নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কান্না হাসির এই খেলা ঘরে।আমি এক জীবন্ত মাটির পুতুল।সব খেলা সাঙ্গ হবে একদিন।অপূর্ণ স্বপ্নদের কাকুতি থেমে যাবে।মায়ার পৃথিবীর সাথে হবে চির ছাড়াছাড়ি।

ক্লে ডল

বিধাতা তোমার দয়ার আশায় ই প্রতিটি দীর্ঘশ্বাসের শেষে নতুন স্বপ্ন বুনি।

ক্লে ডল › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাখিলেন সাঁই কূপজল করে, আন্ধেলা পুকুরে.....

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৫৬



কিছুক্ষণ আগেই ঘটে গেল অভাবনীয় ঘটনাটা!

ভোরবেলা হাটছিলাম একাকী রাস্তায়। এভাবেই হাটি মাঝে মাঝে। ঊষালগ্নই মনে হয় দিনের শ্রেষ্ঠ অংশ।কারণ সূর্যোদয় দেখলে প্রেরণা পাওয়া যায়, সন্ধ্যার মত হতাশার নয়। আধখানা সূর্য আর পূর্ণদিগন্তের দেখা পেতে যতদূর হাটা লাগে হাটি। ব্যস্ততার বিষে যখন নীল হয়ে যায়। আপনজনের মাঝে থেকেও যখন একাকীত্বের নিচ্ছিদ্র দেয়ালে বন্দী হয়ে হাপিত্যেস করি। তখন এভাবেই বেরিয়ে পড়ি।

কাল রাতে মায়ের কোলে মাথা রেখে শুয়ে ছিলাম অনেকক্ষণ। মনে হল, একজীবনে এত সুখ রাখব কোথায় আমি! সেইক্ষণে বিশ্বাস হল এ পৃথিবী সত্যিই স্বর্গের প্রতিচ্ছবি। কিন্তু আসলে কি তাই? তবে যে কখনো কখনো মানুষের আচারণেই নরকের প্রতিধ্বনি শুনি? নিয়তিই হয়ত ব্যক্তিকে একেক সময় পৃথিবীর একেক রূপ দেখায়।
নিজের সাথেই এভাবে গল্প করছিলাম আর হাটছিলাম।

এর মাঝেই কানে এল নারী কন্ঠে গান!!

রাখিলেন সাঁই কূপজল করে,
আন্ধেলা পুকুরে..
কবে হবে সজল বরষা?
রেখেছি মন সেই ভরষা..


খানিকটা আগ্রহ নিয়ে তাকালাম, কোন পাগলি টাগলি কিনা দেখার দেখার জন্য।
এই জীবনে।নারী গোত্রের সুস্থ কাউকে আমি রাস্তায় উচ্চস্বরে গান গেয়ে হাটতে দেখিনি।
না। তিনি সুস্থ।
সামনে রাস্তার কাজ চলছে ওখানকার শ্রমিক, কাপড় বাধা খাবারের পাত্র হাতে নিয়ে হাটছেন আর গাইছেন।
দাঁড়িয়ে গেলাম আমি।
নিন্ম মধ্যবিত্তের প্রতিটি ভোর হচ্ছে তীব্র হতাশার এক রাশ দুর্গন্ধ। কিন্ত বিষয় হল তিনি কি আসলেই হতাশা ভুলতে চাইছেন গান গেয়ে?
নাকি, কাল রাতে তার স্বামী দশ টাকার বাদাম এনে বলেছিল “আই বউ পার্কে বসা জোড়াগো মত আমরাও বাদাম খাই”? সেসব ভেবে মনের সুখ গলায় ভাসিয়ে দিচ্ছেন আনমনে?
নাকি তার স্বামী, সন্তান, মা, বাবা কেউ নেই? ভালবাসা দেয়ার বা পাওয়ার কোন চরিত্র নেই তার জীবনে? নাকি আশা হতাশা নামের কোন কিছুর অস্তিত্বে বিশ্বাসী নন তিনি? এমনিতেই গাইছেন?

