নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কমপিউটার জগৎ

কমপিউটার জগৎ

কমপিউটার জগৎ

লাইভ ওয়েব টিভি

কমপিউটার জগৎ › বিস্তারিত পোস্টঃ

৪ এপ্রিল থেকে সিলেটে তিন দিনব্যাপি ই-বাণিজ্য মেলা

০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৭

গত ৭-৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকাতে দেশের প্রথম ই-বাণিজ্য মেলা সফল ভাবে সম্পন্ন করার পর আগামী ৪ এপ্রিল বৃহষ্পতিবার থেকে সিলেটে শুরু হচ্ছে দেশের দ্বিতীয় ই-বাণিজ্য মেলা ও ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা। ‘ঘরে বসে কেনাকাটার উৎসব’ শ্লোগান নিয়ে আয়োজিত এ মেলা সিলেট স্টেডিয়াম সংলগ্ন মোহাম্মদ আলী জিমনেশিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ও সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের পৃষ্ঠপোষকতায় ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমানে সহায়ক ‘সিলেট ই-বাণিজ্য মেলা ২০১৩ ও ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা’ এর আয়োজক সিলেট জেলা প্রশাসন ও মাসিক ‘কমপিউটার জগৎ’। মেলাটি ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুভ উদ্বোধন করবেন মাননীয় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।







মেলার আহ্বায়ক মোহাম্মদ আবদুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, দেশে ই-কমার্স সম্পর্কে জনসচতেনতা সৃষ্টির লক্ষ্যেই এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় দেশের প্রথম ই-বাণিজ্য মেলা সফল ভাবে সম্পন্ন হওয়ায়, কমপিউটার জগৎ ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এই মেলাটি পর্যায়ক্রমে ৬টি বিভাগে করার সিদ্ধান্ত নেয়। তারই অংশ হিসেবে সিলেটে দেশের দ্বিতীয় ই-বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।



তিনদিনব্যাপি এই মেলায় ই-কমার্সের সঙ্গে জড়িত দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য ও সেবা সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরবে। মেলায় মোট ৪৫টি স্টলসহ ৪৫টি প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করবে। মেলা উপলক্ষে পণ্য ও সেবা ক্রেতাদের জন্য বিশেষ সুযোগ যেমন থাকবে, তেমনি এ বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে বিভিন্ন ধরণের আয়োজন রয়েছে।



ই-বাণিজ্য মেলার প্লাটিনাম স্পন্সর হিসেবে রয়েছে অনলাইন পেমেন্ট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এসএসএল কমার্জ ও কমজগৎ টেকনোলজিস । গোল্ড স্পন্সর হিসেবে রয়েছে ই-সুফিয়ানা ও সিজে সফট। মেলার ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট করছে অর্পণ কমিউনিকেশন লিমিটেড।



এ ছাড়া পার্টনার হিসেবে এখনি ডটকম, ক্রিয়েটিভ পার্টনার হিসেবে ক্রিয়েটিভ আইটি লিমিটেড, গেমিং জোন পার্টনার হিসেবে এএমডি গিগাবাইট, নলেজ পার্টনার হিসেবে বিডিওএসএন, কমিউনিকেশন পার্টনার হিসেবে সফটকল, ব্লগ পার্টনার হিসেবে সামহোয়্যার ইন ব্লগ ও ওয়েব পার্টনার হিসেবে বাংলানিউজ২৪ ডটকম।



তিন দিনের এ মেলায় অংশ নিচ্ছে এসএসএল কমার্জ, ই-সু ফিয়ানা, কমজগৎ টেকনোলজিস, এখনি ডটকম, বগুড়ার দই, রূপকথার জামদানি, জেডকাইট৯, টি-জোন, ও অনলাইনশপ, অ্যাট২ক্লিকস, বিডিহাট, আপনজোন, ওয়েবশহর (সিটিসেল), অ্যারামেক্স ঢাকা লিমিটেড, জোন ৮৩, বাংলাদেশ পোস্ট অফিস, শাম্মা’স মেহেদী আর্টসহ ঢাকা ও সিলেটের ই-বাণিজ্য ও তথ্যপ্রযু ক্তি সেবাদাতা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলার পক্ষ থেকে সিলেট জেলা ই-সেবা কেন্দ্র ও সিলেট সদর, দক্ষিণসু রমা, গোলাপগঞ্জ,

