নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কান্না হাসির এই খেলা ঘরে।আমি এক জীবন্ত মাটির পুতুল।সব খেলা সাঙ্গ হবে একদিন।অপূর্ণ স্বপ্নদের কাকুতি থেমে যাবে।মায়ার পৃথিবীর সাথে হবে চির ছাড়াছাড়ি।

ক্লে ডল

বিধাতা তোমার দয়ার আশায় ই প্রতিটি দীর্ঘশ্বাসের শেষে নতুন স্বপ্ন বুনি।

ক্লে ডল › বিস্তারিত পোস্টঃ

তোমরা যে বল দিবস রজনী, “নিজে বদলাও, পৃথিবী বদলে যাবে”। সখি বাস্তবতা কারে কয়? সেকি বদলানো যায়?

১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৩৬




কঠোর পরিশ্রমে আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ নেই, আপনি রুটিন লাইফ লিড করেন, চরম অধ্যাবসায়ী। অন্যের দোষ খুঁজেন না, পরোপকার এবং সমাজকল্যাণে আপনি একজন দৃষ্টান্ত। আপনি বিনয়ের একজন ফার্স্ট ক্লাস অবতার।ইত্যাদি ইত্যাদি। এসব বৈশিষ্ট্যগুলো নিজের মাঝে ধারণ করাকেই ত বলে নিজেকে বদলানো। যার মাধ্যমে পৃথিবীকে বদলে দেয়া যায়। কিন্তু আসলে কি সব বদলানো যায়? যায় না। এসবের দ্বারা সেই সকল পরিস্থিতিই বদলানো যায় যা বদলযোগ্য। বদলের অযোগ্য বিষয়গুলো মাথায় রাখতে পারলে, মনে মেনে নিতে পারলে আপনার পথচলা সহজ। নতুবা দেওয়ালে মাথা ঠুকে, মর্মদহনে ছারখার হয়ে পার করতে হবে সারা জীবন।
আসুন উদাহরণস্বরূপ কিছু অপরিবর্তনীয় বাস্তবতা জেনে নেই। পৃথিবী বদলাতে বা নিজের অবস্থান পরিবর্তনে আপনার উঠে পড়ে লাগা কতখানি উচিৎ, আপনিই সিদ্ধান্ত নিন।
যেমন ধরুন,
আপনি অমরত্ব লাভ করতে পারবেন নাঃ আপনি কি ভবিষ্যৎ নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত ভাবেন? তাকে কি এতখানি প্রাধান্য দিচ্ছেন যার জন্য আপনার বর্তমান পুরোপুরিই নষ্ট হচ্ছে। সিদ্ধি লাভের আশায় আজ এতখানি শ্রম দিচ্ছেন কি? যার জন্য কাল তা ভোগের অবস্থায়ই থাকবেন না? যেহেতু আপনি আজীবন বেঁচে থাকবেন না, তাই ভবিষ্যৎ এর জন্য অস্বাভাবিক চাপ নিয়ে লাভ কি বলেন?

সবাইকে সন্তুষ্ট করতে পারবেন নাঃ আমার এই পোষ্টটার কথায় ভাবুন। এটি কারো কাছে হয়ত ভাল লাগবে, আবার কারো কাছে ফালতু। এটাই স্বাভাবিক। এবং বাস্তবতা। একই সাথে আশপাশের সকলকে আপনি সন্তুষ্ট করতে পারবেন না। মানুষে মানুষে ব্যক্তিত্ব, মতাদর্শ, জ্ঞানে ভিন্নতা রয়েছে। তাই একটা কাজ দিয়ে সকলকে সমানভাবে সুখী করা অসম্ভব। এখন আপনিই ভাবুন। কেউ অসন্তুষ্ট হলে সহজভাবে নেবেন? নাকি সন্তুষ্ট করতে উঠে পড়ে লাগবেন?

