নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নকশা মাকড়সা

নকশা মাকড়সা › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাশ্মীরে একি হচ্ছে?

২৫ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:৪৭



ধর্মকে কেন্দ্র করে জন্ম নেয়া যুদ্ধ ক্রুসেডের সময় থেকে মুসলমান জগতে ফতোয়া দেয়া হয় যে, এক মুসলমান আরেক মুসলমানের ভাই। এসম্পর্কিত একটি হাদিস হলো, "পুরো উম্মাহ একটি দেহের মতো।" দুনিয়ার যে প্রান্তেই থাকুক না কেন, ভাইয়ের বিপদে ভাইয়ের অন্তর কাঁদবে, পাশে দাঁড়াবে, ভাইয়ের প্রতি অন্যায় অবিচারের শর্তহীন প্রতিবাদ করবে, সাহায্য করবে, আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রার্থনা করবে বহুদূরের অদেখা সেই মুসলমানের জন্য। এটি লুকিয়ে রাখবার কিছু নেই। মুসলমানের এই সততাই একটি চরম স্মার্ট ব্যাপার বলে মনে করি।

'পৃথিবীর জান্নাত' বলে খ্যাত কাশ্মীর - আমাদের চাইতে খুব বেশি দূরে নয়। সেখানে ইন্ডিয়ান আর্মি কর্তৃক মুসলিম নির্যাতনের কিছু ভিডিও দেখলাম। সেসব এতই ভয়াবহ, অমানবিক, পৈশাচিক ও বর্বর যে, তথাকথিত 'মধ্যযুগীয় বর্বরতা' তার কাছে শিশুতুল্য। যা বর্ণনায়িত করতে গেলেও আঙুল অসাড় লাগে।

একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একজন জ্যান্ত মানুষকে হাত-পা বেঁধে, গলায় রশি দিয়ে টেনে টেনে রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। একজন একজন করে টেনে কিছুদূর নিয়ে থামবার পরেই মানুষটির মুখ দিয়ে গল গল করে রক্ত বেরোচ্ছে। আবার আরেকজন টানছে। আবার থামানোর পর আবার কিছু রক্ত। জ্যান্ত মানুষটির চামড়া ছিলে ছিলে যাচ্ছে রাস্তার ঘর্ষণে। উপুড় করে টানা হচ্ছে কিছুক্ষণ, চিত করে টানা হচ্ছে কিছুক্ষণ, যেন শরীরের দুই পাশের চামড়াই ছিলে গিয়ে রাস্তায় লেগে থাকে। একজন টেনে ক্লান্ত হলে আরেকজন টানছে। ইন্ডিয়ান সৈন্যগুলো এটি করে করে হাসছে। রক্ত বের হবার এবং জীবন্ত মানুষের চামড়া ছিলে নেবার এই দৃশ্য দেখে তারা চরম আনন্দ পাচ্ছে। কারণ হতভাগ্য কিংবা সৌভাগ্যবান সেই মানুষটি তখনো জীবিত। সে নড়ছে নারকীয় যন্ত্রণায়। সে তখনো জীবিত। যদিও ভিডিওটি দেখে আমি তাঁর মৃত্যু কামনা করছিলাম।

পরবর্তিতে কি হয়েছে জানিনা। পুরোটা শেষ করতে পারিনি। আমি এসব এড়িয়ে যাই বেশিরভাগ সময়ে।

একবিংশ শতাব্দীতে এসে এইরকম প্রকাশ্য কানিবালিজম, সাইকোপ্যাথিক, স্যাডিস্ট ভিডিও দেখে মানবতার ঠিকাদার আর সভ্যতার পেশাদার দালালদের উদ্দেশ্যে মুখে থুথু জন্মে অজান্তে।

আস্তিক হবার সুবিধে আছে। আমাদের শেষ আশ্রয় বলে এমন একজন থেকে যান শেষ পর্যন্ত, যিনি সবচাইতে ক্ষমতাধর, সবচেয়ে শক্তিশালী। এছাড়া আর কিছু করবার নেইতো আপাতত।

হে দুনিয়ার জান্নাত কাশ্মীর! তোমার জন্য কিছু করবার ক্ষমতা আমাদের নেই। আমরা কেবল প্রার্থনা করতে পারি।
লিঙ্ক

"আমার জলেই টলমল করে আঁখি
তোমার চোখের অশ্রু কোথায় রাখি?
Elora Zaman

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ২:৪৭

মহা সমন্বয় বলেছেন: হে দুনিয়ার জান্নাত কাশ্মীর! তোমার জন্য কিছু করবার ক্ষমতা আমাদের নেই। :(

আপনাকে ব্লগে স্বাগতম। !:#P

২৬ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ২:১৬

নকশা মাকড়সা বলেছেন: ধন্যবাদ
তবে আমি নতুন নই। বহু পুরনো ব্লগার।

২| ২৫ শে জুলাই, ২০১৬ ভোর ৫:৩৩

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: আস্তিক হবার সুবিধে আছে। আমাদের শেষ আশ্রয় বলে এমন একজন থেকে যান শেষ পর্যন্ত, যিনি সবচাইতে ক্ষমতাধর, সবচেয়ে শক্তিশালী। এছাড়া আর কিছু করবার নেইতো আপাতত।

রাত যত ঘনিয়েছে
আঁধার হয় কালো;
এগিয়েছে ভোর জেনো
দুরে নয় রবি আলো।

২৬ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ২:২৯

নকশা মাকড়সা বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য

৩| ২৫ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:১১

জ্ঞান ক্ষুধা বলেছেন: আপনি নাস্তিক হয়ে যান তাহলে এসব অত্যাচার কোন কিছুই না। যে যার মত ভাল থাকুক ও মরলে আমার কি।

২৬ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ২:২৮

নকশা মাকড়সা বলেছেন: কি বলেন এইগুলা? চোখের সামনে বাবা মাকে মরতে দেখলেও কি এসব বলবেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.