বিয়ানীবাজার, জকিগঞ্জ, কানাইঘাট, জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ, বিশ্বনাথ, বালাগঞ্জ ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্রগুলো অংশগ্রহণ করবে।



আয়োজকেরা জানান, এবারের মেলাকে সহজে তরুণ প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য সামাজিক যোগাযোগের সাইট ফেসবুকের মাধ্যমে মেলার বিভিন্ন আপডেট প্রকাশ করা হচ্ছে। আপডেট পেতে https://www.facebook.com/ECommerceFair ঠিকানার পেজ লাইক করতে হবে। এ ছাড়া মেলার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট http://www.e-commercefair.com/ থেকেও জানা যাবে প্রয়োজনীয় তথ্য।



মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টায় শুরু হয়ে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে। মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। হ্রাসকৃত মূল্যে বিভিন্ন পণ্য কেনা যাবে।



আসুন ই-বাণিজ্য সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নিই



ই-বাণিজ্যের যাত্রা শুরু হয় ৬০ এর দশকে। তবে প্রথমদিকে ই-বাণিজ্যের চিত্র ছিল একটু ভিন্ন। তখন বিভিন্ন বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আদানপ্রদান করত। এই আদান প্রদানের জন্য তারা ইলেক্ট্রনিক ডাটা ইন্টারচেঞ্জ (ইডিআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করত। এ সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী আর্পানেট (ARPAnet) তৈরি করে যা থেকে আজকের ইন্টারনেট সৃষ্টি হয়। ১৯৭৯ সালে বিখ্যাত ইংরেজ আবিস্কারক এবং উদ্যোক্তা, মাইকেল অল্ডরিচ, ‘টেলিশপিং’ উদ্ভাবন করেন যা থেকে অনলাইন শপিং এর উদ্ভব। ৮০’র দশকে ফ্রান্সে মিনিটেল নামে একটি সার্ভিস চালু হয়। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব চালু হবার আগে এটিই ছিল সবচেয়ে জনপ্রিয় অনলাইন সার্ভিস। ওই একই সময়ে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক ট্রাভেল কোম্পানী থমসন হলিডে তাদের ওয়েবসাইট প্রথম বি-টু-বি অনলাইন শপিং চালু করে। তবে ই-কমার্সের সত্যিকারের ব্যাপ্তি ঘটে ৯০ এর দশকে। ১৯৯১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউণ্ডেশন (এনএসএফ) বাণিজ্যিকভাবে ইন্টারনেট চালু করার উপরে সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবার পরে ইন্টারনেটের জনপ্রিয়তা আরও বৃদ্ধি পায় এবং সেই সাথে ই-কমার্সেরও প্রসার ঘটে।



বাংলাদেশে ই-বাণিজ্যের শুরু

বাংলাদেশে ইতোমধ্যেই চালু হয়ে গেছে ই-কমার্স। ৯০ দশকের শেষ দিকে বাংলাদেশে ই-কমার্স নিয়ে চিন্তাভাবনা ও প্রচেষ্টা শুরু হলেও অনলাইনে লেনদেনের কোন কার্যকরী পদ্ধতি না থাকায় সে প্রচেষ্টা সাফল্যের মুখ দেখেনি। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম চালু করে। এর ফলে বাংলাদেশে ই-কমার্সের সূচনা হবার পথে প্রতিবন্ধকতার অবসান ঘটে। বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের প্রদত্ত তথ্যমতে (http://www.bangladesh- bank.org/pub/special/14062012.pdf) বাংলাদেশ ব্যাংক চার ধরণের অনলাইন লেনদেন করার অনুমোদন দিয়েছে-