অন্যের ভাবনাকে বদলাতে পারবেন নাঃ আপনার অনেক ক্ষমতা। লোকে আপনাকে কুর্নিশ করে তারপর কথা বলে। কিন্তু তার ভিতরকার ঘৃণা, অথবা সম্মান নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা আপনার নেই। অন্যের সম্মান, ভালবাসা, পছন্দ, ভাবনাকে কখনওই ইচ্ছানুযায়ী নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না। সুতরাং অন্যের সম্মান পেতে বা তার ভাবনাকে বদলাতে আদা জল খেয়ে লাগবেন? নাকি নিজের বিবেকের নির্দেশ মত কাজ করে নির্ভার থাকবেন?

অতীতকে ফিরিয়ে আনতে পারবেন নাঃ আমাদের বসবাস হয় অতীতে নয়তো ভবিষ্যৎ এ। খুব কম লোক ই আমারা বর্তমানে বাস করি। আমি অমুক পরীক্ষায় ফেল করেছিলাম, তমুক ভুল করেছিলাম বলেই আজ আমার এ দশা, ইত্যাদি অতীতের ভুলগুলো টানাহেচড়া করে ভুলকেই মনে মগজে লালন করি। কিন্তু আপনি কি পারবেন সেই সময়কে ফিরিয়ে এনে ধুয়ে মুছে শুধরে দিতে? পারবেন না। তবে কেন আজকের দিনটাকে কাজে না লাগিয়ে, গতকাল কে আঁকড়ে ধরা?
খাটুন। বুক ভরে শ্বাস নিন। পৃথিবীর বুকে বাঁচুন। পদচিহ্ন রেখে যাওয়ার চেষ্টা করুন। আর কিছু বাস্তবতে মেনে নিন। এই ত জীবন। ৮০ অথবা ১০০ বছরের একটা জীবন।


মন্তব্য ৪৫ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৪৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৪৮

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: একই লেখা দুবার এসেছে । এটি মুছে দিন।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:১১

ক্লে ডল বলেছেন: আগেরটি আপনা আপনিই প্রথম পাতা থেকে সরে গেছে। তাই এখানেই উত্তর দিলাম।

আমি আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি। আপনি কেমন আছেন। আসলে এখন ব্লগে কম আসা হয়।

অনেক অনেক ধন্যবাদ মোস্তফা সোহেল। এই যে এতখানি আন্তরিকতার জন্য।
আপনার জন্য অশেষ শুভকামনা। :)

২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৫৩

বর্ষন হোমস বলেছেন:
আরো অনেক কিছুই আছে যা কখনো করা সম্ভব হয়ে উঠবে না।তবে কিছু মানুষ রয়েছে যার একেবারে সকলকে সন্তুষ্ট করতে পারে।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৪৬

ক্লে ডল বলেছেন: কি জানি! তারা হয়ত অতিমানব।

ধন্যবাদ বর্ষন হোমস।

৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৫৮

বিজন রয় বলেছেন: আমরা তো এসব সবাই জানি, কিন্তু করি ক'জন!!

ভাল উপদেশমূলক পোস্ট।

পোস্টি দুবার দেখতে পাচ্ছি।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৫২

ক্লে ডল বলেছেন: ঠিক বলেছেন। সবাই জানি। কিন্তু মানার জন্য মাঝে মাঝে সহায়ক লাগে। এ পোষ্টটি জানা বিষয় রিপিট করে উক্ত কাজের সহায়তার জন্য।

অনেক ধন্যবাদ বিজন রয়। ভাল লাগা জানানোর জন্য। :)

৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:২৩

সামিয়া বলেছেন: কেমন আছেন? মন কি বিক্ষিপ্ত??

১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:০১

ক্লে ডল বলেছেন: ভাল আছি। আপনি কেমন আছেন? আপনাকে দেখলে আপনার কলিগের খবর নিতে ইচ্ছা হয়। অনেক দুর্ঘটনার খবর পড়া হয় কেন জানি তাঁর কথাটা মনে পড়ে যায় মাঝে মাঝে।

না আপু। মন আপাতত শান্ত। :) আসলে মোটিভেশনাল কিছু লেখার চেষ্টা করেছি। যাতে বিক্ষিপ্ত মনওয়ালাদের মনও শান্ত হয়।

৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৫২

পুলহ বলেছেন: 'অন্যের ভাবনাকে বদলাতে পারবেন না' এ অংশটা ছাড়া বাকি গুলোর সাথে অনেকটাই একমত। 'লোকে আপনাকে কুর্নিশ করে তারপর কথা বলে। কিন্তু তার ভিতরকার ঘৃণা, অথবা সম্মান নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা আপনার নেই।'-- তবে হয়তো কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রভাবিত করা যায়। আমরা নিজেরাই তো অনেক সময় হই ! প্রিয় মানুষের কথায় প্রভাবিত হই না !

