নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাইকেল চালানো স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। ইহা ক্ষুধা উদ্রেক করে!

হঠাৎ ধুমকেতু

আমি মহিউদ্দিন খালেদ। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। পড়তে ভালোবাসি। নিজের একটা চিন্তা জগত আছে। সেখানে চারপাশের অনেক কিছু নিয়ে অনেক নিঃশব্দ আলোচনা হয়! সেই আলোচনা গুলোর সাথে বৃহত্তর জগতের সংযোগ ঘটাতে ইচ্ছে করে!

হঠাৎ ধুমকেতু › বিস্তারিত পোস্টঃ

আকাশে আজ কিছুটা হলেও পুষ্পরেণুর উড়াউড়ি

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৮

গোলাম আজম মারা গেছেন। এই লোক মুক্তিযুদ্ধের সময় খুব স্পষ্ট এবং প্রত্যক্ষ ভাবে বাংলাদেশের বিরোধিতা করেছিলেন। পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের অভ্যুদয় যাতে না হয় তার জন্য এই লোক সাধ্যমত চেষ্টা করেছিলেন।এই বিষয়ে তার আন্তরিকতায় কোন ঘাটতি ছিলনা।

দেশ স্বাধীন হবার পর আরো বেয়াল্লিশ বছরের বেশি এই লোক বেঁচে ছিলেন। এই দীর্ঘ বেঁচে থাকার সময় তিনি এই স্বাধীন দেশের রাজধানীর একেবারে প্রাণকেন্দ্রে বসবাস করেছেন। মা কে অস্বীকার করে মায়ের কোলে বসে বেয়াল্লিশ বছর দিব্যি মায়ের দুধ পান করে গেছে এই কুলাঙ্গার শিশু।

‘দেশ’ নিয়ে যাদের স্পষ্ট ভালোবাসার অনুভূতি আছে তারা আজকে সকালে ঘুম থেকে উঠে কিছুটা হলেও নির্ভার বোধ করেছেন। এই দেশের ভ্রুন কে মাতৃগর্ভেই যে লোক হত্যা করতে চেয়েছিল সে লোক টার একেবারে প্রত্যক্ষ ভার অন্তত এই স্বাধীন দেশ কে আজ থেকে আর বইতে হবে না। যে সুস্পষ্ট লজ্জা এই স্বাধীন দেশের আকাশ কে দীর্ঘ যূগ ভারী এবং স্তব্ধ করে রেখেছিল সেই আকাশে আজ কিছুটা হলেও পুষ্পরেণুর উড়াউড়ি।

গোলাম আজম এবং বাংলাদেশ, এই দুইটা জিনিষ কে একসাথে ভালোবাসা যায় না। কাজেই যারা গোলাম আজমের মৃত্যু তে শোক অথবা তার প্রতি ভালোবাসা অনুভব করছেন তারা বাংলাদেশ কে ভালোবাসেন না- এটা পিথাগোরাসের উপপাদ্যের( ত্রিভুজের অতিভুজের বর্গ সমান সমান ভূমির বর্গ এবং লম্বের বর্গের যোগফল) মতই সত্য। কেউ যদি বাংলাদেশ কে ভালোবাসেন তাহলে গোলাম আজমের ব্যাপারে তার মানসিক অবস্থান একাত্তরে এবং আজীবন বাংলাদেশের ব্যাপারে গোলাম আজমের যে মানসিক অবস্থান ছিল সে রকম ই হবে।

একই সাথে আমি এটাও স্পষ্ট বলতে চাই, যারা ক্ষমতার অপব্যবহার করেন, পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস করে জাতি কে পঙ্গু করেন, টাকার বিনিময়ে ভুল বিল্ডিং, ভুল লঞ্চের নকশায় অনুমোদন দেবার পর নাকের ডগায় মাখা অবৈধ পয়সার শর্ষের তেলের গন্ধ শুঁকতে শুঁকতে বলেন- ‘আমি দেশ কে ভালোবাসি এবং রাজাকার দের ঘৃণা করি’ তাদের হৃদয়ে দেশের জন্য ভালোবাসার কণামাত্র ও নেই। রাজাকার রা তাদের হীন উদ্যেশ্য চরিতার্থ করার জন্য ধর্ম কে ব্যবহার করে। আর এই তথাকথিত লোক দেখানো দেশপ্রেমিক রা তাদের হীন উদ্যেশ্য চরিতার্থ করার জন্য ‘আমি রাজাকার ঘৃণা করি কাজেই দেশ কে ভালোবাসি!’ এই স্লোগান টা কে ব্যবহার করে।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫২

