নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কান্না হাসির এই খেলা ঘরে।আমি এক জীবন্ত মাটির পুতুল।সব খেলা সাঙ্গ হবে একদিন।অপূর্ণ স্বপ্নদের কাকুতি থেমে যাবে।মায়ার পৃথিবীর সাথে হবে চির ছাড়াছাড়ি।

ক্লে ডল

বিধাতা তোমার দয়ার আশায় ই প্রতিটি দীর্ঘশ্বাসের শেষে নতুন স্বপ্ন বুনি।

ক্লে ডল › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন সুতোমুর গল্প আর আমার মনে জন্ম নেওয়া শত প্রশ্ন!

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:০৬



রক্তপাত! এর প্রতক্ষ দর্শন, সংবাদ অথবা স্থিরচিত্র যেকারো মন পাখীকে আহত করতে সক্ষম। এরিখ মারিয়া রেমার্কের "অল কোয়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রণ্ট" বইটা পড়েছিলাম। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে লেখা।উফ! গা শিউরে ওঠে! কত দুর্বিষহ হতে পারে একটা যুদ্ধ! বইটা পড়ে আমার মনও আহত হয়েছিল, কল্পনার চোখে সে যুদ্ধের ছবি দেখে বাস্তব চোখেও অশ্রু গড়িয়েছিল।

ও! সুতোমুর গল্প বলবো ত!

চাকরীর সুবাদে জাপানিজ এই ভদ্রলোক ৩মাসের জন্য গিয়েছিলেন হিরোশিমাতে। ১৯৪৫ সাল ৬ আগস্ট। সকালে নিজ শহরে ফিরবেন বলে বের হলেন। ডকইয়ার্ডে আসার পর সুতোমুর খেয়াল হলো দরকারি একটি জিনিস ভুলে রেখে এসেছেন। উপায়ন্তর না দেখে তিনি ফিরলেন সেটা আনতে। তখনই সাক্ষাৎ হল লিটল বয়ের সাথে। মিনিটে লক্ষ্য প্রাণ কেড়ে নিতে পারে যে দানব, লিটল বয় নামের সেই পারমাণবিক বোমায় আক্রান্ত হলেন সুতোমু। সাময়িক দৃষ্টিশক্তি হারালেন, শ্রবণশক্তিও ক্ষতি গ্রস্থ হল, ঝলসে গেল শরীরের কিছু অংশ।

চিকিৎসা নিয়ে পরদিন নিজ শহরে ফিরে এলেন সুতোমু। দুইদিন পর ৯ আগস্ট আবার সেই ভয়ংকর আলো! তিনি ভেবেছিলেন হয়ত হিরোশিমার দুঃস্বপ্ন দেখছেন! কিন্তু বিধি বাম। তার নিজ শহর ত নাগাসাকিই। যেখানে নেমে এসেছিল ফ্যাট ম্যান নামের আরেক দানব! কিন্তু সুতোমু এবারে বেঁচে গেলেন অক্ষত অবস্থায়।

পারমাণবিক বোমার প্রথম বাস্তব প্রয়োগ হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে। এ বোমা নিক্ষেপ করেছিল আমেরিকা। জাপানের উপর। মাত্র দুটি বোমাই কেড়ে নিয়েছিল দুই লক্ষাধিক প্রাণ!
হিরোশিমা, নাগাসাকির ট্রাজেডি আজো বিশ্ববাসীকে কাঁদায়। সেই বোমার তেজস্ক্রিয়তার প্রভাব কয়েক প্রজন্ম বয়ে চলেছে। বিকলাঙ্গ শিশু জন্ম দিয়ে, ক্যন্সারে আক্রান্ত হয়ে।

এ ইতিহাস সকলরেই জানা। সুতোমু কে হয়ত আমরা অনেকেই জানি বিশ্বের ভাগ্যবান ব্যক্তিদের একজন হিসেবে। যিনি কিনা দুটো পারমাণবিক বোমায় আক্রান্ত হয়েও জীবিত ছিলেন।

কিন্তু আজীবন এই বোম্বিং-এর বিভীষিকাময় স্মৃতি সুতোমুকে বয়ে বেড়াতে হয়েছে। তার স্ত্রী এবং ছেলে মারা গেছেন রেডিয়েশন জনিত ক্যান্সারের কারনে। তার জীবিত মেয়েও রেডিয়েশন জনিত ক্যান্সারে আক্রান্ত।

নিজের এবং পরিবারের এই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা থেকে পরমাণু বিরোধী ক্যাম্পেইনার হয়েছিলেন তিনি। পারমাণবিক অস্ত্রের বিরুদ্ধে কথা বলে গেছেন, কিন্তু কখনো আমেরিকা বিরোধী বক্তব্য দেননি (বড় মনের দরকার এমন আচারণের জন্য)।