অনলাইনে ইউটিলিটি বিল প্রদান।

একই ব্যাঙ্কের মধ্যে এক গ্রাহকের হিসাব থেকে অন্য গ্রাহকের হিসাবে অনলাইনে অর্থ স্থানান্তর।

ক্রেতার ব্যাংক হিসাব থেকে বিক্রেতার ব্যাঙ্কের হিসাবে অনলাইনে অর্থ প্রেরণ।

স্থানীয় মুদ্রায় ইন্টারনেটে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন।



বর্তমানে প্রায় ৩৭টি ব্যাংক পুরোপুরি অনলাইন ব্যাঙ্কিং সেবা প্রদান করছে আর ৪টি ব্যাংক আংশিক অনলাইন সেবা প্রদান করছে। এছাড়াও আরও ছয়টি ব্যাংক খুব শীঘ্রই অনলাইন সেবা প্রদান করা শুরু করবে। বর্তমানে ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড (ডিবিবিএল) এবং ব্র্যাক ব্যাংক বাংলাদেশে ই-কমার্স মার্চেন্ট একাউন্ট সুবিধা প্রদান করে আসছে। অদূর ভবিষ্যতে অন্যান্য ব্যাংক গুলোও এই সুবিধা প্রদান করবে।



আউটসোর্সিং বাংলাদেশের জন্য একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় খাত। বাংলাদেশ ব্যাংক অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে দেশে সর্বোচ্চ ৫০০ ডলার পর্যন্ত আনার অনুমতি প্রদান করেছে। এতে করে বাংলাদেশের আউটসোর্সিং খাতে নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে যে, আগামী তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় অনলাইন লেনদেন প্রতিষ্ঠান পে-প্যাল বাংলাদেশীদের জন্য উন্মুক্ত হয়ে যাবে। তখন অনেকেই ইন্টারনেটে কাজ করে খুব সহজেই দেশে টাকা আনতে পারবেন।



ই-কমার্স: কিছু পরিসংখ্যান

উন্নত দেশে ই-কমার্স এখন বিশাল লাভজনক একটি ইন্ডাস্ট্রি। যুক্তরাষ্ট্রের ই-কমার্স বাজার বর্তমানে পৃথিবীতে সবচেয়ে বড়। অ্যামাজন, ই-বে এর মত বিশ্ববিখ্যাত প্রতিষ্ঠান সবই যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত।



যুক্তরাষ্ট্রের সেন্সাস ব্যুরো কর্তৃক প্রকাশিত এক রিপোর্টে (Click This Link) বলা হয় যে, ২০১২ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে আমেরিকাতে ই-কমার্সে ৫৪.৮ বিলিয়ন ডলারের লেনদেন সম্পাদিত হয় যা প্রথম প্রান্তিকের লেনদেনের তুলনায় ৩.৩% বেশি ।



বিখ্যাত গবেষণা প্রতিষ্ঠান কমস্কোর (http://www.comscore.com) প্রতি প্রান্তিকে আমেরিকার ই-কমার্সের উপরে রিপোর্ট প্রকাশ করে থাকে। ২০১১ সালের চতুর্থ প্রান্তিকের রিপোর্টে তারা বলে যে অনলাইনে মোট কেনাকাটার পরিমাণ ছিল ৪৯.৭ বিলিয়ন ডলার যা ২০১০ এর চতুর্থ প্রান্তিকের তুলনায় ১৪% বেশি এবং অনলাইনে কেনা কাটার পরিমান গত কয়েক বছর ধরে টানা বেড়ে চলছে। ২০১১ সালে আমেরিকাতে রিটেইল ই-কমার্সের লেনদেন বেড়ে দাড়িয়েছিল ১৬১.৫ বিলিয়ন ডলারে যা ২০১০ সালের তুলনায় ১৩% বেশি।



