নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কান্না হাসির এই খেলা ঘরে।আমি এক জীবন্ত মাটির পুতুল।সব খেলা সাঙ্গ হবে একদিন।অপূর্ণ স্বপ্নদের কাকুতি থেমে যাবে।মায়ার পৃথিবীর সাথে হবে চির ছাড়াছাড়ি।

ক্লে ডল

বিধাতা তোমার দয়ার আশায় ই প্রতিটি দীর্ঘশ্বাসের শেষে নতুন স্বপ্ন বুনি।

ক্লে ডল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বনের পাখির কথা, খাঁচার পাখির কথা...

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৪৮


বনের পাখির কথাঃ
তীব্র খরা, বিপন্ন শীতের কাল,
ফুলে ভরা বসন্ত, ঝিকিমিকি স্বপ্নজাল।
ঐখানে, তোমার ঐ দু’চোখে আমি সব দেখতে পাই।
তুমি যখন পাশে থাক, তোমার প্রতিটি চাহনি! সে তো অন্তত আখ্যান। আমি পড়তে বসে যাই।
এক সমুদ্র ঢেউ এর উল্লাস বুকে চেপে, আমি হয়ে যাই শান্ত দীঘি।
সেই আখ্যান পড়ব বলে, হৃদয় মাঝে পুষব বলে,
আমি মৌন পাহাড়ের কাছ থেকে বর্ণমালা শিখেছি।
সহস্র প্রদীপ জ্বেলে হয়ত পূর্বজনম থেকে অপেক্ষা করেছি,
তোমার চোখে চোখ রাখব বলে,
অন্তত কাল বুকের আঙিনায় চাষ করেছি শত শিহরণের ফুল।
তুমি যখন পাশে থাক, পৃথিবীতে আর কৃষ্ণপক্ষ বলে কিছু থাকে না। আমার পৃথিবী তখন স্নিগ্ধ, স্বপ্নময়, অবুঝ জ্যোৎস্নার কোলাহলে মুখরিত।
ঐ দুটি চোখ আমাকে অবিরাম অবিরাম ভাঙ্গে-গড়ে, স্বপ্নে -সংশয়ে।
এখানে রাতের হাসনা হেনা, দিনের মাধবীলতা, ঝরা হলুদ পাতা, দুরন্ত কাঠবিড়ালি, গায়ের পথ, নিঝুম বন, এই আমি, সবাই তোমার অপেক্ষা করি।
আমার বিষন্ন, কষ্ট ঝরানো দিন।
আমার সুখের রোদ ঝলমল দিন।
সব দিনে তোমাকে পাশে পেতে চাই!
যদি কোন হতচ্ছাড়া রাত্রিরে তোমার ঘুম ভেঙে যায়, বিরহের ক্ষতে ব্যাথা করে ওঠে। তোমার বটবৃক্ষের মত বুক, আমাকে ছায়া দিতে চায়। তবে তোমার দেওয়ালে, আমার আঁকা আকাশের ছবিতে দৃষ্টি রেখ।

খাঁচার পাখির কথাঃ
হয়ত প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকেই আমার বুকের নিভৃত পাথরটিতে খোদাই করা তোমার পদচিহ্ন।
অন্তর্গত অরণ্যে আমি নিরন্তর শুনে যাই তোমার পায়ের আওয়াজ।
তুমি আমার মহুয়ার মদ, তীব্র নেশা, অভেদ্য পিছুটান!
তোমার মায়াতে আমি মাতাল! চিরকাল। খাঁচা ছেড়ে পালিয়েছি, পালাচ্ছি, পালাব।

এই যে এখানে, মন গুলোর কঙ্কালে ধুলো জমে থাকে, হৃদয় ছাপিয়ে কোন বর্ষা নামে না।
দ্বন্দ্ব, সংশয়, সন্দেহের কালো মর্গে পড়ে থাকে সুখ, জীবনের নূপুরে কোন গান বাজে না।

এই সমাজের ঝোপে ঝোপে ফুটে থাকে বিষফুল।
মানুষগুলো যাপন করে হেমলক জীবন।
এখানকার পৃথিবী আলো ঝলমলে, কিন্তু
রাস্তায় দাড়ালে
সারি সারি আঁধার ভরা বুক
পাশ কেটে চলে যায়, আলোর মুখোশ পরে।
বিত্তের জোয়ারে ভেসে যায় সংসারের দুকূল।
তবু গভীর রাতে ভবনগুলো দুলে ওঠে দীর্ঘশ্বাসের ভারে।
সবুজ, সরল ইচ্ছেরা গুমরে কাঁদে শীতল আঁধারে।