এরকম শত প্রশ্ন উকি দিয়ে গেল আমার মনে! সাথে এক অদ্ভুত ভাল লাগায় আমিও মুখ হা করে গাইতে গেলাম।
নাহ! পারলাম না। ভদ্রতার কাশি দিয়ে আশপাশে তাকিয়ে সে চেষ্টা বন্ধ করলাম। লোকে কি বলবে! কথাটি বার দুয়েক আউড়ে মাথা নিচু করলাম।
এরকম কত যে আত্নার আকাঙ্ক্ষা খুন করেছি লোকের কথা ভেবে তার হিসাব জানলে লোকেই হয়ত আমায় গোল্ড মেডেল দিত। হা হা হা!
“লোকে কি বলবে” এই কথাটি জীবনে একবারও শোনেনি অথবা ভাবে নি এরকম মানুষ বোধ হয় এদেশে পাওয়া যাবে না।

আমিও মাঝে মাঝে লোকেদের কাতারে চলে যায়। একটা মেয়ে যখন জোর গলায় কোন কিছুর প্রতিবাদ করে। তখন আমি বলতে থাকি “ভারী বেয়াদব ত! মেয়েদের গলায় এত জোর ভাল না” ইত্যাদি ইত্যাদি। আমার কথার ভয়ে মেয়েটা থেমে যায়।
একটা ছেলে যখন পড়ালেখা শেষে তার ভাল লাগে তাই আদর্শ কৃষক হতে চায়, তখন টিটকারি করি। আমার ভয়ে ছেলেটা ভাল চাকরী খুঁজতে থাকে। এভাবেই আমার দৃষ্টিভঙ্গি আর কথা দিয়ে অন্যের আত্নার চাওয়াগুলোকে বিক্ষত করি!

অথচ তিনি কি অবলীলায় নিজের ইচ্ছা হল তাই গেয়ে গেলেন! একবারও আমার দিকে তাকালেন না। লোকের কথা ভাবলেন না! কয়জনই বা পারে লোকের কথার তোয়াক্কা না করতে? আত্মার আহবান শুনতে?
সেই চোখে আপন শক্তির এক রশ্মি দেখেছি, নিজের মনের মত চলার এক প্রত্যয় দেখেছি, আত্মার আহবান শোনার সুখ দেখেছি।
আজকে আর সূর্যোদয় দেখার প্রয়োজন ছিল না।

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:


"কারণ সূর্যোদয় দেখলে প্রেরণা পাওয়া যায়, সন্ধ্যার মত হতাশার নয়। "

-অবিবাহিত?

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:০৮

ক্লে ডল বলেছেন: উক্ত কথার সাথে অবিবাহিত হওয়ার সম্পর্ক কি বুঝলাম না।

২| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:০৬

মোঃ শোয়েব বলেছেন: প্রেরনার উৎস সূর্য

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:১৫

ক্লে ডল বলেছেন: জ্বি সূর্যোদয় প্রেরণার। কারণ, সূর্যোদয়ের মানে একটা দিনের শুরু। পুরো আনকোরা একটা দিন। যখন আমার দিনটাতে করার জন্য অনেক কিছু থাকতে পারে কিন্তু সন্ধ্যা হল সারাদিনের অর্জনকে হিসেব করার সময়। আর রাত হল নতুন একটি দিনের জন্য অপেক্ষা করার সময়।

ধন্যবাদ। ভাল থাকুন মোঃ শোয়েব। :)

৩| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কয়জনই বা পারে লোকের কথার তোয়াক্কা না করতে? আত্নার আহবান শুনতে?
সেই চোখে আপন শক্তির এক রশ্মি দেখেছি, নিজের মনের মত চলার এক প্রত্যয় দেখেছি, আত্নার আহবান শোনার সুখ দেখেছি।

আত্মার এই বিকাশটুকু বেশি প্রয়োজন মানুষ হতে হলে!

গানটা চিরমুক্তির আকুতি মাখা!
পরমের সাথে মিলনের আকাঙ্খায়

জলের চূড়ান্ত সান্নিধ্য সাগরে বিলিন হওয়া। তেমনি আত্মার চরম সার্থকতা প্রভু সত্ত্বায় লীন হওয়া!
জীবনের জন্মের চক্রের টানা পোড়েনে বিরহী আত্মায় যেন কূপ জলে আবদ্ধ! তার নিজে থাকা নদীতে মেশার সাগরে মেশার কোনই উপায় নেই। কখন বর্ষা হবে উপচে পড়বে জল তখন যদি ভঅগ্যে থাকে মিলবে সেই মিলন সন্দর্শন!
সেই আকুতিতেই ভরা দারুন একটা গান লালন গুরুর।

ভার লাগর আপনার অনুভব :)

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১১

ক্লে ডল বলেছেন: চমৎকার! গানটার সুন্দর ব্যবচ্ছেদ করেছন। লালনের সব গানই দারুন!!

