নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাল-মন্দের মাঝে আমার বসবাস

সময়ে অসময়ে ভর করে কিছু প্রিয় মূহুর্তগুলো…… ফিরে ফিরে আসে অনুভূতির গহীন অরণ্যে, হৃদয়ে একটু সুখের স্পর্শ, আর না পাওয়ার নিদারুণ ক্ষরণ দিয়ে যাওয়া… তার নাম তো স্মৃতিই বটে!

সি.এম.তানভীর-উল-ইসলাম

আমি একজন চিন্তাবিদ।

সি.এম.তানভীর-উল-ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার স্বপ্নের রাজকন্যার সাথে চ্যাট

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭

আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন?



হঠাৎ চমকে উঠলাম। এই সে মেয়ে যাকে কয়েকদিন ধরে চ্যাটে নক করার পরও রি প্লাই দিতো না। ভাবতাম, দেমাগি মেয়ে বা হয়ত কারো সাথে চ্যাটে ব্যস্ত আছে। যদিও আমি খুব একটা চ্যাট করিনা কিন্তু ওকে দেখে কেন জানি চ্যাট করতে ইচ্ছা করলো।



যাক মনে হচ্ছে আজ সূর্য পশ্চিম দিকে উঠেছে।



ওয়াইলাইকুম সালাম। আমি ভালো আলহামদুলিল্লাহ, আপনি?



আমিও ভালো আলহামদুলিল্লাহ। কি করেন?



গান শুনছি, আমি বললাম, আপনি?



আমি? আমি কিছু করছি না। কি গান শুনছেন? সে বলল



“আমার স্বপ্নের রাজকন্যা তুমি

তোমার দুঃস্বপ্নের রাজপুত্র আমি

আমার গল্পের নায়িকা তুমি

তোমার গল্পে অদৃশ্য আমি

আমার কবিতার শেষ লাইন তুমি

তোমার কবিতায় কোথাও নেই আমি

এ যে এক অদ্ভুত প্রেম (গায়ক - তাহসান)” আমি রিপ্লাই দিলাম



তাই বুঝি?? সে একটু দুষ্টুমি হাসি দিলো



আমিও একটু মিষ্টি করে হাসির ইমোশন দিলাম।



এইভাবে আমাদের প্রথম চ্যাট করা। আর এইভাবেই আমার সাথে পরিচয় আমার স্বপ্নের রাজকন্যা সাথে।



আমার স্বপ্নের রাজকন্যার রূপের বর্ণনা নাই করলাম। কারন তার রূপ দেখেই আমি এতটাই মুগ্ধ যে, কোন কিছুর সাথে তুলনাই করতে পারি না। শুধু মন বলে,



সুবাহানাল্লাহ সুবাহানাল্লাহ, কি রূপ তোমায় দিলো গো আল্লাহ্‌

মাশাল্লাহ, তোমার চোখের দিকে তাকিয়ে হলাম আমি দিশেহারা।







ক্রিং... ক্রিং... কোথা থেকে যেন আওয়াজ আসতেছে। চোখ বন্ধ থাকা অবস্থায় হাতড়াতে থাকলাম শব্দের উৎসের দিকে ... বিছানার পাশে রাখা অ্যালার্মটাকে বন্ধ করলাম। আওয়াজে ঘুমটা ভেঙ্গে গেলো।



ধুর!! কি সুন্দর একটা স্বপ্ন দেখছিলাম!! কেন যে এতো সকাল সকাল অ্যালার্ম দিয়ে রাখলাম... অফিস তো নাই, আরও ঘুমাতে পারতাম। দেয়ালের কোনায় ঝুলিয়ে রাখা দেয়াল ঘড়িটার দিখে চোখ পড়লো। দেখি সকাল ৭ টা। চোখ আমার ছানাবড়া... আজিব!!! আমিতো ভুলেই গেছিলাম আজ আমার স্বপ্নের রাজকন্যার সাথে দেখা করার কথা সকাল ৯ টায় ধানমণ্ডির লেকে।



তাড়াতাড়ি বাথরুমে গিয়ে ফ্রেশ হলাম, গোছল করলাম। বড় আপু আমার জন্য নাস্তা রেডি করে রেখেছিলো, ওইগুলো মুখে দিয়েই ছুটলাম। অমনি বড় আপুর বাধা!!