কিছুদিন আগে একটা ব্যাপারে মন খুব বিক্ষিপ্ত ছিলো, মনে হচ্ছিলো - কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের এতো অধঃপতন হচ্ছে কেন? মনে হচ্ছিলো- এর থেকে পরিত্রাণেরও বুঝি কোন সম্ভাবনা নিকট ভবিষ্যতে নেই।
তখন নবিজী (সাঃ) এর একটা হাদিস খুঁজে পেলাম। সেটা শেয়ার করি আপনার সাথে-
উনি বলেছিলেন যে- যদি তোমাদের কারো হাতে একটা চারা থাকে, আর সেটাকে রোপন করার আগেই মহাপ্রলয় (কিয়ামত) শুরু হয়ে যায়, তাহলেও আপসেট না হয়ে চারাটা রোপণ করে দিও...
এর ব্যাখ্যাটা হলো- আপনার আমার চারপাশে যত হতাশা, যত ঝামেলাই থাকুক না কেন, আমাদের দায়িত্ব হলো- সাধ্যের মধ্যে যতটুকু সম্ভব ভালো কাজ করে যাওয়ায়। হতাশ হয়ে আমরা যেনো কখনো নিজেদের ভালো কাজগুলোকে থামিয়ে না দেই। কোন ভালো কাজকে যেনো আন্ডার-এস্টিমেট না করি, হোক না সেটা সামান্য একটা চারা রোপনের মত কিছু !

ভালো থাকুন, মাটির পুতুল হয়েও আকাশ স্পর্শ করুন- এই শুভকামনা !

১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৩২

ক্লে ডল বলেছেন: আমি আসলে বোঝাতে চেয়েছি ভাল প্রয়াসের পরও যদি কেউ ব্যর্থ হয় তবে দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হওয়ার কিছু নেই। আপনার কথার সাথেও আমি একমত।

"সর্বশ্রেষ্ঠ একজন ন্যায় বিচারকের কাছ থেকে যাবতীয় কাজের পুরস্কার অথবা শাস্তি একদিন পাব"। এটুকু মনে ধারণ করলেই কিন্তু অনেক সমস্যার সমাধান হয়। যুদ্ধ, ধ্বংস, হানাহানি, প্রতিশোধপ্রয়াণতা আর থাকে না। হতাশা তো মামুলি।

মাটির পুতুল হয়েও আকাশ স্পর্শ করুন অগ্রজদের পরামর্শ, দোয়া, শুভকামনা আমার কাছে মহামূল্যবান। খুব যত্ন করে রাখলাম। :)

ভাল থাকুন আপনি অনেক!!

৬| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৩৭

পুলহ বলেছেন: Anas ibn Malik reported: The Messenger of Allah, peace and blessings be upon him, said, “If the Resurrection were established upon one of you while he has in his hand a sapling, then let him plant it.”

Source: Musnad Aḥmad 12491

Grade: Sahih (authentic) according to Al-Albani

(মূল হাদিসটাও শেয়ার করে গেলাম)

১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৩৭

ক্লে ডল বলেছেন: হাদিসটি আগে কখনও দেখিনি। বেশ অপ্রচলিত। আমি নিজেই উৎস জিজ্ঞেস করতাম।