২০১২ সালের প্রথম প্রান্তিকের রিপোর্টে বলা হয় অনলাইনে কেনাকাটার পরিমাণ ছিল ৪৪.৩ মিলিয়ন ডলার যা গত বছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় ১৭% বেশি। সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া পণ্যের মধ্যে অন্যতম ছিল ডিজিটাল কন্টেন্ট এবং সাবস্ক্রিপশন, কম্পিউটার সফটওয়্যার, ইলেকট্রনিক্স পণ্য, সোনাদানা, ঘড়ি, ইভেন্ট টিকেট ইত্যাদি এবং এই প্রতিটি পণ্যের বিক্রী গত বছরের তুলনায় ১৭% বৃদ্ধি পেয়েছে। কমস্কোর আরও উল্লেখ করেছে যে, আমেরিকাতে ট্যাবলেট পিসি ব্যবহারকারীদের মোট ৩৮ শতাংশ অনলাইনে বিভিন্ন পণ্যদ্রব্য ক্রয় করেছে যার মধ্যে অন্যতম ছিল কাপড়চোপড় কেনা।





সমস্যা

এ কথা সত্যি যে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ দর্শনের আলোকে বিগত দুই-তিন বছরে বাংলাদেশে ই-কমার্স খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু এ খাতের অধিকতর উন্নয়নকল্পে বেশ কিছু সমস্যার সমাধান অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। বিগত কয়েক বছরে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা যথেষ্ট বৃদ্ধি পেলেও মোট জনসংখ্যার তুলনায় তা এখনও অতি নগণ্য। ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং কয়েকটি বড় শহর ছাড়া বাকী ছোট ছোট শহর এবং গ্রাম এলাকায় উচ্চ গতির ইন্টারনেট এখনও সহজপ্রাপ্য নয়। পাশাপাশি হাতে গোনা কয়েকটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ব্যতীত অন্যান্য বড় এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলো অনলাইন লেনদেনকে এখনও ততটা গুরুত্বের সাথে নেয়নি এবং এ বিষয়ে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। দেশে ডেবিট এবং ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীর সংখ্যাও বেশ কম কারন দেশে অবস্থান করে বিদেশী ওয়েবসাইটে আন্তর্জাতিক ক্রেডিট/ ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে লেনদেনের সুযোগ এখনও তৈরি হয়নি। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর শাখা সমূহের অনলাইন আন্ত:ব্যাংক সংযোগ স্থাপনের কাজ বেশ জোরেশোরে চললেও সরকারী ব্যাংকগুলো এক্ষেত্রে বেশ পিছিয়ে রয়েছে। বাংলা ভাষায় ওয়েবসাইটের স্বল্পতা এবং ই-কমার্স বাস্তবায়নে দক্ষ জনশক্তির অভাবের বিষয়টিকেও গুরুত্বের সাথে দেখা উচিত। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সাধারন মানুষের মধ্য থেকে অনলাইন লেনদেন সম্পর্কিত সকল ভয়ভীতি দুরকল্পে সাইবার আইন আরো সুসংগঠিত করা এবং এর যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা।