২০০৯ সালের ২৪ মার্চ, জাপান সরকার সুতোমুকে ‘ডাবল সারভাইভর’ হিসেবে স্বীকৃ্তি দেয়(হিরোশিমা এবং নাগাসাকির দুই বোম্বিং থেকেই যারা বেচে যায় তাদেরকে বলা হয় nijū hibakusha বা ‘ডাবল সারভাইভর’)।
তিনি বলেন,আমার দুটো পারমাণবিক বোমায় আক্রান্ত হওয়া এখন সরকারীভাবে স্বীকৃত। যার ফলে আমার মৃত্যুর পরেও নতুন প্রজন্ম এই বোমার ভয়াবহতার ইতিহাস জানতে পারবে।

ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে সুতোমু মারা গেছেন ৪ জানুয়ারি ২০১০ এ।

তিনি এই বোমার মর্মান্তিক অভিজ্ঞতা নিয়ে অনেক বক্তব্য দিয়ে গেছেনে। আশা করে গেছেন এই অস্ত্র কোন একদিন পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হবে।
একটা পারমাণবিক বোমায় কতলক্ষ মৃত্যুযন্ত্রণা লুকিয়ে আছে কেন বিশ্ব বোঝে না? কেন এখনো এই অস্ত্রের উন্নয়ন হয়ে চলেছে? এ আমার প্রশ্ন নয়, সুতোমুর প্রশ্ন!

এই প্রশ্নটিই আমার মস্তিস্কে শত প্রশ্নের জন্ম দিয়ে গেল!আসলেই কেন মানুষ এই বোমার উন্নয়ন করছে!? স্বার্থের পিপাসা? নাকি থাবার ভিতর খানিকটা ভূমি পাওয়া? নাকি শুধুই ক্ষমতার ডিমে তা দিয়ে সেটা বৃদ্ধির অভিপ্রায়?।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:২৭

বিজন রয় বলেছেন: সকালেই মন খারাপ করে দিলেন!!

পৃথিবী এখন ভয়ঙ্কর ঝুকির মুখে।
আমেরিকা রাশিয়া আবার মুখোমুখি।

চিন্তার বিষয়।

ধন্যবাদ।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:২৮

ক্লে ডল বলেছেন: মন খারাপ করে দেওয়ার জন্য দুঃখিত বিজন রয়!

এখনো বিশ্বে যে পরিমাণ পরমাণু বোমা মজুদ আছে তা দিয়ে গোটা বিশ্বকে ৩৮ বার পুরোপুরি ধ্বংস করা যাবে বলে জানিয়েছে স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এসইপিআরআই)।

হুমকি ত বটেই!

আপনাকেও ধন্যবাদ।

২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৩৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হিপোক্রেট উৎপাদনকারীরাই আবার মানবতার ধূয়া তুলে কুম্ভীরাশ্রু বর্ষন করে নিয়মিত!!!

একমাত্র আত্মার জাগৃিত সত্যানুভবই পারে এই মেহ থেকে মুক্তি ঘটাতে!

পৃথিবী হোক পরমানু বোমা মুক্ত!

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৩৯

ক্লে ডল বলেছেন: হাজার বছরের সভ্যতা মানুষকে পারেনি নৃশংসতা থেকে মুক্ত করতে। সভ্যতার উন্নতির সাথে সাথে মানুষের নৃশংসতাও আপডেট হচ্ছে।

আপনার সাথে গলা মিলিয়ে আমিও বলতে চাই,
পৃথিবী হোক পরমানু বোমা মুক্ত!

৩| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৩৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: যুদ্ধে জাপানীদের বর্বরতাও কম বিভীষিকাময় ছিল না। তবে যুদ্ধ জিনিসটাই খারাপ। যুদ্ধ মানেই মানবতার পরাজয়, পশুত্বের বিজয়।
একটা পারমাণবিক বোমায় কতলক্ষ মৃত্যুযন্ত্রণা লুকিয়ে আছে কেন বিশ্ব বোঝে না? কেন এখনো এই অস্ত্রের উন্নয়ন হয়ে চলেছে?
- যারা এসব যুদ্ধাস্ত্র উন্নয়নে গবেষণা করে থাকেন, তারা তো মেধাবী লোক। তারা যদি তাদের মেধাটাকে একটু মানবতার পক্ষে কাজে লাগাতেন!
বিশ্বের সকল মারণাস্ত্রের বিলুপ্তি চাই!

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:১৭

ক্লে ডল বলেছেন: যুদ্ধ মানেই এক পক্ষের সাথে অন্য পক্ষের হিংস্রতার প্রতিযোগিতা। কে জাপানি কে আমেরিকান আমরা ভুলে যেতে চায়। মানুষের জীবন ও মানবতা সবার সামনে রাখতে চাই।

আসলেই মেধাবী লোকগুলো যদি ধ্বংসাত্মক কাজে মেধা ব্যয় না করে মানবিক কাজে সেই মেধাটুকু ব্যয় করতেন!