৭| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৪৬

কানিজ রিনা বলেছেন: মানুষ মরনশীল, কেউ জম্মের পড়েই মৃত্যু
বরন করে আবার জম্মের পর থেকে যে
কোনও বয়সে মৃত্যু ঘটতে পারে। কেউ কেউ
শত বছর তার থেকেও অধিক হতে পারে।
মানুষ ভূতিশীল অতীতে কোনও ভুল বর্তমানে
দুঃখ বয়ে বেড়ায়। আত্ব্যিয় বন্ধু সন্তান হাড়িয়ে
আমি এখন নিঃস্ব কেউ আমার পাশে নেই।
আমি কি সেচ্ছা চারী ছিলাম। আমার পাপ
থেকে কি আমি মুক্তি পাব। এসব অনুভবই
অনুভুতি। দিন শেষে নিজের ন্যায় অন্যায়
অনুভব করাই নিজেকে নিজে বিচার করা।
আমার খুব সুখছিল কিন্তু আমি বিলাশীতায়
গাভাসিয়ে সব কিছু হাড়িয়েছি। এখন আমি
খুব দুঃখি লোকে আমায় মন্দ বলে।
এসব অনুভূতি আসবেই আপনি যতই ভাব
দেখান, ন্যায় বোধ না থাকলে সে মানুষ
নামের পশু। ধন্যবাদ

১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৪৯

ক্লে ডল বলেছেন: কিছু কিছু বিষয় ঠিক বলেছেন। কিন্তু পুরো মন্তব্যটি একসূত্রে গাঁথতে পারলাম না।

ধন্যবাদ আপনাকে।

৮| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:১৬

করুণাধারা বলেছেন:
ভাবনাগুলো ভাল লেগেছে। +++++

আপনি অমরত্ব লাভ করতে পারবেন নাঃ আপনি কি ভবিষ্যৎ নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত ভাবেন?

খুব ভাবি। একবার মৃত্যুর পর যে জীবন তাতে তো আর মৃত্যু নেই। সেই জীবনের জন্য কি নিয়ে যাব তা খুব ভাবি।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:২১

ক্লে ডল বলেছেন: যতার্থ বলেছেন করুণাধারা। এ ভবিষ্যৎ এর সাথে অন্য কোন ভবিষ্যৎ এর তুলনা বোধহয় হয় না।

ধন্যবাদ আপনাকে ভালোলাগা জানানোর জন্য। :)

৯| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:০৫

সামিয়া বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ আমার কলিগ জেনি এখন অনেক সুস্থ, স্মৃতি ফিরে পাবার জন্য বিভিন্ন ট্রিটমেন্ট দেয়া হয় এরকম একটি হাসপাতালে তার চিকিৎসা হচ্ছে। আমাদের এতজনের প্রার্থনা আল্লাহ্‌ কবুল করেছে ।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:২২

ক্লে ডল বলেছেন: জেনির পুরোপুরি সুস্থতা কামনা করি।

১০| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৫

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: রেগে পোস্ট দিছেন??? আমিও মাঝে মাঝে রেগে অনেক কিছুই লিখি কিন্তু পোস্ট করার সময় দুবার ভাবি।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৩

ক্লে ডল বলেছেন: না আমি রেগে পোষ্ট দেয়নি। আমি আমার পছন্দের যাবতীয় বিষয়ে লিখতে চাই। মোটিভেশনাল কিছু লিখতে চেয়েছি এই আরকি।

আমিও মাঝে মাঝে রেগে অনেক কিছুই লিখি কিন্তু পোস্ট করার সময় দুবার ভাবি।

আমার এই পোষ্টটার কথায় ভাবুন। এটি কারো কাছে হয়ত ভাল লাগবে, আবার কারো কাছে ফালতু। :D =p~

১১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:২৩

আখেনাটেন বলেছেন: ভাবনার খোরাক যোগান দিলো কিছু কথা...

