নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নকশা মাকড়সা

নকশা মাকড়সা › বিস্তারিত পোস্টঃ

জুম্মার খুতবা সরকারিভাবে নির্দিষ্ট করে দেয়া কতটা যৌক্তিক?

২৬ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ২:৪০

পাঁচ বছরের একজন বালক তার বাবার সাথে যখন মসজিদে যায় তখন থেকেই সে ঘৃণা শিখে।কিন্তু পাঁচ বছরের যে বালকটা গণজাগরণ মঞ্চে গিয়ে শুনে-"একটা একটা শিবির ধর,ধইরা ধইরা জবাই কর,সকাল বিকাল নাস্তা কর"-সে খুব প্রেম ভালোবাসা শিখে-তাই না? মসজিদে গিয়ে সেই শিশু এটা শোনে যে-আল্লাহ মুসলিমদের তুমি ভালো রাখ,কাফিরদের ধ্বংস কর।আমি সাধারণত কাফিরদের ধ্বংস নিয়ে হুজুরদের দোয়া করতে শুনি নাই,আমেরিকা ইরাক আক্রমনের পর আমেরিকাকে জালেম বলতে শুনেছি,ইরাক আফগানিস্তানের জন্য দোয়া করতে শুনেছি।এই দোয়া তখন কার ছিল না?

যদি ধরেও নেই হুজুরদের বক্তব্য এরকম,নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলি।কোন এককালে বাংলা পাঠ্যবইয়ের কোন এক গদ্যে পড়েছিলাম যে রাসূল(সাঃ) কে যখন রক্তাক্ত করা হয়েছিল সেই মুহূর্তে তিনি বলেছিলেন-হে প্রভু,এদের জ্ঞান দাও,এদের ক্ষমা কর।রাসুলের(সাঃ) পথে যে কাঁটা দিতেন রাসুল(সাঃ) তারই সেবা করেছেন।আমরা তো ইসলাম কে এভাবেই দেখে বড় হয়েছি।।এই গদ্য প্রবন্ধ সমূহ ছোট বেলা থেকে মন-মগজ কে একটা শেপ দিয়েছে।কিন্তু আপনারাই তো এই গদ্য-প্রবন্ধগুলো বাদ দিতে মরিয়া হয়ে নামলেন।আমাদের কয়েকটা পরের জেনারেশনের লোকজন এইগুলো জানবে না।তাদেরকে ইসলাম নিয়ে যে যাই বলবে সে তাই বাছবিচার ছাড়া গ্রহণ করবে-এটাই স্বাভাবিক।
জুমার অভিন্ন খুৎবার মূল লক্ষ্যটা রাজনৈতিক।সরকার অনেক আগে থেকেই স্থানীয় আতি-পাতি নেতা দিয়ে ইমামদের বক্তব্য মনিটর করতেন,অনেক ইমাম বিতাড়িতও হয়েছেন।আর আমাদের দুর্ভাগা দেশে মসজিদ কমিটিতে কখনও প্রথম কাতারের মুসুল্লীটা থাকে না,থাকে স্থানীয় পাতি নেতারাই।তো এখন ইমামদের বক্তব্য আটকানোর ভালো সময়।নাসিরুদ্দিন ইউসুফ বাচ্চুরাও খুশি-পহেলা বৈশাখ,মঙ্গল শোভাযাত্রা নিয়ে কোন বক্তব্য আসবে না।সাথে ইসলামের ক্ষমা আর ভ্রাতৃত্বের দিক নিয়েও কোন কথা হবে না।তখন "বড় ভাই"রাও বসে থাকবে না।পিস টিভিও তো বন্ধ করলেন।মানুষের ইসলামের জ্ঞান হবে ইন্টারনেট মুখী।আর ইন্টারনেট জগতে দাওয়াতে কিন্তু দায়েশের কোন জুড়ি নাই।ইন্টারনেটের দাওয়াতে ডাক্তারের চেয়ে হাতুড়ে ডাক্তার অনেক বেশি।যাক,ইমামদের এক খুৎবা দিতে বাধ্য করা কিন্তু "freedom of speech" এর বিরোধী না কারণ এইগুলা শুধু প্রগতিশীলদের জন্য বরাদ্দ।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৩:৩৭

মহা সমন্বয় বলেছেন: ওই ভাই একটা ভুল হই গেসে :-P আমার দুটি মন্তব্যই ডিলিট করে দেন। 8-|

২৬ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:১৭

নকশা মাকড়সা বলেছেন: আপনার আগের মন্তব্য ২ টা ডিলিট করছি।

২| ২৬ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৩:৩৯

মহা সমন্বয় বলেছেন: মন্তব্য ডিলিট করেন তাপরে এ ব্যপারে যৌক্তিক মন্তব্য করতেছি। :)
তবে সরকার মোটেও এটা ভালা কম করতেছে না শিউর।

২৬ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:১৮

নকশা মাকড়সা বলেছেন: লগ আউট করে চলে গিয়েছিলাম তাই ডিলিট করতে দেরি হইছে।

৩| ২৬ শে জুলাই, ২০১৬ ভোর ৫:২৮

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: ক্ষুরধার যুক্তিতে
যা ক'লে তা সবি খাস;
মন থেকে এলো বোল
সাব্বাস সাব্বাস।:)

২৬ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:১৯

নকশা মাকড়সা বলেছেন: থ্যাঙ্কু

৪| ২৬ শে জুলাই, ২০১৬ ভোর ৫:৫৮

মো:নাইমুর রহমান বলেছেন: লজিকাল!!

