নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিধাতা তোমার দয়ার আশায় ই প্রতিটি দীর্ঘশ্বাসের শেষে নতুন স্বপ্ন বুনি।
সৈয়দ শামসুল হকের মৃত্যুর পর তার আস্তিকতা নাস্তিকতা, রাজাকার মুক্তি যোদ্ধা ইত্যাদি চরিত্র নিয়ে অনেক লেখা পড়লাম। তার উল্লেখযোগ্য বই নিয়ে আমিও একটি পোষ্ট দিয়েছি।
ব্লগ,ফেসবুক, পত্র পত্রিকা ছাপিয়ে তিনি উঠে এলেন আমার ক্লাসে।আমার স্যার প্রশ্ন করলেন, বল। কেন সৈয়দ শামসুল হককে সব্যসাচী বলা হয়।
সবজান্তা ভাব নিয়ে উত্তর করলাম "স্যার এটা ওনার উপাধি। উনি গান, কবিতা, গল্প, উপন্যাস সবকিছু লিখতেই সমান পারদর্শী ছিলেন তাই ওনাকে সব্যসাচী বলা হয়।"
স্যারের পাল্টা প্রশ্ন, তবে রবীন্দ্র নজরুল কি দোষ করলেন?
স্যার সৈয়দ শামসুল হকের সব্যসাচী হওয়ার পেছনের একমাত্র কারণ তার ছোট ভাইয়ের সব্যসাচী প্রকাশনীকে দেখালেন। তাছাড়া উনি আর কোন কারণ খুঁজে পাননি।
তিনি আরো বললেন "সাহিত্যের একজন ছাত্র হিসাবে আমি বলতে পারি তার লেখার মান খুব উন্নত নয়, এবং তাকে সব্যসাচী নামে ডাকা হবে সাহিত্যের প্রতি অন্যায়। "
বাসায় এসে সব্যসাচী প্রকাশনী লিখে সার্চ দিতেই সামুর এই লেখাটি পেলাম,
যে সাহিত্যিক সাহিত্য ও শিল্পের সকল অঙ্গনে সমান দক্ষতার পরিচয় দেন তাঁকে সব্যসাচী লেখক বলা হয়। বাংলা সাহিত্যে সব্যসাচী লেখকগণ হচ্ছেন- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বুদ্ধদেব বসু এবং সৈয়দ শামসুল হক। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে সৈয়দ শামসুল হক সাহিত্যিক ভাষায় মূলত সব্যসাচী লেখক নন। তাঁর প্রথম দিকের লেখাগুলো তাঁর ভাইয়ের ‘সব্যসাচী প্রকাশনী’ থেকে প্রকাশিত হওয়ায় মূলত তাঁর ভক্তরা তাঁকে সব্যসাচী লেখক বলে থাকেন।
তিনি আস্তিক কি নাস্তিক, আওয়ামীলীগ, বিএনপি নাকি জামায়াত এ নিয়ে আমার মাথা ব্যাথা নেই। আমার মাথা ব্যাথা হল দল বা মতকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে আমরা সাহিত্যের মানকে সিঁকেয় তুলছি না ত? ইতিহাসকে মনের মত গড়ছি না ত?
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৮
ক্লে ডল বলেছেন: এমন হলে তা নতুন প্রজন্মের জন্য হুমকি।
২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৫
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
এইসব হিপোক্রেসি দেখে খুব রাগ হয়। শামসুল হক একজন দিগন্ত। আপনার সাহিত্যের শিক্ষককে বলিয়েন সাহিত্য পড়লেই সেটা শেখা যায় না, অনুভব করা লাগে। বাংলা সাহিত্যের কয়জন লেখক বাংলা সাহিত্যে ছাত্র ছিলেন?
নুরুদ্দিনের সারা জীবন আর পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় পড়তে বলিয়েন। কতটা কল্পনা আর চিন্তার প্রখরত্ব থাকলে এসব লেখা যায় সেটা কি উনি বিচার করেছেন?
সাহিত্য কি শুধুই ব্যাকরণ আর শিল্পগত উপমা,শব্দ বাক্য। না, তা নয়। সাহিত্য কল্পনা আবার বাস্তব, সহজ আবার কঠিন। সাহিত্যকে যারা শিক্ষার অংশ বানিয়ে ফাকা বুলি আওড়ায় তারা সাহিত্যের কাঠমোল্লা। এদের হুমায়ুন আহমেদ আচ্ছা সে ধুয়েছিল। এরা সেটা ভুলে গেছে। এখন আসছে সাব্যসাচীকে নিয়ে প্রশ্ন করতে। জত্ততসব।
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৪
ক্লে ডল বলেছেন: বাংলা সাহিত্যের কয়জন লেখক বাংলা সাহিত্যে ছাত্র ছিলেন?