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:০৯

ক্লে ডল বলেছেন: ধন্যবাদ আখেনাটেন। ভেবেছেন জেনে ভাল লাগল। :)

১২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:০০

প্রামানিক বলেছেন: ভালো পোষ্ট। ধন্যবাদ

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:২৮

ক্লে ডল বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ভাল লাগা জানানোর জন্য। :)

১৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:১০

স্কুলবয় বলেছেন: হিসেব মেলাতে পারি না। সবাইকে সন্তুষ্ট রাখতে গিয়ে ডিপ্রেশনে ভুগি। আপনার পোস্টটি পড়ে অনেকটা ভাল লাগলো।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৮

ক্লে ডল বলেছেন: জীবনের শেষ না দেখে হিসাব মিলাতে যাওয়া ত যুক্তিযুক্ত নয়। আজ হয়ত আপনি ভাল থাকছেন না, কালও যে ভাল থাকবেন না সে বিষয়ে নিশ্চিত হলেন কিভাবে! :)

আপনার ভাল লেগেছে জেনে সত্যিই ভাল লাগছে স্কুলবয়। :)

১৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৫৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: ক্লে ডল ,




অনুপ্রেরণাদায়ক লেখা , সন্দেহ নেই ।
ইংরেজীতে একটা কথা আছে - " ইট ইজ দ্য আল্টিমেট রেজাল্ট দ্যাট কাউন্টস ।"
শতভাগ না হোক , কিছু ভাগ সফল হলেই বা ক্ষতি কি ?

নিজের চিন্তা ভাবনা নিয়েই তো যতো সমস্যা । এই চিন্তা নিয়ে ভাবতে ভাবতেই তো কেউ কেউ দার্শনিক হয়ে ওঠেন , কেউবা পাগল । যারা এর মাঝামাঝি তাদের চিন্তার দৌঁড় সহজেই অনুমেয় ।

তারপরেও বলি , নিজেকে নিয়ে থাকুন । নিজে পাল্টাতে না পারুন, অন্যকে পাল্টানোর কথা না বললেই সব ঝামেলা গন ..........

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৬

ক্লে ডল বলেছেন: শতভাগ না হোক , কিছু ভাগ সফল হলেই বা ক্ষতি কি ?

শত ভাগ একমত। কিন্তু সমস্যা হল সেই কিছু ভাগের গুরুত্ব আমাদের কাছে নেই। বরং কাজের তুলনায় সফলতা বেশি আশা করি। তাছাড়া আমরা ভ্যালুলেস জিনিস নিয়ে চিন্তা করতেই বোধহয় বেশি ভালবাসি। তাই হতাশাগ্রস্থ মানুষের সংখ্যা বেশি।

আপনার জন্য শুভকামনা অশেষ। :)

১৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:২৮

সুমন কর বলেছেন: পরিচিত কথাগুলোই আপনি সুন্দর করে নিজের মতো করে বলেছেন।

ভালো লাগল।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৭

ক্লে ডল বলেছেন: কথাগুলো পরিচিত কিন্তু আমরা মনে ধারণ করিনা।
ভাল লাগা জানানোর জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৫২

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: আমার কাছে অবশ্য পোস্ট টা ভালোই লেগেছে।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৩৫

ক্লে ডল বলেছেন: ধন্যবাদ। আবার এসে জানিয়ে যাওয়ার জন্য। :)

১৭| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:১২

মানবী বলেছেন: ৮০-১০০ বছর তো অনেক সময়! এতোদিন কজন বাঁচে, তাই খুব শীঘ্রই বেঁচে থাকার শুরুটা জরুরী।

পোস্টের শেষাংশ বেশী ভালো লেগেছে। আমার মনে হয় তাঁরাই সফল ভাবে পদচিহ্ন রেখে যান যাঁরা অপরের জীবনে কোন ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারেন। এটা করতে কোন বিখ্যাত, চাকরী/ব্যবসা ক্ষেত্রে সফল কেউ হবার প্রয়োজন নেই, শুধু সদিচ্ছা দিয়েই সম্পূর্ণ বেকার এমনকি হতদরিদ্র জনও করতে পারেন।

সুন্দর মোটিভেশনাল পোস্টের জন্য ধন্যবাদ ক্লে ডল।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:১৮

ক্লে ডল বলেছেন: খুব শীঘ্রই বেঁচে থাকার শুরুটা জরুরী। চমৎকার বলেছেন!!