আপনার সাথে একমত।
বিশ্বের সকল মারণাস্ত্রের বিলুপ্তি চাই!

৪| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৩৯

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: শুধুই ক্ষমতার ডিমে তা দিয়ে সেটা বৃদ্ধির অভিপ্রায় ? মনে হয় এইটার জন্যই

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:২০

ক্লে ডল বলেছেন: ক্ষমতার লোভ বড় ধ্বংস প্রিয়!

ধন্যবাদ মোস্তফা সোহেল অভিমত ব্যক্ত করার জন্য।

৫| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:২৭

পুলহ বলেছেন: "... পারমাণবিক অস্ত্রের বিরুদ্ধে কথা বলে গেছেন, কিন্তু কখনো আমেরিকা বিরোধী বক্তব্য দেননি (বড় মনের দরকার এমন আচারণের জন্য)।"-- আসলেই এমন কাজ করতে বড় একটা মন আর উন্নত চিন্তাধারা প্রয়োজন! আপনি ঠিকই বলেছেন।

খায়রুল আহসান স্যার বলেছেন "যারা এসব যুদ্ধাস্ত্র উন্নয়নে গবেষণা করে থাকেন, তারা তো মেধাবী লোক। তারা যদি তাদের মেধাটাকে একটু মানবতার পক্ষে কাজে লাগাতেন!"-- আমার মনে হয় তারা লাগাচ্ছেন। আর সে কারণেই- তাদের কাজ, তাদের গবেষণা থেকে উপকৃতও হচ্ছে অসংখ্য মানুষ। সমস্যাটা হলো- সে বিজ্ঞানীরা যাদের নিয়ন্ত্রণে কাজ করেন, তাদের মানসিকতায়...

শুভেচ্ছা ক্লে ডল! সুতোমুর বিষয়টা জানা ছিলো না।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৫

ক্লে ডল বলেছেন: আমি অন্তর্জালে সুতোমুর দেখা পেলাম luckiest man of the world এর খোঁজ করতে করতে। তিনি আসলেই লাকিয়েস্ট কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে। তবে তিনি যে একজন বড় মনের মানুষ সেটুকু সন্দেহাতীত তার ঐ আচরণে।

খায়রুল আহসানের সাথে আমিও একমত!
বিজ্ঞানীরা যাদের নিয়ন্ত্রণে কাজ করেন, তাদের মানসিকতায় মানবতার বীজ রোপিত হোক।

আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা পুলহ! :)

৬| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৫০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
১ নং এ পৃথিবী এখন ভয়ঙ্কর ঝুকির মুখে।
২ নং এ পৃথিবী হোক পরমানু বোমা মুক্ত!
৩ নং মন্তব্যে বিশ্বের সকল মারণাস্ত্রের বিলুপ্তি চাই!
৪ নং এ শুধুই ক্ষমতার ডিমে তা দিয়ে সেটা বৃদ্ধির অভিপ্রায় ? মনে হয় এইটার জন্যই

সহমত জানিয়ে বলতে চাই- পারমানবিক বোমার ইউরেনিয়াম ফুয়েল খুলে তাতে অসংখ্য ফুলের পাপড়ি গুঁজে দেওয়া হোক।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:২৪

ক্লে ডল বলেছেন: কবি মানুষ ত কোমলতা আর সৌন্দর্যের কথাই বলবে! আপনিও তেমন বললেন।

অসাধারণ প্রস্তাব! :)

আপনাকে ব্লগে দেখা যায় না আগের মত।

অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

৭| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:০৩

আলোরিকা বলেছেন: অশ্লীল সভ্যতা
- হেলাল হাফিজ---যে জলে আগুন জ্বলে

নিউট্রন বোমা বোঝ
মানুষ বোঝ না !----------এদের কে হেলাল হাফিজের কবিতা শোনাতে হবে-----একটু মজা করতে ইচ্ছে হলো ;)

ক্ষমতা , ক্ষমতা -----পাওয়ার প্রজেকশন আর কি । রাজায় রাজায় যুদ্ধ বাঁধে উলুখাগড়ার প্রাণ যায় :)

হ্যাপি নিউ ইয়ার ।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৬

ক্লে ডল বলেছেন: অভিনব প্রস্তাব!! :D এদেরকে হেলাল হাফিজের কবিতা শোনাতে হবে! হা হা হা!

ক্ষমতার লোভ বড় ভয়ংকর অলোরিকা! তা না হলে মিনিটেই যে অস্ত্র লক্ষ প্রাণ কেড়ে নিতে পারে তার উন্নয়নে মানুষ কেন অর্থ ঢালে!