তা ছিলেন না।
আসলে স্যারের যোগ্যতা কি তা আলোচ্য বিষয় নয়। তিনি যে তথ্যটি দিলেন তা ত ফেলনা নয়। প্রকাশনীর নামের সাথে তার উপাধি কি কাকতালীয় ভাবে মিলে গেল নাকি স্যারের কথায়?
আপনি তার যে সাহিত্য কর্মের উল্লেখ করলেন তা আমার পড়া হয়নি। পড়ব আশা করছি। তবে খালা রাম খেলে যা পড়তে গিয়ে অর্ধেক শেষ করতে পারিনি। আগ্রহ পাইনি আর।
৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:১০
সাহসী সন্তান বলেছেন: লেখাটা প্রিন্ট আউট করে আপনার স্যারকে পড়তে দিয়েন! যদিও শামসুল হকের লেখা আমি খুব কমই পড়েছি, তবে উনাকে জানতাম একটা চমৎকার গানের রচয়িতা হিসাবে! 'হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস, দম ফুরালেই ঠুস......'
শামসুল হক আস্তিক না নাস্তিক এ বিষয়ে আমার কিচ্ছু যায় আসে না। ঐটা নিয়ে মাথা ঘামানোরও কোন দরকার দেখি না! তবে সাহিত্যের অঙ্গনে তিনি যে একজন পথিকৃৎ এটা স্বীকার না করলে খুব অন্যায় হবে।
শুভ কামনা ক্লে ডল!
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১১
ক্লে ডল বলেছেন: সাহিত্যের অঙ্গনে তিনি যে একজন পথিকৃৎ এটা স্বীকার না করলে খুব অন্যায় হবে।
একমত। অস্বীকার করছিও না।
তবে তার নামের সামনের বিশেষণ নিয়ে যে কথা প্রচার হয়েছে এর সত্যতা কতটুকু।
৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৮
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সবটাই পড়লাম!
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৮
ক্লে ডল বলেছেন: ভাল করছেন। তবে মতামত দিলে আরো ভাল হত।
৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:০৩
জ্ঞান ক্ষুধা বলেছেন:
প্রথমে আমিও ভাবতাম রবিন্দ্রনাথ নজরুল হুমায়ন আহমেদ এদেরকে কেন সব্যসাচী বলা হয়না।
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২১
ক্লে ডল বলেছেন: আমারও প্রশ্ন তার সৃষ্টিকর্ম নিয়ে নয়। তার বিশেষণ নিয়ে।
৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: তাঁর প্রথম দিকের লেখাগুলো তাঁর ভাইয়ের ‘সব্যসাচী প্রকাশনী’ থেকে প্রকাশিত হওয়ায় মূলত তাঁর ভক্তরা তাঁকে সব্যসাচী লেখক বলে থাকেন - এমন আজব কথা এই প্রথম শুনলাম।
কবিতা-গল্প-উপন্যাস, সাহিত্যের এই তিন শাখায় তিনি সমান পারদর্শী ছিলেন বলেই তাঁকে সব্যসাচী লেখক বলা হতো। এ ছাড়াও তিনি একজন ভাল গীতিকার এবং চিত্র নাট্যকারও ছিলেন।
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩০
ক্লে ডল বলেছেন: আমারও প্রথম শোনার পর আজব লেগেছিল। তবে এখানে দেখে দ্বিধা কাজ করছে। যার জন্য এই পোষ্টের সৃষ্টি।
৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৩
ঢাকাবাসী বলেছেন: উপরে দেখলুম 'সব্যসাচী' কথাটির অর্থই অনেকে জানেননা। 'যিনি দুই হাতে তীর চালাতে দক্ষ তাকেই সব্যসাচী বলা হয়'। মহাভারতের অর্জুনের আরেক নাম সব্যসাচী।
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৭
ক্লে ডল বলেছেন: এটা জানা আছে।
৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:০৫
তানভীর আকন্দ বলেছেন: আচ্ছা এই তাইলে সব্যসাচীর কাহিনি। শুনেছি সব্যসাচী নিজে নাকি তার সব্যসাচী নাম নিয়া তেমন সন্তুষ্ট ছিল না, এই যদি ঘটনা হয় তাইলেতো না হওয়ারই কথা...