আমার মৃত্যুর পরে একজনও যদি আমার আদর্শে অনুপ্রাণিত, করে যাওয়া কর্মে উপকৃত হয়, শ্রাদ্ধাভরে স্মরণ করে! এইত পদচিহ্ন। জীবিতাবস্থায় এটা ধারণ করা খুব দরকার।

আপনাকে অনে অনেক ধন্যবাদ।

১৮| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৫১

হাসান মাহবুব বলেছেন: সুন্দর লেখা। তবে অন্যের ভাবনাকে বদলাতে পারবেন না এটার সাথে একমত না। অন্যের ভাবনাকে বদলানোর জন্যে কাজ না করলেও, নিজের ভাবনার স্বচ্ছতা দিয়ে অন্যকে অবশ্যই প্রভাবিত করা সম্ভব। আমি নিজেও অনেক আলোকপ্রাপ্ত মানুষের সংস্পর্শে এসে অনেক বদলেছি।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:১৮

ক্লে ডল বলেছেন: পয়েন্টটার শেষে আদা জল খেয়ে লাগার কথা বলেছি। আমি হয়ত ভাল কিছু চেষ্টা করছি, অন্যরা সেটা বুঝতে চাইছে না। তখন আমি করি কি, তাদের বোঝানোর চেষ্টা করি। যে আসলে এটা আমি ভাল কিছু করার জন্য করছি। তারপরও যদি অন্যরা তাদের ধারণা না পাল্টায় তখন আমি ভেঙ্গে পড়ি, কষ্ট পাই।
ভাল এফোর্টের পরেও সেই অনুযায়ী মূল্যায়িত না হলে কষ্ট পাওয়ার কিছু নেই। সেইটা বুঝাতে চেয়েছি।
এখানে আমার শব্দ বাছাই হয়ত ত্রুটি হয়েছে তাই কেউ কেউ একমত হতে পারেননি।

যায় হোক। বাকীটা আপনার কাছে সুন্দর লেগেছে জেনে খুব ভাল লাগল। ধন্যবাদ। :)

১৯| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৩৪

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:

পড়ে ভালো লাগলো উপদেশমূলক পোস্ট ! মন সব সময় নেগেটিভ চিন্তায় ব্যস্ত ..... ভালো কিছু ভাবার সময় কথায় । B-)

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৫১

ক্লে ডল বলেছেন: আপনার ভাল লেগেছে জেনে আমারও ভাল লাগল।

অনেক অনেক শুভকামনা জানবেন শাহরিয়ার কবীর।

২০| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ২:০৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
সুন্দর লিখেছেন ।
খাটুন। বুক ভরে শ্বাস নিন। পৃথিবীর বুকে বাঁচুন। পদচিহ্ন রেখে যাওয়ার চেষ্টা করুন। আর কিছু বাস্তবতা মেনে নিন। এই ত জীবন। ৮০ অথবা ১০০ বছরের একটা জীবন।
শতভাগ সহমত

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩১

ক্লে ডল বলেছেন: কৃতজ্ঞতাসহ ধন্যবাদ জানবেন। শতভাগ সহমত জেনে খুব ভাল লাগল। :)

২১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৮

জুন বলেছেন: একটা কাজ দিয়ে সকলকে সমানভাবে সুখী করা অসম্ভব। এখন আপনিই ভাবুন। কেউ অসন্তুষ্ট হলে সহজভাবে নেবেন? নাকি সন্তুষ্ট করতে উঠে পড়ে লাগবেন
অন্যের সম্মান, ভালবাসা, পছন্দ, ভাবনাকে কখনওই ইচ্ছানুযায়ী নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না। সুতরাং অন্যের সম্মান পেতে বা তার ভাবনাকে বদলাতে আদা জল খেয়ে লাগবেন?
অতীতের ভুলগুলো টানাহেচড়া করে ভুলকেই মনে মগজে লালন করি। কিন্তু আপনি কি পারবেন সেই সময়কে ফিরিয়ে এনে ধুয়ে মুছে শুধরে দিতে? পারবেন না। তবে কেন আজকের দিনটাকে কাজে না লাগিয়ে, গতকাল কে আঁকড়ে ধরা?
যা বলার তা আপনি নিজেই বলে দিয়েছেন ক্লে ডল । আমি আর কিছু নাই বা বললাম, শুধু আপনার লেখা থেকে প্রিয় কথাগুলোকে ব্র্যাকেটবন্দী করলাম :) চমৎকার লেখাটিতে অনেক ভালোলাগা
+