নতুন বছরের শুভেচ্ছা। অনেক অনেক শুভকামনা। :)

৮| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:০৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: আমার তো মনে হয় বিজ্ঞানের ধাপে ধাপে উন্নতির জন্য যুদ্ধ বিগ্রহের অবদানও কম নয়! যুদ্ধ মানুষকে ধ্বংস এনে দিলেও সমৃদ্ধির পথটাও উন্মুক্ত করেছে! তাছাড়া প্রযুক্তিকে সম্প্রসারিত করার লক্ষেও এসকল আবিষ্কারেরও প্রয়োজন ছিল!

কিন্তু সাধারণ মানুষ যখন সেই আবিষ্কারের শিকার হয়, তখন সত্যিই খুব খারাপ লাগে! পারমানবিক বোমা নিয়ে একসময় ব্লগে একটা ফিচার প্রকাশ করেছিলাম। সেই ফিচারটা লিখতে গিয়েই পেয়েছিলাম, পারমানবিক বোমার প্রথম সফল পরীক্ষার দিন সেটার ভয়াবহতা প্রত্যক্ষ করে বিজ্ঞানী ইসিডর রাবি মন্তব্য করেছিলেন-

"প্রকৃতির সমস্থ নিয়ম আজ উল্টে গেল। মানুষ আজ পৃথিবী ধ্বংসের বিধাতা হল!"

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:২৬

ক্লে ডল বলেছেন: যুদ্ধ মানুষকে ধ্বংস এনে দিলেও সমৃদ্ধির পথটাও উন্মুক্ত করেছে! তাছাড়া প্রযুক্তিকে সম্প্রসারিত করার লক্ষেও এসকল আবিষ্কারেরও প্রয়োজন ছিল!
প্রযুক্তিকে উন্নয়নের লক্ষে ধ্বংসাত্মক অস্ত্রের উন্নয়ন, তাও এত ব্যাপক প্রাণহানী ঘটাতে সক্ষম অস্ত্র উন্নয়নের পক্ষপাতী একদম নই!

"প্রকৃতির সমস্থ নিয়ম আজ উল্টে গেল। মানুষ আজ পৃথিবী ধ্বংসের বিধাতা হল!"
বিজ্ঞানী ইসিডর রাবির মন্তব্যই যথাযথ।

৯| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:১৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: তিনি এই বোমার মর্মান্তিক অভিজ্ঞতা নিয়ে অনেক বক্তব্য দিয়ে গেছেনে। আশা করে গেছেন এই অস্ত্র কোন একদিন পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হবে।

আমার মনে হয়, তার আশা কোন দিন পূর্ণ হবে। কারণ ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো যেভাবে অস্ত্রের প্রতিযোগিতায় নামছে তাতে পারমানবিক, হাইড্রেজেন বোমাসহ মারাত্মক সব রাসায়নিক অস্ত্র তাদের ভান্ডারে যোগ হচ্ছে।

পরিশেষে,
ক্ষমতাবাজ নিপাত যাক।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৩২

ক্লে ডল বলেছেন: শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) ধন্যবাদ মতামত প্রদানের জন্য।

ক্ষমতার লোভ সবার আছে। আপনার আমার সবার। কিন্তু সেই ক্ষমতা মনবতা বিরোধী কাজে ব্যয় করা না হোক!

১০| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:১৫

রাতুল_শাহ বলেছেন: আমি প্রযুক্তি বিরোধী লোক। প্রযুক্তির কল্যাণের চেয়ে অকল্যাণ বেশি।
নোবেল ভাই ডিনামাইট আবিষ্কার করেন, যার প্রভাবে আজও মানুষ মরে, ডিনামাইট বেচা বা মানুষ মারা টাকার নোবেল পুরষ্কার পাওয়ার জন্য বিজ্ঞানীরা মুখিয়ে থাকে।
পরমাণবিক প্রযুক্তি নিয়ে কথা বললে, অনেক বিষয় চলে আসে।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৩৮

ক্লে ডল বলেছেন: সভ্যতার উন্নয়ন ত প্রযুক্তির মাধ্যমেই হয়েছে। নোবেল ভাই ডিনামাইট আবিষ্কার করেছিলেন। নিজের ভুল বুঝতে পেরেই শান্তি প্রতিষ্ঠায় ত সব অর্থ দিয়ে গেলেন।

প্রযুক্তির উন্নয়নের প্রয়োজন অপরিহার্য। তবে ধ্বংসাত্মক কাজে আমি মেধা আপচয়ের পক্ষপাতী একদম নই!

১১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:২৪

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত পৃথিবী আদৌ পাব কি না জানি না কিন্তু স্বপ্ন দেখতে তো দোষ নেই।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৫৪

ক্লে ডল বলেছেন: আমারও ভাবনা তাই। সুন্দর আগামীর স্বপ্ন ত দেখতেই পারি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.