২৬ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:২১

নকশা মাকড়সা বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য

৫| ২৬ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:১০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এককালে বাংলা পাঠ্যবইয়ের কোন এক গদ্যে পড়েছিলাম যে রাসূল(সাঃ) কে যখন রক্তাক্ত করা হয়েছিল সেই মুহূর্তে তিনি বলেছিলেন-হে প্রভু,এদের জ্ঞান দাও,এদের ক্ষমা কর।রাসুলের(সাঃ) পথে যে কাঁটা দিতেন রাসুল(সাঃ) তারই সেবা করেছেন।আমরা তো ইসলাম কে এভাবেই দেখে বড় হয়েছি।।এই গদ্য প্রবন্ধ সমূহ ছোট বেলা থেকে মন-মগজ কে একটা শেপ দিয়েছে।কিন্তু আপনারাই তো এই গদ্য-প্রবন্ধগুলো বাদ দিতে মরিয়া হয়ে নামলেন।আমাদের কয়েকটা পরের জেনারেশনের লোকজন এইগুলো জানবে না।তাদেরকে ইসলাম নিয়ে যে যাই বলবে সে তাই বাছবিচার ছাড়া গ্রহণ করবে-এটাই স্বাভাবিক।

+++++++=

২৬ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:২৪

নকশা মাকড়সা বলেছেন: পাঠ্যপুস্তক থেকে ইসলাম সম্পর্কিত সব রচনা কবিতা সরিয়ে ফেলেছে আওয়ামি সরকার। ৩ % মানুষের ভোটে জিতে এসেছে পায়ের তলায় ভিত্তি নাই। ইসলাম ধর্ম এখন এদের টার্গেট।

৬| ২৬ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:১৪

জ্ঞান ক্ষুধা বলেছেন: দেশের উন্নতিতে সরকারের ভুমিকা অনেক কিন্তু তারা একনায়কতান্ত্রিক ভাবে সব করছে, যুক্তি মানতে নারাজ। গভীর ক্ষোভ আর তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন ছাড়া কিছু করার নাই।

২৬ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:২৬

নকশা মাকড়সা বলেছেন: ঠিক বলেছেন। তবে-
১০ টাকার উন্নতি করে হাজার টাকার দুর্নীতি। পাকিস্তানি আইয়ুব সরকার বলেছিল- আগে উন্নতি পরে গনতন্ত্র। একই মানসিকতা হাম্বাদের।

৭| ২৬ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:৪৮

মহা সমন্বয় বলেছেন: প্রথমেই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই মন্তব্য দুটি ডিলিট করেছেন দেখে :)
কেন এমন অসঙ্গতিপূর্ণ কমেন্ট করেছিলাম তার ব্যাখ্যা প্রদাণ করার প্রয়োজনীয়তা অনূভব করছি।

গত কয়েকদিন ধরে অফলাইনে বেশ কয়েকজনের কাছে শুনতে পেলাম, সরকার নাকি অতিশিঘ্রই ভারতের কাছে দেশ বিক্রি করছে এবং ইতিমধ্যেই সারা দেশের মসজিতে জুম্মার নামাজের খুৎবা বন্ধ দেয়া শুরু করছে। ফেসবুকেও কয়েকজনকে দেখলাম স্ট্যাটাস দিচ্ছে সরকার সরাদেশে জুম্মার নামাজের খুতবা বন্ধের পাঁয়তারা করছে।
বুঝতে পারলাম পুরোটাই আবেগ নির্ভর একটা গুজব।
এতটুকু বুঝতে পারি কোন মুসলিম প্রধাণ দেশে যত বড় জালেম সরকারই হোউক না কেন জুম্মার নামাজের খুতবার মত এমন অপরিহার্য একটি বিষয় কখনোই বন্ধ করবে না বা করতে পারবে না আর এটা রাজনৈতিক করণেই।
সরকার খুতবার কিছু একটা দিক নির্দেশণা দিয়েছে এটা জানি কিন্তু অনেকেই এটাকে ফুঁলিয়ে ফাঁপিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে আর সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলিমকে উস্কে দিচ্ছে। এসব দেখেই খারাপ লাগছিল আর মেজাঝ খুব চড়াও হচ্ছিল।
ঠিক এমন মহুর্তেই আপনার পোস্টটিও দেখলাম। আমি ভাবছিলাম আপনিও হয়ত এমন গুজব ছড়াচ্ছেন যার কোনই ভিত্তি নেই।

আমি আপনার শিরোনামটা এভাবে পড়েছিলাম- জুম্মার খুতবা সরকারিভাবে বন্ধ করে দেয়া কতটা যৌক্তিক? :P
আমি নির্দিষ্টর জায়গায় বন্ধ দেখতে পাচ্ছিলাম, যে কারণে আমার মেজাজও চড়া হইছিল, ভাবলাম বাইরে গুজব ছড়াচ্ছে দেখে কি ব্লগেও গুজব ছড়াবে মানুষ :-< সাধারণ মানুষের তুলনায় ব্লগাররা কিছুটা হলেও সচেতন এটাই জানি। কিন্তু যখন দেখলাম বাইরের গুজব আর ব্লগের গুজব দুটোই এক হয়ে যাচ্ছে তাই ওরকম কমেন্ট করেছিলাম ( যদিও ওটা আমার ভুল ছিল যা পরে বুঝতে পারলাম)
একটা মাত্র শব্দে কত্ত বড় পার্থক্য হতে পারে তা হাঁড়ে হাঁড়ে টের পেলাম। :P
আশা করি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

এবার আলোচনায় আসি আপনার পোস্টের ব্যাপারে..... হ্যাঁ একটু পরেই আরেকটা কমেন্টে আমার মতামত জানাচ্ছি।

৮| ২৭ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:১৮

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: @মহা সমন্বয়ঃ পরের কমেন্ট কৈ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.