নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পোষাক তৈরীর কারখানায় মাসিক বেতনে কামলা দেয় মাস শেষে মাইনের আশায়, যে মাইনে দিয়ে চলবে নিজের পরিবার ও সমাজের জন্য কিছু একটা করার প্রচেষ্টা মাত্র। নিতান্তই সাদামাঠা গ্রাম থেকে আসা স্বল্প শিক্ষিত মানুষ।

চোরাবালি-

চোরাবালি- › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রতিটি পেশায় তার অবস্থান থেকে মহান

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:১২

আমাদের সমাজে অতি জনপ্রিয় দুটি মহান পেশা তার একটি হল শিক্ষকতা অন্যটি ডাক্টারি কিন্তু কোন পেশাটি ছোট তারা কোন নিশানা নেই আবার শুনি গুনিজনের বলে কোন পেশায় ছোট নয় আবার সেই গুনিজনদের মুখেই যখন শুনি মহান পেশা তখনই কনফিউশন বা দ্বিধায় পড়ে যায়। আমার মনে হয় প্রতিটি পেশায় মহান তার নিজ নিজ অবস্থান থেকে।

সমাজের সব থেকে নিচু পেশা সম্ভবত ধরা হয় টাউন/সিটি ডাক্টর বা সুইপার বা পরিচ্ছন্ন কর্মীদের। তাদের জন্য আলাদা কলোনী, বাজার ইত্যাদি। অন্যান্য পেশাজীবিরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলেও তাদেরই সম্ভবত এক জায়গায় কলোনী করে রাখা হয়েছে। কিন্তু একবার কি চিন্তা করা যায় যদি তারা না থাকত তা হলে কি হত?? যেখানে বের হবেন ময়লা, দুর্গন্ধ, আবর্জনা। এই সব থেকে নিচু পেশার লোকেরাই রাতের আধারে মহান পেশাদারদের মহান থাকার বন্দোবস্ত করে দেন।

এরপর যারা আশে তারা হল মুচি বা চামার। আমরা ভুলে যায় এই চামার যদি না থাকত তা হলে ইউনিলিভার তো দুরে থাক জনসন এন্ড জনসনও মানুষের পা ফাটা থেকে রক্ষা করতে পাত না। আর বাহিরের সব আবর্জনা চলেযেত শোবার ঘরে। তা হলে তাদের পেশা কেন মহান হবে না??

আসা যাক রিক্সা চালকদের কাছে, বাইরে টিপটিপ বৃষ্টি অথবা উতপ্ত রোদ যদি হাটতে হতো ৩০মিনিট তা হলে কি দাঁড়াতো, আমার তো মনে হয় তার অবস্থান থেকে সেই মটেই ছোট নয়, অনেক মহান সে কারণ রোদ বৃষ্টি ঝড়ের দিনে সেই ভরসা।

বাসে উঠলেই ড্রাইভারদের গালিগালাজে আমরা যারা উস্তাদ তারা কি ভেবে দেখেছেন যে গরমে আমি আপনি হাসফাস করছি কিন্তু সেই গরমে বেচারা ড্রাইভার গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছেন ইঞ্জিনিরে উত্তাপ সহ্য করে ও সব দিকে খেয়াল রেখে। আচমকা ব্রেক চাপলেই আমাদের মুখদিয়ে বেড়িয়ে আসে আমাদের মাতৃ তথা পৃত্রিপদত্ত পারিবারিক ভাষা। ব্রেক কিন্তু নির্ভর করে সামনের অবস্থানের উপর। মহান পেশায় সেও কিন্তু এগিয়ে।

স্কুলে যখন পড়তাম আমরা চাষার সন্তান কিছু ছিল জোলহার বাচ্চা কেও ছিল নিকেরী বা জেলে। কিন্তু এ সমপ্ত পেশা জীবিরাই কিন্তু দালানে বাসকরা ভর্দ্দর লোকদের আহার তুলে দিচ্ছেন, আর যাই হউক কাগজ তো আর চিবিয়ে খেয়ে জীবন চলবে না, বাচতে হলে খাবার লাগবে আর বিজ্ঞানীরা এ পর্যন্ত যা আবিষ্কার করেছে তার মধ্যে কৃত্রিম খাবার আছে বলে মনে হয় না, যা আছে তাও প্রাকৃতিক সহায়তায় তৈরী। সো তারও তো অতি মহান। জোলহারা তৈরী করে কাপড় লুঙ্গী গামছা যা পরে আমরা নির্বিঘ্নে চলাচল করি, জেলেরা আছে বলেই সকালে তাজা মাছটা কেনার সৌভাগ্য হয়। কিন্তু তারা সমুদ্রের উত্তাল ঢেও, নদীর স্রোতে জীবন বাজী রেখে এ কাজগুলি করে যাচ্ছেন।