নদীর জল কূপজলই হয়,
বিল-বাওরে পড়ে রয়..
সাধ্য কি সে গঙ্গাতে যায়?
গঙ্গা না এলে পরে..
তেমনি জীবের ভজন বৃথা,
তোমার দয়া নাই যারে..
রাখিলেন সাঁই কূপজল করে,
আন্ধেলা পুকুরে..


মুক্তি সকলেই চাই। পরমের সাথে মিলন অথবা আত্মার মুক্তি সেও ত সেই পরমের দয়াতেই হবে!!

অনুভব ভাল লেগেছে জেনে আমারও ভাল লাগল। :) ভাল থাকুন সর্বদা।

৪| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২১

আলোরিকা বলেছেন: পোস্টটি ঊষালগ্নের মতোই প্রেরণাদায়ী । শুভ সকাল , ভাল কাটুক সারাটি দিন :)

কিছু কিছু টাইপো রয়ে গেছে যেমন - আত্না < আত্মা , আপজনের < আপনজনের ।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৪

ক্লে ডল বলেছেন: শুভ সকাল আলোরিকা!!

অসংখ্য ধন্যবাদ টাইপো গুলো ধরিয়ে দেওয়ার জন্য। ঠিক করে নিয়েছি।

শুভকামনা নিরন্তর। :)

৫| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২৪

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: লোকে কি বলবে” এই কথাটি জীবনে একবারও শোনেনি অথবা ভাবে নি এরকম মানুষ বোধ হয় এদেশে পাওয়া যাবে না।
এইটা একদম খাটি কথা।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৭

ক্লে ডল বলেছেন: একমত পোষণের জন্য ধন্যবাদ মোস্তফা সোহেল! :)

শুভকামনা রইল।

৬| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৫৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: ক্লে ডল ,




একটি অভিনব লেখা লিখে ফেলেছেন । একাকীত্বের নিচ্ছিদ্র দেয়ালে বন্দী কোনও দিনের হুতাশন ।

রাখিলেন সাঁই কূপজল করে,
আন্ধেলা পুকুরে..

এ লাইন দু'টোর মাঝে থমকে গেছে সূর্য্যের যতো অস্তরাগ, আটকে গেছে ভরা চাঁদের সব আলো ।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৪

ক্লে ডল বলেছেন: অধিকাংশ মানব জীবন কূপজল হয়েই কেটে যায়। মুক্তির দেখা ক'জনই বা পায়!

আপনার মন্তব্য বরাবরই অনুপ্রেরণার।
আমার অভিব্যক্তি প্রকাশকে "অভিনব" বিশেষণ দেয়াতে অনুপ্রাণিত হলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ।

ভাল থাকুন সর্বদা।

৭| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২১

কানিজ ফাতেমা বলেছেন: নাগরিক জীবনের ­­­­­­­­­­­­­­­­calculation এর কাছে আমাদের সাবলীলতা হারিয়ে গেছে ।
শুভ কামনা রইল ।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৮

ক্লে ডল বলেছেন: একদম তাই!! আত্মার ডাক আমরা কমই শুনি।

ধন্যবাদ ফাতেমা জান্নাত। ভাল থাকুন সর্বদা। :)

৮| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৪৭

পুলহ বলেছেন: আমার কাছে যদিও দিনের প্রতিটা অংশই ভালো লাগে। আলাদা আলাদা প্রহরের আলাদা আলাদা মাহাত্ম্য।
শেষের লাইনটা খুবই চমৎকার এবং শক্তিশালী ইম্প্রেসন তৈরি করেছে; পড়া শেষ করলে বুকে ধাক্কার মত লাগে...
সমাজ সংসারে চেঞ্জ আনতে হলে আগে নিজেকে পাল্টাতে হবে হয়তো, আপনার লেখা পড়ে সেটাই আবার মনে হলো। কারণ আমিই তো সমাজ! আমরাই তো 'লোকে কি বলবে' এর সেই 'লোক'
শুভকামনা ক্লে ডল! কবিতা যারা ভালো লিখেন, তারা গদ্য ভালো লিখবেন- ব্যাপারটা আমার কাছে স্বতঃসিদ্ধ বলে মনে হয়। আপনার লেখাতেও তার পূর্ণ প্রতিফলন দেখা গেছে। +++

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫৬

ক্লে ডল বলেছেন: দিনের প্রতিটি অংশই ভাল লাগা উচিৎ।

আমিই তো সমাজ! আমরাই তো 'লোকে কি বলবে' এর সেই 'লোক'
আসলেই তাই! জিনিসটা ভাবায় খুব। আমি যদি নিজে না পাল্টাই তো সমাজ পাল্টাবো ক্যামনে?

