোরাবালি- বলেছেন: আমাদের ওলামায়ে কেরাম বলেন, বিবাহ কঠিন হইলে আকাম সহজ হইয়া যায়, বিবাহ সহজ হইলে আকাম কঠিন হইয়া যায় ! বিবাহ কঠিন বানাইয়া আকাম সহজ বানানোই চুশীলদের আসল উদ্যেশ্য ! আর এ কারণেই চুশীল ফতোয়া হইল , বাল্য প্রেম জায়েজ , বাল্য বিবাহ নাজায়েজ ! ----- সুন্দর বলেছেন।

এই স্বাথ্য সচেতনতার বয়স কত?? এদেশে ৮০দশকেও ১৩/১৪বছরে বিয়ে প্রচলন ছিল। খাতা কলমে বয়স বাড়ানো হত।
একটা মেয়ে বা ছেলের যখন অল্প বয়সে বিয়ে হয় তখন তাদের সম্পর্কের গোড়া পত্তন হয় অনেক গভীর থেকে; পরিবারে সে বড় হয় ভাই বোনের মত সবার সাথে মিশে। তাদের পরিবারের প্রতি মায়া মমতা তৈরী হয় বাবা মায়ের প্রতি যেমনটা তৈরী হয় তেমনটাই।--- যেমনটি সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন নিশি মানব।

আরো ব্যাপার লক্ষ্যনীয়, ব্যাপক হারে কিন্তু বাড়ছে নিঃসন্তান দম্পতীর সংখ্যা শুধু মাত্র পাকা বয়সে বিয়ের কারনে।

১৯| ০৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:১৪

নিশি মানব বলেছেন: বাল্য বিবাহ রোধ শুধু প্রেম পিরিতি বাড়াইতেছেনা, সাথে বৃদ্ধাশ্রমের সংখ্যা বাড়াইতেছে। বৃদ্ধকালে মানুষকে অসহায় বানাচ্ছে।
কম বয়সী একটা ছেলে কিংবা মেয়ের যখন বিয়ে হবে, তখন সে শ্বশুর-শ্বাশুড়ীর কাছাকাছি থাকবে। বাবা-মার সম্পর্কে জানবে। সে যখন একটু বড় হবে। সন্তান নিবে। তার সন্তানেরা দাদা-দাদী, নানা-নানীর সম্পর্কে জানবে। কাছাকাছি থাকবে। বাবা-মার কাছেও শিখবে। জানবে আদব-কায়দা, ব্যাবহার, আচার-আচরন, তৈরী হবে শ্রদ্ধা ও সম্মানবোধ। যেটা আজকাল নাই বললে চলে। যতটুকু আছে বিলুপ্তপ্রায়। আমি মনে করি এসবের মুল কারন হলো বাল্যবিবাহরোধ।

ডিজিটাল জ্ঞানীরা উপদেশ দেন, বাল্যবিবাহ শরীর স্বাস্হ্যর জন্য ক্ষতিকর। হতে পারে। আমরা এ ব্যাপারে বিশেযজ্ঞ নই। তাদের কথা বিশ্বাস করি। তাই বলে কি বাল্যবিবাহ রোধ। তারা কখনোই এটা বলেনা, বাল্যকালে (১২-১৮ বয়স) সেক্স করা যাবেনা। একান্তে মিশা যাবেনা।তাদের যুক্তি যদি এটাই হতো, তাহলে ফ্রী মিক্সিং সহজ করতোনা। সহশিক্ষা চালু রাখতোনা। তাদের তাদের বক্তব্য, বাল্যকালে বিবাহ করিলে বাচ্চা নিতে হয়। আর এই বাচ্চা একটা কিশোরীর জন্য মারাত্মক হুমকির সৃষ্টিকারী। মানলাম তাদের কথা। তারা এটাই বলতে পারতো, ১৮র আগে কোন বেবী নয়, বিয়ে হোক। প্রয়োজনে আইন হোক। আইনের প্রয়োগ হোক। কঠোর সাজা হোক। দেশের সব ডাক্তারকে বলা হোক, আঠার আগে বেবী নো এলাউ! নো ট্রিটমেন্ট! সেটা না করে বলতেছে,বিবাহরোধ। তারপর উপদেশ দিতেছে, বিয়ের আগ পর্যন্ত প্রেম কর। সেক্স কর। বিয়ে হলেই এটা সেটা কর। কেন ভাই? এর দায়ভার কি আপনি নিবেন? এইযে সমাজের অধঃপতন, নৈরাজ্য এটার মাশুল কে দিবে?

হেপাটাইটিসসহ যতগুলো রোগ হয়, তখন ডক্টররা এই সাজেশন দেননাযে, ডিভোর্স দিন। তারা বলে ট্রিটমেন্ট নিন। একান্ত ইচ্ছে হলে কন্ডমের সহায়তা নিন। নয়তোবা এই কন্ডম বার্থ কন্ট্রোল ছাড়া কেইবা ইউজ করতে চায়?! তাহলে আমাদের বুদ্ধিজিবীরা কেন এই উপদেশ দেন, বিবাহরোধ। তারা বলতে পারতো, নো বেবী। তারা বলতে পারতো, বিয়ের পরও পড়াশুনা চালু থাকবে। অন্তত মাষ্টার্স নয়তো অনার্স। তারা বলতে পারতো, খরচ দুই পক্ষ ভাগাভাগি করবে। একটা পর্যায়ের পর এক পক্ষই বাধ্যগত।

০৭ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:২৫

চোরাবালি- বলেছেন: ভাই ১৮র আগে বেবী হলে যদি মানবকুল ধ্বংশ হত তা হলে সভ্যতা এতদুর গড়াতো না আর বস্তি ভরে উঠত না বাচ্চা কাচ্চায়। তাদের সিজারও লাগে না সারাদিন রেষ্টও লাগে না।

উন্নত বিশ্বের দোহায় দিয়ে ১৩তে সেক্স কর সমস্যা নাই বিয়ে করলেই রেহায় নাই।

আমার বাচ্চা আমি ছোট থেকে লালন পালন করছি, আমার থেকে বেশী দরদ অন্যের। মায়ের থেকে যখন মাসির দরদ বেশী তখন সে হয় ডাইনি। মানবাধিকারের নামে যদি মানুষ যথেচ্ছা চলাচল করতে পারে তা হলে মানবাধিকার শর্তে একজন বাবা মা কেন তার সন্তানের বিয়ে দিতে পারবেন না।

শেখ হাসিনার একটা কথা আমার বেশ ভালো লেগেছে- এই সর্ব বুদ্ধিজীবি রা গ্রামে যায় না ঢাকা শহরে বসে বক্তিতা দেয়। (বিবাহ আইন ১৪বছর করার সমালোচনার জবাবে)।

২০| ০৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৩:১২

নিশি মানব বলেছেন: এই সব বুদ্ধিজীবিরা গ্রামে যায় না, ঢাকা শহরে বসে বক্তৃতা দেয়।---প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এই বক্তব্যটা আমার খুব ভাল লেগেছিলো।

এর লিংক আছে আপনার কাছে? থাকলে দিয়েন।

০৮ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৩২

চোরাবালি- বলেছেন: আমি চেষ্টা করছি। আমি ব্কব্যের সারাংশ দিয়েছি। বক্তব্যটি এমন ছিল-- ‘প্রকৃত পরিস্থিতি নিয়ে তাদের কোনো ধারণাই নেই৷' --

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.