কিরে কই যাইতেসস এই রকম করে?? নাস্তা শেষ কর আগে।



প্লিজ আপু আমার এক জায়গায় যাইতে হবে, এখন ৮ টা, ঢাকা শহরে যা জাম!! আমার লেট হয়ে যাবে আপু, আমি বললাম



না! আগে নাস্তা শেষ কর। দেরি হলে হবে, আমার একটা ভাই না খেয়ে থাকবে ওইটা মানতে পারবো না!!



আমি ওখানেই খেয়ে নিবো আপু প্লিজ



সত্যি বলছিসতো ???



কি যে বলনা আপু আমি কি কখনো মিথ্যে বলেছি তোমার সাথে?? আচ্ছা আমি এখন আসি, আল্লাহ হাফেজ



এই বলে রওনা দিলাম আমার রাজকন্যার সাথে দেখা করার উদ্দেশে। ওহ আমিতো বলতেই ভুলে গিয়েছিলাম আমি ঢাকাই এলাম কিছুদিন হল। বড় আপুর বাসায় উঠলাম।



ধানমণ্ডির লেকের বেঞ্চের উপর বসে আছি। ঘড়ির কাটায় তিন মিনিট হতে চলল। ওর জন্য কিছু নিতে পারি নাই। শুধু একটা লাল গোলাপ। নিজেকে খুব স্টুপিড স্টুপিড লাগছে। এই প্রথম কোন মেয়ের জন্য লাল গোলাপ হাতে অপেক্ষা করছি।



পিছন থেকে কে যেন ডাক দিলো, আচ্ছা আপনি কি সি এম তানভীর... ??



আমি একটু অপ্রস্তুত হয়েই বললাম, জি আমি তানভীর। আপনি ইন্দিলা?? রাইট??



এখানে রাইট হবার কি আছে?? তোমার চশমা কোথায়?? চশমা পরো, ইন্দিলা একটু নরম ধমকের সুরেই বলল



আমি একটু স্মিত হেসেই চশমাটা পরলাম।



জি, এখন ভালো দেখতে পাচ্ছি, আপনি ইন্দিলা, আমি মজা করেই বললাম



তাই?? হুম... আগে তো জানতাম আপনি একটা গাধা, এখন জানলাম আপনি একটা আন্ধা, না জানি আপনার সাথে থাকতে থাকতে আরও অনেক কিছু জানবো। আপনার হাতে ওইটা কি? একটু মিষ্টি হেসেই সে বলল।



একটা লাল গোলাপ আমার স্বপ্নের রাজকন্যার জন্য। বলেই লাল গোলাপটা তার দিকেই বাড়িয়ে দিলাম।



থাঙ্কস, সে হাতে নিয়ে বলল। স্বপ্নের রাজকন্যার না ছাই, পরে বুঝবেন। চলেন হাঁটি, সবাই যেভাবে আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে!



আমি বললাম, থাকবেই তো, আমার সাথে আপনার সুন্দরী রাজকন্যাকে দেখে সবার তো ঈর্ষা হবারই কথা।



সে একটা মিষ্টি হাসি দিলো। হয়তো একটু লজ্জাও পাচ্ছে।



দূরে একটা ফুসকার দোকান দেখা যাচ্ছে, সে বলল ফুসকা খাবেন??



জি খেতে পারি, আমি বললাম।



এইযে ভাই, দুই প্লেট ফুসকা দেন তো।



আমি বললাম, আমি খাবো না, আপনি খান।



ইন্দিলা আমার দিকে অবাক চোখে চেয়ে বলল, কেন কি হইছে? কিছুক্ষণ আগেই তো বললা ফুসকা খাবা। আর এখন ঢং শুরু করলা!!