করণীয়

প্রথমত, দেশের সর্বত্র উচ্চ গতির ইন্টারনেট সহজলভ্য করা। দ্বিতীয়ত ডেবিট এবং ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যে আন্তর্জাতিক ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে বিদেশী ওয়েবসাইট থেকে পণ্য বা সেবা ক্রয়ের বিষয়টি অনুমোদন দেয়া উচিত। বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন যেমন বিজিএমইএ, এফবিসিসিআই এর উচিত তাদের সদস্য সংগঠনগুলোকে ই-কমার্সের সুবিধাগুলো সম্পর্কে অবগত করে তাদেরকে অনলাইন লেনদেন চালু করতে উদ্বুদ্ধ করা। অনলাইন লেনদেনের ব্যাপারে সাধারন ক্রেতাদের ভয়ভীতি দূর করতে মার্চেন্ট প্রতিষ্ঠানগুলো এবং সরকারের উচিত বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা। এক্ষেত্রে সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সমূহের পরিপূর্ণ অটোমেশন এবং অনলাইন সেবা প্রদান চালু করা উচিত। অনলাইন লেনদেন প্রক্রিয়ার সার্বিক নিরাপত্তা বিধানে প্রয়োজনীয় সকল আইন প্রণয়ন এবং এর বাস্তবায়ন করা অতীব জরুরি। ব্যাংকের বিশেষ করে সরকারী ব্যাংকের শাখা অফিসগুলোর মধ্যে অনলাইন আন্তঃ ব্যাংকিং সংযোগ স্থাপনের বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা উচিত। বাংলাদেশ ব্যাংক ইতিমধ্যেই বিভিন্ন অনলাইন সেবা চালু করেছে, তবে পর্যায়ক্রমে ব্যাংকটির অন্যান্য কাজেও যেমন ক্লিয়ারিং হাউজ/ নিকাশ ঘরের কাজে ইন্টারনেটের সম্পৃক্ততা জরুরি। অনলাইন মার্চেন্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত তাদের ওয়েবসাইটে ইংরেজির পাশাপাশি বাংলা ভাষাও ব্যবহার করা। ই-কমার্স সেক্টরের দক্ষ জনশক্তির কথা মাথায় রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি বিভাগে ই-কমার্স সম্পর্কিত কোর্স চালু করা যেতে পারে।



ই-কমার্স: সার্বজনীন ব্যবহার

আপাতদৃষ্টিতে ই-কমার্স বলতে শুধুমাত্র ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে অনলাইনে কোন পণ্য বা সেবা ক্রয় করা বোঝালেও, সত্যিকার অর্থে ই-কমার্স বাস্তবায়ন করার অর্থ হচ্ছে দেশব্যাপী এর সার্বজনীন ব্যবহার নিশ্চিত করা। সর্বস্তরের মানুষের কাছে ই-কমার্স সেবা পৌছে দেয়া সম্ভব হলেই কেবল বাংলাদেশে সত্যিকার অর্থে ই-কমার্স বাস্তবায়ন সম্ভবপর হয়েছে তা দাবী করা যাবে। অনলাইন লেনদেনের বিষয়টি শুধুমাত্র বড় বড় শহরের মুষ্টিমেয় লোকের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। গ্রামের সাধারণ মানুষ হয়তো ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড ব্যবহার করতে পারবে না, তবে একই অবকাঠামো ব্যবহার করে আরো সহজতর প্রযুক্তি নিয়ে তাদের কাছে যাওয়া যেতে পারে। পাশাপাশি ই-কমার্স সেবাসমূহ শুধুমাত্র গুটিকয়েক পণ্য বা সেবা ক্রয়-বিক্রয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে মানুষের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন আর্থিক লেনদেনে (যেমনঃ গ্যাসের বিল বা বাড়ি ভাড়া প্রদানে, সরকারকে ট্যাক্স প্রদানে) ই-কমার্সকে সম্পৃক্ত করা উচিত।





কেন এই মেলা

বাংলাদেশে অনেক কিছুর উপর মেলা থাকলেও ই-কমার্সের মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর কোন মেলা এটাই প্রথম। আর আগামীর সাথে নিজেদের মানিয়ে নেয়ার প্রস্তুতি হিসেবেই এই আয়োজন। প্রযুক্তির নতুন এই ব্যবহার এবং এর সম্ভাবনা সম্পর্কে সকলকে প্রণোদিত করার পাশাপাশি এক জায়গা থেকে সকলের অভিজ্ঞতা বিনিময় এর মূল উদ্দেশ্য। ই-বাণিজ্য করে যারা এই মুহূর্তে নিজেদের সময়কে বদলে দিচ্ছেন তাদের কাছ থেকে দেখা এবং ই-বাণিজ্যের ভবিষ্যত সম্পর্কে ধারণাও পাবেন মেলায় আগতরা।



অপরদিকে অনেকক্ষেত্রে ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকরা অনলাইনে কেনাকাটা নিয়ে এক ধরনের শঙ্কায় ভুগে থাকেন। এই শঙ্কা কাটিয়ে ঝুঁকিমুক্ত ই-বাণিজ্য প্রসারে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সিলেট ই-বাণিজ্য মেলা নতুন দিগন্তের সূচনা করবে।



মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:০০

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: সুন্দর উদ্দ্যুগ
শুভকামনা

২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৯

টানিম বলেছেন: গতকাল গিয়েছিলাম

৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৭

মেকগাইভার বলেছেন: পলিটিক্যাল পোস্ট যেন সামুতে আর স্টিকি না দেখি। তাহলেই সামু পরিস্কার থাকবে।

৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৮

প্রকৌশলী আতিক বলেছেন: মাশআল্লাহ ভিন্ন স্বাদের খবর।

আসলে একটা গরম ঝাঝ ধরানো শাহবাগি স্টিকি পোষ্ট দরকার ছিল এসময়। হা হা হা হা :P :P :P

৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৯

রবি_জল বলেছেন: =p~ =p~ পোস্ট দিলো ২ তারিখ আর আপনারা স্টিকি করলেন আজ !!! আজতো মেলা এমনিতেই শেষ হয়ে গেল =p~ =p~


এতো স্লো মোশনে চললে কিভাবে হবে সামু জী ??? !! ;)

৬| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০০

রবি_জল বলেছেন: =p~ =p~ পোস্ট দিলো ২ তারিখ আর আপনারা স্টিকি করলেন আজ !!! আজতো মেলা এমনিতেই শেষ হয়ে গেল =p~ =p~


এতো স্লো মোশনে চললে কিভাবে হবে সামু জী ??? !!

৭| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৮

ছোট মির্জা বলেছেন: শুধু স্টিকি করার জন্যে স্টিকি করার কোন দরকার আছে কি ? তাও যখন আজ ৬ তারিখ !

৮| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৩

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা =p~ =p~

সামুর শত শত ব্লগার দাবী জানাইল ফিউশনের পোস্ট স্টিকি করার আর সামু করছে মেলার পোস্ট! মুহাহাহহাহাহহাহহাহহাহহাহা.।।


বছরের সেরা জোকসটা তাইলে সামুই মেরে দিলো!!

দেশে তাইলে ক্যাচাল না, মেলা লাগছে! ;) ;) ;)

আমি মডুকেই স্টিকি করে ফেলার তেব্র আবেদন জানিয়ে গেলাম।

(পোস্টদাতা কিছুই মনে করবেন না, এটা আপনার দোষ নয়) :)

৯| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:২১

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: রবি_জল বলেছেন: পোস্ট দিলো ২ তারিখ আর আপনারা স্টিকি করলেন আজ !!! আজতো মেলা এমনিতেই শেষ হয়ে গেল


এতো স্লো মোশনে চললে কিভাবে হবে সামু জী ??? !!

১০| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:২৮

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: স্বাগত ও শুভেচ্ছা সবাইকে
বানিজ্য মেলায়
উন্নত বাংলাদেশ গড়ার সম্ভবনায়

১১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:০৩

মেঘ বলেছে যাব যাব বলেছেন: মেকগাইভার বলেছেন: পলিটিক্যাল পোস্ট যেন সামুতে আর স্টিকি না দেখি। তাহলেই সামু পরিস্কার থাকবে।

১২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৩৩

আমিই রাকিব বলেছেন: ব্লগ পার্টনার সামহোয়্যার ইন ব্লগ... ই-বানিজ্যের জন্য শুভকামনা... সাথে সামুর জন্যও....

১৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৪৯

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: দালাল সাম্রাজ্যবাদি ফ্যাসিস্ট
অবৈধ মারপ্যাছে
গৃহযুদ্ধ লাগিয়ে এঁরাই বানায় আফগান , ইরাক
আর মাতাব্বরি ফলায়ে ধংশ করে যে কোন জাতিকে ।
রাস্টীয় সম্পদ লুটে করে স্বাধীনতা হরন
হে ঘুম প্রিয় বাঙালী জেগে উটার এখনি সময়
আর সুযোগ না দিয়ে এক হওয়া চাই
ভেঙ্গে বাধা ভয়

১৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:০৭

স্বাধীন জামিল বলেছেন: ঝা ঝা পোস্ট।

১৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৫০

হাসান মাহবুব বলেছেন: চ্রম ফ্লপ স্টিকি পুস্ট।

১৬| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৫৫

তামিম ইবনে আমান বলেছেন: এ বালের পোস্ট না দিয়া লিসানি ভাইয়ের পোস্ট স্টিকি কর মডুর বাচ্চা

১৭| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:২৩

মামুন হতভাগা বলেছেন: যে পোস্ট তা স্টিকি করছে তারিখ না পইড়া, তারেও পোষ্টের সাথে লটকানো হউক

১৮| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৩৬

নোবিতা রিফু বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট...

১৯| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৫৩

ইসতিয়াক1900 বলেছেন: হায়ের সামু.....

২০| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:২২

অচিন.... বলেছেন: @হামা ভাই.… কম্পিউটার জগৎ এর স্টিকি পুস্ট গুলা সবডি ফ্লপ মারে, খালি এইডা না হাহাহা =p~ =p~

২১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:২৬

আমি তুমি আমরা বলেছেন: রবি_জল বলেছেন: =p~ =p~ পোস্ট দিলো ২ তারিখ আর আপনারা স্টিকি করলেন আজ !!! আজতো মেলা এমনিতেই শেষ হয়ে গেল =p~ =p~


এতো স্লো মোশনে চললে কিভাবে হবে সামু জী ??? !!

২২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৩৭

তুহিন সরকার বলেছেন: ই-বাণিজ্য মেলার সাফল্য কামনা করছি।

২৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৫১

মুক্তাদির মাহ্‌ফুজ জামী বলেছেন: হতাশাজনক

২৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৫০

উড়োজাহাজ বলেছেন: Post valo laglo. Plus delam

২৫| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৫২

ফ্রিঞ্জ বলেছেন: খুবই সাহসী এবং সময়োপযোগী পোস্ট। কোন অনুভুতিতে আঘাত নাই! ব্রাভো! :D

২৬| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:০৯

নন্দনপুরী বলেছেন: স্বাগত সবাইকে.......

২৭| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:০৬

জুল ভার্ন বলেছেন: এই স্টিকি পোস্টের শিরোনাম-"৪ এপ্রিল থেকে সিলেটে তিন দিনব্যাপি" -পড়েই ভেবেছিলাম সিলেটে ৩ দিন ব্যাপী হরতাল! :P

২৮| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৩১

আহমেদ রিজভী বলেছেন: মেলা শেষ হয়ে গেছে এইবার দয়া করে পোস্টটি স্টিকি থেকে সরান ।

২৯| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:১৮

এক্সপেরিয়া বলেছেন: কত ভাল ভাল প্রযুক্তি বিষয়ক লেখা স্টিকি হইল না আর অহন এইডারে করছে স্টিকি । তবুও ভাল । লিসানি ভাইয়ের পোষ্টটাকে স্টিকি করার দাবি জানাইতেছি ।

৩০| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৪৩

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: লিসানী ভাইয়ের link|http://www.somewhereinblog.net/blog/Qadri/29811880#c9803132|এই পোস্ট টা স্টিকি করা হোক । ]

৩১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:০০

মাসুম মিয়া বলেছেন:

৩২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:২৩

ব্লগার মাজু বলেছেন: সামুর স্টিকি পোস্ট নিয়ে বিতর্ক আজকে নতুন না। আমি নিজেও অনেক পোস্ট নামায়ে ফেলার জন্য চিল্লায়ে গলা ফাটাইছে। আবার অনেক পোস্ট স্টিকি করতে বলার পরও বলে নাই। কিন্তু আজকে এই পোস্ট দেখে বিভ্রান্তিতে পরে গেলাম !

আমার শর্ট সামু ব্লগিং লাইফে এতো বড় জোকস দেখি নাই। এই জোকস কি ইচ্ছাকৃত? অন্য অর্থ আছে? নাকি সামু এখন থেকে এমনই থাকবে? /:)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.