নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাইকেল চালানো স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। ইহা ক্ষুধা উদ্রেক করে!

হঠাৎ ধুমকেতু

আমি মহিউদ্দিন খালেদ। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। পড়তে ভালোবাসি। নিজের একটা চিন্তা জগত আছে। সেখানে চারপাশের অনেক কিছু নিয়ে অনেক নিঃশব্দ আলোচনা হয়! সেই আলোচনা গুলোর সাথে বৃহত্তর জগতের সংযোগ ঘটাতে ইচ্ছে করে!

হঠাৎ ধুমকেতু › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাতি হিসেবে আমাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৮

ধরা যাক একজন মানুষ। স্বাধীন মানুষ। তার জীবনের যদি নির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকে তাহলে তাকে জীবন যাপনের কিছু নিয়ম কানুন তৈরি করতে হবে। না হলে সে তার লক্ষ্যে পৌছাতে পারবে না। তার জীবন কাটবে আস্ফালনে-আমি চাইলে হেন করতে পারতাম, তেন করতে পারতাম ইত্যাদি।

এবার ধরা যাক একটা জাতি। স্বাধীন জাতি। জাতি হিসেবে যদি তার কোন লক্ষ্য নাই থাকে তাহলে এই ‘জাতি’ শব্দ টা ‘ঘোড়ার ডিম’ টাইপ একটা অন্তঃসারশূন্য শব্দ ছাড়া আর কিছু নয়। যদি লক্ষ্য থাকে এবং সেই লক্ষ্যে পৌছাতে চায় তাহলে সেই জাতিকেও কিছু নিয়ম কানুন তৈরি করতে হবে। একজন মানুষ যখন তার নিজের জন্য নিয়ম কানুন তৈরি করে তখন শুধু তার নিজের কাছে সেই নিয়ম কানুন গুলোর গ্রহণ যোগ্যতা থাকলেই চলে। জাতির জন্য নিয়ম কানুন তৈরি করতে গেলে জাতির সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষের কাছে সেই নিয়ম কানুন গুলোর গ্রহণ যোগ্যতা আছে কিনা সেটা যাচাই করে দেখতে হয়। এখানে নিয়ম কানুন ভাল না খারাপ সেটা বিষয় না। বিষয় হচ্ছে গ্রহণ যোগ্যতা। সংখ্যা গরিষ্ঠের কাছে যেটা গ্রহণযোগ্য সেটাই ঠিক। পরবর্তিতে সংখ্যা গরিষ্ঠ যদি মনে করে সেটা বেঠিক তাহলে সেটাকে বর্জন করে নতুন আরেকটাকে গ্রহণ করবে। এর মধ্যে বেঠিক বলে যেটা বাতিল হয়েছে সেটা নিজেকে আপগ্রেড এবং আপডেট করতে থাকবে। পরবর্তীতে সংখ্যা গরিষ্ঠের কাছে যদি সেটা অধিকতর গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠে সংখ্যা গরিষ্ঠ সেটাকেই গ্রহণ করবে। যদি গ্রহণযোগ্য না হয় তাহলে করবে না। জনগণ নিজেই ঠিক করবে সে পোলাও খাবে নাকি ডালভাত খাবে। জোর করে পোলাও বা ডাল ভাত কিছুই খাওয়ানো যাবে না। খাবার সামনে রেখে বিনয়ের সাথে জিজ্ঞেস করতে হবে- জনাব, আপনাদের কি খেতে রুচি হয়?

মানব সভ্যতার সূচনা থেকে মানবজাতির জন্য যে জিনিষটা অভিশাপ হয়ে এসেছে সেটা হচ্ছে দাসপ্রথা অর্থাৎ ক্ষমতাশালী কর্তৃক ক্ষমতাহীনদের শৃঙ্খলিত করে তাদের সম্পদ লুণ্ঠনের প্রক্রিয়া। তথাকথিত আধুনিক বিশ্বে যেটার চেহারা মুটামুটি এরকম- ক্ষমতাহীন দের নূন্যতম সুযোগ সুবিধা দেবার বিনিময়ে( গাড়িতে যেমন গ্যাস, লুব্রিকেন্ট ইত্যাদি দিতে হয়) তাদের সমস্ত কর্ম ক্ষমতা লুণ্ঠন করে সেটাকে ক্ষমতাসীন এবং তাদের বংশবদ দের সম্পদ এবং সাম্রাজ্য বাড়ানোর কাজে লাগানো। এই অভিশপ্ত দাস প্রথার বিরুদ্ধে যে সিস্টেম টা অন্তত লড়াই করতে পারে সেটা হচ্ছে গণতন্ত্র। ক্ষমতায় আরোহণকারীদের মাথার ভেতরে যে পিশাচ টা ক্ষমতাকে চিরতরে কুক্ষিগত করে রাখার কুমন্ত্রণা যুগিয়ে চলে সেটার টুঁটি চেপে রাখে গণতন্ত্র। ‘ক্ষমতাসীনের মনের স্বৈরাচারী অংশটুকু যদি হয় পিশাচ’ তাহলে গণতন্ত্র তার গলার ফাঁস!

গণতন্ত্র কোন মানবিক আবেগ নয়। এটা পুরোপুরি ই একটা যন্ত্র। এই যন্ত্র যদি বিকল হয় তাহলে মানুষের ভেতর যত সুকুমার বৃত্তি ই থাক সে স্বৈরাচার নামক পিশাচ কে বড়জোর পাল্টাতে পারে। এক পিশাচের আঁচড় কামড় খেয়ে তার গলার মালাটা খুলে নিয়ে অন্য পিশাচের গলায় পরাতে পারে বড়জোর। কিন্তু পিশাচের গলায় কখনো ফাঁস পরাতে পারে না। পারেনা বলেই আমাদের দেশের অসংখ্য মমত্ববোধ সম্পন্ন সাধারণ মানুষ ঠেকাতে পারেনা বোমার আগুন, ককটেলের আগুন, দ্রব্যমূল্যের আগুন, দূর্নীতির আগুন, এবং জালিয়াতির আগুনে পুড়ে মানুষের মরণ।

গণতন্ত্র নামক যন্ত্র আমরা যতদিন নির্মান করতে না পারব ততদিন জাতি হিসেবে আমাদের ভবিষ্যৎ চোখ ধাঁধানো রকমের উজ্জ্বল!

পৈশাচিক প্রতিহিংসা চরিতার্থে বিস্ফোরিত বোমার চোখ ধাঁধানো এবং চোখ মুখ পোড়ানো আলোয় উজ্জ্বল আমাদের ভবিষ্যৎ।


মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:০৭

খেলাঘর বলেছেন:

পেট্রোল-মাতা খালেদার পাকী রাজাকারের বাচ্ছাদের আবারো ১৬ই ডিসেম্বর (১৯৭১) দেখাতে হবে।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:২১

হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: আপনি যে ভঙ্গিতে কথা বলছেন লেখাটার গভীরতা তার চেয়ে কিছুটা বেশি। খালেদা জিয়া পেট্রল মাতা এধরনের কিছু স্টাব্লিশ করার জন্য আমি এই লেখা লিখি নাই। আমি আমাদের এই ভয়াবহ বর্তমানের কারন অনুসন্ধান করতে চেয়েছি।

২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:১৪

নিলু বলেছেন: লিখে যান

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:২২

হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: ধন্যবাদ নিলু আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.