না, আসলে আমার হাত খুব ময়লা। যদি তুমি খাবাইয়া দাও তাইলে খেতে পারি, আমি ইতস্তত হবার ভান করে বললাম



ওউ!! তাই বুঝি?? এখন তোমাকে আবার আমাকে খাবায়ে দিতে হবে!! আমি পারবো না। আমারটা আমি খাই ঠিক আছে? তুমি না হয় বসে বসে আমার খাওয়াটা দেখো।



আমি অসহায়ের মত মুখ করেই বললাম, ঠিক আছে।



ইতিমধ্যেই দোকানের পিচ্ছিটা ফুসকার প্লেট নিয়া হাজির। ইন্দিলা ফুসকা হাতে নিয়ে একটু টক মিশিয়ে খেতে লাগলো। আর আমি দেখতে লাগলাম। আমার খুব হাসি পাচ্ছিলো কিন্তু হাসি লোকানোর চেষ্টা করছিলাম।



ইন্দিলা হঠাৎ করে আমার দিকে একটা ফুসকা এগিয়ে দিলো। বলল, নাও খাও।



আমি ওর হাতে ফুসকাটা মুখে নিলাম আর খেয়ে বললাম, আহ! কি শান্তি, এমন সুস্বাদু ফুসকা কখনো খাইনি। এমন সুন্দর হাতের ছোঁয়ায় ফুসকা ভালো না হয়ে পারে??



থাক আর তোমাকে ঢং করতে হবে না, ইন্দিলা লজ্জা পেয়ে নরম ধমকের সুরেই বলল। এইটাই শেষ। বড় হইছ, কিন্তু হাতে নিয়ে খেতেই পারো না!!



তখন আমরা দুজনেই হেসে দিলাম।



তখন আমার ডেভিড ফসটার ও আর্থর জানভ এর "দ্যা কালার অফ মাই লাইফ" কবিতাটি খুব মনে পরতেছিলো



"I'll paint a sun to warm your heart

Knowing that we'll never part.

I'll draw the years all passing by

So much to learn, so much to try.



I'll paint my mood in shadow blue,

Paint my soul to be with you.

I'll sketch your lips in shaded tones,

Draw your mouth to my own.



I'll trace a hand to wipe your tears

And trace a look to calm your fears.

A silhouette of dark and light

To hold each other oh so tight.



I'll paint the stars in the evening sky,

Draw the light into your eyes,

A touch of love, a touch of grace,

To softly fall on your moonlit face.



And with this ring our lives will start,

Let nothing keep our love apart.

I'll take your hand to hold in mine,

And be together through all time."



তানভীররর!! কিরে আর কত ঘুমাবি???? ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দিন পার করে দিবি নাকি। আজ আফিসে নাই?? আমার আম্মিজান চিৎকার করে বলল!!



চোখ কচলাতে কচলাতে আমি বিছানাই উঠে বসলাম। এতক্ষণ আমি স্বপ্ন দেখছিলাম?? উফ!! কেন যে আমি এতো স্বপ্ন দেখি!! আমার স্বপ্ন কি কখনোই সত্যি হাবার নয়??







ভালোবাসা বহেমান নদীর মতো। কখনো নদীতে জোয়ার আসে, কখনো আসে ভাটা। জানিনা, আমাদের এই সম্পর্ক পূর্ণতা পাবে কিনা। জানিনা, কিছুই জানিনা। শুধু জানি, আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি ইন্দিলা। তোমাকে প্রিয়তমা বলে ডাকতে খুব ইচ্ছে করে। কবি নজরুলের মতো গানে গানে বলতে ইচ্ছে করে



মোর প্রিয়া হবে এসো রানী দেব খোঁপায় তারার ফুল

কর্ণে দোলাব তৃতীয়া তিথির চৈতী চাঁদের দুল…

কণ্ঠে তোমার পরাবো বালিকা

হংস –সারির দুলানো মালিকা

বিজলী জরীণ ফিতায় বাঁধিব মেঘ রঙ এলো চুল।

জোছনার সাথে চন্দন দিয়ে মাখাব তোমার গায়

রামধনু হতে লাল রঙ ছানি’ আলতা পরাবো পায়।

আমার গানের সাত সুর দিয়া

তোমার বাসর রচিব প্রিয়া।

তোমারে ঘিরিয়া গাহিবে আমার কবিতার বুলবুল।



(আমার এই লেখাটি কেমন হল জানিনা, কিন্তু আমার একজন স্পেসিয়াল প্রিয় মানুষকে আমার লেখাটি ডেডিকেটেড করছি।)

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৮

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: :) :)

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪০

সি.এম.তানভীর-উল-ইসলাম বলেছেন: :D :D

২| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:০৯

খেয়া ঘাট বলেছেন: একসাথে পথচলা শুভ হোক, আনন্দময় হোক।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৫৭

সি.এম.তানভীর-উল-ইসলাম বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ ভাই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.