মন্তব্যে যেভাবে ভূয়সী প্রশংসা করলেন আমি হয়ত তার যোগ্য না। সত্যিই আপনাদের এমন মন্তব্যে অনুপ্রেরণা পাই খুব!
অন্তর থেকে ধন্যবাদ অফুরন্ত।
ভাল থাকুন সর্বদা।:)

৯| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১৪

প্রামানিক বলেছেন: লেখাটি খুব ভালো লাগল।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫৮

ক্লে ডল বলেছেন: অপনার ভাল লেগেছে জেনে অনুপ্রাণিত হলাম। ধন্যবাদ।
শুভকামনা নিরন্তর।

১০| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩৪

সুমন কর বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০০

ক্লে ডল বলেছেন: ধন্যবাদ ভালোলাগা জানানোর জন্য। :)

১১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
রাখিলেন সাঁই কূপজল করে, আন্ধেলা পুকুরে
এই শিরোনামের স্বার্থকতা ফুটে উঠেছে লিখাটির প্রতিটি ছত্র ধরে ।
লিখা পাঠে মুগ্ধতাই শুধু বাড়ে ।

অনুরূপ কিছু ভাবনায় লিখা আমার একটি কবিতা ভোরের দৃশ্য মাথার উপড় টুকরিতে ঘুরে করে গেলাম উৎসর্গ আপনার তরে ।

ভোরের দৃশ্য মাথার উপড় টুকরিতে ঘুরে

তুমি দুর হতে ছোট্ট করে ইথারে বলে দিলে
রাতে না জেগে ভোরের পাখী হয়ে উঠতে সকালে
তোমার কথা মত নিত্যদিনের অভ্যাস টুকু ভুলে
সকাল সকাল লেপ মুরে নিদ্রার কুলে যাই ঢলে ।

ভোরে জেগে শুনি নি কোন পাখীর কিচির মিচির
মনে হয় ফরমালিন যুক্ত ডাস্টাবিনের খাবার খেয়ে
পলিথিন মিশানো খাদ্যগুনে নীড়ে বসে পাথীগুলি
সারারাত জেগে জেগে ভোরের কথা যায় যে ভুলে ।

আজানের ধ্বনি, ফজরের নামাজান্তে বেলকুনীতে
দাঁড়িয়ে দেখি বস্তির মত টিনের ঘরে গাদা গাদি
হয়ে থাকা মানুষজন কমন স্নানাগার ও শৌচাগারে
যাওয়ার জন্য লোটা হাতে আছে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে ।

গার্মেন্টসের কর্মী বোনেরা টিফিনের বাটি নিয়ে হাতে
ভীত হরিণের মত উর্ধস্বাশে ছুটে চলেছে পায়ে হেটে
চিন্তাগ্রস্ত যেতে হবে চারমাইল হেটে চাকরীটা বাচাতে
এক মিনিট হলে দেরী ফটকে আটকিয়ে বারোটা বাজাবে।

উঠেনি সুর্য এখনো পুর্বাকাশে এরি মধ্যে প্রিয় দিন মজুরেরা
চলেছে ধেয়ে নিয়ে কাধে কোদাল আর মাটি টানার টুকরিটা
সাত রাস্তা মোরের দিকে সস্তা দামে নিজেকে বিকিয়ে দিতে
ঠিকাদারের কামলা যোগানদারের কাছে দিনমানের চুক্তিতে ।

বাদিকে তাকিয়ে দেখি রুস্তমের চায়ের দোকানের ঝাপ খোলা
মেদভারে নত রুস্তম ঘুমেরত দশ বছরের টুকাই মার্কা ছেলেটি
চোংগায় দিতেছে ফুক উনুনের কাঠে ধোয়ায় চক্ষু পানিতে ভরে
ছেকতে হবে পরোটা বাস টারমিনালের রাতজাগা যাত্রিদের তরে।

পাখীর কিচির মিচির শুনা হল কৈ ভোরের পাখি হয়ে জেগে উঠে
সারাটি ভোর দেখলাম আর শুনলাম শুধু খেটে খাওয়া মানুষ দলের
পায়ের আওয়াজ আর দি্নের শুরুতেই রাত জাগা ক্লান্তির সমাবেশ
ভালোই ছিল রাত জেগে লিখে ভোর নিদ্রায় গিয়ে দেখা স্বপ্ন আকাশ ।

শুভেচ্ছা রইল

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২৫

ক্লে ডল বলেছেন: আপনার লেখা আমাকে উৎসর্গ করায় খুবই সম্মানিত বোধ করলাম। কবিতাটিও সুন্দর!!