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:০১
ক্লে ডল বলেছেন: সব্যসাচী নাম নিয়ে তিনি অসন্তুষ্ট ছিলেন সে বিষয়ে আমার জানা নেই।
৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:৪৩
সৈয়দ আনোয়ারুল হক বলেছেন: আসলে চিনা বামনের পৈতা লাগেনা। নজরুল, রবীন্দ্রনাথ অবশ্যই সব্যসাচী লেখক। শুধু তাদের নামের সাথে উপাধিটি দেয়া হয়নি। খায়রুল হাসান বলেছেন, "কবিতা-গল্প-উপন্যাস, সাহিত্যের এই তিন শাখায় তিনি সমান পারদর্শী ছিলেন বলেই তাঁকে সব্যসাচী লেখক বলা হতো। এ ছাড়াও তিনি একজন ভাল গীতিকার এবং চিত্র নাট্যকারও ছিলেন।" হ্যাঁ আপনার কথাই একদম ঠিক।
আসলে 'সব্যসাচী' কথাটির অর্থ হলঃ যার দু'হাত সমান চলে। আর সাহিত্যে এর অর্থ হলঃ 'সকল বিষয় রচনায় যে সাহিত্যিক পারদর্শী তাঁকে বলা হয় সব্যসাচী।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:০৪
ক্লে ডল বলেছেন: অনেক কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ।
১০| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:২১
তানভীর আকন্দ বলেছেন: লিংকটা আবার দিলাম
সাক্ষাৎকার - সৈয়দ শামসুল হক
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:৫৪
ক্লে ডল বলেছেন: অসাধারণ!! একটানে পড়লাম।
চমৎকার সাক্ষাৎকারটি শেয়ারের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
১১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:৩৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: উল্লেখিত লিঙ্কের ৮ নং অনুচ্ছেদে বর্ণিত বিষয়ে কি আর কারো কোন নির্ভরযোগ্য প্রমাণ বা বিশ্বাসযোগ্য বক্তব্য আছে? ‘সব্যসাচী প্রকাশনী’ থেকে প্রকাশিত হওয়ার ব্যাপারটা কাকতালীয় হতে পারে। লেখালেখির ব্যাপারে উনি যে দুই হাতে তির চালিয়েছেন, সে ব্যাপারে তো কোন সন্দেহ নেই।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৩৪
ক্লে ডল বলেছেন: না। ওটা ছাড়া আমি আর কোন বক্তব্য বা প্রমাণ পাইনি।
লেখালেখির ব্যাপারে উনি যে দুই হাতে তির চালিয়েছেন, সে ব্যাপারে তো কোন সন্দেহ নেই।
একমত।
১২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:৪৪
জুন বলেছেন: সৈয়দ হক আমার একজন প্রিয় লেখক। উপাধী অর্থ স্বীকৃতি, পেলে ভালো না পেলেও অসুবিধা নেই। যিনি লিখবেন তিনি উপাধী পেলেও লিখবেন, না পেলেও লিখবেন ক্লে ডল। নজরুল ইসলাম রবীন্দ্রনাথ এর মত নাইটহুড উপাধী পাননি। তাতে কি সাহিত্য জগতে নজরুলের অবদান খাটো হয়ে গেল?
আপনার টিচার মনে হয় মজা করার জন্য বলেছেন।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৩৮
ক্লে ডল বলেছেন: না জুনাপু। আমার টিচার মজা করেননি।
১৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:০৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: মোটেও বিশ্বাসযোগ্য না কথাটা। প্রকাশনীর নামে লেখকের পদবী দেয়া হয় এইডা এই পরথম শুনলাম।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৮
ক্লে ডল বলেছেন: দেখি সুযোগ পেলে স্যারের সাথে কথা বলব যে তিনি বিষয়টি সম্পর্কে কতখানি নিশ্চিত।
১৪| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:০০
প্রামানিক বলেছেন: মন্তব্য পড়ে অনেক কিছু অবগত হলাম।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪২
ক্লে ডল বলেছেন: যারা আপনাকে জানতে সাহায্য করেছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।
১৫| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৫:১৫
অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: ওনার মৃত্যুর পর ওনার "খেলারাম খেলে যা" উপন্যাসটা পড়লাম চটিসাহিত্য ঘরানার মনে হলেও এটা ভাল ছিল। কারণ একশ্রেণীর ব্যক্তিদের মানসিকতা ফুটিয়ে তুলতে পারছেন। যাহোক এ কারণে তার লেখনীর ক্ষমতা নিয়ে আমার প্রশ্ন নাই
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১২
ক্লে ডল বলেছেন: আপনার মতামত জানানোর জন্য ধন্যবাদ।
১৬| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩০
আশাবাদী অধম বলেছেন: ঢাবির বাংলার অধ্যাপক সৌমিত্র শেখর তার বইয়েও সাব্যসাচী প্রকাশনীকে কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন।
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:০২
ক্লে ডল বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ বিষয়টি জানানোর জন্য।
১৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:১৭
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ফালতু।
সব্যসাচী প্রকাশনীর বই পড়েছি, সে প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত বই এর সংস্করণও আছে আমার কাছে, সে সৈয়দ হকেরই।
তাকে সব্যসাচী বলার কারণ তার সর্বমুখীতা। রবি ঠাকুর বা বুদ্ধদেব বসুর সমতুল্য হয়তো নন তিনি, কিন্তু তিনি তাদের চাইতে খুব নিচে আছেন এমনটা মোটেও নন। তার মত গভীর লেখা খুব কম লেখকেরই পেয়েছি আমি
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৪
বোরহাান বলেছেন: এমনটাই তো হচ্ছে!