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: এইসব পালের গোদা রাজাকারগুলোর কুখ্যাত পাশবিক চেহারা মূর্তি নিয়ে একটা 'দুঃসহ স্মৃতি' স্তম্ভ / ঘৃণ্য স্তম্ভ/স্কয়ার নির্মাণ করা হোক , যেখানে সাধারণ জনগণ ঐ সব রাজাকার স্তম্ভ/মুর্তির গয়ে পাথর ছুঁড়ে মারা জাতীয় কিছু করতে পারবে এবং নতুন প্রজন্ম এইসব রাজাকারদের ব্যাপারে একটা পরিষ্কার ধারনা পাওয়ার আরও একটি উৎস পাবে ।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:০৫

হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: ঘৃণাস্তম্ভ করা জরুরি নয়। দেশ কে ভালোবাসা এবং সৎ হওয়া জরুরী। ঘৃণা স্তম্ভ লোক দেখানো ঘৃণা কে উৎসাহিত করবে। দেশ কে ভালোবাসার প্রমান নিজ কর্ম ক্ষেত্রে সৎ থেকে দেওয়া ই সবচেয়ে কঠিন এবং কার্যকরী।

২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:০১

শিকদার ওয়ািলউজ্জামান বলেছেন: মাকে অস্বীকার করে সেই মায়ের দুগ্ধ পান করেছেন কুলাঙ্গার গোলাম আজম

৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৫৫

আলম দীপ্র বলেছেন: আজ কিছুটা হলেও পুষ্পরেণুর উড়াউড়ি।

আহা ! এমন মানুষ থাকাও সম্ভব ! দেশ বা দেশের মানুষ কখনই তাকে এতটুকু ক্ষমার চোখে দেখবে না !

৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:০৫

কলমের কালি শেষ বলেছেন: B-) B-) B-) :#) B-))

৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:০১

ফনিমনসা বলেছেন: অনেকেই দেখি তাকে ভাষাসৈনিক বলে মাথায় রাখতে চায়। তাদের মাথায় গোবর থাকলেও মরার পরে মাটি উর্বর হত! আফসুস.. তাও নেই..

৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২০

লোকমান বিন আলী বলেছেন: এই লোকের নিকট এমন কী যাদু ছিল, এত বাদ-আপবাদের পরেও এদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ তাঁর জন্য পাগল প্রায়? তাঁর যানাজার উপস্থিতি প্রমাণ করে তিনি কি ছিলেন। সুতরাং
জোশ নয়, হুসে এসে চিন্তা করার সময় এসেছে- বন্ধুগণ! আমি বিশ্বাস করতে বাধ্য হয়েছি শুধুমাত্র ইসলামের পক্ষে কাজ করার কারণেই তাঁকে এভাবে অপবাদ দেয়া হয়েছে-হচ্ছে।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৯

হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: কেউ যদি বাংলাদেশ কে ভালোবাসেন তাহলে গোলাম আজমের ব্যাপারে তার মানসিক অবস্থান একাত্তরে এবং আজীবন বাংলাদেশের ব্যাপারে গোলাম আজমের যে মানসিক অবস্থান ছিল সে রকম ই হবে।

৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৫৭

ফরিদ বিন হাবিব বলেছেন: ষোল কোটি মানুষের দেশে পাকিস্তানিদের দালাল এবং তাদের জারজ সন্তানদের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। কাজেই জানাজায় উপস্থিতিই কারো ইসলাম প্রীতির নিদর্শন প্রমাণ করে না। যে হারামজাদা ইসলামের নামে খুন ধর্ষণ অগ্নিসংযোগ কোনো কিছুই বাদ দেয় নাই এবং মরার আগেও কখনো দুঃখ প্রকাশ করে নাই ৯২ বছর বয়সী সেই শয়তানের মরণে যারা শোকাকুল তারা ‌হায়‌ গো-আ হায় গো আ রবে বুক চাপড়ে মাতম করতে পারেন। তাতে শোক প্রশমিত হতে পারে।

(জ্ঞানপাপীদের বলে কোনো লাভ নেই, মুর্খরা ১৯৭১ সালে প্রকাশিত পত্র পত্রিকার কাটিং এবং প্রকাশিত ছবিগুলো একবার দেখে নিতে পারেন।)

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:৪৩

হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: জ্ঞানপাপী দের আসলেই বলে লাভ নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.