অসংখ্য ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী এতখানি অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য!

শুভকামনা রইল অশেষ। :)

১২| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫৯

বর্ষন হোমস বলেছেন: পাছে লোকে কিছু বলে।

কবিতাটা পড়েছেন নিশ্চয়।না পড়লে পড়বেন।সংশয় বোধ অনেকটাই কমে যাবে।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২৭

ক্লে ডল বলেছেন: মনে ছিল না তেমন। আবার পড়লাম।

ধন্যবাদ অসংখ্য। :)

১৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৮

শ্রাবণধারা বলেছেন: রাখিলেন সাঁই কূপজল করে,
আন্ধেলা পুকুরে..
কবে হবে সজল বরষা?
রেখেছি মন সেই ভরষা.....।

অদ্ভুত সুন্দর গানের কথা । আগে শুনিনি। ভাল লাগলো আপনার প্রাতঃভ্রমনের ঊষালগ্নের ভাবনা। তারও চেয়ে বেশি ভাল লাগলো ভোর সকালে কাপড় বাধা খাবারের পাত্র হাতে নিয়ে হাটতে আর গাইতে থাকা সেই মানুষটাকে যে অপেক্ষায় আছে " কবে হবে সজল বরষা/ রেখেছি মন সেই ভরষা....." শুভকামনা ।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৮

ক্লে ডল বলেছেন: গানের কথাগুলো আমারও খুব ভাল লাগে! লালনের গান মানেই ত অসাধারণ সব দর্শন।

আপনার মন্তব্য পেয়ে খুব ভাল লাগছে!! :)

শুভকামনা নিরন্তর। ভাল থাকুন।

১৪| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৪৬

গোফরান চ.বি বলেছেন: একটা ছেলে যখন পড়ালেখা শেষে তার ভাল লাগে তাই আদর্শ কৃষক হতে চায়, তখন টিটকারি করি। আমার ভয়ে ছেলেটা ভাল চাকরী খুঁজতে থাকে। এভাবেই আমার দৃষ্টিভঙ্গি আর কথা দিয়ে অন্যের আত্নার চাওয়াগুলোকে বিক্ষত করি!


সুন্দর বলেছেন।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২৬

ক্লে ডল বলেছেন: ধন্যবাদ গোফরান ভাই। :)

ভাল থাকুন সর্বদা।

১৫| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৫০

কাছের-মানুষ বলেছেন: অফলাইনে পড়েছিলাম , চমৎকার লেখছেন ।
সাবলিল লেখা পড়ে মুগ্ধ হলাম ।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৫০

ক্লে ডল বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ অফলাইনে পড়ার পর মনে করে এসে ভাল লাগা জানানোর জন্য।

শুভকামনা রইল অশেষ। ভাল থাকুন কাছের-মানুষ। :)

১৬| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১২

সোহানী বলেছেন: সত্যিইতো ক'জনই পারে.... ভালো লাগলো। আমি কিছু সময় পুরান ঢাকায় ছিলাম। সেখানে সারারাত কাজ হতো... মাঝে মাঝে এমনি করে অসাধারন গানের কলি শুনতে পেতাম উল্টোদিকের প্যাকেজ কারখানার শ্রমিক থেকে ...++++

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৫৭

ক্লে ডল বলেছেন: খুব কম লোকই পারে নিজের আত্মার কথা শুনতে!!

ধন্যবাদ ভাল লাগা জানানো জন্য।

শুভকামনা অশেষ! :)

১৭| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: মন ছুঁয়ে গেলো কথাগুলো ।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৮

ক্লে ডল বলেছেন: আপনার মন ছুঁয়েছে জেনে ভাল লাগল। অনেক বেশি অনুপ্রাণিত হলাম।

ধন্যবাদ। ভাল থাকুন সর্বদা। :)

১৮| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:১৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
'পাছে লোকে কিছু বলে'- আমাদের এই মনোভাবই অনেক মহৎ কাজের জন্য সবচেয়ে বড় বাধা। যারা এই বাধা অতিক্রম করতে পারেন, চোখের লাজলজ্জ ভুলে অকুতোভয়ে সামনে পা বাড়াতে পারেন, তারাই জীবনে সফলকাম হয়।

আপনার লেখাটি খুব ভালো লাগলো।

শুভেচ্ছা।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৩২

ক্লে ডল বলেছেন: ভাল লাগা জানিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.