এখানকার আকাশে কাক, শকুনের নিত্য ওড়াওড়ি,
এই আকাশে মেঘের স্লেটে দুখের হাতেখড়ি।
আকাশযান এর কালো ধোয়ায়,
এই আকাশ দুঃখ বিলায়,
শীতের পাখি এই আকাশে দেয় না কভু পাড়ি,
এই আকাশে কাক শকুনের নিত্য ওড়াওড়ি।

হ্যাঁ বনের পাখি।
হতাশার বাজে পুড়ে আমার চোখ দুটো যখন লাল হয়, আমি তোমার আঁকা আকাশের ছবিটাতে দৃষ্টি রাখি।

ছবি সূত্র

মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:০৫

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:




কাব্য খুব কঠিন জিনিশ । কেমন লিখেন আল্লাহ ই জানে । অনেক গুরু গম্ভীর কথা ।

তবে পড়তে কিন্তু খারাপ লাগে না :D :D B-)

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:৩৪

ক্লে ডল বলেছেন: এ কাব্য যদি কঠিন হয়, নিন তবে আপনাকে মহাকবির একটা সহজ কাব্য প্রদান করা হইল, :-B

নূতন বতসর
ভূত-রূপ সিন্ধু-জলে গড়ায়ে পড়িল
বতসর, কালের ঢেউ, ঢেউর গমনে।
নিত্যগামী রথচক্র নিরবে ঘুরিল
আবার আয়ুর পথে। হৃদয়-কাননে,
কত শত আশা-লতা শুখায়ে মরিল,
হায় রে, কব তা কারে, কব তা কেমনে!
কি সাহসে আবার বা রোপিব যতনে
সে বীজ, যে বীজ ভূতে বিফল হইল!
বাড়িতে লাগিল বেলা, ডুবিবে সত্বরে
তিমিরে জীবন-রবি। আসিছে রজনী,
নাহি যার মুখে কথা বায়ু-রূপ স্বরে,
নাহি যার কেশ-পাশে তারা-রূপ মণি,
চির-রূদ্ধ দ্বার যার নাহি মুক্ত করে
ঊষা, -তপনের দূতি, অরুণ-রমণী!

এই সহজ কাব্যটি পড়িয়া জটিলটি পড়িবেন। জটিলও সহজ হইয়া যাইবে। :D

২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:৪৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




ভয়ংকর কবিতা !!! অনেক কিছুই বলা হয়েছে, বলা বাহুল্য কবিতাটি দেশের বরেণ্য কোনো কবি লিখলে ঝড় উঠতো পত্রিকার পাতায় আরো কতো কি ?

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৭

ক্লে ডল বলেছেন: B:-)
আপনার মন্তব্যটি মনে হল এক সমুদ্র প্রেরণা। আর আমি প্রেরণার জোয়ারে ভেসে গেলাম। :)
ভাল থাকবেন ঠাকুরমাহমুদ।

৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: খুব খুব সুন্দর।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৯

ক্লে ডল বলেছেন: আপনার ইতিবাচক মন্তব্য পেয়ে ভাল লাগছে রাজীব নুর। :)

৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৩

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: চমৎকার :)

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪১

ক্লে ডল বলেছেন: কৃতজ্ঞতা জানবেন আর্কিওপটেরিক্স :)

৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।+

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪২

ক্লে ডল বলেছেন: কৃতজ্ঞতা সহকারে অসংখ্য ধন্যবাদ । :)

৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:২৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বেশ লিখেছেন ;
পড়তে ভালোলেগেছে।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:১১

ক্লে ডল বলেছেন: আপনার মন্তব্য পেয়ে ভাল লাগছে।
শুভকামনা জানবেন।

৭| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:১৭

দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: অনেক ভাল লাগা রইল ।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:২৫

ক্লে ডল বলেছেন: শুভকামনা জানবেন। :)

৮| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:১৯

স্রাঞ্জি সে বলেছেন:

মুগ্ধ হয়ে পড়লাম কাব্য খানি।

ঠাকুর'দা ভালই বলছেন। লাইক দিচ্যই।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:২৭

ক্লে ডল বলেছেন: আপনার মুগ্ধতায় অনুপ্রাণিত হলাম।

ভাল থাকবেন স্রাঞ্জি সে। :)

৯| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:০৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: মনে হলো সবুজ আর ধূসরের একটা কন্ট্রাস্ট দেখলাম।

ভালো লাগলো।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১০

ক্লে ডল বলেছেন: অনেকদিন বাদে আপনার মন্তব্য পেলাম!! এক লাইনেই পুরো লেখাটির ছবি একে দিলেন।

শুভকামনা জানবেন। :)