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৭

ক্লে ডল বলেছেন: সত্যিই খুব অনুপ্রাণিত হলাম, আমার এতগুলো কথা আপনার ভাল লেগেছে জেনে। :)

অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

২২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:০৯

মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
আমরা সবাই পৃথিবীর বুকে আমাদের পদচিহ্ন রেখে যাই। কোনটি সবাই দেখেতে পায় কোনটি সবার অগোচরে থেকে যায়।

যেমন আমার মত অনেকে পদচিহ্ন রেখে যান সমুদ্রতীরের বালির তটে । সমুদ্রের কাছে গিয়ে আমি মাটিতে বসে বালিতে নিজের নাম লিখি। জোয়ার আসলে তা মুছে যায়। আমি আবারও লিখি। হয়তো এই লিখে যাওয়াই জীবন.......

২১ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:১৬

ক্লে ডল বলেছেন: প্রথম বাক্যের সাথে একমত। ধন্যবাদ আপনাকে।

২৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৪০

মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
দেখুন আপু, সব কথা সকলের নয়। আমি যা বলছি হয়তো সেটা আমারই কথা। সেটাকে আপনি নিজের মত করে বুঝতে গেলেই ভুল বুঝবেন, আমাকে গাল দিয়ে বসবেন।
মানুষের সামাজিক দায়বদ্ধতা আছে। এ আমাদের প্রতিদিনকার দায়বদ্ধতা। কিন্তু এই দায়বদাধতার মাঝে মৃত্যু ঘটে নিজস্ব সত্বার। যারা ওর একটাকে বাঁচাতে গিয়ে আর একটাকে দেউলে করে তাদেরকে আমরা বলি সফল। অর্থসাধনার আমিও একজন সাধক। সমস্ত জীবন দিয়ে এইটেই জীবনকে বোঝাব যে, সাধনার কোথাও ফাঁকি দিচ্ছে নে।
কিন্তু ঐ যে আমার ভেতরের আমি, সে মুছে যাবে জেনেও বালির তটে নাম লিখে যায়। রূপক দিয়েই বলতে হবে, নইলে এ-সব কথার রূপ চলে যায়, কথাগুলো লজ্জিত হয়ে ওঠে।

আই স্টিল রিমেন এ ক্রিটিক অব ‍মি । বাট নাউ লেট মি টেক আউট লাইফ ফ্রম দ্যাট ডুয়ো ........

২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৩

ক্লে ডল বলেছেন: একেকজনের কাছে সফলতার সংজ্ঞা একেক রকম। কিন্তু খাঁটি সফলতা কখনো অস্থায়ী নয়। আমার দ্বায়বদ্ধতাকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে আমার আত্মার যে পীড়ন হবে সেটাকে আমি স্বত্বার মৃত্যু বলব না। বলব আত্মত্যাগ। আর এর মাঝেও আছে আত্মার শান্তি।
যায় হোক জীবনন্দের একটি কবিতার অংশ বলি,

জানি - তবু জানি
নারীর হৃদয়-প্রেম-শিশু-গৃহ-নয় সবখানি;
অর্থ নয়, কীর্তি নয়, সচ্ছলতা নয় -
আর এক বিপন্ন বিষ্ময়
আমাদের অন্তর্গত রক্তের ভিতরে
খেলা করে;
আমাদের ক্লান্ত করে,
ক্লান্ত - ক্লান্ত করে;


এই বিপন্ন বিষ্ময়টা কি? আমার মনে হয় এই বিষ্ময়টা হল ত্যাগ। এটা আয়ত্ব করতে পারলে পদচিহ্ন মুছে যায় না। মোটা দাগে না হলেও কারো না কারো অন্তরে থেকে যায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.