সর্বপরি আমার পেশা যেটা আমার জন্মভূমি এলাকায় এক সময় খুবই ছোট ভাবে দেখা হত, এমনকি বিয়ের সময় পাত্রী পাওয়া দায় হত যখন শুনত ছেলে গার্মেন্টেসে কারখানায় কামলা খাটে। গার্মেন্টস মেনুফেকচারার যার বাংলা পোষাক প্রস্তুত কারক যাকে আগের দিনে বলা হত খলিফার ঘর, দরজির দোকান ইত্যাদি। বর্তমানে বৃহৎ পরিসরে তৈরী হয় এই তাকে আমরা গার্মেন্টস হিসেবে চিনি। কিন্তু এই আমাদের মত কামলা যদি না থকত, ভরসা ছিল কিন্তু জোলহার উপর সেলাই ছাড়া কাপড়, একটা নিচে আরেকটা উপরে, এত আন্টিশান্টি করে টাই ফিন্দা আর চলাচল করা যেত না। আমার তো মনে হয় আমাদের পেশাটাও কম মহান না, কেননা আমরা না থাকলে মানুষের অনেক কিছু ঝড়ো বাতাসে আলগা হয়ে যেত।

আসলে আমরা যে যার অবস্থান থেকে নিজের বেচে থাকার স্বার্থে জীবনের ঝুকি নিয়ে কাজ করি, যার মধ্যে যাদের ঝুকি যত কম তাদেরকেই আমরা মহান বানিয়ে দেই নিজ উদ্যোগে।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৮

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: আমাদের দেশে শুরু থেকেই
মন হয় কোন পেশাকে সম্মান দিতে শিখেনি
পেশার চেয়ে বেচে থাকতে হবে
এইটা বুঝি না! আহা রে জীবন

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:০৬

চোরাবালি- বলেছেন: সবাই মানুষ আমরা। যার যার নিজের অবস্থান থেকে বেঁচে থাকার লড়াইয়ে ব্যস্ত; কেও হয়তো অট্টালিকায় বাচতে চায় কেও কুড়েঘরে টিনের চাল দিতে চায়। লক্ষ্যতো সবারই এক টিকে থাকা তবুও কেন ফারাক

২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:১৬

ওবাইদুল্লাহ আহমাদ হুসাইন বলেছেন: প্রত্যকটি পেশায় নিজ নিজ স্থান থেকে মহান। কিন্তু আমরা এগুলোকে পার্থক্য করে ফেলেছি। উচু নিচু করে রেখেছি। এক্ষেত্রে অন্যান্য দেশের মানুষগুরো এগিয়ে। যারা প্রতিটি কাজকেই মহান বলে জানে।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:০৭

চোরাবালি- বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। পেশা কখনও মানুষকে মহান বা নিচু করতে পারে না।

৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:২৫

নতুন বলেছেন: আগের সময়ে সমাজের উচুতলার ধনীরা এইসব দরিদ্র মানুষকে শিক্ষিত হতে দিতো না কারন তাহলে এই কাজ গুলি কে করবে?

সেই মনভাব আমাদের মাঝে এখনো রয়ে গেছে।

সভ্য সমাজে শ্রমের মূল্য বেড়েছে তাই এখানে গৃহভৃত্য এখন ন্যানী/হাউজমেইড তাদের বেতন ৩০-৪০ হাজার টাকা এবং অন্য সকল সুবিধা। আমাদের দেশে এখনো দরিদ্র মানুষের মেয়েকে পেটেভাতে কাজের মেয়ে হিসেবে রাখে... বড় হলে বিয়ে দিয়ে দেবে...

সমাজে পরিবত`ন আসবে যদি সবাই আসল শিক্ষায় শিক্ষিত হয়.... সাটিভিকেট ধারী মানুষ দিয়ে সমাজ পরিবত`ন হয় না।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:০৮

চোরাবালি- বলেছেন: আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাটায় এমন।

৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৪১

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: লেখাটা ভাল লেগেছে।
শুভেচ্ছা নিন।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:০৫

চোরাবালি- বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

৫| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশের লোকদের মানসিকতা খুব নিচু।
লোকজন মানুষের কর্ম দিয়ে তাদের বিচার করে।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:২৫

চোরাবালি- বলেছেন: চাই মানুষিকতার উন্নতি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.