১০| ১৩ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:০২

খায়রুল আহসান বলেছেন: নিঃসন্দেহে বলা যায়, এটি আপনার একটি অসাধারণ সৃষ্টি! প্লাস প্লাস! + +
এক সমুদ্রের উল্লাস বুকে চেপে, আমি হয়ে যাই শান্ত দীঘি - একটি লাইনেই যেন একটি ইতিহাস বলে গেলেন।
আমি মৌন পাহাড়ের কাছ থেকে বর্ণমালা শিখেছি - তরঙ্গায়িত সফেন সাগর আর নিশ্চুপ, মৌন পাহাড়ের কাছ থেকে আমাদের অনেক কিছুই শিক্ষণীয় আছে। সাগর অতল আর পাহাড় অটল - এই দুই বৈশিষ্ট্য আত্মস্থ করতে পারলে আমরা পার্থিব অনেক কিছুর ঊর্ধ্বে উঠে যেতে পারি।
এই আকাশে মেঘের স্লেটে দুখের হাতেখড়ি - চমৎকার একটি অভিব্যক্তি!
১ নং প্রতিমন্তব্যে দেয়া "সহজ কাব্য"টির জন্য ধন্যবাদ। সহজেই বুঝিয়া গেলাম!! :)
"হৃদয়-কাননে,
কত শত আশা-লতা শুখায়ে মরিল,
হায় রে, কব তা কারে, কব তা কেমনে!"
- সহজই বটে!
"চির-রূদ্ধ দ্বার যার নাহি মুক্ত করে
ঊষা, -তপনের দূতি, অরুণ-রমণী!"
- হায়! :) :)

১৪ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৯

ক্লে ডল বলেছেন: এই যে!! এমন প্রেরণা আর আন্তরিকতার টানেই ব্লগে বার বার ফিরে আসি। আসতে হয়!! অনেক দিন থেকেই ব্লগে ঢুকতে পারছিলাম না। একটা মানসিক পীড়া কাজ করছিল। ভেবেছিলাম হয়তো বন্ধ হয়েই আছে। সেদিন ব্লগ সাইট লোড হওয়াতে আনন্দে আমি সেদিন দিশেহারা হয়ে গেছি।

সাগর অতল আর পাহাড় অটল - এই দুই বৈশিষ্ট্য আত্মস্থ করতে পারলে আমরা পার্থিব অনেক কিছুর ঊর্ধ্বে উঠে যেতে পারি।
এভাবে ভাবিনি তো কখনো!! খুবই গভীর একটি বোধ তৈরি করে দিলেন।

আপনি জ্ঞানী মানুষ তাই সহজ কাব্য, সহজই লেগেছে!! :)

কেমন আছেন আপনি?

১১| ১৩ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:২৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ এর মন্তব্যের সাথে আমি একমত। তার মন্তব্যে এবং আপনার প্রতিমন্তব্যে প্লাস +

১৪ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৯

ক্লে ডল বলেছেন: আবারও প্রেরণার জোয়ারে ভাসলাম!! আপনার প্রতি অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা!!

১২| ১৬ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৭

জুন বলেছেন: অনেক ভালোলাগা রইলো ক্লে ডল অনাবদ্য কবিতায়।
এবার নতুন কিছু লেখা চাই :)
+

১৭ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ২:২০

ক্লে ডল বলেছেন: ভাল থাকবেন জুনাপু!!

নতুন লেখা দেওয়ার চেষ্টা করব! :)

১৩| ১৭ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২১

আহমেদ জী এস বলেছেন: ক্লে ডল,




ওয়াও................... যেমন শব্দ চয়ন, তেমনই রূপকল্পে বনের পাখির মতোই ছটফটে কবিতা। দারুন লিখেছেন।
কবিতার ভাবে রবীন্দ্রনাথকে মনে পড়লো ---
দুজনে কেহ কারে বুঝিতে নাহি পারে,
বুঝাতে নারে আপনায়...

আপনার কবিতার ভাবের সাথে যেন একাকার।
+++++++

( এ রকম একটি কবিতা আমার চোখে পড়েনি কেন আগে!!!!!)

১৭ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:১৮

ক্লে ডল বলেছেন:

অনেকদিন পর ব্লগে আসতে পেরে এবং এমন সুন্দর সুন্দর মন্তব্য পেয়ে সত্যিই আনন্দ হচ্ছে!! প্লাস পেয়ে কৃতজ্ঞ হলাম।

ভাল আছেন আশা করি। :)

১৮ ই জুন, ২০১৯ সকাল ১১:০০

ক্লে ডল বলেছেন:

১৪| ১৭ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:২৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: ক্লে ডল,




প্রতিমন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
কিন্তু ভিডিও লিংকটি যে আসছেনা!

১৭ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:৪৫

ক্লে ডল বলেছেন: চেষ্টা করেও পারলাম না!! :(

khachar pakhi cilo shonar khachati te Anusheh Anadil and Palki Ahmed এর গাওয়া গানটা দিয়েছিলা। ওদের গাওয়াটা আমার খুব ভাললাগে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.