নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাইকেল চালানো স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। ইহা ক্ষুধা উদ্রেক করে!

হঠাৎ ধুমকেতু

আমি মহিউদ্দিন খালেদ। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। পড়তে ভালোবাসি। নিজের একটা চিন্তা জগত আছে। সেখানে চারপাশের অনেক কিছু নিয়ে অনেক নিঃশব্দ আলোচনা হয়! সেই আলোচনা গুলোর সাথে বৃহত্তর জগতের সংযোগ ঘটাতে ইচ্ছে করে!

হঠাৎ ধুমকেতু › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বাধীনতা অর্জন, আমাদের মূল বিন্দু এবং নতুন প্রজন্ম।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:২৫

তেতাল্লিশ বছরের অনেক ঝড় ঝাপ্টার মধ্য দিয়েও আমাদের যে আত্নপরিচয়ের বৃক্ষ টি ধীরে ধীরে বেড়ে উঠেছে সেই বৃক্ষের জন্মই হত না যদি আমরা পরাধীন থাকতাম। পরাধীন মানুষ হল শুধু একটা উন্নত মানের কমান্ড এক্সিকিউটর। যে ‘মানুষ প্রভু’ তাকে কমান্ড দিচ্ছে তার বুদ্ধি বিবেচনা এবং সংস্কৃতির বাইরে গিয়ে ‘কমান্ড এক্সিকিউটর’ কিছু করতে পারে না। কারন সে হচ্ছে ক্রীতদাস। প্রভু যদি বলে তুমি খুব ভাল, তাহলে সে ভাল। প্রভু যদি বলে তুমি খুব খারাপ, তাহলে সে খারাপ। প্রভু যদি বলে তুমি বিশ্বাস ঘাতক, তাহলে সে বিশ্বাস ঘাতক! ক্রীতদাসের কোন আত্নপরিচয় নেই, কাজেই তার অর্জন বলেও কিছু নেই। তার অর্জন মানে সেটা তার প্রভুর অর্জন।



ক্রিতদাস কে লাইনে রাখার জন্য প্রভু তাকে সময়ে সময়ে ধর্মের বানী শোনাবেন। নিয়তির বানী শোনাবেন। কপালের লিখনের কথা স্মরন করিয়ে দিবেন। এই ভাবে প্রভু তার শোষন প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখবেন। দাসশ্রেনী একসময় বংশানুক্রমে সেটা মেনে নেবে। মাঝে মাঝে প্রভুর দানের ছিটে ফোঁটা পেয়ে দাস রা ভাববে- ইস আমাদের প্রভু কত মহান!এভাবেই কালের বিবর্তনে একটা জাতি আরেকটা জাতির দাসে অর্থাৎ একটা জাতি আরেকটা জাতির প্রভুতে পরিনত হতে পারে যদি একটা জাতি আরেকটা জাতির অধীনে থাকে।



যুদ্ধ মানুষ হত্যা করে। পরাধীনতা মানুষ কে জীবন্ত লাশে পরিনত করে। জীবন্ত লাশ পৃথিবীর অগ্রযাত্রায় ভুমিকা রাখতে পারেনা। কারন বংশানুক্রমিক অনভ্যস্ততায় তার চিন্তা শক্তি ধীরে ধীরে লুপ্ত হয়ে যায়।



উপরে উল্লেখ করা পরিনতির মত একটা চরম পরিনতি আমাদের হয়নি কারন আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম।স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম বলেই পৃথিবীর বুকে এখন একটা সম্ভাবনাময় জাতি হিসেবে আমাদের অস্তিত্ব কে কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। স্বাধীনতা অর্জন কে মুলবিন্দু ধরেই আমাদের এগোতে হবে সামনের দিকে।



এদেশের রাজনীতিক দের সততা-অসততার আপেক্ষিকতায় স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রশ্নাতীত ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট নিয়ে দেশে একেক সময় একেক কাহিনী হবে। সেই সব কাহিনীর আশ্রয় প্রশ্রয়ে স্বাধীনতা বিরোধীরা নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাবে নতুন প্রজন্ম কে বিভ্রান্ত করার। কিন্তু নতুন প্রজন্ম যদি স্বাধীনতা অর্জনের গুরুত্ব টুকু বোঝে তাহলে স্বাধীনতা বিরোধীরা তাদের কখনো বিভ্রান্ত করতে পারবে না। নতুন প্রজন্ম যদি স্বাধীনতা বিরোধীদের পুরোপুরি বর্জন করে তবে সেটাই হবে স্বাধীনতা বিরোধীদের জন্য সত্যিকারের ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৩

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: হুম পড়লাম কিন্তু কি বলব ভাবছি। আশা নিয়ে স্বপ্নগুলো বেঁচে থাকুক। নতুন ভোরের সূর্য একদিন উঠবেই---

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১৬

হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: ধন্যবাদ নাসবিন চৌধুরী। আশা হচ্ছে একটা শক্তিশালী প্রোগ্রাম। আশা বাস্তবতা তৈরি করতে পারে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.